Blog

  • Bangladesh Crisis: আরও বিপাকে ইউনূস! আমেরিকার পর বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করল সুইৎজারল্যান্ডও

    Bangladesh Crisis: আরও বিপাকে ইউনূস! আমেরিকার পর বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করল সুইৎজারল্যান্ডও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণ আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। দেশের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নগদ টাকার জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ফেরাতে সক্ষম হয়নি, বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে বাংলাদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা করে দিল সুইস সরকার। বিশ্বের উচ্চবিত্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম সুইৎজারল্যান্ড (Switzerland)। আমেরিকার (US) পর এবার বাংলাদেশের মাথা থেকে হাত সরিয়ে নিল তারাও।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতায় টাকা ঢালা কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের (Switzerland) সংসদ। আর সেই সূত্র ধরেই চলতি বছরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ১২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরিয়ে নিল তারা। পাশাপাশি, ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ছেঁটে দেওয়া হল ৩৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ত্রাণ বন্ধের জেরেই এবার বিপাকে পড়তে চলেছে বেশ কয়েকটি দেশ, যার মধ্যে অন্যতম ‘ইউনূসের বাংলাদেশ’। সুইস ফেডারেল কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ-সহ (Bangladesh Crisis) প্রভাব পড়বে আলবানিয়া ও জামবিয়াতেও। তাদের আরও দাবি, আপাতত ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই সহযোগিতা চালানো হবে। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতা পাবে না এই দেশগুলি।

    ইউনূসের বৈঠক ব্যর্থ

    সম্প্রতি সপার্ষদ সুইৎজারল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস৷ সুইৎজারল্যান্ডে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন স্তরে তিন দিনে ৪৭টি বৈঠক করেছিলেন ইউনূস৷ সেই বৈঠকগুলি দারুণ ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানায় বাংলাদেশ সরকার৷ কয়েকদিন যেতে না যেতে বাংলাদেশের সেই আশায় জল ঢেলে দিল সুইস সরকার৷ তারা জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশে যে প্রকল্পগুলি সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন চালাচ্ছিল, ২০২৮ সালের মধ্যে সেই সমস্ত প্রকল্প গুটিয়ে নেবে তারা৷

    ট্রাম্প সরকারের ধাক্কা

    ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) চাপানউতোরের মধ্যেই এর আগে ঢাকার ওপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা (US)। মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেই বড় ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই আমেরিকার ডোনার এজেন্সি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) বাংলাদেশে তার অর্থ সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতিতে কয়েকশো কোটি টাকা সাহায্য করে আমেরিকা। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে আরও বিপাকে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশে পরিবেশ, শিক্ষা, কৃষকদের জন্য রোজগারে বিপুল অর্থসাহায্য করে আমেরিকা। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার জন্য টাকা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার থেকে সেই সুবিধা আর পাবেন না মহম্মদ ইউনূসের সরকার।

    অর্থনৈতিক অচলাবস্থা পদ্মা পাড়ে

    শেখ হাসিনা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়ার পর থেকে কার্যত অচলাবস্থা শুরু হয়েছে পদ্মা পাড়ে। বাংলাদেশের টাকার দামও পড়ছে লাগাতার। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক টাকা তোলার যে সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আওতায় একদিনে ২ লক্ষের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না নাগরিকরা। ঢাকার পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি করা যাবে না বলে নির্দেশ এসেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে আমদানিকৃত পণ্যেরও দামও বাড়াতে পারছেন না, আবার আগের মতো বেশি সংখ্যক মানুষও আসছেন না বাজারে। ফলে ব্যবসায় লাভ নেই বলে অভিযোগ উঠে আসছে। গত কয়েক মাসে শহরাঞ্চলগুলি যদিও বা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে, গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি বেশ থমথমে।

    কী ভাবছেন অর্থনীতিবিদরা

    বাংলাদেশের রাজকোষে (Bangladesh Crisis) সঞ্চিত অর্থ নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রা দিনে দিনে কমছে। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে আশাবাদী। তবে আশার আলো দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, মূদ্রাস্ফীতি কমাতে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ বাড়াতে হবে, কমাতে হবে আমদানিকৃত শুল্কের উপর বসানো করের হার। বন্দরগুলিকে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে বিদেশি সাহায্যের বিষয়েও ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করতে হবে ইউনূস সরকারকে।

  • Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে সরস্বতী পুজোয় (Saraswati Puja) বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সাব্বির আলি। অভিযোগ, তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি দিয়েছেন সরস্বতী পুজো করলে খুন করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এক আইন পড়ুয়াকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনা দক্ষিণ কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে। এই নিয়েই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। মমতা সরকারকে এই ইস্যুতে একহাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় ইমেল মারফত কলেজের পড়ুয়ারা অভিযোগ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। একইসঙ্গে অভিযোগ জানানো হয়েছে কলেজের পরিচালনা সমিতিতে থাকা মালা রায় এবং দেবাশিস কুমারকে। এঁদের দুজনই আবার তৃণমূলের নেতা-নেত্রী। মালা রায় দক্ষিণ কলকাতার সাংসদও বটে। পড়ুয়াদের (Saraswati Puja) করা সেই ইমেলেরই স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমের পাতায় তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে দিল্লি থেকে ফিরে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    সমাজমাধ্যমে (Saraswati Puja) কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে এতদিন ধরে উগ্র ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের কাছ থেকে যে ধরনের হুমকি শোনা যাচ্ছিল, তা এখন আমাদের বাড়ির চারপাশেই শোনা যাচ্ছে। রাস্তার নাম ‘আনোয়ার শাহ’ হওয়ায় এলাকায় সরস্বতী পুজোর কোনও আয়োজন করা যাচ্ছে না! একটি ইসলামি মৌলবাদী দল দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী কলেজে প্রবেশ করে ফতোয়া জারি করে চলে গিয়েছে। একটু ভেবে দেখুন- তুষ্টিকরণ চালানো অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে তারা কতটা সাহসী হলে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাতে পারে? এক মুহূর্ত ভেবে দেখুন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এই ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে ঘটছে। তবুও তিনি কিছুই জানেন না!’’

    শুভেন্দু অধিকারীর বিবৃতি

    গতকাল বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সরস্বতী পুজো বন্ধ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরস্বতী পুজোয় কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে মন দিন।’’ এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। সনাতনীরদের একটা কর্মসূচি দেখে ওদের হিংসা হয়। তাই এই কথা বলছেন! বিরোধীরা তুষ্টিকরণের কাজ করছে। হরিণঘাটায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি সরস্বতী পুজো রুখছে, সেদিকটা দেখা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’

    ‘‘সাব্বির আলির দাপটে কলেজ যেতে পারি না’’, দাবি অধ্যক্ষের

    এই বিষয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তাঁর দাবি, ‘‘আমি সাব্বির আলির দাপটে কলেজে যেতে পারি না। বাড়ি থেকে কাজ করতে হয়। কলেজে গেলেই ওর ছেলেরা আমায় হেনস্থা করে। যে ঘটনা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত বছর কলেজে ঢুকতে গিয়ে আমায় হেনস্থা করা হয়েছে। আমার ৪০ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এমন দেখিনি। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। আছে অর্থনীতি। অর্থাৎ পয়সা খোলামকুচির মতো দাও। নয়ত ঝামেলা করবে।’’

    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য

    এই ইস্যুতে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতিতে কোনও কালেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে দেখা হত না। যদি কলকাতার বুকে মুখ্যমন্ত্রীর কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, তাহলে বুঝতে হবে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু যেমন চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি হয়ে গিয়েছেন, তেমন হিন্দু উদ্বাস্তু বাঙালি তৃণমূলের কারাগারের বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বাঁচাতে হবে। বাংলাকে তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি করতে হবে।’’

    এবিভিপির প্রতিবাদ কর্মসূচি

    এই ইস্যুতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে আরএসএস-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সংঠনের রাজ্য নেতাদের সাফ কথা, আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি ও পুজো বন্ধ করার নিদান দিয়ে ফের একবার নিজেদের ছাত্রবিরোধী প্রমাণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এবিভিপি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এমন অবস্থায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। শুক্রবার এই ঘটনার প্রতিবাদে টালিগঞ্জে নবীনা সিনেমা হলের বিপরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে এবিভিপি।

    গুন্ডাগিরির অভিযোগ আগেও উঠেছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে

    উল্লেখ্য, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজো করলে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সাব্বির আলি। এমনটাই অভিযোগ পড়ুয়াদের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে তাঁরা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন অধ‍্যক্ষের কাছেও। পড়ুয়াদের বিস্ফোরক অভিযোগ, কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো না করতে হুমকি দেন তৃণমূলের নেতা সাব্বির আলি। একইসঙ্গে ওই পুজোর আয়োজন হলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন তিনি। হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। মেয়েদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব।’’ প্রসঙ্গত, এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। এর আগেই সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে গুন্ডাগিরির অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। এর পর সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উচ্চ আদালত। কিন্তু তার পরও সাব্বির ও তাঁর শাগরেদরা ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি নদিয়ার হরিণঘাটা থানা এলাকার নগরউখড়ার একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার হুমকি দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন। পুজো করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ১ দিনের মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই আলিমুদ্দিন। এরপরে ফের সামনে এল দক্ষিণ কলকাতার ঘটনা।

  • Gulen Bari: গুলেন বারি! কেন হচ্ছে এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? কতটা বিপজ্জনক জানেন?

    Gulen Bari: গুলেন বারি! কেন হচ্ছে এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? কতটা বিপজ্জনক জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরেক আতঙ্ক হাজির! নাম গুলেন বারি (Gulen Bari)! মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই কয়েকশো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন! বাদ নেই কলকাতাও! আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে! তাই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে! করোনা মহামারির স্মৃতি এখনও টাটকা! তার মধ্যেই আরেকটি জটিল রোগের প্রকোপ বেড়ে চলায়, আতঙ্ক বাড়ছে! কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং, সতর্ক থাকলেই মোকাবিলা করা যাবে এই রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, গুলেন বারি এক বিরল প্রজাতির স্নায়ুঘটিত রোগ! তবে এই রোগ নিরাময় সম্ভব। প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদের ঝুঁকিও কম। মহামারির (Epidemic) আকার নেবে না। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং সচেতনতা জরুরি।

    গুলেন বারি কী (Gulen Bari)?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুলেন বারি (Gulen Bari) একটা স্নায়ু ঘটিত রোগ। যাকে অটোইমিউন ডিজঅর্ডার বলা হয়। অর্থাৎ এই রোগে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি, নিজের স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। হাত ও পায়ে অসাড়তা দেখা দেয়। আক্রান্ত খুব দ্রুত পক্ষাঘাতগ্রস্ত (Epidemic) হয়ে যেতে পারে।

    কেন হচ্ছে এই রোগ?

    স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম্পাইলো ব্যাক্টেরিয়া, সাইটোমেগালো ভাইরাসের মতো নানান জীবাণুর সংক্রমণ থেকে গুলেন বারি (Gulen Bari) সংক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকলে এই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। বিশেষত ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো সমস্যায় আক্রান্তদের এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগের সংক্রামক ক্ষমতা শক্তিশালী নয়। অর্থাৎ একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে এই রোগ ছড়ায় না। তবে, দূষিত জল এবং বিষাক্ত খাবার থেকেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই জল ও খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। বিশেষত শিশুদের পরিশ্রুত জল দেওয়া দরকার। যাতে এই রোগের প্রকোপ কমানো‌ যায়।

    কীভাবে চিনবেন এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উপসর্গ (Epidemic) সম্পর্কে সতর্কতা জরুরি (Gulen Bari)। তাহলে এই রোগ মোকাবিলা সহজ হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে কথা বলার ক্ষমতা কমে যায়। হাত ও পায়ে শিথিলতা দেখা যায়। হাঁটাচলার ক্ষমতা কমতে থাকে। মস্তিষ্কের ক্ষমতাও কমে। তাই দিনের স্বাভাবিক কাজের ক্ষমতা কমে যায়। আক্রান্ত হওয়ার দিন দশেকের মধ্যেই সমস্যা জটিল হয়ে যায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। রেসপিরেটরি যন্ত্রে অসাড়তা তৈরি হলেই আক্রান্ত শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তখন রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে।

    এই রোগ মোকাবিলা সম্ভব?

    স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুলেন বারি (Gulen Bari) মোকাবিলা সম্ভব। যদি প্রাথমিক পর্বেই রোগ নির্ণয় করা যায় এবং চিকিৎসা শুরু হয় তাহলে সহজেই এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হয়। আবার স্বাভাবিক জীবনেও ফিরে আসা সম্ভব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাহলে নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এই‌ রোগে আক্রান্ত (Epidemic) হলে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। আক্রান্তের শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে। এর ফলে রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন হয়। আর তার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকা দরকার। অনেক সময়েই রোগীকে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস হাসপাতালে থাকতে হয়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Children’s Disease:  সন্তান পেটের অসুখে কাবু? শীতের মরশুমে কেন বাড়ছে এই ভোগান্তি?

    Children’s Disease: সন্তান পেটের অসুখে কাবু? শীতের মরশুমে কেন বাড়ছে এই ভোগান্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের মরশুমে (Winter Season) দাপট বাড়াচ্ছে পেটের অসুখ! বিশেষত শিশুরা পেটের অসুখে (Children’s Disease) বেশি কাবু হচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি মরশুমে শিশুদের পেটের অসুখ বাড়ছে। সঙ্গে হচ্ছে জ্বর। আর এই ভোগান্তি বেশ দীর্ঘমেয়াদি। ফলে, একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর তাই প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা এবং ডাক্তারদের পরামর্শ।

    কেন শিশুদের পেটের অসুখ বাড়ছে?

    শিশুরোগ (Children’s Disease) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের এই মরশুমে (Winter Season) পেটের অসুখ বাড়ছে! তার কারণ আবহাওয়া এবং খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শরীরের ভিতর গরম হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যায়। তাই শরীর নিজস্ব ভাবে তাপমাত্রা তৈরি করে, যাতে এই আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে পারে। তার সঙ্গে শীতের মরশুমে নানান উৎসব থাকে। চলে নানান রকমের খাবার খাওয়া। আর এই দুইয়ের জেরেই বাড়ছে পেটের অসুখ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর গরম থাকার কারণে অনেক সময়েই হজমের গোলমাল হয়। তার জেরেই পেটের অসুখ হতে পারে। আবার শীতে অনেকেই অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খায়। বাড়ির ছোটদেরও দেওয়া হয় ওই খাবার। আর প্রাণীজ প্রোটিন‌ সহজপাচ্য হয় না। তাই পেটের সমস্যাও হতে পারে।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া যাবে না।‌ বিশেষত শিশুদের রাতের দিকে অতিরিক্ত মশলা জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন দেওয়া যাবে না। তাতে হজমের গোলমাল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। মাছ, মাংস কিংবা ডিম জাতীয় খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত সবজি থাকা জরুরি। এতে হজম ভালো‌ হয়, অন্ত্র সুস্থ থাকে। ফলে পেটের অসুখের ঝুঁকি কমে। নিয়মিত স্নান জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের আবহাওয়ায় (Winter Season) শরীর প্রাকৃতিক ভাবেই গরম থাকে। তাই পেটের গোলমাল এড়াতে নিয়মিত স্নান জরুরি। নিয়মিত স্নান করলে শরীর সুস্থ থাকবে। অসুখের ঝুঁকিও কমবে।

    নিয়মিত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া দরকার

    খাবারের জলের দিকে বাড়তি নজরদারি দরকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের পেটের অসুখের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত পরিশ্রুত জল নিশ্চিত করতে হবে। পাশপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ জল শিশু খাচ্ছে কিনা সেটাও নজরদারি জরুরি‌। কারণ, শরীরে জলের ঘাটতি হলে অন্ত্র এবং পাকস্থলীর নানান অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। শীতকালে (Winter Season) আরও বেশি পেটের সমস্যা দেখা যায়। নিয়মিত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া দরকার। তাছাড়া, হাত পরিষ্কার করার দিকেও‌ নজর দিতে হবে। খাওয়ার আগে এবং পরে, বাইরে থেকে এসে হাত পরিষ্কার করা হচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ, হাত থেকেই নানান ব্যাক্টেরিয়া শরীরে পৌঁছয়, যার থেকে একাধিক অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian C-17: জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক উদ্ধার, কমান্ডোদের রোমাঞ্চকর অভিযান সামনে আনল কেন্দ্র

    Indian C-17: জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক উদ্ধার, কমান্ডোদের রোমাঞ্চকর অভিযান সামনে আনল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের মার্চ মাসে সোমালিয়াতে ঘন অন্ধকারে ১৭ জন নাবিককে জলদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করে ভারতীয় বাহিনী। উপকূল বাহিনী ও বিমান বাহিনীর (Indian C-17) যৌথ অভিযানের রোমাঞ্চকর কাহিনী জনসমক্ষে আনল মোদি সরকার। একই সঙ্গে সম্মান জানানো হয়েছে পাইলট অক্ষয় সাক্সেনাকে। কারণ তিনি এই অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল মিশনকে সফল করতে সামরিক বিমান উড়িয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে ভারতীয় বায়ু সেনা সঙ্গে যুক্ত অক্ষয় সাক্সেনা।

    ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস c17 বিমানের দায়িত্ব পান অক্ষয় সাক্সেনা

    ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তাঁকে c17 বিমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের আবহে তাঁর অসীম সাহস এবং বীরত্বের জন্য বায়ু সেনা পদক দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে উইং কমান্ডার অক্ষয় সাক্সেনা যে মিশনের (Indian C-17) দায়িত্বে ছিলেন, তা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদসঙ্কুল ছিল। কারণ অন্য দেশের আকাশ সীমাকে ব্যবহার করতে হয়েছিল এই মিশনে। একই সঙ্গে জলদস্যুদের আটক করতে বিভিন্ন দুটি কম্ব্যাড রাবার বোটকে এবং ১৮ জনের একটি দলকে বিমান থেকে নামাতে হয়েছিল।

    রোমাঞ্চকর অভিযান (Somali Coast)

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে বিমানের (Indian C-17) ক্যাপ্টেন উইং কমান্ডার অক্ষয় সাক্সেনা অত্যন্ত সতর্কভাবে বিমান ওড়াতে থাকেন এবং দেশের সীমার বাইরে যে সমুদ্র পড়ছে সেখানে তিনি অত্যন্ত নিচুস্তর দিয়ে উড়ে যান। সন্ধ্যার সময় তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি কমান্ডোদের রবার বোটে নামানো সিদ্ধান্ত নেন, যাতে তাঁদের কেউ শনাক্ত না করতে পারে। নামার আগে নির্ভুলভাবে এবং অত্যন্ত নিরাপদে তিনি ড্রপ করেন কমান্ডোদের। যার ফলে জলদস্যুতের আটক করা সম্ভব হয় এবং এর পরেই এমভি রুইন-র ১৭ নাবিককে বাঁচানো সম্ভব হয়। অত্যন্ত রোমাঞ্চকর এই অভিযানের নেতৃত্ব দানের জন্য বিশেষ সম্মান পেয়েছেন অক্ষয় সাক্সেনা। জানা গিয়েছে, গোটা অভিযানটি হয়েছিল ১০ ঘণ্টা ধরে। ভারতীয় নৌ বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে এই অভিযান সম্পন্ন করে বায়ু সেনা। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার এই অভিযানে সমস্ত দিক থেকে গোপনীয় রাখা হয়েছিল।

  • Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় ২২২টি বিশেষ ট্রেন! রেকর্ড গড়ল প্রয়াগরাজ রেল ডিভিশন

    Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় ২২২টি বিশেষ ট্রেন! রেকর্ড গড়ল প্রয়াগরাজ রেল ডিভিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যার (Mauni Amavasya) পবিত্র দিনে প্রায় ৮ কোটি তীর্থযাত্রী প্রয়াগরাজে উপস্থিত হন। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর পবিত্র সঙ্গমে ডুব দিলে পাপমোচন হয় এবং মোক্ষ লাভ সম্ভব হয়। তার উপর এবারের কুম্ভ মেলাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে বিরল গ্রহগত অবস্থান, যা ধর্মীয় মহলে বিরাট তাৎপর্য বহন করছে। সেই নিয়েই ৪৫ দিনের জন্য মেতে উঠেছে প্রয়াগরাজ। সঙ্গমে পুণ্যস্নান সেরে পাপমুক্ত হওয়ার আশায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে ভিড় করেছেন ভক্তরা। মৌনী অমাবস্যার আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেনে চেপেই অধিকাংশ ভক্ত প্রয়াগরাজে আসেন। ভক্তদের বিশাল আগমন সামলাতে এদিন রেলওয়ে ৩৬০টিরও বেশি ট্রেন চালায়। মেলা উপলক্ষে এদিন ২২২টি বিশেষ ট্রেন চালানোর রেকর্ডও স্থাপন করেছে প্রয়াগরাজ। বুধবার এই বিশেষ ট্রেনগুলো প্রয়াগরাজের বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে সারাদিন চলেছে।

    রেল প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি

    মৌনী অমাবস্যায় প্রয়াগরাজ রেলওয়ে প্রশাসন খুব ভাল কাজ করেছে বলে রেল সূত্রে খবর। এদিন প্রয়াগরাজ জংশন (এনসিআর) থেকে ১০৪টি মেলা বিশেষ ট্রেন, চেওকি থেকে ২৩টি, নৈনি থেকে ১৭টি, সোবেদারগঞ্জ থেকে ১৩টি, প্রয়াগ স্টেশন (এনআর) থেকে ২৩টি, ফতহমাউ থেকে ৫টি, রামবাগ (এনইআর) থেকে ৯টি, ঝুঁসি থেকে ২৮টি বিশেষ ট্রেন চলে। এছাড়াও ৫টি এক্সটেন্ডেড ট্রেন, ৫টি রিং রেল, ৩টি লং ডিস্টেন্স ট্রেন এবং ৬৯টি নন-টাইটেল ট্রেন পরিচালিত হয়েছে। প্রচণ্ড ভিড় যখন সকাল ৮টার দিকে সৃষ্ট হয়, খুসরো বাগ হোল্ডিং এলাকা দ্রুত সক্রিয় করা হয়। সিভিল পুলিশের সহায়তায় ভক্তদের খুসরো বাগ থেকে প্রয়াগরাজ স্টেশন পর্যন্ত সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করা হয়, যাতে তারা সহজে ট্রেনে চড়তে পারেন। এনসিআর জেনারেল ম্যানেজার উপেন্দ্র যোশী নিজে যাত্রীদের গতিবিধি নজরে রাখেন। যাত্রী নিরাপত্তায় যাতে কোনও ত্রিটি না থাকে তা দেখেন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার হিমাংশু বাদোনি।

    কেন এত ভিড়

    পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের পর যখন অমৃত কলস উঠে আসে, তখন অমৃতের ভাগ নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে লড়াই বাধে। ইন্দ্রের ছেলে অমৃতের কলস নিয়ে পালান, তখন অসুররা তাঁকে ধাওয়া করে। সেই সময় মোট ১২টি স্থানে অমৃত চলকে পড়ে। তার মধ্যে আটটি স্থান স্বর্গে এবং চারটি স্থান মর্ত্যে। মর্ত্যের এই চার স্থান হলো প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক ও উজ্জ্বয়িনী। ১২ দিন ধরে এই ধাওয়া চলতে থাকে। স্বর্গের এক দিন মর্ত্যের এক বছরের সমান। সেই কারণে ১২ বছর অন্তর পূর্ণকুম্ভ হয়। আবার, বৃহস্পতি ১২ বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। বৃহস্পতির মহাজাগতিক শক্তি ১২ বছর অন্তর পৃথিবীতে এসে পড়ে বলেও ১২ বছর অন্তর আয়োজিত হয় পূর্ণকুম্ভ। আর, ১২ বার পূর্ণকুম্ভের পর আয়োজিত হয় একটি মহাকুম্ভ। এই কারণে ১৪৪ বছর পর আয়োজিত এই মহাকুম্ভ ঘিরে বিপুল উন্মাদনা।

  • DeepSeek: সব উত্তর ঠিক দিচ্ছে কি ডিপসিক? বিশ্বে ঝড় তোলা এই চিনা এআই কতটা নিরাপদ?

    DeepSeek: সব উত্তর ঠিক দিচ্ছে কি ডিপসিক? বিশ্বে ঝড় তোলা এই চিনা এআই কতটা নিরাপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই সপ্তাহে চিনা এআই প্ল্যাটফর্ম ডিপসিক (DeepSeek) প্রযুক্তি দুনিয়াতে ঝড় তোলে এবং সোমবার ওয়াল স্ট্রিটেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলে, যার ফলে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এনভিডিয়া এবং গুগলের শেয়ারদরে বড় পতন দেখা যায়। যদিও অ্যাপটির প্রশংসা হচ্ছে, তবে এর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিয়েও সম্প্রতি নানা প্রশ্ন উঠছে। বিশেষত, এই অ্যাপকে কেন্দ্র করে প্রাইভেসি এবং সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ভিপিএন-এর মতো প্রাইভেসি সফটওয়্যারও এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয় বলে মনে করা হচ্ছে।

    ডিপসিক কী

    ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থেকে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি, সর্বত্র নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করার পর এবার ড্রাগনের দেশের নজরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ডিপসিক, চিনের কোম্পানি। চ্যাটজিপিটির সমান, বা তার থেকেও বেশি। কিন্তু খরচ এবং লোকবল অনেক কম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এই ধরনের প্রোগ্রাম তৈরি করতে মার্কিন সংস্থা এনভিডিয়ার এ-১০০ চিপ প্রয়োজন। কিন্তু পরে আমেরিকা-চিন বিবাদে এই এ-১০০ চিপ আসা বন্ধ হয়ে যায়। ডিপসিকের (DeepSeek) মালিক লিয়াং ওয়েনফেং বুদ্ধি করে প্রচুর এ-১০০ চিপ জড়ো করে রেখেছিলেন। তাই দিয়েই কামাল করে দিয়েছেন লিয়াং। অর্থাত্‍ মার্কিন প্রযুক্তিতেই, আমেরিকার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জগতকে কুপোকাৎ করে দিয়েছে চিনের লিয়াংয়ের এই ডিপসিক! ওপেন এআই-এর চ্যাট জিপিটি, গুগলের জেমিনি থেকে ক্লাউড এআই সকলকে বিগত কয়েকদিনেই কার্যত শুইয়ে দিয়েছে এই ডিপসিক। হিসেব বলছে চ্যাট জিপিটি বা ক্লাউড এআইয়ের থেকে অন্তত ১৪% এগিয়ে কাজ করছে ডিপসিক। আর খরচ? ওই মার্কিন কোম্পানিগুলোর থেকে ৯০-৯৫% কম। তবে সমস্যাও রয়েছে প্রচুর।

    প্রাইভেসি ম্যানেজমেন্ট

    ডিপসিকের (DeepSeek) প্রথম প্রাইভেসি সমস্যা হল, ব্যবহারকারীদের গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লগ ইন করতে বলা হয়। এতে ডিপসিক গুগল থেকে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ইমেল ঠিকানা এবং প্রোফাইল ছবি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। প্রাইভেসি পলিসিতে বলা হয়েছে, যখন আপনি কোনও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে লগ ইন করবেন, তখন ওই সেবা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে। পলিসি অনুযায়ী, ডিপসিকের পার্টনাররা আপনার কার্যকলাপ সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করতে পারে, যা অন্য ওয়েবসাইটে বা অন্য সেবায় আপনার ক্রয়কৃত পণ্য বা সেবার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। ডিপসিক আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ করে। যেমন আইপি ঠিকানা, ডিভাইস মডেল, প্রোফাইল তথ্য, কুকি, পেমেন্ট তথ্য এবং পাঠানো টেক্সট, অডিও ইনপুট, আপলোড করা ফাইল, প্রতিক্রিয়া এবং চ্যাট ইতিহাসও রেকর্ড করা হতে পারে। যদিও প্রাইভেসি পলিসি বলছে যে চ্যাট ইতিহাস এবং কিছু কুকি নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব, তবে এর ফলে সেবার কার্যকারিতা প্রভাবিত হতে পারে।

    নির্বাচিত উত্তর

    ডিপসিকের (DeepSeek) কার্যকারিতা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে চিনের রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে। চিনা ইস্যু সম্পর্কিত প্রশ্ন যেমন “ভারত-চিন যুদ্ধ কে জিতেছে?”, “সি জিনপিং কে?”, বা “তিয়ানআনমেন স্কয়ারে কী ঘটেছিল?”, এসবের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে ডিপসিকের একমাত্র উত্তর ছিল, “দুঃখিত, এটি আমার বর্তমান সীমার বাইরে, অন্য কিছু বলুন।” আসলে ডিপসিক চিনের রাজনৈতিক বিষয়ে নির্দিষ্ট উত্তর দিতে বা ওই সব বিষয়ে আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে। চিনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিতর্কিত বিষয় যেমন তাইওয়ান, দালাই লামা এবং হংকংয়ের প্রতিবাদ সম্পর্কে ডিপসিক সঠিক উত্তর দিচ্ছে না। ডিপসিক তাইওয়ানকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ডিপসিক বলেছে, “তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য কোনও প্রচেষ্টা সফল হবে না।”

    সাইবার নিরাপত্তা উদ্বেগ

    ডিপসিকের (DeepSeek) একটি বড় উদ্বেগ হলো এর সাইবার নিরাপত্তা দুর্বলতা। কেলা সাইবারসিকিউরিটি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি সহজেই ‘জেলব্রেক’ করা যায়। যার মানে হল যে, কেউ চাইলে এর মাধ্যমে ক্ষতিকর আউটপুট তৈরি করতে পারে। ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টা এখানে একেবারেই ফলপ্রসূ নয়, কারণ যদি আপনি ডিপসিকের মাধ্যমে আপনার তথ্য প্রদান করেন, তবে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করা হবে, যেটি ভিপিএন দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবে, ডিপসিক একটি এমন টুল হিসেবে পরিচিত, যা এখনও অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর প্রাইভেসি পলিসির কারণে ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। চিনা সংস্থা, নিরাপত্তা ঝুঁকি এর সবচেয়ে বড়। ফোন থেকে ডেটা, চুরি করলে তার দায় কিন্তু কারোর নয়। তাই ডিপসিক ব্যবহার করলে তা উপভোগ করতে হবে সম্পূর্ণ নিজের রিস্কে।

  • Sheikh Hasina: ট্রাম্পের তহবিল বন্ধের সিদ্ধান্তে আশাবাদী হাসিনার দল, ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ধর্মঘটের ডাক

    Sheikh Hasina: ট্রাম্পের তহবিল বন্ধের সিদ্ধান্তে আশাবাদী হাসিনার দল, ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ধর্মঘটের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মসনদে ক্ষমতায় বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (USAID) বাংলাদেশকে যে অনুদান দিত সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার রাষ্ট্রপতির এমন পদক্ষেপকে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করা হচ্ছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিক থেকে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে শেখ হাসিনাও (Sheikh Hasina) মনে করছেন যে, তিনি এখনও প্রাসঙ্গিকতা হারাননি। এই আবহে বাংলাদেশে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে হাসিনার দল।

    আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতা কী বলছেন?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামি লিগের একজন বর্ষীয়ান নেতা জানান, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া এমন সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন। তিনি জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে কী করে বেড়াচ্ছে তা গোটা দুনিয়ার সামনে প্রতিফলিত হল। ভারতেরই এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে ওই নেতা বলেছেন, ‘‘আওয়ামি লিগের কর্মীরা এখনও ঐক্যবদ্ধ এবং যখনই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা হবে, তখনই তাঁরা লড়াই শুরু করবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আমাদের পথপ্রদর্শক। আমরা তাঁকে কোনওদিনই ছেড়ে যাব না। আমরা আমাদের দেশকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ছেড়েও দেব না। আমাদের জনগণ জানে শেখ হাসিনা দেশের জন্য ঠিক কি কি কাজ করেছেন এবং তিনি এখনও বিপুল বাংলাদেশির সমর্থন পান।’’

    নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন হাসিনা

    প্রসঙ্গত, জামাত-বিএনপির চক্রান্তে বাংলাদেশের গণভবন দখল করার দিনই সেদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।তিনি তড়িঘড়ি রওনা দেন ভারতের উদ্দেশে। বর্তমানে ৮ মাস ধরে তিনি নির্বাসিত হয়ে রয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে। অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ এখনও পর্যন্ত তাঁর দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলেছেন এবং কিভাবে আওয়ামি লিগকে আরও সংঘটিত করা যায়, সেদিকেই মন দিয়েছেন। তাঁর সহকর্মী এবং দলের কর্মীদের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে একাধিক পথ অবলম্বন করেছেন শেখ হাসিনা। ভারতেরও বিভিন্ন শহরে যেমন, দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরু এমনকী, বিদেশেও আওয়ামি লিগের বিভিন্ন সদস্যরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলেছেন এবং প্রয়োজনে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও সম্পন্ন করছেন তাঁরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে এমন খবরই প্রকাশ পেয়েছে।

    ভার্চুয়ালভাবে গড়ে উঠেছে গ্রুপ

    গত অগাস্ট মাসে রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলের পরে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ শুরু করেন। তখন থেকেই আওয়ামি লিগে তাঁর বিশ্বস্ত কর্মীদের নিয়ে একটি তৈরি দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ তিনি রেখে চলেছেন বলে খবর। একই সঙ্গে ট্র্যাকিং এড়িয়ে নিরাপদ যোগাযোগ রাখতে ভিপিএন প্ল্যাটফর্ম তিনি ব্যবহার করছেন বলে খবর। এক ডজনেরও গ্রুপ ভার্চুয়ালি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এইগুলোতেই হাসিনা নিয়মিতভাবে নির্দেশ দেন তাঁর দলের কর্মী-সমর্থক এবং নেতাদের। যাঁরা তাঁর অত্যন্ত বিশ্বস্ত। জানা গিয়েছে, এই গ্রুপগুলিতে রয়েছেন নাগরিক সমাজের সদস্যরা।

    আওয়ামি লিগের বৈঠকগুলিতে কী নিয়ে আলোচনা?

    আওয়ামি লিগের এই সমস্ত গ্রুপগুলির বিভিন্ন মিটিংয়ে উঠে আসে মূলত ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা, আওয়ামি লিগের আগামী পরিকল্পনা, দলের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা, হাসিনার নির্দেশ। এই সমস্ত কিছুই আলোচনা করা হয় এই গ্রুপগুলির মাধ্যমে। এইভাবেই শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এখনও পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, সর্বসমক্ষে আওয়ামি লিগের বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে পাতাতেও শেখ হাসিনার প্রেস বিবৃতি সামনে আসে। এই ধরনের প্রেস বিবৃতি আওয়ামি লিগের কর্মীদের আরও উৎসাহিত করে বলে জানা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশে তহবিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে অনেকটাই মাইলেজ পেয়েছেন শেখ হাসিনা এবং ব্যাকফুটে গিয়েছেন নোবেল জয়ী তথা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বর্তমান বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার যে দ্বন্দ্ব চলছে সেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে এগিয়ে রেখেছে। কারণ তহবিল বন্ধের এমন সিদ্ধান্ত প্রতিফলিত করে যে বাংলাদেশের ঠিক কতটা রাজনৈতিক অস্থিরতা বজায় রয়েছে এবং সেখানে গণতান্ত্রিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। তাই ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশ সরকারের চূড়ান্ত তিরস্কার বলেই মনে করছেন অনেকে।

    মাঠে ফিরছে হাসিনার দল (Sheikh Hasina)

    এই আবহে উৎসাহী হাসিনার দল। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছে তারা। বাংলাদেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আওয়ামি লিগ। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউনূস সরকারের ইস্তফার দাবিতে গোটা বাংলাদেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে হাসিনা সরকার। সেদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছে আওয়ামি লিগ। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দলীয় কর্মসূচির লিফলেট বিলি করবে তারা। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক।

  • Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তাঁর স্মৃতিতে একটি ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করল তারা। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হয় তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের (Kargil War Hero) এই বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হল এই অনুষ্ঠান।

    কারগিল যুদ্ধের নায়ক

    ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার কারগিল যুদ্ধে অসম সাহস দেখিয়ে আত্মত্যাগ করেন। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র দেওয়া হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, “বীরত্ব অমর! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, ভারতীয় রেলওয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁর স্মৃতিতে ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করেছে আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে।”

    নায়ারের গুরু দায়িত্ব

    ১৯৭৫ সালের ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন নায়ার। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু ডিপিএস মথুরা রোডে। তারপর চলে যান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। পরে যোগ দেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, দেরাদুনে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জাঠ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। অপারেশন বিজয়ের সময়, ক্যাপ্টেন নায়ার মুশকোহ উপত্যকায় পয়েন্ট ৪৮৭৫ পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ইউনিটকে শত্রুর ভারী গোলাগুলির মধ্যে খাড়া, কঠিন ভূখণ্ডে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল (Indian Railways)। ৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর দল অগ্রসর হচ্ছিল, তখন পাকিস্তানি সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করে।

    তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেও ক্যাপ্টেন নায়ার তাঁর সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন। ধ্বংস করেন চারটি শত্রু বাঙ্কার। নিকেশ করেন বহু শত্রু সেনাকে। ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অবিচলভাবে এগিয়ে যান। নিশ্চিত করেন মিশনের সাফল্য। পরে শত্রুর একটি আরপিজি শেলের আঘাতে শহিদ হন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার আগে তিনি ন’জন শত্রু সেনাকে খতম করেন (Kargil War Hero)। শত্রু সেনার তিনটি মাঝারি মেশিনগানের অবস্থানও ধ্বংস করে দেন এই অসম সাহসী বীর (Indian Railways)।

  • Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার নিজের দেশের রিপোর্টেই জানা গেল ট্রুডোর দাবি ভিত্তিহীন। স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়ল কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর। কানাডার রিপোর্টেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজ্জর হত্যায় (Nijjars Killing) কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের যোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

    নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ (Justin Trudeau)

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং পুরী নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ট্রুডো। কেবল দাবি করাই নয়, কানাডার সংসদেও এমন দাবি করেছিলেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, নিজ্জর খুনে ভারতের কোনও হাত নেই। এবার কানাডা কমিশনের নয়া রিপোর্টেও জানিয়ে দেওয়া হল, খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনে ভারতের হাতই নেই। মঙ্গলবার ‘পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স ইন ফেডারেল ইলেক্টোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক রিপোর্টেই এ কথা জানানো হয়েছে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি

    খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের জেরে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ছ’জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতও বহিষ্কার করে কানাডার ছ’জন কূটনীতিককে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জেরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ১২৩ পাতার ওই রিপোর্টে কমিশনার মেরি জোসি হোগ বলেন (Justin Trudeau), “বিভ্রান্তিমূলক তথ্যকে এখানে একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্তগুলির জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।” অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় সন্দেহভাজন ভারতীয় জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পাল্টা ভারতের তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে বিদেশের যোগ নেই (Nijjars Killing)।

    কী বলছে কমিশনের রিপোর্ট

    জানা গিয়েছে, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সে দেশের গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলির ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছিল ওই কমিশন। সেই কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, নিজ্জর খুনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পরে পরেই গত মে মাসে নিজ্জর খুনের অভিযোগে চারজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। চলতি মাসেই জামিন পান তাঁরা। এঁরা হলেন করণ ব্রার, আমনদীপ সিং, কমলপ্রীত সিং এবং করণপ্রীত সিং। অবশ্য জামিন মিললেও, জেলমুক্তি হয়নি তাঁদের। জানা গিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বন্দিদশা ঘুঁচবে না ওই চার অভিযুক্তের (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে অসন্তোষের জেরে ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো। তবে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে এল কমিশনের রিপোর্ট। যে রিপোর্টের জেরে আদতে মুখ পুড়ল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

    উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    গত অক্টোবরেই কানাডা সরকার অভিযোগ করেছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় ভারত জড়িত। কিন্তু বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আছে কেবল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত কিছু ধারণা। সেই সব সম্ভাবনার কথা ভারতকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রুডো। ট্রুডোর ওই স্বীকারোক্তির পরে পরেই বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ (Nijjars Killing) দেগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক জানায়, তারা যা বলে আসছিল, তা-ই অবশেষে সত্যি হল (Justin Trudeau)। সেই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল (Justin Trudeau), অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ দেয়নি। তার পরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রুক্ষ আচরণের নিন্দা করে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়েছে, তার দায় কেবল ট্রুডোর।

    নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা

    ২০২০ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত। এর ঠিক তিন বছর পর খুন হন খালিস্তানপন্থী ওই নেতা। তার পরেই ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন ট্রুডো স্বয়ং। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের মধ্যেই সমালোচনার শিকার হন ট্রুডো। তিনি যতই ভারতকে নিশানা করেছেন, ততই তাঁর দলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিদ্রোহ। যার জেরে তাঁকে সরতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ট্রুডোকে সামনে রেখে লড়তে রাজি নয় তাঁর দল। সেটাও ট্রুডোকে সরিয়ে দেওয়ার একটা বড় কারণ। এমতাবস্থায় ট্রুডোর মুখোশ খুলে দিল তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট (Nijjars Killing)।

    এর পর ফের প্রার্থী হলে আদৌ জিততে পারবেন তো কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Justin Trudeau)?

LinkedIn
Share