Blog

  • BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) ঠেকাতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসক দল (TMC Government)। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি (West Bengal Corruption) এবং তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি (TMC Minister Leaders Corruption) এক এক করে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই বেকায়দায় মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 

    এই দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার, নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। প্রথম থেকেই তা বানচাল করার উদ্দেশে, পুলিশ এই গণতান্ত্রিক অভিযানের অনুমতি দেয়নি। উল্টে, দিকে দিকে থেকে নবান্নর দিকে আসা বিরোধী নেতা-কর্মীদের কোথাও আটক করা হয়েছে, তো কোথাও টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের যাবতীয় মেশানারিকে ব্যবহার করে যেনতেন প্রকারে গেরুয়া-ঝড় রুখতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে মিছিল আসবে সাঁতরাগাছি থেকে। তার আগে সকালেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। শুধু বসানো নয়, একেবারে গার্ড রেল ঝালাই করে রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মজুত রয়েছে ২টি জল কামান। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। হাওড়া ময়দান থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল আসার কথা। সেখানে জিটি রোডের ওপর তৈরি করা হয়েছে পুলিশি ব্যারিকেড। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে গুঁড়িয়ে দিতে তৎপর মমতার পুলিশ (West Bengal Police)। সাঁতরাগাছিতে ইস্পাতের ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট তিনি কতটা ভীত ও উদ্বিগ্ন। 

    অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের (Nandigram) ক্ষুদিরাম মোড়ে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তমলুক (Tamluk) টোল প্লাজার সামনেও বিজেপির মিছিল রুখে দেয় পুলিশ। নবান্ন অভিযান আটকাতে কাঁথি স্টেশনে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। পুলিশি বাধা টপকেই কাঁথি স্টেশন থেকে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    রানিগঞ্জ স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় উর্দিধারীদের। কয়েকজন জোর করে স্টেশনে ঢুকে পড়লে ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কুলটির বরাকর স্টেশনেও বিজেপি কর্মীদের দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের। একজনকে গ্রেফতার করা হয়। আবার, নবান্ন অভিযানে যাওয়ার আগে বোলপুর (Bolpur) স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাঁধে। স্টেশন চত্বর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করায় বোলপুর স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। 

    বিজেপির নবান্ন অভিযান প্রতিহত করতে শাসক শিবির যে কোনও কসুর রাখছে না, তা স্পষ্ট। বিরোধীদের কটাক্ষ, দুর্নীতি নয়, এরাজ্যের পুলিশ সদা-সক্রিয় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে। তাই তো বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে হাজারে-হাজারে পুলিশ মোতায়েন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Taragiri: জলে ভাসল নৌসেনার স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস তারাগিরি’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    Taragiri: জলে ভাসল নৌসেনার স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস তারাগিরি’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে আধুনিক অস্ত্র, মিসাইল, হেলিকপ্টার, ট্যাঙ্ক ও বড় বড় যুদ্ধ জাহাজ। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় নৌবাহিনী হাতে পেয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত। এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তৃতীয় স্টিলথ ফ্রিগেট ‘তারাগিরি’ (Stealth frigate Taragiri) যোগ হল নৌবাহিনীতে। তারাগিরি তৈরিতে ৭৫ শতাংশ দেশীয় উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে। যা মুম্বইয়ের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে তৈরি। রবিবার রণতরীটি আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করল। 

    আরও পড়ুন: জলে ভাসল দেশের তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত

    গাড়োয়ালে অবস্থিত হিমালয়ের একটি পর্বতশ্রেণীর নামানুসারে তারাগিরি রণতরীর নামকরণ করা হয়েছে। জাহাজটির ডিজাইন করেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ইন হাউশ ব্যুরো অফ নেভাল। তারাগিরির ওজন ৩৫১০ টন। লম্বা ১৪৯ মিটার এবং চওড়া ১৭.৮ মিটার। জাহাজটির দুটি গ্যাস টারবাইন ও দুটি প্রধান ডিজেল ইঞ্জনের সমন্বয়ে চালিত হবে। তারাগিরির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৫২ কিমি। এতে ৩৫ জন অফিসারসহ মোট ১৫০জনকে মোতায়েন করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে যাত্রা শুরু হতে পারে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, কেমন হবে এই ট্রেনে যাত্রা?

    জাহাজটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র, সেন্সর, অ্যাডভান্স অ্যাকশন ইনফরমেশন সিস্টেম, ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, বিশ্বমানের মডুলার প্রভৃতি সুবিধা রয়েছে। এটি সারফেস টু সারফেস সুপারসনিক মিসাইল সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত। বিমান হামলা প্রতিরোধের জন্য এতে ৩২ বারাক ৮ ইআর এবং ভারতের গোপন অস্ত্র ভিএলএসআরএসএএম (VLSRSAM) ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার কথা রয়েছে। তারাগিরিতে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করা যাবে। সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধের জন্য দুটি ট্রিপল টর্পেডো টিউব রয়েছে এই রণতরীতে। এখান থেকে দুটি হেলিকপ্টার নামা ওঠাও করতে পারবে। দুটি একে ৬৩০ এম সি আই ডব্লু এস বন্দুকের পাশাপাশি একটি ৭৬ এমএম ওটিও মেলারা নেভাল গান লাগানো থাকবে এই যুদ্ধজাহাজে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-US: মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক বানিজ্যে না দিল্লির

    India-US: মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক বানিজ্যে না দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনকে শায়েস্তা করতে নয়া পন্থা অবলম্বন করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হাতে না পেরে পাতে মারাই লক্ষ্য তাঁর। সেই অনুযায়ী জাপান, ভারত সহ এশিয়ার ১৩টি দেশকে নিয়ে আমেরিকা তৈরি করেছিল ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমওয়ার্ক। যেখানে সমমনোভাবান্ন দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে তোলার পাশাপাশি বানিজ্য প্রসারই ছিল মূল লক্ষ্য। কিন্তু ভারত সরকার আপাতত এই প্রকল্পে অংশ নিতে চায় না। লস অ্যাঞ্জেলসে মার্কিন বানিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমওয়ার্ক প্রকল্প বড় ধাক্কা খেল।

    আরও পড়ুন: উপাসনা স্থল আইন সংক্রান্ত আবেদন পত্র পাঠানো হতে পারে সাংবিধানিক বেঞ্চে, মত সুপ্রিম কোর্টের

    কিন্তু হঠাৎ করে ভারতের পিছিয়ে আসার কারণ কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল নিয়েছে আমেরিকা। একদিকে আর্থিকভাবে চিনকে দুর্বল করার পাশাপাশি নিজেদের বানিজ্য প্রসারের চেষ্টায় রয়েছে বাইডেন সরকার। এক্ষেত্রে বর্তমান ব্যবস্থা ধ্বংস হতে পারে। তার জেরে নতুন সমস্যা উত্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত। সঙ্গে রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপকে আরও শক্তশালী করে তোলা। পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়াই ভারত সরকারের মূল লক্ষ্য। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে যোগ দিলে সেই প্রয়াস বাধা পাবে। তাই ভারত এই প্রকল্প থেকে আপাতত সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৮১ থেকে ৪৬তম স্থানে ভারত, বিজ্ঞান সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    তবে এখনই হাল ছাড়ার পাত্র নন আমেরিকা। মার্কিন বানিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন তাই জানিয়েছেন, ‘ভারত এখন ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে অংশ নিচ্ছে না ঠিকই, তবে আমরা আশা ছাড়ছি না। ভারতের বনিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে আলোচনায় আমরা খুশি। এবছরের শেষের দিকে দুই দেশের প্রতিনিধি আবারও মিলিত হবেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমরা এই বিষয়ে ফের বিস্তারিত আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’ উল্লেখ্য, ভারত ছাড়াও আইপিইএফ প্রকল্পে থাকার কথা অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও আমেরিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Kohinoor: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    Kohinoor: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের সিংহাসনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth)। প্রায় ৭০ বছর এই রানির পদে থেকেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন রানি৷ তাঁর মৃত্যুর পর এখন ব্রিটেনের সিংহাসনে বসবেন প্রিন্স চার্লস৷ রানির প্রায় সব সম্পত্তির মালিকই এখন তিনি। কিন্তু কোহিনুর কার কাছে যাবে সে দিকেই তাকিয়ে আছে ভারতসহ গোটা পৃথিবী। 

    এই বছরের শুরুতে রানি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন ডাচেস অফ কনওয়েল (Duchess of Cornwall) ক্যামিলা  কুইন কনসর্ট হিসেবে পরিচিত হবেন৷ তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে প্রিন্স চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলাকে তাই এই কোহিনূর উত্তরাধিকার হিসেবে দেওয়া হতে পারে৷ নিজের ব্রিটিশ সিংহাসনে বসার ৭০ বছর পূর্তিতে কুইন এলিজাবেথ এই ঘোষণা করেছিলেন৷ যদিও এই অমূল্য হীরে পাওয়ার পথ এত সহজ নাও হতে পারে। অন্য পথেও হাঁটতে পারে ব্রিটেনের রাজ পরিবার। 

    আরও পড়ুন: তারার দেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! শোকবার্তা মোদির

    রানি এলিজাবেথের মুকুটের অমূল্য হীরেটি ১০৫.৬ ক্যারেটের, ওজন ২১.৬ গ্রাম। ১১০০ থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের কাছে কল্লুর খনি থেকে পাওয়া গিয়েছিল এই হীরে। ১৩১০ সালে কাকোতীয় বংশের সঙ্গে বরঙ্গলের যুদ্ধে এই হীরে দখল করেন দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি। পরে তা হাতবদল হয়ে আসে মুঘল দরবারে। ‘বাবরনামা’য় উল্লেখ রয়েছে, ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের যুদ্ধে তা বাবরের দখলে  আসে। সপ্তদশ শতকে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের দরবারে ময়ূর সিংহাসনে শোভা পেত কোহিনুর। পার্সি ভাষায় ‘কোহিনূর’ শব্দের অর্থ ‘আলোর পর্বত’। ১৭৩২ সালে নাদির শাহ মুঘল সাম্রাজ্য আক্রমণ ও দিল্লি লুণ্ঠন করে ময়ূর সিংহাসনের সঙ্গে কোহিনুর হীরেটিকেও নিয়ে যান ইরানে। পরে দেহরক্ষীদের দ্বারা নিহত হন নাদির শাহ।

    নাদির শাহের পর আহমদ শাহ দুররানি কোহিনুর হস্তগত করেন। ১৮১৩ সালে দু্ররানি পাঞ্জাবের সিংহাসন হারলে তা ‘শের-ই-পঞ্জাব’ মহারাজা রঞ্জিত সিংহের হাতে আসে। তিনি নাকি এই বহুমূল্য হিরে তাঁর পাগড়িতে আটকে রাখতেন। রঞ্জিত সিংহের পর এই হীরের মালিকানা লাভ করেন নাবালক মহারাজা দলীপ সিংহ। শতাব্দীর পর শতাব্দী বিভিন্ন হাতে ঘুরেছে এই কোহিনূর৷ যখন ১৮৪৯ সালে পাঞ্জাবে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়৷ সেই সময় এই হীরে রানি ভিক্টোরিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ সেই থেকে এই রত্ন ব্রিটিশ ক্রাউন জুয়েলের (British Crown Jewels)  অংশ হয়ে যায়৷ কিন্তু এই হীরে নিয়ে বিবাদ আজও অব্যাহত। কুইন এলিজাবেথের জন্য প্ল্যাটিনাম ক্রাউনে এই হীরে বসানো হয়৷

    এক কালের ভারতের এই সম্পত্তির মায়া এখনও ছাড়তে পারেননি ভারতবাসী। একদিন ব্রিটেনের এই রাজপরিবার ভারতবর্ষ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল দুর্মূল্য কোহিনূর। কেটে গিয়েছে বহুদিন। বহুবার রাজ পরিবারে হাতবদল হয়েছে কোহিনূরের। কোহিনুরখচিত মুকুট এক মাথা থেকে আরেক মাথায় গিয়েছে। কিন্তু সেই হিরে আর ফিরে পায়নি ভারত। কিন্তু কোহিনূর পাওয়ার আশায় আজও বুক বেঁধে রয়েছে এই দেশ। কারণ কোহিনূর যে তাঁদের, এই দেশের। যদিও তত্ত্ব বলছে ভারত ছাড়াও আরও চার দেশের সঙ্গে জড়িত কোহিনূরের ইতিহাস। তবে ভারতের দাবিই সব থেকে বেশি। কারণ লিখিত ইতিহাসে কোহিনূরকে ভারতের সম্পত্তি বলেই দাবি করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Broken Rice: ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি ভারতের, কেন জানেন? 

    Broken Rice: ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি ভারতের, কেন জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে ভাঙা চালের (Broken Rice) রফতানি (Export) নিষিদ্ধ (Ban) করল ভারত (India)। এই প্রেক্ষিতে ভাঙা চালের রফতানি নীতি ‘মুক্ত’ থেকে ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি রফতানিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কারণ কোথাও কোথাও জাহাজে ইতিমধ্যেই রফতানির জন্যে মাল তোলা হয়ে গিয়েছে বা শুল্ক প্রক্রিয়া সম্পন্ন অথবা বিলিং হয়ে গিয়েছে। সেগুলিকে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মনে করা হচ্ছে এ বছর খরিফ শস্যের ফলন কম হতে পারে। এতে যোগান এবং দামেও প্রভাব পড়বে। আর তাতেই এই নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করছেন অনেকেই। বৃহস্পতিবারই অ-বাসমতি চালে (সিদ্ধ চাল বাদ দিয়ে) ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক ধার্য করেছে ভারত সরকার। এই শুল্ক লাগু হবে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে। 

    রেভিনিউ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ভুসি চালের (Husked Rice) পরেও ২০% রফতানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস আরও বলেছে যে, কিছুটা ভাঙা বা সম্পূর্ণ ভাঙা চাল পালিশ করা হোক বা না হোক (সিদ্ধ চাল এবং বাসমতি চাল বাদ দিয়ে)- তার ওপরেও ২০% শুল্ক লাগু করা হবে।  
     
    এই খরিফ মরসুমে ধান চাষের আওতাধীন এলাকা আগের মরসুমের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ কম। ভারতীয় কৃষকরা এই খরিফ মরসুমে কম ধান চাষ করেছেন। খরিফ ফসল বেশিরভাগই বর্ষাকালে বপন করা হয় – মূলত জুন এবং জুলাই মাসে। ফসল কাটা হয় অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে।

    আরও পড়ুন: “দারুণ কাজ করছেন”, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প
     
    ফসলের এলাকা হ্রাস পাওয়ার প্রাথমিক কারণ বর্ষা এবছর দেরিতে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এবছর কম ফলনের ফলে দেশে খারিফ শস্যের ঘাটতি দেখা  দিতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্যে এ বছর মে মাসের শুরুতে গম রফতানিও নিষিদ্ধ করেছিল দেশ। গম রফতানি নিষিদ্ধ করার সময় সরকার বলেছিল, যে দেশের সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা পরিচালনার পাশাপাশি প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দুর্বল দেশগুলির চাহিদা মেটাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  

    ভারত সরকার শুধু গম রফতানি নিষিদ্ধ করেই থেমে থাকেনি। এর পরে কেন্দ্র আটা, ময়দা, সুজির মতো পণ্য রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য শস্যের সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই প্রধান গম সরবরাহকারী দেশ। এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের কারণে গমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তাই আগে থেকেই সাবধান থাকতে চাইছে ভারত। 

  • Amazon Sale: শুরু হচ্ছে অ্যামাজন গ্রেট ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যাল সেল! জানুন কিসে মিলবে ছাড়

    Amazon Sale: শুরু হচ্ছে অ্যামাজন গ্রেট ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যাল সেল! জানুন কিসে মিলবে ছাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো মানেই কেনাকাটা। নতুন জামা, জুতো থেকে ‘নিউ ফোন’। আর কেনাকাটা মানে  এখন শুধু হাতিবাগান বা গড়িয়াহাট নয়, কোভিড পরবর্তী বিকিকিনি মানেই ‘অনলাইন শপিং’। তাই উৎসবের কিছুদিন আগেই বড় ছাড়ের (Sell) ঘোষণা অ্যামাজনে (Amazon)। সপ্তাহের শুরুতেই Amazon Great Indian Festival Sale 2022 ঘোষণা করেছে জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা। নিজেদের ওয়েবসাইটে তারা জানিয়েছে শীঘ্রই এই সেল শুরু হবে। বিভিন্ন গ্যাজেটে আকর্ষণীয় ছাড়ের সঙ্গেই গ্রাহকরা ক্যাশব্যাক ও এক্সচেঞ্জ অফার পাবেন। একই সঙ্গে থাকছে নো কস্ট ইএমআই-এর সুযোগ। তবে কবে থেকে এই সেল শুরু হবে তা জানায়নি সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    এই সেলে স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, স্মার্ট গ্যাজেট ও অ্যামাজন অ্যালেক্সা (Amazon Alexa) চালিত বিভিন্ন ডিভাইসে মিলবে বিশেষ ছাড়। এসবিআই (SBI) ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড গ্রাহকরা এই সেল চলাকালীন অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। এছাড়াও প্রথমবারের জন্য অ্যামাজন থেকে কেনাকাটা করলে মিলবে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। এই সেল শুরুর আগেই Amazon Prime সদস্যরা বিভিন্ন ডিলে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে নিট-ইউজি- র ফল, এমবিবিএস ছাড়া আর কোন কোর্সে পড়ার সুযোগ রয়েছে? জেনে নিন

    বিভিন্ন স্মার্টফোনে আকর্ষণীয় ছাড়ের সঙ্গেই এই সেলে মোবাইল ফোন অ্যাকসেসারিজ, স্মার্টওয়াচ, ট্যাবলেট, ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে মিলবে দুর্দান্ত ছাড়। বিভিন্ন ডিভাইসের সঙ্গে পাওয়া যাবে কম্বো অফার। একই সঙ্গে এই সেল চলাকালীন ৬০টি নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করবে অ্যামাজন। গত সপ্তাহেই বিগ বিলিয়ন ডে (Big Billion Days 2022) এর ঘোষণা করেছিল ফ্লিপকার্ট (Flipkart)। এর পরে অ্যামাজনের সেল ঘোষণা ছিল সময়ের অপেক্ষা। এখন উৎসব শুরুর আগেই বাজার ধরতে জোর টক্কর দুই ই-কমার্স সংস্থার মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন…’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন…’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগুইআটিতে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে অপহরণ ও খুনের (Baguiati Twin Kidnapping and Murder) ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মর্মান্তিক এই ঘটনায় বাগুইআটি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এদিন বাগুইআটি থানার সামনে বিজেপির প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই রাজ্যের পুলিশ ও পুলিশমন্ত্রীর উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ শানান। বিক্ষোভে যোগ দিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু। বাগুইহাটির ওসি কল্লোল ঘোষ কে আক্রমণ করে ভাইপোর ‘পিএ’ বলে সম্বোধন করে শুভেন্দু দাবি করেন, কল্লোল ঘোষকে উত্তর ২৪ পরগনা যুব তৃণমূলের সভাপতি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে এই থানায় নিয়ে এসেছিলেন। শুভেন্দু বলেন, বাগুইআটি থানার বিদায়ী ওসি কল্লোল ঘোষ একজন চোর – ডাকাত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট লুঠ করতে মোটা টাকা দিয়ে তাঁকে বাগুইআটিতে এনেছেন উত্তর ২৪ পরগনা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী।

    আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    জোড়া খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিআইডি ওদের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন। তাদের দিয়ে তদন্ত করিয়ে কোনও লাভ নেই।’’ রাজ্য সরকার অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের অনুমতি না দিলে তাঁরা যে জনস্বার্থে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করবে, সেই হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। দুই পড়ুয়ার পরিবারকে আইনি সাহায্য দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷  একইসঙ্গে বাগুইহাটির পুলিশের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে শুভেন্দু দাবি করেছেন, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের শোকজ কিংবা সাসপেন্ড নয়, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ 

    এদিন সকাল থেকেই বাগুইআটি থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি-র (BJP) মহিলা মোর্চার কর্মীরা৷ আজ দুপুরেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ আজ প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য রেখে গেছেন এদিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পুলিশ মন্ত্রীও বটে, তিনি যখন মিডিয়াতে ঝড় ওঠে, বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপি দল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়, তখন ইস্যুটাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি অনেক রকম ছলাকলা করেন। কারণ আমরা জানি, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা না বলে জলগ্রহণ করেন না। সারাদিন মিথ্যা কথা বলতে বলতে তাঁকে এগোতে হয়। এবং পশ্চিম বাংলায় তিনি গত বিধানসভায় জিতেছেন জেহাদিদের সমর্থনে আর পুলিশের সাহায্যে। এখন শুধুমাত্র পুলিশরা টিকে আছে। যে পুলিশের সাহায্যে চলে খেলা মেলা, রক্তদান, অস্ত্রদান  আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার ভাইপোর মিটিংয়ে গাড়ি ভর্তি করে লোক পাঠানো।“

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court on Hijab row: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court on Hijab row: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের কোনও তুলনা চলতে পারে না, অভিমত দেশের শীর্ষ আদালতের। রুদ্রাক্ষ বা ক্রস থাকে পোশাকের ভিতরে যা বাইরে দেখা যায় না। কিন্তু হিজাব পরা হয় পোশাকের উপরে। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধিকে লঙ্ঘন করতে পারে, বলে জানায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ।

    বুধবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিজাব পরা নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন, আইনজীবী ধর্মীয় প্রতীক হিসাবে রুদ্রাক্ষ বা ক্রস চিহ্ন পরে আসার উদাহরণ দিলে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “এই ধর্মীয় প্রতীক বা চিহ্নগুলি পোশাকের ভিতরে পরা হয়। কেউ পোশাক তুলে দেখান না যে তিনি রুদ্রাক্ষ বা ক্রস পরেছেন কি না। হিজাব পরার অধিকার নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি অমান্য হচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক।”

    কর্ণাটকের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া হিজাব বিতর্কে গত কয়েকমাস ধরেই উত্তপ্ত দেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের অধিকারের বিতর্ক গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল তৎকালীন বিচারপতি এনভি রমণার বেঞ্চে। পরবর্তীকালে এই মামলার শুনানি হয়  বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে। বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী দেবদত্ত কামতের এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রশ্ন করা হয়, “পোশাকের অধিকারের মধ্য়ে কি পোশাক খোলার অধিকারও পড়ছে?”

    আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে অ্যামাজন গ্রেট ইন্ডিয়ান ফেস্টিভাল সেল! জানুন কিসে মিলবে ছাড়

    মামলাকারীদের স্বপক্ষে আইনজীবী কামাত জানান যে পোশাক পরার অধিকার সংবিধানের বাক স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত। তিনি জানান, সংবিধানের ১৯(১) ধারায় নাগরিকদের সাধারণ অধিকারগুলিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে এবং তা সংরক্ষণ করার কথাও বলা হয়েছে। পোশাক পরার অধিকারও মৌলিক অধিকারেরই অঙ্গ। তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত বলেন, “আপনি অযৌক্তিক পরিণতিতে নিয়ে যাবেন না। পোশাক পরার অধিকার মানে কি পোশাক খোলারও অধিকার রয়েছে?” জবাবে আইনজীবী বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও পড়ুয়ার পোশাক খোলা হচ্ছে না।” আইনজীবীর এই যুক্তিতে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত বলেন, “ধরে নেওয়া হল যে পোশাকের অধিকার নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের অংশ। তাহলে আপনি এটাও তো বলতে পারেন যে আমি পোশাক পরতে চাই না?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Swasthya Sathi: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    Swasthya Sathi: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পঞ্চান্নের ঈপ্সিতা দত্ত। বুকের চিন চিনে ব্যথা মাঝে মধ্যেই অনুভব করেন। চিকিৎসক নানান পরীক্ষা করে জানালেন তিনি হৃদরোগে ভুগছেন। দ্রুত অস্ত্রোপচার জরুরি। খরচ আনুমানিক চার লাখ টাকা। নিম্ন-মধ্যবিত্ত দত্ত পরিবারের কাছে নগদ টাকা না থাকলেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi) রয়েছে। কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেন ঈপ্সিতা। কিন্তু অভিযোগ, ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন, তাঁদের হাসপাতালে বেড ফাঁকা নেই। তাই ঈপ্সিতা দেবীকে ভর্তি করানো যাবে না। তবে, অগ্রিম নগদ দিয়ে বেড বুক করিয়ে গেলে অবশ্য কিছু দিনের মধ্যে ব্যবস্থা করানো যাবে। 

    বছর তিরিশের তপন কর্মকার গলব্লাডার স্টোনের সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি রুবি হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে চিকিৎসা করাবেন জানার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, অপেক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকের কাছে রোগীর লম্বা লাইন। তাছাড়া শল্য চিকিৎসক বিশেষ নেই। তাই কবে অপারেশনের ডেট পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। 

    বাড়িতেই স্ট্রোক হয় বছর পয়ষট্টির অনিতা বসুর। মেয়ে নিয়ে যায় ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেসে। সেখানে নানান পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, ভর্তি করানো জরুরি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পরিষেবা দিতে নারাজ। পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলেও কয়েক ঘণ্টা পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, আপাতত তাদের রোগী পরিষেবা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। রোগীর চাপ অনেক। তাই অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। সরকারি হাসপাতালেও ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অনিতা বসুর এখন বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে। ফলে, শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতিও হচ্ছে না। 

    আরও পড়ুন: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    অনিতা বসু, ঈপ্সিতা দত্ত কিংবা তপন কর্মকার কোনও ব্যতিক্রম নন। রাজ্যের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পরিষেবা পেতে গিয়ে এমনি নাজেহাল হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সব মানুষ নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। শুধু সরকারি হাসপাতালে নয়, সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে মানুষ এই পরিষেবা পাবেন। চিকিৎসা খরচ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পাওয়া যাবে। 

    যদিও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবের ছবিটার পার্থক্য অনেকটাই বলে মনে করছেন অনেকেই। আশঙ্কার মেঘ অবশ্য দেখা দিয়েছিল, রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিবের কথায়। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে ঘোষণা করার কয়েক দিনের মধ্যেই এক বৈঠকে তৎকালীন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে অন্তত কোনও বেসরকারি হাসপাতাল যাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা রোগীকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার না করে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি স্বাস্থ্য সাথী শুধুই ‘বিজ্ঞাপন’? ভোট জয়ের অস্ত্র? সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার কি সুনিশ্চিত হবে না? 

    হাসপাতালে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির ছবি যেন আশঙ্কাগুলোকেই সত্যি করছে। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে প্রত্যেক অপারেশন ও চিকিৎসার যে প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা কার্যত অবাস্তব। তাছাড়া স্বাস্থ্য সাথীর টাকা পাওয়ার পদ্ধতি ও বেশ দীর্ঘ প্রসারি। এক বেসরকারি হাসপাতালের কর্তা বলেন, “শুধুমাত্র দানের জন্য বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয় না। বেসরকারি হাসপাতালে বিনিয়োগ হয় লাভের জন্য। তিক্ত হলেও এটাই বাস্তব। কোনও শিল্পপতি, ব্যবসায়ী শুধুমাত্র সমাজের ভালোর জন্য বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে তোলেন না। লাভ করার জন্য গড়ে তোলেন। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে যে ভাবে বেসরকারি হাসপাতালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেটা বাস্তব সম্মত না।” দক্ষিণ কলকাতার আরেক বেসরকারি হাসপাতালের কর্তা বলেন, “এই প্রকল্প শুরু করার আগে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। আমাদের উপরে কার্যত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা করলে হয়তো সাধারণ মানুষ আরও ভালো পরিষেবা পেত। এভাবে সবাইকে অলাভজনক ভাবে দীর্ঘদিন পরিষেবা দিলে হাসপাতালে তালা পড়বে।”

    আরও পড়ুন: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    তবে, প্রশাসনের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করতে না পেরে রোগী হয়রানিকে অবশ্য সমর্থন করছেন না চিকিৎসকরা। মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তা ও চিকিৎসক জানান, বেসরকারি হাসপাতালে একটি অস্ত্রোপচার করতে যে অর্থ চিকিৎসকের জন্য বরাদ্দ, তার থেকে কয়েক গুণ কমে স্বাস্থ্য সাথীতে চিকিৎসকদের পরিষেবা দিতে হয়। তাঁর কথায়, “এটা বাস্তব যে বেসরকারি হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী আওতায় থাকা রোগীকে পরিষেবা দিতে অনীহা দেখা যায়। তার কারণ, একটি অস্ত্রোপচার করতে একজন চিকিৎসক যে সময় বরাদ্দ করেন, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে তিনি সেই অনুপাতে পারিশ্রমিক পান না। মনে রাখতে হবে, চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া একটা পেশা। শুধুই সমাজসেবা নয়।” 

    স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের মত, বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা না করলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে না। কম খরচে পরিষেবা দেওয়া নিয়ে আরও বেশি আলোচনা জরুরি। শুধুই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া নয়। বরং বেসরকারি হাসপাতালগুলো কী চাইছে, সেটাও শোনা জরুরি। কিন্তু খোলামেলা আলোচনা হয় না। বরং অধিকাংশ সময়েই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়। তাই প্রশাসনের সামনে নীরব থাকলেও পরে পরিষেবা দিতে চায় না বেসরকারি হাসপাতালগুলো। যার জেরে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suella Braverman: ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান, জানেন তিনি কে?

    Suella Braverman: ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian Origin) ঋষি সুনক। তবে ব্রিটিশ প্রশাসনের একেবারে কোর এরিয়ায় চলে এসেছেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান (Suella Braverman)। বছর ৪২ এর অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা হয়েছেন ব্রিটেনের পরবর্তী স্বরাষ্ট্র সচিব (Home secretary)। লিজ টাসের ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন তিনি। আগে এই পদে ছিলেন প্রীতি প্যাটেল।

    ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন লিজ টাস। তার পরেই গঠন করছেন নয়া মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনজীবী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে তিনি ওই পদে নিয়োগ করেছেন। জনসনের আমলে ওই পদে ছিলেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেল। বছর ৪২ এর সুয়েলা কনজার্ভেটিভ পার্টির সাংসদ। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের ফেয়ারহ্যাম কেন্দ্রের প্রতিনিধি তিনি। বরিসের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় তিনি কাজ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে।

    আরও পড়ুন : অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    ১৯৮০ সালের ৩ এপ্রিল জন্ম সুয়েলার। তাঁর মা হিন্দু তামিল পরিবারের মেয়ে, নাম উমা। বাবা খ্রিষ্টি ফার্নান্দেজ। কেনিয়া থেকে এসেছিলেন। ২০১৫ সালের মে মাসে কনজার্ভেটিভ পার্টির টিকিটে ফেয়ারহ্যাম থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। পরে হন অ্যাটর্নি জেনারেল। পার্টগেট সহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে পড়ায় বিদায় নিতে হয় বরিসকে। স্বাভাভিকভাবেই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের। এই প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে শেষতক ছিলেন দুজন। একজন লিজ টেস, অন্যজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। ব্যালটে ভোটাভুটি হলে সুয়েলা সমর্থন করেন লিজকে। ওই ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন লিজ। তাঁকে সমর্থনের পুরস্কার লিজ দেন সুয়েলাকে। তাঁকে নিয়োগ করা হয় স্বরাষ্ট্র সচিব পদে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সুয়েলা। ২০১৮ সালে বিয়ে করেন রাইল ব্রেভারম্যানকে। সুয়েলা ব্রেভারম্যান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তিনি নিয়মিত লন্ডন বুদ্ধিস্ট সেন্টারে যান। শপথও নেন বুদ্ধের প্রবচন উচ্চারণ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share