Blog

  • Bakrid: খোলা জায়গায়  ‘কুরবানি’ না দেওয়ার আর্জি ইমামদের

    Bakrid: খোলা জায়গায় ‘কুরবানি’ না দেওয়ার আর্জি ইমামদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ১০ জুলাই রবিবার পালিত হতে চলেছে বখরি ইদ বা ইদ-আল-আধা। মুসলিম সমাজের প্রধান দুটি উত্‍সবের অন্যতম হল এই বখরি ইদ। একে কুরবানির ইদও বলা হয়ে থাকে। এবছর ইদে খোলা রাস্তায় বা জনসমক্ষে কুরবানি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ইমামরা। জুম্মার নমাজের পর তাঁরা এই আর্জি রাখেন সাধারণ মানুষের কাছে। কুরবানির কোনও ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না করারও আবেদন রাখা হয়েছে।  ইমামদের তরফে বলা হয়েছে, দেশের আইন মেনে এবং শান্তিপূর্ণভাবে কুরবানি দেওয়াটাই প্রকৃত ইসলামের কাজ। এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যা অন্যের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। 

    প্রসঙ্গত, হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম ও শেষ মাস ধুল হিজার দশমতম দিনে পালিত হয় ইদ-উল-আধা। আকাশে নতুন চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই উত্‍সব পালন করেন। গোটা বিশ্বের মুসলিমরা এদিন নতুন জামাকাপড় পরে, ভালো ভালো রান্না করে, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে এই দিনটি কাটান। ইদের প্রার্থনার পরেই কুরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। কুরবানি দেওয়া পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করেন মুসলিমরা। একটা ভাগ গৃহস্থ নিজে রাখেন, অন্য ভাগে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ভাগ করে দেন এবং তৃতীয় ভাগটি দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।

    বখরি ইদে ছাগল, উট বা অন্য কোনও পশুকে বলি দিয়ে সেই মাংস গরীবদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়ার প্রথা প্রচলিত আছে। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিজের প্রিয় কিছু উত্‍সর্গ করাই হল কুরবানির ইদের মূল কথা। বকরি ইদ পালনের মধ্যে দিয়েই শেষ হয় মুসলিম ধর্মের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হজযাত্রা। আল্লাহের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস প্রদর্শনের উত্‍সব এটি। সত্যের পথে থাকতে সবকিছুরই বলিদান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তাই বকরিদের কুরবানির মাধ্যমে দেওয়া হয়। ইদের আগে মানুষের মধ্যে সেই ত্যাগের বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছেন দিল্লির ইমামরা।

  • Shinzo Abe: সূর্যোদয়ের দেশে শূন্যতা! শিনজোকে হত্যা কেন? জানুন কী বলল আততায়ী

    Shinzo Abe: সূর্যোদয়ের দেশে শূন্যতা! শিনজোকে হত্যা কেন? জানুন কী বলল আততায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্ত জাপান শুক্রবার হয়ে উঠেছিল অশান্ত। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নারা শহরে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান  জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। গুলি করার পরই এলাকা থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করছিল তেতসুয়া ইয়াগমি। তবে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। জাপান পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৯০ সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। যাঁরা এই ঘটনার তদন্ত করছে।

    আরও পড়ুন: খুনের লক্ষ্যেই বন্দুক বানানো! অকপট স্বীকারোক্তি আবের আততায়ীর

    বাড়িতে তৈরি শটগান দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো তেতসুয়া পুলিশি জেরার মুখে জানিয়েছে, সে শিনজো আবেকে হত্যা করেছে তবে, হামলা করতে চেয়েছিল অন্য একজনকে। যে ব্যক্তি তেতসুয়ার নিশানায় ছিলেন তিনি একজন ধর্মগুরু। তিনি তেতসুয়ার মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ তেতসুয়ার। সেই ধর্মগুরুকে হত্যা করতে চেয়ে শিনজো আবের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে তেতসুয়া। প্রয়াত শিনজো আবে ওই ধর্মগুরু ও তাঁর সংগঠনকে আরও প্রচারে নিয়ে আসেন তাঁর শাসনকালে। এমনই অভিযোগ তেতসুয়ার। আর সেই রাগ থেকেই সে শিনজোর ওপর গুলি চালায় সে। জাপানের নারা শহরে তেতসুয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ বহু অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, জাপানে সব থেকে বেশি দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আবে। এক সময়ে জাপানি অর্থনীতিকে মন্দা থেকে টেনে তোলার জন্য বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছিল তাঁর— ‘আবেনমিক্স’। অথচ, তাঁকে ঘোর অপছন্দ বলেই হত্যা করেছে আততায়ী! শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ২০২০ সালে সরে দাঁড়ান শিনজো। তবে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। প্রিয় নেতার শোকে মুহ্যমান জাপান। ‘সূর্যোদয়ের দেশে’ শনিবার ছিল বিষণ্ণতার ছাপ। শোকের ছায়া ভারতেও। প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে গভীরভাবে ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারই জাতীয় শোক ঘোষণা করে নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, শনিবার অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। দেশজুড়ে পালিত হবে রাষ্ট্রীয় শোক। সেই মতোই এদিন দেশের সমস্ত অফিস ও সরকারি কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বাতিল করা হয় বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান।

  • Juice For Healthy Skin: উজ্জ্বল ত্বক চান? রোজ খান এই জুসটি, পরিবর্তন দেখুন এক সপ্তাহে

    Juice For Healthy Skin: উজ্জ্বল ত্বক চান? রোজ খান এই জুসটি, পরিবর্তন দেখুন এক সপ্তাহে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশিরভাগ মানুষই নিজের ত্বক নিয়ে সবচেয়ে বেশি সচেতন। আর সুন্দর মুখের প্রথম শর্ত হল মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক। তাই মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে রোজ আপনারা কত কিছুই না করে থাকেন। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতেও ত্বক উজ্জ্বল করা যায়। তাও একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে। তবে কেবল বাইরে থেকে যত্ন নিলেই হয় না, সৌন্দর্য বজায় রাখতে শরীরকে ভেতর থেকেও পরিচর্যা করা প্রয়োজন। এর জন্য ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে ভালো খাবার খাওয়া উচিত। খাদ্যের ওপরেই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা নির্ভর করে। এমন অনেক খাবার আছে, যেমন- বাদাম, ফলের রস, বীজ ইত্যাদি  যেগুলি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে খাদ্যতালিকায় একটি জুস রাখলে ও নিয়মিত খেলে আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পারবেন। সুস্থ, উজ্জ্বল ত্বক পেতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই জুসটি। এই জুসটি তৈরি করতে কী কী উপকরণ লাগে, জেনে নিন।

    আরও পড়ুন: সুস্থ থাকতে রোজ খান এই ৫টি শাক, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

    উপকরণ: কিছু পরিমাণ পাতা কপি (Kale), শশা (Cucumber), সবুজ আপেল (Green Apple) , সেলেরি (Celery) ও অল্প পরিমাণে লেবুর রস।

    প্রক্রিয়া: এই জুস বানানোর জন্য বিশেষ কিছু করতে হয় না। সব উপকরণ ভালো করে ধুয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডারে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যায় জুসটি। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই এটি খেয়ে নিন নয়তো পরে তেতো হয়ে যেতে পারে।

    উপকারিতা: পাতা কপি ভিটামিন এ, বি, সি (Vitamin A, B, C) ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে (Antioxidants) সমৃদ্ধ একটি খাবার যা ত্বককে হাইড্রেট রাখতে, ত্বকের বলিরেখা কমাতে, ত্বককে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। আবার শশা ও সেলেরিতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় ত্বককে কোমল করে তোলে।  

    আরও পড়ুন: এই ৫ ভারতীয় সুপারফুড, যা আপনাকে করতে পারে রোগমুক্ত  

  • Maharashtra Gujarat Flood: বন্যায় বিধ্বস্ত গুজরাট – মহারাষ্ট্র, মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি

    Maharashtra Gujarat Flood: বন্যায় বিধ্বস্ত গুজরাট – মহারাষ্ট্র, মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র (Maharashtra), গুজরাট (Gujarat)। সোমবার গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র-সহ অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টির কারণে জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মহারাষ্ট্রে ৮৯ জন ও গুজরাটে ৬৪  জন প্রাণ হারিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    প্রবল বর্ষণের ফলে মুম্বইয়ের পালঘাই (Palghai) জেলার ভাসাই (Vasai) এলাকায় ভূমিধস নামায় সেই মুহূর্তেই একজন প্রাণ হারায় ও দুজন আহত হন। এখনও উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। অনবরত বৃষ্টি হওয়ার ফলে অন্ধেরিতে ট্রেন চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটেছে। রাস্তাঘাট জলমগ্ন থাকায় যাতায়াতকারীদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৮৩৯-এর বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদিন বৃষ্টিতে সাময়িক বিরতি হলেও একাধিক গ্রামে যোগাযোগের রাস্তা এখনও প্লাবিত। বিভিন্ন নদীর জলস্তরও বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও কিছু কিছু বাঁধের জল ছাড়ার ফলে মহারাষ্ট্রের একাধিক গ্রাম রামটেক, উমরেদ, ভিভাপুরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    প্রবল বৃষ্টির ফলে গুজরাটের অবস্থাও বেশ ভয়াবহ। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে গুজরাটে। সেই কারণেই তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যের একাধিক বাঁধের মধ্যে ন্যারি (Nyari) বাঁধের অবস্থা উদ্বেগজনক। উপচে পড়ছে নদী। সরকারি সূত্রের খবর, গুজরাটের একাধিক এলাকা বন্যাপ্রবণ। বৃষ্টির কারণে নদী উপচে পড়লে বিশাল এলাকা বানভাসি হয়ে গিয়েছে। ৯ হাজারের বেশি লোককে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে ও বন্যাপ্রবণ এলাকা থেকে ৪৬৮ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে ৩৮৮-এর বেশি রাস্তা জলমগ্ন থাকায় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। 

    বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে গুজরাট ও মহারাষ্ট্র। ভারী বৃষ্টিতে এই দুই রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১০০-এর বেশি মানুষ। জলমগ্ন হয়ে রয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা।  তবে শুধুমাত্র গুজরাট, মহারাষ্ট্র নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যের অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে নাজেহাল অবস্থা।

  • Gyanvapi Row: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    Gyanvapi Row: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসী জেলা আদালতে শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার (Gyanvapi Mosque Case)  শুনানি। এদিন দুপুর দুটোয় জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এ কে বিশ্বাসের এজলাসে শোনা হয় আবেদনকারী পাঁচ হিন্দু (Hindu) মহিলা ভক্তের তরফে জ্ঞানবাপী চত্বরের মা শৃঙ্গার গৌরীস্থলে (Shringar Gauri)  পুজোআচ্চার জন্য আবেদনের পক্ষে যুক্তি।

    জুলাই মাসের চার তারিখে মুসলিম পক্ষের তরফে ৫১ দফা যুক্তি শুনেছিল আদালত। অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটিই দেখাশোনা করে জ্ঞানবাপী মসজিদ। ওই কমিটির আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ আমলেও জ্ঞানবাপী মসজিদের জমিতে মন্দির গড়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৩৬ সালে বারাণসী আদালতে সেই আবেদন জানানো হলেও, ওই মসজিদে নমাজ আদায়ের অধিকার বজায় থাকে ১৯৩৭ সালের রায়ে। তার পর থেকে মসজিদে নিত্য নমাজ পড়েন নমাজিরা।

    ২০২১ সালের অগস্টে পাঁচজন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী এবং মসজিদের ভিতরের পশ্চিমের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব রয়েছে দাবি করে তা পুজোর অনুমতি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটি মসজিদের ভিতরে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয়। সেই ভিডিওগ্রাফির একটি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তাতে দেখা গিয়েছে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, শিবলিঙ্গ নয়, ওজুখানার জলাধারে রয়েছে পুরানো ফোয়ারা।  

    ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। ১৯৯১ সালে সোমনাথ ব্যাস এবং রামরঙ্গ শর্মা নামে দুই আবেদনকারী জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুত্বের অধিকারের দাবিতেও একটি মামলা করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, ১৯৯১ এর ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইন অনুযায়ী জ্ঞানবাপী মসজিদ আবেদনকারী পক্ষকে দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে বর্তমান বন্দোবস্তই বহাল থাকবে। ওই আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের আগে থেকে দেশে যেসব ধর্মীয় কাঠামো রয়েছে, তার চরিত্র কোনওভাবেই পালটানো যাবে না। যদিও হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন এবং হরিশঙ্কর জৈনের দাবি, ১৯৯১ সালের ওই আইন জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

     

  • Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (Garden Reach Shipbuilders and Engineers) নির্মিত নৌসেনার (Indian Navy) নতুন স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate) শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উপস্থিত থাকবেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R. Hari Kumar) সহ নৌসেনা, প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of Defence) ও গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের শীর্ষ পদাধিকারীরা।

    প্রোজেক্ট ১৭-আলফা (Project 17-Alpha) প্রকল্পের আওতায় থাকা স্টেলথ ফ্রিগেটের নকশা করেছে নৌসেনার আওতাধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন। এই সংস্থাই দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর নকশাও করেছে। প্রোজেক্ট ১৭-আলফা প্রকল্পের প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেটের নাম ‘আইএনএস নিলগিরি’। পি ১৭-এ (P-17A) ফ্রিগেট ঘরানার এটি হতে চলেছে চতুর্থ জাহাজ। এই প্রকল্পের আওকায় মোট সাতটি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজগুলি নির্মাণ করছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক লিমিটেডে (MDL) ও কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (GRSE)। 

    নৌনেসার নিয়মানুসারে, যে কোনও প্রকল্পের প্রথম জাহাজের নামকে সেই প্রকল্পের শ্রেণি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। যে কারণে, এই প্রকল্পের বাকি ৬টি জাহাজগুলিকে “নিলগিরি-শ্রেণি” ফ্রিগেট হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। আগামীকাল, যে জাহাজটির উদ্বোধন হবে, সেটি হবে গার্ডেনরিচে নির্মিত এই প্রকল্পের আওতায় থাকা দ্বিতীয় জাহাজ। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথম জাহাজ গার্ডেনরিচে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri) স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    আগামীকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে, নৌসেনার ঐহিত্য অনুসারে, জাহাজের নামকরণ ও উদ্বোধন করবেন দেশের নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের স্ত্রী শ্রমতী কলা হরি কুমার। এই জাহাজের নাম হতে চলেছে ‘আইএনএস দুনাগিরি’ (INS Dunagiri)।

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই জাহাজের বৈশিষ্ট্য—

    প্রোজেক্ট ১৭-এ প্রকল্পের আওতায় থাকা ফ্রিগেটগুলি স্টেলথ। অর্থাৎ, এক কথায় এই জাহাজের ওপর এমন আস্তরণ রয়েছে, যাতে এর রেডার সিগনেচার (Radar signature) কমে যায়। এক কথায়, শত্রুর রেডারে ধরা পড়বে না। মূলত, এই জাহাজগুলির প্রধান নকশা প্রোজেক্ট-১৭ শ্রেণি থেকে নেওয়া। তবে, তাতে অনেক আধুনীকিকরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (Surface to Air Missile)-এর ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম (VLS) বা লম্বালম্বি নিক্ষেপ-ব্যবস্থা।

    এই জাহাজগুলি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। অ্যান্টি-সারফেস ওয়ারফেয়ার (anti-surface warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৮টি ব্রহ্মোস (BrahMos) জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (anti-ship cruise missiles)। এই মিসাইলের সর্বোচ্চ গতি ‘মাক ৩’, অর্থাৎ শব্দের গতির তিনগুণ। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ৭৬ মিমি নেভাল গান (OTO Melara 76 mm naval gun)। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    অ্যান্টি-এয়ার ওয়ারফেয়ার (anti-air warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৩২টি বারাক ৮ইআর (Barak 8ER) দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (LR-SAM)। এর পাল্লা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। আকাশপথে আসা শত্রুর যে কোনও বিপদ যেমন যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মানবহীন বিমান বা ড্রোন— সবকিছুকে ধ্বংস করতে জুড়িহীন এই ইজরায়েলি-জাত ক্ষেপণাস্ত্রের।

    অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার (anti-submarine warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে দুটি টর্পেডো লঞ্চার। এক-একটি থেকে তিনটি করে টর্পেডো নিক্ষেপ করা যায়। এতে রয়েছে ২টি সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার (anti-submarine rocket launchers) যার মধ্য দিয়ে রুশ নির্মিত ১ কিমি পাল্লার আরবিইউ-৬০০০ স্মার্চ-২ (RBU-6000 Smerch-2) রকেট নিক্ষেপ করা যায়। এছাড়া, শত্রুর ছোঁড়া টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করতে এতে রয়েছে ২টি অ্যান্টি-টর্পেডো ডিকয় সিস্টেম (anti-torpedo decoy system) এবং ৪টি ডিকয় লঞ্চার (Kavach anti-missile decoy launchers)। 

    এই জাহাজের ডেক থেকে দেশীয় এএলএইচ ধ্রুব মার্ক-৩ (ALH Dhruv MK-III) জলপথ নজরদারি কপ্টার এবং ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং (Westland Sea King) জাহাজ ও সাবমেরিন-বিধ্বংসে পারদর্শী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকবে। 

  • 20 Years of Devdas: ‘দেবদাস’ ছবির ২০ বছর! নস্টালজিক ঐশ্বর্য ও সঞ্জয়লীলা বনশালি

    20 Years of Devdas: ‘দেবদাস’ ছবির ২০ বছর! নস্টালজিক ঐশ্বর্য ও সঞ্জয়লীলা বনশালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়ি বছরে পা দিল সঞ্জয়লীলা বনশালি (Sanjay Leela Bhansali) পরিচালিত ‘দেবদাস’ (Devdas) সিনেমাটি। ২০০২ সালের ১২ জুলাই মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন বলিউডের তিন সুপারস্টার শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan), ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan) ও মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit)। ছবিটি ভারতীয় সিনেমায় এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। বাঙালি লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘দেবদাস’ উপন্যাস অবলম্বন করেই এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল। মুক্তির ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও দর্শকদের মনে এই সিনেমার এক অন্যরকম উপস্থিতি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাদশার প্রতিবেশী বাজিরাও! রণবীরের নতুন ফ্ল্যাটের দাম শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন

    এই ছবি মুক্তির স্মৃতিচারণা করে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ছবির এক পোস্টার গতকাল ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেন। শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর অনুরাগীরা তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে প্রথমেই তাঁর ছবিতে যিনি কমেন্ট করেন, তিনি হলেন তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)। তিনি সেখানে একটি হৃদয়ের ইমোজি দেন। এরপরেই ঐশ্বর্যের ভক্তরা একের পর এক কমেন্ট করতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে কেউ লিখেছেন “ ২০ বছর পার হলেও মনে হচ্ছে এটি কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে। আমার সবসময়ের পছন্দের সিনেমা।“ কেউ লিখেছেন, “আপনার অভিনয় এই সিনেমায় অপূর্ব ছিল।“ অনেকেই এই দিনে আবার এই সিনেমাটি দেখবে, এই কথাও লিখেছেন কমেন্ট সেকশনে।

    [insta]https://www.instagram.com/p/Cf69k16OYqQ/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    এছাড়াও এদিন পরিচালক বনশালি ছবির জন্য নির্মিত পোস্টারগুলি ট্যুইট করে শেয়ার করেছেন। সেই পোস্টারেই দেখা যাচ্ছে মাথায় হ্যাট, মুখে চুরুট আর সাহেবিয়ানায় ভরপুর দেবদাস অর্থাৎ শাহরুখকে। অন্য দুটি পোস্টারে বলি ডিভা মাধুরী দীক্ষিত ও ঐশ্বর্য রাইকে দেখা যাচ্ছে। তাঁদের রূপের ছটা যেন ছড়িয়ে পড়েছে। চন্দ্রমুখী রূপে মাধুরীকে আর পারো বা পার্বতী রূপে ঐশ্বর্যকে আজও দর্শক মনে রেখেছে। এদের সৌন্দর্য যেন আজও আকর্ষণ করে মানুষকে। এই ছবির পুরনো সেই পোস্টারগুলি প্রায় সবাইকেই নস্টালজিক করে তুলেছে।

    আরও পড়ুন: অর্ধেক বলিউড লন্ডনে! লিস্ট বানালেন শাবানা আজমি

    [tw]


    [/tw] 

  • Technology To Kill Mosquito: মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

    Technology To Kill Mosquito: মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমকাল হোক বা শীতকাল, মশার (Mosquito) উপদ্রবের হাত থেকে রেহাই নেই। বিকেল হতে না হতেই মশা ঢুকে পড়ছে ঘরে। সঙ্গে নিয়ে আসছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং আরও নানা অসুখ। অনেকেই মশা তাড়ানোর জন্য নানা স্প্রে বা অনেক কেমিক্যালজাত দ্রব্য ব্যবহার করে থাকেন। তবে অনেক সময় তা কার্যকরী হয় না বা হলেও অন্য উপকারী কীট-পতঙ্গদেরও ক্ষতি করে থাকে। আবার সেই কেমিক্যালজাত স্প্রেগুলো কোনও খাবারে মিশে গেলেও শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। কিন্তু এই মশাদের হাত থেকে রেহাই দিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ রিসার্চ (Indian Council of Medical Research) এক অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে যার নাম বিটিআই (Bti)। যার সাহায্যে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ছড়ানো মশাদের সহজেই মারা যায়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গু সংক্রান্ত সিনড্রোম ভয় ধরাচ্ছে, আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুরা

    মশা মারার পদ্ধতিতে ব্যাসিলাস থুরিংয়েনসিস ইসরাইলেন্সিস (Bacillus Thuringiensis Israelensis) নামক ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয় এবং এটি একটি পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতি। কারণ এর ফলে শুধুমাত্র মশাই মারা যায়, এটি অন্য কীট-পতঙ্গের কোনওরকম ক্ষতি করে না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া কমানোর জন্য এই পদ্ধতিটিই উপযুক্ত উপায়। আইসিএমআর-এর ভেক্টর কন্ট্রোল রিলার্চ সেন্টার (Vector Control Research Centre) এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে।

    এই পদ্ধতির বিষয়ে বলতে গিয়ে আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর অশ্বিনী কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য হল এটি শুধুমাত্র মশা ও মাছির লার্ভাদের মারে, এর ফলে অন্যান্য কোনও পোকামাকড়, জলজ প্রাণী বা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষতি করে না। ভেক্টর কন্ট্রোল রিসার্চ সেন্টারের এই পদ্ধতিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ্ধতির মতই কার্যকরী বলেছেন। ২১টি কোম্পানিতে এই পদ্ধতি ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আতঙ্কের নয়া নাম ওয়েস্ট নাইল! কীভাবে মানবদেহে ছড়ায় এই ভাইরাস?

    মশার হাত থেকে রেহাই পেতে এই প্রযুক্তিই ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে ভারত। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের দুটি সুবিধা রয়েছে, এক হল এটি পরিবেশ-বান্ধব ও এটি কার্যকরীও। বি়জ্ঞানীরা আশা করছেন যে, এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই ভারতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারবে।

  • I2U2: ছয় ক্ষেত্রে যৌথ লগ্নি আইটুইউটু-র, প্রথম প্রজেক্ট ভারতে

    I2U2: ছয় ক্ষেত্রে যৌথ লগ্নি আইটুইউটু-র, প্রথম প্রজেক্ট ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইটুইউটু-র (I2U2) প্রথম প্রজেক্ট হতে চলেছে ভারতে (India)। কৃষি (Agriculture), খাদ্য (Food) এবং গ্রিন এনার্জি-র (Green Energy) ক্ষেত্রে হবে এই বিনিয়োগ। চার দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে একথা।

    আই টু ইউ টু-র অর্থ ইন্ডিয়া ও ইসরায়েল এবং আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। বৃহস্পতিবার হয় এই চার দেশের প্রথম ভার্চুয়াল সম্মেলন। এদিনের সম্মেলেন যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। উদ্বোধনী বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা সংকট ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথম বৈঠকেই ভারতে খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?

    ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইটুইউটু গোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, গোটা বিশ্বে যেভাবে অনিশ্চয়তা বাড়ছে, তার মধ্যে ব্যবহারিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য এটি অত্যন্ত ভাল একটি মডেল। মোদি বলেন, এই গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী শক্তি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রথম শীর্ষ সম্মেলন থেকেই আইটুইউটু একটি ইতিবাচক অ্যাজেন্ডা প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্প চিহ্নিত করেছি এবং সেই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছি।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন?

    মোদি জানান, আইটুইউটু গোষ্ঠীর কাঠামোর অধীনে জল, শক্তি, পরিবহণ, মহাকাশ, স্বাস্থ্য এবং খাদ্য- নিরাপত্তার এই ছটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত চার দেশ। মোদি বলেন, এই গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি ও অ্যাজেন্ডা প্রগতিশীল ও বাস্তবোচিত। তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতামূলক কাঠামো ক্রমবর্ধমান গ্লোবাল অনিশ্চয়তার মুখে ব্যবহারিক সহযোগিতার জন্য একটি ভালো মডেল।

    জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যে দুশো কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে এ দেশে, তাতে তারা বেশ কয়েকটি খাদ্য নিরাপত্তা পার্ক গড়ে তুলবে। প্রকল্পের জন্য জমি দেবে ভারত সরকার। পার্কগুলির সঙ্গে কৃষকদের যুক্ত করার কাজও করবে সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রথম যে দুটি প্রজেক্টের ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, সে দুটি হল খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রিন এনার্জি। এর মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ হল খাদ্য নিরাপত্তা। কারণ তামাম বিশ্ব আপাতত ভুগছে খাদ্য অনিশ্চয়তায়।

     

  • RSS: আরএসএসের কাছে গুরুপূর্ণিমার মাহাত্ম্য কতটা, জানেন কি?  

    RSS: আরএসএসের কাছে গুরুপূর্ণিমার মাহাত্ম্য কতটা, জানেন কি?  

     

    অরুণ আনন্দ

     

    আজ গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima)। গুরুর প্রতি শিষ্যের (Disciple) শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের দিন। দিনটি ব্যাসদেবের জন্মদিনও। মহর্ষি ব্যাস চতুর্বেদ সম্পাদনা ছাড়াও রচনা করেছিলেন ১৮টি পুরাণ। তাই দিনটি ব্যাস পূর্ণিমা নামেও খ্যাত। শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটি পালন করে আরএসএসও (RSS)। এই দিন থেকে শুরু হয় আরএসএসের গুরুদক্ষিণা (Gurudakshina) দিবস।

    তবে আরএসএসের কাছে গুরুদক্ষিণা দিবস কোনও একটি দিন নয়। প্রায় একমাস ধরে চলতে থাকে অনুশীলন। গোটা দেশে আরএসএসের ৬০ হাজার শাখায় পালিত হয় গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠান। ফি বছর আরএসএস ছটি অনুষ্ঠান পালন করে। তারই একটি হল গুরুপূজা। বাকি পাঁচটি হল বিজয়াদশমী, মকর সংক্রান্তি, বর্ষা প্রতিপদ, হিন্দু সম্রাজ্য দিবস এবং রাখিবন্ধন। গুরুপূর্ণিমার দিনেই শুরু হয় আরএসএসের গুরুদক্ষিণা কর্মসূচির। কর্মসূচি পালিত হয় প্রায় এক মাস ধরে। মূলত দুটি কারণে পালিত হয় এই কর্মসূচি। একটি কারণ হল, ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে গুরু-শিষ্যের চিরন্তন সম্পর্ক বজায় রাখা। আর দ্বিতীয় কারণ হল, নিজস্ব সম্পদে বলীয়ান হয়ে ওঠা, যাতে কখনওই অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে না হয়।

    সুপ্রাচীন কালে ব্রহ্মচর্যাশ্রম পর্বে গুরুগৃহে থেকে শিক্ষালাভ করতেন শিষ্যরা। শিক্ষাপর্ব শেষ হলে দিতে হত গুরুদক্ষিণা। গুরুর প্রতি শিষ্য যে কৃতজ্ঞ, তার প্রকাশক এই গুরুদক্ষিণা। অতীতের সেই পরাম্পরা মেনে আজও গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠান উদযাপন করে আরএসএস। একটি হলঘরে পালিত হয় অনুষ্ঠানটি। সচরাচর সকালেই হয় অনুষ্ঠান। এদিন সবাই সাদা পোশাক পরে যোগ দেন অনুষ্ঠানে। ভারতীয় ঐতিহ্য মেনে স্বয়ংসেবকরা পরে ধুতি কুর্তা কিংবা কুর্তা পাজামা। ওই হলঘরেই তোলা হয় আরএসএসের গেরুয়া পতাকা। জ্বালানো হয় মাটির প্রদীপ, ধূপ। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার এবং দ্বিতীয় সরসংঘচালক মাধব সদাশিবরাও গোলওয়ালকর। আরএসএসের মধ্যে গুরুজি নামে পরিচিত এই গোলওয়ালকর।

    আরও পড়ুন : ২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    গুরুদক্ষিণা অনুষ্ঠানের শুরুতে গুরুর উদ্দেশে নিবেদিত কয়েকটি সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারিত হয় সমবেত কণ্ঠে। এর পরেই স্বয়ংসেবকরা গান দেশপ্রেমের গান। তার পরে এক একজন গিয়ে গৈরিক নিশানের পদপ্রান্তে অর্পণ করে পুষ্পার্ঘ্য। প্রণাম জানিয়ে ফিরে যান নিজের জায়গায়।পরে সাদা খামে মোড়া দক্ষিণা দান করেন স্বয়ংসেবকরা। যেহেতু দান মোড়া থাকে খামে, তাই কেউই জানেন না, ঠিক কত দক্ষিণা কে দিলেন। খাম রেখে আরও একবার প্রণাম সেরে ফের ফিরে যান নিজের জায়গায়।

    কেবল স্বয়ংসেবকরা নন, গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। অধ্যাপক, চিকিৎসক, সশস্ত্র বাহিনীর কোনও প্রাক্তন আধিকারিক কিংবা সমাজের কোনও গণ্যমান্য ব্যক্তি।এভাবেই ধীরে ধীরে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা যুক্ত হয়ে পড়েন আরএসএসের সঙ্গে। সব শেষে হয় আরএসএসের প্রার্থনা। অনুষ্ঠান পর্ব শেষ হলে পরে খাম খুলে হিসেব নিকেশ করা হয় গুরুদক্ষিণা বাবদ প্রাপ্য অর্থ।

    আরও পড়ুন : উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস

    আরএসএসের কাছে গুরুদক্ষিণার তাৎপর্য অনেক। এর মধ্যে গুরু-শিষ্যের চিরন্তন সম্পর্কের পরম্পরা বজায় রাখাও যেমন একটি, তেমনি শিষ্যদের থেকে সংগ্রহ করা হয় সংঘ চালনার অর্থ। সংঘে গৈরিক পতাকা চির উড্ডীন রাখতে যা প্রয়োজন। সর্বোপরি, সংঘের পতাকা যে সবার ওপরে, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয় সংঘ-সদস্যদের।

    শুধু তাই নয়, গুরুদক্ষিণা দিবস পালনের আরও একটা মহতী উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটি হল যেসব স্বয়ংসেবক সংঘে নিয়মিত নন, তাঁদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগও হয় গুরুদক্ষিণা দিবস পালনের মাধ্যমে। বছরে অন্তত এই সময়টায় তাঁরা সংঘের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

    সংঘে এই গুরুদক্ষিণা কর্মসূচি পালনের আরও একটি উদ্দেশ্য হল সততার পাঠ দেওয়া। স্বয়ংসেবকরা গুরুদক্ষিণা হিসেবে যে অর্থ দান করেন, সেই অর্থের কানাকড়িও এদিক ওদিক হয় না। কোনও স্বয়ংসেবক কী পরিমাণ অর্থ দান করেন, তা দিয়ে তাঁদের যোগ্যতাও মাপা হয় না।

    ফি বার গুরুদক্ষিণা কর্মসূচি পালনের পর মুখ্যশিক্ষক দক্ষিণা বাবদ কত দান সংগৃহীত হল, তার হিসেব কষেন। যাঁরা দান দিয়েছেন, তাঁদের নাম এবং দানের অর্থের পরিমাণ সবই লিখে রাখা হয়। পরে সেই তুলে দেওয়া হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে। সংগৃহীত অর্থ আরএসএসের বিভিন্ন কাজে লাগানো হয়। গুরুদক্ষিণা বাবদ যে অর্থ আয় হয়, তার কানাকড়িও কেউ নেন না। তাই দুর্নীতির কোনও কথাও কশ্মিনকালেও ওঠেনি আরএসএসের ইতিহাসে। আরএসএস স্বয়ংসেবকদের চরিত্র গঠনের ওপর জোর দেয় নিরন্তর। তার জেরেই স্বয়ংসেবকরা উন্নত চরিত্রের হন। আরএসএসের কট্টর সমালোচকরাও সংঘের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি কোনওদিন।

    আরএসএসে গুরুদক্ষিণা পালিত হয় বছরে একবার। এক পক্ষকাল কিংবা এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এই পুরো পর্ব জুড়ে হয় গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠান পালন। আরএসএসের জন্মলগ্ন থেকে এই পরম্পরায় ছেদ পড়েনি। শুধু তাই নয়, এই অনুষ্ঠান আরএসএসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম পবিত্র অনুষ্ঠানও। তাই আরএসএস গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠানটি পালন করে মর্যাদার সঙ্গে।

     

    (তথ্য সৌজন্য- ফার্স্টপোস্ট ডট কম)

LinkedIn
Share