Blog

  • Niti Aayog: নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে বেরি

    Niti Aayog: নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে বেরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২০১৭ সালের অগস্টে অরবিন্দ পানাগড়িয়ার পরে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসেছিলেন অর্থনীতিবিদ রাজীব কুমার। আগামী ৩০ এপ্রিল তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সূত্রের খবর, তার আগেই ওই পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। রাজীবের এ ভাবে সরে যাওয়ার কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে তড়িঘড়ি নীতি আয়োগের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে অর্থনীতিবিদ সুমন কে বেরি-কে নিয়োগ করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ, স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশন এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি বিষয়ক টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। দায়িত্ব নেবেন ১ মে থেকে।

    সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, রাজীবের পূর্বসূরী পানাগড়িয়া তিন বছরের মাথায় নীতি আয়োগ ছেড়েছিলেন। ক্ষমতার অলিন্দে জল্পনা দানা বেঁধেছিল, মূলত মোদী সরকারের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ার কারণেই সরকারের এই উপদেষ্টা সংস্থার দায়িত্ব ছেড়ে তিনি মার্কিন মুলুকে পড়াশোনার জগতে ফিরছেন।

    এ দিন সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কুমারের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে এবং ৩০ এপ্রিল ওই পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

  • Jaishankar at Abu Dhabi: আবু ধাবিতে ‘সম্প্রীতির প্রতীক’ হিন্দু মন্দির নির্মাণ খতিয়ে দেখলেন জয়শঙ্কর

    Jaishankar at Abu Dhabi: আবু ধাবিতে ‘সম্প্রীতির প্রতীক’ হিন্দু মন্দির নির্মাণ খতিয়ে দেখলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবু ধাবিতে (Abu Dhabi) হিন্দু মন্দির (Hindu Temple) নির্মাণের কাজ দেখতে গেলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বর্তমানে তিন দিনের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (United Arab Emirates) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখান থেকেই যান হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজ দেখতে। কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষও প্রকাশ করেন তিনি।

    মুসলিম রাষ্ট্র আবু ধাবি। সেখানেই এই প্রথম গড়ে উঠছে হিন্দু মন্দির। বুধবার সেই মন্দিরের কাজই দেখতে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। মন্দিরটি স্বামী নারায়ণের। মন্দির নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখার পর ট্যুইট করেন জয়শঙ্কর। লেখেন, গণেশ চতুর্থীতে আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখতে পেরে আমি গর্বিত। দ্রুত গতিতে চলছে মন্দির নির্মাণের কাজ। যাঁরা মন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের প্রশংসা করি। বিএপিএস টিম, সম্প্রদায়, সমর্থক, ভক্ত শ্রমিকদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছি। একটি মুসলিম রাষ্ট্রে হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজটিকে শান্তি, সহবত ও ঐক্যের প্রতীক আখ্যা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। স্বাগত জানিয়েছেন প্রতীকী মন্দির নির্মাণের উদ্যোগকেও। প্রসঙ্গত, আবু ধাবিতে যে মন্দিরটি নির্মাণের কাজ চলছে সেটি তৈরি করছে বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থা।

    আরও পড়ুন : ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭০০ ভারতীয় ও সমাজের সর্বস্তরের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সামনে ওই মন্দিরের মডেলের আবরণ উন্মোচন করেছিলেন। মন্দিরটি গড়ে উঠছে আবু ধাবির আবু মুরেইখ এলাকায়। শিলা পুজোর সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের হাজার হাজার ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী এবং অতিথিবৃন্দ। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, তার পর থেকে মন্দির দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসী মানুষও।

    জয়শঙ্করের ট্যুইটের প্রেক্ষিতে ট্যুইট করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষও। ট্যুইট বার্তায় লেখা হয়েছে, শুভ দিনে মন্দির দর্শনে এসেছিলেন জয়শঙ্কর। তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মন্দির নির্মাণে শিল্পী, স্বেচ্ছাসেবক এবং অনুদানকারীদের সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য বিশ্ব ঐক্যের পথে আধ্যাত্মিক মরুদ্যান স্বরূপ। ২০১৪ সালে দিল্লি দখল করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালে মোদি যান পশ্চিম এশিয়া সফরে। তখনই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকার মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দেয়। সেই জমিতেই গড়ে উঠছে স্বামী নারায়ণের মন্দির। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও ঐক্যের সেতু হয়ে থাকবে এই মন্দির। এই মন্দির হয়ে থাকবে ভারতের পরিচয়ও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sharada Peeth: একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

    Sharada Peeth: একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নীলম নদীর তীরে পাহাড়ি গ্রাম শারদা। এখানেই আছে সুপ্রাচীন তীর্থক্ষেত্র শারদা পীঠ। হিন্দু বিশ্বাস মতে ১৮টি মহাশক্তিপীঠের অন্যতম এই মন্দির। হিন্দু ধর্ম মতে, এখানে সতীর ডান হাত পড়েছিল। শুধু হিন্দু ধর্ম নয়, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই শারদা পীঠ হয়ে উঠেছিল বৌদ্ধধর্মের অন্যতম জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র।

    একদা ছিল জ্ঞানচর্চার পীঠস্থান। সতীপীঠ। আদতে যেন দেবী সরস্বতীরই আরাধনা কেন্দ্র। আজ তা ভগ্নপ্রায়। পাক অধীকৃত কাশ্মীরে আজ শুধুই স্মৃতির ধ্বংসাবশেষ। উপমহাদেশে জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র এই শারদা পীঠে এক সময় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা করেছিলেন কলহন, আদি শঙ্করাচার্য্য, কুমারজীবের মতো পণ্ডিতেরা। ঐতিহাসিকদের মতে, পাণিনি সহ আরও অনেক ভারতীয় পণ্ডিতদের লেখা দীর্ঘদিন এই মন্দিরে রাখা ছিল। প্রাচীন ইতিহাসে অনেক সময়ই কাশ্মীরকে শারদা-দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শারদা পীঠের কারণেই এই নাম দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করেন ইতিহাসবিদেরা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফফরাবাদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই পীঠ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই মন্দিরের উচ্চতা ১,৯৮১ মিটার।

    আরও পড়ুন: আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড! তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, জানালেন রাজনাথ

    চিনা পর্যটক এবং বৌদ্ধ পণ্ডিত হিউয়েন সাং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে দু’বছরের জন্য এই মন্দিরে ছিলেন। ১১৪৮ খ্রিস্টাব্দে কলহনের লেখা রাজতরঙ্গিনীতে শারদা পীঠকে হিন্দু ধর্মের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়। অষ্টম শতাব্দীতে বাংলা থেকে একদল পণ্ডিত এই মন্দিরে জ্ঞানচর্চা করতে যান বলে লেখা আছে রাজতরঙ্গিনীতে। ষোড়শ শতাব্দীতে আকবরের নবরত্নের অন্যতম আবুল ফজলের লেখাতেও শারদা পীঠের উল্লেখ আছে। তাঁর লেখা থেকে জানা যায়, এই মন্দির চত্বর সোনায় মোড়া ছিল।

    এই সমৃদ্ধির পতন ঘটে চতুর্দশ শতকে। মুসলিম আক্রমণকারীদের হাতে হানি হয় ওই শিক্ষাকেন্দ্রের।  এরপরে কাশ্মীরের মহারাজা গুলাব সিং পুনরায় মন্দির গড়ে তোলেন। পরে ১৯৪৭ সালে এই অঞ্চল পাখতুনদের দখলে চলে যায়। তখন থেকেই যোগাযোগ ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। বর্তমানে এই অঞ্চল পাক অধীকৃত কাশ্মীরের মধ্যেই পড়ে। 

    এই মন্দিরে একটি শারদা দেবীর বিগ্রহ ছিল বলে জানা যায়। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাছে এই মন্দির অমরনাথ এবং মার্তণ্ড সূর্যমন্দিরের মতোই পবিত্র। কিন্তু ২০০৫ সালের ভূমিকম্পে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই শক্তিপীঠ। বর্তমানে তা প্রায় খণ্ডহর। ২০০৭ সালে এই মন্দির দর্শন করতে চেয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান কাশ্মীরী পণ্ডিতদের একটি দল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় পাক সরকার। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এখন আর এই পীঠ দর্শন করতে পারেন না। করতারপুর করিডর খুলে যাওয়ার পর পাক সরকার এই মন্দির নতুনভাবে নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বলে শোনা গেলেও এখনও এ নিয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা মেলেনি। তাই এই মন্দির সংস্কারে উদ্যোগী ভারত। সম্প্রতি এই মন্দিরকে দেশের অভ্যন্তরে আনার কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

  • Modi in UP: “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    Modi in UP: “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলনে (3rd Uttar Pradesh Investors Summit) যোগ দেন তিনি। শিলান্যাস করলেন একাধিক প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ১,৪০৬ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি। যাতে বরাদ্দ প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা।
     
    প্রকল্পগুলি মূলত কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিক্স, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, উৎপাদন, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি, ওষুধ, পর্যটন, প্রতিরক্ষা, বিমান পরিবহণ, তাঁত এবং বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত। উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলন প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ২১-২২ ফেব্রুয়ারি। ওই বছরই ২৯ জুলাই ৬১,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮১টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন হয় ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই। সেবছর ৬৭,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। এবছর এক লাফে বিনিয়োগ বেড়ে ৮০,০০০ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    এদিন সকালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi) আদিত্যনাথ একটি ট্যুইটে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীর অভিভাবকত্বে নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্যে নতুন রূপে উত্তরপ্রদেশ। দেশে বিনিয়োগের সবচেয়ে ভালো ঠিকানা উত্তরপ্রদেশ। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীদের উন্মাদনা তারই প্রমাণ। নতুন উত্তরপ্রদেশকে এক নতুন উড়ান দেবে এই অনুষ্ঠান।” 

    [tw]


    [/tw]

    এদিন ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের তাবড় তাবড় শিল্পপতিরা। তালিকায় রয়েছে গৌতম আদানি, কুমার মঙ্গলম বিড়লা, সজ্জন জিন্দাল, মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির মতো বড় বড় নাম।  উত্তরপ্রদেশে ৭০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা করেছে আদানি গ্রুপ। 

    আরও পড়ুন: “বাংলার দিদি এসেছিলেন…”, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ যোগীর, কী বললেন তিনি?

    উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলনে মোদি এদিন বলেন, “আমরা একসঙ্গে কাজ করে দেশকে শক্তিশালী করতে চাই। এক দেশ- এক কর, এক দেশ- এক বিদ্যুৎ শক্তি, এক দেশ- এক মোবিলিটি কার্ড, এক দেশ- এক রেশন কার্ড। এই সব কিছুই আমাদের স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন।” 

    নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, “রাজ্যের দ্রুত উন্নতির জন্যে যৌথভাবে কাজ করছে ‘ডবল-ইঞ্জিন সরকার’। এই বছরের বাজেটে এই রাজ্যে ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারত বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। গ্লোবাল রিটেল ইনডেক্সের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশে কর্মসংস্থান আরও বাড়বে।” 

    [tw]


    [/tw]

    ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ১.৪৫ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী কানপুরের পারাউঙ্খ গ্রামে যান। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে একসঙ্গে পাথরি মাতা মন্দির দর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুপুর ২টোয় ডঃ বি আর আম্বেদকর ভবন যান। সেখান থেকে ২.১৫ মিনিট নাগাদ যান মিলন কেন্দ্রে। মিলন কেন্দ্র হল, জনসাধারণের জন্য দান করা রাষ্ট্রপতির পূর্বপুরুষের একটি বাড়ি। এখন সেই বাড়িকে একটি সামাজিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এরপর ২.৩০ নাগাদ তাঁরা পারাউঙ্খ গ্রামে একটি জনসভায় যোগ দেন। 

        

  • MGNREGA: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    MGNREGA: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনরেগা (MGNREGA) বা ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া টাকা কেন কেন্দ্র আটকে রেখেছে, তার আসল কারণ বা বলা ভালো কারণগুলি জানা গেল। যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, রাজ্যের অসহযোগিতার কারণে কার্যত বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে কেন্দ্রকে।

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করছেন যে, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি, বকেয়া টাকা যাতে রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) কাছে চিঠিও লিখেছেন।

    কিন্তু, মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুললেও, সত্য ঘটনা একেবারেই উল্টো। আসল তথ্য যাতে বাইরে না আসে, তাই নিয়ে কেন্দ্রের ওপর দোষ চাপিয়ে গোটা বিষয়টিকে যাতে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একবারের জন্যও রাজ্যবাসীর কাছে খোলসা করেননি যে, কেন বা কী কারণে কেন্দ্র এই বরাদ্দ অর্থ প্রদান করা থেকে বিরত থেকেছে। অথবা, বলা ভালো কেন রাজ্যের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বিলক্ষণ জানেন, এক্ষেত্রে ঝুলি থেকে অনেক বেড়াল বেরিয়ে পড়বে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কোথায় কোথায় কারচুপি করা হয়েছে, কোথায় কোথায় গরমিল করে রাখা হয়েছে, সেই সব ঘটে যাওয়া বিস্তর দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ্যে চলে আসবে।

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ বা মনরেগা প্রকল্প নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। আন্তঃ মন্ত্রক ওই রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ঠিক কেন ও কীসের ভিত্তিতে কেন্দ্র রাজ্যের অর্থ আটকে রেখেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে মনরেগা বা ১০০ দিনের কাজে প্রকল্পে ব্যাপকহারে কারচুপি হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে রয়েছে বিস্তর গরমিল। এই নিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে বিভিন্ন সময়ে চিঠি পাঠানো হলেও, রাজ্য থেকে কোনও জবাব না আসায় বাধ্য হয়ে অর্থ বন্ধ করতে হয়েছে কেন্দ্রকে।

    ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে যুগ্ম সচিব পর্যায়ের আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত করে। রিপোর্ট মূলত ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রদেয় অর্থের প্রেক্ষিতে তৈরি। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী টিমের তদন্তে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলা হয়েছে, অন্তত ৩১টি কাজে বিস্তর গোলযোগ ধরা পড়েছে। তদন্তকারী টিমের মতে, ভূমি সংক্রান্ত কাজে বিশেষ করে বিস্তর গোলমাল রয়েছে। 

    কেন্দ্রীয় টিম যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে একাধিক গাফিলতি ও গরমিলের উল্লেখ করা হয়েছে—

    ১. কাজের অনুমতি জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রয়োজনীয় স্ক্রুটিনি এড়াতে একটি বড় কাজকে ছোট ছোট কাজে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ২. সেচ দফতরের সঙ্গে কোনও প্রকার শলা-পরামর্শ না করে বা কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়াই বন্যা রোধ প্রকল্পের আওতায় যত্রতত্র এবং যথেচ্ছভাবে পলি তোলার কাজ করা হয়েছে। 

    ৩. জমির ধরণ বিবেচনা না করেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। কতটা কাজের আদৌ প্রয়োজন তা বিচার না করেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। এমনকি, কতটা কাজ হয়েছে তা যাচাই না করেই পেমেন্ট করা হয়েছে। 

    ৪. পুরনো বা চলমান কাজ নতুন রূপে মনরেগা প্রকল্পের আওতায় আবেদন করা হয়েছে।  

    ৫. কেনার বিষয়ে কোনও নিয়ম মানা হয়নি। টেন্ডার প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। কাজের অনুমতি মেলার ১৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ দেখানো হয়েছে। 

    ৬. মনরেগা প্রকল্পে অধীনে থাকতে পারে না এমন কাজ যেমন— বন্যা প্রতিরোধে বালির বস্তা ফেলা, কাঁটাতার দেওয়া, বাহারি গাছ লাগানো ইত্যাদিকেও এর আওতায় এনে দেখানো হয়েছে। 

    ৭. যে সব কাজ অপ্রয়োজনীয়, সেগুলিকেও মনরেগা প্রকল্পের আওতায় এনে করা হয়েছে। 

    ৮. কাজের খতিয়ান নথিভুক্ত বা ফাইল রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত দায়সারাভাবে করা হয়েছে। 

    কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় টিমের পাওয়া তদন্ত রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফ থেকে একটি অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠানো হয়। কিন্তু, ওই এটিআর রিপোর্ট দেখে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্র। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যের জবাবে খামতি পাওয়া গিয়েছিল। এরপর রাজ্যকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও, মমতা প্রশাসনের তরফে থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।

    এদিনই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। এপ্রসঙ্গে, প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি (BJP Bengal) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, সকলেই চায় ১০০ দিনের কাজ হোক। কিন্তু, কেন্দ্রের টাকা সাধারণ মানুষের জন্য। তৃণমূলের নেতাদের প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরির জন্য নয়। 

  • Congress President Polls: দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হতে চান আর কে কে?

    Congress President Polls: দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হতে চান আর কে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় যত গড়াচ্ছে ততই দীর্ঘায়িত হচ্ছে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট (Congress President) পদপ্রার্থীর তালিকা। যেহেতু এখনও পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে নেই গান্ধী (Gandhi) পরিবারের কোনও সদস্য, সেহেতু ঘোমটার আড়াল থেকে বেরিয়ে এসেছে অনেক মুখ। গান্ধী পরিবারের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে যাঁরা গান্ধীদের বিরুদ্ধে লড়ার ‘সাহস’ পাচ্ছিলেন না, তাঁরাই এবার উজিয়ে এসেছেন প্রার্থী (Candidate) হতে। ফলে এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির (Grand Old Party) প্রেসিডেন্ট বাছতে অন্তত দুবার ভাবতে হবে ভোটারদের।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) কাছে গোহারা হারে কংগ্রেস। হারের দায় স্বীকার করে সভাপতি পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী। সেই থেকে শূন্য পড়ে রয়েছে পদটি। অস্থায়ীভাবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে দায়িত্ব নিতে অপারগ বলে দলকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এমতাবস্থায় জরুরি হয়ে পড়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখনও পর্যন্ত যা খবর, রাহুল ওই পদে লড়তে রাজি নন। সেক্ষেত্রে ওই পদে লড়ার কথা গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ হিসেবে খ্যাত জি-২৩র সদস্য শশী থারুর। চলতি সপ্তাহের সোমবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে যান শশী। প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার ইচ্ছে। তাঁকে ওই পদে লড়তে সবুজ সংকেত দেন সোনিয়া।

    অশোক-শশী দ্বৈরথের আবহেই শোনা যাচ্ছে আরও কয়েকটি নামও। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি এবং মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও। প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চান বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিংও। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, আপনারা কেন আমাকে এই লড়াইয়ের বাইরে রাখতে চাইছেন? তিনি এও বলেছিলেন, প্রত্যেকেরই ভোটে লড়ার অধিকার রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে আপনারা এর উত্তর পেয়ে যাবেন।

    ২০০০ সালে সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। তার পর কেটে গিয়েছে এতগুলো বছর। গান্ধী পরিবারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সাহস দেখায়নি কেউ। এবার দেখাচ্ছেন। কারণ লড়াই হচ্ছে ‘গান্ধী’ ছাড়াই!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Yasin Malik: জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত, দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক

    Yasin Malik: জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত, দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত (Convicts) হলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik)। দিল্লির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র বিশেষ আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। আগামী ২৫ মে তাঁর কী ধরনের সাজা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    ইয়াসিনকে নিয়ে এই হাইভোল্টেজ মামলা গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে। ‘আন লফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বা ইউএপিএর আওতায় ইয়াসিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। এদিন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির এনআইএ আদালত। জানা গিয়েছে ইয়াসিন মালিক নিজেই জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের (Terror funding)কথা স্বীকার করেছেন। আর সেই বক্তব্যের ভিত্তিতেই ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, পরবর্তী শুনানির আগেই ইয়াসিন মালিককে তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত হলফনামাও জমা দিতে বলেছে আদালত। সেই হলফনামায় তাঁর আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ জানাতে হবে ইয়াসিনকে। তার ওপর ভিত্তি করে ইয়াসিনের সাজার অঙ্কও নির্ধারিত হতে পারে বলে,বিশেষজ্ঞদের মত। মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাশ্মীর উপত্যকায় ২০১৭ সালে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছিলেন তিনি। এর আগের শুনানির দিনই মালিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, এই মামলায় তিনি আর লড়াই করবেন না। মালিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনের ধারা ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২০-তে মামলায় দায়ের হয়েছিল। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি এবং ১২৪ এ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু হয়। 

    গত ১০ মে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইন (ইউএপিএ)-এর অধীনে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন কাশ্মীরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। ইয়াসিনের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র, জঙ্গি দলের সদস্য, দেশদ্রোহ এবং ফৌজদারী ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়। এনআইএ আদালত আগেই জানিয়েছিল, ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এর নামে একটা বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন ইয়াসিন। সেখান থেকে টাকা সংগ্রহ করে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের আর্থিক সহযোগিতা করছেন। ইয়াসিন ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা চলছে ।

  • SSC Recruitment Scam: চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment scam) মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি গেল রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতার। তাঁকে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। পাশাপাশি, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’টি কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে বেতনের টাকা, নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বেতন বাবদ পাওয়া সমস্ত টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। 

    অঙ্কিতা (Ankita Adhikary) কোচবিহারের (Coochbehar) মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাবার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে শিক্ষকতার চাকরি (Teachers recruitment scam) নেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেছিলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar) নামে এক এসএসসি (SSC) পরীক্ষার্থী । অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, নিজেকে শিক্ষক হিসাবেও পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশ, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রায় ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে। প্রথম কিস্তি দিতে হবে ৭ জুন। দ্বিতীয় কিস্তির তারিখ ৭ জুলাই।

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    পরেশ অধিকারীর মেয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অঙ্কিতার নাম ওঠে। অভিযোগ, মেরিট লিস্টের প্রথম কুড়ি জনের তালিকায় নাম না থাকা অঙ্কিতাকে দ্বিতীয় তালিকার একেবারে প্রথমে নিয়ে আসা হয় ‘অবৈধ’ ভাবে।

    স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। এবং এই মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর। মেধাতালিকার ২০ নম্বরে ছিলেন ববিতা। কিন্তু, মামলাকারীর চেয়ে ১৬ নম্বর কম পেয়েও পরেশ-কন্যাকে অবৈধভাবে প্রথম স্থান দেওয়া হয়। এর ফলে, মামলাকারী সেই তালিকা থেকে ছিটকে যান। ববিতা চাকরির সুযোগ হারান।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, গোটা বিষয়টি শুনে মনে হচ্ছে অঙ্কিতা অধিকারীর মাথায় কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তির অদৃশ্য হাত ছিল। এখানে দুর্নীতি হয়েছে মনে হচ্ছে। নইলে এ ভাবে একজন প্রার্থীকে মেধা তালিকায় আমদানি করে তাঁকে প্রথম স্থানে বসানো যায় না।

    সম্প্রতি ঘটনাটির কথা আদালতকে জানিয়েছিলেন এসএসসির সদ্য ইস্তফা দেওয়া চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এর পরেই অঙ্কিতার বাবা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজির হতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় এসে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের (CBI) দফতরে হাজির হন মন্ত্রী পরেশ। কিন্তু, জেরায় সন্তুষ্ট হয়নি তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার সকালে তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অঙ্কিতাকে নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ আসে পরেশের জেরা চলাকালীনই।

    আরও পড়ুন: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

  • Mariupol mass grave: মারিউপোলের কাছে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান মিলল স্যাটেলাইট চিত্রে 

    Mariupol mass grave: মারিউপোলের কাছে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান মিলল স্যাটেলাইট চিত্রে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাড়হিম করা দাবি করল ইউক্রেন (Ukraine)। তাদের দাবি, মারিউপোলের (Mariupol) কাছে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পেয়েছে তারা। স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে স্টারিয়া ক্রিমে ২০০ মিটার লম্বা একটি গর্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওখানে বহু মানুষকে কবর দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান। সেখানকার সাধারণ মানুষকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই গণকবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রুশ সেনা, এমনই দাবি। 

    এর আগে মারিউপোলের পশ্চিমে মানহুশ গ্রামে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। ৩ হাজার থেকে ৯ হাজার মানুষকে গণকবর (Mass Grave) দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মারিউপোল পুরোপুরি রাশিয়ান সেনাদের (Russian Army) দখলে রয়েছে। আর মানহুশ গ্রামটি মূল শহর থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে অবস্থিত। স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করে মারিউপোল সিটি কাউন্সিল (Mariupol City Council) একটি সোশাল মিডিয়া পোস্টে বলেছে যে “মানহুশের গণকবরের আকার বুচার চেয়ে ২০ গুণ বেশি। রাশিয়ানরা মারিউপোলে নতুন গর্ত খনন করে মৃতদেহ চাপা দিয়েছে।” মারিউপোল সিটি কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের কবরে মৃতদেহ একটির উপর আরেকটি রাখা হয়।

     সম্প্রতি, প্ল্যানেট ল্যাবস-এর সরবরাহ করা অপর একটি স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে সিটি কাউন্সিল। এতে ভিনোরাডন গ্রামে আর একটি গণকবর রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি মারিউপোল শহরের পূর্ব দিকে অবস্থিত। ওই কবরে অন্তত ১ হাজার মানুষের লাশ থাকতে পারে  বলে অনুমান।

    এক বিবৃতিতে, মারিউপোলের মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো বলেছেন, “মারিউপোলে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুতর যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে।” তাঁর দাবি, মারিউপোলে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর হাতে নিহত অসামরিক লোকের সংখ্যা ২২ হাজার। সিটি কাউন্সিলের মতে, রাশিয়ান সেনারা মানহুশে বেশ কয়েকটি গণকবর খনন করেছে এবং মৃতদেহ ট্রাকে করে নিয়ে গিয়ে কবর দিয়েছে। 

    এর আগে ইউক্রেনের আরেক শহর বুচায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। বুচায় কয়েকটি গণকবর থেকে বহু মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। রাস্তাতেও বহু মানুষের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। 

  • Boris Johnson: “রাশিয়া সম্পর্কে ভারতের অবস্থান সকলের জানা, আর সেটা বদলাবে না”, বললেন বরিস জনসন

    Boris Johnson: “রাশিয়া সম্পর্কে ভারতের অবস্থান সকলের জানা, আর সেটা বদলাবে না”, বললেন বরিস জনসন

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান ভারত সফরে আগত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। আর সেই অবস্থানে যে কোনও পরিবর্তন হবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর তা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন জনসন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া সম্পর্কে ভারতীয়দের অবস্থান ঐতিহাসিকভাবে সকলেরই জানা। অবশ্যই তারা এ অবস্থান পরিবর্তন করতে যাচ্ছে না। এটি সত্য।’

    তবে, জনসন এটাও জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বুচায় সাধারণ নাগরিকদের উপর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে মোদি ‘খুব কড়া’ ভাষায় কথা বলেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার কথাও বলেছেন মোদি। ভারত শান্তি দেখতে চায় এবং রুশদের ইউক্রেন থেকে বের হয়ে যেতে দেখতে চায়। আমিও এ বিষয়ে পুরোপুরি একমত।’

    অনেকেই ভেবেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে চাপ দেবেন জনসন। কিন্তু, ভারত বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান নিয়ে কোনও চাপ দেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘মোদি ও জনসন ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জনসন এ বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত—প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেছেন। আলোচনায় কোনও ধরনের চাপ ছিল না।’

     

LinkedIn
Share