Blog

  • Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) কাছ থেকে সরকার গড়ার বিষয়ে প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে। অন্তত এমনই জানিয়ে দিলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শিন্ডেকে বিদ্রোহী বলতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিয়ার বলেন, আমরা কাউকে বিদ্রোহী বলে মনে করি না। তাঁর প্রশ্ন, শিন্ডের সঙ্গে যদি মোট বিধায়কের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন থাকে, তাঁকে বিদ্রোহী বলি কী করে?

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতা বর্তমানে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একটা বড় ঝাঁক শাসক জোট মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাড়ি (MVA) ছেড়ে বেরিয়ে যান। এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে হবে শিবসেনাকে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে শিন্ডের বিরোধ বাঁধে। এর পরেই জোট ছেড়ে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    দিন দুয়েক আগে ফের বিশেষ বিমানে গুজরাতের ভদোদরায় উড়ে আসেন শিন্ডে। সাক্ষাৎ করেন মহারাষ্ট্রেরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে। সেখানেই দুই নেতার মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। আসামের হোটেল থেকেই শিন্ডে জানিয়েছিলেন, তাদের পিছনে একটি জাতীয় দলের সমর্থন রয়েছে। যদিও, পরে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে শিন্ডে বলেন, আমাদের পিছনে বালাসাহেব ঠাকরের শক্তি রয়েছে।

    বিজেপি অবশ্য শিবসেনার এই সংকটকে প্রথম থেকেই তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গঠনের যে কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হবে বলে ফড়নবিশের বাড়িতে বৈঠকের পরে জানান সুধীর। তিনি বলেন, প্রতিদিনের ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে বিজেপি। 

    প্রসঙ্গত, সোমবারই একনাথ শিবিরকে স্বস্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দলবিরোধী আইনের আওতায় বিদ্রোহী ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করতে উদ্যত হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মতো, বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে নোটিস পাঠিয়ে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ সম্পর্কে আত্মপক্ষ সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। পাল্টা বিদ্রোহী পক্ষের তরফে ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাব বিধানসভাতেই পেশ করা হয়। ডেপুটি স্পিকার তা খারিজ করেন। 

    দলবিরোধী নোটিশ প্রাপ্তি এবং অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ— এই দুই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় একনাথ শিবির। গতকাল শুনানিতে ১৬ জন শিবসেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) জিরওয়ালের জবাবও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, শিন্ডে-সহ বিধায়কের বিরুদ্ধে ১১ জুলাই পর্যন্ত দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    এদিকে, মহারাষ্ট্রের মহাসংকটের মধ্যেই এবার শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করল রাজ ঠাকরে শিবির। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা সুপ্রিমো রাজ ঠাকরের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন শিন্ডে। গত দু দিনে অন্ততঃ দুবার দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

    অন্যদিকে, বালাসাহেব ঠাকরে ছবি দিয়ে তার সঙ্গে শিন্ডের কাজে প্রশংসা করে গুয়াহাটির একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দুত্ব ফর এভার। গর্ব করেন বলুন, আপনি হিন্দু। আপনাকে আমরা সব ধরনের সমর্থন জানাব। পোস্টারটি কারা সাঁটিয়েছে, তা জানা যায়নি।

    মৃত্যুর এক দশক পর মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন প্রয়াত বালাসাহেব!

     

  • Credit Card: তবে কি ক্রেডিট কার্ডের নয়া নিয়ম কার্যকর হবে অক্টোবর মাসে?

    Credit Card: তবে কি ক্রেডিট কার্ডের নয়া নিয়ম কার্যকর হবে অক্টোবর মাসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) নিয়ে একাধিক নতুন নিয়মের ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India)। ১ জুলাই থেকেই ক্রেডিট কার্ডের এই পরিবর্তন আনার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে একাধিক নিয়ম বদলের জন্য সম্প্রতি আরও কিছু সময় দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় যে, ক্রেডিট কার্ডে পরিবর্তন আনার সময় ১ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ১ অক্টোবর করা হল।

    আরও পড়ুন: ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    তবে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন এসেছে জানেন কি?

    আরবিআই-এর  নতুন নিয়ম অনুসারে, আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার পর ৩০ দিনের মধ্যে সেটি অ্যাক্টিভেট না করেন, তবে ব্যাঙ্ক বা যেই সংস্থা থেকে কার্ডটি ইস্যু করা হয়েছে সেখান থেকে কার্ড ব্যবহারকারীর কাছে একটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে কার্ডটি অ্যাক্টিভ করার জন্য। সেইসময়ে যদি কার্ড ব্যবহারকারী কার্ডটি অ্যাক্টিভ করার অনুমতি না দেয়, তবে সাত দিনের মধ্যে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এতে কোনো সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না। আবার ক্রেডিট লিমিট বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও কার্ড ইস্যু করার ব্যাঙ্ক বা সংস্থাকে গ্রাহকের থেকে অনুমতি নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: এবার ক্রেডিট কার্ডও আসছে UPI পেমেন্টের আওতায়! কী বলছে RBI?

    এপ্রিল মাসেও ক্রেডিট-ডেভিট কার্ড নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। আর এই নিয়মগুলো সমস্ত ব্যাঙ্ক কে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। আরও জানানো হয়েছে যে ক্রেডিট কার্ডের বিলিং সাইকেল আগের মাসের ১০ তারিখ থেকে পরের মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ডের বিলিং পেমেন্টের বিস্তারিত বিষয় গ্রাহকের মেলে পাঠাতে হবে এবং এতে দেরী করা চলবে না। ব্যাঙ্কগুলোকে এদিকেও নজর রাখতে হবে যে গ্রাহকদের বিল মেটানোর সময় যাতে দেওয়া হয়, কমপক্ষে গ্রাহকরা যেন হাতে ১৫ দিনের মত সময় পান। এছাড়াও গ্রাহকরা ঠিক সময়ে বিলিং-এর বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছে কিনা সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে আরবিআই-এর তরফ থেকে।

  • DA Hike for Central Govt Employee: জুলাইয়েই ডিএ বাড়াতে পারে কেন্দ্র, কত হবে বেতন?

    DA Hike for Central Govt Employee: জুলাইয়েই ডিএ বাড়াতে পারে কেন্দ্র, কত হবে বেতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের (Central Government Employee) জন্যে সুখবর। জুলাই মাসেই বাড়তে চলেছে মহার্ঘ  ভাতা (Dearing Allowance)। সূত্রের খবর, ৫% অবধি মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (DA) বাড়াতে পারে কেন্দ্র সরকার। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা ৩৪% হারে ডিএ পাচ্ছেন, এবার ৩৯% হারে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন মুদ্রাস্ফীতিকে নজরে রেখে জুলাই মাসেই সুখবরটি দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। বছরে দুবার, জানুয়ারি ও জুলাই মাসে ডিএ বৃদ্ধি করে সরকার। গত জানুয়ারিতে এআইসিপিআই (AICPI)- এর উপর ভিত্তি করে ৩% ডিএ বেড়েছে। এ বছর এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৭৯ শতাংশ। যা গত আট বছরে সর্বোচ্চ। তাই মনে করা হচ্ছে ফের জুলাইয়েই বর্ধিত ডিএ- র ঘোষণা করবে কেন্দ্র সরকার।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের পাওয়া ফ্রি স্যাম্পল, উপহারও আসতে চলেছে টিডিএস-এর আওতায়?   

    ডিএ বাড়লে কী হারে বাড়বে বেতন?

    বিভাগ অনুসারে বেতন ম্যাট্রিক্স করা হয়েছে সপ্তম পে কমিশনে। তাই খুব সহজেই হিসেব করা যেতে পারে কেন্দ্র সরকারের কর্মীদের বেতন। ডিএ বাড়ানোর পর বেতন কত বাড়বে, তা নির্ভর করবে সরকারি কর্মীর মূল বেতন কত তার ওপর। বেতন ম্যাট্রিক্স ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের সঙ্গে সংযুক্ত। সরকারি কর্মীদের বেতন বর্তমানে ২.৫৭ গুণ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়।

    আরও পড়ুন: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?   

    বেসিক বেতন কাঠামো
     
    সপ্তম পে কমিশন অনুসারে, বর্তমানে, কর্মীদের পে ম্যাট্রিক্স লেভেল ৩ থেকে মূল বেতন কাঠামো তৈরি করা হয়। এটি ২১,৭০০ টাকা থেকে শুরু হয় এবং সর্বাধিক ৬৯,১০০ টাকা পর্যন্ত যায়৷ ধরা যাক দিল্লিতে কর্মরত একজন সরকারি কর্মীর মূল বেতন প্রতি মাসে ২১ হাজার ৭০০ টাকা। এখন এর সঙ্গে সব ধরনের ভাতা যোগ করা হবে। ২১ হাজার ৭০০ টাকা মূল বেতনে বর্তমানে পাওয়া ৩৪ শতাংশ ডিএ অনুসারে, তাঁর বেতনের সঙ্গে ৭,৩৭৮ টাকা যোগ হবে।  

    এরপর শহর অনুযায়ী মূল বেতনের ২৭ শতাংশে বাড়ি ভাড়া ভাতা পাওয়া যায়। এইভাবে ৫,৮৫৯ টাকা যোগ হবে। গ্রেড-৩ কর্মী ৩,৬০০ টাকা ভ্রমণ ভাতা পান। এই টাকা যোগ করলে মোট মাসিক বেতন হবে ৩৮,৫৩৭ টাকা।  

    এবার কেন্দ্র যদি আগামী মাসে পাঁচ শতাংশ ডিএ বাড়ায়, তাহলে তা হবে ৩৯ শতাংশ এবং কর্মীদের বেতন বাড়বে মাসে ১,০৮৫ টাকা। ডিএ ৭,৩৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৮,৪৬৩ টাকা হবে। ডিএ বাড়লে উপকৃত হবেন ৫০ লক্ষ কর্মী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী।  
     
    বর্তমানে সরকার ৩৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে। এআইসিপিআই সূচকের তথ্য বলছে, এবার ডিএ ৪-৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। 

     

  • Maharashtra political crisis: দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    Maharashtra political crisis: দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও কোণঠাসা মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। দল চাইলে ইস্তফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও দলে ভাঙন ঠেকাতে পারছেন না মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে আরও তিন শিবসেনা (Shivsena) বিধায়ক উড়ে গিয়েছেন আসামের (Assam) গুয়াহাটিতে। ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে পৈত্রিক ভিটে মাতশ্রীতে ফিরে গিয়েছেন উদ্ধব।

    আরও পড়ুন : উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    নরম হিন্দুত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde)। শিন্ডের দাবি, কংগ্রেস, এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়া হোক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগামী ৩৬জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান একনাথ। সেখান থেকে চলে যান আসামের গুয়াহাটিতে। তাঁর সঙ্গে দলীয় ৪০ জন বিধায়ক ও ৬ নির্দলের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি শিন্ডের। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ফের ৩ বিধায়ক উড়ে যান গুয়াহাটিতে।

    শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উদ্ধব মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন না। তবে উদ্ধবের সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিধায়ক নেই বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কারণ যে ৩ বিধায়ক গুয়াহাটির হোটেলে গিয়ে উঠেছেন, তাঁরা যদি শিন্ডের শিবিরে নাম লেখান, তাহলে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দলীয় বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৯। আর একজন বিধায়ক শিন্ডের দলে নাম লেখালেই কেল্লাফতে। কারণ বিধানসভায় শিবসেনার সদস্য সংখ্যা ৫৫। তার পর তিনি যদি দাবি করেন, উদ্ধব নন, তিনিই শিবসেনার আসল নেতা, আইন অনুযায়ী সেটাই মেনে নিতে বাধ্য হবেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন : সঙ্কট আরও ঘনীভূত, বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    পরিস্থিতির মোকাবিলায় কংগ্রেস ও এনসিপির তরফে শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে শিন্ডে তাতে রাজি হবেন না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    কংগ্রেস-শিবসেনার চালকে সমর্থন করে বুধবার রাতেই সপরিবারে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বর্ষা ছেড়ে পৈত্রিক ভিটে মাতশ্রীতে ফিরে গিয়েছেন উদ্ধব। শিবসেনারা যে তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন, তা প্রমাণ করতে মুম্বইয়ের রাস্তায় হাজার হাজার শিব সৈনিককে নামিয়ে ক্ষমতাও প্রদর্শন করেছেন উদ্ধব। করোনা সংক্রমিত মুখ্যমন্ত্রী এটা করতে পারেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কোভিড বিধি ভঙ্গ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ায় প্রত্যাশিতভাবেই জোরালো হয়েছে পালাবদলের জল্পনা। তবে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। প্রয়োজনে বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন তিনি।

     

  • Navy Agnipath Recruitment: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    Navy Agnipath Recruitment: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিবীর‘ (Agniveer) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। যদি জুনের ২৫ তারিখ এই বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা থাকলেও তিনদিন আগেই জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি। বিষয়টি ঘোষণা করেন নৌসেনার অ্যাডমিরাল জেনারেল দীনেশ কে ত্রিপাঠী (Dinesh K Tripathi)। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আগে আমাদের নিয়োগ ক্যালেন্ডার ২৫ তারিখে প্রকাশ করার কথা থাকলেও, তা ২২ তারিখেই প্রকাশ করা হচ্ছে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ১ জুলাই থেকে।” 

    [tw]


    [/tw]

    এবিষয়ক কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক:

    • ১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন। 
    • বিস্তারিত নোটিফিকেশন ৯ জুলাই প্রকাশিত হবে।
    • অগ্নিবীর ব্যাচ ২০২২- এর আবেদন উনডো ১৫ জুলাই- ৩০ জুলাই খোলা থাকবে।
    • অক্টোবরের মাঝামাঝি লিখিত পরীক্ষা এবং ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়া হবে।
    • নভেম্বরের ২১ তারিখের মধ্যে অগ্নিবীররা যোগ দেবেন আইএনএস চিলকায়।

    আরও পড়ুন: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    ভাইস অ্যাডমিরাল এদিন জানান, অগ্নিবীররা ৪ বছরের ট্রেনিং-এর পর সরাসরি মার্চেন্ট নেভির চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন।

    অগ্নিবীর প্রকল্পের মাধ্যমেই ভারতীয় নৌসেনা প্রথম মহিলা নাবিক নিয়োগ করবে। ভাইস অ্যাডমিরাল আরও বলেন, “ঠিক কতোজন মহিলা নাবিক নিয়োগ করা হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি।” 

    অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের ট্রেনিং চলতি বছর নম্ভেম্বরে শুরু হবে।

    আরও পড়ুন: রাজনীতির রঙে থমকে যায় ভাল কাজ ! অগ্নিপথ-বিরোধিতা প্রসঙ্গে মোদি 

    কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন নৌসেনায় আবেদন করতে?

    উচ্চতা: ছেলে- ১৫৭ সেমি, মেয়ে- ১৫২ সেমি 

    বয়স: বয়স হতে হবে ১৭.৫ থেকে ২৩ -এর মধ্যে। 

    এসএসআর এবং এমআর এই দুই পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মোট শূন্যপদ ৩০০০। 

    এসএসআর এবং এমআর পদে আবেদনের জন্যে ভারত সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে যথাক্রমে দ্বাদশ এবং দশম শ্রেণী পাশ করতে হবে।

    অনলাইন ফর্ম পাওয়া যাবে WWW.DSHELPINGFOREVER.COM লিঙ্কে 

    আবেদন করতে কোনও টাকা লাগবে না। 

    এসএসআর নিয়োগের প্রক্রিয়া: ৬০ মিনিটের পরীক্ষা নেওয়া হবে। হিন্দি ও ইংরাজি দুই ভাষায় থাকবে প্রশ্নপত্র। ইংরাজি, বিজ্ঞান, অঙ্ক এবং সাধারণ জ্ঞান, এই চার বিষয়ে নেওয়া হবে পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীকে চারটি বিষয়ে আলাদা আলাদা করে এবং মোট নম্বরেও পাশ করতে হবে। অবজেক্টিভ প্রশ্ন থাকবে। 

    এমআর  নিয়োগের প্রক্রিয়া: ৩০ মিনিটের পরীক্ষা নেওয়া হবে। হিন্দি ও ইংরাজি দুই ভাষায় থাকবে প্রশ্নপত্র। বিজ্ঞান ও অঙ্ক মিলে একটি বিষয় এবং সাধারণ জ্ঞান এই দুই বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীকে দুটি বিষয়ে আলাদা আলাদা করে এবং মোট নম্বরেও পাশ করতে হবে। অবজেক্টিভ প্রশ্ন থাকবে। 

    যারা পাশ করবেন তাদের ফিটনেস পরীক্ষার মাধ্যমে বাছা হবে। 

     

     

     

  • Pakistan: রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের

    Pakistan: রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাজনীতি (Politics) থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিলেন চিফ অফ স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া (Qamar Javed Bajwa)। সেনাবাহিনীর কমান্ডার, শীর্ষ কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের উদ্দেশে এনিয়ে আলাদা একটি নির্দেশিকাও জারি করেছেন পাক সেনা প্রধান। সেনা কর্মকর্তাদেরও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও বন্ধ রাখার আহ্বান জানান পাকিস্তানের সেনা কর্তা।  

    পাঞ্জাবে আসন্ন উপনির্বাচনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহেরিক-ই ইনসাফ, সংক্ষেপে পিটিআইকে বেকায়দায় ফেলতে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেও আইএসআই এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জড়িত বলে লাগাতার অভিযোগ করে আসছেন পিটিআই নেতারা। তাঁদের সন্দেহের তির আইএসআই লাহোর সেক্টরের কমান্ডারের দিকে। সূত্রের খবর, গত দু সপ্তাহ ধরে পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে নিজ কর্মস্থলে তিনি নেই। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন রাজধানী ইসলামাবাদে।

    আরও পড়ুন : করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    পাকিস্তানের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইয়াসমিন রাশিদ সম্প্রতি এই আইএসআই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। রাশিদের আগে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশিও বলেন, পাঞ্জাব প্রদেশের উপনির্বাচনে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানও প্রায় একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তাঁর কিছু কিছু প্রার্থীও অচেনা নম্বর থেকে ফোন পাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন : ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি! বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানে

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পাকিস্তানের রাজনীতির মূল চাবিকাঠি থাকে সেনাবাহিনীর হাতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে যিনি বসেন, তাঁর সঙ্গে বরাবর সেনাবাহিনীর সুসম্পর্ক থাকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনা প্রধানের দূরত্ব তৈরি হলেই সমূহ বিপদ। ক্ষমতা চ্যুত হতে হয়। যেমনটা সম্প্রতি হতে হয়েছে ইমরান খানকে। তার পরেই পাক প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন শেহবাজ শরিফ। এর ঠিক পরে পরেই সেনা প্রধানের এই নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

  • LeT Terrorist: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই লস্কর জঙ্গিকে আটক করলেন উপত্যকার বাসিন্দারা

    LeT Terrorist: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই লস্কর জঙ্গিকে আটক করলেন উপত্যকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিকে (Terrorist) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেরাই আটক করলেন জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রিয়াসি (Reasi) জেলার তুকসান ধোক (Tukson Dhok) গ্রামের বাসিন্দারা। সন্ত্রাসবাদীদের তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। নিরাপত্তা বাহিনীর খাতায় এই দুই জঙ্গিরই নাম ছিল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় ছিল। তাদের কাছে মজুত ছিল একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেডের মতো ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ। তা সত্ত্বেও পিছপা হননি গ্রামবাসীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য ছাড়াই তাঁরা করে ফেললেন অসাধ্য সাধন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, ৩ জুলাই।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি  

    একাধিক ট্যুইট করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের এই অসীম সাহসের ভূয়সী প্রশংসা করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। জম্মুর এডিজিপি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘অসীম সাহসের জন্য রিয়াসি জেলার তুকসান ধোক গ্রামবাসীদের অভিনন্দন জানাই। এলইটি-র দুই জঙ্গিকে গ্রামবাসীরা অস্ত্রসহ আটক করেছে। ২টি একে৪৭ রাইফেল, ৭টি গ্রেনেড এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মুর ডিজিপি গ্রামবাসীদের জন্য ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।’ 

    আরও পড়ুন: উপত্যকায় হিন্দু শিক্ষিকা রজনী বালার হত্যায় জড়িত জঙ্গি নিহত

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই লস্কর সন্ত্রাসবাদীর নাম ফয়জল আহমেদ দার ওরফে বশির আহমেদ দার এবং তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। প্রথমজন পুলওয়ামার এবং পরের জন রাজৌরির বাসিন্দা। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও ওই গ্রামবাসীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য পৃথক পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অসীম সাহসিকতার জন্য আমি রিয়াসির তুকসান ধোক গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। তাঁরা দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীকে ধরেছেন। সাধারণ মানুষ এই ধরনের সংকল্প নিলে সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না। সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার গ্রামবাসীদের ৫ লক্ষ টাকা নদগ পুরস্কার দেবে।’      

    কিছুদিন আগেই রাজৌরি জেলার এক এলাকায় লস্কর-ই-তৈবার একটি ঘাঁটির সন্ধান পেয়েছিল জুম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক সন্ধান মিলেছিল। ওই অভিযানের সময়, নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। পুলিশ তালিবকে পলাতক হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তার খোঁজে পুরস্কারের ঘোষণাও করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তালিব হুসেনের সঙ্গে কাসিম নামে এক পাকিস্তানি লস্কর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এছাড়া, কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে।      
      

  • Arpita Mukherjee Properties: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    Arpita Mukherjee Properties: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির (Arpita Mukherjee Properties) খোঁজ পেতে কলকাতার একাধিক জায়গায় একযোগে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেলঘরিয়ার অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কসবায় সংস্থার অফিস— সর্বত্র তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে ইডি-র (ED) কাছে এখন ‘তুরুপের তাস’ হয়ে উঠেছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা। বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অর্পিতা। তাঁকে ক্রমাগত পালা পালা করে জেরা করে চলেছেন ইডি-র দুঁদে অফিসাররা। আর সেই জেরা থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে তদন্তকারী দল। 

    গত শুক্রবার, টালিগঞ্জে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না। এছাড়া ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে। একেবারে, ২ হাজার ও ৫০০-র নোটের ২ বস্তা ভর্তি বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    এখানেই শেষ নয়। ইডি সূত্রের দাবি, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, জমি-বাড়ি ও অফিস সংক্রান্ত একাধিক দলিল। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অর্পিতার অনেক ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে। সেগুলিকে নিয়ে অর্পিতাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করা হচ্ছে। ইডি-র আরও দাবি, নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক অর্পিতা। জেরা থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে সেই সম্পত্তির হদিশ পেতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    যার প্রেক্ষিতে, আজ অর্পিতার কোথায় কী কী সম্পত্তি রয়েছে, তার হদিশ পেতে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। একটি দল বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হাজির হয়েছে। রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে রয়েছে অর্পিতার ২টি ফ্ল্যাট। একটি ১১০০ ও আরেকটি ১৪০০ স্কোয়ার ফিটের। ২টি ফ্ল্যাটের একটি রয়েছে ব্লক-২ তে, আরেকটি ব্লক-৫ তে। ২টি ফ্ল্যাটই এই মুহূর্তে তালাবন্ধ। কাছেই, বেলঘরিয়া দেওয়ান পাড়ায় রয়েছে পৈতৃক বাড়ি। সেখানে থাকেন তাঁর মা মিনতি মুখোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    ইডি-র আরেকটি দল তখন হানা দিয়েছে কসবার রাজডাঙায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সংস্থা ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টের অফিসেও। সেখানেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। ইডি জানতে পেরেছেন, এই সংস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

  • Sharad Pawar IT Notice:  আয়কর দফতর ‘প্রেমপত্র’ পাঠিয়েছে, নোটিশ পেয়ে বললেন পাওয়ার

    Sharad Pawar IT Notice:  আয়কর দফতর ‘প্রেমপত্র’ পাঠিয়েছে, নোটিশ পেয়ে বললেন পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর দফতর (Income Tax Department) তাঁকে প্রেমপত্র (Love Letter) পাঠিয়েছে। আয়কর দফতরের নোটিশ পেয়ে এমন প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করলেন এনসিপি (NCP) নেতা শারদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। পরেই আয়কর দফতরের তরফে নোটিশ আসে পাওয়ারের কাছে। এর পরেই ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান ট্যুইট করেন জানান, যে আয়কর বিভাগ নোটিশ পাঠিয়েছে তাঁকে। আয়কর বিভাগের এই নোটিশকেই প্রেমপত্র বলে উল্লেখ করেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

    আরও পড়ুন : দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    ট্যুইটবার্তায় পাওয়ার বলেন, আমি প্রেমপত্র পেয়েছি। ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০২০ সালে নির্বাচনের হলফনামা সংক্রান্ত নথি নিয়েই আয়কর বিভাগের লাভ লেটার পাঠানো হয়েছে। এদিন কেন্দ্রকেও একহাত নিয়েছেন পাওয়ার। এনসিপি সুপ্রিমো বলেন, তদন্তকারী সংস্থা নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে। এই বিভাগে কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে চলেছে। এটা পরিকল্পনা মাফিকই করা হচ্ছে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে নেই, জানালেন পাওয়ার, নীতীশ

    কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট গড়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছিল শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। সম্প্রতি কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ছেড়ে দিতে উদ্ধবকে বলেন শিবসেনা নেতা তথা উদ্ধব মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডে। তাতে রাজি হননি উদ্ধব। তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় দুই নেতার। এর পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটিতে উড়ে যান। সরকার বাঁচাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেন উদ্ধব স্বয়ং। তার পরেও নেভেনি বিদ্রোহের আগুন। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। তার আগেই সরকারি বাংলো বর্ষা ছেড়ে উদ্ধব চলে যান পৈত্রিক ভিটে মাতোশ্রীতে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিন্ডে। তার পরে পরেই এনসিপি সুপ্রিমোকে নোটিশ পাঠায় আয়কর দফতর।

     

  • GST: প্যাকেট-বন্দি চাল, আটাতেও জিএসটি, দাম বাড়ছে কোন কোন পণ্যের?

    GST: প্যাকেট-বন্দি চাল, আটাতেও জিএসটি, দাম বাড়ছে কোন কোন পণ্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দই, পনির, মাছ, মাংস, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ি মতো গোড়া থেকেই প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা পণ্যে বসানো হল ৫ শতাংশ জিএসটি (GST)। চেকবই ইস্যু করতে ব্যাংকগুলি যে ফি নেয়, তাতেও দিতে হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি। জিএসটি পর্যালোচনা করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitharaman) নেতৃত্ব মঙ্গলবার থেকে চণ্ডীগড়ে চলছে দুদিন ব্যাপী বৈঠক। সেখানে এদিন ১২ শতাংশ করের আওতায় আনা হয়েছে হোটেলে দৈনিক ১০০০ টাকার কমের ঘরভাড়া, মানচিত্র ও চার্টকেও। এতদিন এগুলিতে কর দিতে হত না। তবে মোড়ক, লেবেল এবং ব্যান্ড নাম ছাড়া যে সব পণ্য বিক্রি হয়, সেগুলিতে অবশ্য এখনও বহাল রয়েছে ছাড়। এছাড়াও কর ফাঁকি রোধেও একাধিক ভাবনা রয়েছে জিএসটি পরিষদের। 

    আরও পড়ুন : শীঘ্রই ২৮% জিএসটি ধার্য হবে অনলাইন গেমেও? ভাবনা কেন্দ্রের

    পরিষদ এদিন কর কাঠামো সংশোধনের সুপারিশ করেছে এলইডি লাইট, ভোজ্য তেল, আঁকার এবং ছাপার কালি, পণ্য তৈরির চামড়া, সোলার হিটারের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে। সোলার ওয়াটার হিটার এবং ফিনিশড লেদারে ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি প্রযোজ্য হবে। ই-ওয়েস্টের ক্ষেত্রে জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১৮ শতাংশ।

    জিএসটি চালুর সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাজ্যগুলিকে কথা দিয়েছিল, তা আদায়ের ক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে তাদের পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণ দেবে তারা। এ মাসেই ফুরোচ্ছে সেই মেয়াদ। রাজ্যগুলির দাবি, জিএসটি আদায়ে এখনও ঘাটতি হচ্ছে তাদের। তাই বাড়ানো হোক ক্ষতিপূরণের মেয়াদ। যদিও কেন্দ্রের যুক্তি, এর মেয়াদ বাড়ানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা তাদের নেই।

    আরও পড়ুন : জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের একটি গোষ্ঠীকে কর কাঠামো সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বে সেই মন্ত্রিগোষ্ঠীই মঙ্গলবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে একাধিক সুপারিশ করে। জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার আলোচনা হবে ঘোড়দৌড়, জুয়া খেলা এবং অনলাইন গেমের ওপর ২৮ শতাংশ কর বসানোর প্রস্তাব নিয়েও।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে জিএসটির ভাগ রয়েছে ৫০ শতাংশ। ছত্তীশগড়ের মতো বিজেপি বিরোধী রাজ্যের দাবি, এটা বাড়িয়ে কেন্দ্র তাদের দিক ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।

     

LinkedIn
Share