Blog

  • INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস, ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। বৃহস্পতিবার এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হাতে পেল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। তার পর থেকেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই প্রথমবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে (Indigenously built) তৈরি বিমানবাহী রণতরী ব্যবহার করতে চলেছে নৌসেনা। এদিন বিক্রান্তকে নৌসেনার হাতে তুলে দেয় কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited) বা সিএসএল (CSL)। একাধিক ট্রায়ালের (Trial) পর নির্মাণ সংস্থার তরফে এই রণতরী  তুলে দেওয়া হল নৌসেনার হাতে। 

    [tw]


    [/tw]

    কোচিন শিপইয়ার্ড জানিয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজের ওজন ৪৫ হাজার টন। সর্বোচ্চ ২৮ নট (Knot) গতিতে ছুটতে পারে এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier)। এই প্রকল্পে মোট খরচ হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই যুদ্ধ জাহাজ হাতে পাওয়ার পর এদিন ট্যুইট বার্তায় ভারতীয় নৌসেনা জানায়, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বিমানবাহী রণতরী হাতে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।”

    আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    ২৬২ মিটার লম্বা এই যুদ্ধজাহাজ চারটি গ্যাস টারবাইন দিয়ে চালিত হয়। এজন্য এর লাগে ৮৮ মেগাওয়াট শক্তি। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগর (Indo Pacific region) এবং ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) মোতায়েন করা হতে পারে এই রণতরী। এখানে থাকবে মিগ-২৯কে (Mig-29K) এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft)। এছাড়াও এই রণতরীতে থাকবে কামোভ-৩১ (Kamov-31), এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল কপ্টার  এবং অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (Advanced Light Helicopter)। এর প্রায় ৭৬ শতাংশ দেশীয় সামগ্রী দিয়ে এই রণতরী তৈরি হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক বলে মনে করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

  • Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের  

    Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) নোটিশ পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)। সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে তিনি রাষ্ট্রপত্নী (Rashtrapatni) বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই কারণেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। এনিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দ্রৌপদী সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেছিলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। ভারতের রাষ্ট্রপতি না, না, রাষ্ট্রপত্নীর কাছে যাব। 

    অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি হইচই শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। দুপক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচির জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    অধীরের এহেন মন্তব্যে ভারতের মহিলা ও আদিবাসীদের অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। তাঁর অভিযোগ, দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার পর থেকেই কংগ্রেস বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে। ঘটনাটিকে বিজেপি নেতৃত্ব নারী বিদ্বেষী আখ্যা দিয়েছেন। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই অধীর বিষয়টিকে স্লিপ অফ টাং বলে স্বীকার করেছেন। তিনি এও জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেবেন।

    অধীরের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই জাতীয় মহিলা কমিশন অধীরকে নোটিশ পাঠিয়েছে। এবং তাঁকে ৩ আগস্ট কমিশনের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দিতে বলা হয়েছে লিখিত ব্যাখ্যাও। কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর(অধীর চৌধুরীর) মন্তব্য অপমানজনক, নারীবিদ্বেষী, মাননীয় রাষ্ট্রপতির সম্মানহানিকর। অধীরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন চিঠি লিখেছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধিকেও।

    এদিকে, অধীরের এই মন্তব্যের জেরে মধ্যপ্রদেশের দিনদরি জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগন্নাথ মার্কম বলেন, অধীরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

  • BJP Protest March: তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    BJP Protest March: তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির জেরে শনিবার গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তৃণমূল সরকারের এই মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জীর (Arpita Mukherjee) একাধিক বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এবার এই দুর্নীতির প্রতিবাদে পথে নামল বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবিতে কলকাতার রাজপথে পদযাত্রায় শামিল গেরুয়া শিবির। 

    দুপুর একটায় শুরু হয়েছে মিছিল। তার আগে হয়েছে বিজেপির জনসভা। কলেজ স্কোয়্যার থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির এই মিছিল। চলবে ধর্মতলা রানি রাসমনি রোড অবধি। মিছিলকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বহু পুলিশ। মিছিলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না একথা আগেই জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত থাকছেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এই মুহূর্তে দিল্লিতে। বৃহস্পতিবারের এই মিছিলে উপস্থিত থাকছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা- সহ বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। 

    আরও পড়ুন: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    সূত্রের খবর, মিছিলের মূল দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। পাশাপাশি রাজ্যের দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে যে মন্ত্রীদের তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। একই সঙ্গে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও অপসারণ দাবি করা হয়েছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এতদিন আমরা শুনেছি লোকেরা ভোটের ফলাফলের জন্য রাত জেগে থাকেন। তবে কালকে আমরা দেখলাম টাকার ফলাফল কী দেখার জন্য মানুষজন রাতভর অপেক্ষা করছে। একুশ পার হয় নাকি একুশের নিচে থাকে। এই অবস্থা বাংলায় কখনও ছিল না। যে ভেলকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখালেন এরপর কোন মুখে কথা বলেছেন? আমি পরিষ্কার বলছি। এই টাকা তৃণমূলের টাকা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় উপলক্ষ্য মাত্র। এই টাকার একটা অংশ বেরিয়েছে মাত্র। হাজার কোটি টাকাও বেরিয়ে যেতে পারে। এগুলো সব চুরির টাকা।” 

    বিজেপি যখন এই মিছিল করছে, ঠিক তখনই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। দলে পার্থর কী ভবিষ্যত হবে, তা বৃহস্পতিবার তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে ঠিক করবে দল। তাহলে এবার পার্থর শেষ সম্বল দলের মহাসচিব পদও কী এবার ঝুলছে সরু সুতোর ওপর? প্রশ্ন অব্যহত। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন পার্থ! কোন মন্ত্রক কার হাতে জল্পনা, একটু পরেই তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

    প্রসঙ্গত, বুধবার বেলায় এসএসসি-কাণ্ডে (SSC scam) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি (ED)। তালা ভেঙে শুরু হয় তল্লাশি। তারপরই সেখানেও লেগে যায় জ্যাকপট। টালিগঞ্জে হরিদেবপুরের পরে অর্পিতার বেলঘরিয়ায় রথতলার ফ্ল্যাটেও টাকার পাহাড়ের হদিশ। ইডি সূত্রে খবর, ১৮ ঘণ্টার অপারেশনে ক্লাবটাউন হাইটসের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি নগদ। এছাড়াও, মিলেছে প্রায় ৬ কেজির বেশি সোনা। যার মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর রুপোর কয়েনও। অর্পিতার ফ্ল্যাটে শোওয়ার ঘর ও শৌচাগার থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। এর আগে, অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি নগদ। আর এখন এই ইস্যুতেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। 
      

     

  • Cattle Smuggling: গরু পাচার মামলায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ অনুব্রতর? আদালতে তথ্য দিল সিবিআই

    Cattle Smuggling: গরু পাচার মামলায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ অনুব্রতর? আদালতে তথ্য দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ। শুক্রবার সিবিআই (CBI) আদালতে তোলা হয় সায়গল হোসেনকে। তখনই অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির কথা বিচারককে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন ৪৫টি জমির দলিল জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সেগুলি সবই অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে। 

    গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। অনুব্রত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সূত্রের খবর, এদিন যে জমিগুলির দলিল আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে সেগুলি অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে ও প্রয়াত স্ত্রীর নামে রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, জমিগুলি কেনা হয়েছে ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। যার অর্থ, সায়গলের যে সময় সম্পত্তি কেনাবেচার হদিশ মিলেছে, সেই সময়ই জমি কেনা হয়েছে অনুব্রতর নামেও। যদিও সায়গলের আইনজীবীর দাবি, তাঁরা এ ধরণের সম্পত্তির হিসাব সম্পর্কে কিছু জানেন না। এ ধরণের জমির দলিল আদালতে জমা পড়েছে কিনা, তাও জানা নেই। সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, গরু পাচার একটি স্মাগলিং কেস। এই কেসে এখনও পর্যন্ত কোনও স্মাগলার গ্রেফতার হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কাস্টমস অফিসারও গ্রেফতার হয়নি। কোনও বিএসএফ অফিসারও গ্রেফতার হয়নি। গরু পাচার হয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে বাংলাদেশে। অন্য রাজ্যের কোনও পুলিশ বা অন্য কেউ গ্রেফতার হয়নি। যে দেশে এই গরুপাচার হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, সেদেশেও এই ঘটনা ঘটেছিল কিনা তার তদন্ত হয়নি। হঠাৎ করেই বীরভূমকে টার্গেট করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই এজেন্সি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এই কাজ করছে।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    এদিকে, এদিন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার ফের সায়গলের প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে তার জামিনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২২ জুলাই।

    গত ১০ জুন সায়গলকে প্রথম আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। সেদিন সিবিআই সাতদিনের হেফাজতে নেয় তাকে। এরপর ফের ১৭ জুন সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয় তাকে। সেদিনও বিচারক জামিন নাকচ করে সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২৪ জুন ফের আসানসোল সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয় সায়গলকে। সেদিন সায়গলের জেল হেফাজত হয়। এদিন ফের তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে।

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী। সিবিআইয়ের দাবি, তার কাছেই গরু পাচার মামলার অনেক তথ্য রয়েছে। সিবিআই সায়গলকে একাধিকবার নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সায়গলের বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কেবল সায়গল নয়, এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এনামুল হক ও বিএসএফের কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে। এই মুহূর্তে তাঁরা শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্ত। তবে মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখনও পলাতক। যদিও তাঁর ভাই বিকাশকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

  • Satish Agnihotri: দুর্নীতি মামলায় জড়িত বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রধান! পদ থেকে বরখাস্ত করল মোদি সরকার

    Satish Agnihotri: দুর্নীতি মামলায় জড়িত বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রধান! পদ থেকে বরখাস্ত করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বহুদিনের স্বপ্ন এই মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন (Mumbai Ahmedabad Bullet Train)। কিন্তু এবার এই প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (National High Speed Rail Corporation Limited) শীর্ষকর্তা সতীশ অগ্নিহোত্রীকে (Satish Agnihotri) বৃহস্পতিবার রেল মন্ত্রকের (Ministry of Railways) তরফে চিঠি দিয়ে বরখাস্ত করা হয়। কেন্দ্রের বুলেট ট্রেনের প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরানো হয়েছে।

    কিছুদিন আগেই তাঁকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দুনীর্তির অভিযোগ আসায় তাঁকে তাঁর পদ থেকে ছাঁটাই করা হয়। চলতি বছরের ২ জুন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সতীশের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল আদালত (Lokpal Court)। প্রায় ১ মাস পরে সতীশ অগ্নিহোত্রীকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন:ভারতের মাটিতে কবে থেকে ছুটবে বুলেট ট্রেন? জানা গেল অবশেষে

    খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১০০ কোটি টাকার সরকারি তহবিলের অপব্যবহার এবং আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সতীশের বিরুদ্ধে। এরপরই লোকপাল কোর্টের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলে বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপ নিল মোদী সরকার (Modi Government)।

    অন্যদিকে সতীশের (Satish Agnihotri) দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতে। সেখানে লেখা আছে, বর্তমানে কর্পোরেশনের বর্তমান প্রোজেক্টস ডিরেক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ (Rajendra Prasad) আপাতত অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে থাকবেন। আগামী তিন মাস বা পরবর্তী ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব সামলাবেন।

    আরও পড়ুন: ৫৫ মিনিটেই দিল্লি থেকে মিরাট, কেমন দেখতে ভারতের দ্রুততম আঞ্চলিক ট্রেন!

    তবে এই কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হওয়ার আগে সতীশের (Satish Agnihotri) কাজকর্ম নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবরসূত্রে জানা যায়, সেসময় আরেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (RVNL) ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। রেল মন্ত্রকের অধীন এই সংস্থায় থাকার সময় সতীশ ও এই সংস্থার আরও একটি অফিসার এক বেসরকারি সংস্থার চুক্তিতে সরকারি অর্থ ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। এইসব কারণের জন্যেই মোদি সরকার এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল।

     

  • Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে নয়াদিল্লি (New Delhi)-কাবুল (Kabul) সম্পর্কের বরফ? আপাতত এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ব রাজনৈতিক মহলে। তার কারণ চলতি সপ্তাহেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিদেশমন্ত্রী তালিবান (Taliban) নেতা আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনে অর্গানাইজেশনের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তান উড়ে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেই বিদেশেমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে মুখোমুখি বসতে পারেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস চালু করা নিয়ে তালিবান সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কিন্তু তা হয়নি। ইতিমধ্যে অবশ্য প্রবল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। তখন তড়িঘড়ি ত্রাণ নিয়ে তালিবান সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই এবার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জয়শঙ্কর-মুত্তাকির বৈঠকে ভারতের মানবিক সাহায্যের বিষয়টিও উঠতে পারে বলে কূটনৈতিক মহল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন :মূল্যবোধই ভারতের সম্পদ! অভিমত সামান্থার

    সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-১৬ তারিখে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের  প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মুখোমুখি হবেন আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। এই সম্মেলনের আগে শুরু হয়েছে এই দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

    জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসরাফ গনি সরকারের শাসনকালে সে দেশে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল ভারত। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ। সেই কাজগুলি ফের যাতে শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে জয়শঙ্করের কাছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী দরবার করতে পারেন বলে খবর। এদিকে, ভারতের তরফেও এই বৈঠকে কয়েকটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হতে পারে কাবুলকে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের মাটি থেকে ভারত বিরোধী কোনও কাজ যে নয়াদিল্লি সহ্য করবে না, সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হতে পারে দুই দেশ মুখোমুখি হলে।

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    প্রসঙ্গত, তালিবানরা কাবুল দখল করার পর সেখানকার দূতাবাস বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। সম্প্রতি তা খোলার ব্যাপারে ফের সক্রিয় হয়েছে ভারত। সে দেশে পাঠনো হয় একটি প্রযুক্তি দলকেও। জুলাই মাসে বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জেপি সিংয়ের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধি দলও পাঠায় ভারত। তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুত্তাকি।

     

  • Rajya Sabha: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    Rajya Sabha: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড (Suspend) করা হল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আরও তিন সাংসদকে (MPs)। এঁদের মধ্যে দুজন আম আদমি পার্টির (AAP), অন্যজন নির্দল। এই সপ্তাহের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভার ওই তিন সাংসদকে।

    অসংসদীয় আচরণের জন্য আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভার কুড়িজন সাংসদকে। ওই একই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে লোকসভার চারজনকেও। সাসপেনশনের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। অবস্থান চলাকালীন সময়ে চলছে ভূরিভোজও।

    বৃহস্পতিবার যে তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সুশীল কুমার গুপ্ত এবং সন্দীপ কুমার পাঠক। নির্দল সাংসদ অজিত কুমার ভুঁইয়াকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে এদিন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত রাজ্যসভার মোট ২৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। একসঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়নি আগের কোনও অধিবেশনে।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

    এদিন যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের সাসপেনশনের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। তিনি বলেন, সাসপেন্ডেড এই তিন সাংসদ অধিবেশন চলাকালীন হাউসের ওয়েলে নেমে আসেন। চিৎকার করে স্লোগানও দিতে থাকেন। প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভও দেখাচ্ছিলেন। সতর্ক করা সত্ত্বেও তা বন্ধ না করায় তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বুধবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মঙ্গলবার সভা চলাকালীন চেয়ারম্যানের চেয়ার লক্ষ্য করে কাগজ ছুড়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হল ওই দলেরই দুই সাংসদকে।  প্রসঙ্গত, গত বছর বিরোধীদের ১২ জন সাংসদকে পুরো শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। চলতি বাদল অধিবেশনে যে কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা  হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, শান্তা ছেত্রী, দোলা সেন, সান্ত্বনু সেন, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং মহম্মদ নাদিমূল হক।   

    আরও পড়ুন : ধর্নায় বসে সাসপেন্ডেড সাংসদরা খাচ্ছেন ইডলি-সাম্বার, চিকেন-তন্দুরি!

     

  • Maharashtra: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব 

    Maharashtra: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) তির-ধনুক (Bow and Arrow) প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না। এই ভাষায়ই শিন্ডে শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিলেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনা প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন শিন্ডে। তার পর থেকে এই প্রথম মুখ খুললেন উদ্ধব। সাফ জানালেন, শিবসেনার প্রতীক কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবেন না। সেই সঙ্গে দাবি করলেন বিধানসভা ভোটেরও।

    কংগ্রেস, এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে বিবাদের জেরে দলেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিন্ডে। পরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে চলে যান আসামে। পরে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়েন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে। তার পর থেকে এই প্রথম মুখ খুললেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। শিন্ডে শিবিরের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বালাসাহেবের পুত্র বলেন, আমি ওঁদের আজই বিধানসভা নির্বাচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ করছি। আমরা যদি অন্যায় করে থাকি, তাহলে মানুষ আমাদের ফিরিয়ে দেবে। আপনাদের যদি এমনভাবে সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল, তাহলে তা করা উচিত ছিল আড়াই বছর আগেই। এই ধরনের তামাশার কোনও প্রয়োজন হত না। এই পরেই উদ্ধব জানিয়ে দেন শিবসেনার প্রতীক ছিনিয়ে নিতে পারবেন না কেউই। বলেন, শিবসেনার প্রতীক তির এবং ধনুক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    শিবসেনায় ভাঙন ধরিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছেন শিন্ডে। হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এর পর তাঁর লক্ষ্য যে শিবসেনার কর্তৃত্ব, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। যেভাবে একের পর এক বিধায়ক এবং সাংসদ শিন্ডে শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন ফি দিন, তার পর শিবসেনার রশি কতদিন উদ্ধবের হাতে থাকবে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মুখ খুললেন ঠাকরে। সাফ জানিয়ে দিলেন, শিবসেনার রাশ থাকবে তাঁরই হাতে। শিন্ডেকে নিশানা করে উদ্ধব বলেন, কেউ কেউ বলেন মাতোশ্রীতে ডাকলে তাঁরা আসবেন। কেউ কেউ বলেন, আমার প্রতি নাকি তাঁদের শ্রদ্ধাও রয়েছে। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। হুমকি অগ্রাহ্য করে যে কয়েকজন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে এখনেও রয়েছেন, তাতে তিনি গর্বিত বলেও জানান উদ্ধব। ১১ জুলাই মহারাষ্ট্র মামলার শুনানি। ওই দিনই ভাগ্য নির্ধারণ হবে শিন্ডে সহ ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের। সেই রায় শুধু শিবসেনার নয়, ভারতীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চলেছে বলেও মনে করেন বালাসাহেব পুত্র।

    আরও পড়ুন : নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

  • Anand Sharma: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন আনন্দ শর্মা?

    Anand Sharma: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন আনন্দ শর্মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধস নামতে চলেছে কংগ্রেসে (Congress)! কংগ্রেস ছেড়ে শীঘ্রই কি বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)? সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। তার পরেই দানা বেঁধেছে জল্পনা। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগদানের বিষয়েই নাড্ডার সঙ্গে কথা হয়েছে শর্মার। যদিও জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।

    কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবির জি-২৩ গ্রুপের সদস্য আনন্দ। এই গ্রুপেরই এক সদস্য কপিল সিবাল কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অখিলেশ যাদবের সমর্থনে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। কয়েক মাস পরেই হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন। সেখান থেকেই রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন আনন্দ। তাই শর্মার দলবদলের চর্চা নয়া মাত্রা যোগ করেছে রাজনীতিতে।

    আরও পড়ুন : অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?

    কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন আনন্দ। এদিন নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে আনন্দ বলেন, বিজেপি প্রাধান জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার অধিকার আমার রয়েছে। আমার কাছে উনি শুধুমাত্র বিজেপি সভাপতি নন। আমরা দুজনেই একই রাজ্যের। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক খোঁজার কোনও মানে নেই। তিনি বলেন, আমি কংগ্রেসের সদস্য। মতাদর্শগতভাবে বিরোধিতা থাকলেও আমাদের ব্যক্তিগত স্তরে কোনও বিভাজন নেই। শর্মার গলায় শোনা গিয়েছে নাড্ডার প্রশংসাও। তিনি বলেন, আমার খুব গর্ব হয়, যখন দেখি আমার রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ শাসকদলের সভাপতি হয়েছেন।

    আরও পড়ুন : মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    সূত্রের খবর, বিজেপিও জি-২৩ গ্রুপের বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এই আনন্দ শর্মাই কংগ্রেসের সেই নেতা যিনি দলের দ্রুত নির্বাচন চেয়ে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। কপিল সিবাল কংগ্রেস ছাড়ায় একবার ধাক্কা খেয়েছিল কংগ্রেস। এবার আনন্দ শর্মা যদি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে আরও বিপাকে পড়বেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির শীর্ষ কর্তারা।   

     

  • Amarnath yatra: অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন বেঁচে ফেরা যাত্রীরা?

    Amarnath yatra: অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন বেঁচে ফেরা যাত্রীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) বিধস্ত তুষারতীর্থ অমরনাথ (Amarnath)। মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৬ জন। নিখোঁজ হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। ১৫ হাজার পুণ্যার্থীকে (Piolgrims) উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের তাঁবু। দুর্ঘটনার জেরে আপাতত বাতিল করা হয়েছে তুষারতীর্থ যাত্রা। বরাত জোরে যাঁরা বেঁচে ফিরেছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন তাঁদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।  

    আরও পড়ুন : মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত তুষারতীর্থ অমরনাথ, আপাতত স্থগিত যাত্রা

    উত্তর প্রদেশের হরদই এলাকা থেকে তুষারলিঙ্গ দর্শনে এসেছিলেন দীপক চৌহান নামে এক পুণ্যার্থী। তিনি বলেন, আতঙ্কে সবাই ছোটাছুটি করছেন। পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেনা জওয়ানদের তৎপরতায় তা হয়নি। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের বহু তাঁবু। বরাত জোরে বেঁচে ফিরেছেন মহারাষ্ট্রের তীর্থযাত্রী সুমিত। তিনি বলেন, মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান আসে। বানের তোড়ে ভেসে আসে প্রচুর বড় বড় পাথর। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা ছিলাম সেখান থেকে দু কিলোমিটার দূরে।

    আরও পড়ুন : অমরনাথ যাত্রা শুরু ৩০ জুন, এগুলি সঙ্গে না রাখলে পড়বেন সমস্যায়

    ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন আরও এক পুণ্যার্থী। তিনি বলেন, যখন মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়, তখনকার দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। তার পরেই দেখি চারদিকে শুধুই জল আর জল। আমাদের দলে সাত-আটজন ছিলাম। ভোলেনাথের কৃপায় আমরা সবাই বেঁচে গিয়েছি। তবে বানের তোড়ে পুণ্যার্থী ও তাঁদের ব্যাগপত্র ভেসে যেতে দেখার দুঃসহ অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তিনি বলেন, মেঘভাঙা বৃষ্টির দশ মিনিটের মধ্যেই আটজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। জলের তোড়ে ভেসে এসেছিল প্রচুর বড় বড় পাথর। হাজার পনের তীর্থযাত্রী ছিলেন। বৃষ্টি সত্ত্বেও চলছিল যাত্রা। তার পরেই এই দুর্ঘটনা।

    এদিন সকাল থেকেও উদ্ধারকাজ চালান ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশের কর্মীরা। জম্মু-কাশ্মীরের গান্ডেরবালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক এ সাহা বলেন, অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে শুক্রবারই ১৩ জন মারা গিয়েছেন। ৪৮ জনেরও বেশি পুণ্যার্থী জখম হয়েছেন। আহত তীর্থযাত্রীদের আপার হোলি কেভ, লোয়ার হোলি কেভ এবং পঞ্চতরণী এলাকার হাসপাতালগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

     

LinkedIn
Share