Blog

  • RBI on Crypto Currency: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    RBI on Crypto Currency: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) বর্তমানে চলছে ক্রিপ্টোকারেন্সির (Crypto Currency) রমরমা কারবার। তবে বেসরকারি এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি যে অর্থনীতির বিপদ ডেকে আনতে পারে তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। বৃহস্পতিবার ঋণনীতি ঘোষণার পরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন শক্তিকান্তের হুঁশিয়ারি, এই সব ডিজিটাল মুদ্রা লগ্নিকারীদের পক্ষে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভারতে অর্থনৈতিক এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে আরবিআইয়ের যাবতীয় চেষ্টায়ও ঢালতে পারে জল।

    আরও পড়ুন : তিন মন্ত্রে বাজিমাত, ৭.৫% অর্থনৈতিক বৃদ্ধির আশায় ভারত

    চলতি বছর বাজেটে রিজার্ভ ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা আনার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। ক্রিপ্টোকারেন্সির রমরমা ঠেকাতে বাজারে চালু বিটকয়েন, এথেরিয়ামের মতো বেসরকারি ক্রিপ্টোগুলিকে ডিজিটাল সম্পদের তকমা দিয়ে লেনদেন করও চাপানো হয়েছে। তার পরেও চলছে রমরমা কারবার। এমতাবস্থায় সেগুলি সম্পর্কে রিজার্ভ ব্যাংকের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    তবে আরবিআইয়ের ডিজিটাল মুদ্রা কবে আসবে, সে ব্যাপারে এদিন কিছু বলেননি শক্তিকান্ত। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাই না। খুব সতর্ক হয়ে এবং সাবধানে পরীক্ষা চালাচ্ছি আর এগোচ্ছি। কারণ এতে একাধিক ঝুঁকি আছে। সব চেয়ে বড় ঝুঁকি সাইবার নিরাপত্তা রক্ষা ও মুদ্রা জাল হওয়ার।

    আরও পড়ুন : ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির যে আদতে কোনও মূল্য নেই, এদিন তা জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর। বলেন, এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির বিন্দুমাত্রও মূল্য নেই। তাই এতে লগ্নি করলে যে কোনও মুহূর্তে ডুবতে হতে পারে। তিনি বলেন, লগ্নিকারীদের সাবধান করে দেওয়া আমার কর্তব্য। তাই কেউ নিজের দায়িত্বে ওই মুদ্রা কিনলে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই যেন এগোন।

    বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সির বিপদ সম্পর্কে এর আগেও একাধিকবার লগ্নিকারীদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন শক্তিকান্ত। মাস কয়েক আগেই তিনি বলেছিলেন, বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি সবই এক। তা সে যে নামেই ডাকা হোক না কেন। ফাটকাবাজির মাধ্যমে টাকা লেনদেন ও বিনিয়োগ তাই নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত।

     

  • CAA: নাগরিকত্বের স্বীকৃতি ছাড়া যে কোনও মুহূর্তেই উদ্বাস্তুরা হারাতে পারেন তাঁদের সারা জীবনের অর্জন

    CAA: নাগরিকত্বের স্বীকৃতি ছাড়া যে কোনও মুহূর্তেই উদ্বাস্তুরা হারাতে পারেন তাঁদের সারা জীবনের অর্জন

     

    মোহিত রায়

     

    যাঁরা নিত্য বিপদসংকুল জীবনযাপনে বাধ্য হন, তাঁরা ক্রমশঃ সেই বিপদের সম্ভাব্যতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে উদাসীন হয়ে যান। যে নির্মাণ শ্রমিক বাঁশের নড়বড়ে মাচায় কোনও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছাড়াই রোজ কাজ করে যান তাঁর কাছে কোনও তথ্য পৌঁছয় না যে প্রতি বছরে কতজন এরকম নির্মাণ শ্রমিক দুর্ঘটনায় সম্মুখীন হন। কোনও বিপদ, সত্যি বা মিথ্যে, নিয়ে অনেক আলোচনা হলে মানুষ ভয় পায়। অর্থাৎ যে কোনও বিপদ সম্পর্কে, তার সম্ভাব্যতা বা ভয়াবহতা যাই হোক না কেন, মানুষের ভয় উদ্রেকের জন্য দরকার তা নিয়ে যথেষ্ট হৈচৈ করা। ভয় = বিপদ + হৈচৈ। যে সব ঘটনা বেশ হৈ চৈ ফেলে, টিভিতে চোখের সামনে আতঙ্ক ছড়ায় – খুন, জখম, আগুন – এসব খবর নিয়ে সংবাদমাধ্যম বেশ হৈচৈ করে। কিন্তু যে বিপদ নীরবে আসে যেমন সর্পাঘাতে মৃত্যু (ভারতে বছরে গড়ে ৫৮০০০ জন, প্রতিদিন প্রায় ১৬০ জন) তা নিয়ে খুব একটা কথাবার্তা হয় না। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকত্বহীন লক্ষ লক্ষ মানুষ যে কোনও দিন আইনের নীরব সর্পাঘাতের অপেক্ষায় আছেন। বেশিরভাগ সেটা জেনেও ওই বাঁশের মাঁচার নির্মাণ শ্রমিকটির মতন ভবিতব্যের হাতে সব ছেড়ে বসে থাকেন। 

    নাগরিক না হলে কি হয়? ভারতের নাগরিকত্ব না থাকলে বা বিদেশ থেকে এসে এখানে থাকার উপযুক্ত কাগজপত্র না থাকলে আপনি দেশের ফরেনার্স অ্যাক্ট (বিদেশি আইন) ১৯৪৬ অনুযায়ী আপনি বিদেশি বলে গণ্য হবেন। এই অপরাধের জন্য সাজা পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে এবং তারপর আপনি যে দেশের নাগরিক সেই দেশে আপনাকে ফেরত পাঠানো হতে পারে। কিন্তু এসবের থেকেও বড় কথা এতদিন ধরে আপনার অর্জিত অর্থে সঞ্চিত ব্যাঙ্কের টাকা, আপনার বাড়ি, গাড়ি – সবই বেআইনি বলে প্রশ্নের মুখে পড়বে। আপনি শুধু নন, ১৯৮৭-র ১ জুলাইয়ের পর আপনার ছেলেমেয়ের জন্ম হলে তারাও বেআইনি বিদেশি। সুতরাং মেয়ে বিদেশে পড়তে যাবে বলে যে পাসপোর্ট করিয়েছিলেন সেটার আর কোনও দাম নেই। আপনি সরকারি চাকরি করেন, আপনার ছেলেও কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি সবে পেয়েছে – এই সবই আপনি ও আপনার পুত্র হারাতে পারেন। অর্থাৎ আপনার অস্তিত্ব – আর্থিক, সাংসারিক সবই নির্ভর করছে নাগরিকত্বের উপর।

    আপনি বলবেন – আমার আধার কার্ড আছে, ভোটার কার্ড আছে, প্যান কার্ড আছে, রেশন কার্ড আছে।  এ সবই কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র। আর কি চাই। অনেক ছোটবড় নেতারাও তাই বলে বেড়াচ্ছেন। শ্রীমতী আলোরানি সরকার ভারতের নির্বাচন কমিশনের ছাড়পত্র নিয়ে ২০১৬ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে ও ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০২১-এর নির্বাচনের পর কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলায় (GA 4 of 2022 EP/2/2021) আলোরানি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নাগরিকত্বের অভিযোগ আসে। আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করেন। গত ২০ মে বিচারক বিবেক চৌধুরী তাঁর রায়ে আলোরানি সরকারকে ভারতীয় নাগরিক মানতে অস্বীকার করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আলোরানি সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছেন। এই নিবন্ধে আমরা আদালতে থাকা এই মামলার বিষয়ে আলোচনা কেবলমাত্র নাগরিকত্বের বিষয়ে সীমাবদ্ধ রাখব, মামলার অন্যান্য বিষয়ে নয়।
     
    আলোরানি সরকারের কিন্তু আধার কার্ড ইত্যাদি সবই ছিল কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে “এটা বলা নিষ্প্রয়োজন যে পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড ভারতের নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ নয়।” আলোরানি সরকারের দাবি ছিল যে তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয় কারণ তিনি ১৯৬৯ সালে বৈদ্যবাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু আদালত দেখেছে যে তাঁর বাবা-মা থাকেন বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) পিরোজপুর জেলায়। ছোটবেলায় আলোরানি তাঁর কাকার বাড়ি বৈদ্যবাটি চলে আসেন। ফলে তিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেননি। তিনি ১৯৫৫-এর নাগরিকত্ব আইনের বিভিন্ন ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন করার সুযোগ থাকলেও তা তিনি করেননি।

    আলোরানি এসেছিলেন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ফলে তিনি ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইন বিভিন্ন ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন করার যোগ্য ছিলেন। কিন্তু ১৯৭২ সালের পর বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবার জন্য আবেদনের কোনও ব্যবস্থাই এতকাল ছিল না। সুতরাং এদেশে তাঁরা বেআইনি বিদেশি। এর প্রতিকারে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে যে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে অথবা আশঙ্কায় যেসব ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন ও পার্শি সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতে এসেছেন, যাঁদের ১৯২০ সালের পাসপোর্ট আইন ও ১৯৪৬ সালের বিদেশি আইন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে – তাঁরা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলে গণ্য হবেন না। 

    কিন্তু এই আইনের রুলস বা বিধি না চালু হওয়ার দরুণ উদ্বাস্তুরা আইন হওয়া সত্ত্বেও নাগরিক হতে পারছেন না। বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু উদ্বাস্তুদের উপর পুলিশ তাদের প্রয়োজন মতো নাগরিকত্বহীনতার অভিযোগ এনে, ফরেনার্স অ্যাক্ট (বিদেশি আইন) দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় ফেলছে – ভয় দেখিয়ে উৎকোচ নেওয়া থেকে শুরু করে কারাবাস। উদ্বাস্তু আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা এরকম অনেক ঘটনা জানেন, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আগত প্রায় দুই কোটি হিন্দু-মুসলমানের এই ভীষণ সমস্যা সাম্প্রতিক কয়েক বছর বাদ দিলে গত ৪০ বছরে সংবাদমাধ্যমে বা মানবাধিকার চর্চায় কখনও স্থান পায়নি। নীরব সর্পাঘাত কিন্তু ঘটেই চলেছে।

    ২০০৬ সালে একটি রাজনৈতিক দলের অভিযোগে হুগলির বলাগড়ের ৩৫ জন উদ্বাস্তুকে পুলিশ ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেফতার করে দীর্ঘদিন জেলবন্দি রাখে। এঁরা সবাই গৃহস্থ মানুষ কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, জমির দলিল সব থাকা সত্ত্বেও আদালত তার কোনও মূল্য দেয়নি। ২০২০ সালে গোবরডাঙ্গা পুলিশ স্থানীয় সাংবাদিক রাজু দেবনাথকে গ্রেফতার করে কয়েকটি অপরাধ সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দেয়। রাজু দেবনাথের দাবি, গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ আধিকারিকদের কিছু অপরাধমূলক কাজ জনসমক্ষে আনায় তাঁর বিরুদ্ধে এইসব মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে রাজু দেবনাথের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড দিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করা যায়নি। সম্প্রতি রাজু দেবনাথ জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

    তাহলে বলাগড়ের উদ্বাস্তুরা, আলোরানি সরকার বা রাজু দেবনাথ – ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড – কোনটাই তাঁদের নাগরিকত্ব দেয়নি। সুতরাং অনেক দলের নেতারা গলা ফাটিয়ে, চটি প্রচার পুস্তিকায় অনেক যুক্তিতর্ক লিখলেও, এইসব কার্ড যে আদালতে মূল্যহীন তা বারবার প্রমাণিত। আরও মনে রাখবেন, সব ক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করলে সাক্ষ্যপ্রমাণের দায়িত্ব – যে অভিযোগ করেছে তাঁর। কিন্তু একমাত্র ফরেনার্স অ্যাক্ট (বিদেশি আইন) ১৯৪৬-এ মামলা হলে প্রমাণের দায়িত্ব অভিযোগকারীর নয়, আপনার। সুতরাং আপনার ও পরিবারের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা – সব নির্ভর করছে আপনার আইনি নাগরিকত্বের প্রমাণে। আর এই নাগরিকত্বহীনতার সর্পাঘাতে বিদ্ধ হতে পারেন শুধু সাধারণ উদ্বাস্তুরা নন, বিদ্ধ হতে পারেন গোপন উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গের অনেক জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক, সাংসদ, রাজ্য ও কেন্দ্রের মন্ত্রী। এখনই সচেষ্ট না হলে নীরবে সর্পাঘাতের জন্য তৈরি থাকুন। 

  • Jagannath Puri Rath Yatra: এই বিশেষ কাঠ ছাড়া তৈরিই হবে না পুরীর রথ, জানেন কি?

    Jagannath Puri Rath Yatra: এই বিশেষ কাঠ ছাড়া তৈরিই হবে না পুরীর রথ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রথযাত্রা (Rath Yatra 2022)। ভারতের বিভিন্ন স্থান-সহ ডাবলিন, নিউ ইয়র্ক, টরেন্টো ও লাওসে-ও রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। তবে রথযাত্রার সবচেয়ে বড় উৎসবটি হয় অবশ্যই জগন্নাথ-ধাম (Jagannath Dham), ওড়িশার পুরীতে (Puri Odisha)। পুরীর রথ কিন্তু প্রতি বছর নতুন করে নির্মাণ করা হয়। অপরিবর্তিত থাকে রথের উচ্চতা-সহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য। কারণ চাকার সংখ্যা থেকে নির্মাণে ব্যবহৃত কাঠের সংখ্যা, সবই বিশেষ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

    পুরীর রথটি সম্পূর্ণই কাঠের তৈরি। তবে যে সে কাঠ হলে চলবে না। ফাঁসি ও ধাউসা গাছের কাঠ দিয়েই নির্মাণ করা হয় এই রথ। রথের নির্মাণ অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya) থেকে শুরু হয়। সেই কাঠ সংগ্রহ করা হয় মাঘ মাসের বসন্ত পঞ্চমী (Vasant Panchami) তিথিতে। আর সেই কাঠগুলি নির্দিষ্ট পরিমাণে কাটা শুরু হয় রামনবমী (Ram Navami) তিথি থেকে। রথগুলিতে অন্য কোনও ধাতু ব্যবহার করা হয় না। রথের পেরেকও তৈরি হয় কাঠ দিয়ে। ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রা এই তিনটি দেবতাকে উৎসর্গীকৃত তিনটি রথ সম্পূর্ণ করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগে। 

    আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রার তিন রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    পুরাণে কথিত আছে, প্রতি বছর মহানদীর (Mahanadi) স্রোতে ভেসে আসে রথ নির্মাণের প্রয়োজনীয় কাঠ। পুরীর কাছে এক স্থানে সেই কাঠগুলি মহানদী থেকে তুলে ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয়। এরপর দসাপাল্লা নামে একটি স্থান থেকে একদল বিশেষ কাঠমিস্ত্রি এসে রথ নির্মাণ করে। দসাপাল্লা আগে একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। এখানকার কাঠের মিস্ত্রিরা অত্যন্ত দক্ষ। রথযাত্রার শুরুর সময় থেকেই দসাপাল্লার কাঠমিস্ত্রিরাই রথ নির্মাণ করেন। রথের ছাউনি তৈরি হয় কাপড় দিয়ে। এতে ১,২০০ মিটার কাপড় লাগে। 

    পুরীর রথের মোট ৪২টি চাকা দেখা যায়। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা – প্রত্যেকের আলাদা আলাদা রথ রয়েছে। জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ/গরুড়ধ্বজ/কপিধ্বজ৷ এই রথে রয়েছে ১৬টি চাকা ৷ এই ১৬টি চাকার একেকটি দশ ইন্দ্রিয় আর ছয় রিপুর প্রতিনিধিত্ব করে। বলরামের রথের নাম তালধ্বজ বা হলধ্বজ ৷ এর চাকার সংখ্যা ১৪৷ এই ১৪টি চাকায় ধরা থাকে ১৪টি ভুবনের কথা। আর সুভদ্রার রথ, দর্পদলন/দেবদলন/পদ্মধ্বজ। এই রথের ১২টি চাকা বোঝায় ১২ মাসই ভজনের সময়। 

    আরও পড়ুন: পুরীর মন্দির ঘিরে রয়েছে এই অলৌকিক গল্পগুলি, জানতেন কি?

    রথটি শুধুমাত্র কাঠের তৈরি বলে চলার সময় কাঠের ঘড়-ঘড় শব্দ হয়। কেউ কেউ এই শব্দে বিরক্ত বোধ করলেও এই শব্দ কিন্তু রথযাত্রার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আসলে হিন্দু ধর্মে শব্দের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ঘণ্টাধ্বনী থেকে মন্ত্রোচ্চারণ সব শব্দই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বেদে বলা হয়েছে ‘শব্দই ব্রহ্ম’। কাজজেই পুরীর রথের কাঠের চাকার ঘড়ঘড়ে শব্দেরও গুরুত্ব রয়েছে, একে বলা হয় বেদ। অর্থাত এই শব্দ বেদের মতোই সত্য।

    রথ থেকে দেবতার বিগ্রহ সবই কাঠ-নির্মিত হলেও পুরীর জগন্নাথের রথযাত্রায় কিন্তু সোনাদানার অভাব নেই। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার যাবতীয় অলঙ্কারই থাকে সোনার। মোট ২০৮ কিলোগ্রাম ওজনের সোনার অলঙ্কারে সেজে মাসির বাড়ি রওনা হন তিন ভাই-বোন। আবার রথযাত্রার সূচনাটিও সোনায় মোড়া। পুরীর মহারাজা সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা ঝাড় দিয়ে রথযাত্রার সূচনা করেন। ঝাড়ু দেওয়ার পরই পুরীর মন্দির থেকে বাইরে আসেন জগন্নাথ। পুরির রথযাত্রার এইসব উপাচার পোড়া পিঠা নামে পরিচিত। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে শুরু হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন

    রথের দিন প্রতিটি রথকে পঞ্চাশ গজ দড়িতে বেঁধে আলাদা আলাদা ভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় গুণ্ডিচাবাড়ি। রথের রশি টানার জন্য ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কারণ এই কাজে সবচেয়ে পুন্য অর্জন করা যায় বলে ভক্তরা বিশ্বাস করেন। বাংলায় রজ্জুতে সর্পভ্রমের প্রবাদ আছে। প্রতিবেশী দেশ ওড়িশার পুরীর এই রথের দড়ি কিন্তু সত্যি সত্যিই একটি সাপের কথা বলে। কথিত আছে বাসুকি নাগই নাকি রথের দড়ি হিসেবে নিজেকে নিবেদন করে। সেজন্য ভক্তরা বিশ্বাস করেন, রথের দড়ি ধরলে বাসুকিনাগের কৃপা লাভ হয়৷ 

    তবে যাঁরা দড়ি ধরার সুযোগ পান না, তাঁদেরও পুন্য অর্জনের উপায় আছে। পুরীর রথ চলার সময়, রাস্তায় যে চাকার দাগ পরে, তাও পবিত্র হিসেবে গন্য করা হয়। তিনটি রথের তিনটি দাগ— গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী – এই তিন পবিত্র নদীর সমান বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস, যাঁরা রথের দড়ি ধরার সুযোগ পান না, তাঁরা যদি চাকার এই তিনটি দাগের ধুলি গ্রহন করেন, তাহলে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীতে অবগাহনের (ডুব দিয়ে স্নান করার ন্যায়) ফল লাভ করেন৷

    আরও পড়ুন: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

  • Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনাথ শিন্ডের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhab Thackrey)। শিবসেনার (Shibsena) মুখপাত্র প্রবীণ নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) জানান, মহা বিকাশ আগাড়ি অর্থাত্‍ শিবসেনা কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট (Alliance) ত্যাগ করতে প্রস্তুত। তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে বিধায়কদের মুম্বই (Mumbai) ফিরে আসতে হবে।

    মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রধান দাবিই হল, কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে উদ্ধবকে। তাঁরা চান উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। ফিরুক পুরনো জোটে। অর্থাত্‍ বিজেপির সমর্থনে সরকার চালান উদ্ধব। সম্পর্ক ছিন্ন করুন কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে। তবে, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার আশ্বাসে তাঁর ভরসা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী শিবিরের নেতা একনাথ শিন্ডে। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির হোটেল থেকে তিনি জানিয়েছেন, আগে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে উদ্ধবকে। তার পরেই সমঝোতার প্রশ্ন।

    [tw]


    [/tw]

    এরপরই শিবসেনার তরফে সঞ্জয় রাউত জানান, একনাথকে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের মুম্বই ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। জানিয়েছেন আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিদ্রোহীরা মুম্বই ফিরে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসুক। জোট ছাড়তে উদ্ধব বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না। কিন্তু গুয়াহাটি (Guwahati) বসে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। আলোচনা করতে হলে মুম্বই এসে করতে হবে, বলে দাবি উদ্ধবের।

    তবে এর পাল্টা হিসেবে শিন্ডে জানিয়ে দেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে  সমস্ত ধরনের সমঝোতার দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিন্ডে বলেন, “৪০ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে আছেন। কে বলছে আমরা ফিরে যাব? আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। গাড়ি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আমরা সবকিছুই চেষ্টা করেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়। সবার মতামত চাওয়া হবে তারপর আমরা এগোব। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, সবার সিদ্ধান্ত।”

    আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    শিবসেনার জোট ছাড়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, “অনৈতিক ও অসাংবিধানিক ভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপি দায়ী। তারা পিছন থেকে এই কাজ করাচ্ছে। এভাবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করাবে বিজেপি।” এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাতিল বলেন,”শিবসেনার তরফে সরকারিভাবে এমন কোনও কথা এখনও জানানো হয়নি। তারা সরকারিভাবে কিছু জানালে তবেই ভাবনা-চিন্তা করা হবে।” এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল বলেন,”যে কোনও দল নিজেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে জোট ছাড়লে শিবসেনা তা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে জানাত। এখনও সেরকম কোনও খবর নেই।”

  • Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক মামলায় (Narcotics Related Case) কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা অভিযুক্তের কাছ থেকে বেআইনি কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি (Videography) করে রাখতে হবে। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এই নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।  

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    আদালত সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানায় মাদক সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় অভিযুক্তের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ভিন্ন। তাঁরা বলছেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে আদৌ কোনও বেআইনি সামগ্রী উদ্ধার হয়নি। পরে পুলিশ জোর করে ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্টে সই করিয়েছে অভিযুক্তকে দিয়ে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জাল নথিপত্র পেশের অভিযোগও উঠেছে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে মামলাটি। মামলাকারীদের বক্তব্য জানার পর বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আজকাল সব পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকের কাছে স্মার্ট ফোন থাকে। তাই মাদক মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং বা ভিডিওগ্রাফি করে রাখতে হবে পুলিশ আধিকারিকদের। কোনও পরিস্থিতিতেই এই নির্দেশ অমান্য করা চলবে না। আদালতের এই নির্দেশের বিষয়ে যাতে দ্রুত রাজ্যের সব থানাকে ওয়াকিবহাল করা হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। বলা হয়েছে, অবিলম্বে রাজ্যের প্রত্যেক পুলিশ সুপারের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিতে হবে। সকলে আদালতের নির্দেশ মানছেন কিনা, পুলিশ সুপারদের সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    যে মামলা ঘিরে এই রায় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ, লালগোলা থানা এলাকার সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম কবীর শেখ। তাঁর দাবি, মিথ্যা মাদক মামলায় পুলিশ ফাঁসিয়েছে তাঁকে। ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্ট তৈরি করে জোর করে তাঁকে তাতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিনা ‘দোষে’ তাঁকে কারাবাসও করতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রমাণের অভাবে ইতিমধ্যেই কবীরের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

     

  • Presidential Election: দিল্লি পৌঁছলেন দ্রৌপদী, শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন

    Presidential Election: দিল্লি পৌঁছলেন দ্রৌপদী, শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা এনডিএ-র (NDA) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বর থেকে রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছেন। তাঁকে দিল্লি (Delhi) বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বিজেপি নেতারা। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা (File Nomination) দেবেন তিনি। তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)  এবং বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। থাকবেন  বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন ভুবনেশ্বরের এমসিএল গেস্ট হাউস থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন দ্রৌপদী। এই প্রথম কোনও দলিত আদিবাসী মহিলা দেশের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হলেন। ফলে তাঁকে নিয়ে দেশের আদিবাসী সমাজ রীতিমতো উল্লসিত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে দ্রৌপদীর নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়। এখবর শুনে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি দ্রৌপদী এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাই বুধবার সকালেই দ্রৌপদী চলে যান গ্রামের মন্দিরে। নিজের হাতে ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করলেন ঠাকুরদালান। তারপর মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম। সেখান থেকেই শুরু রাইসিনা হিলের দৌড়।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    বছর চৌষট্টির দ্রৌপদী মুর্মু দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক জীবন অন্তত আড়াই দশকের। দল থেকে আইনসভা, সর্বত্র বিভিন্ন পদে নানা দায়িত্ব সামলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০০০ ও ২০০৪ সালে ওড়িশার রাইরংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হন দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ অবধি ওড়িশার সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। তারপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ অবধি ছিলেন সাম্মানিক সহকারী শিক্ষক।১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সঙ্গে রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও পান তিনি।  দ্রৌপদী মুর্মু ২০১৫ থেকে ২০২১ অবধি ঝাড়খণ্ডের  রাজ্যপাল ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করলেই তিনি হয়ে যাবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি।

  • Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচারকাণ্ডে (Coal smuggling case) তলব পেয়ে শিশুসন্তানকে নিয়েই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) সামনে হাজিরা দিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার,  অভিষেকে-পত্নীকে তলব করেছিল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ১১টা নাগাদ কোলে ২ বছরের শিশুকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজির হলেন তিনি।  

    কয়লাপাচার-কাণ্ডে এর আগে একাধিক বার অভিষেক (Abhishek Banerjee) এবং রুজিরাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। অভিষেক দু’বার হাজিরাও দিয়েছিলেন ইডি দফতরে গিয়ে। কিন্তু রুজিরা যাননি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর দু’বছরের পুত্র সন্তানকে কলকাতায় রেখে দিল্লি যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তদন্তকারী অফিসাররা যদি কলকাতায় ডাকেন তাহলে তাঁর হাজিরার মুখোমুখি হতে কোনও অসুবিধা নেই।

    কিন্তু, ইডি তাদের দাবিতে অনড় থাকায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রুজিরা। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, কলকাতায় এসে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। সেইমতো, অভিষেক-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?

    কিছুদিন আগে, এই কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে তাঁকে বাড়িতে গিয়ে জেরা করে এসেছিল সিবিআই (CBI)। তখনই এই টাকা লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে। তাই এবার রুজিরাকে জেরা করতে চায় ইডি। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে বিদেশি লেনদেনের বিষয় নিয়ে তাঁকে জেরা করা হতে পারে। 

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে ব্যাঙ্ককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র দাবি, কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার টাকা বিভিন্ন হাত ঘুরে ব্যাংককের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। সেখানে জমা পড়েছে কয়লা পাচারের টাকা।

    ইডি সূত্রে দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা জানতে পারে, বিদেশি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টের মালিক রুজিরা নরুলা। ইডি-র দাবি, রুজিরা নরুলাই হলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে দাবি, প্রাথমিকভাবে ওই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রুজিরা।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

     

  • Covid-19 India Updates: দৈনিক করোনা সংক্রমণ পার ১৩ হাজার, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৮

    Covid-19 India Updates: দৈনিক করোনা সংক্রমণ পার ১৩ হাজার, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দেশে বাড়ল দৈনিক করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare) থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৩১৩ জন। এক লাফে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৮৩,৯৯০ জন।

    বুধবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২,২৪৯। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৩৮ জন। সুতরাং মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। গত চার মাসের মধ্যে আজই দৈনিক সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশী। করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০,৯৭২ জন।

    ফলে দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪,২৭,৩৬,০২৭ জন। দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ০.১৯ শতাংশ বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২.০৩ শতাংশ ও সপ্তাহে পজিটিভিটি রেট ২.৮১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫,২৪,৯৪১।

    আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    অন্যদিকে করোনার বাড়তে থাকা সংক্রমণের দিকে নজর রেখেই সম্ভবত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। এতদিনে মোট করোনা টেস্ট করা হয়েছিল ৮৫.৯৪ কোটি জনের এবং গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা টেস্ট করা হয়েছে ৬,৫৬,৪১০ জনের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক অনুসারে, ভারত সরকার দ্বারা এতদিনে মোট ১৯৬.৬২ কোটি ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    দেশজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে কোভিডের (Covid-19) বিভিন্ন নিয়ম মানার নির্দেশ জারি করেছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan) সমস্ত রাজ্যের জন্যে চিঠিতে লিখেছেন আরটিপিসিআর (RT-PCR) টেস্টের পরিমাণ বাড়াতে হবে, এছাড়াও ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট, কোভিড নিয়ম ইত্যাদির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তিনি সরকারকে পাঁচ দফা নীতি (five-fold Strategy) মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন।

    অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মাণ্ডবিয় (Mansukh Mandaviya) আজই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসবেন। আবার তিনিও ফাইভ ফোল্ড স্ট্যাটেজি অর্থাৎ পরীক্ষা (Test), ট্র্যাক (Track), চিকিৎসা (Treatment), টিকাপ্রদান (Vaccination) ও সচেতনতা (Adherence) মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

  • Medical Student: ইউক্রেন, চিনে যাওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ারা এদেশে পেতে পারে প্র্যাকটিসের সুযোগ?

    Medical Student: ইউক্রেন, চিনে যাওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ারা এদেশে পেতে পারে প্র্যাকটিসের সুযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) এবং ইউক্রেনের (Ukraine) শেষ বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ারা যাঁরা করোনা অতিমারি (Corona pandemic) বা যুদ্ধের (Ukraine war) কারণে তাঁদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ শেষ করতে পারেননি তাঁদের বিদেশি মেডিক্যাল স্নাতক পরীক্ষায় (Foreign Medical Graduate Exam) বসতে দেওয়া হতে পারে। এমনই একটি প্রস্তাব দিয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)। কমিশনের তরফে জানানো হয়, এটি একটি স্ক্রিনিং পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে যে পড়ুয়ারা বিদেশে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন তাঁরা দেশে অনুশীলন করতে পারবেন। 

    এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের দেশে অনুশীলন করার জন্য দুই বছরের ইন্টার্নশিপও শেষ করতে হবে, বলে জানিয়েছে কমিশন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (NMC) প্রস্তাব অনুসারে, একটা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে, বিদেশি মেডিক্যাল স্নাতকদের ভারতে FMGE পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাঁদের নথিভুক্ত করা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত এক বছরের ইন্টার্নশিপ করতে হবে। তারপর স্থায়ীভাবে রেজিস্ট্রেশন পেতে ভারতে এক বছরের ইন্টার্নশিপ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে জয়েন্ট মেইনের হল টিকিট, কী করে ডাউনলোড করবেন?

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন এই প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের মেডিক্যাল ছাত্ররা, যাঁরা ২০২১ সালের নভেম্বরের পরে তাঁদের কলেজে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ভারতীয় কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থীরা, তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মতো, ইউরোপের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন না, তাই তাঁদেরকে এই সুযোগ দেওয়া হবে। 

    বিদেশি মেডিক্যাল স্নাতকদের জন্য ২০২১ সালে একটি নতুন নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়। তাতে বলা হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ এবং ইন্টার্নশিপ সম্পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু করোনার কারণে চিনে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েছেন। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন ভারতীয় ছাত্ররা। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। 

  • Afghanistan earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, মৃত্যু হাজার পার

    Afghanistan earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, মৃত্যু হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বুধবার সকালে আফগানিস্তানের পূর্বে আঘাত হানে ভয়াল ভূমিকম্প (Earthquake)। আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের ধাক্কা লেগেছে পড়শি দেশ পাকিস্তানেও (Pakistan)। ভূমিকম্পের ধাক্কায় শুধু আফগানিস্তানেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০০ জনের। জখম হয়েছেন পনেরশোরও বেশি মানুষ। বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন :রাস্তায় খাবার বিক্রি করছেন সাংবাদিক! তালিবান শাসনের অভিশাপের ছবি আফগানিস্তানে

    আমেরিকার ভূ-সর্বেক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে প্রথম অনুভূত হয় কম্পন। কম্পনের উৎস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ওই এলাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০০ জনের। জখম হয়েছেন ১৫০০রও বেশি মানুষ।

    বর্তমানে আফগানিস্তানের রাশ রয়েছে তালিবান প্রশাসনের হাতে। তালিবান প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান মহম্মদ নাসিম হক্কানি জানান, আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে সিংহভাগ মানুষের। সেখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। আহতের সংখ্যা তিনশোর কাছাকাছি। নানগড়হার ও খোস্ত এলাকায়ও ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা।

    আরও পড়ুন : তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে কোনও কিছু বোঝার আগেই কাঁপতে থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বসত বাড়ি। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নেন বহু মানুষ। চোখের সামনে ঘর ভেঙে পড়তে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনেকে। প্রিয়জনদের অনেককেই ভাঙা বাড়ির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেও হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। কম্পন থামতেই শুরু হয় প্রিয়জনদের বাঁচানোর চেষ্টা। ততক্ষণে অনেক জায়গায় চলে এসেছেন বিপর্যয় বাহিনীর লোকজন। শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য।

    এদিকে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান প্রতিবেশী দুই দেশেই ভূমিকম্প আঘাত হানলেও, যেহেতু ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানে, তাই আফগানিস্তানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সব চেয়ে বেশি। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের লাহোর, মূলতান সহ একাধিক জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে বলেও পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

     

LinkedIn
Share