Blog

  • Gyanvapi mosque: মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    Gyanvapi mosque: মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির ধ্বংস করেই মসজিদ গড়ে উঠেছিল! সাকি মুস্তাইদ খানের লেখা ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) শাসনের বিবরণ সম্বলিত একটি বই সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, স্বয়ং মুঘল সম্রাটের নির্দেশেই ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছিল কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের (kashi Vishwanath temple) একাংশ। বইটিতে দাবি করা হয়েছে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য বিধর্মীদের স্কুল ও মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব নিজেই।

    জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিও সমীক্ষার রিপোর্ট চলতি সপ্তাহেই বারাণসী আদালতে জমা করেছেন আদালত-নিযুক্ত বিশেষ সহকারী কমিশনার। মসজিদের বাইরের দেওয়ালে অবস্থিত হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির পুজো করার অনুমতি চেয়ে দায়রা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন পাঁচ স্থানীয় মহিলা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ভিডিও সমীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত।

    এই প্রেক্ষিতে, কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের তরফে দাবি করা হয় যে, কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরের (Kashi Viswanath Temple) একাংশ ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) গড়ে তোলা হয়েছে। ঠিক যেমন মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তেমনভাবেই ভিডিও সমীক্ষায় মসজিদের ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গ মিলেছে বলে দাবি উঠেছে। সোহন লাল আর্য নামে এক হিন্দু শিবলিঙ্গ মেলার দাবি জানাতেই ওজুখানার জলাশয়ে কড়া পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, জলাশয়ে রয়েছে পুরানো একটি ফোয়ারা।

    বৃহস্পতিবার মসজিদ চত্বরে শেষনাগের ফনাওলা পাথরের ভাস্কর্যও মিলেছে বলে দাবি করেন আইনজীবী অজয় কুমার মিশ্রে। এই অজয় কুমার ছিলেন অ্যাডভোকেট কমিশনার। তথ্য প্রকাশ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    এমন আবহেই প্রকাশ্যে এল একটি ইতিহাস বই। ফরাসি ভাষায় লেখা “মসীর-ই-আলমগিরি” বইটির লেখক সাকি মুস্তাইদ খান। ব্রিটিশ আমলে বইটির অনুবাদ করেছিলেন ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার। এই বইতেই মন্দির ধ্বংসের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

    বইটি লেখা হয়েছিল দুটি অংশে। একটি অংশ ঔরঙ্গজেব জীবিত থাকাকালীন। আর বাকি অংশটি লেখা হয়েছিল সম্রাটের মৃত্যুর পর। বইয়ে দাবি করা হয়েছে, ১৬৬৯ সালের ৪ এপ্রিল সম্রাট বেনারসে (বর্তমানে বারাণসী) গিয়ে “অবিশ্বাসীদের” শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারেন। তার পরেই মন্দির ধ্বংসের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    বইটির একাংশ তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “বিশ্বাসের পালনকর্তা জানতে পারলেন যে, তেট্টা, মুলতান প্রদেশে এবং বিশেষ করে বেনারসে ব্রাহ্মণ অবিশ্বাসীরা তাদের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে তাদের মিথ্যা বই পড়াতেন এবং হিন্দু-মুসলিম উভয়ের ভক্ত ও ছাত্ররা দূরদুরান্ত থেকে এখানে আসতেন। বিপথগামী পুরুষরা এই জঘন্য শিক্ষা অর্জনের জন্য আসতেন।”

    বইয়ে আরও লেখা হয়েছে, “ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য উন্মুখ সম্রাট সমস্ত প্রদেশের গভর্নরকে আদেশ দেন বিধর্মীদের স্কুল ও মন্দির ভেঙে ফেলার এবং একইসঙ্গে এই অবিশ্বাসীদের ধর্মের শিক্ষা ও বিশ্বাসকে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে নিঃশেষ করার জন্য।”  

    আরও পড়ুন : ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক

     

  • Partha Chatterjee: হাইকোর্টে খারিজ রক্ষাকবচের আবেদন, ফের সিবিআই তলব পার্থকে

    Partha Chatterjee: হাইকোর্টে খারিজ রক্ষাকবচের আবেদন, ফের সিবিআই তলব পার্থকে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: মিলল না রক্ষাকবচ। হাইকোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ফের একবার ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    সিবিআই হাজিরা এবং হেফাজত এড়াতে সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রক্ষাকবচের আবেদন করেছিলেন পার্থ। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, বা তাঁকে যাতে সিবিআই হেফাজতে না নেয় তার জন্যই আর্জি পেশ করা হয়েছিল।  একইসঙ্গে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ থেকে মন্ত্রীপদ ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশের বিষয়টি বাদ দেওয়ার আবেদনও জানান পার্থর আইনজীবী। এদিন জোড়া আবেদন খারিজ করে দেয় বেঞ্চ। ফলে, প্রয়োজনে সিবিআই হেফাজতে নিতে পারবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। 

    বুধবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই শুনানির সময় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ারও পরামর্শ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুরে আদালতের এই কড়া নির্দেশের পরেই বুধবার সন্ধ্যায় সিবিআই-এর মুখোমুখি হন পার্থ, চলে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান পার্থ। সেই মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে নেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের সিদ্ধান্ত অনুসারে মামলাটি যায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বে়ঞ্চে। সেখানে গৃহীত হয় মামলা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি না হয়ে, তা হয় শুক্রবার।

    এদিন পার্থর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণই বজায় রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যাযের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখুন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। সেই অংশটি নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন পার্থর আইনজীবীরা। ডিভিশন বেঞ্চ সেই আপত্তি মানল না। আদালতের তরফ থেকে বলা হল, এই অংশটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে এই অংশটি বাদও যাচ্ছে না। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ রাজ্য বা তদন্তকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”

    আরও পড়ুন: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    এরইমধ্যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের একবার তলব করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে দিনটা জানায়নি সিবিআই৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আরও তথ্য জানতে চায় সিবিআই। প্রথমবার বয়ানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে। তথ্য খতিয়ে দেখার পর যে নতুন প্রশ্ন উঠেছে তারই উত্তর চাইবে সিবিআই। তাই তাঁকে ফের তলব৷

  • Modi in Nepal: লুম্বিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অম্বেদকরের নামে চেয়ার, ঘোষণা মোদির

    Modi in Nepal: লুম্বিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অম্বেদকরের নামে চেয়ার, ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুদ্ধপূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিনেই ৪ দিন নেপাল (Nepal) সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এদিন সন্ধ্যায় বুদ্ধজয়ন্তী (Buddha Jayanti) উপলক্ষে লুম্বিনি ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতের সহযোগিতায় নেপালে লুম্বিনি মিউজিয়াম তৈরি হওয়াটা ভারত-নেপাল (India-Nepal) সৌহার্দ্যের প্রতীক। দু’ দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে এই মিউজিয়াম। 

    লুম্বিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সংবিধান প্রণেতা বি আর অম্বেদকরের (Ambedkar) নামে ‘চেয়ার ফর বুদ্ধিষ্ট স্টাডিজ’ তৈরির কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির জন্মস্থান গুজরাতের ভডনগরে প্রাচীন বৌদ্ধশিক্ষার কেন্দ্র ছিল বলেও জানান তিনি। এখনও সেখানে সেই প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন মেলে। মোদি বলেন, “বৈশাখী পূর্ণিমার দিন লুম্বিনিতে বুদ্ধের জন্ম, ওই দিনই বুদ্ধগয়ায় তাঁর বোধিসত্ত্ব প্রাপ্ত এমনকি ওই একই দিনে কুশীনগরে তাঁর মহাপরিনির্বাণ দার্শনিক ইঙ্গিত বহন করে। একই তিথিতে বুদ্ধের জন্ম-জ্ঞান-নির্বাণ লাভ ঐতিহ্য বহন করে।”

    [tw]


    [/tw]

    এদিন লুম্বিনি বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তাঁর স্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে ছিলেন নেপাল মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। এদিন নেপাল (Modi in Nepal) নেমেই মায়াদেবী মন্দিরে পুজো দেন নরেন্দ্র মোদি। গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত এই মন্দির। পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন অশোকস্তম্ভে প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি বোধিবৃক্ষে জল ঢালেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৪-তে শপথ নিয়েই নেপাল সরকারকে এই বৃক্ষ উপহার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। 

    জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে এই সফর কার্যকরী ভূমিকা নেবে, বলে ট্যুইটবার্তায় জানান মোদি। ২০২০ সালে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি অলির ভ্রান্ত বিদেশনীতির জেরে প্রভাবিত হয়েছিল ইন্দো-নেপাল সম্পর্ক। সীমান্তের ঝুলে থাকা কালাপানি এলাকাকে নেপালের দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ করছিল নেপাল সরকার। সেই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি।

    কিন্তু ওলি সরকারের পতনের পরে সেদেশে এখন দেউবা সরকার। শেরবাহাদুর দেউবা ক্ষমতায় এসেই ভারতের সঙ্গে তিক্ততা সরাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই দ্বিপাক্ষিক স্তরে ঝুলে থাকা সব সমস্যার সমধান আলোচনা এবং কূটনৈতিক পথেই সম্ভব বলে যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে ইন্দো-নেপাল।

  • Singer KK Demise: কলকাতায় লাইভ শো চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু শিল্পী কে কে-র

    Singer KK Demise: কলকাতায় লাইভ শো চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু শিল্পী কে কে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষের নতুন প্রজন্মের কাছে হার্টথ্রব গায়ক কেকের (singer KK) জীবনাবসান। মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই আকস্মিকভাবে স্তব্ধ হল এই ‘সুরের জাদুকর’-এর জীবন। পুরো নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath)। কিন্তু, আসমুদ্র হিমাচলে ছড়িয়ে থাকা অগুণতি ভক্তরা তাঁকে কেকে নামেই চিনতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে (Nazrul Manch) উল্টোডাঙ্গা গুরুদাস কলেজ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Viral Bhayani (@viralbhayani)

    কলকাতায় তিনি এসে উঠেছিলেন শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে। শহরে পরপর ২ দিন তাঁর শো ছিল। সোমবারও একটি শোয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠান চলাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি তিনি হোটেলে ফিরে আসলেও তিনি হোটেলের লবিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতলে। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার পরই চিকিৎসকরা তাকে ‘ব্রেন ডেথ’ বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর জীবনাবসান হয়েছে। যদিও, পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। 

    বাংলা গান বা হিন্দি গান নয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষায় সঙ্গীত পরিবেশন করে তিনি গত কয়েক বছরে গোটা দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে ছিলেন। বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে মঞ্চে গেয়েছিলেন তাঁর বিখ্যাত “হম রহে ইয়া না রহে কল…” গানটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও এখন ভাইরাল।

    [tw]


    [/tw]

    এই ঘটনায় বাংলার শ্রোতারা যেমন হতবাক ঠিক তেমনিভাবেই শোকোস্তব্ধ গোটা দেশের সঙ্গীত মহল। শোকস্তব্ধ বলিউড। কেকে-র আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।

    [tw]


    [/tw]

  • Indian employees: কাজের বাজারে ফিরছে সুদিন, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মোদির ভারত!

    Indian employees: কাজের বাজারে ফিরছে সুদিন, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মোদির ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছন্দে ফিরছে ভারত (India)। অতিমারী পর্ব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মোদির (modi) ভারত। উচ্চ বেতনের লক্ষ্যে আগামী এক বছরে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী (employees) পরিবর্তন করবেন সংস্থা। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় (survey) উঠে এসেছে এই তথ্য। 

    ২০২০ সালের প্রথম দিকেই ভারতে অতিমারীর রূপ ধারণ করে করোনা (Coronavirus)। মারণ ভাইরাস কোভিডের (covid-19) মোকাবিলায় দেশজুড়ে হয় লকডাউন (Lockdown)। তার পরেও রোখা যায়নি করোনায় মৃত্যু মিছিল। যদিও কেন্দ্রের তৎপরতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে করোনা বলি হয়েছে ঢের কম।

    লকডাউন-পর্ব কাটিয়ে চলতি বছরের গোড়ার দিকে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ভারত। তার ফলও মিলেছে বলে সমীক্ষার রিপোর্টেই স্পষ্ট। ওই সমীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গোটা ভারতেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কাজের বাজার। এই শ্রম বাজারের রশি রয়েছে কর্মীদের হাতে। বর্তমানে তাঁরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন কাজের বাজার। আগামী এক বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী উচ্চ বেতনের লক্ষ্যে সংস্থা পরিবর্তন করবেন। কেবল উচ্চ বেতনই নয়, ভাল কেরিয়ারের লক্ষ্যেও সংস্থা পরিবর্তন করবেন তাঁরা। কাজের বাজার যে ক্রমেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তাও ধরা পড়েছে ওই সমীক্ষায়। 

    আরও পড়ুন :ভারতে এপ্রিলেই কাজে যোগ ৮৮ লক্ষ মানুষের!

    সমীক্ষক সংস্থার সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিক বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে কাজের বাজারের নিয়ন্ত্রক ছিলেন নিয়োগকর্তারা (employer)। এখন বদলেছে পরিস্থিতি। কাজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন কর্মীরা। তিনি বলেন, এখন কাজের বাজারের পরিস্থিতি এতটাই অনুকূল যে, কর্মীরা মোটা মাইনের অফার পেয়ে সংস্থা পরির্বতন করছে। মাইনে ছাড়াও তাঁরা এখন ব্র্যান্ডও দেখছেন। কাজের পরিবেশও যাচাই করে দেখছেন অনেকে।

    লকডাউন পর্বে অফলাইনের পরিবর্তে দেশের সিংহভাগ সংস্থায় কাজ হয়েছে অনলাইনে। তার জেরে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। দীর্ঘদিন বিভিন্ন সেক্টরে বন্ধ ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। কাজের বাজারের সেই দুর্দিন ঘুচে গিয়ে যে সুদিন ফিরে আসছে, সমীক্ষার রিপোর্টেই তা স্পষ্ট।

    দেশজুড়ে করা ওই সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৬৪ জন কর্মী আগামী এক বছরের মধ্যেই মোটা বেতনের টোপ গিলে নয়া সংস্থায় যোগ দেবেন। টেকনোলজি, হার্ডওয়্যার, টেলিকমিউনিকেশনস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্টসের কাজের বাজারেই মূলত বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

  • Navjot Singh Sidhu: অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে এক বছরের জেল সিধুর

    Navjot Singh Sidhu: অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে এক বছরের জেল সিধুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেলেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নভজোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। তিন দশকের বেশি পুরনো একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটারকে বৃহস্পতিবার এক বছর জেলের সাজা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সময়টা ভাল যাচ্ছে না সিধুর। ভোটে হেরেছিলেন কয়েক মাস আগেই। এবার ৩৪ বছরের পুরনো  পথ-হিংসা মামলায় (1988 road rage case) কারাবাসের সাজা শোনাল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই সিধু ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘আমি আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করব।’

    [tw]


    [/tw]

    ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পঞ্জাবের রাস্তায় এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্যের বিরুদ্ধে। গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ, পঞ্জাবের পাতিয়ালার রাস্তায় গুরনাম সিং নামের এক ৬৫ বছরের বৃদ্ধকে গাড়ি থেকে জোর করে টেনে বার করে মারধর করেন সিধু ও তাঁর বন্ধু রুপিন্দ্র সিং সান্ধু। প্রথমে বিষয়টি শুরু হয়েছিল বচসা দিয়ে পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। ওই ঘটনার কয়েক দিন পরে মারা যান গুরনাম। সিধুর মারেই মাথায় আঘাত পেয়ে গুরনাম সিংয়ের মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়েছিল অভিযোগে।

    ওই মামলায় নিম্ন আদালতে ছাড়া পেয়ে গেলেও ২০০৬-এ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের রায়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সিধু। হাইকোর্টের রায়ে তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু,পরের বছর সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন ক্রিকেটার ।এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ মে এই মামলায় ৩ বছরের সাজা কমিয়ে ১০০০ টাকার জরিমানা দিয়েই সিধুকে রেহাই দিয়েছিল কোর্ট। অভিযোগকারীদের অনুরোধে সম্প্রতি এই মামলায় সিধুকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশের পর্যালোচনা করার অনুমতি দেয় আদালত। এবার পালাবদল। সেই সাজাই বদলে গেল কারাবাসে। সিধুকে এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন, বিচারক এএম খানউইলকার এবং এসকে কওউল (Justices AM Khanwilkar and SK Kaul)। সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিলল না সিধুর। 

  • Kashmiri Pandits: “হয় কাশ্মীর ছাড়ো, নয় মরো”, পণ্ডিতদের হুমকি-চিঠি জঙ্গিদের

    Kashmiri Pandits: “হয় কাশ্মীর ছাড়ো, নয় মরো”, পণ্ডিতদের হুমকি-চিঠি জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হয় কাশ্মীর (Kashmir) ছাড়ো, নয় মরো! কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) এই হুমকি চিঠি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-ইসলাম (Lashkar-e-Islam)। যার জেরে ভূস্বর্গে ফের জাঁকিয়ে বসেছে ভয়। এদিকে পরিস্থিতির মোকাবিলায় “পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার” (PAGD) সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে কাশ্মীরের বদগাম জেলার চাদুরা শহরে পণ্ডিত সম্প্রয়াদের এক সরকারি কর্মীকে অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। রাহুল ভাট (Rahul Bhatt) নামের ওই সরকারি কর্মীর হত্যার দায় স্বীকার করে কাশ্মীর টাইগার্স নামে এক জঙ্গি সংগঠন। ঘটনার প্রতিবাদে এবং অবলিম্বে জঙ্গিদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জঙ্গি সংগঠনের হুমকি চিঠি। কাশ্মীরের পুলওয়ামার হালওয়ায় একটি শরণার্থী কলোনিতে থাকেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। রবিবার হুমকি চিঠি আসে সেখানেই। হালওয়ার শরণার্থী কলোনির সভাপতিকে লেখা ছোট্ট একটি চিঠিতে দেওয়া হয়েছে খুনের হুমকি।

    লস্কর-ই-ইসলামের লেটারহেড সম্বলিত ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “সমস্ত শরণার্থী এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রতিনিধিদের বলছি, হয় কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাও নয়তো মৃত্যুর মুখোমুখি হও! যে সমস্ত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কাশ্মীরকে ইজরায়েল বানাতে চায়, এখানকার মুসলিমদের খুন করতে চায়, তাদের কাশ্মীরে জায়গা নেই। ওই চিঠিতে জঙ্গিরা জানিয়েছে, চাইলে এই পণ্ডিতরা নিজেদের নিরাপত্তা দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণও করে নিতে পারেন, কিন্তু তাতে লাভ হবে না।” চিঠির শেষ লাইনে লেখা, তোমরা মরবেই।

    আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার সংগঠনের (people’s Alliance for Gupkar declaration) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (National Conference) প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ (Farooq Abdulla), পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti), সিপিআই(এম) নেতা এম ওয়াই তারিগামি (Tarigami), এনসি এমপি হাসনাইন মাসুদি ও আওয়ামী ন্যাশনেল কনফারেন্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাফফর শাহ। ওই বৈঠকে মনোজ  জানান, উপত্যকায় নিরপরাধদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।

    নয়ের দশকে নির্বিচারে হিন্দু পণ্ডিতদের খুন করেছিল জঙ্গিরা। ভয়ে উপত্যকা ছাড়েন পণ্ডিতরা। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের তখতে বসেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয় নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। উনিশে ফের ক্ষমতায় এসে কাশ্মীর থেকে রদ করে ৩৭০ ধারা (Article 370)। তার পর আক্ষরিক অর্থেই ভূস্বর্গ হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর। পাকিস্তানে (Pakistan) পট পরিবর্তনের পর ফের শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত হিংসা।

     

  • China Pakistan CPEC: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    China Pakistan CPEC: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর আগে ঘটা করে চালু হয়েছিল চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (China Pakistan Economic Corridor), সংক্ষেপে সিপিইসি (CPEC)-র কাজ। পাকিস্তানজুড়ে (pakistan) শুরু হয়েছিল হইচই। দেশ নতুন যুগের ভোরে জাতীয় প্রচারও করা হয়েছিল সরকারের তরফে। করিডর তৈরির কারিগররাও ভেবেছিল করিডরটি পাকিস্তানের বার্ষিক বৃদ্ধির হারে আরও ২.৫ শতাংশ যোগ করবে।

    পাকিস্তানের শক্তির ঘাটতি আজন্ম। তাই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থা আশা করেছিল, একবার সিপিইসি হয়ে গেলে পাকিস্তানের জ্বালানি প্রকল্পগুলি কেবল দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে না, রফতানির জন্য অতিরিক্ত শক্তিও তৈরি করবে।

    আরও পড়ুন :পাকিস্তানে নিজেদের সেনা চৌকি চায় চিন

    নিম্ম-মধ্য আয়ের দেশ পাকিস্তান। দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী। বেকারত্ব লাগামছাড়া। তাই সরকার আশা করেছিল, সিপিইসি প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দেশে ২৩ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু সাত বছর আগের ওই প্রকল্পের বিশেষ কোনও ফসল এখনও অবধি ঘরে তুলতে পারেনি শাহবাজের (Shehbaz Sharif) দেশ।

    সূত্রের খবর, সিপিইসির মাধ্যমে ১৫টি প্রকল্প হওয়ার কথা। এর মধ্যে দিনের আলো দেখেছে মাত্র তিনটি। বাকিগুলি বিশবাঁও জলে। যে প্রকল্পগুলি পাইল লাইনে ছিল কিংবা নতুন করে শুরু হওয়ার কথা, সেগুলির জন্যও চিন থেকে কোনও টাকা আসছে না। প্রকল্পগুলিতে টাকা ঢেলে কাজ শেষ করার মতো অবস্থায়ও নেই দেশটি। স্বাভাবিকভাবেই কবে শেষ হবে ওই প্রকল্পগুলির কাজ, তা নিয়েই ভাবিত পাকিস্তানের নয়া সরকারও।      

       আরও পড়ুন : ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    চিনা ঋণের ওপর ভর করে সিপিইসি প্রাথমিকভাবে ভালোভাবে এগিয়েছিল। করিডরের সার্বিক অগ্রগতির ভিত্তিতে সিপিইসি বিষয়ক পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী খালিদ মনসুর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিলেন যে ১৫.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২১টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৯.৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আরও ২১টির কাজ চলছে।

    তবে ওই কাজ যে পাকিস্তানের একার পক্ষে শেষ করা সম্ভব নয়, তা জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেশটির আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পাকিস্তানের মাথার ওপর ১৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা। বার্ষিক ঋণের কিস্তি হিসেবে শোধ করতে হয় ১৪ বিলিয়ন ডলার। তাই, ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে পাকিস্তান। ঠিক যে ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা!

    সিপিইসি প্রকল্পে চিনের দেওয়ার কথা ৯০ শতাংশ টাকা। আপাতত টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে চিন। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি পাকিস্তানে চিনা শ্রমিক ও সিপিইসি সম্পত্তির ওপর হামলার কারণে বন্ধ বরাদ্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্পে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই পাক সরকারেরও। তাই প্রকল্পগুলি আদৌ দিনের আলো দেখবে কিনা, দেখলেও কবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ পাকিস্তানিরাই।

    সঙ্কটের জন্য চিন অবশ্য দায়ি করেছে পাকিস্তানকে। এই সঙ্কট থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের কাছে রয়েছে একটিই বিকল্প, আইএমএফ বেলআউট। তবে পাকিস্তান এই ঋণ পাওয়ার মতো অবস্থায়ও নেই। তাই পাকিস্তানের হাতে আন্তর্জাতিক ঋণের বাধ্যবাধকতা এবং আমদানির চাহিদা মেটাতে অন্যান্য ঋণ, এমনকি বাণিজ্যিক ঋণের সন্ধান করা ছাড়া আর কোনও বিকল্পই নেই। শাহবাজের দেশ কি পারবে এই ঋণ জোগাড় করতে? উঠছে প্রশ্ন।

     

  • Delhi Fire Tragedy: দিল্লিতে বিধ্বংসী আগুনে মৃত ২৭, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Delhi Fire Tragedy: দিল্লিতে বিধ্বংসী আগুনে মৃত ২৭, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) বহুতলে বিধ্বংসী আগুন। ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে গুরুতরভাবে আহত (Injured) আরও ১২ জন। এখনও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা করছে দমকল বিভাগ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দমকলের ২৪টি ইঞ্জিন কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
      
    মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের (Mundka Metro Station) বাইরে একটি বানিজ্যিক ভবনের একতলায় একটি সিসিটিভি প্রস্তুতকারী সংস্থার অফিসে গতকাল বিকেল ৪:৪০ মিনিটে আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর। দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই বাণিজ্যিক ভবনটিতে বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিস রয়েছে। বিল্ডিংয়ের দোতলায় থেকে আগুন লাগে। একটি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং রাউটার প্রস্তুতকারী সংস্থার একটি অফিস থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।”

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, বহুতলটিতে সিসিটিভি, ওয়াইফাই রাউটার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। দমকল আধিকারিকদের অনুমান, একতলায় যেখানে জেনারেটর রাখা হয়েছিল, সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরে প্রথম তলা থেকে আগুন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেই বহু মানুষ আটকে পড়েছিলেন। 

    [tw]


    [/tw]

    ওই বহুতলটি দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে আসে। ওপরের তলায় থাকা মানুষজন আটকে পড়েন। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে তিনতলা থেকে নীচে ঝাঁপ দেন। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বহুতলের মালিককে আটক করেছে পুলিশ।    

    শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi), দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে। ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দিল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”  

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।  ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও। মৃতদের নিকটাত্মীয়কে ১০ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন তিনি। 

    দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ট্যুইটে লেখেন, ”এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা জেনে শোকাহত ও ব্যথিত। আমি প্রতিনিয়ত আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমাদের দুঃসাহসিক দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং জীবন বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন।”  

    [tw]


    [/tw]

    শনিবার, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন, উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের পর কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে।

    রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind) শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, “দিল্লির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখিত। শোকস্তব্ধ পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাই। আহতদের আরোগ্য কামনা করি।” 

    [tw]


    [/tw]

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। তিনি লেখেন, “দিল্লি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিপুল সংখ্যক হতাহতের খবরে শোকস্তব্ধ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” 

    [tw]


    [/tw]

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় আহতদের সকলকে স্থানীয় সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  ঘটনার পর থেকে ৬০ থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। 

    এক নেটিজেন ট্যুইটারে এই ভিডিওটি পোস্ট করেন। 

    [tw]


    [/tw]

     

  • Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশে সন্ত্রাস চালানোর জন্য শিক্ষিত ভারতীয় তরুণদেরই (Indian Youths) ব্যবহার করা হচ্ছে! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে,  যে সব কাশ্মীরি (Kashmiri) তরুণরা ডাক্তারি (MBBS) পড়তে বা অন্য কোনও বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাকিস্তানে (Pakistan) যাচ্ছেন, তাঁদেরই একাংশের মগজধোলাই করে জঙ্গি শিবিরে টেনে নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় এর প্রমাণ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

    ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জাফর ভাট নামে এক হুরিয়ত নেতা-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি কাশ্মীরি যুবকদের সুলভে উচ্চশিক্ষার টোপ দিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সিট (Pak MBBS seats) বিক্রি করেছেন! পাকিস্তানে পৌঁছনোর পর এই যুবকদের মধ্যে থেকেই একাধিক জনকে বাছাই করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারপর এই যুবকদের আবার ভারতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। প্রতিবছর এরকম অন্তত ১০০ জন কাশ্মিরী যুবক পাকিস্তানে যায় উচ্চশিক্ষার জন্য।

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এবং সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (AICTE) এই প্রসঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক পাকিস্তান থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিয়ে আসেন, তাহলে তাঁরা সেই শংসাপত্রের ভিত্তিতে ভারতে উচ্চশিক্ষা বা চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন না।” বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই কারণেই ওই শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণদের নিশানা করে তাঁদের মগজধোলাই করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা (ISI)। তাঁদের বোঝানো হচ্ছে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ভারতে বঞ্চিত এবং অবহেলিত। 

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য বলছে, কাশ্মীর উপত্যকায় সাম্প্রতিক জঙ্গিদমন অভিযানে নেমে এমন অন্তত ১৭ জন তরুণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা পাকিস্তানে গিয়েছিল পড়াশোনা করতে। কিন্তু, দেশে ফেরত আসে সন্ত্রাসবাদী হয়ে। এই ১৭ জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, কারণ, এদের সকলেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। 

    নিহত এই জঙ্গিদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এঁরা সকলে বৈধ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে পড়তে গিয়েছিলেন। এবং সকলেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকেই কাশ্মীরি তরুণদের পাকিস্তানের যাওয়ার প্রবণতা নজরে আসার মতো বেড়ে গিয়েছে। এঁদের অধিকাংশই পড়াশোনা করতে গেলেও কেউ কেউ আবার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে কিংবা বিয়ের মতো পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও বৈধভাবে সীমান্তে পেরিয়ে ওদেশে গিয়েছেন। সেখান থেকেই নতুন করে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা।

    সূত্রের দাবি, এই বাছাই করা মেধাবী যুবকদের জঙ্গি বানানোর পিছনে রীতিমতো একটি লবি কাজ করছে। এমনকী, এই যুবকদের কাশ্মীর (Kashmir) থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) যেতে যাতে কোনও আইনি সমস্যা না হয়, তার জন্য ভারতের পাক দূতাবাসও (Pak High Commission in India) পূর্ণ সহযোগিতা করছে বলে খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।

LinkedIn
Share