Blog

  • Indian Army: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    Indian Army: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় প্রযুক্তির দ্বারা সামরিক বাহিনীকে সাজাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তাঁর মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে দেশ। তারই এক ধাপ হিসেবে ভারতীয় সেনার হাতে কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেইকেল (QRFV) তুলে দিল টাটারা। দেশীয় প্রযুক্তিতে এই যুদ্ধ যান তৈরি করেছে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম লিমিটেড (Tata Advanced Systems Limited)। সম্প্রতি এক ট্যুইট বার্তায় কোম্পানির তরফে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

    মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইটে ভিডিও পোস্ট করে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম লিমিটেড (TASL) লিখেছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে সফলভাবে QRFV তুলে দেওয়া হয়েছে।” কোম্পানির তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে যে কোন রকমের সংঘর্ষের সময় এই যান ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারবে।

    [tw]


    [/tw]

    সম্প্রতি প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট বলেছিলেন  কেন্দ্র সরকার গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি নীতিগত উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত দেশীয় প্রযুক্তি ও ডিজাইন ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে উৎসাহিত করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদন সম্প্রসারণকেই পাখির চোখ করেছে মোদি সরকার।সম্প্রতি রাজ্যসভায় লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত গত চার বছরে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কেন্দ্রের উদ্যোগে বিদেশ থেকে প্রতিরক্ষা আমদানি ৪৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৬ শতাংশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনছে সেনা! অনুমতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    এপ্রিল মাসে, সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে QRFV-এর প্রথম সেট অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলে আসছে কেন্দ্র। সেই পথে নতুন দিশা দেখাবে টাটা অ্যাডভ্যান্সড  সিস্টেমের ডেলিভারি, বলে আশা প্রতিরক্ষা মহলে।

  • Jharkhand ED Raid: এবার ইডির নজরে হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ, চলল তল্লাশি

    Jharkhand ED Raid: এবার ইডির নজরে হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ, চলল তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপের মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) নজরে ঝাড়খণ্ড। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ১৭ টি জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (CM Hemant Soren) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, সাহেবগঞ্জের বিধায়ক পঙ্কজ মিশ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন অভিযান চালায় ইডি।     
     
    জানা গিয়েছে, পঙ্কজ মিশ্রের (Pankaj Mishra) বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের হয়েছে। তারই ভিত্তিতে এদিন ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ, বারহেত এবং রাজমহল এলাকায় অভিযান চালায় ইডি। এর আগে ইডি ঝাড়খণ্ডের খনি সচিব পূজা সিঙ্ঘলের বিরুদ্ধেও একটি মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলার সঙ্গে এই মামলার যোগ নেই। এটি একটি পৃথক মামলা। ইডির এক আধিকারিক জানান, “পঙ্কজ মিশ্রের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ড পুলিশই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: আর্থিক অনিয়ম আমলার! ৫ দিনের ইডি হেফাজতে আইএএস পূজা সিঙ্ঘল        

    নতুন মামলাটি ২০২০ সালের জুন মাসে সাহেবগঞ্জের বাধরওয়া থানায় দায়ের করা হয়। টোল ট্যাক্সের এক ঠিকাদার এই মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ করা হয়, পঙ্কজ মিশ্র এবং রাজ্যের আরেক মন্ত্রীর নির্দেশে ওই এলাকায় সংঘর্ষ হয়। বাধরওয়া নগর পঞ্চায়েতে ঢোকা গাড়ি থেকে টোল আদায়ের সময় আশান্তির সূত্রপাত হয়। মূলত টেন্ডার নিয়ে বিতর্ক বাধে।   

    আরও পড়ুন: ভাঙল ১২৯ বছরের রেকর্ড! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনন্য কীর্তি বাংলার

    অভিযোগকারী ঠিকাদার জানান, মন্ত্রীর ভাইও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। ঠিকাদার অভিযোগ করেন, একটি ড্যামি সংস্থাকে প্ররোচিত করে তিনি টেন্ডার প্রক্রিয়াটি বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। 

    চলতি বছরের শুরুর দিকে ইডি ঝাড়খণ্ডের ১৮ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন (MGNREGA) তহবিলের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি আর্থিক তছরুপের মামলায় খনি সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় পরে ইডি তাঁকে গ্রেফতারও করে।  

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও বেআইনিভাবে খনির লিজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বসন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীকেও এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একটি সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা রঘুবর দাস অভিযোগ তোলার পরেই বিষয়টি সামনে আসে।

     

  • Dengue-linked syndrome: ডেঙ্গু সংক্রান্ত সিনড্রোম ভয় ধরাচ্ছে, আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুরা 

    Dengue-linked syndrome: ডেঙ্গু সংক্রান্ত সিনড্রোম ভয় ধরাচ্ছে, আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাপ্তবয়স্কদের মতো বহু শিশুও ডেঙ্গু-প্ররোচিত (Dengue-linked syndrome) হেমোফ্যাগোসাইটিক লিম্ফোহিস্টিওসাইটোসিস (Haemophagocytic Lymphohistiocytosis syndrome) (HLH) সিন্ড্রোমের সম্মুখীন হচ্ছে। এটি একটি বিরল এবং প্রাণঘাতী রোগ। ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু-জনিত HLH সমস্যা রয়েছে গড়ে এমন তিন থেকে চারজন রোগীর (শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের) এই মুহূর্তে পুনের বড় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। প্রায় পাঁচ বছর আগে, পুনের ডাক্তাররা বছরে মাত্র একটি বা দুটি এরকম ঘটনা দেখতে পেতেন। তাঁদের বক্তব্য প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দ্বিতীয়বারের ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে এই রোগের জন্ম হয়। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারণ করছে এই ভাইরাস। শিশুরা এই রোগের প্রভাবে বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা পর্যন্ত হারাতে পারে। প্রথমবার ডেঙ্গুর আক্রমণেই শিশুদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এই  রোগ। 

    আরও পড়ুন: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র 

    ডাক্তারদের মতে, ডেঙ্গুতে ৭-৮ দিনের পরেও জ্বর থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক। এরকম ঘটনা ঘটলে ধরে নিতে হবে ডেঙ্গুর সঙ্গে HLH- এর প্রভাবও রয়েছে। আগে HLH- কে একটি রক্তের অসুখ বা রক্তের ক্যান্সার-সংক্রান্ত জটিলতা মনে করা হত। ডেঙ্গুর সঙ্গে এর জড়িত থাকার বিষয়টি জানতেন না চিকিৎসকরা। কিন্তু এখন সেই ভুল ভেঙে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২  

    প্রাপ্তবয়স্কদের বেশ কয়েকজন দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রথম সংক্রমণের কয়েক মাস বা বছর পরে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রমণ করলে HLH-এর মতো জটিলতার ঝুঁকির অনেকটাই বেড়ে যায়। 

    ডেঙ্গু HLH- এর অন্যতম কারণ। ২০২০ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, মোট ১৮৩ জন গুরুতর ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ১২%- এর শরীরে HLH -এর লক্ষণ দেখা যায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ রয়েছে। ফলে একটি বিশেষ সেরোটাইপের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্য একটিকে ঠেকাতে পারে না। ফলে HLH- এর ঝুঁকি থেকেই যায়।  

     

  • Abu Salem: আবু সালেমের জেলের সাজা ২৫ বছরের বেশি নয়, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

    Abu Salem: আবু সালেমের জেলের সাজা ২৫ বছরের বেশি নয়, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবু সালেমকে (Abu Salem) ২৫ বছরের বেশি জেলে রাখা যাবে না। সোমবার একথা স্পষ্ট জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ২০০২ সালে পর্তুগাল (Portugal) আদালতকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল আবু সালেমকে ২৫ বছরের বেশি জেলে রাখা হবে না। সেকথাও এদিন স্মরণ করিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রকে সেই প্রতিশ্রুতির সম্মান রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ জানিয়েছে, ২৫ বছরের জেলের পরে কেন্দ্র রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারে যাতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: সোমবার বিজয় মালিয়া মামলার রায় ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

     ১৯৯৩ সালে মুম্বইতে একাধিক বোমা হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় আবু সালেম। বোমা হামলার আগে গুজরাট থেকে মুম্বইতে অস্ত্র পাঠিয়েছিল আবু সালেম। সালেম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পর্তুগালের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে ভারত। শেষে ২০০৫ সালের ১১ নভেম্বর তাঁকে পর্তুগাল থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। তখনই ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী (Lal Krishna Advani) পোর্তুগাল সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আবু সালেমকে যেই সাজাই দেওয়া হোক না কেন তা ২৫ বছরের বেশি হবে না। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছে সালেম। সে জানিয়েছে ২০৩০ সালেই তার সাজা শেষ হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল ও এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ জানিয়েছে, “ভারতের রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানের ৭২ নম্বর ধারা মেনে চলার পরামর্শ দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ২৫ বছরের সাজা শেষের এক মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র জমা করতে হবে। এমনকী কেন্দ্র চাইলে ভারতীয় দণ্ডবিধি মেনে এই এক মাসও মকুব করতে পারে।” 

    সালেমের আইনজীবীর তরফে আবেদন করা হয়েছিল পর্তুগালে যতদিন জেলে ছিলেন আবু সালেম সেটাকেও যেন জেলবাসের মধ্যে ধরা হয়। তবে এই আবেদন মানতে চায়নি সুপ্রিমকোর্ট। আদালত জানিয়েছে ২০০৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২৫ বছর কারাদণ্ডের সময় গণনা করা হবে।  

    ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও অন্য একটি মামলায় আবু সালেমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ টাডা আদালত। ১৯৯৫ সালে মুম্বইয়ের নির্মাণ ব্যবসায়ী প্রদীপ জৈন ও তাঁর চালক মেহেদি হাসানকে খুন করার জন্য়ও তাকে সাজা পেতে হয়। 

     

     

     

     

  • RSS: ২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    RSS: ২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস (RSS) (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শতবর্ষ উদযাপনের আগে, ২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশে আরএসএস শাখার সংখ্যা ১ লাখে নিয়ে যাওয়া হবে। ২০২৫ সালে সংঘের শতবর্ষপূর্তি। তিন দিনের অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক সভায় (Akhil Bharatiya Prant Pracharak meeting) এমনটাই আলোচনা করা হয়েছে। ৭ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে (Jhunjhunu) অনুষ্ঠিত হয় আরএসএস-এর সভা। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের মধ্যেই এই লক্ষ্য পূরণ করতে চায় সংঘ।

    আরও পড়ুন: উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস

    এই সভার তথ্য দিয়ে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-এর জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar) বলেন, “২০২৫ সালে আরএসএস তার ১০০ বছর পূর্তি পালন করবে। সংঘের শতবর্ষ উদযাপনের জন্য একটি ব্যাপক সম্প্রসারণ পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশে এক লক্ষ শাখা তৈরি করা হবে যাতে সংঘের কাজ সমাজের সমস্ত স্তরের মূলে পৌঁছে যেতে পারে।” ২০২৪ সালের মধ্যেই দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাজে সংঘ যাতে পৌঁছে যেতে পারে তার জন্য তারা শাখার সংখ্যাও বাড়াতে তৎপর।

    তিনি আরও বলেন, সামাজিক জাগরণসহ সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করাই আরএসএস-এর প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, সংঘের কাজে গতি এসেছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যে শাখার কাজ বন্ধ হয়েছিল তা আবার শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে শাখার সংখ্যা ৫৬,৮২৪। সেটাই বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

    রাজস্থানে সংঘের এই বৈঠকে ছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত সহ ৪৫ জন সহ-প্রান্ত প্রচারক ৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠকটি ঝুনঝুনুতে খেমি শক্তি মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছিল।

  • Shivsena on Droupadi Murmu: দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    Shivsena on Droupadi Murmu: দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করতে চলেছে শিবসেনা। অন্তত শিবসেনা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। এনডিএ (NDA) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) সমর্থনের জন্য শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) ওপর চাপ বাড়িয়েছিলেন শিবসেনা সাংসদরা। সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন শিবসেনার সাংসদরা। সূত্রের খবর, সেখানেই দ্রৌপদীকে সমর্থন করতে উদ্ধবের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন তাঁরা। শেষমেশ শিবসেনার তরফে দ্রৌপদীকেই সমর্থন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।  

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সূত্রের খবর, তার আগে দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে সমর্থনের ইঙ্গিত দিতে পারেন উদ্ধব। মতোশ্রীতে শিবসেনার বৈঠকে ১৮ জন লোকসভা সাংসদের মধ্যে ১৩ জন এবং রাজ্যসভার ২ জন সাংসদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।এঁদের মধ্যে অন্তত আটজন দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে অনড় বলে সূত্রের খবর। শিবসেনার এক শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই চান বিজেপি এবং শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগুক। কারণ বিজেপি আমাদের পুরানো শরিক। আদর্শগতভাবে বিজেপি আমাদের প্রকৃত সঙ্গী। উদ্ধব ঠাকরে এই বিষয়ে কিছু বলেননি, কিন্তু ভেবে দেখবেন বলেছেন। তিনি বলেন, বিদ্রোহের কারণে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে। কিন্তু দল যদি দ্রৌপদীকে সমর্থন করে, তাহলে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগার সুযোগ থাকবে। ফের সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনাও থাকবে। মঙ্গলবার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, শিবসেনা যেটা ঠিক ভাবে সেটা করে। অতীতেও আমরা কংগ্রেসের প্রার্থী টিএন শেষনকে সমর্থন করেছিলাম। ইউপিএ প্রার্থী প্রতিভা পাটিল এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও সমর্থন করেছিলাম। পিছড়েবর্গরা জাতির স্বার্থে এগিয়ে আসুক আমরা চাই।  

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    এদিনের বৈঠকে লোকসভার ১৮ জন সাংসদের মধ্যে পাঁচজন অনুপস্থিত ছিলেন। এঁরা হলেন, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ছেলে শ্রীকান্ত শিন্ডে, ভাবনা গাওয়ালি, সঞ্জয় যাদব, সঞ্জয় মাণ্ডলিক এবং হেমন্ত পাটিল। দাদরা ও নগর হাভেলির একমাত্র সাংসদ কলাবেন দেলকরও ওই বৈঠকে ছিলেন না বলেই শিবসেনা সূত্রের খবর। শিবসেনা সূত্রে খবর, সঞ্জয় যাদব, সঞ্চয় মাণ্ডলিক ও হেমন্ত আগেই শিবসেনা প্রধানকে জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে সোমবারের বৈঠকে থাকতে পারবেন না তাঁরা।

    আরও পড়ুন : উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই শিবসেনার সংসদীয় দলের মুখ্য সচেতক পদ থেকে ভাবনা গাওয়ালিকে সরিয়ে দেন উদ্ধব। তার আগেই উদ্ধবকে ভাবনা চিঠি লিখে বিজেপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত এবং প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। যদিও রাজ্যসভার সাংসদ অনিল দেশাই দিল্লিতে থাকার কারণে গরহাজির ছিলেন এদিনের বৈঠকে। এদিকে, শিন্ডে শিবিরের দাবি, অন্তত ১২ জন সাংসদ নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

     

  • Goa Crisis: গোয়ার পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক গেলেন কোথায়? ভাঙন রুখতে সক্রিয় সোনিয়া

    Goa Crisis: গোয়ার পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক গেলেন কোথায়? ভাঙন রুখতে সক্রিয় সোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ায় এখন কংগ্রেস (Goa Congress) দুভাগে বিভক্ত। পাঁচজন বিধায়কের দল বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার জন্য় একেবারে তৈরি হয়ে রয়েছে। অন্য শিবিরে রয়েছে ৬জন কংগ্রেস বিধায়ক (Congress MLA)। তাঁরা বিদ্রোহী বিধায়কদের আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি মুকুল ওয়াসনিককে গোয়ায় পাঠিয়েছেন  কংগ্রেস সভানেত্রী (অন্তর্বর্তীকালীন) সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। রবিবার গোয়ায় কংগ্রেস (Goa Politics) পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছিলেন এআইসিসির (AICC) সাধারণ সম্পাদক দীনেশ গুণ্ডুরাও। তাতে ১১ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই কথা বলেছেন ওয়াসনিকরা। কংগ্রেসের দাবি, অন্তত এই ছ’জন বিধায়কের দলত্যাগ রোখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    কংগ্রেসেরর মুখ্য সচেতক কার্লোস ফেরাইরা জানিয়েছেন, “যখন একটি গুজব ছড়িয়েছে তখনই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।  আমরা একসঙ্গে বসতে চেয়েছিলাম। বাস্তব পরিস্থিতিটা কী সেটাই আমরা জানতে চেয়েছি। কিন্তু অন্য শিবির তাতে সায় দেয়নি। এর পিছনে অন্য কারুর মদত রয়েছে।” সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ‌্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত-সহ ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। দলত্যাগের পরিকল্পনাও তিনিই করেছেন বলে দাবি কংগ্রেসের।  এই কামাত এক সময় গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ছিলেন। গোয়া কংগ্রেসের চরম দুঃসময়েও দলের সঙ্গে ছিলেন। ক্ষমতায় ফিরলে গোয়ায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তিনিই হতে পারতেন।  কিন্তু তাঁর মন বদলের জবাব পাচ্ছে না কংগ্রেস। যড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার জন‌্য রবিবার কংগ্রেস বিরোধী দলনেতার পদ থেকে মাইকেল লোবোকে সরিয়ে দিয়েছে।

    কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডু রাও জানিয়েছেন, “আমাদের দলকে দুর্বল করার জন্য দুজন নেতা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চক্রান্ত করছে। আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। আমরা দুজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিজেপির কাছ থেকে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্য় কামাত এই চক্রান্ত করছেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। লোবোকেও বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরানো হচ্ছে।” বিজেপির রাজ‌্য সভাপতি সদানন্দ তানাভড়ে অবশ‌্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় গণবিদ্রোহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন, রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিল জনতা 

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় গণবিদ্রোহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন, রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিল জনতা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। স্বাধীনতার পর সবথেকে খারাপ অর্থনৈতিক মন্দার (Sri Lanka Crisis) সম্মুখীন হয়েছে এই দেশ। ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ও খাবারের বিরাট ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমনকী ওষুধ সরবরাহও ব্যহত হচ্ছে। খাবার পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এক কথায় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্টে গোটাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগের দাবিতে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে হানা দিল দেশের জনতা। প্রাণের ভয়ে কলম্বোর বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষ। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন রাজাপক্ষের দলেরই ১৬ সাংসদ। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন শ্রীলঙ্কার দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য (Sanath Jayasuriya) ও রোশন মহানামা (Roshan Mahanama)। 

    আরও পড়ুন: “কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ”, ভারতের প্রশংসায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী  
      
    শনিবার দুপুরে এক নজির বিহীন প্রতিবাদের সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। আজ দুপুরে রাষ্ট্রপতি ভবনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রাজাপক্ষের বাসভবনের দখল নেয় বিক্ষোভকারীরা। এমনকি রাষ্ট্রপতির সুইমিংপুলে সাঁতারও কাটেন তাঁরা। প্রতিবাদকারীদের তালিকায় রয়েছেন জয়সূর্যও। যদিও তিনি শাান্তির পথেই বিদ্রোহ করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন টুইটারে জয়সূর্য লিখেছেন, “আমি সবসময় শ্রীলঙ্কার মানুষের সঙ্গে আছি। দ্রুত আমরা জয় উজ্জাপন করব। “

    [tw]


    [/tw] 

    মহানামা টুইটারে লিখেছেন,”জাতিগত ও ধর্মীয় বিভাজন নির্বিশেষে আমি সকল শ্রীলঙ্কার মানুষকে অনুরোধ করব, আগামী ৯ জুলাই অহিংস প্রতিবাদে শামিল হতে। এই লড়াই শুধু নিজেদের বেঁচে থাকারই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবেও।” মহানামা আরও লেখেন, “১৯৪৮ সালের পর গোটা দেশ আজ একত্রিত হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক সিস্টেমকে বদলে দেওয়ার এটাই হয়তো শেষ সুযোগ আমাদের কাছে। আমি জীবনের অনেকটাই পার করে ফেলেছি। আমি চাই তরুণ প্রজন্মের কাছে এই শ্রীলঙ্কাকে আরও বাসযোগ্য় করে তুলতে। আমি প্রতিবাদে শামিল হচ্ছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    রাষ্ট্রপতির বাসভবনের রান্নাঘরও দখল করে নেয় বিক্ষোভকারীরা। সেখানে গ্যাস চালিয়ে রান্নাও করতে দেখা গিয়েছে তাদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আর তার পরেই গত রাতে গোটাবায়া রাজাপক্ষকে সেনার সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।   

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। শ্রীলঙ্কার পতাকা নিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আজ সকালে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ঘেরাও করে, পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়েও তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পারেনি। বিরোধী দল, মানবাধিকার কর্মী এবং বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনি চ্যালেঞ্জের পরে পুলিশ কার্ফিউ প্রত্যাহার করার পরেই এই বিক্ষোভ।  

     

  • Sukanta on SSC Scam: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    Sukanta on SSC Scam: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। অথচ বহাল তবিয়তে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পদে রয়েছেন বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূলে (TMC) আসা পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari)। এতেই ক্ষুব্ধ পদ্ম শিবির। বিজেপির (BJP) দাবি, বরখাস্ত করতে হবে পরেশ অধিকারীকেও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশাপাশি পরেশকে নিশানা করেছেন অমিত মালব্যও। 

    এসএসসিকাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই, ইডি। ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে কোটি কোটি টাকা। এই টাকার উৎস খুঁজতে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ এবং অর্পিতাকে। 

    ইডি পার্থকে গ্রেফতার করতেই দায় ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তৃণমূল। কেড়ে নেওয়া হয় পার্থের মন্ত্রিত্ব। তদন্ত শেষ না ইস্তক পার্থকে সাসপেন্ড করা হয় দল থেকে। যা আদতে বহিষ্কারেরই শামিল। কারণ এই তদন্ত এখনই শেষ হয়ে যাবে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। পার্থের ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এলেও, দিব্যি চেয়ারে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও মেয়ে অঙ্কিতাকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    এ ব্যাপারেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটে প্রশ্ন তোলেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত লিখেছেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি স্কুলে মেয়েকে শিক্ষিকার চাকরি দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট তাঁর মেয়ের চাকরি বাতিল করেছে। কিন্তু তিনি এখনও মন্ত্রী পদে রয়েছেন। 

     

    West Bengal MoS Education Paresh Adhikari misused his office and appointed his daughter as a teacher in govt school.

    High court removed her in illegal appointment but he still continues to be the Minister.

    When will @MamataOfficial take action against him? She has to answer. pic.twitter.com/nx8VyT9VcX

    — Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) July 29, 2022

    The rot of SSC Scam is so deep that Calcutta HC had to cancel illegal appointment of Ankita Adhikari, daughter of Paresh Adhikari (an FIR has been filed against him), who is the MoS Education in Mamata Banerjee’s cabinet. Why has he not been sacked?

    Will Mamata Banerjee explain?

    — Amit Malviya (@amitmalviya) July 29, 2022

    [/tw]

    একই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বেআইনি নিয়োগ বাতিল করেছে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআরও হয়েছে। তাহলে কেন তাঁকে মন্ত্রিপদ থেকে বরখাস্ত করা হবে না?  

     



     
    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে ২২ জুলাই পরেশের মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। হাইকোর্টের নির্দেশে খোয়া গিয়েছে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি। কোচবিহারেরই ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। ইডির তল্লাশির সময় বাড়িতেই ছিলেন অঙ্কিতা। তদন্তকারীরা তাঁকে নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদও করেন বলে সূত্রের খবর। তার পরেও পরেশ স্বপদে বহাল থাকায় বিস্মিত বিজেপি। 

    আরও পড়ুন : তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    বাম-সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে পরেশকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। তাই কি এখনও চেয়ার খোয়াননি পরেশ?

  • Sealdah Metro: প্রতীক্ষা শেষ, শিয়ালদহ- সল্টলেক মেট্রোর উদ্বোধন স্মৃতি ইরানির

    Sealdah Metro: প্রতীক্ষা শেষ, শিয়ালদহ- সল্টলেক মেট্রোর উদ্বোধন স্মৃতি ইরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার, বহু প্রতীক্ষিত শিয়ালদহ মেট্রো (Sealdah Metro) স্টেশনের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। হাওড়া স্টেশন থেকে তিনি নতুন মেট্রোর লাইনের উদ্বোধন (Inauguration) করেন। জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা চালু হয়ে যাবে এই মেট্রো লাইনের। সেক্টর ফাইভ থেকে শিলায়দহ পর্যন্ত চলবে মেট্রো। 

    রেল মন্ত্রক ধারণা করছে, এই মেট্রো স্টেশন থেকে প্রতি দিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ যাত্রা করবেন। শহরের দুই ব্যস্ততম কর্মক্ষেত্রে জুড়ে যাওয়ায় অনেকেই এই পথেই যাতায়াত করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: দেশে এই প্রথম সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী অ-মুসলিম, অতিরিক্ত দায়িত্ব স্মৃতি ইরানিকে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, এ দিন বিকেলে শিয়ালদহ স্টেশনে উপস্থিত হন। নর্থ গেটে অত্যাধিক ভিড় থাকার কারণে সাউথ গেট দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করেন তিনি। তারপর ট্রেনে ওঠেন। অত্যাধিক ভিড় থাকায ফুলবাগান অবধি যেতে পারেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিছুক্ষন পরেই শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে যান। হাওড়ার মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে শিয়ালদহে স্টেশন দেখতে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই উদ্বোধন শিয়ালদহ মেট্রোর, যাত্রী নিয়ে কবে থেকে ট্রেন চলবে জানেন? 

    এর পর হাওড়ার মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্মৃতি ইরানি। সেখানে মেট্রোর একটি প্রতিকৃতি তুলে দেওয়া হয় স্মৃতি ইরানির হাতে। এর পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর হাওড়া ময়দানের অনুষ্ঠান থেকে সবুজ পতাকা উড়িয়ে ট্রেনের শুভ সূচনা করেন তিনি। ওদিকে শিয়ালদহ স্টেশনে অপেক্ষা করছিল ট্রেন, সবুজ পতাকা দেখানোর পরেই যাত্রা শুরু করে শিয়ালদহ মেট্রো। শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ যেতে খরচ পড়বে মোট ২০ টাকা। সকাল সাতটা থেকে রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত চলবে মেট্রো। এই রুটে যেতে সময় লাগবে ২১ মিনিট।

    এদিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, “শিনজো আবের স্মৃতিতে আমরা আগে এক মিনিটের নীরবতা পালন করব।” তার পরেই তিনি ভারতীয় রেলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “যারা সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্যে এত বড় কাজ করলেন, তাঁদের ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে সত্যি করছে ভারতীয় রেল। প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন ভারতের নবনির্মাণের জন্যে দেখেছিলেন, তার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় রেলসহ জল, স্থল ও আকাশে উন্নয়নের স্বপ্ন, তা পূর্ণ হবে। শিয়ালদহ এশিয়ার ব্যস্ততম রেল স্টেশন। সেই কারণেই পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর। ভারত সরকার সব বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্তর থেকে সাহায্য করেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সল্টলেক আমার দাদুর বাড়ি, ওই বাড়ির কাছে মেট্রো যাবে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদ”।

     

LinkedIn
Share