Blog

  • Make in India: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    Make in India: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে সাফল্যের ছোঁয়া। এবার ভারতে অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা স্যাব ( Swedish defence company Saab)। সুইডিশ প্রতিরক্ষা সংস্থা স্যাব (SAAB)-এর তরফে জানানো হয়েছে, তারা খুব শীঘ্রই ভারতে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে তারা।  তবে কোথায় এই কারখানা গড়ে তোলা হবে তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    সুইডেনের এই সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতে যে কারখানা গড়ে তোলা হবে, তাতে সংস্থার নির্মীত অন্যতম সফল অস্ত্র ‘কার্ল গুস্তাভ এম৪’ (Carl Gustaf M4) যুদ্ধট্যাঙ্ক বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত, সুইডেনের বাইরে এই প্রথম অন্য কোনও দেশে এই শোল্ডার মাউন্টেড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট লঞ্চার সিস্টেম উৎপাদন করা হবে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এর জন্য ‘স্যাব এফএফভি ইন্ডিয়া’ নামে একটি নতুন সংস্থা ২০২৪ সাল থেকে কার্ল গুস্তাভের রকেট লঞ্চার তৈরি করা শুরু করবে ভারতে।

    ভারতীয় সেনার জন্যই এই অস্ত্র তৈরি করা হবে। ১৯৭৬ সাল থেকেই স্যাবের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিককালে, ভারতীয় সেনার আধুনীকিকরণের ওপর জোর দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই প্রেক্ষিতে গত বছর স্যাবের সঙ্গে বিপুল অঙ্কের এই বিশেষ ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার সিস্টেমের বরাত সংক্রান্ত চুক্তি করে ভারতীয় সেনা। সেখানেই মেক ইন ইন্ডিয়া শর্তেই রাজি হয় স্যাব। সুইডিশ সংস্থাটি জানিয়েছে, এই কারখানা থেকে উৎপাদিত অস্ত্রর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাই প্রাধান্য পাবে। পরবর্তীকালে, তা ভিন্ন দেশে রফতানিও করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    সংস্থার আধিকারিক গর্জেন জোহানসন বলেন, ‘‘ভারতে কার্ল গুস্তাভ এম৪-এর কারখানার খোলার সিদ্ধান্ত খুবই সাধারণ পদক্ষেপ। কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক দিনের।’’ তিনি আরও বলেন, “ভারত চাইছে একেবারে বিশ্বমানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গঠন করতে। আমরা ভারত সরকারের সেই লক্ষ্যে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত।” তবে যেহেতু এটাই সুইডেনের বাইরে স্যাবের প্রথম অস্ত্র প্রস্তুতকারক ইউনিট, তাই এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ করতে চায় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে ভারতীয় কোনও অংশীদারের খোঁজ করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Share Market: টাকার দামে ব্যাপক পতন, সেনসেক্স পড়ল ৯৫৪ পয়েন্ট, নিফটিতে পতন ১.৮%

    Share Market: টাকার দামে ব্যাপক পতন, সেনসেক্স পড়ল ৯৫৪ পয়েন্ট, নিফটিতে পতন ১.৮%

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: সোমবার বাজার খোলার আগেই শেয়ার বাজারে (Share Market) মন্দার আশঙ্কা করা হয়েছিল। ৯৫৪ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স (Sensex)। নিফটিতেও (Nifty) তার প্রভাব পড়েছে। নিফটি পড়েছে ১.৮ শতাংশ, অর্থাৎ ৩১১.০৫ পয়েন্ট। দাম পড়েছে একাধিক শেয়ারের। গত সপ্তাহেই সুদের হার বাড়িয়েছে ফেডারাল রিজার্ভ ব্যাংক। অনেকেই মনে করছেন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াও বাড়াতে পারে সুদের হার। আর সেই আশঙ্কা থেকেই শেয়ার বাজারে এই রকম বিপর্যয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। উৎসবের মরশুমেও শেয়ার বাজারে কোনও উত্থান হয়নি। মন্দার খাতেই বইছে শেয়ার বাজার।   

    আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! সেনসেক্স পড়ল প্রায় ১১০০ পয়েন্ট, পতন নিফটিতেও  

    একাধিক শেয়ারের দাম পড়েছে। সবচেয়ে বেশি যে শেয়ারগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে টাটা স্টিল,মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, মারুতি,ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাংক, টাইটান, পাওয়ার গ্রিড। তবে এই মন্দার বাজারে কিছু সংস্থা লাভের মুখ দেখেছে। যেই সংস্থাগুলি লাভ করেছে তার মধ্যে রয়েছে নেসলে, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার। এই লাভ এতটাই সামান্য যে তাতে বাজারের পতন আটকানো যায়নি। নবরাত্রি শুরুর দিনেও বাজার চাঙ্গা হওয়ার কোনও আশা দেখতে পাচ্ছেন না শেয়ার বাজারের কারবারিরা।   

    আরও পড়ুন: আগামী বছরই আর্থিক মন্দার গ্রাসে গোটা বিশ্ব, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের      

    মনে করা হচ্ছে লাগাতার শেয়ার বাজারে পতন আর টাকার দামে পতন এই দুইয়েরই কারণ মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা। অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, ২০২৩ সালে আমেরিকায় রিসেশন শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসে মার্কিন অর্থনীতিতে আরও বড় ধাক্কা আসবে। তার প্রভাব পড়বে এ দেশের অর্থনীতিতে। ভারতের বাজারেও দেখা দিতে পারে মন্দা। মুদ্রাস্ফীতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।        

    এদিন সকালে প্রায় দেড় শতাংশ পতনের পর -৯৯ শতাংশে এসে থামে নিফটির সূচক। পরে অবশ্য সবার জন্য বাজার খুললে আরও পড়ে নিফটি, সেনসেক্স। সাড়ে ৯টার আগেই প্রায় দেড় শতাংশ কমে যায় নিফটি ও সেনসেক্সের সূচক।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Russia: রাশিয়ার স্কুলে ভয়াবহ ঘটনা! বন্দুকবাজের গুলিতে শিশু সহ মৃত ১৭, আহত কমপক্ষে ২৪

    Russia: রাশিয়ার স্কুলে ভয়াবহ ঘটনা! বন্দুকবাজের গুলিতে শিশু সহ মৃত ১৭, আহত কমপক্ষে ২৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে রাশিয়ার (Russia) একটি স্কুলে ভয়াবহ ভাবে গুলি চালানোর ঘটনা সামনে এল। রাশিয়ার ইজেভস্কে (Izhevsk) একটি স্কুলকে টার্গেট করে এলোপাথারি গুলি করতে থাকে বন্দুকবাজ। ওই ঘটনায় ১১ নাবালক পড়ুয়া-সহ মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত কমপক্ষে ২৪ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। মৃতদের মধ্যে দু’ জন স্কুলের নিরাপত্তরক্ষী। প্রাণ গিয়েছে স্কুলের ২ শিক্ষকের। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছলেও হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আত্মঘাতী হয় ওই দুষ্কৃতি।

    সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য রাশিয়ার ইজেভস্ক নামক শহরে। এই শহরটি মস্কো থেকে প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এই ঘটনার পর উদমুর্তিয়া অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার ব্রেচালভ একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন যে, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি বন্দুক হাতে এই অঞ্চলের রাজধানী ইজেভস্কের একটি স্কুলে প্রবেশ করেছে,  ও সেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষী এবং কিছু শিশুকে হত্যা করে। অনেকে আহতও হয়েছেন”। এই স্কুলে হামলা চালানোর পর প্রথমে তদন্তকারীদের থেকে জানা গিয়েছিল যে এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের, কিন্তু পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ তে পৌঁছায়।

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই স্কুলে হামলা করার সময় আততায়ী কালো পোশাক পরে এসেছিল ও টি -শার্টে নাৎসি চিহ্ন (Nazi symbol on tshirt) ছিল। তবে তার কাছ থেকে কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। গভর্নর ও স্থানীয় পুলিশ জানায়,  পুলিশ সেই স্থানে পৌঁছে গেলেও তাদের ধরা যায়নি। কারণ এই হামলাকারী নিজেকেই গুলি করে আত্মহত্যা করে। এই আততায়ী কে এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

    অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘটনাকে “অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা” বলে নিন্দা করেছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন মানুষ, শিশুদের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলেছেন ও হামলাকারীকে ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর অন্তর্গত বলে উল্লেখ করেছেন।“ এছাড়াও বন্দুকবাজের পরনে নাৎসি চিহ্ন লাগানো পোশাক থাকায়, ঘটনার সঙ্গে নব-নাৎসিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে।

  • Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বাজিমাত মাত্র ১৭ কোটিতেই! জলে গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) ৪৭ কোটি টাকা। হ্যাঁ, গোয়া (Goa) বিধানসভা নির্বাচনে জলের মতো টাকা খরচ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেও মেলেনি সাফল্য। সম্প্রতি এমনই খবর মিলেছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

    গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারাতে উঠেপড়ে লাগে তৃণমূল। আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যের রশি হাতে নিতে একাধিকবার গোয়া উড়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকবার গোয়া উড়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোয়ার মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, বাবুল সুপ্রিয় সহ একঝাঁক নেতানেত্রী। ভোটে বিজেপিকে মাত দিতে কংগ্রেসের ঘর ভাঙাতে শুরু করে তৃণমূল। তার পরেও ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, শেষ হাসি হেসেছে বিজেপি-ই। আরব সাগরের তীরের এই ছোট্ট রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই ফুটেছে পদ্ম।

    জানা গিয়েছে, গোয়ায় ঘাসফুল আঁকা ঝান্ডা ওড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়ে তৃণমূল ব্যয় করেছে ৪৭.৫৪ কোটি টাকা। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে ধরাশায়ী করে গোয়ার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। গোয়া দখল করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের খরচ হয়েছে মাত্র ১৭.৭৫ কোটি টাকা। বড় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে কম খরচ করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টি। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খরচ করেছে মাত্র ৩.৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে ভোটের খরচের হিসাব দাখিল করেছে। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য।

    আরও পড়ুন :বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    দীর্ঘদিন গোয়ার কুর্সিতে ছিল কংগ্রেস। তবে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খুব বেশি টাকা খরচ করতে পারেনি। ওই নির্বাচনে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি খরচ করেছে মাত্র ১২ কোটি টাকা। আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বিজেপি মায় তৃণমূলের চেয়েও ঢের বেশি টাকা খরচ করেছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। তারা তাদের ১১ জন প্রার্থীর প্রত্যেককে দিয়েছে ২৫ লক্ষ করে টাকা। এছাড়াও প্রচারের খরচ দিয়েছে দল। ওই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনাও। ১০ প্রার্থীকে জেতাতে তারা খরচ করেছিল ৯২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • CDS Anil Chauhan: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    CDS Anil Chauhan: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক (Chief Of Defence Staff ) বা সিডিএস (CDS) হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অনিল চৌহান (Retd Lt General Anil Chauhan)। বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়তের (General Bipin Rawat) উত্তরসূরি হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু সিডিএস বা চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফই নয়, অনিল চৌহানের দায়িত্বের মধ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় সচিব পর্যায়ের কাজ ও সেনা স্তরীয় কাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে একথা। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর ৯ মাস পর নতুন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পেল ভারত।

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    ভারতীয় সেনায় (Indian Army) ১১ গোরখা রাইফেলসের (11 Gorkha Rifles) সদস্য ছিলেন অনিল চৌহান। বহু বছর নর্দার্ন কমান্ডের বারামুলা সেক্টরে কর্মরত ছিলেন তিনি। ফলে কাশ্মীর সম্পর্কে তাঁর ধারণা যথেষ্ট ভাল। তাঁর ৪০ বছরের কেরিয়ারে কাশ্মীরই শুধু নয়, উত্তর পূর্বের অনুপ্রবেশ ঠেকানোতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌহান ২০২১ সালের মে মাসে পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধানের (General Officer Commanding-in-Chief, Eastern Command) পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। ১৯৬১ সালের ১৮ মে জন্মগ্রহণকারী অনিল চৌহান এককালে দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিললিটারি অ্যাকাডেমি (IMA), ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে (NDA) ছিলেন। এছাড়াও ভারতীয় সেনায় স্টাফ নিয়োগের ক্ষেত্রেও তিনি বিভিন্ন পদে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভারতের প্রতিরক্ষা ইস্যুর ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ নাম হয়ে উঠতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট 

    ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুতে এক সামরিক হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকে ভারতের সামরিক বাহিনীর এই সর্বোচ্চ পদটি ফাঁকাই ছিল। সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা– এই তিন পরিষেবার মধ্যে সামঞ্জস্য নিয়ে আসার জন্যই এই নতুন পদটি তৈরি করা হয়েছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Coal Smuggling Case: স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Coal Smuggling Case: স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) আদালতে (Calcutta High Court) স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি (CID) তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মুহূর্তে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। আজ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুটি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না। 

    এর আগেই কয়লা পাচার মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই এবং ইডি। একই মামলায় সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। ওই মামলায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) সমন পাঠিয়েছিল সিআইডি। এরপরেই সিআইডি তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। আদালতে তাঁর আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন তদন্ত করছে, তারপরেও কীভাবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি তদন্ত করতে পারে?” এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, “কয়লা পাচার মামলায় সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে, সেটা সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়ায় সায় দেওয়া হবে এবং সিবিআইয়ের তদন্তে বাধা দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা   
      
    এদিন শুনানি চলাকালীন সরকার পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, বিজেপি নেতাকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠিয়েছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রেফতার করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না আধিকারিকদের। তদন্তে সহযোগিতা করলে গেফতার করার প্রয়োজন পড়বে না। এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানোর নোটিসের উপরও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারায় পাঠানো গত ১০ সেপ্টেম্বরের নোটিসের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। 

    আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, “একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুটি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না। দু’টি সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।” রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যে মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট দাখিল করেছে সেই মামলায় রাজ্য হস্তক্ষেপ করতে পারে কি?” সরকারি আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, রাজ্য আগে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করেছে। পরে সিবিআই এসে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। এতে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবীর দাবি,কয়লাপাচার মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। বৃহত্তর তদন্ত চলাকালীন সিআইডি এই তদন্ত করতে পারে না। আদালত জানায়, কয়লাপাচার কাণ্ডে দ্বিতীয় কোনও তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে আদালত। 

    আরও পড়ুন: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    জিতেন্দ্র সিআইডির সমন পাওয়ার পর বলেছিলেন, “সাক্ষী হিসাবে যদি আমাদের কাছে জানতে চান, তা হলে নিশ্চয়ই আমরা জানিয়ে দেব। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই তলব করা হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কাছেই সব তথ্য পাওয়া, তাদের সাক্ষী হিসাবে ডাকবে না। সকলেই বুঝতে পারছেন কী হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • CUET PG Result 2022: প্রকাশিত হয়েছে কুয়েট পিজি- র ফল, দেখবেন কী করে?

    CUET PG Result 2022: প্রকাশিত হয়েছে কুয়েট পিজি- র ফল, দেখবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কুয়েট পিজি-র ফল (CUET-PG Results) প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (National Testing Agency)। বিকেল ৪টের সময় ফল ঘোষণা করা হয়। রবিবার একথা আগেই জানিয়েছিলেন ইউজিসি-র চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার (UGC Chairman M Jagadesh Kumar)। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য কুয়েট পিজি পরীক্ষা নেওয়া  হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: কুয়েট ইউজি-র ফল প্রকাশ করেছে এনটিএ, দেখবেন কী করে?

    ১-১২ সেপ্টেম্বর দেশের ৫০০টি শহর এবং দেশের বাইরের ১৩টি শহরে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট ৩.৫৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন। প্রকাশিত হয়েছে সেই পরীক্ষার ফল। এখন পরীক্ষার্থীরা চাইলে cuet.nta.nic.in – এই ওয়েবসাইটে ফল দেখতে পারবেন এবং স্কোরকার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। দেশের প্রথম সারির ৬৬টি বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ভর্তি নেবে। এর মধ্যে রয়েছে বহু কেন্দ্রীয়  বিশ্ববিদ্যালয়। 

    কুয়েট পিজির ফল প্রকাশের পরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে ওয়েবসাইট এবং ওয়েব পোর্টাল খোলার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে পড়ুয়াদের ভর্তির প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়। 

    কী করে স্কোর কার্ড  ডাউনলোড করবেন?

    • প্রথমে কুয়েট- এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট cuet.nta.nic.in– এ যান।
    • হোমপেজে গিয়ে CUET PG 2022 result link- এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
    • এরপরে একটি উইন্ডো খুলে যাবে। সেখানে কুয়েট- এর আবেদন নম্বর এবং জন্মের তারিখ দিন।  
    • তাহলেই কম্পিউটার স্ক্রিনে ভেসে উঠবে আপনার কুয়েট পিজি ফল। 
    • সেখানেই স্কোরকার্ড ডাউনলোড করার অপশন পেয়ে যাবেন।

    ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় কুয়েট ইউজি-র (CUET UGResult 2022) ফলপ্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)।  ১৫ জুলাই-৩০ অগাস্টের মধ্যে নেওয়া হয়েছিল কুয়েট ইউজি পরীক্ষা। ভারতের ২৫৯টি শহর এবং দেশের বাইরের ৯টি শহরে ৪৮৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। প্রায় ১৪,৯০০০০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেন।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Virus: ভাইরাস আমাদের ওপর নজর রেখে সিদ্ধান্ত নেয় কখন আক্রমণ করবে, বলছে গবেষণা

    Virus: ভাইরাস আমাদের ওপর নজর রেখে সিদ্ধান্ত নেয় কখন আক্রমণ করবে, বলছে গবেষণা

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: একটি ভাইরাস কতদিন কারও শরীরে সুপ্ত থাকবে এবং কখন বৃদ্ধি পাবে এবং কখন কোষকে ধ্বংস করবে, এইসবই সে পরিবেশ থেকে নেওয়া তথ্য ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি গবেষণায় (Study on Virus) দেখা গিয়েছে, ভাইরাসগুলি তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করে। এ বিষয়ে এক গবেষক বলেছেন, “আমরা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে এই বিষয়টিকে লাগাতে পারি।”  

    আরও পড়ুন: ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    গবেষক ইভান এরিল বলেছেন, ভাইরাস এবং এর হোস্টের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া আরও জটিল হয়, কারণ ভাইরাস ক্রমাগত পরিবেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। নতুন গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ব্যাকটিরিওফেজ, যা “ফেজ” নামেও পরিচিত। যে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রমিত করে, এই গবেষণা মূলত সেই ভাইরাসের ওপর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফেজগুলি কেবল তখনই তাদের হোস্টকে আক্রমণ করতে পারে যখন হোস্ট ব্যাকটেরিয়াগুলির পিলি এবং ফ্ল্যাজেলা নামক বিশেষ উপাঙ্গ থাকে। এই উপাঙ্গ চলাচল এবং প্রজননে সহায়তা করে।   

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে কোভিডও! পুজোর মুখে ফের সংক্রমণের আতঙ্ক 

    এরিল বলেন, “ফেজ সম্পর্কে আমরা যা কিছু জানি, তা হল, এরা ক্রমাগত এদের হোস্টের ওপর নজর রাখে। মানুষের শরীরেও একই ঘটনা ঘটায়।” এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে ফেজগুলি তাদের আশেপাশের পরিবেশকে পর্যবেক্ষণ করে। কিন্তু হোস্টকে আক্রমণ করার কৌশল এক এক ফেজের ক্ষেত্রে এক এক রকম। 

    এরিলের মতে, এই নতুন গবেষণাটিতে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, ফেজগুলি কোষের কার্যকলাপের উপর নজর রাখে। তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁর দলের সদস্যরা ইতিমধ্যে ফেজে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রক রাসায়নিকের জন্য রিসেপ্টর অনুসন্ধান শুরু করেছে এবং তাঁরা তাতে সফলতাও পেয়েছেন।  
     
    এই গবেষণার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল, এই গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে, ভাইরাস কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে “সেলুলার ইন্টেল” কৌশল ব্যবহার করে। এর থেকে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, ব্যাক্টেরিয়া যদি এই কৌশল ব্যবহার করে, তাহলে নিশ্চই উদ্ভিত এবং প্রাণীদের ক্ষেত্রেও এই রকম কোনও কৌশল রয়েছে।   

  • Drugs Smuggling: কাবুলের তালিবানের চালানেই সন্দেশখালির সরিফুলের নাম, মাদক তদন্তে নতুন মোড়

    Drugs Smuggling: কাবুলের তালিবানের চালানেই সন্দেশখালির সরিফুলের নাম, মাদক তদন্তে নতুন মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বন্দরের (Kolkata Port) হেরোইন পাচারের (Drugs smuggling) মামলায় যত দিন যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। ডিআরআই (DRI) এবং গুজরাট এটিএসের (Gujarat ATS) যৌথ তদন্তে প্রকাশ, ৪০ কিলোগ্রাম হেরোইন (Heroin seized) এসেছিল তালিবান (Taliban) শাসনের আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে। ঘটনা হল, যে কনটেনারটি পাঠানোর জন্য জাহাজিরা বিল তৈরি করে তাতে দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া বিলেই সন্দেশখালির সরিফুল ইসলাম মোল্লার (Shariful Islam Molla) নাম রয়েছে। অর্থাৎ মাদক পাচার চক্রের পাণ্ডারা জেনেবুঝেই সরিফুল মোল্লার নামে মাদকের চালান কেটেছে। সরিফুল এন্টারপ্রাইজের কাগজে কলমে মালিক এই সরিফুল মোল্লার জেলিয়াখালির বাড়িটি টালির চালের ভগ্নপ্রায়। তাঁর পক্ষে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে হেরোইনের কনটেনার বুক করা সম্ভব নয়।

    এখানেই প্রশ্ন, তা হলে সন্দেশখালির ঠিকানায় মাদক পাচারের মূল মাথা কে? কার এত বড় আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রয়েছে যে আফগানিস্তানে বসে সেখানকার এক তালিবান মোল্লা সন্দেশখালির প্রত্যন্ত সরিফুলের নামে মাদকের চালান তৈরি করছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আফগানিস্তানের ওই তালিবান মাদক মাফিয়া পাকিস্তানের একজন শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে কনটেনারটি পাঠিয়েছিল। পাকিস্তানি শিপিং এজেন্টের পূর্বাপর কারবার নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, উত্তর ২৪ পরগনার মাদক চক্রের সঙ্গে যে সরাসরি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের যোগাযোগ রয়েছে তা বিস্ময়কর। এতদিন ভাবা হত, দেশে আমদানি হয়ে আসা মাদক পশ্চিমবঙ্গে পাচার হয়ে আসে। কিন্তু সরিফুল মোল্লার যোগসূত্রে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলার মাদক মাফিয়ারা সরাসরি আফগানিস্তান থেকেই মাদক এ রাজ্যে নিয়ে আসে।

    তদন্তকারীরা আরও জানাচ্ছেন, অতীতে মুম্বই, গুজরাট, বেঙ্গালুরু, দিল্লিতে বড় ধরনের হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। দেশের কোথাও মাদক পাচারের সঙ্গে সরাসরি রাজনৈতিক নেতাদের যোগাযোগ মেলেনি। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনায় সরাসরি রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ স্পষ্ট। ডিআরআই এবং গুজরাট এটিএস সেই যোগ প্রমাণের তদন্ত চলছে। ফলে সন্দেশখালি হেরোইন পাচার কাণ্ডে কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন শাসক দলের রাজনৈতিক নেতার গ্রেফতারি এক প্রকার নিশ্চিত।

  • Durga Puja: কোন কোন জলে নবপত্রিকাকে স্নান করানো হয় জানেন?  

    Durga Puja: কোন কোন জলে নবপত্রিকাকে স্নান করানো হয় জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা সপ্তমী। ষষ্ঠ্যাদি কল্পে যাঁদের পুজো শুরু তাঁদের সপ্তমীতে হয় নবপত্রিকা (Nabapatrika) স্নান। তার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ষষ্ঠীর (Sasthi) রাতে হয় নবপত্রিকার অধিবাস। সপ্তমীর (Saptami) সকালে হয় নবপত্রিকার মহাস্নান। এদিন অষ্ট কলসের জলে স্নান করানো হয় দেবী দুর্গার (Goddess Durga) প্রতীক নবপত্রিকাকে।

    শাস্ত্রবিদদের একাংশের মতে, এক সময় যখন দেবী প্রতিমার রূপকল্পনা হয়নি, তখন মানুষ দুর্গাপুজো করতেন নবপত্রিকা বসিয়ে। পরে মূর্তি কল্পনা হওয়ার পর তৈরি হয় মূর্তির। তার পর থেকে মহামায়ার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছেন নবপত্রিকাও। এই নবপত্রিকা হল নবদুর্গার প্রতীক। কলা গাছের সঙ্গে আরও আটটি গাছ, লতাপাতা থাকে। এই নটি গাছ হল, কলা, দেবী রম্ভার প্রতীক, কচু, দেবী কালিকার প্রতীক, হলুদ, দেবী দুর্গার প্রতীক, জয়ন্তী, দেবী কার্তিকীর প্রতীক, বেল, শিবার প্রতীক, বেদানা, রক্তদন্তিকার প্রতীক, অশোক, শোকরহিতার প্রতীক, অপরাজিতা, চামুণ্ডার প্রতীক এবং ধান, লক্ষ্মীর প্রতীক। এই নটি গাছ এবং লতাপাতাকে কলাগাছের খোল দিয়ে এক সঙ্গে বাঁধা হয়। পরে জোড়া বেল দিয়ে তৈরি করা হয় দেবীর স্তন। তার পরে পরানো হয় শাড়ি-সিঁদুর।

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের জল। সপ্ত সিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান। এই সপ্ত সিন্ধু হল গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু এবং কাবেরীর জল। এছাড়াও প্রয়োজন হয় আত্রেয়ী, সরযূ, ভারতী, কৌশিকা, ভোগবতী, মন্দাকিনী, গণ্ডকী এবং শ্বেত গঙ্গা নদীর জল। দেবীকে গরম জল এবং সুগন্ধী জলে স্নান করানোর রীতিও রয়েছে। এই স্নান শাস্ত্র মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যে আটটি কলসে করে দেবীকে স্নান করানো হবে, তার প্রতিটি কলসের জল দেবীর গায়ে ঢালার সময় আলাদা আলাদা বাজানা বাজানোর রীতি রয়েছে। ধর্ম বিশ্বাসীদের একাংশের মতে, যেহেতু নবপত্রিকা মহামায়ারই একটি অংশ, তাই তাঁর স্নানের জল খুবই পবিত্র। অনেকে এই জল পান করেন দীর্ঘায়ু লাভের আশায়। নবপত্রিকা যেহেতু নানা দেবীর প্রতীক, তাই তাঁর এই স্নান জল অনেকে মাথায় ছড়ান। কারণ, লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, দেবীর স্নানজল তাঁকে প্রাকৃতিক এবং দৈবিক নানা বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share