Blog

  • DRDO Recruitment: চাকরির সুযোগ, বহু শূন্যপদে নিয়োগ করবে ডিআরডিও, জানুন বিস্তারিত

    DRDO Recruitment: চাকরির সুযোগ, বহু শূন্যপদে নিয়োগ করবে ডিআরডিও, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) বিজ্ঞানী নিয়োগ করতে আবেদনপত্র আহ্বান করছে। রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট সেন্টার (RAC), ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) বিজ্ঞানী বি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ৬ই জুলাই এবং আবেদনের শেষ তারিখ ২৯ শে জুলাই। ৬৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। ইচ্ছুক প্রার্থীরা rac.gov.in– এই লিঙ্কে আবেদন করতে পারবেন। ১৬ অক্টোবর নেওয়া হবে পরীক্ষা। 

    ৫৭৯ পদে ডিআরডিওতে, ৪৩টি পদে অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিতে এবং 8টি পদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে নিয়োগ করা হবে। গেট স্কোর/ লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউর ভিত্তিতে প্রার্থীদের বাছাই করা হবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা

    বয়স পরিসীমা: ডিআরডিওতে বিজ্ঞানীর পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ২৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিএসটি-তে সর্বোচ্চ বয়স সীমা ৩৫ বছর এবং এডিএ (ADA) -তে ৩০ বছর। তবে সরকারি নিয়ম  অনুযায়ী সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের বয়সের ঊর্ধ্ব সীমায় শিথিলতা থাকবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ভারতীয় সেনার, নিয়োগের প্রক্রিয়া কী?

    আবেদন ফি: পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা। এই আবেদন ফি একমাত্র জেনারেল ক্যাটাগরির পুরুষ প্রার্থীদের দিতে হবে। মহিলা/ এসসি/ এসটি/ ওবিসিদের কোনও ফি দিতে হবে না। ২৯ জুলাই বিকেল ৫ টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে আবেদনের প্রক্রিয়া।

    নিয়োগ প্রক্রিয়া:

    • প্রথমে গেট স্কোর এবং লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে বাছা হবে প্রার্থীদের।
    • তারপর তাদের ইন্টারভিউতে ডাকা হবে।
    • ইন্টারভিউতে যারা সবচেয়ে বেশি নম্বর পাবেন তাঁদের চাকরিতে নেওয়া হবে।
    • ডিআরডিও লিখিত পরীক্ষায় মোট ৮০ শতাংশ নম্বর এবং ব্যক্তিগত সাক্ষাত্কারে ২০ শতাংশ নম্বর থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় ৩০০-৩০০ নম্বরের দুটি পেপার থাকবে।

    কীসের ভিত্তিতে নিয়োগ: শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। বিজ্ঞাপনে দেওয়া নূন্যতম যোগ্যতার থেকে প্রার্থীর কোয়ালিফিকেশন কতটা বেশি, সেটাও বিচার করা হবে। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের প্যানেল তৈরি করেও প্রার্থীকে যাচাই করা হবে।

    বেতন: সর্বোচ্চ বেতন ৮৮ হাজার 

     

  • Anis Khan: খুন হননি আনিস খান! সিটের রিপোর্টে হতাশ পরিবার

    Anis Khan: খুন হননি আনিস খান! সিটের রিপোর্টে হতাশ পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আনিস খান (Anis Khan) খুন হননি। সোমবার SIT-এর পেশ করা চার্জশিটে (Anis Khan Chargesheet) এমনটাই দাবি করা হয়েছে। আনিসের পরিবারের দাবি খারিজ করে সিটের তরফে বলা হয়েছে, হাওড়া আমতার ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যু হয়েছে ছাদ থেকে পড়েই। যদিও পুলিশের গাফিলতির কথা মেনে নেওয়া হয়েছে এই  রিপোর্টে। সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে আনিস খান মৃত্যু মামলায় (Anis Khan Case) চার্জশিট পেশ করে তদন্তকারী SIT। পুলিশের অভিযানের পরই ছাদ থেকে পড়ে আনিসের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। 

    আনিসের বাবা সালেম খানের দাবি,’সিটের চার্জশিটের ওপর ভরসা নেই আমার। আমি আশাও করি না, কারণ যে পুলিশ সিট গঠন করেছে সেই পুলিশই তো আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে উপর থেকে মেরে ফেলে দিয়ে গেল।’ পুলিশই হত্যা করেছে তাঁর ছেলেকে। ফলে রাজ্য সরকারের গঠিত SIT-এর তদন্তে ভরসা নেই তাঁর। CBI তদন্তের দাবিতে অনড় আনিস খানের পরিবার।

    আরও পড়ুন: অমরনাথে বাঙালি ছাত্রীর মৃত্যু, আটকে ১৬, চালু হেল্পলাইন

    চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারির রাতে, নিজের বাড়িতেই ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে, সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। শুনানি চলাকালীন একাধিকবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। শেষ পর্যন্ত, রাজ্য পুলিশের SIT’র তদন্তে আস্থা রাখে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই আনিস-কাণ্ডে উলুবেড়িয়া আদালতে চার্জশিট জমা দিল তদন্তকারীরা। চার্জশিটে আমতা থানার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে এক এএসআই, এক হোমগার্ড ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের। সিটের চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, হিজাব বিতর্ক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন আনিস। তা নিয়ে গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেজন্য আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। তবে সেইসময় নিয়ম পালন করা হয়নি বলে চার্জশিটে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।

  • Indian Army SSC Tech Recruitment: ১৯১টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল ভারতীয় সেনার শর্ট সার্ভিস কমিশন

    Indian Army SSC Tech Recruitment: ১৯১টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল ভারতীয় সেনার শর্ট সার্ভিস কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেকনিক্যাল পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি (Indian Army SSC Tech Recruitment 2022) জারি করল ভারতীয় সেনার শর্ট সার্ভিস কমিশন ( Indian Army Short Service Commission)। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া। অবিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা প্রার্থী এই পদে আবেদন করতে পারবেন। joinindianarmy.nic.in – এই ওয়েবসাইটে করা যাবে আবেদন। মোট শূন্য পদের সংখ্যা ১৯১। এর মধ্যে ১৭৫টি পদে পুরুষদের জন্য এবং ১৪টি পদে মহিলাদের জন্য রাখা হয়েছে।  বাকি ২টি পদে মৃত সেনা কর্মীদের স্ত্রীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে ২৬ জুলাই বিকেল ৩টেয়। চলবে ২৪ অগাস্ট বিকেল ৩টে অবধি।  

    আরও পড়ুন: ৭৬৬টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি আইবির, জানুন বিস্তারিত 

    এক নজরে জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু তথ্য: 

    পদের নাম: এসএসসি টেকনিক্যাল 

    শূন্য পদের সংখ্যা: ১৯১

    আবেদন শুরু হয়েছে: ২৬ জুলাই, বিকেল ৩টে

    আবেদনের শেষ দিন: ২৪ অগাস্ট, বিকেল ৩টে

    আরও পড়ুন: অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ করবে ডিআরডিও, জানুন বিস্তারিত

    বয়স সীমা: এই পদে আবেদনের জন্যে প্রার্থীর জন্মের তারিখ ২ এপ্রিল, ১৯৯৬ থেকে ১ এপ্রিল, ২০০৩ -এই সময়ের মধ্যে হতে হবে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন বয়স ২০ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ২৭ বছর। 

    শুধুমাত্র মৃত সেনা কর্মীর স্ত্রীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর। 

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ে নিয়োগ, পদ সংখ্যা চার, পারিশ্রমিক ৪০ হাজার 

    যোগ্যতা: এই পদে আবেদনের জন্যে অবশ্যই প্রার্থীর বিই বা বিটেক ডিগ্রি থাকতে হবে। 

    কী করে আবেদন করবেন? 

    প্রথমে joinindianarmy.nic.in – এই ওয়েবসাইটটিতে যান। 

    সেখানে “Officer Entry Apply/Login” -এই লিঙ্কটিতে যান।

    আরও পড়ুন: কর্মী নিয়োগ করবে বিদেশমন্ত্রক, জানুন বিস্তারিত

    তারপর “Registration” – এ ক্লিক করুন।

    এরপরে  “Apply Online” – এ ক্লিক করুন। 

    আবেদনপত্রটি ফিলআপ করুন এবং সাবমিট করুন।

    ভবিষ্যতের জন্যে প্রিন্টআউট বের করে রাখুন। 

     

  • Sukanta Majumdar: লোকসভায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করে রেকর্ড সুকান্ত মজুমদারের 

    Sukanta Majumdar: লোকসভায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করে রেকর্ড সুকান্ত মজুমদারের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় (Lok Sabha) সব চেয়ে বেশি প্রশ্ন করে রেকর্ড গড়ে ফেললেন সাংসদ বিজেপির (BJP) সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতিও তিনি। দিলীপ ঘোষকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর রাজ্যের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্তের হাতে। তার পর থেকে দলকে নয়া উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। কেবল দল নয়, তাঁর সংসদ ক্ষেত্রের প্রতিও যে তিনি সমান মনোযোগী, তার প্রমাণ মিলল লোকসভার রেকর্ডেই।

    লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন আলোচনা হয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। প্রতিটি অধিবেশেনর দিনগুলির একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ থাকে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য। এই সময় কোনও সাংসদ তাঁর কোনও প্রশ্ন থাকলে, তা করতে পারেন। সচরাচর লোকসভায় অধিবেশন হয় তিনটি। এগুলি হল বাজেট অধিবেশন, শীতকালীন অধিবেশন এবং বাদল অধিবেশন। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে অধিবেশন ডাকা হতে পারে। এই অধিবেশনগুলিতেই প্রশ্ন করতে পারেন সাংসদরা। এ রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪২। তার মধ্যে বিজেপির সাংসদ রয়েছেন ১৭ জন। আর তৃণমূলের হাতে রয়েছে ২৩ জন। কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ২।

    আরও পড়ুন : অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?

    সংসদের রেকর্ড অনুযায়ী, জাতীয়স্তরে সাংসদরা গড়ে প্রশ্ন করেছেন ১৩০টি করে। রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রশ্নের হারের করুণ দশা স্পষ্ট। সংসদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলার সাংসদরা গড়ে প্রশ্ন করেছেন ৮৫টি করে। তবে চমকে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দথা বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির সুকান্ত। তিনি প্রশ্ন করেছেন ৪৪৪টি। সুকান্তের পরেই যে নামটি রয়েছে, তিনিও বিজেপির। তিনি বিদ্যুৎ মাহাতো। ঝাড়খণ্ডের সাংসদ। তিনি প্রশ্ন করেছেন ৪৩৭টি। চারশোর বেশি প্রশ্ন করেছেন আরও একজন, শ্রীরঙ্গ বার্নে। তিনি শিবসেনার বিধায়ক। তিনি প্রশ্ন করেছেন ৪৩৫টি। এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে প্রশ্ন করেছেন ৪৩০টি।   

    জানা গিয়েছে, লোকসভায় মহারাষ্ট্রের সদস্য সংখ্যা ৪৯। সব মিলিয়ে তাঁরা প্রশ্ন করেছেন ১০ হাজার ৯৩২টি। উত্তর প্রদেশের সদস্য সংখ্যা ৮০। তাঁরা প্রশ্ন করেছেন ৬ হাজার ১৬৩টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষকে বিপুল ভোটে হারিয়ে লোকসভায় যান সুকান্ত। প্রথমবারের জন্য লোকসভায় পা রেখেই সভা মাতিয়ে দিয়েছেন বিজেপির এই সাংসদ। সব মিলিয়ে তাঁর প্রশ্নের সংখ্যা ৪৪৪টি। চাকরি, মহিলাদের ক্ষমতায়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ে ওই প্রশ্নগুলি করেছেন বিজেপির অধ্যাপক সাংসদ।

    আরও পড়ুন : আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

     

  • Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইবোলার (Ebola) পর এবার মারবার্গের (Marburg) আতঙ্ক আফ্রিকায় (Africa)। বুধবার ঘানাতে (Ghana) মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুজনের। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (WHO) জানিয়েছে, মারবার্গও ইবোলা ভাইরাসের মতোই মারাত্মক। 

    আরও পড়ুন: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র 

    ঘানার দুই ইবোলা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির উপসর্গ প্রায় একই রকম ছিল। ডাইরিয়া, জ্বর, গা গোলানো ও বমি এই সমস্ত উপসর্গ কমবেশি দুজনেরই ছিল। এগুলোকেই আপাতত মারবার্গের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। 

    ঘানায় মৃত ওই দুই ব্যক্তির স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে সেনেগালের একটি ল্যাবে। মারবার্গ ভাইরাসের কারণেই ওই মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে চাইছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে পশ্চিম আফ্রিকাতে মারবার্গের এটা দ্বিতীয় হানা বলেই ধরে নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছরে, মারবার্গের একটা কেস ধরা পড়েছিল গিনিয়াতে। 

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের  
     
    মারবার্গ  ১৯৬৭ সালে পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। ১৯৭৬ সালে প্রথম চিহ্নিত হয় ইবোলা। মারবার্গ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। মারবার্গের সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার ভয় এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে আরও এক ভাইরাসের আতঙ্কে ত্র্যস্ত আফ্রিকা। 

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মারবার্গ ভাইরাসে (Marburg Virus) আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে করোনার মতোই কিছু উপসর্গ মিলেছে। জ্বর, বমি এবং প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, এর অন্যতম উপসর্গ। এই প্রথম নয়, আগেও গুয়ানাতে মারবার্গ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।

    মারবার্গ ভাইরাস রক্তক্ষরণজনিত জ্বর বয়ে আনে। এটি মারাত্মক সংক্রামক। ভাইরাসটি মানুষ ও প্রাণির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর উৎপত্তি ফল খাওয়া বাদুড় থেকে। এটি মানুষের শরীরেও ছড়াতে পারে। বিশেষ করে যৌন সংসর্গ ও চর্মরোগ থেকে মানুষের মাঝে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে প্রদাহের স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং জ্বর আসে। ইবোলা ভাইরাসের সবকটি লক্ষণ মারবার্গ ভাইরাসেও আছে। এ ভাইরাসে ভালোভাবে আক্রান্ত হলে সাধারণত কেউ বাঁচে না। তবে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসায় ফল দিতে পারে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাসের টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয় উগান্ডার কাম্পালায়। ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ শহরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। পরে এটি ফ্রাঙ্কফুট ও যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডেও দেখা পাওয়া গিয়েছিল। এই ভাইরাসের কোনও টিকা বা চিকিৎসা নেই।

     

  • Free Covid Booster Dose: প্রাপ্তবয়স্কদের বিনামূল্যে কোভিড বুস্টার ডোজ! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

    Free Covid Booster Dose: প্রাপ্তবয়স্কদের বিনামূল্যে কোভিড বুস্টার ডোজ! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের বিনামূল্যে কোভিড বুস্টার ডোজ (free booster doses of the coronavirus) দেবে সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) জানান, ১৫ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ৭৫ দিনের জন্য আঠারোর্ধ্বদের বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ সরবরাহ করবে। সরকারি টিকা কেন্দ্রে এই সুবিধা মিলবে। দেশে প্রতিদিন ঊর্ধ্বমূখী করোনার গ্রাফ। এই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত প্রাসঙ্গিক বলে অভিমত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর হিসেবে Azadi ka Amrit Kaal পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আর এই উপলক্ষ্যেই ১৫ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭৫ দিন ১৮ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে কোভিড বুস্টার ডোজ।” আপাতত শুধুমাত্র প্রথমসারির করোনাভাইরাস যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্বদের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হচ্ছে। বাকিদের টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে বুস্টার ডোজ। আগামী শুক্রবার থেকে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকই বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ পাবেন। 

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে নয় মাস থেকে ছয় মাস করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল থেকে দেশে ‘সুরক্ষামূলক কোভিড টিকা ডোজ’ (বুস্টার ডোজ) দেওয়ার কথা ঘোষণা করে সরকার। একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ১৮ ঊর্ধ্বরা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। কিন্তু, করোনা টিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মতো বুস্টার ডোজ বিনামূল্য পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন অনুমোদন প্রাপ্ত ক্লিনিক থেকে অর্থ ব্যায় করে নিতে হবে বুস্টার ডোজ। কিন্তু, পরিসংখ্যান বলছিল, বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখা যাচ্ছিল বহু মানুষের মধ্যেই। এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের

    এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে তেরঙ্গা হিল-অম্বাজি-আবু রোড নতুন রেললাইন চালুর কথা জানান অনুরাগ। ১১৬ কিমি বিস্তৃত এই রেললাইন তৈরি করতে সময় লাগবে প্রায় চার বছর। খরচ পড়বে আনুমানিক দুই হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। এছাড়াও গুজরাতের ভদোদরায় গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথাও এদিন ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

  • Sharad pawar: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    Sharad pawar: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। ওই বছরই হবে মহারাষ্ট্র (Maharasthra) বিধানসভার নির্বাচনও। এই বিধানসভা নির্বাচনে মহাবিকাশ অঘাড়ি (Maha Vikas Aghadi) জোটের তিন দলের একসঙ্গে লড়া উচিত। অন্তত এমনই মনে করেন এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট। জোটে শামিল তিন দল-শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস। বছর আড়াই মসৃণভাবে সরকার চলার পর সম্প্রতি দলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিবসেনার বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। কংগ্রেস এবং এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার পক্ষে সওয়াল করেন শিন্ডে। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। পরে মধ্যরাতের বিমান ধরে চলে যান বিজেপি শাসিত আরও এক রাজ্য আসামে। পরে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। তাঁর সঙ্গেই চলে যান সিংহভাগ বিধায়ক। হাতে গোণা কয়েকজন বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    সম্প্রতি ঔরঙ্গাবাদ এবং ওসমানাবাদের নাম বদল হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদের নাম হয়েছে শম্ভনজিনগর, আর ওসমানাবাদের নাম হয়েছে ধারাশিব। উদ্ধব ঠাকরের সরকারের আমলেই হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। সেই প্রসঙ্গে পাওয়ার বলেন, এটা মহাবিকাশ আঘাড়ির কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। দু দিনের সফরে ঔরঙ্গাবাদে এসেছেন পাওয়ার। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে তাঁর মতামত দেন। বলেন, নাম বদলের সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরে আমি এটি জানতে পেরেছি।

    আরও পড়ুন : ডামাডোলের বাজারেও ঢালাও অর্থ-প্রস্তাব মঞ্জুর, মহারাষ্ট্রে হচ্ছেটা কী?

    ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তের তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে তিন দলের জোট মহাবিকাশ আঘাড়ির লড়াই করা উচিত। তবে এটা যে নিতান্তই তাঁর ব্যক্তিগত মত, তাও জানান পাওয়ার। পাওয়ার বলেন, এনিয়ে আমি প্রথমে আমার দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। তার পরে কথা বলব বাকি জোট শরিকদের সঙ্গে। শিবসেনার বিদ্রোহ প্রসঙ্গে এনসিপি সুপ্রিমো বলেন, হিন্দুত্ব, এনসিপি এবং ফান্ডের অভাবের কথা বলে বিদ্রোহ ঘোষণা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে অশান্তি, তা জানা যায়নি।

     

  • Elon Musk: মাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে ট্যুইটার! পাল্টা কটাক্ষ টেসলার কর্তার

    Elon Musk: মাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে ট্যুইটার! পাল্টা কটাক্ষ টেসলার কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটার ইনকর্পোরেটেড (Twitter) মঙ্গলবার ইলন মাস্কের (Elon Mask) বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কেনার জন্য তার ৪৪ বিলিয়ন ডলার চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি মামলা করল। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যারের আদালতে (Delaware’s Court) সংস্থার তরফে মামলাটি দায়ের করা হয়। সংস্থার করা মামলার প্রেক্ষিতে পাল্টা ট্যুইট করেন মাস্ক। ট্যুইটবার্তায় তিনি জানান, “ওহ, দ্যা আয়রনি, লল”। সরাসরি ট্যুইটারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের কথা উল্লেখ না করলেও, মাইক্রো ব্লগিং সাইটের আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করে বলেছেন তা বোঝাই যায়। ট্যুইটারের হাতছাড়া হল চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার তাই হাসি পাচ্ছে মাস্কের। টেসলার কর্তার (Tesla CEO) ট্যুইট দেখে নেটিজেনদের এমনই ধারণা।

    গত শুক্রবারই ট্যুইটারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানান মাস্ক। এরপরই মাস্কের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে মাইক্রোব্লগিং সাইট। যদিও কিছুদিন আগেই মাস্ক দাবি করেন স্প্যাম ও ভুয়ো অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে বারবার তথ্য জানতে চাওয়া হলেও ট্যুইটারের তরফে তার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে ইলন মাস্কের আইনজীবী জানিয়েছেন, ”স্বচ্ছতাই ব্যবসার ভিত্তি। সেখানে বার বার ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলেও ট্যুইটারের তরফে তার কোন উত্তর দেওয়া হয়নি”। এখন চুক্তি বাবদ এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে যাবেন মাস্ক। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্র-ট্যুইটার তরজা! কী হতে চলেছে ভবিষ্যৎ

    অন্যদিকে, ডেলাওয়্যারের আদালতের কাছে ট্যুইটারের আর্জি, চুক্তিমাফিক লেনদেন সম্পূর্ণ করুন ইলন মাস্ক। শেয়ার প্রতি ৫৪.২০ মার্কিন ডলার করে দেওয়ার আদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তারা। তাদের কথায়, ‘মাস্ক ভাবছেন ডেলাওয়্যার চুক্তি আইন তাঁকে ছুঁতে পারবে না। যখন ইচ্ছা মন বদলে, সংস্থার ক্ষতি করে, কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটিয়ে, স্টকের দাম বানচাল করে বেরিয়ে যেতে পারবেন।’ মামলায় বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রস্তুতকারক টেসলার সিইও-র বিরুদ্ধে ট্যুইটারের কার্যপ্রণালী ও ব্যবসায় প্রভাব ফেলার অভিযোগ করা হয়েছে। সংস্থার দাবি, এই টালমাটাল, অনিশ্চিত পরিস্থিতির কারণে সংস্থা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন বহু কর্মী।

    মাস্কের সমস্ত অভিযোগকে স্রেফ অজুহাত বলেই উল্লেখ করা হয়েছে ট্যুইটারের তরফে। মঙ্গলবার সংস্থার কর্মীদের উদ্দেশ্যে , ট্যুইটারের প্রধান পরাগ আগরওয়াল ভবিষ্যতের বিষয়ে কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “আমরা আদালতে আমাদের অবস্থান প্রমাণ করব এবং আমরা বিশ্বাস করি আমরাই এই লড়াইয়ে জয়ী হব”।

  • Ramnath Kovind: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    Ramnath Kovind: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচ বছরের কার্যকাল। সেই মেয়াদ শেষ হতে বাকি হাতে গোণা কয়েকটা দিন। এই পাঁচ বছরে রাষ্ট্রপতি (President) হিসেবে কী করলেন রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)? নয়া রাষ্ট্রপতি শপথ নিলেই অবসরে চলে যাবেন কোবিন্দ। শুরু অখণ্ড অবসর। এবার নিজের মতো করে সময় কাটাবেন তিনি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গত পাঁচ বছরে কী কাজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।  

    ভারতের রাষ্ট্রপতি পদটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্টই সব। আর ভারতে (India) রাষ্ট্রপতি পদটি আলঙ্কারিক। ব্রিটেনের মতো এখানেও প্রধানমন্ত্রীই সব। তবে আলঙ্কারিক হলেও ভারতে রাষ্ট্রপতির হাতে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সে যাই হোক, গত পাঁচ বছর ধরে এই পদে ছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। এই পাঁচ বছরে তিনি স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টি বিলে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও একটি বিল সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর সম্মতির জন্য যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি আর বিল থাকে না, পরিণত হয় আইনে। তাঁর কার্যকালে রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টি বিলে। এগুলির মধ্যে রয়েছে গুজরাট কন্ট্রোল অফ টেটরিজম অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম বিল ২০১৫।  

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    এই পাঁচ বছরের মেয়াদের কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন তিনটি স্টেট বিলও। এর মধ্যে দুটি বাংলার। এদের একটি হল, জেসপ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং বিল ২০১৬) এবং ডানলপ ইন্ডিয়া লিমিটেড(অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং বিল ২০১৬)। বিল দুটিতে স্বাক্ষর করেননি রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলেনি তামিলনাড়ুর এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্স বিল ২০১৭-ও।

    আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    নিয়ম অনুযায়ী, কোনও একটি বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যপালের সম্মতির জন্য সেটি পাঠানো হয় রাজভবনে। রাজ্যপাল বিলটি আটকে রাখতে পারেন অথবা রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য বিলটি তিনি পাঠাতে পারেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। বাংলার দুটি এবং তামিলনাড়ুর একটি বিলের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। তিনটি বিলেই রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলেনি। কোবিন্দের হাতে শেষ যে বিলটি পাশ হয়েছে, সেটি হল ক্রিমিনাল ল’(মধ্যপ্রদেশ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল) ২০১৯। তাঁর আমলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিলও আইনে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ইউপি’জ মিনিমাম ওয়েজেস(অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০১৭। এই আইনের মাধ্যমে ব্যাংকের মাধ্যমে মজুরি পাবেন উত্তর প্রদেশের শ্রমিকরা।

     

  • SSC scam: নবম-দশমে নয়া নিয়োগ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ! জানুন কী বলল হাইকোর্ট

    SSC scam: নবম-দশমে নয়া নিয়োগ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ! জানুন কী বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক-নিয়োগে দুর্নীতিতে রাজ্যের মুখ কালো হয়েছে বারবার। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে টাকার লেনদেনও দেখেছে রাজ্য। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বাতিল হয়েছে অনেকেরই নিয়োগ। তাই নতুন করে আবার  নবম-দশমের নিয়োগ তালিকা (Recruitment List) প্রকাশের নির্দেশ দিল  কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১৬ অগাস্টের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। শুক্রবার এসএসসি নিয়োগ নিয়ে একটি মামলায় এই রায় দেন তিনি। এর পাশাপাশি বিচারপতি জানতে চান, “নির্দিষ্ট অনুপাতের বাইরে অতিরিক্ত কাদের ডাকা হয়েছিল ইন্টারভিউতে? এই অতিরিক্ত প্রার্থীদের মধ্যে কারা নিয়োগের সুপারিশপত্র পেয়েছেন?” এছাড়া “এখনই সম্পূর্ণভাবে এসএসসির ডেটারুম খুলছে না”, বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    প্রসঙ্গত, SSC-র শিক্ষক নিয়োগে নতুন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিস্তারিত মেধাতালিকা প্রকাশ হতেই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। নতুন করে মামলার অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগ উঠেছে, SSC-র নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। মেধা তালিকায় নাম না থাকা এবং মেধা তালিকার নীচের দিকে থাকা বেশ কয়েকজন হাইজাম্প করে তালিকার ওপরে উঠে এসেছেন। গত ১৪ জুলাই নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল SSC।

    আরও পড়ুন: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

     

    এই পরিস্থিতিতে এদিন বিচারপতি জানান, “নবম দশমের যে বিস্তারিত মেধাতালিকা এসএসসি প্রকাশ করেছে সেখানে যে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে ১৬ অগাস্টের মধ্যে হলফনামা জমা দেবে এসএসসি। সিবিআই এবং এনআইসি-র উপস্থিতিতে ডেটা রুম খুলতে পারবে এসএসসি।” অন্যদিকে এদিন যে সব চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলনে সামিল হননি তাদের উদ্দেশে হাইকোর্টের বার্তা, “বাড়িতে বসে আন্দোলন হয় না। আমি বঞ্চিত, অথচ আমি আন্দোলনে নেই, তাদের আবেদনে কেন সাড়া দেবে আদালত ? মোমবাতি নিয়ে মিছিল করলাম আর সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিলাম, এভাবে আন্দোলন হয় না।” বিচারপতি জানান,  তিনি নিজে বিচার ক্ষমতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করেছেন, তাতে সমালোচিতও হয়েছেন। এর জন্য কোনও আক্ষেপ নেই। কিন্তু প্রকৃত ভুক্তভোগীদের আদালতে আসতে হবে।

     

LinkedIn
Share