মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার (26/11 Mumbai attack) মূল ষড়যন্ত্রকারী হাফিজ সইদকে (hafiz saeed) ৩১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালত (pakistan anti-terrorism court)। এই জঙ্গি নেতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং জামাত-উদ-দাওয়ার (Jamaat-ud-Dawa) সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছে পাকিস্তানের ওই আদালত।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের (terrorist activities) দুটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে হাফিজকে। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) প্রতিষ্ঠাতা হাফিজকে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার পাকিস্তানি মুদ্রা জরিমানাও করেছে আদালত। পাকিস্তানে হাফিজের একটি মাদ্রাসা রয়েছে। রয়েছে আস্ত একটি মসজিদও। এই মাদ্রাসা ও মসজিদের দখল নিতেও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাফিজের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০২০ সালেও তাকে একবার দোষী সাব্যস্ত করেছিল পাকিস্তানের আদালত। সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৯ সালে। সন্ত্রাসবাদের একাধিক অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মুম্বই হামলার এই মূল চক্রীকে। তবে সেটা যে নিছক আইওয়াশ ছিল, তা স্পষ্ট হয় সাজা দেওয়ার মাস কয়েক পরেই। কারণ হাফিজকে জেলের বাইরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সে দেশের একাধিক জনসভায়ও ভাষণ দিতে দেখা যায় লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতাকে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাফিজকে সেবার যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন আমেরিকা সফর করছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই হাফিজকে লোক-দেখানো গ্রেফতার এবং পরে সাজা দেওয়া হয়েছিল।
গতবছর বিশ্বসন্ত্রাসী (World terrorist) হাফিজের লাহোরের বাড়ির সামনে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। তার জেরেই এদিন তার সাজা ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলাও ছিল। সব মিলিয়ে এই দফায় তার সাজার মেয়াদ হয় ৩১ বছর। আমেরিকা আন্তর্জাতিক জঙ্গি হাফিজের মাথার দাম ঘোষণা করেছে ১০ মিলিয়ন ডলার।
Blog
-
Hafiz saeed: মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের ৩১ বছরের জেল
-
IPL: নো-বল বিতর্কে Pant ও Shardul-এর ম্যাচ-ফি জরিমানা, এক ম্যাচ নির্বাসিত Amre
মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) আইপিএলের (IPL) ম্যাচে নো-বল বিতর্কে মাথা গরম করে মাঠ থেকে দল তুলে নেওয়ার জের। ক্রিকেটীয় আদর্শ আচরণবিধি (Model code of conduct) ভঙ্গের জন্য বড় শাস্তি পেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (Pant) ও শার্দূল ঠাকুর (Shardul)। একইসঙ্গে শাস্তির কোপে পড়লেন দলের সহকারী কোচ প্রবীণ আমরে (Amre)।
দিল্লি-রাজস্থান ম্যাচের (RR vs DC) শেষ ওভারে নো-বল বিতর্কে (no-ball controversy) আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও সহকারী কোচ প্রবীণ আমরে। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল (IPL Governing council)।
এদিন পন্থকে ম্যাচ ফি-র ১০০ শতাংশ জরিমানা করে হয়। শার্দূলকে ম্যাচ ফি-র ১০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। তবে, সবথেকে বড় শাস্তি পেলেন কোচ প্রবীণ আমরে। তাঁকে এক ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করার পাশাপাশি ম্যাচ ফি-র ১০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। এর ফলে, ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) বিরুদ্ধে ডাগ আউটে বসতে পারবেন না আমরে।
আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিযোগিতার কোড অব কন্ডাক্টের ২.৭ ধারায় লেভেল ২ অপরাধ করেছেন পন্থ। নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন তিনি। তাই তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রবীণ ২.২ ধারায় লেভেল ২ অপরাধ করেছেন। তাই তাঁর ম্যাচ ফি-র ১০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে ও এক ম্যাচ নির্বাসিত করা হয়েছে। ২.৮ ধারায় লেভেল ২ অপরাধ করেছেন শার্দুলও। তাঁর ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে দিল্লির জয়ের জন্য ৩৬ রান দরকার ছিল। ওভারের প্রথম তিন বলে নাগাড়ে তিনটি ছক্কা হাঁকান রোভম্য়ান পাওয়েল। তবে তৃতীয় বলটি ফুলটসে পাওয়েলে কোমরের উপরের ছিল বলে দিল্লির তরফে দাবি জানানো হলেও, আম্পায়ার নো বল দেননি। এক সময় তো ক্ষোভে দল তুলে নিতে উদ্যত হন পন্থ। এমনকী মাঠের মধ্যেই আমরেকেও পাঠিয়েও অভিযোগ জানান পন্থ। তবে শেষমেশ লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ১৫ রানে ম্যাচ হেরে যায় দিল্লি এবং বলটিকেও নো বল ঘোষণা করা হয়নি।
-
S Jaishankar: হিন্দু মন্দিরে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টারে (Leicester) ভারতীয়দের ওপর হামলার বিষয়টি ব্রিটেনের সামনে উত্থাপিত করেছে ভারত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন ভারতীয় বিদেশ সচিব অরিন্দম বাগচী। ব্রিটিশ বিদেশ সচিব জেমস ক্লেভারলি (James Cleverly) সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (External Affairs Minister S Jaishankar)। ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসও।
আরও পড়ুন: মন্দিরে ভাঙচুর, শিশুদের বন্দি! ইংল্যান্ডের লেস্টারে জেহাদি হামলার শিকার হিন্দুরা
বিদেশ সচিব বলেন, “দূতাবাস ক্রমাগত ব্রিটিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এইরকম অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আমরা বার বার ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি দোষীদের কড়া সাজা দেওয়া হোক।”
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের
অগাস্ট মাসে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচকে (India-Pakistan Cricket Match) কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ব্রিটেনের বেশ কিছু এলাকা। অশান্তি এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই লেস্টার (Leicester) সহ ব্রিটেনের বেশ কিছু এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের নিয়মিত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্যুইটে বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্রিটেনে ভারতীয়দের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বিদেশ সচিব বিষয়টিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
A warm conversation with UK Foreign Secretary @JamesCleverly.
Discussed taking forward Roadmap 2030. Appreciate his commitment to deepening our partnership.
Our conversation also covered global issues including Indo-Pacific, Ukraine and UNSC matters. pic.twitter.com/2PsqfZUqFd
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) September 21, 2022
২৮ অগাস্ট এশিয়া কাপে (Asia Cup) দুবাইতে মুখোমুখি হয় ভারত এবং পাকিস্তান (India-Pakistan Cricket Match)। ব্রিটিশ পুলিশ সূত্রে খবর, ম্যাচ ঘিরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাধে। ক্রমেই ক্রিকেট ফ্যানদের সেই ঝামেলা সংঘর্ষের আকার ধারণ করে। লেস্টারেই ঝামেলা সবচেয়ে বড় আকার নেয়। অশান্তির ভিডিও ভাইরালও হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন অবধি এই ঘটনায় মোট ৪৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেলেও ম্যাচকে কেন্দ্র করে শুরু অশান্তির আগুন এখনও ধিক ধিক করে জ্বলছে। মঙ্গলবার নতুন করে অশান্তি হয় বার্মিংহাম এবং স্মেথউইকে। লেস্টারে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় জিহাদিরা। আর এই বিষয়েই ব্রিটেন সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ চায় ভারত।
-
Partha Chatterjee: পার্থর শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব, SSKM-এ ডনের মত আচরণ করছেন পার্থ, সওয়াল ইডির
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থর শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব। হাসপাতালে পার্থ ডনের মত আচরন করছেন। ইডিকে ধমকাচ্ছেন। সওয়াল ইডির আইনজীবীর। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম থেকে সরাতে চেয়ে ইডির আর্জি, শুনানি শুরুতেই কলকাতা হাই কোর্টে ইডি আইনজীবীর সওয়াল। এসএসকেএম হাসপাতালে গেলে ইডি অফিসারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছে না ইডির সঙ্গে।
শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তাঁকে দু’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু ইডি সূত্রের খবর, পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার যে নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত, তাতে তারা ‘অসন্তুষ্ট’। নিয়ম মেনে শুনানি হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। তাই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই দিন রাতেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। রবিবার সকালে শুরু হয় শুনানি।
ইডির দাবি, আইনজীবী সওয়াল করেন স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশেই তদন্ত হচ্ছে। দু’দিন আগে ২১ কোটির বেশি টাকা এবং ২০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। নিম্ন আদালতে জামিন বাতিল হয়েছে। সোমবার ফের আদালতে তোলা হবে মামলা। এই নির্দেশের পর এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ হয়। সেখানে ইডির কথা শোনাই হয়নি। অথচ, নিম্ন আদালতে তাঁকে তোলার আগে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁরা ফিট সার্টিফিকেট দেয়। তারপরও চিকিৎসায় বাধা দেয়নি। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু বার বার নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালেই কেন? এই হাসপাতালে চিকিৎসার নামে দুর্নীতি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে।’’
মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সুস্থ বলে জানিয়েছে আদালত। ইডির দাবি, “…নিজের পছন্দমাফিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক্তিয়ার এই মুহূর্তে তাঁর নেই। আসলে, অসুস্থ হওয়ার নাটক করছেন পার্থ।”
এসএসকেএম রাজ্যের প্রভাবশালীদের জন্য সেফ জোন। মদন-অনুব্রতর উদাহরণ টেনে মন্তব্য বিচারপতির। মন্ত্রী পার্থের আইনজীবীকে এমনই বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। পার্থর আইনজীবী দেবাশিস রায়ের দাবি, ইডি আইনজীবী আদালতকে সঠিক তথ্য দেয়নি। ইডি হাসপাতাল পরিবর্তন নিয়ে আলাদা আবেদন জানিয়েছিল। সেটা আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক শুনানির জন্য রেখেছেন।
এসএসসি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, এসএসকেএমে ভর্তি হওয়া যাবে না। ঘটনাচক্রে গ্রেফতারির পর সেই এসএসকেএমেই ভর্তি হন পার্থ। যা নিয়ে বাদানুবাদে জড়ালেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা। ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘ওঁকে (পার্থ) সর্বোত্তম হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি আমরা। এমস কল্যাণীতে নিয়ে যাব। সঠিক পরীক্ষা হবে।’’ তাঁর আগে, শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী শ্রীরাজুকে বিচারপতি চৌধুরী বলেন, ‘‘কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি ও জেনারেল মেডিসিন দিল্লির এমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে করানো হোক।’’ পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘দিল্লি কেন, কল্যাণী এমসেও হতে পারে।’’
ইডি আইনজীবীর দাবির প্রেক্ষিতে বিচারপতি চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘কল্যাণী এমসের উপর আমার ভরসা নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। আপনি ভুবনেশ্বর এমসে থেকে দেখুন।’’ যার পরে ইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তাহলে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যেতে অনুমতি দিচ্ছেন না কেন? প্রশ্ন ইডির।
বিচারপতি জানান, আমি বলতে পারি না তাই এইমসের ডাক্তার বলবে। কাল দুটোর মধ্যে ব্যবস্থা করুন। নির্দেশ কোর্টের। তাদের পরীক্ষার ফল এসএসকেএম এর রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। আপনারা কেন্দ্রীয় সংস্থা এই ব্যবস্থা করতেই পারেন। পরীক্ষা করে বেলা তিনটের সময় ফিরিয়ে দেব। সওয়াল ইডির। তবু ডাক্তারকে আনতে পারবেন না। কটাক্ষ পার্থর আইনজীবীর।
শেষে বিচারপতি বলেন, ‘‘আমি কোথাও নিয়ে যেতে দেব না। সেখানকার চিকিৎসকেরা এখানে আসুন। আপনিও কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলকে বলুন।’’ খবর লেখা পর্যন্ত, রায়দান সাময়িক স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি। -
Modi in Germany:ঢোল বাজালেন প্রধানমন্ত্রী, তাল দিলেন গানে, জার্মানিতে হালকা মেজাজে মোদি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঢোল বাজনে লাগা…” শহরটাও সেজে উঠেছে। বহুদিন পর আবার নিজেদের নেতাকে কাছে পেয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়েরা। শেষ ২০১৭ সালের মে মাসে জার্মানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার বার্লিনে মোদি।
সোমবার তিনদিনের ইউরোপ সফরের শুরুতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে (Berlin) পৌঁছন তিনি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে রীতিমতো জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। একেবারে ভারতীয় সংস্কৃতি মেনেই শিল্পীরা নাচ,গান প্রভৃতি পরিবেশন করেন। পুণের শিল্পীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী ঢোল ও তাশা বাজান। সেই বাজনা শুনে আর স্থির থাকতে পারেননি মোদিও। শিল্পীদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে ঢোল বাজাতে দেখা যায় তাঁকে। রাষ্ট্রপ্রধানের এমন আচরণে মুগ্ধ হয়ে যান সেখানে উপস্থিত দর্শক ও শিল্পীরা।
[tw]
PM @narendramodi fantastic connect with children #PMInBerlin pic.twitter.com/Oo5B4LdZ1r
— 🦏 Payal M/પાયલ મેહતા/ पायल मेहता/ পাযেল মেহতা (@payalmehta100) May 2, 2022
[/tw]এই অনুষ্ঠানের আগেই জার্মানিতে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে মোদি দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলতে দেখা যায় মোদিকে। ছোটদের সঙ্গে মন খুলে গল্প করতে দেখা যায় তাঁকে। একটি ছোট মেয়ের হাতে আঁকা নিজের ছবি দেখে মন ভরে যায় প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর গাল টিপে আদরও করেন। আরেক খুদের গান শুনে মুগ্ধ মোদি। ছোট শিল্পীর দেশাত্মবোধক গানে তুড়ি দিয়ে তাল দিতেও দেখা যায় মোদিকে। হাততালি দিয়ে তাকে সাধুবাদ জানান। ছবিও তোলেন তার সঙ্গে। অনেকেই মোদির সঙ্গে সেল্ফি তোলেন। মোদি যখনই যেখানে পৌঁছন, তখনই উপস্থিত জনতা ‘মোদি মোদি’ স্লোগান তুলে তাঁকে স্বাগত জানান। “বন্দে মাতরম” (Vande Mataram), “ভারত মাতা কি জয়” (Bharat Mata ki Jai) ধ্বনিও শোনা যায়।
অ্য়াঞ্জেলা মর্কেলের দীর্ঘ শাসন শেষ হওয়ার পর জার্মানির নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন ওলাফ স্কোল্জ (Olaf Scholz)। তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার পর মোদিই প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান যিনি সরকারি সফরে জার্মানি গেলেন এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন। সূত্রের খবর, এদিন দুই নেতার মধ্যে সরকারিস্তরের বিভিন্ন আলোচনা ছাড়াও অন্যান্য কথা হয়। দীর্ঘক্ষণ হালকা মেজাজে একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাঁদের।
-
IPL:শ্রেয়সদের হয়ে গলা ফাটিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় নায়িকা
IPL:বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে (addvertisement) অভিনয় করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। নামী ব্যাঙ্কই হোক বা পারফিউম, মিল্ক প্রোডাক্ট বা ক্যাব সবেতেই মুখ দেখিয়ে ফেলেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে (Instagram)খুবই সক্রিয় তিনি। তবে এতদিন পর্যন্ত তাঁর জনপ্রিয়তার পারদ চড়েনি। কেকেআরের(KKR)হয়ে গলা ফাটাতেই এক রাতের মধ্যে বদলে গিয়েছে চিত্র। এখন অনেকেরই হার্ট থ্রব অভিনেত্রী আরতি বেদী (Arati bedi)।
রবিবার আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স (kolkata knight riders) বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের(delhi capitals)ম্যাচে ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ওই তরুণীকে দেখা যায়। সাদা রংয়ের টপ পরে থাকা ওই সমর্থককে বার বার দেখাতে থাকে ক্যামেরা। শ্রেয়সদের হয়ে বারবার গলা ফাটাতে দেখা যায় তাঁকে। ম্যাচে তাঁর দল কলকাতা হেরে গেলেও ওই সমর্থক সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। এক রাতের মধ্যে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। ম্যাচের আগে ইনস্টাগ্রামে তাঁর ৩০ হাজার ‘ফলোয়ার’ছিল। ম্যাচের পর তা ৫০ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, সর্বত্র তিনি এখন ভাইরাল। অনেকেই এই তরুণীর নাম জানতে চাইছেন। আরতি পেশায় মডেল। অভিনয় ছাড়া নাচতে খুব ভালবাসেন। ইনস্টাগ্রামে(Instagram)তাঁর নাচের প্রচুর ভিডিও রয়েছে।
ঘুরে বেড়ানো আরতির শখ। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার ছবিও তিনি নিয়মিত ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে থাকেন। ইতিমধ্যেই লন্ডন, তাইল্যান্ড, ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন ঘুরে ফেলেছেন তিনি। অক্সফোর্ড স্ট্রিট, আইফেল টাওয়ার, ফি আইল্যান্ড, লুম্পিনি পার্কে ঘোরার ছবিও দিয়েছেন। তাঁর একটি পোষ্য বিড়াল রয়েছে। নাম ফাজ। পশুপ্রেমী আরতির কাছে ‘পরিবারের সবচেয়ে সুন্দর সদস্য’হল ফাজ। গরমের দিনে আইসক্রিম তাঁর পছন্দের জিনিস। কয়েক বছর আগে ইটালির জেলাতেরিয়া সান্তা ত্রিনিতা নামে বিখ্যাত আইসক্রিমের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলেন আরতি।
এর আগেও আইপিএলে বিভিন্ন সময়ে নজর কেড়েছেন বিভিন্ন সমর্থক। গ্যালারিতে প্রিয় দলকে সমর্থন করার ফাঁকেই তাঁদের ধরেছে ক্যামেরা। রাতারাতি টিভির পর্দায় মুখ দেখিয়ে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন অনেকে। অনেকেরই মনে আছে দীপিকা ঘোষের কথা। হায়দরাবাদ ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে সমর্থন করতে আসা দীপিকার উপর থেকে ক্যামেরা সরছিলই না। হঠাৎই তিনি ‘জাতীয় ক্রাশ’হয়ে যান। চেন্নাইয়ের জোরে বোলার দীপক চাহারের বোন মালতি এ ভাবেই দলকে সমর্থন করতে এসে বিখ্যাত হন। হায়দরাবাদের সিইও কাব্য মরানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আরতি নয়া সংযোজন। -
Jhulan Goswami: বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় ঝুলনের
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে তাঁর প্রাপ্তির ঝুলি প্রায় পরিপূর্ণ। তবুও লর্ডসে বিদায়ী মঞ্চে (Farewell at Lords) আক্ষেপের সুর শোনা গেল ঝুলন গোস্বামীর (Jhulan Goswami) কণ্ঠে। বিশ্বকাপ (World Cup) জিততে না পারার ব্যথা নিয়েই ক্রিকেটকে আলবিদা জানালেন ‘চাকদহ’ এক্সপ্রেস।
জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে দু’টি উইকেট পেলেন ঝুলন। জিতল ভারতও। শুধু তাই নয় ইংল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে হোয়াইট-ওয়াশ করাটাও কম কৃতিত্বের নয়। ঝুলনের বিদায়ী ম্যাচকে এভাবে স্মরণীয় করে রাখলেন হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানারা। তবে এতদিনের সম্পর্কে ইতি টানা তো সহজ ব্যাপার নয়। পারেননি ঝুলন। তাঁকে জড়িয়ে ধরে সতীর্থদের চোখে জল দেখে লর্ডসের সবুজ গালিচাও হয়তো ডুকরে কেঁদেছে। কারণ, মহিলাদের ক্রিকেটে ঝুলন এক মহীরূহ। ২০০২ সালে যাত্রা শুরু করে কত বাধা-বিপত্তি টপকে আজকে তিনি এই উচ্চতায় পৌঁছেছেন। যা শুধু তাই সতীর্থদের কাছে নয়, তামাম বিশ্বের নারী সমাজের কাছে এক অনুপ্রেরণা।
Thank you for everything you’ve done for Indian cricket.
Many congratulations on a wonderful career @JhulanG10. https://t.co/Z1v1HfRY8h— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) September 24, 2022
বিদায় বেলায় শুভেচ্ছা বন্যায় ভেসে গিয়েছেন ঝুলন। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিরা প্রশংসা ভরিয়ে দিয়েছেন ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’কে। সৌরভ ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘অসাধারণ এক কেরিয়ার। যা শেষ হল জয় দিয়ে। আগামী কয়েক দশক ঝুলন আদর্শ হয়ে থাকবে।’ শচীন লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে তোমার অবদান কখনও ভোলার নয়।’ ঝুলনকে বিশেষ সম্মান জানাল সিএবি। ইডেনে বাংলার মেয়ের নামে তৈরি হবে একটি স্ট্যান্ড। ঝুলনের বিদায়ী ম্যাচ দেখানোর বিশেষ ব্যবস্থাও করেছিল সিএবি (Cricket Association of Bengal)।
A fantastic career .. befitting that it ended on a winning note ..and she left with a good series individually ..will remain a role model for the women players for decades ahead @JhulanG10 @BCCI pic.twitter.com/JA4xGgobEd
— Sourav Ganguly (@SGanguly99) September 24, 2022
লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ঝুলন বলেন, ‘যেদিন খেলা শুরু করেছিলাম সেদিন ভাবিনি এত দূর যেতে পারব। এর জন্য ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ জেতার। আমিও সেই স্বপ্ন নিয়েই পথ চলেছি। দু’বার বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিলেও বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ থেকেই গেল।’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
-
Corona In West Bengal: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে কোভিডও! পুজোর মুখে ফের সংক্রমণের আতঙ্ক
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা (Corona)। একদিকে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ তো রয়েছেই, তার উপর করোনা। করোনা একেবারে চলে না গেলেও কিছুদিন আগেই কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল রাজ্যে। কিন্তু একেবারে পুজোর মুখে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। এই জোড়া আতঙ্কের ফলে নাজেহাল রাজ্যবাসী। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি। ফলে রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে কোভিড পজিটিভিটি রেট দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৭ জন, যা আগের দিন ছিল ৩৬৫। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের থেকে কিছু কমেছে, কিন্তু তাতে কোনও আতঙ্কের কম হচ্ছে না। রাজ্যে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১,১২,১৯৪ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০,৮৮,০৩৬ জন। শতকরা হিসেবে ৯৮.৮৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই
হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করা শুরু হয়েছে। এরপর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পুজোর আগে কেনাকাটার জন্য ভিড় বাড়ছে, ফলে করোনা সংক্রমের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে। তবে এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সময়ে ভয় না পেয়ে সতর্ক থাকাটাই বেশি প্রয়োজনীয়। তবে এও জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে ও করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে, নয়তো ফের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ।
রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১০। এক সপ্তাহ পর সেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০। আরও এক সপ্তাহ পরে অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৭৫। এরপর সেপ্টেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬৫ এবং পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ৪.৬২ শতাংশ। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৬৬৫। ফলে উৎসবের মরশুমে সামান্য অসাবধানতা বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা বারবার বলা হচ্ছে ও রাজ্যবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।
-
India Bangladesh: চিনের সঙ্গে সখ্যতার ফল কী হতে পারে, শ্রীলঙ্কাকে দেখে বুঝতে পারছে বাংলাদেশ
মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar)। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ২ দিনের সফরে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) ও বিদেশমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাত শেষে জয়শঙ্কর জানান, দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের (India Bangladesh Relation) বন্ধন আরও দৃঢ় হচ্ছে। তিনি বলেন, আলাপচারিতার সময় দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
জয়ঙ্কর জানান, মূলত দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির ব্যাপারেও কথাবার্তা হয়েছে। আর সেই সূত্র ধরেই ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি যাতে চট্টগ্রাম বন্দর (Chittagong port) ব্যবহার করতে পারে তারও প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারে। মূলত অসম ও ত্রিপুরার মতো উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রসঙ্গই উত্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ভারত ও বাংলাদেশ একটি মউ স্বাক্ষর করেছিল, যাতে ভারতে পণ্য পরিবহণের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মন্ত্রিসভা পণ্য পরিবহনের জন্য দুটি বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য নতুন দিল্লির সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তি অনুমোদন করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র-বন্দর। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি এই বন্দর ব্যবহার করে তাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। সেই সম্ভাবনাও রয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর তরফে পাঠানো সেই আমন্ত্রণ হাসিনার কাছে পেশ করেন জয়শঙ্কর। পরে বিদেশমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর সময় সুবিধা অনুযায়ী ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘আমার এখনও জানা নেই কখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন। সফরটি সম্পূর্ণ তাঁর সুবিধাজনক সময়ের উপর নির্ভর করে। আমাদের সফর চূড়ান্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’’ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও দেখা করেন এস জয়শঙ্কর এবং তাঁকে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে ভারতে আমন্ত্রণ জানান।
সাম্প্রতিককালে, পাকিস্তান বাদ দিয়ে ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়ছিল। ভারতকে চাপে ফেলতে এক-এক করে নেপাল থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে চিন। বিশাল অঙ্কের আর্থিক অনুদান হোক বা সহজলভ্য় ঋণ– এক এক করে টোপ দিয়ে ভারতের প্রতিবেশীদের কব্জা করার কৌশল নেয় ‘ড্রাগনের দেশ’। এতে ভারতের সমস্যা বাড়ছিল। কিন্তু, হালে চিনের মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিশেষ করে, শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে সকলকে দেখিয়ে দিয়েছে, চিনের সঙ্গে হাত মেলালে, আখেরে কী ক্ষতিটাই না হবে! বন্দর গঠন থেকে শুরু করে সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের টোপ — চিনের সহজ ঋণের লোভে পা দিয়ে কার্যত দেউলিয়া অবস্থা হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্টটির।
পাকিস্তানে এখন অন্য চিনা-সমস্যায় জর্জরিত। এমনিতে, চিনকে বলা হয় পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু। কিন্তু, করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মানববোমা বিস্ফোরণে ৪ চিনা নাগরিকের মৃত্যুও দেখিয়ে দিচ্ছে, বালোচিস্তানের মানুষ চিনাদের ওপর কতটা ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। এটাও দিনের আলোর মতো স্বচ্ছ যে, ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই চিনারা নিপীড়ন চালাচ্ছিল। ফলে, ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি এখন টের পাচ্ছে, চিনের সঙ্গে হাত মেলালে হাত পুড়বেই। ফলে, চিন নিয়ে এখন তারা সতর্ক। পাকিস্তানের মতো অবস্থা নয় যাদের, অর্থাৎ, যারা চিনের ওপর নির্ভরশীল নয়, সেই সব দেশ এখন নিজেদের তফাতে রাখতে চাইছে চিনের থেকে।
যেমন বাংলাদেশ। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ভারতের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। গত কয়েক দশক ধরে, ধীরে ধীরে নিজেদের মেলে ধরছে এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। নিজেদের ক্ষমতার ওপর আস্থা রেখে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে তারা। কিন্তু, একটা সময়ে বাংলাদেশও চিনের দিকে অনেকটা ঝুঁকে পড়ছিল। যা ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল। যদিও, শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিকালের ঘটনাবলি থেকে প্রাপ্ত বাস্তব পরিস্থিতি দেখে হয়ত তারাও ভাবতে শুরু করেছে, যে চিনের দিকে ঘেঁষলে, লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি।
অন্যদিকে, ভারত এখন দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি শক্তি হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছে। বিশেষ করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব ভারত স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। কোনও বড় শক্তি তা সে পশ্চিমের হোক বা পূর্বের– এখন ভারতকে ঘাঁটাতে চায় না। ভারত কারও সার্বভৌমত্ব খণ্ডন করে না। সবচেয়ে বড় কথা, কোভিডকালে, কঠিন সময়ে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। সব মিলিয়ে সু-প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত যে চিনের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে, তা বলা বাহুল্য।
-
Ranbir-Alia Wedding: সাতপাক সেরেই ঠোঁটে ঠোঁটে ব্যারিকেড, চুম্বনে, উষ্ণতায় মিলেমিশে একাকার রণবীর-আলিয়া
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাবি রীতি এবং কপূরদের পারিবারিক প্রথা মেনে বাড়িতেই ধুমধাম করে বিয়ে। তার পর কেক কাটা, ওয়াইনে চুমুক। এবং অবশেষে সদ্য বিবাহিতদের ঘিরে হইচইয়ে মেতে ওঠা দুই পরিবার। ঋষি কপূর ও নীতু সিংহের বিয়েতেও তাই ঘটেছিল। এ বার একই পথে হাঁটলেন ছেলে-বউমা, রণবীর-আলিয়াও।
নাচে-গানে জমিয়ে দিলেন ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কপূর’তেড়েফুঁড়ে বাজছে নব্বইয়ের দশকের হিট গান, ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’। পর্দার শাহরুখ খান-মালাইকা অরোরার ভূমিকায় অবতীর্ণ সদ্য বিবাহিত কপূর দম্পতি (Kapoor Couple)। টুকটুকে লাল অনারকলি কুর্তিতে আলিয়া যেন পাশের বাড়ির মেয়ে। সাদা কুর্তা-পাজামা, লাল জহরকোটে দিব্যি রং-মিলন্তি রণবীরেরও। হাসছেন, জড়িয়ে ধরছেন, তাল মেলাচ্ছেন নাচের ছন্দে। জুটিতে দু‘টিতে পার্টির মধ্যমণি!রংমিলন্তি ছিল তার আগেও। পোশাক শিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের তৈরি আইভরি রঙা, জরি বোনা অর্গ্যাঞ্জা শাড়ি, হিরের গয়নার দ্যুতিতে ঝলমলিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মহেশ ভট্ট-সোনি রাজদানের কন্যা। প্রায় একই রঙের সিল্কের শেরওয়ানি, জরি বোনা শাল, হিরের বোতামে ঠিক তাঁর মানানসই হয়ে উঠেছিলেন বর রণবীরও।
আর তার পর? রূপকথার মতো সেই বিয়ের ছবিতে রণবীর-আলিয়ার হাসি ঝলমলে মুখ দেখেই আনন্দে ভেসেছেন ভক্তকুল।