Blog

  • Modi Utkarsh Samaroh: “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    Modi Utkarsh Samaroh: “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ ও দেশবাসীর দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। দেশের ভালোর জন্য অনেক সময়েই তাঁকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু যে কোনও কঠিন সিদ্ধান্তই তিনি সব সময় চোয়াল শক্ত করে নেন। তাঁকে আবেগপ্রবণ হতে কজন দেখেছেন! কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হলেও তিনি আদ্যন্ত রাজনীতিবিদ। সর্বোপরি মানুষ। ফলে সময়ে-অসময়ে তিনিও আবেগতাড়িত হন। বৃহস্পতিবার গুজরাতে উৎকর্ষ সমারোহের অনুষ্ঠান চলাকালীন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি আয়ুব প্যাটেল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। যিনি চোখে দেখতে পান না। গুজরাত সরকারে উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এই প্রকল্পের জন্য প্রথমেই মোদিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বার্তালাপের সময় আয়ুব বলেন, তাঁর তিন মেয়ে রয়েছে। তাঁদেরই একজন চিকিৎসক হতে চায়। এই কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী ওই ব্যক্তির কন্যাকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি চিকিসক হতে চান? প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে মেয়েটি জানান, তাঁর বাবাকে সুস্থ করার জন্য ও সাহায্য করার জন্য তিনি চিকিসক হতে চান। এই উত্তরে  আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।  কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন তিনি। ওই মেয়ের মনের জোর এবং জেদের প্রশংসা করেন মোদি। তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার থেকে অভিজ্ঞতার শক্তি বেশি। নিজেদের জীবন এবং লড়াই থেকেই অনেক কিছু শেখা যায়। পাশে থাকার কথা জানিয়ে ওই ব্যক্তিকে মোদি বলেন, “আপনার মেয়ের স্বপ্নপূরণে কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানান।” 

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে এই উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজার ৮৫৪ জন রয়েছেন। যাঁদের অভাবের সময় সাহায্য করা হয়। গুজরাত সরকারের চারটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবে একশো শতাংশ প্রয়োগ করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “প্রকল্পগুলি কখনও খাতায় কলমে থেকে যায়, কখনও বা ভুল লোকের হাতে চলে যায়। কিন্তু আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এই ভাবনা নিয়েই কাজ করি আমি। এটাই ঠিক পথ বলে আমার বিশ্বাস।” গুজরাতবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেন, তিনি আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে এই জায়গায় পৌঁছতে সাহায্য করেছে গুজরাতের সাধারণ মানুষ।

    এদিন অন্য এক মঞ্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থাকার কথা। বাইডেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত গ্লোবাল করোনা সামিটে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আজ ভার্চুয়াল এই সামিটে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তাঁর। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে টিকাকরণে ভারতের ভূমিকা নিয়েই বার্তা দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির এমনই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

  • Swiggy: সুইগিতে বাম্পার অফার! ভাইরাল ‘সুইগি বয়’-কে খুঁজে দিলে মিলবে ৫০০০ টাকা

    Swiggy: সুইগিতে বাম্পার অফার! ভাইরাল ‘সুইগি বয়’-কে খুঁজে দিলে মিলবে ৫০০০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে টাকা জেতার সুযোগ করে দিল ‘সুইগি’ (Swiggy)। কিন্তু কেন এই অফার? এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। এরপরেই আসল ঘটনা জানা গেল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে ঘোড়ায় চড়ে এক ব্যক্তি মুম্বইয়ের ব্যস্ত রাস্তা পেরোচ্ছেন এবং তাঁর পিঠে ছিল একটি সুইগির ডেলিভারি ব্যাগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। প্রায় কয়েক হাজার কমেন্ট এবং শেয়ার হয় ভিডিয়োটি।

    আরও পড়ুন: বাইকের বদলে ঘোড়া! জলমগ্ন মুম্বইয়ে খাবার পৌঁছে দিতে একি করলেন সুইগি বয়

    ভারী বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট জলমগ্ন। গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল। কিন্তু তার মধ্যেই ওই ফুড ডেলিভারি বয় নিজের কর্তব্যে অনড় থেকে সেই পরিস্থিতিতেই বেড়িয়ে পড়েন ঘোড়া নিয়ে। এরপর থেকেই এই ‘সুইগি বয়’-এর পরিচয় জানার জন্য সবাই আগ্রহী হয়ে পড়ে। আর অবশেষে ওই ভিডিয়োতে কমেন্ট করে বসল খোদ ‘সুইগি’। এর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি জারি করেছে সংস্থাটি। যেখানে ঘোষণা করা হয়েছে যেই ব্যক্তি এই সুইগি বয়কে খুঁজে দিতে পারবে তাঁর জন্য পুরস্কার হিসেবে ৫০০০ টাকা দেওয়া হবে।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CfoUkopPrO-/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নিজেদের সংস্থার সেই কর্মীকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে সুইগি। কারণ ভিডিয়ো তে তাঁর মুখ দেখা যায়নি। তাই ওই ডেলিভারি বয়কে খুঁজতে ব্যর্থ হওয়ায় এ বার তাঁকে খুঁজে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করল সুইগি। সুইগির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ওই ডেলিভারি বয়ের খোঁজ দিতে পারলে বা তাঁর সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারলে তাঁকে সুইগি’র ওয়ালেটে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। তাঁকে সেখানে ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’  বলেও অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ওই ডেলিভারি বয়ের কর্তব্য ও কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখে তাঁর প্রতি সম্মান জানানের জন্য সুইগি তাঁকে খুঁজে বেরোচ্ছে। 

  • Ssc Scam: শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    Ssc Scam: শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি(ssc) মামলায় অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের। কেবল শান্তি প্রসাদ নন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সমরজিৎ আচার্য, সৌমিত্র সরকার ও অশোক সাহার। এঁদের মধ্যে শান্তিপ্রসাদের নামই বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ তাঁর সুপারিশেই নিয়োগ করা হত এসএসসিতে।

    বৃহস্পতি, শুক্রবারের পর শনিবার ফের একপ্রস্ত জেরা করা হয় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারীকে(Paresh Chandra adhikary)। এদিন নিজাম প্যালেসে সিবিআই(cbi) কর্তারা তাঁকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জেরা করেন। সূত্রের খবর, বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেও, বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে নীরব ছিলেন পরে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের মেয়েকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আদালত অবমাননার অভিযোগও দায়ের হয়েছে পরেশের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এসএসসিকাণ্ডে লেজেগোবরে দশা রাজ্য সরকারের। এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বেশ কয়েক দফায় জেরা করেছে সিবিআই।সদুত্তর না মেলায় আরও কয়েকবার তাঁকে জেরা করা হতে পারে। রক্ষাকবচের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পার্থ। তবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তার অনুমতি দেয়নি। তাই পার্থকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এসএসসির গ্রুপ-সির নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বাগ কমিটি যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তাতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুরোধও জানানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, শান্তি প্রসাদের নির্দেশেই ভুয়ো প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্যানেলে যাঁদের নাম থাকত, তাঁদের ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হত প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে। তাঁর নির্দেশেই বাকিরা এসব কাজ করতেন বলেও অভিযোগ।এই সব কারণেই শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ৭ হাজার পদ তৈরি এসএসসি-তে?

    এদিকে, এসএসসিকাণ্ডে বর্তমান পরিস্থিতিতে লন্ডন সফর বাতিল করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে মউ চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য শনিবারই তাঁর লন্ডন উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এদিন তাঁর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনেরও। দুজনেই আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না বলে খবর।

     

  • Kashmir Professor: জঙ্গি যোগ সন্দেহে চাকরি গেল কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের

    Kashmir Professor: জঙ্গি যোগ সন্দেহে চাকরি গেল কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে সন্দেহে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক(Kashmir Professor)-সহ তিন সরকারি কর্মীর চাকরি গেল। সংবিধানের ৩১১ ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ওই তিনজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক আলতাফ হোসেন পণ্ডিত ছাড়াও  স্কুল শিক্ষক মহম্মদ মকবুল হাজাম এবং পুলিস কনস্টেবল গুলাম রসুলকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ,তাঁরা বৈষম্যমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত এবং তাঁদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে।

    সরকারের নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য গঠিত একটি সাব কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক আলতাফ হোসেন। এছাড়া রসায়ন সংক্রান্ত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে। দেশেও রসায়ন বিজ্ঞানে মহলে তাঁর বিরাট নামডাক। এছাড়াও ব্যক্তিগত সততা, আচরণ ইত্যাদির কারণেও অধ্যাপক আলতাফ হোসেন পন্ডিত বিশ্ববিদ্যালয়ে খুবই জনপ্রিয়। দেশের বহু নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে রয়েছেন। 

    জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানান, সরাসরি জঙ্গিদের সমর্থন করেন আলতাফ। অভিযোগ, জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গেও তিনি জড়িত। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, অধ্যাপক হুসেন জামাত-এ-ইসলামের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তিনি জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালেও হুসেন গ্রেফতার হন। গ্রেফতার হওয়ার আগে টানা তিন বছর তিনি জেকেএলএফের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। জঙ্গি নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাঁর প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হত্যার প্রতিবাদে যতগুলি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে বা নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়, তার সবকটিতেই হুসেন যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৫ সালে কাশ্মীর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সদস্য হন ওই অধ্যাপক। অভিযোগ,ওই পদমর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ছাত্রদের মধ্যে বিচ্ছেদ এবং বৈষম্যের প্রচার চালাতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগও রয়েছে হোসেনের বিরুদ্ধে।

    কাশ্মীর প্রশাসন জানায়, স্কুল শিক্ষক মকবুল হাজাম সোগামে থানা এবং অন্যান্য সরকারি অফিসে হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। সরকারি কর্মী হওয়া সত্ত্বেও তিনি জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে পড়েন। পুলিস কনস্টেবল গুলাম রসুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিও জঙ্গিদের নানা ভাবে সাহায্য করতেন। নিরাপত্তাবাহিনীর গতিবিধি জঙ্গিদের জানিয়ে দেওয়া ছিল তাঁর অন্যতম কাজ। তার সঙ্গে হিজবুল জঙ্গি মুসতাক আহমেদ ওরফে ঔরঙ্গজেবের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনজনের বিরুদ্ধেই এসব গুরুতর অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর সংশ্লিষ্ট সরকারি কমিটি তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্তের সুপারিশ করে। সেইমতো প্রশাসন তিনজনকে বরখাস্ত করে।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বাংসাবশেষ। ঘণ্টার মতো হিন্দু (hindu) মোটিফও মিলেছে। বেসমেন্টের স্তম্ভে কলস, ফুল ও ত্রিশূল দৃশ্যমান ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিডিওগ্রাফির সমীক্ষার দুটি প্রতিবেদনে।

    বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের (kashi Viswanath temple) একাংশ ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশেই তা হয়েছিল বলে ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার অনূদিত একটি বইয়ে দাবি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মসজিদ কমপ্লেক্সে ঘণ্টা, ফুল, কলস ও ত্রিশূলের খবর প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবতই খুশি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তার পরেই আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে শুরু হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। প্রথমে মসজিদের ভিতরে ভিডিওগ্রাফিতে আপত্তি জানায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে শুরু হয় তিনদিন ব্যাপী সমীক্ষার কাজ। সমীক্ষার কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য আইনজীবী অজয় কুমার মিশ্রকে অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। পরে অবশ্য তথ্য ফাঁসের অভিযোগে কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর ফের তিনদিন ধরে সমীক্ষার কাজ চলে মসজিদের ভিতরে। অতিরিক্ত তথ্য ও নথি রেকর্ডে আনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈন। তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট কমিশনের দায়ের করা রিপোর্টের পরে এটা স্পষ্ট যে বিতর্কিত কাঠামোর মধ্যে হিন্দুধর্মীয় চরিত্র রয়েছে। তিনি বলেন, একটি ধর্মীয় স্থানকে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের জোরপূর্বক দখল নেওয়ায় বদলে যায় না সম্পত্তির প্রকৃতি ও বিদ্যমান দেবতার মালিকানার অধিকার।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    আইনজীবী অজয় কুমার দাবি করেছিলেন, ব্যারিকেডের বাইরে উত্তর ও পশ্চিম দেওয়ালের কোণে পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ও দেবতার কাঠামো পাওয়া গিয়েছে। একটি ফলকে শেষনাগের নকশা ছিল। দেখা গিয়েছিল পদ্মও। তিনি বলেন, আমার কাজের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে সেটি বিবেচনা করা বা না করা আদালতের ব্যাপার।

    সম্প্রতি সহকারি অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় প্রতাপ সিংয়ের উপস্থিতিতে বিশেষ আইনজীবী কমিশনার বিশাল সিং একটি রিপোর্ট জমা দেন আদালতে। লিখিত প্রতিবেদনের পাশাপাশি তিনটি সিল করা বাক্সে প্রমাণ হিসেবে তিনদিন ধরে চলা সমীক্ষার ভিডিও রেকর্ডিংও জমা দিয়েছেন তিনি। বিশাল জানান, প্রতিবেদনটি জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরের এলাকা নিয়ে।

    আরও পড়ুন : শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    এদিকে সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম ইয়াসিন। তিনি বলেন, প্রতিবেদনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় জ্ঞানবাপী মসজিদ ও কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টেরও এদিকে নজর দেওয়া উচিত। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

     

  • Sri krishna Janmabhoomi: কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ মামলা গ্রহণ করল মথুরার আদালত

    Sri krishna Janmabhoomi: কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ মামলা গ্রহণ করল মথুরার আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণ জন্মভূমির (Sri krishna Janmabhoomi) জমিতে শাহি ইদগাহ মসজিদ (shahi idgah mosque) গড়ে ওঠার অভিযোগ জানিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য। এমনটাই জানাল মথুরার আদালত (Mathura court)। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া সিভিল কোর্টের আদেশও বাতিল করে দিয়েছে জেলা আদালত।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা। আবেদনে দাবি করা হয়, ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের। ফলে, মসজিদ সরিয়ে ওই জমি মন্দিরকে হস্তান্তর করা হোক।

    ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি দায়ের করা হয়। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তাঁরা দাবি করেছিলেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থানে দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি। দু’পক্ষের শুনানি শেষে আদলত রায় সংরক্ষণ করে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    আদালতে আরও একটি আবেদন করেছিলেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক। দায়রা বিচারক সিনিয়র ডিভিশন মথুরার কাছে একটি আবেদনে তিনি দাবি করেন, শাহি ইদগাহ মসজিদের ভিতরে থাকা লাড্ডু গোপালকে পবিত্র করার এবং সেখানে নিয়মিত পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।

    ভারত দীর্ঘকাল মুসলমান শাসকের অধীনে ছিল। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের অভিযোগ, ওই সময়কালে বহু মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছে মসজিদ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে সবচেয়ে বেশি মন্দির ধ্বংস হয়েছিল বলে ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি। তাঁদের দাবি, এই সময়ই বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। এই মসজিদে শিবলিঙ্গ মিলেছে বলে দাবি এক আইনজীবীর। মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে যে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, তাও প্রমাণও মিলেছে এক ইতিহাস বইতে।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    এহেন আবহে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ নিয়ে বিতর্ক। গত ১৭ তারিখ এই বিতর্কিত ইদগাহ চত্বর সিল করার দাবিও মথুরার একটি আদালতে করেছিল আবেদনকারীরা। বিতর্কিত জায়গাটি সিল করা না হলে পরিবর্তিত হবে সম্পত্তির ধর্মীয় চরিত্র। মসজিদ চত্বরে নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়। 

    আবেদনে শাহী ইদগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা বাড়ানো, যে কোনও ধরনের চলাচল নিষিদ্ধ এবং নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের দাবিও জানানো হয়। পাশাপাশ, জ্ঞানবাপীর মতো এখানেও আদালত নিযুক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে গোটা চত্বরে ভিডিও সমীক্ষা চালানো হোক বলেও দাবি করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই এই আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

  • Monkeypox Scare: ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    Monkeypox Scare: ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) এখনও দূর হয়নি। তার মধ্যেই নয়া দোসর মাঙ্কিপক্স (Monkey Pox)। বিশ্বের নানা প্রান্তে এই নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত বহু মানুষ। ভারতে (India) এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস হানা না দিলেও পর্তুগাল, স্পেন, ইউরোপ ও আমেরিকার মতো কয়েকটি দেশে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) বা হু। কী ভাবে এই নয়া ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব কিংবা কী পদ্ধতিতে এর মোকাবিলা করা যায়, এই নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে হু (WHO)। সতর্ক দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকও (Union Health Ministry)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আইসিএমআর (ICMR) কে সচেতন থাকতে বলেন। চিকিৎসক ও গবেষকদের নয়া ভাইরাস নিয়ে চিন্তাভাবনা করার কথাও জানান। বিমানবন্দর ও বন্দর এলাকাগুলিতে আক্রান্ত দেশগুলি থেকে আসা ব্যক্তিদের উপরেও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

    মাঙ্কিপক্স কী?
    এটি একটি বায়ুবাহিত ভাইরাস।  এই ভাইরাসের জেরে যে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তাকেই মাঙ্কিপক্স বলা হচ্ছে। ১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কিপক্স পাওয়া গিয়েছিল। মূলত ইঁদুর থেকেই এই ভাইরাস ছড়ায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছিল। তবে মূল চিন্তার বিষয় একজন আক্রান্তের থেকে মাঙ্কিপক্স অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

    সংক্রমণের আশঙ্কা: মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বাড়তে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। শ্বাসনালি, শরীরে তৈরি হওয়া কোনও ক্ষত, নাক কিংবা চোখের মাধ্যমেও অন্যের শরীরের প্রবেশ করতে পারে মাঙ্কি ভাইরাস। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেও একে অপরের শরীরে হানা দিতে পারে এই ভাইরাস। আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক মিলনেও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    রোগের উপসর্গ: কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা, গায়ে হাত পায়ে ব্যথার মতো কিছু প্রাথমিক উপসর্গ তো রয়েছেই। এ ছাড়াও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। শরীরে ছোট ছোট অসংখ্যা ক্ষতচিহ্নের দেখা মেলে। ক্রমশ সেই ক্ষত আরও গভীর হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। গুটি বা জল বসন্তের সঙ্গে মাঙ্কি পক্সের উপসর্গের দিক থেকে সাদৃশ্য থাকায় অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগকে বসন্ত বা চিকেন পক্স বলে ভুল করছেন।

    চিকেন পক্স ও মাঙ্কি পক্স: ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস অনুসারে, মাঙ্কি পক্সকে অনেকেই চিকেন পক্স বলে ভুল করছেন। চিকেন পক্সের (Chicken Pox) মতো মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রেও শরীরে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা দিচ্ছে। ফ্লুইড যুক্ত এই ফুসকুড়িগুলি পরে ত্বকের দাগেরও সৃষ্টি করছে। উপসর্গগত সাদৃশ্য থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কি পক্স সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস। চিকেন পক্সের মতো রোগের প্রতিকার থাকলেও এই বিরল রোগ নিরাময়ের এখনও পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাপদ্ধতি নেই বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    গত ৭ মে লন্ডনে প্রথম এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। সেখানেই কোনওভাবে আক্রান্ত হন বলে ধারণা করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, সমকামী পুরুষদের মধ্যে এই মাঙ্কিপক্স ভাইরাস (Monkey Pox Virus) দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়ছে। এর কারণ যাচাই করতেই হু-এর (WHO) এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি, মাঙ্কিপক্সের হাত থেকে নিস্তার পেতে কোনওপ্রকার ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে, তা জানতেও নানাবিধ পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন (UK), স্পেন, বেলজিয়াম, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং কাডানা এই ভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।

     

  • Texas Shootout: মার্কিন মুলুকে ফের বন্দুকবাজ বিভীষিকা, নিহত ১৯ শিশুসহ মোট ২১ জন

    Texas Shootout: মার্কিন মুলুকে ফের বন্দুকবাজ বিভীষিকা, নিহত ১৯ শিশুসহ মোট ২১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে ফের বন্দুকবাজের (US Shootout) বিভীষিকা। রক্তাক্ত হল টেক্সাসের (Texas) ইউভালেড কাউন্টিতে অবস্থিত রব এলিমেন্টারি (Robb Elementary School) স্কুল প্রাঙ্গণ। বন্দুকবাজের নৃশংস হামলায়  নিহত ১৯ শিশুসহ মোট ২১ জন। গত এক দশকে আমেরিকায় এইরকম ঘটনার নজির নেই। 

    স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৯ শিশু এবং দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক এই হামলায় নিহত হয়েছেন। অধিকাংশ শিশু দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। প্রত্যেকের বয়স ৭ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। পুলিশসূত্রে খবর, হামলার পর পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিযুক্ত ওই বন্দুকবাজের। এনকাউন্টারে জখম হন দুজন পুলিশও। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। 

    জানা গিয়েছে, রব এলিমেন্টারি প্রাথমিক স্কুলের গুলিকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা বন্দুকবাজের নাম সালভাদর রামোস। ১৮ বছরের এই যুবক মঙ্গলবার ওই প্রাথমিক স্কুলে হ্যান্ডগান এবং রাইফেল নিয়ে ঢুকে পড়ে। এর পর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ১৯ শিশু। নিহত হন দুজন শিক্ষক। আহত হয়েছে অনেকে।

    আরও পড়ুনঃ “ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আস্থার সম্পর্ক”, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির

    টেক্সাসের ইতিহাসে এইরকম ঘটনা নজিরবিহীন। ঘটনার জেরে ট্যুইট করে শোকবার্তা জানিয়েছেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। রাজ্যবাসীকে একজোট হয়ে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।  [tw]


    [/tw]

    হোয়াইট হাউসের (White House) তরফে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক ব্যক্ত করতে ২৮ মে অবধি সূর্যাস্ত পর্যন্ত দেশের পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেন (Joe Biden)। 

    হামলাকারি সম্পর্কে বড় তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, স্কুলে হামলা করতে আসার আগে নিজের ঠাকুমাকে গুলি করে পালিয়ে বন্দুকবাজ। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসারত। পুলিশের মতে, হামলাকারী স্কুলে প্রবেশের আগে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ছিল। স্কুলে প্রবেশের সময় হামলাকারীর হাতে ছিল একটি রাইফেল। এরপর সে  স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে গুলি করতে থাকে সে।   

    আরও পড়ুনঃ অতিমারি ঠেকাতে মোদির ভূমিকা, প্রশংসায় বাইডেন

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden) বন্দুকবাজদের এবার কড়া হাতে দমনের বার্তা দিয়েছেন। ট্যুইটারে তিনি বলেন, “আমাদের প্রশ্ন করতে হবে, কবে আমরা বন্দুকবাজদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের নামে একজোট হয়ে দাঁড়াব? এসব দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত। এবার রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।”   

    [tw]


    [/tw]

    প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা (Barack Obama) ট্যুইটারে লেখেন, “গোটা দেশজুড়ে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে ঘুম পাড়াচ্ছেন, গল্পের বই পড়ে শোনাচ্ছেন, ঘুমপাড়ানি গান শোনাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের মাথায় একটাই প্রশ্ন ঘুরছে কাল কী হবে? তাঁদের বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর পর কী হবে? কিংবা কোনও দোকান বা জনবহুল এলাকায় তাঁদের সন্তানকে নিয়ে যাওয়া সুরক্ষিত কি? এখনই রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।” 

    [tw]


    [/tw]

    ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস দেশের অস্ত্রনীতি বদলের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের এমন কোনও নীতি গ্রহণ করতে হবে যাতে এইরকম ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে।” 

    বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই গুলি হামলায় অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে, যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

  • Asia Cup Hockey 2022: এগিয়ে থেকেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র ভারতের

    Asia Cup Hockey 2022: এগিয়ে থেকেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ রক্ষা আর হল না! এশিয়া কাপ হকির প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র করল ভারত। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ স্কোরলাইনে। জাকার্তায় শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ হকি। পুল এ-র প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই এগিয়ে ছিল ভারত। 

    প্রথম কোয়ার্টারের নয় মিনিটেই পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন কার্তি সেলভম। এরপর দুই দলই গোল করার একান্ত চেষ্টা করে গেলেও গোল হয়নি। ম্যাচের শেষমুহূর্তে পাকিস্তানের আব্দুল রাণা পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ম্যাচ ড্র করে দেন এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করার স্বপ্ন ভেঙ্গে দেন।

    ম্যাচ শুরুর প্রথম তিন মিনিটে পাকিস্তানের স্কোর করার সুযোগ থাকলেও কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। এরপর ভারতের সুযোগ আসে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করার। কিন্তু পাকিস্তানি গোলরক্ষক আকমল হোসেন নীলম সঞ্জীবের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ভারতীয় দল। প্রথম কোয়ার্টারে দুটি আরও পেনাল্টি কর্নার আদায় করে ভারত। তার মধ্যে অষ্টম মিনিটে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন কার্তি সেলভম। 

    দ্বিতীয় কোয়ার্টারের প্রথমের দিকে পাকিস্তানের গোলকিপার হুসেন দুরন্তভাবে পাওয়ান রাজভারকে আটকে নিশ্চিত গোল বাঁচান।  ২১ মিনিটে ভারত পেনাল্টি কর্নার পেলেও, তা গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়। 
    দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ হওয়ার ২ মিনিট আগে পাকিস্তানের কাছে পেনাল্টির সুযোগ এলেও তারা তা নষ্ট করায় ভারত প্রথমার্ধে লিড বজায় রাখে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ভারত, পাকিস্তান কোনও দলই একে অপরকে ছেড়ে কথা বলেনি। দুই দল বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও, তা গোলে পরিবর্তিত হয়নি। হাফ টাইমে সেলভামের গোলেই এগিয়ে ছিল ভারত। 

    হাফ টাইমের পর তৃতীয় কোয়ার্টেরও গোলের দেখা পাওয়া যায়নি। এক সময় পাকিস্তানকেও বেশ আক্রমণাত্মক খেলতে দেখা যায়। পাকিস্তান তাদের তৃতীয় পেনাল্টি পেলেও রিজওয়ান আলির জন্য বিফলে যায়। ভারতীয় দলের রাজভার এবং উত্তম সিংয়ের কাছে সুযোগ আসলেও পাকিস্তানের গোলকিপার হুসেন রক্ষা করতে পেরেছিলেন। ম্যাচের মাত্র এক মিনিট বাকি থাকতে পাকিস্তান পেনাল্টি কর্নার পায়। সেখান থেকে আব্দুল রাণার গোল করে সমতায় আসে।

    এদিন অন্যান্য ম্যাচের মধ্যে মালয়েশিয়া ওমানকে ৭-০ গোলে, কোরিয়া বাংলাদেশকে ৬-১ , জাপান ইন্দোনেশিয়াকে ৯-০ তে পরাজিত করে। মঙ্গলবার ভারতকে জাপানের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে।

     

  • Singer KK Death: মাথায়-ঠোঁটে চোটের চিহ্ন! কে কে-র মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত রহস্য

    Singer KK Death: মাথায়-ঠোঁটে চোটের চিহ্ন! কে কে-র মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath) ওরফে কে কে-র (K K) মৃত্যুতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে নিউমার্কেট থানায় (New Market Police Station)। বুধবার সকালে কে কে-র সঙ্গীরা গায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Unusual Death) মামলা (FIR) দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ।  অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই নিউ মার্কেট এলাকায় যে হোটেলে কেকে ছিলেন, সেখানকার ম্যানেজার এবং হোটেলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় এক কলেজের অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চেই (Nazrul Manch) অসুস্থ বোধ করেন গায়ক। মঞ্চে দাঁড়িয়েই ভীষণ ঘামতে থাকেন। গরম লাগছে বলে বার বার এসি চালাতেও বলেন উদ্যোক্তাদের। বন্ধ করতে বলেন আলো। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হোটেলে পড়ে গিয়ে মাথাতেও চোট পান। এফআইআরে তার উল্লেখও রয়েছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কে কে। অটোপ্সি রিপোর্ট সামনে এলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এসএসকেএম হাসপাতালে অটোপ্সি হবে গায়কের পার্থিব শরীরের। 

    আরও পড়ুন: “সব বয়সের মানুষের মন ছুঁয়েছে তাঁর গান”, কেকে-র মৃত্যুতে শোকবার্তা মোদির

    গতকালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা কে কে-র কিছু ভক্ত অনুষ্ঠান উদ্যোক্তাদের গাফিলতিকেই গায়কের মৃত্যুর জন্যে দায়ী করছেন। তাঁদের প্রশ্ন, অডিটোরিয়ামের আসন সংখ্যার প্রায় চারগুণ দর্শক কী করে ঢুকে পড়ল? কী করছিল কর্তৃপক্ষ? তাঁদের আরও দাবি, বদ্ধ অডিটোরিয়ামে বেশিরভাগ এসি-ই কাজ করছিল না। তাই ভীষণ গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের প্রিয় গায়ক। 

    জানা গিয়েছে, ২৪০০ আসন সংখ্যার নজরুল মঞ্চে এদিন ঢুকে পড়ে আট হাজার মানুষ। ভিড় সামলাতে অপারগ হয় অনুষ্ঠান উদ্যোক্তারা। এত মানুষের ভিড়ে গরম লাগতে শুরু করে গায়কের। বার বার ঘাম মুছতে দেখা যায় তাঁকে। গানের মাঝে মাঝে অনেকক্ষণ বিরতিও নেন। অসুস্থতার ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল গায়কের মুখে। 

    আরও পড়ুন: তবুও শ্রোতারা তাঁকে দিল না ছুটি…গানই শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    অডিটোরিয়ামে অব্যবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নজরুল মঞ্চে কর্মরত এক কর্মী। তাঁর কথায়, তিনি ১২ বছরে এ দৃশ্য দেখেননি। আসন সংখ্যার চেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষ ঢুকে যায়। এসি ঠিক ছিল। কিন্তু এত মানুষের ভিড়ে কাজ করছিল না সে যন্ত্র। দরজা খোলা থাকায় এসির হাওয়াও বেরিয়ে যাচ্ছিল। 

    কেকে-র সহকারীদের বক্তব্য, হোটেলের ঘরে পৌঁছেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন গায়ক। বমিও করেন। এরপরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গায়ককে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর মাথায় ও ঠোঁটে চোট ছিল। 

     

LinkedIn
Share