Blog

  • Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি (Pakistan) জঙ্গিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি (Terrorist) ঘোষণায় বাধা হয়ে দাঁড়াল চিন (China)। প্রত্যাশিতভাবেই প্রতিবেশী এই দুই দেশের দূরত্ব এক লপ্তে বেড়ে গেল বেশ খানিকটা। এর আগেও একাধিকবার ভারতের (India) প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। তবে এবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারত ও আমেরিকার (US) তরফে। তাতেও বাধার প্রাচীর তুলে দিল চিন।

    লস্কর-ই-তৈবার প্রধান, ২৬/১১ মুম্বই হামলার চাঁই হাফিজ সইদের আত্মীয় আবদুল রহমান মাক্কি (Abdul Rehman Makki)।  এই মাক্কিকে আগেই জঙ্গি ঘোষণা করেছে আমেরিকা। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে রাষ্ট্রসংঘে মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাব জমা দেয় জো বাইডেনের দেশ। প্রস্তাব দেওয়া হয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস ও আলকায়দা নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ভেটো প্রয়োগ করে শি জিন পিংয়ের দেশ।  

    আরও পড়ুন : বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

    এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তানি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় ভারতের প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে চিন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘে কূটনৈতিকভাবে জয়ী হয় ভারত। দিল্লির আবেদন মেনে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মাসুদ আজাহারকে জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পনেরটি দেশের মধ্যে স্থায়ী সদস্য হিসেবে একমাত্র চিনই তাতে ভেটো দেয়। ২০০৯ সালে ভারত প্রথম ওই প্রস্তাব জমা দেয়। ২০১৬ সালে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সঙ্গে মিলে ফের প্রস্তাব দেয় ভারত। মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে তাকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। ২০১৭ সালে ফের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এই দফায়ও ভেটো প্রয়োগ করে চিন। এরপর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স একটি খসড়া জমা দিয়ে গ্রেফতারের দাবি জানায় মাসুদকে। এই সময় কেবল আমেরিকাই মাক্কিকে বিশেষ জঙ্গি বলে উল্লেখ করে।

    আরও পড়ুন : জঙ্গি দমনে কঠোর এনআইএ, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি

    ২০২০ সালে পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালত মাক্কিকে দোষী সাব্যস্ত করে। সন্ত্রাসবাদমূলক কাজকর্ম, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। সম্প্রতি গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গোটা বিশ্বে যখন সমালোচিত হচ্ছিল ভারত, তখন নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিল চিন। মাক্কিকে জঙ্গি ঘোষণার প্রশ্নে ফের যোজন দূরত্ব তৈরি হল প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে।  

     

  • Digital India: লাদাখ, আন্দামান নিকোবরেও হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা

    Digital India: লাদাখ, আন্দামান নিকোবরেও হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এবার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চালু হয়ে গেল হাইস্পিড ফাইবার ইন্টারনেট পরিষেবা। লাদাখ (Ladakh) এবং আন্দামান (Andaman) ও নিকোবরে (Nicobar) মিলছে ওই পরিষেবা। ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এয়ারটেলের (Airtel) দাবি, তারাই প্রথম প্রাইভেট ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার যারা প্রথম প্রত্যন্ত অঞ্চলে চালু করল ফাইবার টু দ্য হোম ব্রডব্যান্ড পরিষেবা।

    জানা গিয়েছে, এয়ারটেল এক্সট্রিম ফাইবারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন লাদাখের লেহ, আন্দামানের পোর্টব্লেয়ার ও নিকোবরের বাসিন্দারা। এই তিন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতেও আগামী মাসেই পৌঁছে দেওয়া হবে এই পরিষেবা।

    আরও পড়ুন : এই ভুলটা করলেই হ্যাক হয়ে যাবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ! জেনে নিন এর থেকে বাঁচার উপায়…

    টেলকম দফতরের সচিব কে রাজারামণ বলেন, এয়ারটেল লাদাখ এবং আন্দামান নিকোবরে ফাইবার টু দ্য হোম ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করেছে দেখে আমরা খুব খুশি। চেন্নাই এবং পোর্ট ব্লেয়ারের মধ্যে সমুদ্রের তলদেশে কেবল সংযোগ চালু করার ফলে এই অঞ্চলে উচ্চগতির ডেটা সংযোগ এনেছে টেলিকম মন্ত্রক। সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভিশন প্রকল্পে এটা হয়েছে।

    ভারতী এয়ারটেলের সিইও বীর ইন্দার নাথ বলেন, এই অঞ্চলগুলিতে এয়ারটেল এক্সট্রিম ফাইবারের উচ্চমানের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিতে পেরে আমরা খুশি। উপভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করতে এয়ারটেল বিনিয়োগ করছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের দু হাজার শহরে আমরা ফাইবার টু দ্য হোম ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করেছি।

    আরও পড়ুন : কী করে বুঝবেন কেউ আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করেছে কি না?

    সংস্থা সূত্রে খবর, এই অঞ্চলের গ্রাহকরা ওয়াইফাই রাউটার সহ এয়ারটেল এক্সট্রিম ফাইবার পাবেন। যার ফলে ডাউনলোড কিংবা আপলোডের স্পিড একলপ্তে বেড়ে যাবে অনেকখানি। এক সঙ্গে ৬০টি ডিভাইসে স্থাপন করা যাবে সংযোগও।

    এও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে এয়ারটেল এক্সট্রিম ফাইবারের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৪৮ লক্ষ। ছোট বড় মিলিয়ে দেশের ৮৪৭টি শহরে মিলত পরিষেবা। এয়ারটেলের লক্ষ্য, আগামী পঁচিশ সালের মধ্যে এই পরিষেবা দেশের দু হাজার শহরের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।ওই বছরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ১৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৪ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছে কোম্পানি।

     

  • Viral News: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    Viral News: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ লাখ টাকার সোনা ‘চুরি’ করল ইঁদুরের দল! এমনটাও সম্ভব! হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে গোরেগাঁওয়ের (Goregaon) গোকুলধাম কলোনির (Gokuldham Colony) কাছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাগে করে গয়না নিয়ে ব্যাংকে জমা করতে যাচ্ছিলেন ৪৫ বছর বয়সি সুন্দরী প্লানিবেল (Sundari Planibel)। তিনি একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। তাঁর হাতে ছিল গয়নার ব্যাগ এবং সেই ব্যাগেই তিনি বড়া পাও (Vada Pav)-এর প্যাকেটটি রেখে দেন। ব্যাংকে যাওয়ার পথে দু’‌জন শিশুকে দেখে বড়া পাও সমেত গয়নার ব্যাগটি দিয়ে দেন তিনি। তারপর তিনি ব্যাংকে পৌঁছনোর পর বুঝতে পারেন যে গয়না সমেত ব্যাগটি তিনি তাদের দিয়ে দিয়েছেন। এরপর তিনি দিশেহারা হয়ে সেই শিশুদের খুঁজতে শুরু করেন ও পরে তাদের খুঁজতে ব্যর্থ হলে দিনদোশী থানায় গিয়ে পুলিশের (Dindoshi police) দ্বারস্থ হন।

    আরও পড়ুন: খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    দিনদোশী থানার সাব ইন্সপেক্টর চন্দ্রকান্ত ঘর্জ (Chandrakant Gharge) জানান, তারা ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শিশুদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। এরপরেই পুরো ঘটনাটি স্পষ্ট হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই শিশুদের মা ব্যাগটি জঞ্জালের বাক্সে ফেলে দেন। তারা বড়া পাও না খেয়েই সেটি ফেলে দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। এরপরেই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের দৃশ্য দেখে হতবাক। তাঁরা দেখেন যে, সেই ব্যাগটি এক দল ইঁদুর মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে এক নর্দমায়। তারপর পুলিশ সেই নর্দমা থেকেই উদ্ধার করল সেই সোনার গয়না।

    আরও পড়ুন: জানেন কি ইউটিউবের প্রথম ভিডিও কোনটি? কী বা আছে তাতে?

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে তারা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছিলেন এবং পরে গয়না উদ্ধার করতে পারেন। এগুলো খুঁজতে গিয়ে তাঁরা নর্দমা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। তারপর সেই নর্দমা থেকেই গয়না উদ্ধার করে সুন্দরী প্লানিবেলকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। এই উপকারের জন্য প্লানিবেল  পুলিশদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন। 

     

  • Wheat Re-Export Ban: এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের

    Wheat Re-Export Ban: এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) থেকে কেনা গম (Wheat) নিয়ে ব্যবসা করা চলবে না। এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার দিতে হবে। তবেই গম রফতানি করবে নয়াদিল্লি (New Delhi)। ভারতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই চার মাসের জন্য ভারত থেকে কেনা গমের ওপর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)। 

    বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক দেশ ভারত। তবে তাপপ্রবাহের কারণে আগের বছরের তুলনায় এবার গমের উৎপাদন কমেছে প্রায় সাড়ে চার শতাংশ। তাই গম রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নয়াদিল্লি। যদিও পরে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, কোনও দেশ অনুরোধ করলে সে দেশে গম রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে। 

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গম রফতানি। যুদ্ধরত দুই দেশ বিশ্বের মোট রফতানির ৩০ শতাংশ গম সরবরাহ করে। যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ায় তারা আর ওই পরিমাণ গম সরবরাহ করতে পারছে না। গম রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতও। এই সব কারণেই বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে।

    এরই সুযোগ নিতে থাকে বিভিন্ন দেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। মোটা মুনাফার লোভে তারা ভারত থেকে আমদানিকৃত গম ভিন দেশে রফতানি করতে শুরু করে। এর পরেই ভারত “নো-রিএক্সপোর্ট” মুচলেকা চায়। নয়াদিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যে দেশ ভারত থেকে গম আমদানি করবে, তারা সেটা কেবলমাত্র নিজেদের দেশে বসবাসকারী মানুষের জন্যই ব্যবহার করতে পারবে। এর পরই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি আগামী চার মাসের জন্য গম রফতানিতে জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই এই ব্যবস্থা।

    কিছুদিন আগেই জারি করা এক নির্দেশিকায় ভারত জানিয়েছিল, যে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত থেকে গম রফতানি করা প্রয়োজন, সেই দেশে সরকারের অনুমতিক্রমে গম রফতানি চলতে পারে। আরও বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করে গমের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত ও তার আশপাশের দেশগুলিতে খাদ্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই সূত্রেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং সিঙ্গাপুরে নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতে গম রফতানিতে রাজি হয়েছে ভারত। 

     

  • Rahul Gandhi: শুক্রে ফের জেরা ‘ক্লান্ত’ রাহুলকে, উঠল মতিলাল ভোরার নামও

    Rahul Gandhi: শুক্রে ফের জেরা ‘ক্লান্ত’ রাহুলকে, উঠল মতিলাল ভোরার নামও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর তিন দিন জেরা। প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাই চেয়েছিলেন বিরতি। ইডির (ED) তরফে মিলেছেও ছুটি। সেই কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে জেরা করা হবে না বলে ইডি সূত্রে খবর। শুক্রবার তিনি ফের মুখোমুখি হবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ইডির একটি সূত্রে দাবি, রাহুলকে বৃহস্পতিবারই তলব করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বিরতি চাওয়ায় তা মঞ্জুর করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইডির এক কর্তা বলেন, গত তিনদিন ধরে রাহুলকে জেরার অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং করা হচ্ছে। লেখা হচ্ছে বয়ানও। সেই বয়ানে স্বাক্ষর করানোর পরেই মিলছে ছুটি। তাই দীর্ঘায়িত হচ্ছে জেরা প্রক্রিয়া। ওই বয়ান রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীর বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। ৮ জুন তলব করা হয়েছিল সোনিয়াকে। করোনা সংক্রিমিত হওয়ায় আপাতত তিনি ভর্তি হাসপাতালে। তাই ২৩ জুন তলব করা হয়েছে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীকে।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় রাহুল জানিয়েছেন, ইয়ং ইন্ডিয়া থেকে একটি টাকাও নেননি তিনি। ইয়ং ইন্ডিয়া একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যদিও ইডির পাল্টা দাবি, ২০১০ সালে সংস্থাটি গঠিত হওয়ার পর থেকে কোনও সেবামূলক কাজ করেনি।যদি করে থাকে তার প্রমাণস্বরূপ ইডির কাছে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাহুলকে। কংগ্রেস সাংসদের দাবি, ইয়ং ইন্ডিয়া এবং কংগ্রেসের মধ্যে কী লেনদেন হয়েছে, সেসব কিছুই তিনি জানেন না। রাহুলের দাবি, সবটাই দেখতেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরা। ইয়ং ইন্ডিয়ার ব্যালেন্স শিটও দেখতেন তিনিই।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    এদিকে, শুক্রবার রাহুলকে চতুর্থ দফার জেরার দিনও ফের একবার উত্তাল হতে পারে রাজধানী দিল্লি। গত তিন দিনের মতো সেদিনও দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারেন কংগ্রেস নেতারা। আজ, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

     

  • Ambubachi: অম্বুবাচীর দিনগুলিতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, অন্যথায় অমঙ্গল

    Ambubachi: অম্বুবাচীর দিনগুলিতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, অন্যথায় অমঙ্গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় একটি কথা প্রচলিত রয়েছে– কিসের বার, কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত অম্বুবাচী। আষাঢ়ের সাত তারিখ থেকে শুরু হয় অম্বুবাচী। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সূর্য যে বারে যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, ঠিক তাঁর পরবর্তী বারের সেই কালে পালিত হয় অম্বুবাচী। এই সময়ে কিছু নিয়ম রয়েছে, যা পালন করলে খুব ভাল ফল মেলে এবং কিছু নিয়ম রয়েছে যা এই সময়ে একেবারেই করতে নেই। কিছু কাজ রয়েছে যা এই সময়ে করতে শাস্ত্রে নিষেধ রয়েছে।

    অম্বুবাচীতে কোন কাজে করলে শুভ ফল মেলে—

    ১) যত বেশি সম্ভব এই সময়ে ইষ্ট মন্ত্র জপ করুন।

    ২) এই সময়ে গুরুদেবের পুজো করা যাবে। যাঁদের গুরু মহিলা অর্থাৎ গুরুমা তাহলেও পূজা চলতে পারে, তাতে কোনও দোষ নেই বলে মনে করা হয়।

    ৩) এই সময় দেবীর মুর্তি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।

    ৪) অম্বুবাচী চলাকালীন আম, দুধ সেবন করুন, এতে সাপের ভয় দূর হয়।

    আরও পড়ুন: এবছর অম্বুবাচী শুরু কবে? জেনে নিন এই বিশেষ উৎসবের মাহাত্ম্য

    অম্বুবাচী হিন্দুধর্মের বাৎসরিক উৎসব। অম্বুবাচীকে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় অমাবতীও বলে। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত এই রীতি পালন করা হয়। এই সময় থেকেই বর্ষার সূচনা। আসলে নতুন বর্ষার শুরুতে পৃথিবী জলসিক্ত হয়ে ওঠে, তখন তাকে ঋতুমতী নারীরূপে গণ্য করা হয়। অম্বুবাচী একটি ধর্মীয় আচার হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের আমাদের প্রাচীন কৃষি পদ্ধতিও। 

    এই ব্রতটি বিভিন্ন প্রদেশের মানুষ পালন করে থাকলেও অসমের কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচীকে কেন্দ্র করে বিশাল উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে। অম্বুবাচীর সময়ে তিন দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। অম্বুবাচীর পর কামাখ্যা মন্দিরের দুয়ার খুললে পবিত্র লাল শালুর অংশ সংগ্রহ করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে।  তবে অম্বুবাচী তিথি যতই পবিত্র হোক, হিন্দু শাস্ত্র বলছে, এই সময়ে পবিত্র কাজ করা যায় না।

    হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা অম্বুবাচীর সময়ে করা যায় না—

    ১) এই সময়ে জমিতে চাষ আবাদ করতে নেই।

    ২) এই তিন দিনে গৃহ প্রবেশ, বিবাহ উপনয়ন, অন্নপ্রাশন ও অন্যান্য শুভ কাজ করা উচিত নয়।

    ৩) এই সময়ে অন্য কোনও বিশেষ পুজোর আয়োজন না করাই ভাল। তবে কোনও কোনও বছর এই সময়ে রথযাত্রার উৎসব পড়লে, তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই করা যেতে পারে। কারণ রথযাত্রাকে নিত্যকর্ম হিসাবেই ধরা হয়।

    ৪) যেহেতু এই সময় শুভ কাজ করতে নেই। তাই জমি বাড়ি ক্রয় বা বিক্রয় করাও নিষেধ রয়েছে ।

    ৫) বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া যাত্রাও নিষেধ।

    ৬) পুজোর সময়ে কোনও মন্ত্র পাঠ করবেন না, কেবল ধূপ ও দ্বীপ সহযোগে ঠাকুর প্রণাম করবেন।

    ৭) অম্বুবাচীতে দেবীর মূর্তি বা পট কখনওই স্পর্শ করা উচিত নয় বলে মনে করে। গৃহপুজোও বন্ধ থাকে। 

    আরও পড়ুন: ঘরের সামনে ঝুলছে লেবু লঙ্কা! আছে আশ্চর্য এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

  • Naveen Jindal: এবার প্রাণনাশের হুমকি বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নবীন জিন্দলকে

    Naveen Jindal: এবার প্রাণনাশের হুমকি বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নবীন জিন্দলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) এক যুবকের মুণ্ডচ্ছেদ করেছে দুই যুবক। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এর মধ্যেই বুধবার ভোরে খুনের হুমকি দেওয়া ই-মেল পেলেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নবীন জিন্দাল। ওই খুনের ভিডিও শেয়ার করে নবীনকে (Naveen Jindal) হুমকি দিয়ে ওই মেলে বলা হয়েছে ‘এবার তোমার পালা’। সকাল ৬টা ৪৩ মিনিটে ওই মেল পান নবীন। ট্যুইট বার্তায় একথা জানান নবীন।

    আরও পড়ুন: “নৃশংস, ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা”, উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে সরব রাজনৈতিক মহল

    ট্যুইটারে পোস্ট করে নবীন জিন্দাল জানিয়েছেন, তাঁকে তিনটি মেল করা হয়েছে বুধবার সকালে। সেই মেলে পাঠানো হয়েছে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটিও। বলা হয়েছে, একই অবস্থা হতে চলেছে নবীন ও তাঁর পরিবারেরও। প্রসঙ্গত, পয়গম্বর বিতর্কে এর আগেও খুনের হুমকি পেয়েছেন নবীন। দিল্লি পুলিশকে এই মেলের কথা জানিয়েছেন তিনি। সরকার ও প্রশাসনের কাছে পরিবার ও তাঁর নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন নবীন।

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ধানমণ্ডি এলাকার ওই দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশ। তারা শুরুতে নিহত দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডও করে হত্যাকারীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একাধিক বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে অভিযুক্তরা। এমনকী প্রধামন্ত্রীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। 

     

  • Udaipur Tailor Murder: “নৃশংস, ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা”, উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে সরব রাজনৈতিক মহল

    Udaipur Tailor Murder: “নৃশংস, ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা”, উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে সরব রাজনৈতিক মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বর মন্তব্যকে  সমর্থন করায় উদয়পুরের কানহাইয়া লাল (Kanhaiya Lal) নামে দর্জিকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। ফের নতুন করে  নূপুর শর্মার মন্তব্যকে ঘিরে হিংসার আগুন জ্বলছে রাজস্থানের (Rajasthan) উদয়পুরে (Udaipur)। সেখানে ওই ব্যক্তি নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন। তারপরই তাঁর মুণ্ড বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে হিংসার আগুনে জ্বলছে উদয়পুর। যারা হামলা চালিয়েছে তারা শুধুমাত্র তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেনি, সেই ঘটনা রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে। সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)- কেও হত্যা করার হুমকি দিয়েছে তারা। এই ঘটনাকে অনেকেই নিন্দা করেছেন ও  অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন দলের নেতারা। 

    ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ (Jamiat Ulama-i-Hind )-এর তরফে  উদয়পুর হত্যাকাণ্ডকে নিন্দা করা হয়েছে এবং এটিকে ইসলাম (Islam) ও দেশের আইনের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। জমিয়ত উলামা হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হালসিমুদ্দিন কাসমি (Maulana Halceemuddin Qasmi) উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন ও এটিকে ধর্মবিরোধী বলে অভিহিত করেছেন।

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট

    এদিন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এই ঘটনার নিন্দা করে ট্যুইটারে লেখেন, “আমি উদয়পুরে যুবকের হত্যার নিন্দা করছি। এ ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পুলিশ এই অপরাধের একেবারে মূলে যাবে। আমি সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি। এই ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “ আমি এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা না করার জন্য সবার কাছে আবেদন করছি। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”

    [tw]


    [/tw]

    এই ঘটনায় রাহুল গান্ধী ট্যুইটারে লিখেছেন,  উদয়পুরের এই জঘন্য হত্যাকান্ডে তিনি স্তম্ভিত। ধর্মের নামে কোনো হিংসা সহ্য করা হবে না।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: “রাজস্থান সরকারের তোষণের রাজনীতিই সাম্প্রদায়িক উসকানির মূলে”, শিরোশ্ছেদ প্রসঙ্গে বসুন্দরা রাজে

    অরবিন্দ কেজরীওয়াল লেখেন, উদয়পুরের ঘটনা খুবই ভয়াবহ। এই ঘটনাকে তীব্রভাবে নিন্দা করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) ট্যুইট করেন, ‘উদয়পুরে (Udaipur Murder) নৃশংস হত্যাকাণ্ড ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা। এমন হত্যাকাণ্ডকে কেউই সমর্থন করবে না। কারোর আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারোর নেই। আমরা সবসময় হিংসার বিরোধিতা করেছি। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

    [tw]


    [/tw]

    প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই ঘটনায় সরব হয়ে ট্যুইট করেন ও অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।

    [tw]


    [/tw]

    খবরসূত্রে জানা যায়, এই ঘটনার পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে না পারে তার জন্য এলাকার ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত  বাহিনী মোতায়েন করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করা করেছে রাজ্য সরকার।

     

  • SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মজার কাণ্ড সিবিআই (CBI) দফতরে। হেসেই লুটোপুটি তদন্তকারীরা। এমনও হতে পারে? কিন্তু এমনই হয়েছে। 

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) তদন্তে নেমে দুদফায় জেরা করা হয় শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। পার্থবাবু তদন্তকারীদের জানিয়ে এসেছেন, তিনি অজ্ঞ, এসএসসি চাকরি কীভাবে হয়েছে তা কিছুই জানেন না। কারণ এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা, মন্ত্রীকে কিছু জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। তবে এখানেই শেষ হচ্ছে না হাসির কারণ। তদন্তকারীরা দলিল-দস্তাবেজ খুলে বসতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি নন, সব জানেন স্কুল শিক্ষাসচিব (State education secretary)। এত কাণ্ড যে হয়েছে তা তাঁর জানাই ছিল না।

    পার্থবাবুর মুখে একথা শুনে মুচকি হাসি দেখা যায় তদন্তকারীদের মুখে। আপাতত দুদফায় জেরা করা হয়েছে তাঁকে। তার মাঝেই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে আরও তথ্য। সে সব সামনে রেখে ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেরা করা হবে বলে তদন্তের গতি-প্রকৃতির খবর যাঁরা রাখছেন, তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন। শিক্ষামহলের একাংশ অবশ্য এও দাবি করছেন, এসএসসি দুর্নীতির যাবতীয় দায় শিক্ষাসচিবের উপর চাপিয়ে দিয়ে পার্থবাবু আসলে শিক্ষা দফতরের বর্তমান হর্তা-কর্তাদের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    কারণ আদালতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির আসা ইস্তক বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তা হল, তাঁর আমলে এসব কিছু হয়নি। এমনকি আদালতে দাঁড়িয়ে সরকার বেনিয়মের প্যানেল বাতিল পর্যন্ত করতে উদ্যত হয়েছিল। যা এক প্রকার নিয়োগে দুর্নীতি মেনে নেওয়ারই সামিল। এর অর্থ বর্তমান শিক্ষা দফতরের কর্তারা দুর্নীতির দায় পুরনো মন্ত্রী-আমলাদের উপরই চাপিয়ে দিতে চাইছেন বলে বোকাসোকা মানুষেরাও বুঝতে পারছেন। 

    সেই কারণেই কি সিবিআইয়ের সামনে গিয়ে নিজের দায় ঝেরে ফেলে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের (Manish Jain) সরকারি দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এসেছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী? তদন্তকারীদের একাংশ সূত্রে পাওয়া গিয়েছে, নিয়োগ যে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সে কথাও ঠারেঠোরে বোঝাতে চেয়েছেন পার্থবাবু। অর্থাৎ, শিক্ষামন্ত্রী বদলানোর সঙ্গেই দায় কেউ বয়ে নিয়ে যান না, সেই পদে যাঁরাই বসে থাকেন তাঁদেরও সমান দায়ভার থেকে যায়। বিকাশ ভবনে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কানেও এ কথা পৌঁছেছে। তিনি ‘কাগজপত্র’ সামলাতে বিশেষ সতর্কতাও নিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি জানিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা সমর্থনযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    তবে শুধু পার্থবাবু নন, নিয়োগ সংক্রান্ত তদারক কমিটির সদস্যরাও সিবিআইয়ের ‘বন্ধু’ হওয়ার চেষ্টাই করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তদন্তকারীদের সামনে তাঁদের সকলের আকুতি, সহযোগিতা করছি, কিন্তু আমাদের যেন বেশি টানাটানি না করা হয়। সরকারের আইনজীবীরা বার বার সিবিআইয়ের তলব পাওয়া অফিসারদের পাখি পড়া করে পাঠাচ্ছেন, কোনও প্রশ্নেরই যেন জবাব দেবেন না। সূত্রের খবর, কিন্তু তদন্তের শুরুতে তাঁরা সেই চেষ্টা করলেও কাগজপত্র সামনে আনতেই তাঁদের ব্যবহার হয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাধ্য ছাত্রের মতো।

    যদিও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে আদালত থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানা প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। আদৌ কি কিছু হবে? এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত এক কর্তার কথায়, ‘রাজ্য পুলিশের দারোগাদের তদন্ত শুরু হয় অভিযুক্তকে গ্রেফতারি দিয়ে। তার পর নথি সংগ্রহ শুরু হয়। সিবিআই তদন্তের ধারা সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে তদন্ত শেষ করে গ্রেফতারি হয়। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রতারিত পরীক্ষার্থীকে বিচার দেওয়ার ভার দিয়েছে আদালত। সেই কাজ নিখুঁতভাবে করতে একটু সময় লাগবে।’

    (স্কুল শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্তকারী কমিটির সামনে কী বলেছেন তা মাধ্যম আগামীকাল জানাবে।) 

     

  • Rath Yatra 2022: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    Rath Yatra 2022: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাস্ত্র মতে, জ্যেষ্ঠ পূর্ণিমা ভগবান জগন্নাথের (Lord Jagannath) জন্মতিথি। জগন্নাথ ধামে, ভগবান বিষ্ণু (Lord Vishnu) জগন্নাথ রূপে বিরাজ করেন। এটিই একমাত্র মন্দির যেখানে ভগবানের বিগ্রহ কাষ্ঠের আর এখানে জগন্নাথ নিজের দাদা বলভদ্র ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে পূজিত হন। হাজার বছরের পরম্পরা অনুযায়ী, প্রতি বছর জ্যেষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ নিজের ভাই এবং বোনের সঙ্গে ১০৮টি কলসির জলে পবিত্র স্নান করেন।

    পৌরাণিক ধ্যান-ধারণা মতে, অত্যাধিক স্নানের কারণে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান জগন্নাথের অসুস্থতাকে তাঁর ‘জ্বরলীলা’ বলা হয়। যে কারণে একান্তবাসে থাকতে হয় তাঁদের। এর পর ১৫ দিনের জন্য মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকজন পুরোহিত বৈদ্যের মতো ভগবানের সেবা করে তাঁর চিকিৎসা করেন। তাঁদের আয়ুর্বেদিক ক্বাথ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রার তিন রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    অসুস্থ হয়ে পড়ার পর রত্নজড়িত বস্ত্রের পরিবর্তে সুতির শ্বেত বস্ত্র পরিধান করেন তাঁরা, আভুষণও খুলে রাখা হয়। ভোজনে দেওয়া হয় ফল, ফলের রস, তরল পদার্থ। পঞ্চম দিন বড় ওড়িয়া মঠ থেকে ফুলেরি তেল আসে, যা দিয়ে হাল্কা মালিশ করা হয়। এর পর রক্তচন্দন ও কস্তুরির প্রলেপ লাগানো হয়। এ সময় তাঁকে হাল্কা খাবার, যেমন, দুধ, ফলের রস ও কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়ানো হয়। 

    ভগবানের চিকিৎসার জন্য ভেষজ দশমূলী ওষুধ প্রস্তুত করা হয়। যার মধ্যে স্থানীয় ভাষায় অুসারে, শালা পার্নি, বেল, কৃষ্ণ পার্নি, গামহারি, আগিবাথু, লুবিং কলি, অঙ্কান্তি, তিগোখারা, ফানফানা, সুনারি, বৃহাটি ও পোটলি মিশিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয়। আয়ুর্বেদে এই ওষুধগুলির উল্লেখ আছে। এমতাবস্থায় তাদের দেওয়া হবে ঘোল, খিচড়ি, মুগ ডালসহ হালকা খাবার। দশম দিনে দশমুলারিষ্ঠে নীম, হলুদ, হরড়, বহেড়া, লবঙ্গ ইত্যাদি জড়িবুটির জল দিয়ে নরম মোদক বানিয়ে খেতে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজো! জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    রথযাত্রার (Jagannath Rath Yatra) একদিন আগে, জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁদের মন্দিরের গর্ভগৃহে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পর তাঁরা নিজের মাসির সঙ্গে দেখা করতে গুন্ডীচা মন্দির যান। এখানে বিভিন্ন প্রকারের ব্যঞ্জন তাঁকে ভোগে দেওয়া হয়। মাসির বাড়িতে ৯ দিন কাটিয়ে পুনরায় মন্দিরে ফিরে আসেন।

LinkedIn
Share