Blog

  • KIYG: ‘খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস’-এ প্রথম সোনা জিতলেন ‘চাওয়ালা’র মেয়ে!

    KIYG: ‘খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস’-এ প্রথম সোনা জিতলেন ‘চাওয়ালা’র মেয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস ২০২২ (Khelo India Youth Games 2022)- এ প্রথম সোনাটি জিতে নিলেন কাজল সারগার (Kajol Sargar)। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাংলির মেয়ে কাজলের বাবা একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। তিন বছর আগেও খেলার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না কাজলের। তারপর দাদার সঙ্গে দেখা করতে রোজ জিমে যাওয়া শুরু করলেন। কাজলের দাদাও একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভারোত্তলক।

    প্রতিদিন জিমে যাওয়া-আসাতেও ক্রীড়ার ময়দানে আসার সম্ভবনা দেখা দেয়নি। কিন্তু একদিন হঠাতই সব বদলে গেল। ২০১৯ সালে নিজেরই এলাকার মেয়ে রূপা হাংগান্দিকে খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমসে সোনা জিততে দেখলেন। সেদিনই কাজল ঠিক করে নিয়েছিলেন, একদিন ওই পোডিয়ামে নিজেও দাঁড়াবেন। 

    আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করেও এশিয়া কাপ হকি ফাইনালের দোরগোড়ায় ভারত

    প্রতিযোগিতা জেতার পরে কাজল বলেন, “আমার দাদা আমার থেকে প্রায় ৫ বছরের বড়। খেলাধুলো নিয়ে কখনও দাদার সঙ্গে কথা হতো না।  রূপা হাংগান্দিকে দেখেই আমার ইচ্ছে জাগে। মনে হয় আমারও ভারোত্তলন করা উচিত।”

    ‘ময়ূর সিংহাসন’ থেকে প্রশিক্ষিত কাজল। মেয়েদের ৪০ কেজি ক্যাটেগরিতে ১২৩ কেজি ভারোত্তলন করেছেন তিনি। স্ন্যাচে ৬০ কেজি, ক্লিন এবং জার্কে ৬৩ কেজি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেখামণি উত্তোলন করেছেন ১০৯ কেজি। স্ন্যাচ ৫২ কেজি, ক্লিন এবং জার্ক ৫৭ কেজি। তৃতীয় স্থানে থাকা অরুণাচল প্রদেশের সন্ধ্যা গাঙ্গুলি উত্তোলন করেছেন ১১ কেজি। স্ন্যাচ ৪৭ কেজি, ক্লিন এবং জার্ক ৬৩ কেজি।

    আরও পড়ুন: পেলের আরও কাছে নেইমার! দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-১ গোলে হারাল ব্রাজিল 

    ২০২১ সালে পাতিয়ালায় ইউথ ন্যাশনালে ব্রোঞ্চ জিতেছিলেন কাজল। কিন্তু হাতে চোট পাওয়ার কারণে আগের ক্যাটেগরিতেই এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কাজল। কাজল বলেন, “আমি ৭০ কেজিতে অনুশীলনের চেষ্টা করছিলাম। হাতে চোট থাকায় আমি দু’মাস সবকিছুর বাইরে ছিলাম। ভুবনেশ্বরে জাতীয় প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করতে পারিনি।”  

    ভারতকে আন্তর্জাতিক ক্রিড়া স্তরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ভারত সরকারের অভিনব উদ্যোগ খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস (KIYG 2022)। ৪ জুন এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোট ২৫ টি বিষয় রয়েছে এই ক্রিড়া প্রতিযোগীতায়।  

    শুটিং, সাঁতার, টেনিস, টেবিল টেনিস, ঠ্যাং-টা, ভলিবল, ভারোত্তলন, কুস্তি, যোগাসন, আর্চারি, অ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টন, বাসকেটবল, বক্সিং, সাইক্লিং, ফুটবল, গাটকা, হকি, জিমন্যাস্টিকস, জুডো, কাবাডি, কালারিপায়াত্তু, খোখো, লন বোলিং, মাল্লাখাম্ব। চণ্ডীগড়, দিল্লি, হরিয়ানায় আয়োজিত হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। চলবে ১০ জুন অবধি।  

     

     

     

     

     

     

  • TMC 21 July: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    TMC 21 July: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে হাসপাতালে রক্ত মজুত রাখা হয়েছে, ধর্মতলায় রেলিং উপড়ে ফেলা, গাছ কাটা, আলো লাগানো, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় জীবাণু নাশক ছড়ানো সবই হয়েছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার প্রায় সবই স্কুলই আগামীকাল ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। 

    এর পর শেষ দফায় অন্য দফতরগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে থেমে থাকল না বিদ্যৎ দফতরও। ২১ জুলাই রাজ্যের কোথাও শাটডাউন নেওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সমস্ত সার্কেল অফিস পর্যন্ত এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও লিখিত নির্দেশ নয়, বিদ্যুৎ ভবন থেকে কর্তারা ওয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে নীচ পর্যন্ত একথা জানিয়ে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের একাংশের মতে, কখনও কখনও লোড বণ্টন, রুটিন মেরামত, লাইনের ধারে গাছ কাটা, বিদ্যুৎ লাইনে গোলমাল ধরা পড়লে লোডশেডিং করতে হয়। গ্রামেগঞ্জে রোজই কোথাও না কোথাও আধ-এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। সাধারণত মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ঈদের সময় ‘নো শাটডাউন’ অর্ডার করা হয়। এই প্রথম শাসক দলের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য এমন আপৎকালীন নির্দেশ জারি করা হল।

    কর্তাদের কেউ কেউ মশকরা করে বলেছেন, আসলে ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে যা কিছু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম করেছেন। বাকি স্বাস্থ্য বা পুলিশ দফতরের মন্ত্রী তো মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রয়েছেন। ফলে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের কাজ দেখানো এবং নম্বর তোলার সুযোগ ছিল না। শেষ লগ্নে এসে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা তাই ওয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে রাজ্যে কোথাও শাটডাউন নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    যখন মমতার ভক্তকুল সকলেই প্রায় কলকাতামুখী সেখানে গ্রামে কোথায় লোডশেডিং হল তাতে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে? এক কর্তার জবাব, এত প্রশ্ন করছেন কেন, স্বাস্থ্য দফতর সারা রাজ্যে সমস্ত হাসপাতালে রক্ত মজুত রাখার লিখিত নির্দেশ দিয়েছে, আর বিদ্যুৎ দফতর লোডশেডিংয়ে না করাতে ভুলটা কি করেছে?   

  • Sri Lanka Presidential Polls: শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    Sri Lanka Presidential Polls: শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) নয়া প্রেসিডেন্ট (New President) রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর অ্যাক্টিং প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন রনিল বিক্রমসিংহে। বুধবার ভোটে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হলেন তিনিই।

    বছর তিয়াত্তরের রনিল বিক্রমসিংহে ছ’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) ছিলেন। ২২৫ জন সাংসদের মধ্যে ১৩৪ জনের ভোট পেয়েছেন তিনি। তার পরেই জয়ী ঘোষণা করা হয় তাঁকে। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এসএলপিপির-ই বিদ্রোহী সদস্য ডালাস আলাহাপ্পেরুমা। প্রাক্তন এই সাংবাদিকের পিছনে সমর্থন ছিল শাসক দলের বিক্ষুব্ধদেরও। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮২টি। লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন বামপন্থী নেতা আনুরা কুমার দিসানায়েকও। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩টি ভোট। ভোট শুরু হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন দেশের প্রধান বিরোধী দল এসজেপি-র নেতা সাজিথ প্রেমদাসা। রনিল আপাতত ২০২৪-এর নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে থাকবেন। কারণ এই সময়ই রাষ্ট্রপতি হিসেবে গোতাবায়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে মোদিকে পাশে থাকার আবেদন শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতার

    আগে জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হতেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। তবে জরুরি ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা হয়। ঠিক হয়, জনগণ নন, আপাতত সাংসদরাই ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। সেই মতো কড়া নিরাপত্তায় ব্যালট পেপারে ভোট হয় এদিন। সংসদের ২২৫ জন সাংসদের মধ্যে ভোট দেন ২২৩ জন। ভোটদানে বিরত ছিলেন দুজন। যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বাতিল হয় চারটি ভোট। বৈধ ভোটের সংখ্যা ২১৯টি। জানা গিয়েছে, ৪৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সাংসদরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করলেন। ১৯৮২, ১৯৮৮, ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০১০, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে জনগণ ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছিলেন। এবারই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করলেন সাংসদরা। 

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    প্রসঙ্গত, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বিদেশ থেকে আমদানি করা যাচ্ছে না জ্বালানি। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। এর পরেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জনতা। জনরোষের আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

     

  • Maharasthra Crisis: বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে নিজে!  

    Maharasthra Crisis: বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে নিজে!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবিকাশ আঘাড়ি (MVA) জোট সরকার তৈরি হওয়ার পর খোদ শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে। একথা জানালেন শিবসেনা সাংসদ রাহুল শেওয়ালে (Rahul Shewale)। তাঁর দাবি, এমভিএ জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গেই জোট করার পক্ষপাতী ছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপিকে নিয়ে গড়া মহাবিকাশ আঘাড়ির জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে চেয়েছিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে তাঁর। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান গুজরাটের সুরাট এবং পরে সেখান থেকে চলে যান বিজেপি শাসিত অসমে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের সরকারের।

    রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    রাহুল শেওয়ালেও বর্তমানে শিন্ডে শিবিরের সৈনিক। এদিনই লোকসভায় রাহুলকে দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে বোমা ফাটান রাহুল। শিবসেনার এই বিদ্রোহী শিবিরের নেতার দাবি, আগেই বিজেপির সঙ্গে জোট হয়নি কারণ শিবসেনার বেশ কিছু সদস্য এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই ঠাকরেও আর সাহসী হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

    তবে শিবসেনার সাংসদদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বলেও দাবি রাহুলের। তাঁর দাবি, ২০২১ সালে এবিষয়ে ঠাকরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। রাহুলের দাবি, শিবসেনা সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠকে ঠাকরে স্বয়ং জানিয়েছিলেন, গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছিলেন তিনি।

    রাহুল জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপির সঙ্গেই জোট গড়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন ঠাকরে। তাঁর দাবি, এর পরেই ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মনে হয়েছিল, ঠাকরে একদিকে তাঁদের সঙ্গে জোট চাইছেন, আবার অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এর পর আর সেনার তরফে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে বিজেপিও মুখ ফিরিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রাহুলের।

    আরও পড়ুন : শিবসেনায় ভাঙন ঠেকাতেই দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন উদ্ধব ঠাকরের, বলছে সমীক্ষা

     

  • Bhupinder Singh: প্রয়াত প্রখ্যাত গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিং, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    Bhupinder Singh: প্রয়াত প্রখ্যাত গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিং, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সঙ্গীত দুনিয়ায় নক্ষত্রপতন। লতা মঙ্গেশকর, বাপ্পি লাহিড়ী, কেকে-এর পর এবারে প্রয়াত গায়ক ভূপিন্দর সিং (Bhupinder Singh)। ভূপিন্দর সিংয়ের কণ্ঠ চিরকাল মনে থেকে যাবে শ্রোতাদের। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সোমবার সন্ধ্যায় ৭টা ৪৫ মিনিটে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিখ্যাত গজল শিল্পী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এছাড়াও তিনি কোলন ক্যান্সারে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও বিভিন্ন সমস্যা দেখা গিয়েছিল। শোকের ছায়া সঙ্গীত জগতে। তিনি চলে গেলেন কিন্তু রেখে গেলেন হিন্দি, বাংলা ভাষায় গাওয়া অজস্র গান।

    আরও পড়ুন: কেকে-এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড তারকারা

    তাঁর বিখ্যাত গানগুলির মধ্যে ‘দিল ঢুন্ডতা হ্যায়’, ‘নাম গুম জায়েগা’, ‘এক অকেলা শহর মে’, ‘কিসি নজর কো তেরা ইন্তেজার আজ ভি হ্যায়’, ‘দো দিওয়ানে শহর মে’, ‘কারোগে ইয়াদ তো’, ‘কিসি কো মুকম্মল’, ‘থোড়ি সি জমিন’, ‘থোড়া আসমান’ ইত্যাদি। এই গানগুলো ভারতবাসীর মনে এমনভাবে ছাপ ফেলে গেছে, যা চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে।  তাঁর সঙ্গীত জগতে যাত্রা অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকেই শুরু হয়েছিল। পরে দূরদর্শনের সঙ্গেও যুক্ত হন। তখন তাঁর কণ্ঠ মদন মোহন (Madan Mohan) শোনার পর সিনেমা জগতে গান করার প্রস্তাব দেন। তারপর মোহাম্মদ রাফী (Mohammad Rafi), মান্না দে (Manna Dey) তালাত মেহমুদের (Talat Mahmood) সঙ্গে ‘হাকিকত’ সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পান। এই সিনেমার ‘হোকে মজবুর মুঝে’ গানটি বেশ সাড়া ফেলেছিল পুরো দেশজুড়ে। এরপর থেকেই পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী যোগ দেন ভূপিন্দর সিং।

     তাঁর প্রয়াণে শোকাহত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শিল্পীর প্রয়াণে একটি টুইটের মাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “শ্রী ভূপিন্দর সিং জি-র প্রয়াণে গভীর ভাবে শোকাহত। বহু দশক ধরে উনি আমাদের স্মরণীয় গান উপহার দিয়েছেন। এই খারাপ সময়ে আমি মানসিকভাবে তাঁর পরিবারের এবং অনুরাগীদের পাশে আছি। ওম শান্তি।”  

    আরও পড়ুন: চোখের জলে শেষ বিদায়, মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পঞ্চভূতে বিলীন কেকে

    [tw]


    [/tw] 

  • MS Dhoni: বিহারে ধোনির নামে এফআইআর! কী দোষ ক্যাপ্টেন কুলের?

    MS Dhoni: বিহারে ধোনির নামে এফআইআর! কী দোষ ক্যাপ্টেন কুলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮১৯ কোটি টাকারও বেশি। তাঁর বিরুদ্ধেই আনা হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ।

    সম্প্রতি বিহারের বেগুসরাইতে ধোনির (Dhoni) বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। ধোনি ছাড়াও আরও সাতজনের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে লিখিত অভিযোগ। কৃষিকাজে ব্যবহৃত একটি সারের বিজ্ঞাপনে কাজ করে এই সমস্যায় জড়িয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক (former India captain)। ঘটনার সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও দুই সংস্থার ব্যবসায়িক সংঘাতের জন্য তাঁকেও যুক্ত করা হয়েছে মামলায়।

    নিউ গ্লোবাল প্রোডিউস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NGPIL) নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ উঠেছে। যাদের একটি চেক বাউন্স করেছে। আর সেই কোম্পানিরই প্রচারে দেখা গিয়েছে ধোনিকে। তাই অভিযোগপত্রে যুক্ত হয়েছে ক্যাপ্টেন কুলের নাম। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে এসকে এন্টারপ্রাইসেস (SK Enterprises)। বেগুসরাইয়ের আদালতের কাছে তাদের অভিযোগ, ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক বাউন্স হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পেলের আরও কাছে নেইমার, দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-১ গোলে হারাল ব্রাজিল

    ওই সংস্থার চেক বাউন্স হওয়ার পর তাদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তার কোনও উত্তর দেয়নি অভিযুক্ত সংস্থা। টাকা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। তাই এসকে এন্টারপ্রাইসের নীরজ কুমার নিরালা এই ঘটনায় থানায় আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তার মধ্যে রয়েছে ধোনির নামও।

    ওই সার সংস্থাটির প্রচারে শামিল হয়েছিলেন মাহি (Mahi)। তাই বিত্তবান ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর নামে। ২০২১ সালেও ধোনি আয় করেছেন ৭৪.৪৯ কোটি টাকা। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫০ কোটি টাকার বেশি। তাঁর গ্যারাজ সাজানো বহুমূল্য বাইক এবং গাড়িতে। তবু আইনি জালে জড়ালেন চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings) অধিনায়ক। সোমবার মামলাটি আদালতে পেশ করা হলে সেটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অজয় কুমার মিশ্রর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুন।

  • Commonwealth Games: সোনাই লক্ষ্য মীরাবাঈয়ের! একঝলকে কমনওয়েলথে দ্বিতীয় দিনে ভারতের খেলা

    Commonwealth Games: সোনাই লক্ষ্য মীরাবাঈয়ের! একঝলকে কমনওয়েলথে দ্বিতীয় দিনে ভারতের খেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে ভাল-মন্দ মিশিয়ে কাটল ভারতের প্রথম দিন। কমনওয়েলথ গেমসের ২২ গজে প্রথমবার নেমেই ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটার হরমনপ্রীত কৌর। ভারতের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে কমনওয়েলথের আসরে অর্ধশতরান করলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত রেকর্ড তৈরি হলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় অধরাই রয়ে গেল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের। তবে ক্রিকেটে হারের দিনও বাজিমাত করলেন ভারতীয় মহিলা হকি খেলোয়াড়রা। হকিতে পুল এ ম্যাচে ৫-০ গোলে ঘানাকে উড়িয়ে দিল ভারতীয় মহিলা দল। এদিকে, সাঁতারের ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকের সেমিফাইনালে ভারতের শ্রীহরি নটরাজ। ভারতীয় মহিলা ও পুরুষ দলই টেবিল টেনিসের প্রথম রাউন্ড জিতে পরের রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছে। পাক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে প্রথম বাউটে জয়ী ভারতের শিবা থাপা।

    আরও পড়ুন: ছবির মতো সেজেছে বার্মিংহাম! কমনওয়েলথ গেমসের সূচনা

    কমনওয়েলথ গেমসের (CWG 2022) দ্বিতীয় দিনেও ভারোত্তোলন থেকে শুরু করে অ্যাথলেটিক্স এবং টেবিল টেনিস, ভারতীয় খেলোয়াড়দের লড়তে দেখা যাবে। গেমসের দ্বিতীয় দিন বক্সিংয়ের দিক থেকে ভারতের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন ভারতের ১২ জন বক্সার রিংয়ে নামবেন। রয়েছেন টোকিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ পদক জয়ী লভলিনা বোরগোহাইন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিখাত জারিন এবং তারকা বক্সার অমিত পাঙ্ঘাল। শনিবার, প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে প্রথম পদকের আশায় থাকবে ভারত। ভারতের তিনজন ভারোত্তোলক (weightlifting) শনিবার অ্যাকশনে নামবেন। এবং দেশ তিনজনের কাছেই পদক আশা করছে। বিশেষ করে টোকিও অলিম্পিকের রুপো জয়ী মীরাবাঈ চানুর (Mirabai Chanu) দিকে থাকবে নজর। ৫৫ কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চানু। তারা ছাড়াও পুরুষদের ৫৫ কেজি বিভাগে পদকের জন্য লড়বেন সঙ্কেত মহাদেব এবং সি ঋষিকান্ত সিং। হকির লিগ রাউন্ডে, ভারতীয় মহিলা দল ওয়েলসের মুখোমুখি হবে। যেখানে দেশের মেয়েরা জয় পাওয়ার অন্যতম দাবিদার। স্কোয়াশে দেশের তারকা খেলোয়াড় জোৎস্না চিনাপ্পা এবং সৌরভ ঘোষাল সিঙ্গলসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামবেন। দ্বিতীয় দিনে একনজরে ভারতের খেলা:

    ব্যাডমিন্টন

    মিক্সড টিম গ্রুপ প্লে স্টেজ- ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা (দুপুর ১.৩০)

                                             ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (রাত ১১.৩০)

     

    সাঁতার

    পুরুষদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল- হিট থ্রি: কুশাগ্রা রাওয়াত- দুপুর ৩.০৬ 

    আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স

    মহিলাদের দলগত ফাইনাল ও ব্যক্তিগত যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ

    রুথুজা নটরাজ, প্রতিষ্ঠা সামান্থা ও প্রণতি নায়েক (রাত ৯)

    বক্সিং

    ৫৪-৫৭ কেজি ফেদারওয়েট- রাউন্ড অফ থার্টিটু: হুসসাম উদ্দিন মহম্মদ (বিকেল ৫)

    ৬৬ কেজি-৭০ কেজি (লাইট মিডলওয়েট), রাউন্ড অফ সিক্সটিন: লভলিনা বড়গোঁহাই- দুপুর ১২

    ৮৬-৯২ কেজি (হেভিওয়েট)- রাউন্ড অফ সিক্সটিন- সঞ্জীত (রাত ১টা)

    ভারত্তোলক

    ৫৫ কেজি বিভাগে ওয়েটলিফটিংয়ে নামবেন সাইকম মীরাবাঈ চানু

    স্কোয়াশ

    পুরুষদের সিঙ্গলসে রাউন্ড অফ থার্টি টু: রমিত ট্যান্ডন- বিকেল ৫, সৌরভ ঘোষাল- সন্ধে ৬.১৫

    মহিলাদের সিঙ্গলসে রাউন্ড অফ থার্টি টু: সুনয়া সারা কুরুভিল্লা- বিকেল ৫.৪৫, জোৎস্না চিনাপ্পা- বিকেল ৫.৪৫

    টেবিল টেনিস

    মহিলাদের গ্রুপে- ভারত বনাম গায়ানা -দুপুর ২টো

    পুরুষদের গ্রুপে- ভারত বনাম নদার্ন আয়ারল্যান্ড- বিকেল ৪.৩০

  • Attack on Hindu in Bangladesh: হিন্দুদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

    Attack on Hindu in Bangladesh: হিন্দুদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেসবুকে পোস্ট (facebook post) ঘিরে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Hindu) উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে (Bangladesh)। গত শুক্রবার নড়াইল (Narail) জেলায় কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলার পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। সূত্রের খবর, নড়াইলের লোহাগড়া (Sahapara area of Lohagara) উপজেলায় ফেসবুক (Facebook) পোস্টকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। সেদিন নমাজের পর ওই পোস্ট দেওয়া যুবকের খোঁজ করতে থাকে হিংসা সৃষ্টিকারীরা। আর তারপরই সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলা চলে। ঘটনার পর ওই এলাকার বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই হামলাকে সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে একযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। 

    আরও পড়ুন: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    স্থানীয়রা জানান, আকাশ সাহা নামে এক কলেজছাত্রের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দীঘলিয়া গ্রামে শুক্রবার নমাজের পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে সন্ধ্যায় উত্তেজিত জনতা দীঘলিয়া বাজারে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায়। উত্তেজিত জনতা রাতে স্থানীয় একটি পুজোমণ্ডপেও আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আকাশ সাহা পলাতক থাকায় তার বাবা অশোক সাহাকে পুলিশ হেফাজতে নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    আরও পড়ুন: শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা-নির্যাতন (Attack) নতুন নয়। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। হিন্দু নিপীড়নের ঘটনায় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানবাধিকার কমিশন বলেছে, “বাংলাদেশের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত তদন্ত চালিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে কমিশন। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা (Mashrafe Bin Mortoza)। তিনি বলেন, “যে নড়াইলকে আমি চিনতাম, এটা সেই নড়াইল নয়। এখানে আমি বড় হয়নি। আমার নড়াইল হারিয়ে গেছে।” ঘটনার নিন্দা করেছে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়।

  • Kashmir killing: পরপর হিন্দু-হত্যা কাশ্মীরে! সেনাপ্রধান, এনএসএ-র সঙ্গে বৈঠক শাহের

    Kashmir killing: পরপর হিন্দু-হত্যা কাশ্মীরে! সেনাপ্রধান, এনএসএ-র সঙ্গে বৈঠক শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় বেড়ে চলেছে অশান্তি। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ হিন্দু নাগরিকরা (Hindus Targeted in Kashmir)। কখনও ব্যাঙ্ক কর্মী, কখনও স্কুল শিক্ষিকা, কখনও পরিযায়ী শ্রমিক। কখনও হিন্দু পণ্ডিত (Hindu Pandits) তো কখনও ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও।

    এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে (security meet) ডেকেছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval), সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে (Army Chief General Manoj Pande), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার (JK L-G Manoj Sinha) উপস্থিতিতে বিকেল ৩টার দিকে বৈঠক শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: বিয়ের অ্যালবাম এখনও হয়নি, শুধু ছবিই সঙ্গী কুলগামে নিহত ব্যাঙ্ককর্মীর স্ত্রীর

    এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফ (CRPF) ডিজি কুলদীপ সিং এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF) প্রধান পঙ্কজ সিং, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, উপত্যকার নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যাপারে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিহতদের সম্পর্কে তথ্য থেকে শুরু করে লাগাতার এই হামলার পিছনে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে, তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত নথি পেশ করা হয়। 

    কাশ্মীরের নাগরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহও। কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে নর্থ ব্লকে জরুরি ভিত্তিতে ওই বৈঠক ডাকেন অমিত। সূত্রের খবর, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই বৈঠক চলে। সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনা ও নিরাপত্তা কর্মীদের আরও সতর্ক থাকার কথা বলা হয়। কীভাবে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়। কাশ্মীরে কেন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর উপর হামলা চালানো হচ্ছে তা জানতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    অশান্ত কাশ্মীর! এবার ভিন-রাজ্যের শ্রমিককে গুলি করে হত্যা

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীরে অশান্তি বেড়েছে। মাঝে কিছুদিন পুলিশ ও সেনার চরম তৎপরতায় পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও গত কয়েক মাসে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বিধানসভা ভোটের তোড়জোড় শুরু হতেই সেখানে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) প্রতি বিদ্বেষ। সেনা সূত্রে খবর, পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আনাগোনা মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে, একের পর এক সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে তারা।  

  • Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই!  চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত বিবাদ মেটাতে চিনের বিদেশমন্ত্রী (Chinese State Councillor and Foreign Minister)  ওয়াং ই (Wang Yi) এর মুখোমুখি বসবেন  বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (External Affiars Minister S Jaishankar)? সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Cooperation Organisation) বা SCO-র বৈঠকে তাঁদের একসঙ্গে কথা বলতে দেখা যাবে  কি না তা নিয়েই এখন গুঞ্জন চলছে কূটনৈতিক মহলে। চলতি মাসের শেষেই উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) রাজধানী তাসখন্দে (Tashkent) হবে SCO-র বৈঠক। কেন্দ্রীয় আধিকারিক সূত্রে খবর, সেখানে আলাদা করে ওয়াং ই এবং জশঙ্করের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে। চলতি মাসের ২৭-২৮ তারিখ নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত

    এর আগে বালিতে জি-২০ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন চলাকালীন এক পার্শ্ববৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বকেয়া বিষয়গুলি মেটাতে সওয়াল করে ভারত। এবারও দু-দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে আসতে পারে পূর্ব লাদাখ থেকে অবিলম্বে সেনা সরানোর দাবি। এ বিষয়ে বারবার চিনকে সতর্ক করেছে ভারত। এ-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত হওয়া উচিত ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা’, ‘পারস্পরিক সংবেদনশীলতা’ এবং ‘পারস্পরিক স্বার্থ’। আবারও সেই দাবিই রাখা হবে। ভারত মনে করে, সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে দু’দেশেরই উচিত, সম্পূর্ণ সেনা সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে উদ্যম ধরে রাখা। দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকল এবং সীমান্ত চুক্তিগুলি মান্য করার উপরে বরাবরই জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। 

    আরও পড়ুন: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    চলতি বছরের ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর, উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরখন্দে (Samarkhand) পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেবেন SCO ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রনায়করা। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে মুখোমুখি হবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping)। ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত-সমস্যার পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রনায়কের সাক্ষাত হবে। তারই পথ প্রশস্ত করবে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

LinkedIn
Share