Blog

  • I-T returns deadline: সময়সীমা বাড়ছে না! ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হবে আয়কর

    I-T returns deadline: সময়সীমা বাড়ছে না! ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হবে আয়কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থবর্ষ ২০২১-২২-এ যাঁরা আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন, তাঁদের হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। কারণ চলতি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। কোনওভাবেই আয়কর দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে আয়কর দফতর। সময় পেরিয়ে গেলে দিতে হতে পারে জরিমানা। 

    একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি আয় করলেই আয়কর দিতে হয়। প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়, তারমধ্যেই আয়কর জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যদি কেউ ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর জমা না দেন, তবে অতিরিক্ত জরিমানা লাগু করা হয়। এবারও আয়কর জমা দেওয়ার শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে ৩১ জুলাই। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, আগে বেশ কয়েকবার আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমার মেয়াদ বাড়ানো হলেও, এবার আর তা করা হবে না। 

    আরও পড়ুন: প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বেসরকারিকরণ নয়, জানালেন রেলমন্ত্রী

    সরকারি সূত্রে খবর, আয়কর জমা দেওয়ার মেয়াদ আর না বাড়ানো নিয়ে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব তরুণ বাজাজ জানান, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই বকেয়া আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে যাবে বলে আশাবাদী সরকার। সেই কারণেই এবার আর আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়ানো হচ্ছে না। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ২.৩ কোটি টাকারও বেশি আয়কর জমা পড়েছে। আগামী কয়েকদিনে এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে।

    আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি! বন্দুক কাছে রাখার আর্জি বজরঙ্গি ভাইজানের

    মেয়াদ না বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আয়করদাতাদের মধ্যে একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে যে তারা মনে করেন রিটার্নের মেয়াদ তো বাড়ানো হবেই, সেই কারণে তারা আয়কর জমা দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করেন। তবে বর্তমানে প্রতিদিনই ১৫ থেকে ১৮ লাখ আয়কর জমা পড়েছে। আগামী কয়েকদিনে তা বেড়ে ২৫ থেকে ৩০ লাখে পৌঁছবে।” নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আয়কর জমা না দিলে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।

  • IPL 2022: ১৫ তলা থেকে আমাকে নীচে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, মুখ খুললেন যুযবেন্দ্র চাহাল 

    IPL 2022: ১৫ তলা থেকে আমাকে নীচে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, মুখ খুললেন যুযবেন্দ্র চাহাল 

     নয়াদিল্লি: আমাকে একটি বহুতলের ১৫ তলা থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আমার এক সতীর্থ(teammate)। অন্তত এমনই অভিযোগ জানালেন ক্রিকেটার(cricketer) যুযবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra chahal)। চলতি মরশুমে তিনি রাজস্থান রয়্যালসের(rajasthan royals) হয়ে আইপিএল(ipl) খেলছেন। এর আগে ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স(mumbai indians) এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্সে। সম্প্রতি তাঁর এক টিমমেটের মাদকাসক্তি নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর এক এমন অভিজ্ঞতার কথাই জানান চাহাল।
    ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই নিয়মিত মদ্যপান করেন। একবার তেমনিই এক ক্রিকেটারের পাল্লায় পড়েছিলেন চাহাল। তাঁর সেই সতীর্থই তাঁকে ১৫ তলার ব্যালকনি থেকে ফেলে দেবেন বলে ভয় দেখাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। 
    সেদিনের সেই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে আজও শিউরে ওঠেন চাহাল। ঘটনাটি ২০১৩ সালের। তখন তিনি ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ানসে। তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুতে একবার ম্যাচ শেষে গেট-টুগেদার হচ্ছিল। আমাদের কয়েকজন টিমমেট মদ্যপান করেছিলেন। তাঁদেরই একজন অনেকক্ষণ ধরে আমাকে নিরীক্ষণ করছিলেন। হঠাৎই তিনি আমাকে ডাকেন। উৎসবের আবহে আমিও সাতপাঁচ না ভেবে তাঁর কাছে চলে যাই। এর পর যা হল, তা ভাবলে আজও ঘুমের মধ্যে আমি চমকে উঠি। চাহাল বলেন, মদের নেশায় চুর আমার ওই সতীর্থ আমাকে কোলে তুলে নিয়ে ব্যালকনিতে চলে যান। তারপর একেবারে ধারে নিয়ে গিয়ে দোলাতে থাকেন। আমি যে তাঁকে জাপটে ধরব, সে রকম কোনও সুযোগ ছিল না। ভয়ে আমার প্রাণপাখি উড়ে যাওয়ার জোগাড়। ১৫ তলা উঁচু জায়গা থেকে পড়লে আমার কী হবে, তা ভেবে শিউরে উঠছিলাম আমি। সেই সময় কয়েকজন এসে আমার ওই মত্ত সতীর্থের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে। রাজস্থান রয়েলসের এই বোলার বলেন, এতদিন এই ঘটনার কথা আমি কাউকে বলিনি। এবার বললাম। সবাই জানল। তবে দয়া করে আমাকে কেউ আমার ওই সতীর্থের নাম জিজ্ঞেস করবেন না।  

  • New Weatherman:কাশ্মীরের ‘ওয়েদার-ম্যান’২১ বছরের ফইজান

    New Weatherman:কাশ্মীরের ‘ওয়েদার-ম্যান’২১ বছরের ফইজান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতোই প্রতিনিয়ত পট পরিবর্তন করে সেখানকার আবহাওয়া। তাই পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে পহেলগাঁও ঘুরতে যান আর মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিন গুলমার্গ, যা-ই করুন আগে থেকে কাশ্মীরের আবহাওয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনেই টিকিট কাটুন। ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে গিয়ে কাশ্মীরের নতুন ‘ওয়েদার ম্যান’ ফইজান আরিফ কেঙ্গের পেজ ‘কাশ্মীর ওয়েদার’এ গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখুন সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে পেয়ে যাবেন সঠিক তথ্য।
    শ্রীনগরের কাছে নোয়াকাদাল অঞ্চলের বাসিন্দা ২১ বছরের ফইজান ২০১৮ সাল থেকে আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ছোট থেকেই আকাশে মেঘ-বৃষ্টির খেলা দেখতে ভালবাসতেন ফইজান। দেখতেন বিদ্যুতের ঝলকানি, রোদ-ছায়ার লুকোচুরি। বিভিন্ন চ্যানেলে আবহাওয়ার খবর শোনা ছিল তাঁর শখ। নানা পত্র-পত্রিকায় পড়তেন আবহাওয়ার খবর।  প্রতিদিন দিনে তিন ঘণ্টা কাশ্মীরের আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করেন ফইজান। তাই উপত্যকার জলবায়ু সম্পর্কে তাঁর ভবিষ্যত বাণী এখন প্রায় ফলেই যায়। 
    কাশ্মীরের আবহাওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পেজের ফলোয়ার এক লাখের উপর। রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মচারী, অভিনেতা, খেলোয়াড়, সাংবাদিক সবাই রয়েছে তাঁর ফলোয়ারের তালিকায়। মোটামুটি ছয় থেকে আটদিন আগের আবহাওয়া নিয়ে সঠিক তথ্য দেন ফইজান।
    একসময় আবহাওয়া নিয়ে আগাম বার্তা দেওয়া তাঁর প্যাশন ছিল। এখন এবিষয় নিয়েই পড়াশোনা করছেন কাশ্মীরের এই যুবক। মেটেরোলজি নিয়েই এমএসসি করতে চান ফইজান। এখন লখনউয়ের অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্সের ছাত্র তিনি। আবহাওয়া নিয়ে আমাদের দেশে আরও বেশি করে গবেষণা হোক চান তিনি। ফইজান মনে করেন, আবহাওয়া নিয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে পারলে নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করা সহজ হয়ে যাবে। কিস্তওয়ারে মেঘ-ভাঙা বৃষ্টি হোক বা ২০১৮ সালে কাশ্মীরে আগাম তুষারপাত আবহাওয়া নিয়ে সচেতন হলে সবই সামলে নেওয়া যায় বলে অভিমত তাঁর। জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, পশ্চিম ভারতের আবহাওয়া নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করাই এখন ফইজানের একমাত্র ইচ্ছে।  

  • Two Full Time Degree: স্নাতকস্তরে একইসঙ্গে দুটো ডিগ্রি কোর্স করা যাবে, নয়া নিয়ম ইউজিসির

    Two Full Time Degree: স্নাতকস্তরে একইসঙ্গে দুটো ডিগ্রি কোর্স করা যাবে, নয়া নিয়ম ইউজিসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্নাতকস্তরে দ্বৈত ডিগ্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে বড়সড় বদল আনল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি (University Grants Commission)। এবার থেকে স্নাতকস্তরে (Under Graduate) পড়ুয়া হিসেবে একসঙ্গে দুটি পাঠক্রমে ভর্তি হওয়া যাবে। এতদিন পর্যনেত এই সুযোগ ছিল না। এবার থেকে নিয়মিত জোড়া কোর্স একসঙ্গে করতে পারবেন পড়ুয়ারা।মঙ্গলবার ইউজিসি কর্তা জগদীশ কুমার জানান, কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা চাইলে আরেকটি ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দুটি ডিগ্রিতেই অফলাইন ক্লাস করা যাবে কিংবা একটি ডিগ্রি অনলাইন, আরও একটি অফলাইন ক্লাস বা দু’টি ডিগ্রিই অনলাইনে ক্লাস করলেও ইউজিসির কোনও আপত্তি নেই। ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইউজিসি। আগের নিয়ম অনুযায়ী একটি নিয়মিত পাঠক্রমের সঙ্গে শুধুমাত্র একটি ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স করা যেত। সেটাও করতে হত অনলাইনে। এই নয়া নিয়মে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল। এমনটাই জানান শিক্ষাবিদরা।
    তবে এই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। দুটি পাঠক্রম যাতে পরম্পরের সঙ্গে জড়িত বিষয়ের না হয়, সে বিষয়টি দেখতে হবে। নিয়মিত পাঠক্রমের ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন বিষয়ের কোর্সের ক্লাস যেন একইসঙ্গে না চলে তা পড়ুয়াকে দেখতে হবে। উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এতদিনে তা বাস্তবরূপ পেল। এই নয়া নিয়মে খুশি শিক্ষার্থীরা।

     

  • Xiaomi 12 Pro: ভারতে ২৭ এপ্রিল লঞ্চ হতে চলেছে শাওমি ১২ প্রো

    Xiaomi 12 Pro: ভারতে ২৭ এপ্রিল লঞ্চ হতে চলেছে শাওমি ১২ প্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বাজারে শাওমি ১২-প্রো আসতে চলেছে আগামী ২৭ এপ্রিল। এটি প্রথমে চীনে এবং তারপরে বিশ্ব বাজারে লঞ্চ করে। এরপরই ভারতে শাওমির এই নতুন ফোনটি লঞ্চ করার কথা জানায় শাওমি ইন্ডিয়া (Xiaomi India)। সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে এই কথা জানানো হয়।  চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত Xiaomi-এর সবচেয়ে প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট হল শাওমি ১২ প্রো (Xiaomi 12 Pro)।
    এই ফোনটির ডিসপ্লে ৬.৭৩ইঞ্চি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে এই ফোনটিতে। এর  অ্যাডাপটিভ রিফ্রেশ রেট 120hz ,টাচ স্যাম্পলিং রেট 480hz। এছাড়াও রয়েছে ডলবি ভিশন, কর্নিং গরিলা গ্লাস। সফটঅয়্যারের দিক থেকে, Xiaomi 12 Pro সবচেয়ে আধুনিক  Android 12-দ্বারা চালিত। ফটোগ্রাফির জন্য, ডিভাইসটিতে একটি 50MP প্রধান ক্যামেরা, একটি 50MP আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা এবং একটি 50MP পোর্ট্রেট ক্যামেরা রয়েছে৷ এছাড়াও রয়েছে একটি 32MP সেলফি স্ন্যাপার।
    এর ব্যাটারিতে 120W তারযুক্ত ফাস্ট চার্জিং এবং 50W ওয়্যারলেস ফাস্ট চার্জিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ডিভাইসটি ইউএসবি টাইপ-সি অডিও, হাই-রেস অডিও,ডুয়াল স্পিকার এবং ডলবি অ্যাটমস সাপোর্ট করে।

     

  • West Bengal: ১৮ দিনে ৬ তদন্তভার সিবিআইকে, কেন মমতার পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালত? 

    West Bengal: ১৮ দিনে ৬ তদন্তভার সিবিআইকে, কেন মমতার পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়সীমা মাত্র ১৮ দিন। তার মধ্যেই ছ’টি মামলায় সিবিআই তদন্তের (CBI investigation) নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্রমেই রাজ্য পুলিশে (West Bengal police) আস্থা হারাচ্ছে আদালতও। তাই সত্য উদ্ঘাটনে দ্বারস্থ হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI)। 

    বামেরা বলছে, তাদের জমানার শেষের দিকে পাঁচ বছরে তিনটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর তৃণমূল জমানায় ১৮ দিনেই ৬টি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নিখাদ রাজনীতি করতে গিয়েই পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে রাজ্যের শাসক দল। যার জেরে ক্রমেই বাড়ছে সিবিআই তদন্তের দাবি।

    পুরসভা ভোটের ফল বেরনোর পরে পরেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পুরুলিয়ার ঝালদার ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই শুরু। ওই ঘটনার পরে পরেই রহস্য মৃত্যু হয় তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের। ওই ঘটনার তদন্তের রাশও যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। 
    এর পরেই ঘটে রাজ্য তোলপাড় করা ঘটনা। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন স্থানীয় উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখ। ওই ঘটনার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ঘরে আগুন লাগিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় ন’ জনকে। এই দুটি মামলাও গড়ায় আদালত অবধি। জোড়া ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 

    সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ যাবৎ কালের এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বড় কেলেঙ্কারি এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে। ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আলাদা করে ডেকে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই কেলেঙ্কারির রহস্যভেদ করতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    সিবিআই তদন্তের নির্দেশের হাতে গরম উদাহরণ আরও আছে। নদিয়ার হাঁসখালিতে বছর চোদ্দর এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত রক্তক্ষণের জেরে মৃত্যুও হয় তার। ওই ঘটনায়ও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আদালতের বারবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশে একটা জিনিস খুব স্পষ্ট। সেটি হল, সাধারণ মানুষের মতো রাজ্য পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালতও। হারানোরই কথা। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব হয়েছেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শাসক দলের কোনও কর্মীকে কোনও অভিযোগে গ্রেফতার করা হলে, পুলিশকে মারধর করে আসামী ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও এ রাজ্যে ঘটেছে ঘাসফুল জমানায়। 

    ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেওয়ার মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত মারমুখী তৃণমূল কর্মীদের ‘ঝান্ডাঘাত’ থেকে বাঁচতে খোদ কলকাতার বুকে নির্লজ্জভাবে পুলিশকে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছিল টেবিলের তলায়। এসব ঘটনা থেকে আমজনতা বুঝে গিয়েছে বাম জমানার মতোই তৃণমূল জমানায়ও পুলিশ পরিণত হয়েছে দলদাসে। পার্থক্য কেবল একটাই। বামেরা (Left Front) রেজিমেন্টড পার্টি। সব কিছু গুছানো। আর তৃণমূল (TMC)? ওয়ান উওম্যান শো! সব কিছুই বড্ড অগোছালো! তাই বারেবারেই মুখ পুড়ছে রাজ্য সরকারের (Mamata Banerjee government)। 

  • KK Last Rites: চোখের জলে শেষ বিদায়, মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পঞ্চভূতে বিলীন কেকে 

    KK Last Rites: চোখের জলে শেষ বিদায়, মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পঞ্চভূতে বিলীন কেকে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের জলে কেকে-কে (KK) বিদায় জানালেন পরিবার-পরিজন-ভক্তরা। মুম্বাইয়ে ভারসোভা (Varsova) শ্মশানে গায়কের শেষকৃত্য (Last Rites) সম্পন্ন হল। মুখাগ্নি করলেন ছেলে নকুল কুন্নাথ। শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী জ্যোতি ও মেয়ে তামারা কুন্নাথ।   

    প্রিয় বন্ধুকে শেষবারের জন্যে দেখতে এদিন গায়কের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, হরিহরণ, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, আকৃতি কক্কর, সেলিম মার্চেন্ট, রাঘব সাচার, সুদেশ ভোঁসলে, অলকা ইয়াগনিক, জাভেদ আলি, জাভেদ আখতার, শঙ্কর মহাদেবন-এর মত সঙ্গীত জগতের ব্য়ক্তিত্বরা। শ্মশানের বাইরে প্রিয় গায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শ্মশানের বাইরে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য গুনমুগ্ধ ভক্ত। চোখের জলে শেষ বিদায়। পঞ্চভূতে বিলীন হলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। চিতার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী।

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে কেকে-র অটোপসি রিপোর্ট, কী আছে রিপোর্টে?

    মঙ্গলবার কলকাতায় নজরুল মঞ্চে এক কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পরে হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে গায়কের। বুধবার সকালে তাঁর পরিবার মুম্বাই থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছয়। 

    আরও পড়ুন: শিল্পী বেঁচে থাকে তাঁর সৃষ্টিতে! কে কে-এর কালজয়ী ১০টি গান

    বুধবার কলকাতায় গানস্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানোর পর রাতে মুম্বই পৌঁছয় কেকে’র নশ্বর দেহ ৷ বিকেলেই কলকাতা থেকে মুম্বই রওনা দিয়েছিল শিল্পীর পরিবার ৷ তারা রাত সওয়া আটটা নাগাদ পৌঁছে যায় মুম্বইয়ে৷ ভারসোভা এলাকার পার্ক প্লাজা কমপ্লেক্সে থাকতেন কেকে ৷ সেখানকারই হলেই আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তাঁর দেহ শায়িত ছিল ৷ শিল্পীকে সেখানেই শেষশ্রদ্ধা জানান পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তরা ৷ এরপর শ্মশানের উদ্দেশ্যে শিল্পীকে নিয়ে রওনা হয় তাঁর পরিবার। 

    কেকে-র মৃত্যু নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা থাকলেও, প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনেই মৃত্যু হয়েছে গায়কের। 

     

     

     

     

  • PFI: অসম পুলিশের হাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার পিএফআই পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি

    PFI: অসম পুলিশের হাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার পিএফআই পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল অসম পুলিশ (Assam Police) ও এনআইএ (NIA) যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে ১১ জন পিএফআই (PFI) নেতাকে গ্রেফতার করেছে। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি মিনারুল শেখকে (Minarul Sheikh)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ দিল্লিতে (Delhi) গিয়ে অসম পুলিশ গ্রেফতার করে মনিরুলকে। তারপর শুক্রবার তাঁকে গুয়াহাটি (Guwahati) নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় পিএফআই-এর বরাক ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক বজরুল করিমকে। শুক্রবারই কোর্টে তোলা হয় ১১ জন ধৃতকে। ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে গুয়াহাটি আদালত। তাদের কাছ থেকে প্রচুর ভারত-বিরোধী নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে এনআইএ-র। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    বৃহস্পতিবার সারা ভারতজুড়ে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি মোট ২০ জায়গায় তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চলে কলকাতার (Kolkata) তিলজলার এক আবাসনে। জানা গিয়েছে এই আবাসনের চার তলায় ভাড়া নিয়ে পিএফআই একটি অফিস করেছে। ওই অফিস বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে বলে দাবি স্থানীয়দের। মহম্মদ আনোয়ার ওই একই তলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, “ওই অফিস সারাদিন বন্ধ থাকত। মৌলবী, ইমামরা আসত। সঙ্গে মাথায় টুপি পরে বেশ কিছু যুবক আসত। ওরা কী করত, আমরা জানি না। কোনওদিন ওদের নাম জিজ্ঞাসা করিনি। কারণ ওদের অফিসের দরজা সবসময় ভেতর থেকে লাগানো থাকত।” 

    আরও পড়ুন: এনআইএ হানার প্রতিবাদ, কেরলে পাথর- পেট্রল বোমা ছুড়ে প্রতিবাদ পিএফআই সমর্থকদের

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, গত ১০-১১ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পাঁচ-ছয়টি জেলায় ব্যাপকহারে বেড়েছে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা। খোদ কলকাতার বুকেও ট্রেনিং ক্যাম্প করে ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কেরল-কর্নাটক থেকে শুরু হওয়া এই সংগঠন বাংলায় প্রথমে মুর্শিদাবাদে কাজ শুরু করে। ক্রমেই অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে এখন দুই ২৪ পরগনা, মালদহ,নদিয়া, বীরভূম, হাওড়া, কলকাতা এবং উত্তর দিনাজপুরে সব মিলিয়ে কয়েক হাজার ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা।  

    জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদে প্রথম পিএফআই কাজ শুরু করে। কলকাতার তপসিয়া এলাকায় রাজ্য দফতর তৈরি হলেও সংগঠনের অধিকাংশ নেতা মুর্শিদাবাদ-মালদহ জেলার। এ রাজ্যে পিএফআইয়ের সভাপতি হলেন হাসিবুল ইসলাম। গত পাঁচ-ছয় বছর পিএফআই কিছুটা অন্তরালে থেকেই কাজ করত। কিন্তু সিএএ-র (CAA) বিষয়টি সামনে আসার পর এ রাজ্যেও পিএফআই প্রকাশ্যে এসে কার্যকলাপ শুরু করে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কলকাতায় অফিস থাকলেও বহরমপুর থানার অন্তর্গত বাখুরি গ্রামে রয়েছে পিএফআইয়ের সদর দফতর। সেখান থেকে রাজ্যজুড়ে কাজের নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।

    বৃহস্পতিবার এনআইএ এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, অসম, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। এখনও পর্যন্ত ১৯৬ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। দেশজুড়ে এই ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জোড়াল হচ্ছে। বিভিন্ন অসামাজিক ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ২০০৬ সালে গঠিত, এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ , সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে পিএফআই। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই দলটিকে বেআইনি ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে, বলে খবর।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Niti Aayog: নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে বেরি

    Niti Aayog: নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে বেরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২০১৭ সালের অগস্টে অরবিন্দ পানাগড়িয়ার পরে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসেছিলেন অর্থনীতিবিদ রাজীব কুমার। আগামী ৩০ এপ্রিল তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সূত্রের খবর, তার আগেই ওই পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। রাজীবের এ ভাবে সরে যাওয়ার কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে তড়িঘড়ি নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে অর্থনীতিবিদ সুমন কে বেরি-কে নিয়োগ করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ, স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশন এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি বিষয়ক টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। দায়িত্ব নেবেন ১ মে থেকে।

    সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, রাজীবের পূর্বসূরী পানাগড়িয়া তিন বছরের মাথায় নীতি আয়োগ ছেড়েছিলেন। ক্ষমতার অলিন্দে জল্পনা দানা বেঁধেছিল, মূলত মোদী সরকারের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ার কারণেই সরকারের এই উপদেষ্টা সংস্থার দায়িত্ব ছেড়ে তিনি মার্কিন মুলুকে পড়াশোনার জগতে ফিরছেন।

    এ দিন সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কুমারের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে এবং ৩০ এপ্রিল ওই পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

  • Jaishankar at Abu Dhabi: আবু ধাবিতে ‘সম্প্রীতির প্রতীক’ হিন্দু মন্দির নির্মাণ খতিয়ে দেখলেন জয়শঙ্কর

    Jaishankar at Abu Dhabi: আবু ধাবিতে ‘সম্প্রীতির প্রতীক’ হিন্দু মন্দির নির্মাণ খতিয়ে দেখলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবু ধাবিতে (Abu Dhabi) হিন্দু মন্দির (Hindu Temple) নির্মাণের কাজ দেখতে গেলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বর্তমানে তিন দিনের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (United Arab Emirates) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখান থেকেই যান হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজ দেখতে। কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষও প্রকাশ করেন তিনি।

    মুসলিম রাষ্ট্র আবু ধাবি। সেখানেই এই প্রথম গড়ে উঠছে হিন্দু মন্দির। বুধবার সেই মন্দিরের কাজই দেখতে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। মন্দিরটি স্বামী নারায়ণের। মন্দির নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখার পর ট্যুইট করেন জয়শঙ্কর। লেখেন, গণেশ চতুর্থীতে আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখতে পেরে আমি গর্বিত। দ্রুত গতিতে চলছে মন্দির নির্মাণের কাজ। যাঁরা মন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের প্রশংসা করি। বিএপিএস টিম, সম্প্রদায়, সমর্থক, ভক্ত শ্রমিকদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছি। একটি মুসলিম রাষ্ট্রে হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজটিকে শান্তি, সহবত ও ঐক্যের প্রতীক আখ্যা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। স্বাগত জানিয়েছেন প্রতীকী মন্দির নির্মাণের উদ্যোগকেও। প্রসঙ্গত, আবু ধাবিতে যে মন্দিরটি নির্মাণের কাজ চলছে সেটি তৈরি করছে বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থা।

    আরও পড়ুন : ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭০০ ভারতীয় ও সমাজের সর্বস্তরের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সামনে ওই মন্দিরের মডেলের আবরণ উন্মোচন করেছিলেন। মন্দিরটি গড়ে উঠছে আবু ধাবির আবু মুরেইখ এলাকায়। শিলা পুজোর সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের হাজার হাজার ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী এবং অতিথিবৃন্দ। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, তার পর থেকে মন্দির দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসী মানুষও।

    জয়শঙ্করের ট্যুইটের প্রেক্ষিতে ট্যুইট করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষও। ট্যুইট বার্তায় লেখা হয়েছে, শুভ দিনে মন্দির দর্শনে এসেছিলেন জয়শঙ্কর। তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মন্দির নির্মাণে শিল্পী, স্বেচ্ছাসেবক এবং অনুদানকারীদের সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য বিশ্ব ঐক্যের পথে আধ্যাত্মিক মরুদ্যান স্বরূপ। ২০১৪ সালে দিল্লি দখল করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালে মোদি যান পশ্চিম এশিয়া সফরে। তখনই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকার মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দেয়। সেই জমিতেই গড়ে উঠছে স্বামী নারায়ণের মন্দির। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও ঐক্যের সেতু হয়ে থাকবে এই মন্দির। এই মন্দির হয়ে থাকবে ভারতের পরিচয়ও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share