Blog

  • iPhone 13: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-য় গুরুত্ব, ভারতেই ‘আইফোন ১৩’ তৈরি করবে অ্যাপেল

    iPhone 13: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-য় গুরুত্ব, ভারতেই ‘আইফোন ১৩’ তৈরি করবে অ্যাপেল

    iPhone 13: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিকে গুরুত্ব দিয়ে এবং ভারতীয় গ্রাহকদের কথা ভেবে এবার এদেশেই তৈরি হবে আই-ফোন (Apple iPhone)। ইতিমধ্যেই চেন্নাই প্ল্যান্টে আইফোন ১৩ (iPhone 13) তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। 

    চেন্নাইয়ের কাছে ফক্সকন (Foxconn) প্ল্যান্ট থেকেই ওই ফোন তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোনের বাজারে আরও ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারার লক্ষ্যেই অ্যাপলের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এবিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে অ্যাপলের তরফে জানানো হয়েছে, “স্থানীয় কাস্টমারদের জন্য আমরা ভারতেই তৈরি করছি  আইফোন ১৩ (Apple iPhone 13)।  সুন্দর ডিজাইন, অ্যাডভান্সড ক্যামেরা A15 Bionic chipset এই ফোনের ইউএসপি বা মূল আকর্ষণ।

    শুধু  আইফোন ১৩ নয়, অ্যাপলের প্রতিটি ভালো মডেল এবার স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হবে। অ্যাপলের তরফে ফোন তৈরির জন্য ফক্সকন এবং উইস্ট্রন নামে দুটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। পেগাট্রন নামে আরও একটি সংস্থাও রয়েছে।  যদিও এই সংস্থাটি এখনও স্থানীয়ভাবে আই ফোন তৈরি শুরু করেনি। তবে খুব শীঘ্রই পেগাট্রন (Pegatron) ভারতে আই ফোন তৈরি করা শুরু করবে বলে জানা গেছে। তবে তৃতীয় সংস্থাটি প্রথমে আইফোন ১৩ তৈরি করবে না। প্রাথমিককভাবে তারা আইফোন ১২ তৈরি করবে।
     
    ২০১৭ সাল থেকেই ভারতে আইফোন তৈরি করছে অ্যাপল। সে সময় আইফোন এসই (iPhone SE) তৈরি করত তারা। কিন্তু নতুন এই তিনটি সংস্থার মাধ্যমে আইফোন ১১, ১২, ১৩ — এই তিনটি মডেল স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হবে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত আইফোনের কোনও প্রো-মডেল স্থানীয়ভাবে ভারতে তৈরি করা হয় না। পরবর্তী সময় তা ভারতে তৈরি করা যায় কি না বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে অ্যাপল।

    দেশে আই ফোনের নতুন মডেলগুলি তৈরি হলে তা খুব সহজেই এখানকার বাজারে পাওয়া যাবে। আগে কোনও মডেল লঞ্চ হওয়ার পর সেটি ভারতের বাজারে আসতে সময় লাগতে আট থেকে ন’মাস। কিন্তু স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়ার ফলে তা খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

     

  • BJP attacks Rahul Gandhi: “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    BJP attacks Rahul Gandhi: “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর(Ramnavami) রেশ মেলায়নি। ফের আলোচনার কেন্দ্রে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র। এবার রাম নিয়ে রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ করলেন সম্বিত পাত্র (Sambit Patra)। কংগ্রেসের সাংসদকে ‘চুনাভি হিন্দু’ বা ‘ভোট সময়ের হিন্দু’ আখ্যা দিয়েছেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র। তাঁর মতে, ভোটে সুবিধা পেতেই রাহুল গান্ধি হিন্দু হয়েছেন। 

    বিজেপির হিন্দুত্ববাদকে বরাবরই আক্রমণ করে এসেছে কংগ্রেস। সংবাদমাধ্যমের সামনে তারই পাল্টা দিলেন বিজেপি নেতা। দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের তরফে রামের অস্তিত্ব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। এর তীব্র সমালোচনা করেন সম্বিত। বিজেপির মুখপাত্র নিশানা করেছেন কংগ্রেসের সাংসদ তথা গান্ধি পরিবারের সদস্য রাহুলকে। তিনি বলেন, রামকে নিয়ে রাহুল গান্ধির সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের চরিত্র। রামের অস্তিত্বে সন্দেহ প্রকাশ করে তারা দেশের শীর্ষ আদালতে হলফনামা দাখিল করেছে। এর পরেই সম্বিত প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন রাহুলের দিকে। বলেন, আমি রাহুলকে বলতে চাই, আপনি কি রামের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন? রাহুল নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করেন। তিনি কি হিন্দু না কি ভোটের কারণে হিন্দুত্বের ভেক ধরেছেন? 

    সম্প্রতি রাহুল বলেছিলেন, বিজেপিরই অনেকে পুনর্জন্ম তত্ত্বে বিশ্বাস করেন না। তাঁরা রামের অস্বিত্ব মানবেন কীভাবে? এরই জবাব দিতে গিয়ে রাহুলকে ‘ছদ্মবেশী হিন্দু’ বলে দাগিয়ে দেন বিজেপির মুখপাত্র। সংবিধান এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি রাহুলের বিশ্বাস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সম্বিত। পদ্মশিবিরের এই নেতা বলেন, রাহুল গান্ধি একজন সাংসদ। তিনি কীভাবে এমন বেফাঁস মন্তব্য করেন। এদেশের একটা বড় অংশের মানুষ ভগবান রামের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন না। এমতাবস্থায় রাহুল যদি তা করেন তবে তাতে দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। সম্বিতের মতে, রাহুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীতে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। 

    এর পরেই সম্বিত রাজস্থানের কারাউলির উদাহরণ টেনে আনেন। তিনি বলেন, কারাউলিতে রামনবমীর মিছিলে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে। দেশের নেতাদের একাংশের মন্তব্যই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করেন সম্বিত। তিনি বলেন, রাহুলের মতো নেতারা ক্ষমতা দখল করতে যা খুশি তাই করতে পারেন। 

    রাহুলের পাশাপাশি এদিন বিজেপির মুখপাত্র আক্রমণ শানিয়েছেন শিবসেনার (Shiv Sena) দিকেও। শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Maharashtra CM Uddhav Thackeray) বলেন, রাম না জন্মালে রাজনীতি করার ইস্যুই পেত না বিজেপি। এদিন তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সম্বিত বলেন, বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে শিবসেনা নেতারা অযথা ভগবান রামকে টেনে আনছেন। এটা সস্তা রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপি মুখপাত্রের মতে, তোষণের নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে এধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে। 
      

  • JNU clash: ‘যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই সংঘর্ষ’, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি উড়িয়ে জানাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ

    JNU clash: ‘যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই সংঘর্ষ’, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি উড়িয়ে জানাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) দিন জেএনইউয়ে (JNU) দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে অশান্তির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে বাম ছাত্র সংগঠনের আনা আমিষ খাবারে বাধা দেওয়ার তত্ত্ব খারিজ করে কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আমিষ নয়, যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই ঘটনার সূত্রপাত।

    বাম ছাত্র সংগঠের অভিযোগ ছিল, ক্যাম্পাসের ভিতর পড়ুয়াদের আমিষ খাওয়ার উপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) ছাত্র সংগঠন শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। তার জেরেই বাকি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। 

    সেই ঘটনার প্রায় ২৪-ঘণ্টা পর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই কাবেরী ছাত্রাবাসের ভিতর যজ্ঞের আয়োজন করেছিল এবিভিপি। তাতে বাধাদেয় বামপন্থীরা। আর তার জেরেই নাকি ছড়ায় অশান্তি! যদিও কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে নারাজ বামপন্থীরা (NSUI)।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার রবিকেশ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে খাদ্যাভাস নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ নেই। এখানে যাঁর ইচ্ছা হবে, তিনিই আমিষ খাবার খেতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রামনবমীর ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, “১০ এপ্রিলে জেএনইউ ক্য়াম্পাসের ভিতর পড়ুয়াদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রামনবমী উপলক্ষ্যে ক্য়াম্পাসের ভিতরেই কাবেরী ছাত্রাবাসে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। কিছু পড়ুয়া তাতে বাধা দেয়। তবে ওয়ার্ডেন এবং ডিনের সহযোগিতায় বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যায় এবং যজ্ঞ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। কিন্তু, পড়ুয়াদের একাংশ এতে খুশি ছিল না। রাতের খাবার খাওয়ার সময় হলে তারাই ঝামেলা শুরু করে।”

    একইসঙ্গে, রবিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ছাত্রাবাসের আবাসিকদের খাদ্যাভ্য়াস এবং খাদ্যতালিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানও স্পষ্ট করেন রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, “ছাত্রাবাস পরিচালনার জন্য ছাত্রদের নিজস্ব কমিটি রয়েছে। এরসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও সম্পর্ক নেই। খাদ্যতালিকা নিয়েও কর্তৃপক্ষের কিছু বলার নেই।”

    কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা রবিবারের সংঘর্ষের জন্য দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে, এই ধরনের ঘটনার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন যাতে বিঘ্নিত না হয়, সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার আবেদন করেছেন রেজিস্ট্রার। উল্লেখ্য, ওই ঘটনার পর গভীর রাতে কাবেরী হস্টেলে যান উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুডি পণ্ডিত-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য আধিকারিকরা।

    প্রসঙ্গত, রামনবমীতে আমিষ খাওয়া নিয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) দু’টি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনায় ছ’জন আহত হয়েছেন। জেএনইউ বাম ছাত্র ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ অভিযোগ করেন, ঘটনায় হস্টেলের মেস সেক্রটারিকেও মারধর করা হয়। 

    প্রসঙ্গত, মেস কমিটি পড়ুয়াদের ভোটেই নির্বাচিত হয়। তারা বিভিন্ন খাদ্যাভ্য়াসের আবাসিকদের জন্য মিলিয়ে মিশেয়ে বিভিন্ন পদের আয়েজন করে। রবিবার মাংস এবং পনীর দুই-ই ছিল খাদ্য তালিকায়। কিন্তু বাম ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ ছিল, এবিভিপি সদস্যরা তাঁদের আমিষ খেতে বাধা দেন।

    এবিভিপির তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়, বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তাঁদের উপর প্রথমে আক্রমণ চালায়। যজ্ঞে বাধা দেয়।  এই ঘটনায় রবি রাজ নামে তাঁদের এক সদস্য আহত হয়েছে। তাদের এই দাবিতেই মান্যতা দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

     

  • BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা ফুটিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মন্ত্রকে হাতিয়ার করে বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রক ব্রহ্মস এয়ারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১৭০০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নৌসেনার জন্য মিসাইল কিনতেই এই চুক্তি। মন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতি জারি করে এই উদ্যোগের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌ সেনার শক্তি আরও বাড়াবে এই মিসাইল। আসলে এই ধরনের মিসাইল যেমন স্থলভাগ থেকে লক্ষ্যবস্তুর উপর নিক্ষেপ করা যায়। আবার একইভাবে জলেও শত্রুপক্ষের জাহাজে আঘাত হানতে এটি সক্ষম।

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে সাধারণত তিন ধরনের ব্রহ্মস মিসাইল রয়েছে। যা স্থল, জল, ও আকাশে আঘাত হানতে পারে। কিছুদিন আগেই সুখোই-৩০ বিমান থেকে ভারত ব্রহ্মস মিসাইলের সফল পরীক্ষা করা হয়। কয়েকদিন আগে মহড়ার সময় বঙ্গোপসাগরে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পেরেছিল এই মিসাইল। এই সাফল্য একেবারে গেম চেঞ্জার, বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। 

    আরও পড়ুন: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    ইন্দো রাশিয়ান যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এই মিসাইল। এটির পাল্লা মোটামুটি ২৯০ কিমি। এটিকে বিশ্বের দ্রুততম গতি সম্পন্ন মিসাইল বলে গণ্য করা হয়। প্রায় শব্দের গতিবেগের চেয়ে তিনগুণ বেশি গতিবেগে এটি ছুটতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে যে মিসাইল রয়েছে তার পাল্লা প্রায় ৪৫০-৫০০ কিমি পর্যন্ত। যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রসারিত পাল্লায় এটি আঘাত হানতে সক্ষম। সমুদ্রের ওপর বিপক্ষের বড়সড় প্রতিরক্ষাকে ভেঙে দিতেই ব্রহ্মস বেশি কার্যকরী। তাই নৌসেনার জন্য এই মিসাইল আরও বেশি করে কেনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    সূত্রের খবর, ভারত আরও দূর পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করতে চাইছে। সেই মিসাইলের পাল্লা বৃদ্ধি করে প্রায় ৮০০ কিমি করা হতে পারে। সেই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI in West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    PFI in West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল সারা দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (Popular Front of India) বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ (NIA), ইডি (ED), কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)। সূত্রের খবর, প্রায় শতাধিক পিএফআই (PFI) নেতা-কর্মীকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক হয়েছে দেড়শোর বেশি ফোন, কম্পিউটার অন্যান্য নথি। মূলত দেশজুড়ে উগ্রপন্থা ছড়ানো এবং জঙ্গি কার্যকলাপে (Terror activities) আর্থিক মদতের অভিযোগে পিএফআইয়ের উপর দেশজুড়ে তল্লাশি চলেছে। এনআইএ-র তদন্তে অন্তত চারটি জঙ্গি হানার পিছনে পিএফআইয়ের প্রত্যক্ষ যোগ পাওয়া গিয়েছে। তাতে বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি পশ্চিমবঙ্গে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা দেখেও চমকে উঠেছে।

    বিশেষ করে, গত ১০-১১ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ-ছয়টি জেলায় ব্যাপকহারে বেড়েছে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা। খোদ কলকাতার বুকেও ট্রেনিং ক্যাম্প করে ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কেরল-কর্নাটক থেকে শুরু হওয়া এই সংগঠন বাংলায় প্রথমে মুর্শিদাবাদে কাজ শুরু করে। ক্রমেই অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে এখন দুই ২৪ পরগনা, মালদহ,নদিয়া, বীরভূম, হাওড়া, কলকাতা এবং উত্তর দিনাজপুরে সব মিলিয়ে কয়েক হাজার ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। বেশ কিছু হোলটাইমারও পিএফআইয়ের সংগঠন বাড়াতে দিন-রাত কাজ করছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদে প্রথম পিএফআই কাজ শুরু করে। কলকাতার তপসিয়া এলাকায় রাজ্য দফতর তৈরি হলেও সংগঠনের অধিকাংশ নেতা মুর্শিদাবাদ-মালদহ জেলার। এ রাজ্যে পিএফআইয়ের সভাপতি হলেন হাসিবুল ইসলাম। গত পাঁচ-ছয় বছর পিএফআই কিছুটা অন্তরালে থেকেই কাজ করত। কিন্তু সিএএ-র (CAA) বিষয়টি সামনে আসার পর এ রাজ্যেও পিএফআই প্রকাশ্যে এসে কার্যকলাপ শুরু করে। ২০১৯ এর ৯ নভেম্বর রামমন্দির (Ram Mandir) সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় আসার পর মুর্শিদাবাদে ১৩ নভেম্বর কয়েকশো ক্যাডার নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে পিএফআই। ইদানীং কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের উত্তরাংশে প্রচার পুস্তিকা এবং লিফলেটও ছড়াচ্ছে তারা।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির দাবি, সাংগঠনিক ভাবে পূর্ণিয়া জোনের অধীনে পিএফআইয়ের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা পড়ছে। তার মধ্যে পিএফআইয়ের জঙ্গিপুর ডিভিশনের সুতি, সামশেরগঞ্জ, লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, বহরমপুর ডিভিশনে ডোমকল, ইসলামপুর, দৌলতাবাদ, বেলডাঙায় শাখা তৈরি হয়েছে। পিএফআইয়ের বেঙ্গল জোনের অধীনে রয়েছে কলকাতা সংলগ্ন এলাকা এবং ওড়িশা। কলকাতা জেলার অধীনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডিভিশনে মগরহাট ও উস্থিতে শাখা তৈরি হয়েছে পিএফআইয়ের। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া, তেলেনিপাড়া, ঘুটিয়ারি শরিফ, সংগ্রামপুর, মল্লিকপুর, বারুইপুরেও পাকাপোক্ত শাখা তৈরি হয়েছে পিএফআইয়ের।

    আরও পড়ুন: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কলকাতায় অফিস থাকলেও বহরমপুর থানার অন্তর্গত বাখুরি গ্রামে রয়েছে পিএফআইয়ের সদর দফতর। সেখান থেকে রাজ্যজুড়ে কাজের নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এক ব্যক্তি রাজ্যে পিএফআইয়ের ক্রমেই অন্যতম মাথা হয়ে উঠছে। এছাড়া রাজ্যে মাওবাদীদের শাখা সংগঠন হিসাবে পরিচিত বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও পিএফআই নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যে ভাবে গত কয়েক বছরে ১৭টি শাখা খুলে পিএফআই বাংলায় তাদের ক্যাডার নিয়োগ এবং জাল বিস্তার করে চলেছে তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বহরমপুরে যে দু-তিনটি স্টেশনে ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিতে পিএফআই ক্যাডারদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। দুটি এলাকাতেই পিএফআইয়ের সাংগঠনিক শাখা তৈরি হয়েছে। একইভাবে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকা ঘাঁটি তৈরি হলেও নেপথ্যে ছিল পিএফআই। সেই কারণে গত কালের তল্লাশির পর বাংলা নিয়েও বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে এনআইএ, ইডি এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।   

  • ISC Result 2022: প্রকাশিত হয়েছে আইএসসি বোর্ডের ফল, পাশের হার ৯৯.৩৮ শতাংশ

    ISC Result 2022: প্রকাশিত হয়েছে আইএসসি বোর্ডের ফল, পাশের হার ৯৯.৩৮ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। রবিবার প্রকাশিত হয়েছে আইএসসি (ISC) বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ফল। কিছুদিন আগেই আইসিএসসি এবং সিবিএসই বোর্ডের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আইএসসি বোর্ডের পড়ুয়ারা অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন। বোর্ডের তরফ থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল বিকেল ৫টায় ফল প্রকাশিত হবে। সেইমতো বিকেল ৫টা থেকেই cisce.org -এই ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে ফল। পাশের হার ৯৯.৩৮ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: সিবিএসই-র দশম শ্রেণির ফল প্রকাশিত, পাশের হার ৯৪.৪০%
     
    প্রথম স্থানে রয়েছেন আটারো জন। পেয়েছেন ৯৯.৭৫ শতাংশ নম্বর। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ৫৮ জন। পেয়েছেন ৯৯.৫ শতাংশ নম্বর। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ৭৮ জন। পেয়েছেন ৯৯.২৫ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: কুয়েট পরীক্ষায় বসছেন? জেনে নিন এই নিয়মগুলি

    আইএসসি সূত্রে খবর, এবারে ছাত্রদের পাশের হার ৯৯.২৬ শতাংশ। পাশের হারে ছাত্রদের টপকে গিয়েছেন ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাশের হার ৯৯.৫২ শতাংশ। মোট ৯৬,৯৪০ জন পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় বসেছিলেন। ফেল করেছেন ১৭ জন। 

    আরও পড়ুন: দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল সিবিএসই, পাশের হার ৯২.৭১%  

    দক্ষিণ ভারতেয় সব থেকে ভাল ফল করেছেন পরীক্ষার্থীরা। এই অঞ্চলে পাশের হার ৯৯.৮১ শতাংশ। এই অঞ্চলে মেয়েদের পাশের হার ৫২.১২ শতাংশ। মেধা তালিকায় বেশি জায়গা করে নিয়েছেন চণ্ডীগড়, ছত্তিসগঢ়,, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, নয়া দিল্লি এবং এনসিআর, পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পড়ুয়ারা। পশ্চিম ভারতে পড়ুয়াদের পাশের হার ৯৯.৫৮ শতাংশ। উত্তর ভারতে ৯৯.৪৩ শতাংশ এবং পূর্ব ভারতে ৯৯.১৮ শতাংশ। বিশেষভাবে সক্ষম ৬ জন পড়ুয়া ৯০ শতাংশের ওপরে নম্বর পেয়েছেন। 

    ইতিমধ্যে ১৮ জুলাই থেকে রাজ্যে স্নাতক স্তরে অনলাইনে ভর্তির ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে। ফর্ম তোলা ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৫ অগাস্ট। অন্যান্য বোর্ডের ফল প্রকাশিত হলেও, কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন আইএসসি বোর্ডের পড়ুয়ারা। পরী‌ক্ষা শেষ হয়েছে ১৩ জুন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪১ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল ফল। এবার বেশ খানিকটা নিশ্চিন্ত পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।  

     

  • Rajnath Singh: আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড! তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, জানালেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড! তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, জানালেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় তিন শক্তিকে একত্রিত করে আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড। এর ভাবনা বহুদিন আগেই তৈরি হয়েছিল,তবে শীঘ্রই তা বাস্তব রূপ নেবে। জম্মু ও কাশ্মীরে কাশ্মীর পিপলস ফোরামে যোগ দিয়ে একথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনার তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ আরও দৃঢ় করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, দেশের সুরক্ষার্থে ট্রাই সার্ভিস ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রাখতে তৎপর ভারত। 

    ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্দরে কান পাতলেই বেশ কয়েক বছর ধরে থিয়েটারাইজেশনের কথা শোনা যাচ্ছিল। এদিন অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘পূর্ববর্তী ঘটনা (কার্গিলে অপারেশন বিজয়ে যে জয়েন্ট অপারেশন দেখা গিয়েছিল) মাথায় রেখে আমরা জয়েন্ট থিয়েটার কম্যান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ২০২১ সালের জুন মাসে থিয়েটারাইজেশন প্ল্যান নিয়ে আলোচনার জন্য ৮ সদস্যের প্য়ানেল গঠন করে কেন্দ্র। সেই প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন সব স্টেক হোল্ডাররা। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এই নতুন থিয়েটারাইজেশনে স্থিতিশীল হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এই থিয়েটার কমান্ড তৈরি হলেই ভারতের সামরিক শক্তি চিন ,পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ দেশবাসী কখনও ভুলবে না। কখনও ভুলতে পারে না। তাঁর কথায়, সমাজ ও জনগণের কর্তব্য শহিদ ও তাঁদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া। জনগনের উদ্দেশে রাজনাথ বলেন, “আপনি যা কিছু সহায়তা দিতে পারেন বা আপনার পক্ষে দেওয়া সম্ভব, সেটাই আপনি তাদের পরিবারের জন্য করুন। এটি প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হওয়া উচিত।” 

    এদিন রাজনাথের মুখে উঠে এসেছিল ১৯৬২ সালের চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গও। সে দিনের তুলনায় আজকের ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করেন রাজনাথ। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “১৯৬২ সালে চিন লাদাখ দখল করেছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলালা নেহেরু। আমি তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই না। কিন্তু নীতির ব্যাপারে দুর্বলতা ছিল। যাই হোক, আজকের ভারত পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশ। এখন যে কোনও শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।”

  • Hanuman Chalisa: মোদির বাসভবনের সামনে নমাজ, হনুমান চালিশা পাঠ করতে চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি এনসিপি নেত্রীর

    Hanuman Chalisa: মোদির বাসভবনের সামনে নমাজ, হনুমান চালিশা পাঠ করতে চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি এনসিপি নেত্রীর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বাসভবনের সামনে নমাজ  (Namaz), হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) সহ একাধিক মন্ত্রপাঠ করার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিলেন শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) দল এনসিপির (NCP) এক নেত্রী। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।
     
    মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) নামাজ বিতর্ক (namaz row) নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) বাড়ি ‘মাতোশ্রী’র (Matoshree) বাইরে হনুমান চালিশা পাঠের হুমকি দিয়েছিলেন নির্দল সাংসদ-বিধায়ক দম্পতি নবনীত রাণা (Navneet Rana) ও রবি রাণা (Ravi Rana)। ঘটনার জেরে গ্রেফতারও করা হয় তাঁদের। 

    এরই মাঝে এই ইস্যুতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন এনসিপি নেত্রী তথা উত্তর মুম্বইয়ের দলের কার্যকরী সভাপতি ফামিদা হাসান খান (Fahmida Hasan Khan)। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে হনুমান চালিশা ও নমাজ পাঠের অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখলেন অমিত শাহকে (Amit Shah)। রাজনৈতিক মহলের মতে, উদ্ধব ঠাকরের বাড়ির সামনে রাণা-দম্পতির হনুমান চালিশা পাঠ করার হুঁশিয়ারির প্রতিশোধ নিতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন ওই নেত্রী। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ফামিদা আবেদন জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনের সামনে একাধিক ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠ করতে চান। এবং ধর্মগ্রন্থের যে তালিকা তিনি দিয়েছেন তা রীতিমতো দীর্ঘ। চিঠিতে ওই নেত্রী জানিয়েছেন, মোদির বাসভবনের সামনে নামাজ, হনুমান চালিশা, দুর্গা চালিশা, নমোকর মন্ত্র-সহ একাধিক ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে চান তিনি। এনসিপি নেত্রী আরও জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিত হনুমান চালিশা পাঠ করে থাকেন, এমনকী বাড়িতে দুর্গা পুজোও করেন। 

    যদিও এরপরেই বিজেপি সরকার ও মোদিকে চরম কটাক্ষ করেন ফামিদা। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘দেশে যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি চলছে এবং বেকারত্ব বাড়ছে, তাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জাগানোর প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। যদি উদ্ধব ঠাকরের হিন্দুত্ববাদীকে জাগাতে রবি রানা এবং নবনীত রানা ‘মাতোশ্রী’র বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ করার ঘোষণা করতে পারেন, তবে প্রধানমন্ত্রীকে জাগাতে আমাকেও দিল্লিতে মোদির বাসভবনের বাইরে বসে নমাজ, হনুমান চালিশা এবং দুর্গা চালিশা পাঠের অনুমতি দেওয়া হোক।’

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে হনুমান চালিশা পাঠের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সাংসদ-বিধায়ক দম্পতি নবনীত রানা ও রবি রানা। এই ঘটনার পর তাঁদের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান শিবসেনা সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, রানা দম্পতির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে শিবসেনা। এর পরেই নবনীত ও তাঁর স্বামীকে এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

     

  • Anushka Birthday: জন্মদিনে স্ত্রীকে আবেগঘন শুভেচ্ছাবার্তা বিরাট কোহলির, উত্তর দিলেন বলিউড সুন্দরীও  

    Anushka Birthday: জন্মদিনে স্ত্রীকে আবেগঘন শুভেচ্ছাবার্তা বিরাট কোহলির, উত্তর দিলেন বলিউড সুন্দরীও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটি বসন্ত পেরিয়ে এলেন অনুষ্কা (Anushka) শর্মা। ১ মে ছিল অনুষ্কা শর্মার জন্মদিন (Anuhka Sharma Birthday)। আর তার এই বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি তার জীবনের বিশেষ মানুষ, ভারতীয় ক্রিকেটের ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ইনস্টাগ্রামে (Instagram) দুটি ছবি পোস্ট করে বিরাট লেখেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই তোমাকে পৃথিবীতে আনার জন্যে। আমি জানি না তোমাকে ছাড়া আমি কী করতাম। সত্যিই তুমি অন্তর থেকে একজন সুন্দর মানুষ। বন্ধুদের নিয়ে দারুণ একটা দুপুর কাটালাম।” 

    [insta]https://www.instagram.com/p/CdA2MQdPgCY/?utm_source=ig_web_copy_link [/insta]

    বিরাটের এই পোস্ট মন ছুঁয়ে গেছে নেটিজেনদের। বিরাটের এই আবেগঘন পোস্টের উত্তর দিতে ভোলেননি বলিউড সুন্দরী। প্রিয় মানুষটির পোস্টের উত্তরে তিনি লেখেন, “আমার কথা ও মন দুটোই চুরি করেছ তুমি।” 

    বিরাট-অনুষ্কা বলিউডের (Bollywood) ‘পাওয়ার কাপল’- দের মধ্যে অন্যতম। দুজনেই সামাজিক মাধ্যমে মাঝে মাঝেই একে অপরের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে থাকেন। সম্প্রতি অনুষ্কা অজি ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ভিন্নি রমনের বিয়েতে তাঁর এবং বিরাটের ছবি শেয়ার করেন। সেই ছবিতে অনুষ্কাকে একটি গোলাপি সালোয়ার এবং বিরাটকে কালো কুর্তায় বেশ পছন্দ করেছিলেন ভক্তরা।    

    [insta]https://www.instagram.com/p/Cc4YyjqocwQ/?utm_source=ig_web_copy_link [/insta]

    কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে অনুষ্কা শর্মার স্পোর্টস ড্রামা ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ (Chakda Express)। আর তারই অধীর অপেক্ষায় দিন গুনছেন অনুষ্কা প্রেমীরা।

  • Paresh Adhikary: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

    Paresh Adhikary: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি। গত দুদিন ধরে পরেশ অধিকারী কোথায় আছেন, তা জানতে পারছিল না কেউ-ই। আদালতের নির্দেশে সিবিআই-হাজিরার ফরমান সত্ত্বেও এড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। 

    কিন্তু, আদালত কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিতেই পট-পরিবর্তন। বাগডোগরা থেকে সোজা বিমান ধরে কলকাতায় এলেন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত পরেশ অধিকারী। বিকেল চারটে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে দেখা যায় মন্ত্রীকে। বলেন, ‘কিছু বলব না। কলকাতা যাচ্ছি।’ বিকেল ৫.৫৫ মিনিটে বাগডোগরা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। তবে সঙ্গে ছিলেন না কন্যা অঙ্কিতা। সোজা যান সিবিআই দফতরে।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    এদিন সকালে পরেশকে হাজিরা দেওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন, দুপুর তিনটের মধ্য়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে পরেশকে। কিন্তু, মন্ত্রীর আইনজীবী দাবি করেন, পরেশ রয়েছেন কোচবিহারে। বিকেল পাঁচটায় বাগডোগরা থেকে কলকাতাগামী বিমানে উঠবেন তিনি। সাড়ে ৬টা নাগাদ পৌঁছাবেন। বিচারপতির নির্দেশ, ‘মন্ত্রী বিমানবন্দরে নামলে তাঁকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রহরায় সোজা নিজাম প্যালেসে নিয়ে যেতে হবে। আর যদি বিমানবন্দরে না নামেন তাহলে তা আদালত অবমাননা বলে গন্য হবে।’

    এদিকে, দুপুর তিনটের ডেডলাইন পার হওয়ার পরও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হাজিরা না দেওয়ায় বাধ্য হয়েই কড়া পদক্ষেপ নিতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে কন্যা-সহ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তখন কোচবিহারে থাকায় তা পারেননি মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর কন্যা অঙ্কিতা। ওই রাতেই মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা উত্তরবঙ্গ থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে উঠতে দেখা যায়। তাঁদের গন্তব্য ছিল অবশ্যই কলকাতা। কিন্তু বুধবার সকালে ট্রেন কলকাতায় পৌঁছলেও দেখা মেলেনি তাঁদের। যদিও বর্ধমান স্টেশনে তাঁদের দেখা যায়। এরপর কলকাতায় দেখা যায়নি মন্ত্রী ও তাঁর কন্যাকে।

    অন্তরালে থেকেই সিঙ্গলবেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন করেন পরেশ অধিকারী। যাদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই আজ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে, আজ বিকেল ৩টের মধ্যে পরেশ অধিকারীকে সিবিআই দফতরে যেতে হবে। বেকায়দায় পড়েছেন বুঝে অন্তরাল থেকে বেরিয়ে এসে হাজিরা দিতেই মনস্থির করেন পরেশ। 

LinkedIn
Share