Blog

  • Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: আম্বানিদের (ambani) জেড প্লাস নিরাপত্তা (Z Plus security) মামলায় ত্রিপুরা হাইকোর্টের (Tripura High Court) রায়েই স্থগিতদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    বিশিষ্ট শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিকে বর্তমানে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রী নীতা পান ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির (Y Plus security) নিরাপত্তা। সম্প্রতি বিকাশ সাহা নামে এক ব্যক্তি ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর প্রশ্ন, কী কারণে আম্বানি পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? মহারাষ্ট সরকারের সুপারিশেই কেন্দ্রীয় সরকার বিশিষ্ট ওই শিল্পপতি ও তাঁর স্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে। জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে দুটি অন্তর্বর্তী অর্ডার পাশ করে ত্রিপুরা হাইকোর্ট। সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয় আম্বানি পরিবারকে কী কারণে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিপত্র পেশ করতে হবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

    ত্রিপুরা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র। মামলা গ্রহণ করে শুনানির নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে আম্বানিদের। তাঁরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে সেখানেই। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ারই নেই ত্রিপুরা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায়েই স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন : বিবাদ মিটিয়েছিলেন দুই ভাইয়ের, চিনে নিন আম্বানি পরিবারের ‘ভাইশ্রী’-কে

    গত বছর আম্বানি পরিবারের বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। তার পরেই নিরাপত্তা দেওয়া হয় মুকেশ এবং তাঁর স্ত্রীকে। যদিও তাঁর সন্তানরা ওই সুবিধা পান না। মুকেশ ও নীতা যে নিরাপত্তা পান, সেজন্য তাঁদের মোটা টাকা গুণতে হয়। মুকেশ যে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান, এদেশে তা পান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং হাতে গোণা কয়েকজন।

    ৫০-৫৫ জন সশস্ত্র কমান্ডো ২৪ ঘণ্টা প্রহরায় থাকেন আম্বানিদের বাড়ির সামনে। আম্বানিরা বুলেটপ্রুফ গাড়ি, এসকর্ট এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী পান। চাইলে পেতে পারেন এনএসজি (NSG) কমান্ডোদেরও। মহারাষ্ট্র তো বটেই, দেশের যে কোনও প্রান্তে গেলে মুকেশের সঙ্গে থাকে একটি পাইলট কার এবং তার পিছনে কয়েকটি গাড়ির কনভয়।

  • Maharashtra Political Crisis: সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    Maharashtra Political Crisis: সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shivsena) দখল নিতে সক্রিয় একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তিনি। বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) তাঁর সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ায় মহারাষ্ট্রে পালাবদলের সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। গুয়াহাটিতে থাকা শিন্ডে-সহ ৩৭ জন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক নিজেদের ‘প্রকৃত শিবসেনা পরিষদীয় দল’ বলে দাবি করে চিঠি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি (Bhagat Singh Koshiyari) এবং ডেপুটি স্পিকার নিহারী সীতারাম জিরওয়ালকে। 

    মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব এদিন রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন ‘বর্ষা’ ছেড়ে পৈতৃক ভিটে ‘মাতোশ্রী’তে চলে গিয়েছেন। তবে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) বলেন, ‘‘উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। তিনি ইস্তফা দেবেন না। প্রয়োজনে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার মুখোমুখি হবেন।’’ যদিও এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ইতিমধ্যেই শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য উদ্ধবকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন বলে শাসক জোট ‘মহা বিকাশ অঘড়ি’র (Maha Vikas Aghadi)) একটি সূত্র জানিয়েছে। শিবসেনার পাশাপাশি এনসিপি (NCP) এবং কংগ্রেস (Congress) এই জোটের শরিক।

    আরও পড়ুন: সঙ্কট আরও ঘনীভূত, বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    কয়েক দিন ধরেই একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। দলের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে জেরবার উদ্ধবের সামনে মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে জোট সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস এবং এনসিপি। কিন্তু জোটে নারাজ একনাথ জানিয়ে দেন, শিবসেনাকে টিকিয়ে রাখতে অবিলম্বে দুই শরিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা জরুরি। 

    একনাথ টুইটারে লেখেন, “গত আড়াই বছরের জোট সরকারে লাভবান হয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি। যেখানে অন্যান্য দল শক্তিশালী হয়েছে, সেখানে সেনা শুধুমাত্র দুর্বল হয়েছে। যা দেখে শিব সৈনিকরা অবাক হয়েছেন।” তিনি আরও লেখেন, “দল এবং শিব সৈনিকদের বেঁচে থাকার জন্য অস্বাভাবিক জোট থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। মহারাষ্ট্রের স্বার্থে এখনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।”

    আরও পড়ুন: উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকার জিরওয়ালকে লেখা চিঠিতে শিন্ডেকেই ‘শিবসেনা পরিষদীয় দলের নেতা’ পদে বহাল রাখার আর্জি জানিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়কেরা। শিন্ডে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দল আর দলের কর্মীদের বাঁচাতে এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে অস্বাভাবিক জোট ছেড়ে বেরোনো শিবসেনার জন্য অপরিহার্য ছিল।’ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় এত দিন পর্যন্ত বিধানসভায় শিবসেনার দলনেতার দায়িত্ব পালন করছিলেন শিন্ডে।

    প্রসঙ্গত, ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharashtra Assembly) শিবসেনার বিধায়ক ৫৫। যাঁদের মধ্যে ৩৬ জনই শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁরা যদি ইস্তফা দেন, তা হলে শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা নেমে আসতে পারে ১৯-য়। শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে আরও অন্তত ৭ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে জোট সরকার। যা মোটেই কাম্য নয় সরকারের আর দুই শরিক এনসিপি এবং কংগ্রেসের।

  • Air India: বাড়বে পরিষেবা! এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য ৩০০ টি বিমান কেনার পরিকল্পনা টাটার

    Air India: বাড়বে পরিষেবা! এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য ৩০০ টি বিমান কেনার পরিকল্পনা টাটার

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা (Tata) গোষ্ঠী মালিকাধীন এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) নতুন করে ৩০০টি ‘ন্যারো বডি এয়ারক্র্যাফট’ (narrowbody jets) বা ছোট, মাঝারি মাপের বিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে। ২০০৬ সালের পর থেকে এয়ার ইন্ডিয়া নতুন করে কোনও বিমান কেনেনি। ফলে এই বিমান কেনার চুক্তি সফল হলে দেশের বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবায় এয়ার ইন্ডিয়া এক নতুন ইতিহাস তৈরি করবে।

    আরও পড়ুন: ঘটনার সময় বিমান ছিল অটোপাইলট মোডে! ‘বসিয়ে দেওয়া’ হল পাইলট, ইঞ্জিনিয়ারদের

    খবর সূত্রে জানা যায়, এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারবাস এসই-র এ৩২০নিও ফ্যামিলি জেট (Airbus SE’s A320neo family jets) অথবা বোয়িং কো’র ৭৩৭ ম্যাক্স (Boeing Co.’s 737 Max) মডেলের বিমান অথবা দুটোরই অর্ডার দিতে পারে। জানা যায়, ৩০০টি ৭৩৭ ম্যাক্স-১০ জেট (737 Max-10 jets) কিনতে খরচ হতে পারে প্রায় ৪০.৫ বিলিয়ন ডলার($40.5 billion )। তবে এই বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে মোদি সরকারের কাছ থেকে লোকসানে থাকা এয়ার ইন্ডিয়া কিনে নেয় টাটা গোষ্ঠী (Tata Group)।

    বোয়িং (Boeing )কোম্পানির সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার ৩০০ টি বিমান কেনার চুক্তিটি সফল হলে বোয়িং কোম্পানির জন্যই ভালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ করোনার আগে পর্যন্ত এয়ারবাস (Airbus) কোম্পানিই বিমান পরিষেবার বাজারে বিশ্বে প্রথম স্থানে ছিল। এছাড়া ইন্ডিগো (IndiGo),  ভিস্তারা(Vistara), গো এয়ারলাইন্স (Go Airlines)-এর বিমালগুলো  ইন্টারগ্লোব অ্যাভিয়েশন (InterGlobe Aviation Ltd) কোম্পানির থেকেই অর্ডার করা হয়। এয়ারবাস একমাসেই ৫০ টি ‘ন্যারো বডি এয়ারক্র্যাফট’ তৈরি করে। এয়ার ইন্ডিয়া পরিকল্পনা করেছে ২০২৩ সালের মধ্যে ৬৫ টি এবং ২০২৫-এর মধ্যে ৭৫ টি ন্যারো বডি বা ছোট, মাঝারি মাপের বিমানের অর্ডার করা হবে।

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    এয়ার ইন্ডিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রন টাটা গ্রুপকে দেওয়ার পর থেকেই  টাটা গ্রুপ এটিকে পুনর্গঠিত করার চেষ্টা করছে। এয়ার ইন্ডিয়া নতুন বিমান দিয়ে তার পরিষেবা বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়াকে পুনর্গঠিত করার জন্য ইতিমধ্যেই অনেক পরিকল্পনাও নিয়েছে টাটা গ্রুপ।

  • Maoist Attack: ওড়িশায় মাওবাদী হামলায় নিহত ৩ সিআরপি জওয়ান

    Maoist Attack: ওড়িশায় মাওবাদী হামলায় নিহত ৩ সিআরপি জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা-ছত্তিসগড় সীমান্তে মাওবাদী হামলায় (Maoist attack) নিহত হলেন আধা সামরিক বাহিনীর (CRPF) তিন জওয়ান। মৃতদের মধ্যে দু’জন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

    মঙ্গলবার ওড়িশার (Odisha) নুয়াপাড়া জেলায় সিআরপিএফ টহলদারি চলাকালীন হামলা চালায় মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, উপদ্রুত জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ি এলাকায় টহলদারি দলের জন্য আগে থেকে অপেক্ষা করছিল মাওবাদীরা। জওয়ানরা সেখানে পৌঁছনোমাত্র অতর্কিতে হামলা চালায় মাওবাদীরা। সময় সেসময় টহলে ছিলেন ৭ জন জওয়ান। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পালটা জবাব দেয় বাহিনী।

    [tw]


    [/tw]

    ওড়িশা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই হামলা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে গুলির লড়াই। নিহত জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্রও লুঠ করেছে মাওবাদীরা। নিহত তিন সিআরপিএফ জওয়ানের মধ্যে দু’জন সাব ইন্সপেক্টর। মৃতদের পরিবার পিছু ২০ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ওড়িশা (Odisha) সরকার। এই ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা চলছে। ওড়িশা পুলিশের ডিজি এসকে বনশল জানিয়েছেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ওড়িশা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী এবং স্পেশ্যাল অপারেশনাল গ্রুপ (Special Operations Group)। ঘটনার পরই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সংকটে উদ্ধব-সরকার! নিখোঁজ মন্ত্রী সহ ২৭ বিধায়ক

    অন্যদিকে, ভোপালের বালাঘাট জেলায় এনকাউন্টারে তিনজন মাওবাদীকে খতম করল পুলিশ। তার মধ্যে একজন মাও কমান্ডার চিফও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিভিশন কমিটি মেম্বার স্তরের কমান্ডার-ইন-চিফ ৪০ বছর বয়সি নাগেশ ওরফে রাজু তুলাভির (Raju Tulavi) মৃত্যু হয়েছে এনকাউন্টারে। একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।

    সুরক্ষা বাহিনী সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ছত্তিসগড় (Chhattisgarh) আর মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মধ্যে একটা নিরাপদ করিডর তৈরির চেষ্টা করছিল মাওবাদীরা। এবার সেখানেই অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য পেল মধ্যপ্রদেশ। মাওবাদী নেতা নাগেশকে খতম করা হয়েছে। তার মাথার দাম ছিল ২৯ লাখ টাকা। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় ও মহারাষ্ট্র সরকার যৌথভাবে এই পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল। মধ্যপ্রদেশের ভিস্তার প্ল্যাটুনের দায়িত্ব ছিল নাগেশ।

    অপর নিহত দুই মাওবাদীর একজন হল পশ্চিম বস্তারের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সি মনোজ এবং দ্বিতীয়জন সুকমার বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সি মহিলা মাওবাদী রামে। তাদের মাথার ওপর ১৪ লাখ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছেন মাওবাদী দমন বাহিনীর (Anti-Maoist Force) ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ শরিদ ফাপু। মাওবাদীদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

     

  • Yogi Adityanath:  যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    Yogi Adityanath: যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফায় একশো দিন পূরণ করল উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। তিনি বলেন, এই একশো দিন সমর্পণ করা হয়েছে জনগণের সেবা-সুরক্ষা এবং সুশাসনের প্রতি। মুখ্যমন্ত্রী (CM) বলেন, জনতার কাছে যা কথা দিয়েছি, তা আমরা পূরণ করবই। এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশের অর্থ ব্যবস্থাকে এক ট্রিলিয়নে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।

    উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় এসেই রাজ্যকে ‘কুশাসন’ মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যান যোগী। যার সুফল ঘরে তুলছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর জয় মিলেছে বিধান পরিষদ নির্বাচনেও। সম্প্রতি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আজমেঢ় ও রামপুর উপনির্বাচনেও জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসাহিত গেরুয়া শিবির। যোগী আদিত্যনাথ জানান, উত্তর প্রদেশকে আরও সংগঠিত করতে দশটি বিভাগ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলি হল কৃষি, শিল্প, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, আরবান ডেভেলপমেন্ট, ট্যুরিজম ও কালচার, শিক্ষা, রাজস্ব এবং আইন। এগুলির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ আধিকারিকদের হাতে। প্রত্যেককে বেঁধে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত কয়েক বছরে মোট ২৯২৫ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে মাফিয়া ও সমাজবিরোধীদের গতিবিধি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মাফিয়াদের ৮৪৪ কোটি টাকার সম্পত্তিও। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, গত পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগে উত্তর প্রদেশ পরিচিতই ছিল দাঙ্গা ও অশান্তির জন্য। কিন্তু বিজেপি সরকার আসার পরেই উত্তর প্রদেশে আর একটিও দাঙ্গার খবর নেই।

    আরও পড়ুন : এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    কেবল আইনশৃঙ্খলাই নয়, আর্থিকভাবেও ঢের উন্নতি লাভ করেছে যোগীর রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশের জিডিপি দ্বিগুণ হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের মাথাপিছু আয়ও। তিনি জানান, ধর্মীয়স্থানে অনাবশ্যক লাউডস্পিকারের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। ২০ হাজারেরও বেশি লাউড স্পিকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানান আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত একশো দিনে প্রায় ১০ হাজার জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আমাদের লক্ষ্য উত্তর প্রদেশের সব যুবককে অন্তত দু লক্ষ করে টাকা লোন দেওয়া। এই টাকা নিয়ে তারা যাতে ব্যবসা করতে পারে, সেজন্য সব রকম ব্যবস্থা করবে সরকার। আদিত্যনাথ বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেই প্রায় ৮৬ লক্ষ কৃষকের লোন মকুব করে। ২০২২ সালে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে ১৫ কোটি গরিব মানুষকে নিখরচায় রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

  • Maharastra political crisis: বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    Maharastra political crisis: বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত মহারাষ্ট্রের (Maharastra) মহাসংকট! দুভাগ হয়ে গিয়েছে বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি শিবসেনা (Shiv Sena)। সূত্রের খবর, শিবসেনা বালাসাহেব নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) বাহিনী। তাদের ঠেকিয়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। বিদ্রোহীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ভোটে জিততে নিজেদের বাবার নাম নাও, আমার বাবার নাম নেবে না। এদিকে, শনিবারই মধ্যরাতে গুজরাটের ভাদোদরায় শিন্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। শিবসেনা বাঁচাতেই যে তিনি নয়া শিবসেনা গড়ছেন, এদিনই তা ফের জানিয়ে দিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিবাদের জেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডে। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে প্রথমে চলে যান গুজরাট এবং পরে সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে উড়ে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানেই অনুগতদের নিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি।

    তবে এর মধ্যেই শনিবার মধ্যরাতের বিশেষ বিমানে গুজরাটের ভাদোদরায় ফিরে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে দেখা করেন শিন্ডে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে সম্ভাব্য সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই দুই নেতার। ২০১৯ সালে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের তখতে বসার আগে তিনদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ছিলেন ফড়নবীশ-ই। রাতে তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরে ফের বিজেপি শাসিত আসামে ফিরে যান শিন্ডে। এখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে প্রায় ৪০ জন অনুগত বিধায়ককে নিয়ে রয়েছেন বিদ্রোহী এই শিবসেনা নেতা।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    এদিকে, শিবসেনা বালাসাহেব নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে শিন্ডে বাহিনী। সে খবর কানে পৌঁছতেই ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ভোটে জিততে তোমরা নিজেদের বাবার নাম নাও, আমার বাবার (বালাসাহেবের) নাম নয়। তাঁর সাফ কথা, বালাসাহেবের নাম ব্যবহার করা যাবে না কোনও মতেই। কেবল হুঁশিয়ারি দিয়েই ক্ষান্ত হননি উদ্ধব। বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে সরাসরি নালিশও ঠুকলেন নির্বাচন কমিশনে। সূত্রের খবর, শিবসেনার তরফে এ ব্যাপারে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। উদ্ধব বলেন, ওরা যা পারে করুক। নিজেদের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিক। কিন্তু বালাসাহেব ঠাকরের নাম নিয়ে কিছু করা যাবে না। উদ্ধবের নেতৃত্বে এদিন শিবসেনার জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকও বসে। সেখানে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বৈঠক শেষে আদিত্য ঠাকরে বলেন, শিবসেনা বিধায়কদের ‘প্রতারণা’ আমরা কোনওদিন ভুলব না। আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব।

    এদিকে, শিবসেনা বাঁচাতেই যে তিনি লড়ছেন, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিন্ডে। বলেন, এমভিএ সরকার নামের ড্রাগনের কবল থেকে শিবসেনাকে মুক্ত করতে চাইছি আমি। এই লড়াই পার্টি কর্মীদের জন্যই।

    অন্যদিকে, শিন্ডে বাহিনীর অভিযোগ উদ্ধবের দলবল হামলা চালিয়েছে তাদের একাধিক পার্টি অফিসে। এখন নিরাপত্তার আশঙ্কায় ভুগছেন বিদ্রোহীরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে ১৫ জন বিধায়ককে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কদের স্ত্রীদের বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন উদ্ধবের স্ত্রী রশ্মি। অন্তত শিবসেনার একটি সূত্রের খবর এমনই।  

     

  • Monkeypox: নতুন বিপদ! ‘মাঙ্কিপক্স’কে অতিমারি ঘোষণা ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্কের

    Monkeypox: নতুন বিপদ! ‘মাঙ্কিপক্স’কে অতিমারি ঘোষণা ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Corona) না যেতেই আবার বিশ্বজুড়ে আরেক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ২৩ জুন ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক (World Health Network) তরফে ‘মাঙ্কিপক্স’ (Monkey Pox) কে অতিমারি(Pandemic) বলে ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার পরও রেহাই নেই বিশ্বে। নতুন করে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে এই মাঙ্কি পক্স।

    আরও পড়ুন: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    ইতিমধ্যেই ৫৮টি দেশে ৩৪১৭ টি মাঙ্কিপক্সের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের প্রভাব ক্রমশ একাধিক দেশে বেড়েই চলেছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কোনো পদক্ষেপ তৎক্ষণাৎ না নিলে মাঙ্কিপক্সের প্রভাব কমানো সম্ভব নয়। যদিও এই মুহূর্তে স্মল পক্সের তুলনায় মাঙ্কিপক্সের মৃত্যুর হার কম। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এই মুহূর্তে এই রোগের মোকাবিলার চেষ্টা চলছে সর্বত্র। এরই মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ফলে এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্স অতিমারি ছাড়া আর কিছু নয় জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক।

    মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই  এক বৈঠকে মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্ক বার্তা জারি করেছিল। ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্কের সহকারি প্রতিষ্ঠাতা (Co-founder) তথা নিউ ইংল্যান্ড কমপ্লেক্স সিস্টেম ইনস্টিটিউটের (New England Complex System Institute) প্রেসিডেন্ট (President) ইয়ানির বার ইয়াম (Yaneer Bar-Yam) জানান,  আর অপেক্ষা করা উচিত নয়। এটিই সঠিক সময় পদক্ষেপ নেওয়ার। এই ভাইরাস আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই সতর্ক হওয়া উচিত। এখন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পরবর্তীতে আরও ক্ষতি হলে সেটি সামনালো অসম্ভব হয়ে পড়বে।

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা সম্ভব, জানাল গবেষণা

    ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক থেকে জানানো হয়েছে যে, মাঙ্কিপক্সকে অতিমারি ঘোষণা করার প্রধান উদ্দেশ্য হল যাতে অধিকাংশ দেশগুলি এই ভাইরাসের প্রতি বিশেষ নজর রাখে ও এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলেই এই ভাইরাসের ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবে গোটা বিশ্ব। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলি নিয়েও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার প্রচার করার কথাও বলেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক।

  • Sino-Indian Meet: সন্দেহ নয়, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখুন, ভারতকে বার্তা চিনের

    Sino-Indian Meet: সন্দেহ নয়, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখুন, ভারতকে বার্তা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেহ নয়, সম্পর্ক ভালো করতে একে অপরের ওপর আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। বৈঠকে এমন সম্পর্ক গড়ার কথাই শোনালেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। বুধবার চিনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াই, (Wang Wi) চিনে (China) নিযুক্ত ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত প্রদীপ কুমার রাওয়াতের (Pradeep Kumar Rawat) সঙ্গে বৈঠক করেন। 

    ১৪ তম ব্রিকস সামিটের (14th BRICS Summit) আগে দুই দেশের মধ্যে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই সামিটে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা উপস্থিত থাকার কথা। এবারের ব্রিকস সামিটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে চিন।

    আরও পড়ুন: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের 

    চিনের বিদেশমন্ত্রী এবিষয়ে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে উভয়ের এগিয়ে আসা দরকার।” চিনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত ও চিনের অভিন্ন স্বার্থ তাদের পার্থক্যের চেয়ে বেশি। একে অপরকে দুর্বল না করে সমর্থন করা উচিৎ। একে অপরের  বিরুদ্ধে পাহারা দেওয়ার পরিবর্তে, সহযোগিতা জোরদার করতে হবে এবং পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়াতে হবে। 

    প্রতিবেশি দেশের বিদেশমন্ত্রী চারটি পয়েন্টের এজেন্ডাও জানিয়েছেন। চিন যে চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছ সেগুলি হল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, চিন ও ভারত প্রতিযোগী নয় সহযোগী। চিন ও ভারত পরস্পরকে হুঁশিয়ারি দেবে না। পারস্পরিক উন্নতিতে সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জটিল পরিস্থিতির সঙ্গে তারা যৌথভাবে মোকাবিলা করবে।

    আরও পড়ুন: সীমান্ত আগ্রাসন নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের, কী বললেন তিনি? 

    এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। ইউরোপ সফরে গিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না ভারত সরকার।” 

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই স্পষ্ট বক্তব্যের প্রশংসা করে ওয়াং ওয়াই বলেন, “ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভারতের স্বাধীনতার ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ।” 

    গত বছর ভারতের সঙ্গে চিনের ব্যবসায়িক আদানপ্রদান ১২,৫০০ কোটিরও বেশি হয়েছে। আগেরবারই প্রথম এই দুই দেশে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান ১০০০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। তাই এইবছরের ব্রিক সম্মেলনের আগে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি। 

    ২৪ মাস আগে ভারতের সীমান্তে চিন আকস্মিক আগ্রাসন চালানোয় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তাই এই বৈঠকের পর দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়ে আশাবাদী রাজনৈতিক মহল।  

     

  • Eknath Shinde: শপথ নিয়েই ‘বিদ্রোহী’দের ফেরাতে গোয়া উড়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী 

    Eknath Shinde: শপথ নিয়েই ‘বিদ্রোহী’দের ফেরাতে গোয়া উড়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই গোয়া (Goa) উড়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার (Shiv Sena) একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নেন তিনি। প্রত্যাশিতভাবেই খুশি গোপনও করেননি শিন্ডে। বলেন, কেবল আমার সতীর্থরাই নয়, গোটা মহারাষ্ট্র খুশি যে বালাসাহেব ঠাকরের শিবসৈনিক মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না শিবসেনার একজন বিক্ষুব্ধ বিধায়কও। তাঁরা ছিলেন গোয়ার হোটেলে।

    আরও পড়ুন : বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    তাই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষেই শিন্ডে উড়ে যান গোয়া। মহারাষ্ট্রবাসীর উদ্দেশে নয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকার মহারাষ্ট্রের মানুষদের জন্যই কাজ করবে। সমাজের প্রতিটি স্তরে সুবিচার করা হবে। আমরা এক সঙ্গে বালাসাহেবের মতাদর্শকে সামনে রেখে এগিয়ে যাব।

    কাজ করতে যে শিন্ডে মুখিয়ে ছিলেন, তার প্রমাণ মিলল এদিনই। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আশুতোষ কুম্ভকোনিকে জানিয়ে দেন মেট্রো কারশেড গড়া হবে এরিয়া কলোনি এলাকায়ই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ সালে ক্ষমতায় বসেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকার। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতেই কাজ আর এগোয়নি। বিরোধী দলনেতা হিসেবেও গতবছর ফড়নবিশ জানিয়েছিলেন, মেট্রো কারশেডটিকে কঞ্জুরমার্গে সরিয়ে নিয়ে গেলে কাজে দেরি হবে। ব্যয়ও হবে বেশি।

    আরও পড়ুন : বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    এদিকে, এদিনই বসতে চলেছে মহারাষ্ট্র বিধানসভার দুদিনের অধিবেশন। এই অধিবেশনেই নির্বাচিত হবেন নয়া স্পিকার। এদিন শিন্ডের পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তিনি অবশ্য সরকারের বাইরেই থাকতে চেয়েছিলেন। পরে অবশ্য শপথ নেন তিনিও।

    মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে না বসে ফড়নবিশ যেভাবে শিন্ডেকে তা ছেড়ে দিয়েছেন, এদিন তার প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ফড়নবিশের হৃদয় বড়। শিন্ডে বিজেপির পুরো সমর্থন পাবেন বলেও জানিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ফড়নবিশ এবং অন্য বিজেপি নেতাদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি শিন্ডে। ফড়নবিশ বলেন, শিবসেনা এমন দুটি দলের সঙ্গে জোট গড়েছিল, জীবদ্দশায় যাদের প্রতিবাদ করে গিয়েছিলেন বালাসাহেব স্বয়ং। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট গড়েই এতদিন সরকার চালাচ্ছিল শিবসেনা।

     

  • Vice President Election 2022: বাজল উপরাষ্ট্রপতি পদের দামামাও, কীভাবে ভোট হয় জানেন?

    Vice President Election 2022: বাজল উপরাষ্ট্রপতি পদের দামামাও, কীভাবে ভোট হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election) পর এবার দামামা বেজে গেল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেরও (Vice president election)। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হবে ৬ আগস্ট। ওই দিনই হবে ভোট গণনা।

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেই পর্ব শেষ হওয়ার পরেই হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোট হওয়ার কথা ৬ আগস্ট। তার পরেই জানা যাবে বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর (Venkaiah naidu) পরে ওই পদে আসীন হন কে?  

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপচন্দ্র পাণ্ডে। ওই বৈঠকেই ঘোষণা করা হয় উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। আগামী মাসেই উপরাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বেঙ্কাইয়ার। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ৫ জুলাই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। সেগুলি স্ক্রুটিনি হবে ২০ জুলাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ জুলাই। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে।  

    রাষ্ট্রপতি পদে বেঙ্কাইয়াকে বসানো হবে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল দেশজুড়ে। তার কারণও ছিল। এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা হওয়ার আগে ইস্তক বেঙ্কাইয়ার নাম ভাসছিল। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার পরেই বেঙ্কাইয়াই-ই এনডিএর তরফে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন বলে খবর ছড়ায়। যদিও শেষমেশ রাষ্ট্রপতি পদে নাম ঘোষণা হয় দ্রৌপদীর।

    আরও পড়ুন : এখনও অন্ধকারে! অবশেষে বিদ্যুৎ এল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে

    ভারতীয় গণতন্ত্র প্রতিনিধিত্বমূলক। এখানে রাষ্ট্রপতি কিংবা উপরাষ্ট্রপতি সরাসরি নির্বাচিত হন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন সাংসদদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়করাও। তবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যদের দ্বারা। সংসদের দুটি কক্ষ। একটি রাজ্যসভা, অন্যটি লোকসভা। এই দুই কক্ষের সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় একটি নির্বাচনী সংস্থা। ওই নির্বাচনী সংস্থা দ্বারা সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটে এবং গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন উপরাষ্ট্রপতি।

    রাষ্ট্রপতি পদে সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি বিরোধী ১৮টি দল। এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের বাজি তৃণমূলের যশবন্ত সিনহা। এখন দেখার, উপরাষ্ট্রপতি পদেও বিজেপিকে মাত দিতে বিরোধীরা প্রার্থী দেয় কিনা!

     

LinkedIn
Share