Blog

  • Anand Mahindra Idli Amma: ইডলি আম্মাকে বাড়ি উপহার আনন্দ মাহিন্দ্রার

    Anand Mahindra Idli Amma: ইডলি আম্মাকে বাড়ি উপহার আনন্দ মাহিন্দ্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra) অনেক সময়ই তাঁর ব্যতিক্রমী ট্যুইটের কারণে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। আবার কখনও কখনও অনেক সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্যে প্রশংসিতও হন। মাতৃদিবসের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। ‘ইডলি আম্মা’ (Idli Amma) বলে পরিচিত এক মহিলাকে একটি বিশেষ উপহার দিলেন এই বিজনেস টাইকুন। মাতৃ দিবস উপলক্ষে কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা ‘ইডলি আম্মা’কে একটি বাড়ি উপহার দিয়েছেন তিনি।

    মাহিন্দ্রা তার ট্যুইটার হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। মাহিন্দ্রা লেখেন, “আমাদের টিম অভিনন্দনের যোগ্য, যারা সময় মতো বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে এবং মাতৃ দিবসে ইডলি আম্মাকে উপহার দিয়েছে। এটা তাঁকে এবং তাঁর কাজকে সম্মান জানানোর একটি উপায়। আপনাদের সবাইকে মাতৃ দিবসের শুভেচ্ছা।” ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি জানিয়েছেন যে, ইডলি আম্মাকে তার পক্ষ থেকে একটি বাড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর জেলায় বসবাসকারী এম কমলাতাল, ইডলি আম্মা নামে পরিচিত। কমলাতাল পরিযায়ী শ্রমিক। মাত্র এক টাকায় ইডলি বিক্রি করেন এই ইডলি আম্মা। প্রায় তিন বছর ধরে করছেন এই কাজ। দুবছর আগে, আনন্দ মাহিন্দ্রা কাঠের চুলার বদলে ‘ইডলি আম্মা’কে গ্যাস কিনে দিয়েছিলেন। এরপর এখন তাঁকে বাড়িও দিলেন তিনি। আনন্দ মাহিন্দ্রার এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেটপাড়া।

     

  • Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের কোনও আদর্শ নেই। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে(chintan shivir) এহেন মন্তব্য করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের(Opposition parties) বিরাগভাজন হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul gandhi)। কংগ্রেসকে তাঁদের নয়, বরং আঞ্চলিক দলগুলিকে(regional parties) প্রয়োজন কংগ্রেসেরই, সাফ জানিয়ে দিলেন আঞ্চলিক দলগুলির নেতারা। রাহুলকে চালকের আসনে বসিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা হচ্ছিল। রাহুলের মন্তব্যে তা ধাক্কা খেল বলেই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিকে, আঞ্চলিক দলগুলির ‘ক্ষোভ’ সামাল দিতে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল কংগ্রেস।

    রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির হয়ে গেল কংগ্রেসের। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করতেই বসেছিল শিবির। এই শিবিরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, বিজেপি শুরু কংগ্রেসকে নিয়েই কথা বলবে, কোনও আঞ্চলিক দল নয়, কংগ্রেস নেতা, কংগ্রেস কর্মীদের কথাই ঘুরেফিরে উঠে আসবে তাদের মুখে। কারণ স্ব স্ব ক্ষেত্রে শক্তিশালী হলেও, আদর্শ না থাকায় আঞ্চলিক দলগুলির যে তাদের হারানোর ক্ষমতা নেই, সে কথা জানে বিজেপি। যদিও এই শিবিরেই সমমনস্ক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন খোদ সোনিয়া গান্ধি। 

    রাহুলের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের কাছ থেকে। ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট রয়েছে কংগ্রেসে। যৌথভাবে চলছে সরকারও। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে যথাক্রমে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের হাত ধরে টিকে রয়েছে কংগ্রেস। আমাদের নীতি না থাকলে বিজেপির মতো পার্টির বিরুদ্ধে মানুষ আঞ্চলিক দলকে বেছে নিচ্ছে কেন?

    বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে কংগ্রেসের। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়াই করেছিল রাহুল গান্ধির দল। বিহারের ওই দলের তরফে রাহুলকে সেকথা স্মরণও করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৯৯৯ সালে নেতৃত্বের প্রশ্নে নিজের দলের নেতাদের পাশে না পেলেও, লালুপ্রসাদ যাদবকে পাশে পেয়েছিলেন সোনিয়া। রাহুলের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আম-আদমি পার্টি, টিআরএস এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন : “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের কড়া প্রতিক্রিয়া দৃশ্যতই জেরবার কংগ্রেস নেতৃত্ব। তড়িঘড়ি  ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামানো হয় শশী তারুরকে(Shashi Tharoor)। তারুর বলেন, রাহুল বলতে চেয়েছেন যে, জাতীয় রাজনীতিতে আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। আমাদের ভাবনা গোটা দেশকে নিয়ে। আঞ্চলিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ বুঝে চলতে হয়। তিনি বলেন, আমার তো মনে হয়, তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি এমনকি ডিএমকের সঙ্গেও কংগ্রেসের আদর্শের মিল রয়েছে।

    তারুরের কথায় রাজনীতির চিঁড়ে ভেজে কিনা, তাই দেখার!

     

     

     

     

     

  • Cyber Attack: সাধের ফোনটিকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? এই রইল উপায়

    Cyber Attack: সাধের ফোনটিকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? এই রইল উপায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইল ফোনও এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। যত দিন যাচ্ছে মানুষের হাতের মুঠোয় থাকা যন্ত্রটির প্রতি নির্ভরতা বাড়ছে। আর একই সঙ্গে বাড়ছে সাইবার ক্রাইমের (cyber crime) ঘটনাও। ম্যালওয়্যারের (malware) মাধ্যমে খুব সহজেই দুর্বৃত্তরা আপনার আইফোন (iPhone) বা অ্যান্ড্রয়েড (Android) ফোনটিকে নিজেদের কব্জায় করে নিতে পারে। এই ভাইরাসটি আপনার মোবাইলের দুর্বল জায়গাগুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। 

    ফলস্বরূপ Data mining, Financial gain, network corruption- এর মতো সমস্যায় পড়তে হয় আপনার সাধের ফোনটিকে। যদিও বেশিরভাগ অ্যাপে তথ্য আদান প্রদানের সুবিধা থাকে না। কিন্তু কিছু কিছু অ্যাপের তথ্য চুরি করার বদনাম আছে।  অহরহই সাইবার ক্রাইমের শিকার হতে হয় আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলিকে।

    জেনে নিন কী করে বেআইনি অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচাবেন আপনার ফোনটিকে–

    ১। অবাঞ্ছিত পপআপ বা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। এমন সামাজিক মাধ্যমে মেসেজ, ইমেল এবং টেক্সট মেসেজও ফাঁদ হতে পারে।

    ২। অনুমোদিত জায়গা থেকেই একমাত্র অ্যাপ ইনস্টল করুন। যেমন গুগল প্লেস্টোর বা অ্যাপেলের অ্যাপস্টোর। অ্যাপটি ডাউনলোড করার আগে তার বিষয়ে বিশদে জেনে নিন। 

    ৩। ফোনে জেল ব্রেকিং বা মডিফাই করা এড়িয়ে চলুন।

    ৪। অ্যাপ ইনস্টল (App Install) করার আগে দেখে নিন কোন কোন অ্যাপে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেন সেই অ্যাপকে।

    ৫। ফোনে তথ্যের ব্যাকআপ (Data backup) রাখুন এবং সবসময় আপনার ফোনের সফটওয়্যার আধুনিকতম ভার্সানে  আপডেটেড (software update) রাখুন।

    ৬। ফোনে সবসময় নজর রাখুন। কোন সন্দেহজনক ঘটনা ঘটছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখুন।  

    ৭। অপটিমাইজিং এবং ক্লিনিং অ্যাপ ইনস্টল করা এড়িয়ে চলুন। ২০২০- তে এই অ্যাপগুলি থেকেই সবচেয়ে বেশি ম্যালওয়্যার ছড়িয়েছিল।

     

  • RBI: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস 

    RBI: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষ তো বটেই দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। এই পরিস্থিতিতে এদিন রেপো রেট (Repo Rate) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন আরবিআই (RBI)-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। তিনি জানিয়েছেন, রেপো রেট (যে হারে অন্য ব্যাঙ্কের থেকে সুদ নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক) ৪০ বেসিস পয়েন্ট বা বৃদ্ধি করে ৪.৪০% করা হয়েছে।  

    গত মাসেই মুদ্রানীতি ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই সময় অনেকেরই মনে হয়েছিল যে, এই মুহূর্তে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জমা টাকায় সুদের হার বৃদ্ধি করা উচিৎ। সেই কাজটিই একমাস পর করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শক্তিকান্ত দাস জানান, রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট (BPS) বৃদ্ধি করে ৪.৪০ শতাংশ করা হচ্ছে। 

    ২০১৮-র অগাস্টের পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এই ধরনের বৃদ্ধি এই প্রথম। রেপো রেট বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়ল। কারণ, এর ফলে ব্যাঙ্ক ঋণে সুদের হার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    বর্তমানের মুদ্রাস্ফীতির চাপের কথাও এদিন অনলাইন সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। এই বৃদ্ধি না হলে অর্থনীতি সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রেপো রেট নিয়ে আরবিআই-এর পরবর্তী আলোচনার দিন জানানো হয়েছে ৮ জুন। সেই সময় পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    এদিন ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (CRR) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের যে পরিমাণ টাকা আরবিআই-এ গচ্ছিত থাকে সেটাই ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও। এই মুহূর্তে ব্যাঙ্ক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরও বেশি ০.৫০% টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা থাকবে। নতুন ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও হল ৪.৫%।  

    বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন আরবিআই- এর মতোই রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে পারে  ইউএস ফেডারাল ব্যাঙ্ক (US Federal Bank)। আর এই জোড়া আশঙ্কাতেই ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে শেয়ার বাজার। সেনসেক্সে ১৩০৭ পয়েন্ট বা ২.২৯% পতন হয়ে দাঁড়ায় ৫৫,৬৬৯। আর নিফটিতে ৩৯২ পয়েন্ট বা ২.২৯% পতন। দিনশেষে তা দাঁড়ায় ১৬,৬৭৮-এ।   

    যেখানে মার্চের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.৯৫%, সেই সময় এপ্রিলে আরবিআই-এর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। আরবিআই-এর মুদ্রাস্ফীতির সহনশীলতার মাত্রা ছয় শতাংশ। পরপর তিন মাস যা ছয় শতাংশের ওপরে রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, আগামী কয়েক মাসে দাম বৃদ্ধির চাপ আরও বাড়বে।

     

  • 2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি (Ahmedabad Gulbarg Society) হত্যাকাণ্ডে নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়েছেন তিস্তা শেতলবাদ। নিজেদের স্বার্থে জাকিয়ার বেদনাকে ব্যবহার করেছে তিস্তার এনজিও সংস্থা এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    গুজরাটের হিংসায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সরাসরি নাম জড়িয়েছিল গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু,তাঁকে ক্নিনচিট দিয়েছিল তদন্তকারী দল সিট। তারপর মামলা বন্ধের চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায়কেই বহাল রাখল। জাকিয়ার দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের সপক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি  এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারেরর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলা ভিত্তিহীন। শোকাহত জাকিয়ার যন্ত্রণাকে কাজে লাগানো হয়েছে। কোথাও ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি, বলে জানান বিচারপতিরা।

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    আদালতের রায়ে বলা হয়, জাকিয়া জাফরি অন্য কারোর নির্দেশে কাজ করেছেন। তিস্তা শেতলাবাদের এনজিও অনেক ভুক্তভোগীদের হলফনামায় স্বাক্ষর করিয়েছিল এবং তাঁদের অনেকেই জানতেনও না যে কিসে স্বাক্ষর করছেন তাঁরা।  এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত সাংবাদিক এবং কিছু এনজিও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে। তাদের একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম ছিল। তাই সবাই সেই মিথ্যাকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে।’ শাহ আরও বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়ো করে রায়টি পড়েছি (২৪শে জুন)। কিন্তু তাতে স্পষ্টভাবে তিস্তা শেতলবাদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁর একটি এনজিও ছিল। সেটি সমস্ত থানায় বিজেপি কর্মীদের নাম জড়িয়ে আবেদন জমা দিয়েছিল৷ মিডিয়ার দ্বারা এত চাপ ছিল যে সব আবেদনগুলি সত্য বলে মেনে নেওয়া হয়েছিল৷ সেই সময়ে ইউপিএ সরকার এই এনজিওকে সাহায্য করেছিল।’অমিত শাহ দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যাঁরা মিথ্যা প্রচার চালিয়েছিল, তাঁদের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

     

  • Rath Yatra 2022: পুরীর মন্দির ঘিরে রয়েছে এই অলৌকিক গল্পগুলি, জানতেন কি?

    Rath Yatra 2022: পুরীর মন্দির ঘিরে রয়েছে এই অলৌকিক গল্পগুলি, জানতেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জগন্নাথদেবের (Lord Jagannath) মন্দির অত্যন্ত পবিত্র। বিশেষ করে বিষ্ণু ও কৃষ্ণ উপাসকদের নিকট এটি একটি তীর্থস্থান। জগন্নাথ মন্দির  (Jagannath Temple) ওড়িশার সৈকতশহর পুরীর (Puri) পূর্ব সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত। 

    রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পালনার্থে প্রাথমিকভাবে মন্দিরটি নির্মাণের পর, জগন্নাথ মন্দিরটি দ্বাদশ শতাব্দীতে পুনঃনির্মাণ করেন গঙ্গা রাজবংশের রাজা অনন্তবর্মণ চোদাগঙ্গা। কিন্তু মন্দিরটির কাজ সমাপ্ত করেন তার বংশধর অঙ্গভিমা দেব। যদিও মন্দিরের নির্মাতাদের নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। 

    ১০.৭ একর জমিতে ২০ ফুট প্রাচীর দিয়ে ঘেরা জগন্নাথ মন্দির। ভোগমন্দির, নটমন্দির, জগমোহনা এবং দেউল নামে চারটি বিশেষ কক্ষ আছে মন্দিরে। ভোগমন্দিরে খাওয়া দাওয়া হয়, নটমন্দিরে আছে নাচ-গানের ব্যবস্থা, জগমোহনায় ভক্তরা পূজাপাঠ করেন এবং দেউলে পূজনীয় বিগ্রহগুলো স্থাপিত। 

    আরও পড়ুন: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    প্রধান মন্দিরের কাঠামো মাটি থেকে কিছুটা উঁচুতে নির্মিত এবং দুটি আয়তাকার দেওয়াল দ্বারা আবৃত। বহিঃপ্রাঙ্গণকে মেঘনাদ প্রাচীর বলা হয় (২০০মিটার/১৯২ মিটার) এবং অভ্যন্তরীণ ঘাঁটিটি কুর্মাবেদ নামে পরিচিত (১২৬ মিটার/৯৫ মিটার)। মন্দিরে চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে- সিংহদ্বার, হষ্বদ্বার, খঞ্জদ্বার এবং হস্তীদ্বার। 

    জগন্নাথ মন্দিরের আশেপাশে প্রায় তিরিশটি ছোট-বড় মন্দির লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরের দেউলে রয়েছে জগন্নাথ, জগন্নাথের দাদা বলরাম এবং বোন সুভদ্রাদেবীর সুসজ্জিত মূর্তি। তাঁদের বিগ্রহের পাশাপাশি সুদর্শন, শ্রীদেবী, ভূদেবী এবং মাধব দেবতাও আরাধ্য হন। 

    প্রতিদিন ভোরে কিশোর ছেলেরা কিছু নির্দিষ্ট পূজাবিধি অনুসরণ করে মন্দিরের ৬৫ মিটার (২১০ ফুট) উঁচুতে উঠে চক্রের উপর পতাকাগুলো লাগায়। গ্রীষ্ম, বর্ষা সবসময়ই তারা প্রস্তুত পতাকা স্থাপনে। আগের দিনের পুরনো পতাকাগুলো জনগণের মাঝে নিলামে বিক্রয় করা হয়। 

    জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরকেও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রান্নাঘর মনে করা হয়। এখানে প্রায় ছাপান্ন রকম উপকরণ দিয়ে মহাপ্রসাদ তৈরি করা হয়। প্রত্যেকদিন এখানে প্রচুর পরিমাণ রান্না করা হয়, কিন্তু দেখা গেছে আজ পর্যন্ত মন্দিরের খাবার কখনওই নষ্ট হয়নি।

    আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রার তিন রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    জগন্নাথ মন্দিরের অস্বাভাবিকতা এবং লোকবিশ্বাস—

    জগন্নাথ মন্দিরের ওপরের অংশটিতে রত্নমূর নামের একটি বৃহৎ অদ্ভুত চৌম্বক শক্তি রয়েছে, যেটি মন্দিরটিকে যেকোনও রকমের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে বলে মনে করা হয়।

    কথিত আছে, মন্দিরের উপর দিয়ে কিছু যেতে পারে না। কোনো পাখিকেও কখনও মন্দিরের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়নি।
    এমনটা শোনা যায় যে, সূর্যের অবস্থান যে দিকেই থাকুক, মাটিতে মন্দিরের চূড়ার কোনও ছায়া পড়ে না।

    পুরীর সমুদ্রের কাছেই স্থাপিত জগন্নাথ মন্দির। কিন্তু মন্দির চত্বরে ঢোকার সাথে সাথেই সমুদ্রের কোনও শব্দ পাওয়া যায় না। এর নেপথ্যে একটি পৌরাণিক গল্প রয়েছে। কথিত, সুভদ্রাদেবী চেয়েছিলেন মন্দিরের ভেতরে যেন সবসময় শান্তি বিরাজ করে, তাই কোনও প্রকার শব্দ মন্দিরের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে না।

    মন্দিরের চূড়ায় যে ধ্বজা বা পতাকা রয়েছে, তা প্রতিদিন ভোরে লাগানো হয়। পতাকাটি সবসময় হাওয়ার বিপরীতে উড়তে দেখা যায়।

  • Jahangirpuri: হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত PFI,  দাবি অভিযুক্তের

    Jahangirpuri: হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত PFI,  দাবি অভিযুক্তের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জাহাঙ্গিরপুরী সংঘর্ষের (Jahangirpuri violence) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল চক্রী মহম্মদ আনসার (Mohammad Ansar) সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনের দাবি, ওই ঘটনায় মদত দিয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই (PFI)। 

    ওই ব্যক্তির অভিযোগ, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আনসার অত্যন্ত চতুর এবং সে নিজের সুবিধা ও প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যদের ব্যবহার করে। আটক হওয়া ব্যক্তির আরও দাবি, PFI ও তাদের রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আসনারের। ওই ব্যক্তি আরও জানান, PFI-এর নেতাদের আমন্ত্রণ জানায় আসনার। তাদের সঙ্গে ছবি তোলে, অর্থের বিনিময়ে সংগঠনের হয়ে প্রচার করে।

    গত ১৭ তারিখ, আনসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের মতে, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় মূল চক্রী হল এই আনসার। বর্তমানে আনসার ও আরও ২ জন — গুলাম রসুল ওরফে গুল্লি এবং সলিম শেখ ওরফে সলিম চিখনার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে আনসারের নামে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ ব্যবসা ও জুয়াচক্র চালানোর অভিযোগ অতীতে আসনারকে একাধিকবার প্রতিরোধমূলক হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। 

    অতীতে, একের পর এক বিবাদে জড়িয়েছে এই সংগঠনটি। PFI কর্মীদের বিরুদ্ধে খুন থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগসাজেশের অভিযোগ পর্যন্ত রয়েছে।  ২০১২ সালে, কেরল সরকার হাইকোর্টে বলেছিল যে PFI নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI) এর একটি নতুন রূপ ছাড়া কিছুই নয়। এমনকী, PFI কর্মীদের আল-কায়দা (Al Qaeda) এবং তালিবানের (Taliban) মতো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগও উঠেছে।

    ২ বছর আগে, সিএএ-এনআরসি (CAA-NRC)-র বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে (Shaheenbagh) দীর্ঘদিন ধরে চলা অবস্থান-বিক্ষোভ হোক বা হনুমান জয়ন্তী (hanuman jayanti) উপলক্ষে জাহাঙ্গীরপুরীতে (jahangirpuri) সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, প্রত্যেকটি ঘটনার নেপথ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) সর্বদা শিরোনামে চলে আসে। এর আগে কর্নাটকে (karnataka) হিজাব বিতর্কের (hijab row) সময়ে বিজেপি (BJP) এবং বেশ কিছু সংগঠন PFI-এর বিরুদ্ধে মুসলিম ছাত্রীদের (muslim students) উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছিল। 

    PFI-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ইতিমধ্য়েই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের হাতে বেশ কিছু নথি এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে যে PFI বেশ কয়েকটি শহরে রামনবমী (Ram Navami) মিছিলের সময় পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home ministry) বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের একটি ডসিয়ার তৈরি করেছে এবং PFI-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। PFI-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কেন্দ্রকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। 

     

     

  • Mamata Award Controversy: “রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে…”, মমতার সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে মুখ খুললেন শুভাপ্রসন্ন

    Mamata Award Controversy: “রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে…”, মমতার সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে মুখ খুললেন শুভাপ্রসন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindra Nath Tagore) বেঁচে থাকলে স্বয়ং কবি এসে সংবর্ধনা দিতেন মমতাকে (Mamata)! বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (bangla academy award) বিতর্কে এমনই মন্তব্য করলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন (Shuvaprasanna)।

    চলতি বছর প্রথম বাংলা আকাদেমি পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। প্রথম বছরেই পুরস্কার দেওয়া নিয়ে শুরু হয় বির্তক। কারণ, পুরস্কার প্রাপক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরলস কাব্য সাধনার জন্য পুরস্কৃত করা হয় তাঁকে। বাংলা আকাদেমির মাথায় রয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ব্রাত্য বসু। রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে তিনিই পুরস্কার গ্রহণ করেন। এতেই পুরস্কারদাতাদের বিরুদ্ধে চাটুকারিতার অভিযোগ তুলেছেন বুদ্ধজীবীদের একাংশ।

    এই প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন ‘কাক’ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। তিনি বলেন, এই বিতর্কটাকে আমি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে মনেই করি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ‘এক্সট্রা-অর্ডিনারি’ ব্যক্তিত্ব। তিনি সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী। তাঁর স্মরণশক্তি অসাধারণ। তিনি ছড়া-কবিতা লিখেছেন, গান লিখেছেন, সুর দিয়েছেন, ছবি এঁকেছেন। এখন তাঁর একটা বইকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কারটা যদি উপযুক্ত হয়, তবে কালজয়ী হবে। নাহলে মানুষ ছুড়ে ফেলে দেবে। এই প্রসঙ্গেই আসে রবীন্দ্র-অনুষঙ্গ। চিত্রশিল্পী বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে স্বয়ং কবি এসে সংবর্ধনা দিতেন মমতাকে।” শুভাপ্রসন্নের দাবি, বাঙালি চরিত্রগতভাবে মানুষ হয়ে ওঠেনি। কাঁকড়ার জাত। মমতা চুরি-চামারি করেননি। তাঁর ভিতরের আবেগ বোধকে তিনি তাঁর মতো করে তাঁর ভাষায় লিখেছেন।

    আরও পড়ুন : ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’, মমতাকে সাহিত্য পুরস্কারের দেওয়ায় ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    পুরস্কার বিতর্কে দিন দুই আগে মুখ খুলেছিলেন বুদ্ধিজীবী সুবোধ সরকার (Subodh Sarkar)। তিনি বলেন, উইনস্টন চার্চিল ইংল্যান্ডের প্রাইম মিনিস্টার থাকাকালীন সাহিত্যচর্চার জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee) বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার পর এত সমালোচনা! সুবোধ সরকারের মতে, এই পুরস্কার আসলে ‘ম্যাগসেসের মত’। “এই ত্রিবার্ষিক সম্মাননা এমন একজন সাহিত্যিককে দেওয়া হল যিনি সমাজকল্যাণে পরিবর্তনের ভূমিকা পালন করেছেন। রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড়ে ব্যথিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও (Bratya basu)। তিনি বলেন, একমাত্র বাঙালিদের একটা অংশই এমন করতে পারে! কবির ভাষা ধার করে তিনি বলেন, বলতে ইচ্ছে করছে, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি।অ-বাঙালিরা এমন করতেন না!

    এর চেয়ে নির্লজ্জ চাটুকারিতা আক কি-ই বা হতে পারে!

  • Ajay Devgn & Kiccha Sudeep Twit case : “হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়…”, সুদীপ-অজয় ভাষা-যুদ্ধে টুইট কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার

    Ajay Devgn & Kiccha Sudeep Twit case : “হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়…”, সুদীপ-অজয় ভাষা-যুদ্ধে টুইট কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দিই কি রাষ্ট্রীয় ভাষা…এ নিয়ে টুইট বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুই তারকা অজয় দেবগন ও কিচ্চা সুদীপ। সেই বির্তকে এবার নিজের মতামত দিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি কন্নড় অভিনেতা সুদীপকে সমর্থন করে অজয় দেবগনের মতামতকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলেন। সিদ্দারামাইয়ার টুইট, হিন্দি কখনওই ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা ছিল না, নেই, হবেও না। তিনি লেখেন, একজন কন্নড় হিসেবে তিনি গর্বিত। ভারতের ভাষা-বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো উচিত প্রত্যেক ভারতবাসীর। সব ভাষারই নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে।

    সম্প্রতি একটি দক্ষিণী ছবি নিয়ে সুদীপ বলেন, “সবাই বলছে কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বভারতীয় ছবি তৈরি হয়েছে। আমি একটু সংশোধন করতে চাই। হিন্দি আর রাষ্ট্রভাষা নেই। বলিউড আজকাল সর্বভারতীয় ছবি বানাচ্ছে। ওরা সাফল‍্য পাওয়ার জন‍্য তেলুগু, তামিলে ছবির ডাবিং করাচ্ছে। কিন্তু তাও লাভ হচ্ছে না।” এই শুরু। 

    [tw]


    [/tw]

    এমনিতে বলি-বিতর্ক থেকে সাধারণত দূরে থাকা অজয় দেবগন সুদীপের এ কথা মানতে পারেননি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হিন্দিতে অজয় সুদীপের কাছে প্রশ্ন রাখেন, যদি হিন্দি সত্যি রাষ্ট্রীয় ভাযা না হয় তবে সুদীপ কেন নিজের ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করেন।
    অজয় সুদীপকে ট্যাগ করে লেখেন, “কিচ্চা সুদীপ ভাই, যদি হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা না হয়, তাহলে তুমি কেন তোমার মাতৃভাষায় তৈরি ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করো? হিন্দি আমার মাতৃভাষা, এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা এবং সেটা থাকবেই। জন গণ মণ।”

    অজয়ের (Ajay Devgn) টুইটে পালটা জবাব দেন সুদীপও, অভিনেতা জানান তিনি যে প্রেক্ষাপটে কথা বলেছেন সেটা আলাদা। অজয় দেবগন হয়তো তাঁকে ভুল বুঝছেন। কোনও রকম তর্ক বির্তক করার ইচ্ছে তাঁর নেই। সামনাসামনি অজয়ের সঙ্গে দেখা হলে তিনি পুরোটা বুঝিয়ে বলবেন। শেষে সুদীপ টুইট করে অজয়ের উদ্দেশে লেখেন, “আমি নিজের দেশের সব ভাষাকে সম্মান করি। আমি চাই এই বিতর্কটা এখানেই শেষ হোক, আমি যেমনটা বলেছি ওই প্রেক্ষাপটটা আলাদা ছিল। অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা আপনাকে।” সুদীপের এই টুইটের আগেই দুতারকার অভিমত নিয়ে সরগরম নেটপাড়া। কেউ নিয়েছে অজয়ের পক্ষ কেউ আবার সমর্থন জানিয়েছেন সুদীপের মন্তব্যকে।

    সুদীপের শেষ টুইটের কিছু ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অবশ্য অজয় (Ajay Devgn)নিজের মন্তব্য থেকে সরে এসে লেখেন, “ধন্যবাদ সুদীপ আমার এই ভুলবোঝাটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য, আমি সবসময় মনে করি আমরা এক ইন্ডাস্ট্রি। আমারা সব ভাষাকেই সম্মান করি, পাশাপাশি আশা করি অন্যান্য ভাষার লোকেরা আমাদের সম্মান করবে।”

    কিন্তু বৃহস্পতিবার এই প্রেক্ষাপটে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর টুইট আবার নতুন করে বিতর্ককে উস্কে দিল। বেশ কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির পক্ষে সাওয়াল তোলেন। সেই সময় বিরোধিতা করেন সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। 

  • Hooghly Dock: কোচিন শিপইয়ার্ডের হাত ধরে প্রাণ পেল হুগলি ডক! কী হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন এই ডকইয়ার্ডে?

    Hooghly Dock: কোচিন শিপইয়ার্ডের হাত ধরে প্রাণ পেল হুগলি ডক! কী হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন এই ডকইয়ার্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাজিরগঞ্জে দুশো বছরের পুরনো হুগলি ডক অ্যান্ড পোর্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড সংস্থাকে পুনুরুজ্জীবিত করে ‘হুগলি-কোচিন শিপইয়ার্ড’ হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। হুগলি নদীর পূর্ব তীরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতায় নিত্যনতুন জাহাজ এবং জলযান তৈরির মাধ্যমে গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্সের খ্যাতি যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন পশ্চিমের নাজিরগঞ্জে রুগ্‌ণ হচ্ছিল এইচডিপিইএল। ২০০ বছরের পুরনো সংস্থাটি ছিল অ্যান্ড্রু ইউলের অধীনে। পরে জাতীয়করণ হলেও হাল ফেরেনি। কলকাতা বন্দরের আর্থিক অবস্থার ওঠাপড়া এবং শিল্পের সার্বিক মন্দায় পিছিয়ে পড়েছিল ডক ইয়ার্ড। লোকসান হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পুনরুজ্জীবনের একাধিক প্রস্তাব ব্যর্থ হওয়ার পরে বাণিজ্যিক পোত এবং রণতরী নির্মাতা কোচিন শিপইয়ার্ড এর উন্নতিতে লগ্নি করতে রাজি হয়। প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ঢেলে ছ’টি ক্রেন এবং শেড-সহ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। 

    সংস্থার চেয়ারম্যান মধু এস নায়ার জানান, ‘‘কোভিড এবং ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলে যাবতীয় পরিকাঠামো নতুন করে খুব দ্রুত তৈরি করা হয়েছে।’’ দেশ-বিদেশের চাহিদা মেটাতে, হুগলি কোচিন শিপইয়ার্ডে ৮০-১২০ মিটার লম্বা ছোট জাহাজ, রোরো, বার্থ, ভেসেল, ব্যাটারি চালিত লঞ্চ-সহ সব জলযানই তৈরি হবে, বলে জানান নায়ার। তিনি জানান, এর হাত ধরে রাজ্যে নতুন কর্মসংস্থান হবে। বিকাশ ঘটবে অনুসারী শিল্পের।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে তেরঙ্গা আলোয় আলোকিত ভারতের স্মৃতিস্তম্ভগুলো

    সম্প্রতি এই জাহাজ নির্মাণকেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন জাহাজ, বন্দর ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল শতাব্দী প্রাচীন এই কেন্দ্রটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। তিনি জানান, এই কেন্দ্র জাতীয় নৌপথের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জল পরিবহনের উন্নয়নে উচ্চ প্রযুক্তি, পরিবেশ বান্ধব জলযানের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে। এই ইয়ার্ডটি শুধুমাত্র নিকটবর্তী অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সক্ষম করবে না, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের পথ প্রশস্ত করবে। এর ফলে বন্দর সংলগ্ন অনুসারী শিল্পগুলির উন্নতি হবে।

     

LinkedIn
Share