Blog

  • Bengali Hindu Homeland: পশ্চিমবঙ্গ দিবসের শপথ: আমি ভয় করব না, ভয় করব না

    Bengali Hindu Homeland: পশ্চিমবঙ্গ দিবসের শপথ: আমি ভয় করব না, ভয় করব না

    ড. জিষ্ণু বসু

     

    আমি একজন বাঙালি হিন্দু। আমার জীবনে আমি কখনও কোনও ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের কোনও ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার মতো কিছু বলিনি। আমার স্বর্গতঃ পিতৃদেব রামকৃষ্ণ মিশনের দীক্ষিত ও একান্ত অনুগামী ছিলেন। আমি আশৈশব অন্য ধর্মের শ্রদ্ধেয় প্রাতঃস্মরণীয়দের সম্মান করতেই শিখেছি। আমার ঠাকুরদাদা মশাইও কখনও কোনও ধর্মের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন বলে শুনিনি।

    সূত্রাপুরের লক্ষীনারায়ণ জীউ মন্দিরের উল্টোদিকে আমাদের ঢাকার বাসাটা ১৯৫১ সালে নেহরু লিয়াকত চুক্তি হওয়ার পরেও ছিল। চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল পাকিস্তানে হিন্দু আর ভারতের মুসলমান শান্তিতে, সসম্মানে থাকতে পারবে। ১৯৫১ সালে পূর্ব-পাকিস্তানে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ২৪ শতাংশ, ২০১১ সালে তা কমে হয়েছে ৮ শতাংশ। গত দশ বছরে সংখ্যাটা আরও কমেছে। দুপারের বঙ্গভুমিতে হিন্দু বাঙালির মোট জনসংখ্যা ১৯৪১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত  ১৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। 

    যাঁরা খুন হননি বা ধর্মান্তরিত হননি তাঁরা পালিয়ে এসেছেন। এখনও আসছেন। এই পালিয়ে আসা মানুষের মধ্যে খুব কম, হাতেগোনা হিন্দু হয়ত দারিদ্রের কারণে এখানে এসেছেন। কিন্তু বাকি কেউই এখানে ২ টাকা কেজি চাল খাওয়ার জন্য আসেননি। একান্ত প্রান বাঁচাতে, বাড়ির মেয়েদের ইজ্জত বাঁচাতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন বা কান্ধামাল, দন্ডকারণ্যে গেছেন।

    গত বছর থেকে আমরা ‘খেলা হবে’ স্লোগানটা খুব শুনছি। কিন্তু এই খেলা আমরা বিগত সত্তর আশি বছর থেকে দেখছি। এই খেলায় সবথেকে বড় ভুমিকা ছিল শাসকদের। যিনি রক্ষক তিনিই ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

    ১৯৬৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর, কাশ্মীরের হজরতবাল মসজিদের থেকে উধাও হয়ে গেল পবিত্র কেশরাজি। এই ঘটনায় পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিলেন ইসলামিক বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আব্দুল হাই। পাকিস্তানের তদানিন্তন রাষ্ট্রপতি আয়ুব খাঁ ঢাকা বিমানবন্দর ছাড়ার সময় বলে গেলেন, “সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আঘাত এলে তার দায়িত্ব সরকারের নয়!” 

    ১৯৬৪ সালে ভয়াবহ দাঙ্গায় পূর্ববঙ্গের কয়েক হাজার হিন্দু বাঙালির প্রাণ যায়। এই গণহত্যার সঙ্গে, অগনিত হিন্দু মহিলা ধর্ষিতা হন, গ্রাম থেকে শহরে লুঠ আর মহিলা অপহরণ চলে, কয়েকশ মন্দির ভাঙা হয়। ঢাকার টিকাটুলির রামকৃষ্ণ মিশনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন পরেই মসজিদে কেশরাজি ফিরে এল, অপরাধীও ধরা পড়ল। কিন্তু খেলার একটি অধ্যায়ে সর্বশ্রান্ত  হয়ে গেলেন, উদ্বাস্তু হলেন লক্ষাধিক বাঙালি হিন্দু।

    ২০২২ সালের কলকাতা। নূপুর শর্মার বক্তব্যের বিরুদ্ধে এরাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার যিনি সর্বাধিকারী, তিনি ৯ জুন তারিখে ট্যুইট করলেন, ”আমি জোরালোভাবে দাবি করছি, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে এবং সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির প্রয়োজনে বিজেপির অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।”

    ১০ জুন সকাল থেকে হাওড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা শুরু হয়। যে সব স্থানে বাঙালি হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে গ্রামের পর গ্রাম পুড়তে থাকে। ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালাতে থাকে। পাঁচলার মতো বহু জায়গায় পুলিশের সামনেই দোকান লুঠ হয়। হিন্দুদের দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারপর একসময় পুলিশের দুটি গাড়িও পোড়ানো হয়।

    ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় ১১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে। নাশকতা পরপর কয়েকদিন চলতে থাকে। এরাজ্যে হিন্দু দেবদেবী নিয়ে আপত্তিকর কিছু বললে, ‘সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির’ কিছু তারতম্য হয় না। কাশীতে বীরেশ্বর শিবের বরে   মা ভুবনেশ্বরী দেবী স্বামী বিবেকানন্দকে পেয়েছিলেন। তাই ছোট্ট বিলে দুষ্টুমি করলে মা তাঁর মাথায়, “শিব, শিব” বলে জল ঢেলে শান্ত করতেন। 

    হিন্দু বাঙালির জীবনের প্রতিটি অংশ জুড়ে আছেন দেবাদিদেব মহাদেব। ভগবান শিবের নামে কেউ অসম্মানজনক কথা বললে তাকে এই রাজ্যের রাজনৈতিক শক্তি পুরষ্কৃত করে। সম্প্রতি শিব ঠাকুরের নামে অশ্রাব্য কথা বলার প্রতিবাদে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানায় একটি অভিযোগপত্র জমা হয় এমাসের ১৩ তারিখে। অভিযোগকারী ৪১ বছরের ছেলেটির জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পুলিশ তো অভিযোগ গ্রহণ করে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেইনি, বরং ছেলেটিকে বারবার পার্টি অফিসে নিয়ে শাসানি চলছে নিয়মিত, গত ১৮ জুন তারিখে ছেলেটিকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। কেন? পশ্চিমবঙ্গ তো বেঙ্গলি হিন্দু হোমল্যান্ড। এখানে কোনও হিন্দুর আরাধ্য দেবতাকে নিয়ে কদর্য কথা বললে পুলিশ কেন এফআইআর গ্রহণ করবে না? কেন অভিযোগকারীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা হবে না? গত ১১ বছর ধরে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার করা একটা বার্ষিক উৎসব হয়ে উঠেছে। কোনও না কোনও একটা অছিলা চাই।

    ২০১৪ সালের খাগড়াগড়ের ঘটনার পরে সিমুলিয়ার মতো মাদ্রাসার ছবি খবরে উঠে এল। হিন্দুদের নিকেষ করার জন্য কী ভীষণ প্রস্তুতি চলছে। এরাজ্যের সরকার প্রথমে ঘটনাটা ঢাকতেই চেয়েছিল। ২০১৫ সালে জামালপুরের তফশিলি সম্পদায়ের হিন্দুদের উৎসব ধর্মরাজের মেলা ছিল ছুতো। নদিয়া জেলার জুড়ানপুরে সেই বাহানায় খুন করা হল মারু হাজরাদের মত ৫ জন তফশিলি সম্প্রদায়ের গরিব অসহায় হিন্দুকে।

    ২০১৬ সালের বাহানা ছিল, কমলেশ তিওয়ারির ফাঁসির দাবি। সেই অপরাধে মালদার কালিয়াচকে থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হল। হিন্দু গ্রাম আক্রান্ত হল, গুলিবিদ্ধ হল সাধারণ মানুষ। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরেরই শুরু হল ধূলাগড়ের দাঙ্গা। এবারের বাহানা ছিল নবী দিবসের। মিলাত-উল-নবী পালন করার উৎসাহে ধূলাগড়ের মতো বহু জায়গায় আগুন জ্বলল। জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। 

    ২০১৭ সালে উওর ২৪ পরগণার বাদুড়িয়ায় একটি ১৭ বছরের বালকের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ছিল বাহানা। হিন্দু মন্দির ভাঙা হল, ঘর পোড়ানো হল, বসিরহাটে দিনের আলোয় খুন হলেন নিরীহ হিন্দু। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে আসানশোলে রামনবমীর মিছিল আক্রান্ত হল। প্রাণ গেল নিরীহ হিন্দুদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাস ছড়ানো হয়েছিল। বিডিও অফিসে অফিসে হার্মাদদের ঘর দেওয়া হয়েছিল। নিহত, ধর্ষিতা আর আক্রান্তদের প্রায় সকলেই হিন্দু বাঙালি।

    ২০১৯ সালে সিএএ বিরোধিতার নামে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। জাতীয় সড়ক অবরোধ, রেল স্টেশনে স্টেশনে চরম নাশকতা। মাসাধিক কাল উওরবঙ্গ আর দক্ষিণবঙ্গ রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। গ্রামে গ্রামে আক্রমণের লক্ষ্য ছিল বাঙালি হিন্দু, বিশেষ করে পূর্ববঙ্গের থেকে সব হারিয়ে আসা উদ্বাস্তু হিন্দু।

    ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পরেও হিন্দুদের উপর এই সিএএ বিরোধী অত্যাচার থামেনি। ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ছুতোয় হত্যা, ধর্ষণ আর লুঠের তাণ্ডবলীলা চলল। অর্ধশতাধিক হিন্দু বাঙালির প্রাণ গেল। যাঁরা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, যাঁরা “ক্যা ক্যা ছি ছি” করে পূর্ববঙ্গের হিন্দু উদ্বাস্তুর অধিকার পেতে দিলেন না, তাঁরা কিন্তু হিন্দু বাঙালির দুঃখের কথা বলবেন না।

    ভারতের কোথাও নির্বাচনের নামে এত লোক মারা যান না। এত বর্বরতা কোনও প্রদেশের মানুষের নেই। অথচ আমরা শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে কত এগিয়ে! এগিয়ে বাংলা! এবার একটা কথা পরিস্কার বলা প্রয়োজন। এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নিকারাগুয়ার জন্য, গাজা ভূখণ্ডের জন্য কথা বলবেন, আর পশ্চিমবঙ্গ যখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে তখন অন্য কোথাও পালিয়ে যাবেন পাথেয় নিয়ে।

    পূর্ববঙ্গের থেকে পালিয়ে আসা সর্বশ্রান্ত মানুষদের আশ্রয়ের জন্য ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো মনীষীরাই এই “বেঙ্গলি হিন্দু হোমল্যান্ড” আদায় করেছিলেন। মহম্মদ আলি জিন্না ১৯৪৭ সালে বহুবার আক্ষেপ করেছিলেন কলকাতা পেলেন না বলে। কিন্তু বাঙালি হিন্দু সেদিন এক ছিল। সুচেতা কৃপালিনী কংগ্রেসের নেত্রী, অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা বামপন্থী, কিন্তু তাঁরা শ্যামাপ্রসাদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের সমবেত প্র‍য়াসেই ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইনসভায় ঠিক হয়েছিল হিন্দুপ্রধান জেলাগুলি নিয়ে তৈরি হবে পশ্চিমবঙ্গ, সেই পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষে থাকবে, বেঙ্গলি হিন্দু হোমল্যান্ড হিসেবে।

    এরপর একের পর এক জেলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়েছে। ২০২১ সালের আদমসুমারিতে স্পষ্টতঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনা নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হবে। তাতে যে কি এল গেল, তা গতবছরের মৃত্যু তালিকা থেকে বোঝা যায়। ২ মে তারিখের পর থেকে ৯ জন খুন হয়েছেন এই জেলায়। ২ জুন সোনারপুরের হারান অধিকারী, ৩ জুন মগরাহাটের সৌরভ বর, ১০ জুন সন্দেশখালির আস্তিক দাস, ১৬ জুন ফলতার অরিন্দম মিদ্দে, ২০ জুন উওর সোনারপুরের নির্মল মণ্ডল,  ২৯ জুন ডায়মন্ড হারবারের রাজু সামন্ত, ২ অগাস্ট সাতগাছিয়ার চন্দনা হালদার, ২৫ অগাস্ট কাকদ্বীপের সমরেশ পাল, ২২ অক্টোবর মগরাহাটের মানস সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জন কেবলমাত্র ডায়মন্ড হারবার লোকসভায়। একটি মাত্র লোকসভা এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় এই মৃত্যু স্বাধীন ভারতের সর্বকালের রেকর্ড।
      
    তাতে অবশ্য এখানে কর্মরত কোনও প্রশাসনিক আধিকারিকের লজ্জাবোধ হয় না! যেসব ঝকঝকে রুপোলি পর্দার তারকারা ‘আমরা অন্য কোথাও যাবো না’ নাটক করেছিলেন তাঁদেরও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেনি। যে যার পুরস্কারের ভাগ পেয়েছেন। পূর্ববঙ্গের হিন্দু উদ্বাস্তুদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পুরস্কার হিসেবে কেউ ডেউচা পাচামির কমিটির সদস্য হয়েছেন।

    বাঙালি জল্লাদদের হাতে কোতল হলে এইসব তারকাদের কিচ্ছুটি যায় আসে না। এনাদের নিজেদের জীবদ্দশায় ভোগটুকু হলেই হল। কারণ নিশ্চিতভাবে এনাদের উত্তরপুরুষ হিন্দু নামধারী হলে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পারবে না। লোকের বাড়িতে কাজ করা তফশিলি জাতির যে মেয়েটি বুকের পাটা টানটান করে বিধানসভায় এসেছে, তাঁকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ রসালো বিষয়েই কেবল এগিয়ে থাকা সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ। স্বাধীনতার পরে ৭৫ বছরে এরাজ্যে এই মানুষগুলি কেন নেতৃত্বে আসেননি? এই প্রসঙ্গে ওই সব কাগজে একটি সম্পাদকীয়, কোনও ফ্রন্ট পেজার বা উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়নি।

    কিন্তু ঈশ্বরের তো কিছু পরিকল্পনা থাকে। বাঙালি হিন্দু ২০৪০ সালের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার হলে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু, স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রী অরবিন্দ বা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভূমিতে আসতেন না। আজ ৭৫ তম পশ্চিমবঙ্গ দিবসে আমাদের শক্তি আর দুর্বলতার হিসেব করা প্রয়োজন। যাকে ব্যবস্থাবিজ্ঞানের ভাষায় “এস.ডাব্লিউ.ও.টি. অ্যানালিসিস” বলে। বাঙালি হিন্দুর বেঁচে থাকার পক্ষে শক্তি কতটা আর দুর্বলতা কী কী?

    পশ্চিমবঙ্গের জন্য ১৯৪৭ সালে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, যাঁরা চেয়েছিলেন যে বাঙালিকে পাকিস্তানের নেকড়েরা যেন দাঁতে নখে না ছিঁড়ে খায়, রাজনৈতিক ভাবে শ্যামাপ্রসাদের দল পশ্চিমবঙ্গ তৈরির পরে সর্বকালের রেকর্ড শক্তি নিয়ে উঠে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও বিরোধী দল হিসেবেও ৭৭ জন বিধায়ক, কেবল যুক্তফ্রন্টের অতি সল্পকালীন সময় ছাড়া আর কোনও দিন, কোনও দলের ছিল না। তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে কখনও পঞ্চাশের গণ্ডি পার করেনি। কিন্তু পয়সা আর ক্ষমতার কাছে বিক্রি হওয়া প্রচারমাধ্যম সে কথা ভুলেও বলে না।

    আর সব থেকে বড় দুর্বলতা হল ভয়। আজ ২০ জুন, ঠিক একমাস আগে চুকনগর দিবস গেল। ১৯৭১ সালের ২০ মে ভারতের সীমান্তবর্তী খুলনার চুকনগরে খান সেনারা ১০ হাজার হিন্দু বাঙালিকে একদিনে হত্যা করেছিল। ওই হতভাগ্যরা কেবল বেঁচে থাকার জন্য ভারতে আসতে চেয়েছিলেন। মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন বন্দুকধারী এই নরসংহার করেছিল। যার অর্থ এক একজন সেমি অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে সাত-আট’শ মানুষকে মেরেছিল। যদি সমবেত নিরস্ত্র মানুষ কেবল পালিয়ে না গিয়ে আক্রমণকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পরত। রাইফেল ছিনিয়ে নিত? বাঘযতীনের রক্ত যাদের শরীরের মধ্যে বইছে, তাদের কাছে এটি বেশি চাওয়া?

    গুরুদেবের সেই কথাটা বারবার মনে হচ্ছে, ” যত বড়ই তুমি হও তুমি তো মৃত্যুর চেয়ে বড় নও।” আজ বাঙালি হিন্দুর মনে রাখা উচিত, এরা কত কষ্ট দেবে? কষ্ট তো মৃত্যু পর্যন্তই! 

    শ্রীমদ্ভাগবতগীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন—
    “যদৃচ্ছায়া চোপপন্নং স্বর্গদ্বারমপাবৃতম।
    সুখিনং ক্ষত্রিয়াং পার্থ লভন্তে যুদ্ধমীদৃশম।।”
    হে পার্থ, অনায়াসপ্রাপ্ত, উন্মুক্ত স্বর্গদ্বারসদৃশ এই প্রকার ধর্মযুদ্ধ ভাগ্যবান ক্ষত্রিয়গণই লাভ করেন। ভগবানের অশেষ করুণা আজকের বাঙালি হিন্দুকে সেই সুযোগ দিয়েছেন। 

    অত্যাচারীর পায়ে মাথা ঘষলেই মুক্তি মিলবে না। নিজেদের মা বোনেদের ইজ্জত বাঁচাতে, ধনপ্রাণ রক্ষা করতে সংগঠিত হতে হবে, প্রয়োজনে পুলিশে কর্মরত ভাইবোনেদের রক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে দেগঙ্গার মতো, ধূলাগড়ের মতো, পাঁচলার মতো আর একটা পুলিশের জিপও যেন না পোড়ে। কালিয়াচকের মতো থানা যেন না জ্বলে। সে ক্ষমতা আমাদের আছে কেবল আমাদেরই আছে। 

    ক্ষুদিরাম বসু জেলের দেওয়ালে  কাঠকয়লা দিয়ে লিখেছিলেন— 
    “বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
    নবানি গৃহ্নতি নরোহপরাণি।
    তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা
    ন্যন্যাতি সংযাতি নবানি দেহী।।”

    ওই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের লেখা কাগজে পড়ুন, তারকা অভিনেতার সিনেমা দেখুন, বম্বের থেকেও প্রতিভাবান বাঙালি শিল্পীর গান শুনুন কিন্তু নিজেদের রোল মডেল করুন প্রফুল্ল চাকি, ক্ষুদিরাম, নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে। উদ্বোধন কার্যালয়, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, গীতা প্রেস বা ইস্কনের স্টল থেকে একটা বাংলা গীতা কিনে নিন। একটি লাল শালুতে মুড়ে নিন। ওটাই আপনার বেঁচে থাকার, জিতে যাওয়ার অস্ত্র।

    আমি, আপনি সাধারণ মানুষ। কেউ কোনও “শ্রী” আপনাকে দেয়নি, ওই পাপের সম্মানে পদাঘাত করুন!  শ্রীচৈতন্য বুদ্ধিজীবীদের দিকে তাকাননি, আমার আপনার দিকে তাকিয়েই “শ্রী শিক্ষাষ্টকম” লিখেছিলেন। এই ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক শক্তি জল্লাদদের সামনে যত মাথা নোয়াবে, আমাদের শিরদাঁড়া তত টানটান হবে, উন্নত হবে শির।
    তোমাদের হাতে আমাকে ভয় দেখানোর আর কিছু নেই। আমরা মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যু আমাদের কাছে পরমানন্দ মাধবের আশির্বাদ।

    খেলা তো হবেই। এটা শেষ খেলা। আমরাই জিতব।

     

    (এই মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)

  • Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা (Fraud) এবং ঋণখেলাপি (stressed borrowers) রুখতে পৃথক ডেটা অ্যানালেটিক উইং (Analytics Wing) রাখতে পারে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি। এর আগে ব্যাংকগুলিকে প্রতারণা এবং ঋণখেলাপি রোখার বিষয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এবার নড়েচড়ে বসল ব্যাংকগুলি।    

    বিশেষজ্ঞদের একটি দল ডেটা অ্যানালেটিক উইং হিসেবে কাজ করবে। এই দলের মূল কাজ হবে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা। ব্যাংকের আয় থেকে ঋণ কাদের দেওয়া হচ্ছে, কবে টাকা ফেরত আসছে সহ গ্রাহক পরিষেবা সবটাই পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে ব্যাংকের এই বিশেষ উইং। সেইমতো পদক্ষেপ নেবে ব্যাংকগুলি। ঋণগ্রহীতাদের ওপর কড়া নজর রাখা এবং ঠিক সময়ে ঋণের টাকা ব্যাংক-এর ভাঁড়ারে আসছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখবে ডেটা অ্যানালেটিক উইং।  

    আরও পড়ুন: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    এক আধিকারিকের মতে, “এই ব্যবস্থায় ব্যপক উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এতে ব্যাংকগুলির আয় বাড়বে, এক নতুন মার্কেট পেতে পারে ব্যাংকগুলি। এমনকি প্রতিযোগীতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এই বিশেষ উইংযুক্ত ব্যাংকগুলি।”

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আধিকারিক আরও জানান, “এই দল ব্যাংকের আয়, গ্রাহক পরিষেবা, কস্ট-রিস্ক এবং ম্যানেজমেন্ট, ঋণ নীতি, প্রতারণা রোধ সবদিকেই নজর রাখবে। এতে গ্রাহক পরিষেবায় এক নতুন মাত্রা আসবে। এমনকি ব্যাংক-এর ঋণ দেওয়া, বীমা, বিনিয়গের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেও সাহায্য করবে এই দল।”

    প্রতিযোগীতার বাজারে ব্যাংকগুলিকে আরও উপযুক্ত করতে এবং ব্যবসাক্ষেত্রে আরও জোয়ার আনতে মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    এই বিশেষ উইং বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টগুলিকে পর্যালোচনা করবে এবং ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করবে। ফলে ব্যাংকের আয় বাড়বে এবং সমগ্র ব্যাংকিং প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    নীরব মোদি-মেহুল চোক্সী প্রতারণা-কাণ্ডে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংককে (পিএনবি) ১৩,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছিল। তার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা পাওনা বাকি রেখে গোপনে দেশ ছেড়েছিলেন বিজয় মাল্য। একের পর এক প্রতারণার ঘটনা থেকে এবার সাবধান হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি।   

      

     

  • Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশজুড়ে ফের ফণা তুলছে করোনা (Covid 19)। সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাকরণে (Vaccination) গতি এনেছে কেন্দ্র। জোড় দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজে (Booster Jab)। কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজকে বুস্টার ডোজ বলা হয়। ভারতে একে পূর্ব সতর্কতা ডোজও বলা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৯ মাসের মাথায় দেওয়া হয় এই বুস্টার শট। 

    চলতি বছর ১০ এপ্রিল থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকারই বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেন, তাহলে তিনি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে পাবেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই নিতে পারবেন এই বুস্টার ডোজ। 

    এপ্রিল মাসে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ লক্ষ করে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারপর চাহিদা খানিকটা কমলেও, মে-র দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে আবার বুস্টার ডোজের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ২১.০৮ লক্ষ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের দ্বিতীয় টিকার কারণে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সাথে অনেকটাই লড়তে সক্ষম হয়েছে দেশ। কিন্তু এখন আবার সেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করেছে। তাই চতুর্থ ঢেউকে প্রতিহত করতে বুস্টার ডোজ নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। যদিও এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।   

    আরও পড়ুন: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ?

    কোনও কোনও বিজ্ঞানীর মতে এই মুহূর্তে করোনার যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার শক্তি খুব বেশি নয়। বুস্টার ডোজ এই দুর্বল ভ্যারিয়েন্টে নিজের ক্ষমতা দেখাতে খুব বেশি সক্ষম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীর নিজে থেকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে নিতে পারে। অ্যান্টিবডি হ্রাস পাচ্ছে মানেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে না এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।  
    রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার নেপথ্যে থাকে টি-সেল এবং বি-সেল। টি-সেল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতারই একটি অংশ। কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এই টি-সেল। কেউ কেউ বলেছেন করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বুস্টার ডোজের কোনও প্রয়োজন নেই। একমাত্র নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এলেই বুস্টার ডোজের কথা ভাবা যেতে পারে।   

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুস্টার ডোজ এই মুহূর্তে তাঁদেরই প্রয়োজন যারা এখন অবধি করোনায় একবারও আক্রান্ত হননি। তাঁদের সেই রোগের কোনও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠেনি। তাঁরা বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। অল্প বয়স্কদের এখনই প্রয়োজন নেই বুস্টার ডোজ। বয়স্করা নিতে পারেন।  

    বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ায় কোনও ভয় নেই। বরং নেওয়া থাকলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো খারাপ পরিস্থিতিতে যেতে পারে না এই মারণ ভাইরাস। জানাচ্ছেন, ৬০% রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালে। তাঁদের মাত্র ৬% বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রশ্ন, কিছু দিনের মধ্যেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট হাজির হবে। তখন কেন হাসপাতালে বুস্টার ডোজ নিতে দৌড়ব? আগে থেকে নিয়ে কেন প্রস্তুত থাকব না? বুস্টার ডোজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাড়তি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা কোমর্বিলিটির রোগী, অর্থাৎ যাদের হৃদরোগ, ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা আছে তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। 

    ভেলোরের খ্রীষ্টান মেডিক্যাল কলেজের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বুস্টার ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ডই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। যদিও ভারতে এই মুহূর্তে সেই ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ আপনাকে প্রথম দুই ডোজে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকাই দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ হিসেবে। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে যে টিকাগুলি দেওয়া হচ্ছে তা করোনার প্রথম ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বানানো হয়েছিল। ভাইরাস এখন মিউটেশনের মাধ্যমে প্রকৃতি বদলেছে। তাই এই ভ্যারিয়েন্টে খুব বেশি কার্যকর হবে না এই টিকা বলে মত তাঁদের।
    তাই যাদের বিপদের আশঙ্কা সব থেকে বেশি একমাত্র তাঁদেরকেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এই বিশেষজ্ঞরা। 

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

  • Job Notification: ১৩০ শূন্যপদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের, কীভাবে আবেদন করবেন? 

    Job Notification: ১৩০ শূন্যপদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের, কীভাবে আবেদন করবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩০ শূন্যপদে  চ্যুক্তিভিত্তিক চাকরির (Contractual Job) বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment)। শুরুতে ২ বছরের চ্যুক্তিতে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে, পরবর্তীতে ৫ বছর অবধি চাকরির সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।   

    যোগ্য প্রার্থীরা শ্রম মন্ত্রকের দেওয়া লিঙ্কে www.ncs.gov.in ক্লিক করে আবেদন করতে পারেন। গুগল থেকেই এই লিঙ্কে গিয়ে আবেদন করতে হবে, এমনটাই বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।  

    আবেদন জমা করার শেষ দিন ২২ জুন, ২০২২। 

    শূন্য পদের সংখ্যা: ১৩০ 

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীকে স্নাতক পাশ হতে হবে এবং চার বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (বিএ, বিই, বিটেক, বিএড)। অথবা স্নাতকোত্তর পাশ (এমবিএ, বা ইকোনমিক্স, সাইকোলজি, সোসিওলজি, অপারেশন রিসার্চ, স্ট্যাটিস্টিক্স, সোশ্যাল ওয়ার্ক, ম্যানেজমেন্ট, ফিন্যান্স, কমার্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন স্নাতকোত্তর পাশ হতে হবে)  এবং ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আইন মেনে হচ্ছে না ১০০ দিনের কাজ 

    বয়সসীমা: এই শূন্যপদগুলিতে আবেদন করার জন্যে ০৮/০৬/২০২২- এর মধ্যে সর্বনিম্ন বয়স ২৪ এবং সর্বোচ্চ বয়স ৪০ হতে হবে। কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী বয়সে ছাড় থাকবে। 

    বেতন: প্রতি মাসে বেতন সমস্ত কর যোগ করে ৫০,০০০ টাকা।

    পোস্টিং: গোটা দেশে যেকোনও জায়গাতেই হতে পারে পোস্টিং। এছাড়া প্রার্থীর পছন্দের জায়গাকেও গুরুত্ব দেবে এনআইসিএস, ডিজিই। 

    দেশে বছর বছর কর্মসংস্থানের হার ৪০% করে বেড়েছে। এমনটাই জানা গেছে কর্মসংস্থান সাইট নকরি ডটকমের ইনডেক্সে। করোনার কারণে ২০২১-এ কর্মসংস্থান যেভাবে হ্রাস পেয়েছিল, সেই অবস্থা অনেকটাই উন্নীত হয়েছে ২০২২ সালে। বিশেষ করে পর্যটন, হোটেল, রিটেল, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় বেকারত্বের হার অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। 

    পর্যটনে কর্মসংস্থান ৩৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রিটেল এবং রিয়েল এস্টেটে যথাক্রমে ১৭৫ এবং ১৪১ শতাংশ। বিমা সংস্থাগুলিতেও ১২৬ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে। ব্যাঙ্কে ১০৪ শতাংশ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ৮৬ শতাংশ বেড়েছে কর্মসংস্থানের (Employment) হার।  

     

     

     

  • Asia Cup India Squad: সামি বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ শ্রীকান্ত! বিশ্বকাপের দলে সামি ফিরলে অবাক হবেন না মোরে

    Asia Cup India Squad: সামি বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ শ্রীকান্ত! বিশ্বকাপের দলে সামি ফিরলে অবাক হবেন না মোরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের শেষেই শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ (Asia Cup)। এশিয়া কাপের দলে ফিরছেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। সোমবার এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল বিসিসিআই (BCCI)। বাদ পড়েছেন বাংলার ক্রিকেটার মহম্মদ সামি। অবশ্য সামি দীর্ঘদিন ধরেই টি–২০ দলে নেই। সামিকে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আর ভাবছেই না বিসিসিআই। সামি শেষ আন্তর্জাতিক টি–২০ খেলেছিলেন গত বিশ্বকাপে।

    সামির বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন নির্বাচক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। তিনি বলেছেন, ‘‌আমি নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকলে সামিকে দলে রাখতাম। রবি বিষ্ণোইকে হয়ত দলে রাখতাম না। তবে বিশ্বাস করি, অক্ষর প্যাটেলকে দলে রাখা নিয়ে লড়াই চলত। আমার মতে, এই লড়াই হত অশ্বিন ও অক্ষরের মধ্যে। আমার ভোট কিন্তু অক্ষরের দিকেই থাকত।’‌ 

    সামির বাদ যাওয়াতে অবাক প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক কিরণ মোরে। তাঁর কথায়, “সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন সামি। সেখানে তাঁকে দলে রাখা হল না কেন তা বুঝতে পারছি না। দলে একজন নির্ভরযোগ্য পেসার দরকার ছিল।” এক কদম এগিয়ে শ্রীকান্ত বলেন, “আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সামি ফিরলে অবাক হব না।”

    লোকেশ রাহুল চোট সারিয়ে দলে ফিরলেন। এশিয়া কাপের দলে রয়েছে দুই উইকেটরক্ষক পন্থ ও কার্তিক। তিন জন স্পিনার রয়েছে দলে। হার্দিক ও জাদেজার মতো দুই অলরাউন্ডার। শ্রীকান্তের মতে, ‘‌দল যথেষ্টই ভাল হয়েছে। তবে আমার মতে দলে আর একজন মিডিয়াম পেসার থাকলে ভাল হত। দু’‌জন রিস্ট স্পিনার রয়েছে। তবে অক্ষরের জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে। দীপক হুডার অন্তর্ভুক্তিতে খুশি। ব্যাট করতে পারে। বলটাও জানে।’‌ এরপরই ফের অক্ষর প্রসঙ্গে চলে গেলেন শ্রীকান্ত। বলে দিলেন, ‘‌অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশে অক্ষর যথেষ্ট কার্যকরী। শুধু এশিয়া কাপের কথাই বলছি না। বিশ্বকাপের প্রসঙ্গও তুললাম। তবে বিশ্বকাপের এখনও কিছুটা দেরি আছে। নির্বাচকরা নিশ্চয়ই ভাবনাচিন্তা করবেন।’‌  

    তবে এশিয়া কাপ শুরুর আগেই ভারতীয় শিবির বড় ধাক্কা খেয়েছে। পিঠে চোটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন দলের তারকা পেসার জশপ্রীত বুমরাহ। অর্থাৎ তাঁকে ছাড়াই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মাটিতে এশিয়া কাপে নামতে হবে রোহিতদের। বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পিঠে চোট থাকার কারণে এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) অংশ নিতে পারবেন না বুমরাহ। তিনি দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। তাই তাঁকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। সম্পূর্ণ ফিট হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে বুমরাহর। তবে আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (ICC World T-20) আগেই দলে যোগ দেবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দেশের অ্যাথলিটদের পাশে দাঁড়াতে জানেন মোদি! জানুন কী বললেন পাক সাংবাদিক

    এশিয়া কাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড: রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), লোকেশ রাহুল (ভাইস ক্যাপ্টেন), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), দীপক হুডা, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবি বিষ্ণোই, যুজবেন্দ্র চাহাল, ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপ সিং, আবেশ খান।
    স্ট্যান্ড-বাই: শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল ও দীপক চাহার।

  • Jammu-Kashmir: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

    Jammu-Kashmir: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) হামলার ছক বানচাল করল কাশ্মীর পুলিশ। রবিবারের পর সোমবার রাতেও জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় পুলিশ। এদিন গভীর রাতে শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ হয় উপত্যকায় ঢোকা লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিদের।  

    দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তিন লস্কর জঙ্গিকে গুলি করে খতম করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর মধ্যে ২ জন পাক জঙ্গি। তৃতীয়জনের নাম আদিল হুসেন মীর। পুলিশ জানিয়েছে, আদতে অনন্তনাগ জেলার পহেলগামের বাসিন্দা হলেও ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানে বসবাস ছিল। সংঘর্ষের সময় একজন স্থানীয় ও এক পুলিশকর্মী জখম হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশকিছু অস্ত্র-সহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে ।

    [tw]


    [/tw]

    আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে হামলার ছক কষেছিল ওই জঙ্গিরা। জানা গেছে মৃত তিন জঙ্গি পাকিস্তান দিয়ে উপত্যকায় ঢুকেছিল। সোমবার রাতের এই অভিযানকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে দেখছেন কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার। তিনি জানান, পাকিস্তান থেকে দুই লস্কর জঙ্গি ভারতে এসেছিল। তাদের নিকেশ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ওই জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল পুলিশ। নিহত দুই লস্কর জঙ্গির একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের ফয়জলাবাদ এলাকার বাসিন্দা ওই জঙ্গির নাম আবদুল্লাহ গাজৌরি। পুলিশের অনুমান, নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গিই ফয়জলাবাদের বাসিন্দা। এর আগেও সোপোর এনকাউন্টারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল এই জঙ্গিরা। কিন্তু তখন কোনও কারণে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা। খতম জঙ্গিদের কাছ থেকে দুটি একে–৪৭ রাইফেল, ১০টি ম্যাগাজিন, তাজা কার্তুজ, ওয়াই–এসএমএস ডিভাইস–সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে।

     

  • Jawaharlal Nehru: নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    Jawaharlal Nehru: নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) ঔপনিবেশিক মানসিকতা (colonial mindset) ছিল। তাঁর মৌলিকতাও ছিল না। সেই কারণেই ভারত (India) অতীতে বিশ্বের সামনে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে এই মত পোষণ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক মুকুল কানিতকর। একইসঙ্গে তিনি আশাবাদী, ২০২২ সালেই হৃত অ্যাকাডেমিক গৌরব পুনরুদ্ধার এবং বিশ্বের কাছে তার সংস্কৃতি উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে ভারত।

    বৃহস্পতিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Delhi University) তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোচনাসভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন কানিতকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, ‘রিভিজিটিং আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া ফ্রম স্বরাজ টু নিউ ইন্ডিয়া’। কানিতকরের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    আলোচনাসভায় নেহরুর মতাদর্শকে আক্রমণ করেন কানিতকর। বলেন, একবার নেহরুকে চিঠি লিখে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) অনুরোধ করেছিলেন, উন্নয়ন যাতে একেবারে গরিব শ্রেণি পর্যন্ত পৌঁছয়, তার জন্য “গ্রাম স্বরাজ” বা স্বনির্ভর গ্রামকে মান্যতা দেওয়া হোক। এর জন্য গান্ধী ৬টি পয়েন্টে গোটা বিষয়টি ভেঙে বুঝিয়েছিলেন নেহরুকে। কিন্তু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। কারণ, তাঁর মধ্যে কোনও নিজস্বতা ছিল না এবং তাঁর মানসিকতা ঔপনিবেশিক ছিল। আরেকটি সুযোগ হারিয়েছিল বাংলাদেশ গঠনের সময়। ভারত সেই সময় সহজেই এই উপ-মহাদেশে নিজের জন্য একটা জায়গা তৈরি করতে পারত।

    কানিতকর বলেন, ভারত বিশ্বের কাছে তার প্রকৃত শিক্ষার আত্মাকে উপস্থাপন করার সুযোগের বেশ কয়েকটি জানালা হারিয়েছে। কিন্তু এখন আর আমাদের এই সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত নয়। তিনি বলেন, বিবাদের সমাধান এবং ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মেই। এগুলিকে একটি সামাজিক বিজ্ঞান তত্ত্বের আকারে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। তাহলেই বিশ্ব আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করবে। কানিতকর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে ভারতে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি উপস্থাপন করা উচিত।

    আরও পড়ুন : “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন বলেও মনে করেন কানিতকর। তিনি বলেন, ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। আরএসএসের সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক বলেন, ১৮৩৫ সালের পরে ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের মৌলিকতা হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং এখনও পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করেননি। পোখরান পরীক্ষা ও দেশীয়ভাবে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা ভারতীয় গবেষণার সত্যিকারের নিদর্শন। এর পরেই তিনি নিশানা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।

    এদিনের অনুষ্ঠান বক্তৃতা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে হতে হবে পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ভারতকে আন্তর্জাতিক সম্মান এনে দিয়েছেন বলেও মনে করিয়ে দেন শাহ।

     

  • Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Prophet row: সাসপেন্ডেড বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পাশে দাঁড়ালেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ (Jamaat Ulama-e-Hind) প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। শান্তির বার্তা দিলেন সুহেব। ইসলামের রীতি মেনেই নূপুরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি।

    পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুরের মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়েছে অশান্তি। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন নূপুরকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কাসমি। দেশ জুড়ে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাকে সংগঠন সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। কাসমি বলেন, “এ ভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। ইসলামে বিশ্বাস থাকলে, নূপুর শর্মাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। নূপুর শর্মার মন্তব্য অবমাননাকর হলেও, শুক্রবারের নমাজের পর যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে একেবারেই একমত নই আমরা।”

    সমালোচনার মুখে পড়ে নূপুরকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছে বিজেপি। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কাসমি। তিনি বলেন, “নূপুর শর্মাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ভারতে আইন রয়েছে। আমরা নিজের হাতে সেই আইন তুলে নেব না। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো, আইনভঙ্গের অধিকার নেই আমাদের।” যে বা যাঁরা অশান্তি এবং হিংসা ছড়ানোয় যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান কাসমি। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং মহম্মদ মাদানির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    শুধু তাই নয়, যে সমস্ত সংগঠন হিংসায় উস্কানি জুগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আর্জি জানিয়েছে জামাত উলেমা-ই-হিন্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ এর প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য যে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যেরল পরই বিজেপির তরফ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, সব ধর্মকে সম্মানের চোখে দেখে বিজেপি। বলা হয়, “ভারতের ইতিহাসে সবসময়ে সব ধর্ম একসঙ্গে বিকশিত হয়েছে। কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করার তীব্র নিন্দা করছে বিজেপি। এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয় না বিজেপি (BJP)।”  

     

  • Howrah Violence: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Howrah Violence: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার পাপের ফলে আজ ভুগতে হচ্ছে জনগণকে। হাওড়াকাণ্ডে ( Howrah Violence) এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। হজরত মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি (BJP) মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অশান্ত বাংলার হাওড়া। পরপর দুদিন জেলার একাংশের পরিস্থিত অগ্নিগর্ভ হয়ে রইলেও, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। তার জেরেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের এই ট্যুইটবাণ।

    হাওড়ার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই হুমকির প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, কেন আপনি মিছে ধমক দিচ্ছেন। সবে কিছু দোকানপাট লুঠেছে, পার্টি অফিস, গাড়ি পুড়িয়েছে, বোমা ছুঁড়েছে, থানায় পাথর মেরেছে, রেলস্টেশন ভাঙচুর করেছে। অশান্তির দায় মমতা চাপিয়েছেন বিজেপির ঘাড়ে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই শুভেন্দু বলেন, বিজেপি কোনও পাপ করেনি। আপনার পাপের ফল ভুগতে হচ্ছে জনগণকে।

    [tw]


    [/tw]

    মমতার উসকানিতেই যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। বলেন, আপনি সিএএ নিয়ে ভুল বুঝিয়ে জনগণকে ক্ষিপ্ত করেছিলেন। উসকানি দিয়ে পথে নামিয়েছিলেন। দাঙ্গাবাজদের সাহস জুগিয়েছেন আপনি। সায়নী ঘোষের পবিত্র শিবলিঙ্গ সম্বন্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের বেলায় আপনি চুপ ছিলেন কেন? শুভেন্দুর প্রশ্ন, তখন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগেনি? ক্ষমতা আছে নিন্দা করার?

    আরও পড়ুন : “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    মমতাকে রোম সম্রাট নিরোর সঙ্গে তুলনা করেছেন শুভেন্দু। বলেন, রোম যখন পুড়ছিল তখন নিরো বেহালা বাজাচ্ছিলেন। আর বাংলা যখন পুড়ছে, তখন মমতা গুণ্ডাদের কাছে ভিক্ষা চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীও। শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মন্ত্রী আপনি জেগে উঠুন। মুর্শিদাবাদে বেলডাঙা থানায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে কেন্দ্রের সাহায্য চান। শুভেন্দু বলেন, এক জন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কী আশা করা যায়, যিনি গুন্ডাদের সামনে হাতজোড় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে  ভিক্ষে চাইছেন? 

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দুর কথায় রাজ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে পার্টি অফিস, দোকানপাট। তৃণমূলের মদতপুষ্ট গুন্ডারাই দোকানপাট ভাঙচুর করছে। বাড়িঘরে আগুন লাগানো হয়।

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গত দু দিন ধরে অশান্ত হাওড়া। সড়ক অবরোধের জেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় বাসে ট্রেনে বসে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের। অসুস্থ মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি পরিজনেরা। ক্যান্সার রোগী, বয়স্ক মানুষের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। কোথাও কোথাও পানীয় জলের জন্য হাহাকার করতে দেখা গিয়েছে যাত্রীদের কাউকে কাউকে। শিশুরা কেঁদেছে খাবারের অভাবে। কেঁদে কেঁদে ক্লান হয়ে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে কোনও কোনও শিশু। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মূল স্লোগান ছিল, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। এক মায়ের ছবি দেখিয়ে এদিন তাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, এই দেখুন বাংলার মেয়ের এক মাকে। শিশুর অবস্থা দেখে যিনি উগরে দিচ্ছেন ক্ষোভ।

    [tw]


    ass=”twitter-tweet”>

    The mob on rampage since yesterday is targeting @BJP4Bengal Party Offices & functionaries, as instigated by CM.
    In the name of protest specific places, people & their properties are being attacked.
    The TMC sponsored goons are vandalising and setting shops & homes on fire as well. pic.twitter.com/6fDxAjobcd

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 10, 2022

    [/tw]

  • PFI: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    PFI: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও বেআইনি আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরে দেশ জুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। বুধবার ভোর রাতে থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরে চলে ব্যপাক ধরপাকর অভিযান। এই অভিযান আগে থেকে পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। দীর্ঘদিন ধরেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় হয়ে ওঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    বিশেষ সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করেই এই ধরপাকর অভিযান শুরু হয়। গত তিন চার মাস ধরে এই প্রক্রিয়া চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে বারবার আলোচনা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর নেতৃত্বেই সারা দেশের ১৫ টি রাজ্যের ৯৩টি জায়গায় অভিযান চালায় ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (NSA) অফিসাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, বৃহস্পতিবার অভিযানের সময়ও এ নিয়ে এক প্রস্থ কথা হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, এনআইএ ডিরেক্টর জেনারেল দীনকর গুপ্ত, অজিত দোভাল ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে।  

    আরও পড়ুন: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে এই সংগঠন তৈরি করা হয়। ২০০৬ সালে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী সময়ে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ একাধিক সংগঠন মিলিত হয়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া তৈরি করে। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে।  কেন্দ্রের তরফেও এই সংগঠনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে পিএফআই সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র, বোমা, গানপাউডার,তলোয়ার সহ একাধিক জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। কেরলে এই সংগঠনের বিস্তার সবচেয়ে বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন আইএনএস বিক্রান্তের উদ্বোধন করতে কোচি যান, তখনই কেরল পুলিশ ও নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে পিএফআই নিয়ে তাঁর কথা হয় বলেও জানান ওই আধিকারিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share