Blog

  • Arunachal Pradesh:  অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?   

    Arunachal Pradesh:  অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের পর এবার অরুণাচল প্রদেশ। ফের বিপুল জয় বিজেপির (BJP)। গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩০টি আসনের মধ্যে ১০২টিই গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) এই জয়ে দৃশ্যতই খুশি বিজেপি নেতৃত্ব।

    চলতি মাসের ১২ তারিখে গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat)  উপনির্বাচন অরুণাচল প্রদেশে। মোট আসন ১৩০টি। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১০২টি আসনে জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নিয়ালি এতে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ১২ জুলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩০টি আসন ও জেলা পরিষদের একটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। পঞ্চায়েতের এই ১৩০টি আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির দখলে গিয়েছে পঞ্চায়েতের ১০২টি আসনের রাশ। কংগ্রেস এবং নির্দল মিলিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে ১৪টি আসনে। তিনি বলেন, সেই কারণে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসন ও জেলা পরিষদের একটি আসনে নির্বাচন হবে।

    আরও পড়ুন : কার্বি আংলং নির্বাচনে জয় ‘ঐতিহাসিক’, দলের প্রশংসায় মোদি

    পদ্ম শিবিরের বিপুল জয়ে যারপরনাই উল্লসিত গেরুয়া শিবির। বিজেপিকে শতাধিক আসন উপহার দেওয়ায় সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডু। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, বিজেপির সমস্ত কর্মকর্তা, সমর্থক এবং সহকর্মীদের শুভেচ্ছা । অরুণাচল প্রদেশের ১৩০টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করার জন্যই শুভেচ্ছা জানাই তাঁদের। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডুর ওপর পুরোপুরি আস্থা রয়েছে অরুণাচল প্রদেশবাসীর। রাজ্যবাসীর স্বপ্নপূরণে যিনি কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসাও করেন রিজিজু। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডুর ওপর রাজ্যবাসীর পুরো আস্থা রয়েছে। রাজ্যবাসীর স্বপ্ন পূরণে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবদানও কম নয়।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    কিছুদিন আগেই আসামের কার্বি আংলং অটোনমাস কাউন্সিলের নির্বাচনের ২৬টি আসনের সব কটিতেই জয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। সেই জয়ের পরেও দলীয় কর্মীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তর-পূর্বের মাটিতে ক্রমেই পোক্ত হচ্ছে পদ্মের জমি। প্রথমে আসাম এবং তার পরে অরুণাচল প্রদেশে বিজেপির এই জয়ই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ।

     

  • Raj Babbar: ২৬ বছরের পুরনো মামলায় ২ বছরের কারাদন্ড রাজ বব্বরের! জানুন পুরো ঘটনা

    Raj Babbar: ২৬ বছরের পুরনো মামলায় ২ বছরের কারাদন্ড রাজ বব্বরের! জানুন পুরো ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে ২ বছর কারাদণ্ডের সাজা পেলেন অভিনেতা তথা কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর (Raj Babbar)। ১৯৯৬ সালে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) সময় এক পোলিং অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তাঁর সাজা ঘোষণা করা হল।

    আরও পড়ুন:দেশে এই প্রথম সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী অ-মুসলিম, অতিরিক্ত দায়িত্ব স্মৃতি ইরানিকে

    ১৯৯৬ সালের ২ মে পোলিং অফিসারটি ওয়াজিরগঞ্জ পুলিশ থানায় (Wazirganj Police station) রাজ বব্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছিলেন। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং হামলার জন্য এদিন আদালত অভিনেতা রাজ বব্বরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অন ডিউটি পোলিং অফিসারকে শারীরিক নিগ্রহেরও অভিযোগ ছিল রাজ বব্বরের বিরুদ্ধে। ভোট চলাকালীন জোর করে বুথে প্রবেশ করার ফলে ও সরকারি আধিকারিকের ওপর হামলা চালানোয় উত্তরপ্রদেশের এমপি এমএলএ কোর্ট রাজ বব্বরকে সাজা শোনায়।  শুধুমাত্র ২ বছরের কারাদন্ড দেয়নি, আদালত তাঁকে ৮,৫০০ টাকার জরিমানাও করেছে। রায় ঘোষণার সময় রাজ বব্বর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে রাজ সমাজবাদী পার্টিতে (Samajwadi Party) ছিলেন এবং লখনউ (Lucknow) থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনের সময় পোলিং অফিসারের সঙ্গে প্রথমে তাঁর কথা কাটাকাটি হয় ও পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। তিনি তখম এই দোষ মেনে নিলে তাঁকে জেলে পর্যন্ত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। বর্তমানে রায়দানের সময়ে তিনি এই অভিযোগকে অস্বীকার করছেন।

    আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

    ভারতীয় দণ্ডবিধির আইপিসি (IPC) ১৪৩, ৩৩২, ৩৫৩, ৩২৩, ৫০৪, ১৮৮ ধারায় রাজ বব্বর এবং অরবিন্দ যাদবের (Arvind Yadav) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (Representation of the People Act) ছাড়াও ফৌজদারী সংশোধনী আইনেও (Criminal Law Amendment Act) আদালতে রাজ বব্বরের নামে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। 

  • India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার লাদাখ সীমান্তে চিন সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের চেষ্টা। জুনের শেষ সপ্তাহেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার(LAC) খুব কাছে চলে আসে চিনা যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) রাডারে তা ধরা পড়তেই সতর্কতা জারি হয় সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা হয়েছে। এই ধরনের কোনও ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে তা নিয়েও চিনকে সতর্ক করেছে ভারত।

    সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময় চিনের সেনাবাহিনীর তরফে ভারতীয় সেনাকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে সরাসরি আকাশসীমা লঙ্ঘনের এরকম ঘটনা এই প্রথম বলেই জানা গেছে। এমনিতে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) নিজেদের দখলে থাকা এলাকায় চিনা বিমানবাহিনী বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের সক্রিয়তা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মহড়া চলাকালীন বিমানবাহিনীর তরফে বেশ কিছু সমরাস্ত্রেরও ব্যাপক ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালেও ভারত চিনের আগ্রাসনের কড়া জবাদ দিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, এই বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা হয়েছে।  তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের বৈঠকে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে আলোচনা করেছে দুপক্ষের আধিকারিকেরা। যদিও তার পর থেকে চিনের তরফে ভারত সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটানো হয়নি বলেই জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব

    সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এখনও নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ। তার মধ্যেই এই চিনা সক্রিয়তার কথা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। দফায় দফায় আলোচনার পর কিছু জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে সাময়িক ভাবে স্থিতাবস্থা ফেরানো হলেও মাঝে মাঝে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা তৈরি হয়। সম্প্রতি বালিতে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে চায় ভারত। তবে, আগ্রাসনের চেষ্টা হলে ভারত তার যোগ্য জবাব দেবে।

  • Sourav Ganguly Birthday: ৫০ তম জন্মদিনে লন্ডনের রাস্তায় উদ্দাম নাচ মহারাজের! ভিডিয়ো ভাইরাল

    Sourav Ganguly Birthday: ৫০ তম জন্মদিনে লন্ডনের রাস্তায় উদ্দাম নাচ মহারাজের! ভিডিয়ো ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৮ জুলাই। কারোরই জানতে বাকি নেই যে আজ মহারাজার জন্মদিন। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিসিসিআই-এর সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) আজ ৫০ তম জন্মদিন। সাধারণত জন্মদিনের এই দিনটি বেহালার বীরেন রায় রোডের বাড়িতেই কাটান সৌরভ। সকাল থেকেই বাড়ির সামনে হাজার হাজার ভক্তের ভিড় হয়। তবে এবারের জন্মদিনটা অন্যরকমভাবে পালন করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। আজ তাঁর জন্মদিন হলেও গতকাল থেকেই তাঁর জন্মদিন উদযাপন করতে দেখা যাচ্ছে। তিনি এখন সপরিবারে রয়েছেন লন্ডনে। আর এবার লন্ডনে থেকেই জন্মদিন পালন করছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ-পত্নী ডোনা? জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে

    শুধু এখানেই থেমে নেই, তাঁকে ৫০ তম জন্মদিনে খোশ মেজাজেই দেখা গিয়েছে। একের পর এক বলিউডের গানের তালে তালে কোমর দোলাতে দেখা গেল। আর সেই ভিডিয়ো শেয়ার হতেই ব্যাপক ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। তাঁর পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে লন্ডনেই ধুমধাম করে পালিত করছে মহারাজের ৫০তম জন্মদিন৷

    [tw]


    [/tw]

    সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, জন্মদিনের রাতে কন্যা সানা এবং স্ত্রী ছাড়াও আরও বেশ কয়েক জনের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছেন সৌরভ। শুধু তাই নয়, সকলে মিলে নাচছেনও। তাঁকে ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির টাইটেল গান ও অন্য একটি ভিডিয়োটিতে ‘কুইন’ ছবির ‘লন্ডন ঠুমকদা’ গানে নাচতে দেখা গিয়েছে। দুটির গানের তালে তালে এদিন এক অন্য মেজাজেই কোমর দোলাতে দেখা যায় মহারাজকে।

    [fb]https://www.facebook.com/100003187375145/videos/334193092249870/[/fb]

    আরও পড়ুন: সৌরভের বাড়িতে শুভেন্দুকে নিয়ে নৈশভোজে যাচ্ছেন অমিত শাহ?

    এছাড়াও সৌরভ গাঙ্গুলির জন্মদিনের আগেই শুভেচ্ছা দিতে পৌঁছে গিয়েছেন খোদ শচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। এছাড়াও এদিন প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা (Rajeev shukla), বিসিসিআই-এর সচিব জয় শাহকে (Jay Shah) দেখা গিয়েছে সৌরভের জন্মদিন পালন করতে। 

    [tw]


    [/tw] 

  • TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল নেতার মারে জখম তৃণমূল নেতা (TMC)। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) বুলন্ডি এলাকায়। শেখ উজির আলি নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

    ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। তার আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আরামবাগের বুলন্ডি এলাকা। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো বুলন্ডিতেও মূল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। আর যুব তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন পলাশ রায়। এলাকা দখল নিয়ে এই দুই নেতার বিবাদের জেরে মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডি। এই যেমন হয়েছিল রবিবার। এদিন বিকেলে পলাশের গোষ্ঠীর এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় কৃষ্ণচন্দ্রের ভাই তথা মায়াপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলক সাঁতরার কয়েকজন অনুগামী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অলক। তিনি বলেন, আমাদের দলের কয়েকজন কর্মীকে বিজেপির লোকজন মারধর করেছিল বলে খবর পেয়ে এলাকায় যাই। ওরা আমাকেও মারধর করে। অলক বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ওরা বিজেপির এজেন্ট ছিল। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছিল। ভোটারদের ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছিল। তাঁর দাবি, এখন তৃণমূলে ঢুকে দলেরই কর্মীদের মারধর করছে ওরা। ঘটনার খবর পেয়ে বুলন্ডি এলাকায় যায় আরামবাগ থানার বিশাল বাহিনী। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় অলককে। ঘটনায় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আরামবাগ থানায়। 

    আরও পড়ুন : নকল দলিল বানিয়ে জমি চুরি তৃণমূল কংগ্রেস নেতার

    রবিবারের ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডির মহেশপুর এলাকা। এদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন বিধায়কের অনুগামী শেখ উজির আলি। অভিযোগ, তাঁকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে পলাশের অনুগামীরা। উজিরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। খবর পেয়ে ফের এলাকায় যায় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। উজিরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।  

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোট যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে সংঘর্ষের ঘটনা। উপদলীয় কোন্দল নির্মূলে একাধিকবার দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। দলনেত্রীর সে নির্দেশ যে অনেক নেতার কানেই ঢোকেনি, বুলন্ডির এই দুই ঘটনাই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি, ভাইপো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় TMC-র অন্তর্দন্দ্বে সরগরম রামপুরহাট

     

  • Kerala MBBS Scam: কেরলে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বেআইনি আর্থিক লেনদেন! ইডির তলব চার্চ বিশপকে

    Kerala MBBS Scam: কেরলে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বেআইনি আর্থিক লেনদেন! ইডির তলব চার্চ বিশপকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে বহু ছাত্রকে কেরলে (Kerala) ডাক্তারিতে ভর্তি করা হয়েছিল। তিরুঅনন্তপুরমের কারাকোনামের ডাঃ সোমারভেল মেমোরিয়াল সিএসআই মেডিকেল কলেজে (Karakonam Medical College scam) ভর্তির প্রস্তাব দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়া (CSI)-র বিশপ এ ধর্মরাজ রাসালাম (Bishop A Dharmmaraj Rasalam)। পার্শ্ববর্তী রাজ্য তামিলনাড়ুর ছাত্রদের থেকে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কেরল হাইকোর্টে দায়ের করা এক মামলায় অভিযোগ করা হয় চার্চ বিশপ ও তাঁর সহযোগীরা এমডি এবং এমবিবিএস-এ আসন বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬০ লাখ টাকার উপরে ক্যাপিটেশন ফি আদায় করেছিলেন। কিন্তু পরে ওই ছাত্রদের ভর্তি করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: কর্ণাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    কেরলে এমবিবিএস, বিডিএস এবং এমডি কোর্সে (MD and MBBS) ভর্তির জন্য সেই রাজ্যেরই বাসিন্দা হতে হয়। কিন্তু নন-কেরলাইটদের জন্য টাকা  নিয়ে আসন বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন এ ধর্মরাজ রাসালাম। এমবিএস বা এমডি আসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অতিরিক্ত ফি দাবি করা হয়। কারাকোনামের এই কলেজটি সংখ্যালঘু মর্যাদার প্রতিষ্ঠান। তাই এখানে ৫০ শতাংশ আসন মেধাতালিকার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয় আর বাকি অর্ধেক আসন থাকে সংরক্ষিত। এই সংরক্ষিত আসনগুলিতে টাকা নিয়ে ভর্তি করার কথা বারবার শোনা গিয়েছে। এজন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জাল শংসাপত্রও তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই জাল শংসাপত্র তৈরি করে টাকা নিয়ে ছাত্রদের ভর্তি করা হয়, বলে দাবি।

    আরও পড়ুন: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    এই দুর্নীতিতে যুক্ত বিশপ রাসালামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোচিতে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি (ED)। টাকা দিয়ে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যেই ১১জন এমবিবিএস ছাত্রের ভর্তি বাতিল করেছে কেরল হাইকোর্ট। সোমবার তিরুবনন্তপুরমে মেডিকেল কলেজ এবং চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়ার (সিএসআই) অফিসে ১৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি বিশপ এ ধর্মরাজ রাসালামের অফিস, চার্চ সেক্রেটারি টিটি প্রবীনের বাসভবন, মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডাঃ বেনেট আব্রাহাম এবং মেডিক্যাল কলেজের অফিসেও এদিন অভিযান চালায়।

  • Bipodtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী ব্রতপালন, এই পুজোয় তেরো সংখ্যার মাহাত্ম্য জানেন কি?

    Bipodtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী ব্রতপালন, এই পুজোয় তেরো সংখ্যার মাহাত্ম্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবী দুর্গার ১০৮ রূপের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর এক রূপ, দেবী বিপত্তারিণী। যে কোনও মাতৃ-মন্দিরে দেবীর আরাধনা হয়। বাঙালি গৃহস্থ বাড়ির সধবা মহিলারা এই ব্রত করেন। 

    হিন্দুরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে যে কোনও শনি বা মঙ্গলবারে এই ব্রত পালন করা হয়।

    গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। মহিলারা গঙ্গা বা কোনও নদীতে স্নান করে দণ্ডী কাটেন। তারপর দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন চলে। চতুর্থ দিনে বিসর্জন হয়। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপবাস করেন।

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

    মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুসারে, এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সবকিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে। ব্রতর আচার হিসেবে সব কিছু দিতে হয় তেরোটি করে। যেমন— তেরোটি নৈবেদ্য সাজাতে হয়। ব্রত পালনে লাগে তেরো রকম ফুল, তেরো রকম ফল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ।

    এছাড়া, বিপত্তারিণী ব্রতপালনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে হাতে বাঁধতে হয় লাল ডুরি বা ডোর বা তাগা। এই ডোর তৈরির ক্ষেত্রেও তেরো সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ।

    তেরো গাছা লাল সুতোর সঙ্গে তেরোটি দূর্বা রেখে তেরোটি গিঁট বেঁধে তৈরি হয় এই পবিত্র তাগা বা ডোর। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তাগা হাতে পরলে তাঁকে কোনও বিপদ স্পর্শ করতে পরে না৷ 

    বিপত্তারিণী পুজোর শেষে সকলেই হাতে ওই তাগা বেঁধে দেওয়া হয়৷ মেয়েরা বাম হাতে ও ছেলেরা ডান হাতে এটি পরেন৷ এটি শুধু ব্রত পালন যিনি করছেন তিনিই যে বাঁধেন তা নয়, পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাঁধেন বিপন্মুক্তির জন্য৷

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজো! জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    ব্রতপালনের পর খাবার যা খেতে হয়, সেখানেও ১৩ সংখ্যা রাখা আবশ্যক৷ মায়েরা প্রসাদ হিসেবে খান, তেরোটি লুচি বা পরটা সঙ্গে তেরো রকমের ফল। চাল-চিঁড়ে-মুড়ি এসব খাওয়া যায় না৷

    ফল বা ময়দার রান্না যাই খাওয়া হোক না কেন সেটা ১৩ সংখ্যায় গ্রহণ করার কথাই ব্রতে বলা হয়৷ তবে যদি সেটা না হয় তাহলে পুজো মিটে যাওয়ার পর বিজোড় সংখ্যাতেও খাদ্যগ্রহণ করা যায়৷

  • Mutual Fund Investment: মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লগ্নি করতে চাইছেন? দেখতে পারেন এই পাঁচ স্কিম 

    Mutual Fund Investment: মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লগ্নি করতে চাইছেন? দেখতে পারেন এই পাঁচ স্কিম 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে মুদ্রাস্ফীতি। মন্দার মুখ দেখছে শেয়ার বাজারও। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) বিনিয়োগ (Investment) করতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ইক্যুইটি-ভিত্তিক স্কিমগুলোতে এমনটা হচ্ছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।  

    মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে রোজগার হিসেবে না দেখে, দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নিশ্চয়তা হিসেবে দেখা উচিত। ঠিকঠাক জায়গায় বিনিয়োগ করলে লাভের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। বিনিয়োগের সময় শেয়ার বাজারের অবস্থা বিবেচনা করে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদ বা দীর্ঘ মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে পারেন।

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ যারা করতে চাইছেন, এটাই তাঁদের বিনিয়োগ করার সঠিক সময়। বাজারের অবস্থা যখন খারাপ থাকে, তখন বিনিয়গ করলে রিটার্নের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। 

    এমন কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের স্কিম রয়েছে, যেখানে ঝুঁকি কম, কিন্তু লাভ বেশি।

    আরও পড়ুন: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    কানাড়া রোবেকো ব্লুচিপ ইক্যুইটি ফান্ড: এই স্কিমটি পুঁজির বাজারে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। যারা কম ঝুঁকিতে, বেশি লাভের মুখ দেখতে যান তাঁদের জন্যে আদর্শ। এটি লার্জ-ক্যাপ স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করার একটি ভাল বিকল্প। এই স্কিমটি ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে নিফটি ৫০ -কে ছাড়িয়ে গিয়েছে। 

    মিরাই অ্যাসেট ইমার্জিং ব্লুচিপ: এই স্কিমে এখনও কোনও দীর্ঘ মেয়াদী ফল দেখা যায়নি। কিন্তু ফান্ড ম্যানেজার নীলেশ সুরানার অভিজ্ঞতা এবং ব্র্যান্ডের সুনামের ওপর ভরসা করে টাকা রাখতেই পারেন। ফান্ডটি লার্জ ক্যাপ স্টকগুলিতে ৪৬.৮%, মিড ক্যাপ স্টকগুলিতে ২৫.৭৬% এবং স্মল ক্যাপ স্টকগুলিতে ৮.২৫% বিনিয়োগ করেছে৷ ৩ বছর এবং ৫ বছর মেয়াদে, এই স্কিমটি নিফটি ৫০- কে ব্যাপক ব্যবধানে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    কুয়ান্ট অ্যাক্টিভ ফান্ড: যারা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন, এই মাল্টি-ক্যাপ ফান্ড তাঁদের জন্যে । ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে যেখানে নিফটি ৫০- ৩১.২০% এবং ৬২.৪০% রিটার্ন দিয়েছে, সেখানে এই ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা যথাক্রমে ৯৫.৩৯% এবং ১৩৫.৬৫% রিটার্ন পেয়েছেন।   

    আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল ইক্যুইটি এন্ড ডেট ফান্ড: যারা মাঝারি ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্যে এই স্কিম আদর্শ। অতীতের ভালো রেকর্ড এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফান্ড ম্যানেজার থাকায় আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল বিনিয়োগের জন্যে ভালো বিকল্প। ১ বছর, ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে, এই স্কিমটি নিফটি ৫০- কে অনেক ব্যবধানে ছাড়িয়ে গিয়েছে।  

    কোটাক ডেট হাইব্রিড ফান্ড: যারা ঝুঁকি নিতে একদম পছন্দ করেন না কোটাকের এই স্কিমটি তাঁদের জন্যে বিনিয়োগের ভালো বিকল্প। বহুদিন ধরেই কোটাকের শেয়ার বাজারে পারফর্ম্যান্স ভালো। তাই এখানে বিনিয়োগে ঝুঁকিও কম। ঝুঁকি কম হওয়া সত্ত্বেও ভালো রিটার্ন দেওয়ার রেকর্ড আছে এই স্কিমের। 

     

     

     

  • Jasprit Bumrah: বুমরাহর মুকুটে নতুন পালক! দেখে নিন আর কোন বোলাররা ভারতকে নেতৃত্ব দেন

    Jasprit Bumrah: বুমরাহর মুকুটে নতুন পালক! দেখে নিন আর কোন বোলাররা ভারতকে নেতৃত্ব দেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারত (India)। এজবাস্টন টেস্টে ইংল্যান্ডক হারিয়ে চতুর্থবার বিলেতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতার সুযোগ কোহলিদের সামনে। তবে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) করোনায় (Covid-19) আক্রান্ত। এই ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না। তাই ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন পেসার যশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। মাত্র চার বছর আগে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ভারতীয় বোলারটির। তার মধ্যেই পায়ের তলার জমি শক্ত করেছেন তিনি। কালের নিয়মেই বুমরাহর মুকুটে যোগ হলো আরও একটি পালক। নেতা হিসেবে দলকে বুমরাহ সাফল্য এনে দিতে পারবেন কি না তা সময় বলবে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৭ সালে কপিল দেব (Kapil Dev) শেষবার কোনও পেস বোলার হিসেবে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অনেক সময়ই বলা হয়, ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের খেলা। সেই ধারা বজায় থেকেছে ভারতীয় দলের অধিনায়ক চয়নের ক্ষেত্রেও। তবে কখনও কখনও বোলরারও দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

    ফিরে দেখা:

    কপিল দেব: বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন কপিল দেব। শুধু তাই নয়, দেশের প্রথম পেস বোলার হিসেবে টেস্টে অধিনাকত্ব করে নজির গড়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে ৩৪ ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছিল মাত্র চারটিতে। ড্র হয়েছিল ২২টি ম্যাচ। পরাজয়ের সংখ্যা ৭। তবে কপিলের নেতৃত্বেই ১৯৮৩ তে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে ভারত।

    আরও পড়ুন: নেতা হিসেবে ধোনিই জীবনের আদর্শ! চাপমুক্ত হয়ে খেলতে চান বুমরাহ

    অনিল কুম্বলে: টেস্ট (Test) এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (ODI) মিলিয়ে ভারতের সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহকারী অনিল কুম্বলে। ২০০৭-০৮ মরশুমে তিনি ভারতের অধিনায়ক হয়েছিলেন। তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে ১৪টি টেস্টে ভারত জিতেছিল তিনটিতে।

    বিষেণ সিং বেদি: চার বছর ভারতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব সামলেছিলেন বেদি। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ২২টি টেস্টে। তার মধ্যে ভারত জয়ী হয়েছিল ছ’টি ম্যাচে। 

    এস বেঙ্কটরাঘবন: ১৯৭৪-৭৯, এই সময় ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন প্রাক্তন স্পিনার এস বেঙ্কটরাঘবন। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় দল দু’টি টেস্ট হারলেও, ড্র করেছিল তিনটিতে।

  • UK government:  কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    UK government:  কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson) জন্য বড় ধাক্কা। বুধবারও বরিসের অস্বস্তি বাড়িয়ে আরও দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিলেন। তাঁদের মধ্যে আছেন পরিবার ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী উইল কুইন্স ও পরিবহন মন্ত্রী লরা ট্রট। মঙ্গলবার তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ২ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী (Cabinet ministers) ঋষি সুনক (Rishi Sunak) এবং সাজিদ জাভিদ (Sajid Javid)। আজ আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই পদত্যাগের ফলে যুক্তরাজ্যে বরিস জনসন সরকারের পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

    শিশু ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী উইল কুইনস বলেন, ‘আমার সামনে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।’ এদিকে লরা ট্রট দাবি করেন, এই সরকারের উপর তিনি আর ভরসা রাখতে পারছেন না, তাই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জেরে আরও চাপে পড়লেন বরিস জনসন। 

    এর আগে গতকাল কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী। প্রথমে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তারপর ইস্তফা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। ঋষি, সাজিদদের দাবি, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর আস্থা হারিয়েছেন তাঁরা। ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ঋষি এবং সাজিদ হাত মিলিয়ে নেওয়ায় জনসনের পক্ষে সরকার টিকিয়ে রাখা যথেষ্ট কঠিন হবে। এই আবহে নিজের অনুগত নাদিম জাহাউইকে (Nadhim Zahawi) গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতে দেন বরিস। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন স্টিভ বার্কলে।

    আরও পড়ুন: ডায়ানার পোট্রেট নিলামে, ছবির রহস্য জানেন?

    গতকাল পদত্যাগ প্রসঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি বলেছেন, ‘মানুষ আশা করেন, সঠিকভাবে, দক্ষতার সঙ্গে এবং গুরুত্ব সহকারে সরকার চালানো হবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, মন্ত্রী হিসেবে এটাই আমার শেষ দফা হতো। তবে আমার বিশ্বাস যে এই বিষয়টি লড়াই করার মতো এবং সেজন্যই আমি ইস্তফা দিচ্ছি।’ ট্যুইটের সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া তাঁর চিঠিও। অন্যদিকে, সাজিদের দাবি, ‘নিজের হৃদয়ের বিচারে (বরিসের সরকারে) কাজ চালিয়ে যেতে পারব না।’ তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন , বলে ট্যুইটে জানান তিনি।

    ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, যৌন কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্রিস পিনচার নামে এক রাজনীতিককে বড় পদে এনেছিলেন বরিস। তাঁর দাবি ছিল, পিনচারের বিরুদ্ধে ওই সমস্ত অভিযোগের কথা তাঁর জানা ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি ফাঁস হয়, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে বলেছেন। তার প্রতিবাদেই বরিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগ করলেন চার মন্ত্রী।

LinkedIn
Share