Blog

  • India China Border Talks: পূর্ব লাদাখ নিয়ে ফের বৈঠকে ভারত-চিন, মিলবে কি সমাধানসূত্র?

    India China Border Talks: পূর্ব লাদাখ নিয়ে ফের বৈঠকে ভারত-চিন, মিলবে কি সমাধানসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) ২০ মাসের জটিলতা কাটাতে আবার কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসছে ভারত-চিন (China)। সূত্রের খবর, এই নিয়ে ১৬ বার এ প্রসঙ্গে  বৈঠকে বসতে চলেছে দু’দেশ। তবে এবারও এই বৈঠকের আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান কূটনৈতিক মহল।

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) সম্প্রতি জানিয়েছে, উভয় পক্ষ পূর্ব লাদাখের পশ্চিম সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Actual Control) বরাবর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করছে। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে যে উভয় পক্ষ ভারত-চিন সীমান্ত এলাকার পশ্চিমাঞ্চলে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ সিনিয়র কমান্ডারদের বৈঠকের পরবর্তী রাউন্ড আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে। সামরিক পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১১ মার্চ। তবে তা থেকে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।

    এর আগের বৈঠকে একাধিক ‘গঠনমূলক’ প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত (India)। কিন্তু চিনের দিক থেকে সে ভাবে কোনও প্রস্তাব আসেনি। সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে দাবি করেন, চিন সীমান্তে সমস্যা জিইয়ে রাখতে চায়। তাই কোনও সদর্থক ভূমিকা নেয় না। তবে ভারত কোনওরকম অনধিকার প্রবেশ বরদাস্ত করবে না।

    আরও পড়ুন: ফের ভারত-চিন সংঘাত? প্যাংগং হ্রদের ওপর অধিকৃত অঞ্চলে দ্বিতীয় চিনা সেতু ঘিরে বিতর্ক

    ভারত-চিন দু’দেশই নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ জারি রেখেছে। সড়ক নির্মাণ, বিমান ওঠানামার জন্য রানওয়ে তৈরির কাজ করছে চিন। সূত্রের খবর, এই অস্থির পরিস্থিতির জন্য পূর্ব লাদাখে অত উচ্চতায় দু’দেশেরই প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার অস্ত্র সুসজ্জিত সৈনিক মজুত রয়েছে। 

    সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ্যে আসে যে প্যাংগং হ্রদ (Pangong Tso) সংলগ্ন ফিঙ্গার ৮-এর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে একটি বড় সেতু বানাচ্ছে চিন। এই আবহে ভারত নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করতে লাদাখ সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করেছে। লাদাখে (Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) দুই দিকেই এখন দুই দেশের সমসংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে। চিনের আর্মার্ড এবং রকেট রেজিমেন্টগুলি মোতায়েন রয়েছে রুডগ ঘাঁটিতে, প্যাংগং সো-র দক্ষিণে এবং অশান্ত জিনজিয়াং সামরিক অঞ্চলের জিয়াদুল্লাহতে। পিএলএ এয়ার ফোর্স (PLAAF) ডেমচক (Demchak) এবং জিনজিয়াংয়ের (Xinjiang) হোতান এয়ারবেসে তাদের যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে। এই আবহে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নতির আশা করছেন অনেকে।

  • TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালন হবে শহিদ দিবস (shahid dibas)। অথচ হাসপাতালগুলিকে (Hospitals) পরিকাঠামো প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, তৃণমূলের একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশে কী এমন ঘটবে, যে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে হবে? ব্লাড ব্যাংকে (Blood Bank) মজুত রাখতে হবে রক্ত? 

    ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিল যুব কংগ্রেস (Yuba Congress)। অভিযান হয়েছিল তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata banerjee) নেতৃত্বে। তখন বাম আমল। অভিযান রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। খুন হন ১৩ জন। তাঁদের শহিদ আখ্যা দেয় কংগ্রেস। তার পর থেকে প্রতি বছর ওই দিনে শহিদ দিবস পালন করে কংগ্রেস। কংগ্রেস ভেঙে মমতা যখন তৃণমূল প্রতিষ্ঠা করেন, তখন থেকে ফি বছর ২১ জুলাই ঘটা করে দিনটি পালন করেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান পরিণত হয়েছে তৃণমূলের প্রচারের হাতিয়ারে। ইদানিং শহিদরা চলে গিয়েছেন পিছনের সারিতে। সামনে চলে এসেছেন তৃণমূলের তারকারা। প্রতিবার যাদের দেখিয়ে ভোট কুড়োয় ঘাসফুল শিবির। 

    আরও পড়ুন : দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা

    এবারও ২১ জুলাই পালিত হবে শহিদ দিবস। সেই উপলক্ষে সরকারের তরফে হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হয়েছে চিঠি। তাতেই সভা চত্বরের বিভিন্ন রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। মজুত রাখতে বলা হয়েছে প্রচুর রক্ত। যা দেখে বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে কি এবারের শহিদ দিবসে রক্ত ঝরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী? রাজ্য প্রশাসনের জোড়া চিঠিকে হাতিয়ার করে শাসক দলের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ২১ জুলাই দিনটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে “জেহাদি” দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, কেন শহিদ মিছিলের রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? তাঁর আরও প্রশ্ন, এটা দলের কর্মকাণ্ড না সরকারের? তাঁর মতে, এভাবে ক্ষমতায় থেকে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চরম অপব্যবহার করছে তৃণমূল। 

    [tw]


    [/tw]

    গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে দলীয় কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে সব দলেরই। তবে সেই কর্মসূচিকে ঘিরে যেভাবে রক্ত ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আতঙ্কিত বিরোধীরা। 

  • UK PM Race: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, প্রথম রাউন্ডের শেষে এগিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক

    UK PM Race: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, প্রথম রাউন্ডের শেষে এগিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK PM Race) বরিস জনসন (Boris Johnson)। এরপরে কার মাথায় উঠবে প্রধানমন্ত্রীর খেতাব তা নিয়েই এখন বিশ্বজোড়া চর্চা। ভোটাভুটির প্রথম রাউন্ডের পরে প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানে রইলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি পেয়েছেন ২৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট পেয়েছেন ১৯ শতাংশ ভোট। লিজ ট্রস ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন (Liz Truss)। চতুর্থ স্থানে কেমি বেদেনোক ১১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, টম টুজেন্ট ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে ৫ নম্বরে রয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রাভারম্যান ৯ শতাংশ ভোট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছেন। এলিমিনেশন  রাউন্ডে, দুই প্রার্থী, নাদিম জাহাভি এবং জেরেমি হান্ট যথাক্রমে ৭ এবং ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে বাদ পড়েছেন। 

    আরও পড়ুন: কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    দলের ৩৫৮ জন সাংসদের মধ্যে ৮৮ জনের সমর্থন পেয়েছেন ঋষি সুনক। প্রতি রাউন্ডে যারা সবচেয়ে কম ভোট পাবেন, তাঁরা প্রতিযোগিতা থেকে বাদ যাবেন। চলতে হবে ভোট। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে দুজনকে চূড়ান্ত করতে হবে। তারপর কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা তাঁদের নতুন নেতা নির্বাচন করবেন। এরপরে ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    বর্তমানে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনক। প্রতিযোগিতায় রয়েছেন আরেক ভারতীয় রাজনীতিবিদ সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। 

    কে এই ঋষি সুনক?  

    বহুজাতিক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের (Infosys) প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির (Narayana Murthy) জামাই এই ঋষি সুনক। ১৯৮০-র ১২ মে ব্রিটেনের বন্দর শহর সাউদাম্পটনে (Southampton) জন্ম হয় ঋষি সুনকের। অক্সফোর্ড (Oxford) ও স্ট্যান্ডফোর্ড (Stanford) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ঋষি রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন ব্যবসায়ী। ২০১৫-য় রিচমন্ড ইয়র্কশায়ার (Richmond Yorkshire) থেকে জিতে প্রথমবার সাংসদ হন তিনি। বরিসের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান। ২০০৯-এ বিয়ে করেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির কন্যা অক্ষতাকে। দম্পতির দুই মেয়ে রয়েছে। একটা সময় ব্রেক্সিটের প্রচারে বরিসের পাশে ঋষিকেই মুখ্য ভূমিকায় দেখা যায়। একাধিক বিতর্কেও নাম জড়িয়েছে তাঁর। পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে (Partygate scandal) নাম জড়ায় ঋষি সুনকের।  

    দলের নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজতেও কনজারভেটিভ পার্টিতে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়। যে প্রার্থীরা ৩০ এর কম ভোট পেয়েছেন তাঁদের বাদ দেওয়া হয়। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কেবলমাত্র সেই প্রার্থীরাই পরের রাউন্ডে যেতে পারবেন, যারা অন্তত ৩০ জন সাংসদের সমর্থন পাবেন। ভোটের আগে সব প্রার্থীদের পার্টির কর্মীদের সামনে বক্তৃতা রাখার জন্যে ১২ মিনিটের সময় দেওয়া হয়।   

    শেষ রাউন্ডের শেষে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য হয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বরেই মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন। এমনটাই আশা করা হচ্ছে। 

  • Unicorn Startup: নতুন ভারতের মূল মন্ত্র চিহ্নিত করলেন প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন তিনি?

    Unicorn Startup: নতুন ভারতের মূল মন্ত্র চিহ্নিত করলেন প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ‘ইউনিকর্ন’ স্টার্টআপের (Unicorn Startup) সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। ভারতীয় ‘ইউনিকর্ন’ স্টার্টআপগুলির বার্ষিক বৃদ্ধির হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। এমনকী করোনা অতিমারীর মধ্যে দেশজুড়ে আর্থিক মন্দা থাকা সত্ত্বেও দেশের এই বহুমূল্য স্টার্টআপগুলি নিজেদের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। রবিবার ৮৯তম ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Baat) রেডিও অনুষ্ঠানে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।   

    কোনও নতুন ব্যবসা যদি মার্কেটে শেয়ার ছাড়ার আগেই তার ভ্যালুয়েশন ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি হয়, তাহলে তাকে ‘ইউনিকর্ন’ স্টার্টআপ বলা হয়। এদিন এই ইউনিকর্ন স্টার্টআপগুলিরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “ভারতীয়দের জন্যে গর্বের বিষয়, যে বিশ্বব্যাপী মহামারীর মধ্যেও লাভের টাকা ঘরে তুলেছে এই স্টার্টআপগুলি। আগামী বছরগুলিতে এই স্টার্টআপগুলিতে লাভের পরিমাণ আরও বাড়বে।”  

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পিএম কিষান প্রকল্পের ১১তম কিস্তির টাকা বিতরণ করবেন মোদি, জানুুন বিস্তারিত

    প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান, “গতবছর এই বড় স্টার্টআপ কোম্পানিগুলির জন্যে খুব ভালো সময় ছিল। ৪৪ টি নতুন কোম্পানির প্রত্যেকের ভ্যালুয়েশন ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের সব নতুন বড় কোম্পানিগুলির মধ্যে ৪০ টি গত বছর তৈরি করা হয়েছে। ১৪ টা তৈরি করা হয়েছে গত ৩-৪ মাসে।” প্রধানমন্ত্রী পরিসংখ্যান দেন, “মে মাস অবধি ভারতে ১০০ টি স্টার্টআপের মোট মূল্য ৩৩,২৭০ কোটি মার্কিন ডলার।”

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল চোখে সবকিছুই নজরবন্দি প্রধানমন্ত্রীর

    মোদি বলেন, “স্টার্ট আপগুলি হল নতুন ভারতের মূল মন্ত্র। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনে এই স্টার্ট আপগুলি ভারতকে উন্নতির নতুন শিখরে নিয়ে যাবে। এই স্টার্ট আপগুলিকে সঠিক দিশা দেখানো হলেই এগুলি শিখরে পৌঁছে যেতে পারবে। ভারতে এমন অনেকেই আছেন, যারা এই স্টার্ট আপগুলিকে সঠিক দিশা দেখাতে পারেন।”  

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটি ইউনিকর্ন মানে অন্তত ৭,৫০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ। এই ইউনিকর্নগুলির মোট মূল্য ৩৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এটা প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

    তিনি আরও বলেন, “আগামী সময় ভারতের হবে। এই ইউনিকর্নগুলি বিভিন্ন দিকে কাজ করছে। ইউনিকর্নের নিরিখে অনেক দেশ ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে।” 

    নিও ব্যাঙ্কিং প্ল্যাটফর্ম ‘ওপেন’ ভারতের ১০০ তম ইউনিকর্ন স্টার্টআপ। বাণিজ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গোটা বিশ্বের  প্রতি ১০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপের মধ্যে একটি ভারতের। 

     

  • Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় সেনা। লাদাখের (Ladakh) শিয়ক নদীতে (Shyok River) পড়ে গেল জওয়ান বোঝাই গাড়ি। অন্তত সাতজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। লাদাখের তুরতুক (turtuk) সেক্টরে ঘটেছে ঘটনাটি। জখম হয়েছেন একাধিক সেনাকর্মী। বায়ুসেনার (IAF) নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।  

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার ২৬ জন জওয়ানকে নিয়ে পার্টাপুরের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে হানিফ সাব সেক্টরের দিকে যাচ্ছিল সেনার গাড়িটি। প্রায় ৯ কিমি চলার পর থয়েসের কাছে গাড়িটি পিছলে রাস্তা থেকে ৫০-৬০ ফুট  নীচে নদীতে পড়ে যায়।

    [tw]


    [/tw]

    দ্রুত উদ্ধারকাজ চালিয়ে আহতদের হরিয়ানার পাঁচকুলা জেলার চণ্ডীমন্দির এলাকার আর্মি কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সাত জন জওয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আরও অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা জওয়ানদের সুচিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যেতে বায়ুসেনাকেও অনুরোধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি    

    ঘটনার পরেই ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি লেখেন, “লাদাখের বাস দুর্ঘটনায় আমরা আমাদের দেশের বীর জওয়ানদের হারালাম। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। যা সাহায্য প্রয়োজন আমরা তার ব্যবস্থা করব।”

    [tw]


    [/tw]

    শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও (Ram Nath Kovind)। তিনি লেখেন, “লাদাখের দুর্ঘটনার কথা জেনে মর্মাহত। আমাদের বীর সেনারা প্রাণ হারালেন। মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” 

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: জম্মু টানেলে ধস উদ্ধার কাজে সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

  • Booker Prize: হিন্দি ভাষার উপন্যাস জিতে নিল আন্তর্জাতিক বুকার! ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

    Booker Prize: হিন্দি ভাষার উপন্যাস জিতে নিল আন্তর্জাতিক বুকার! ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দি উপন্যাস ‘রেত সমাধি’-র জন্য আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার (International Booker Prize) পেলেন গীতাঞ্জলি শ্রী (Geetanjali Shree)। ২০১৮-য় প্রকাশিত গীতাঞ্জলির ‘রেত সমাধি’ (Ret Samadhi)  নামের হিন্দি উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ হল ‘টুম্ব অফ স্যান্ড’ (Tomb Of Sand)।

    মার্কিন অনুবাদক ও লেখক ডেইজি রকওয়েল (Daisy Rockwell) বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন। শ্রীর হাত ধরেই এই প্রথমবারের জন্য ভারতীয় ভাষায় লেখা কোনও বই পেল আন্তর্জাতিক বুকার প্রাইজ। তিনিই প্রথম ভারতীয় লেখক যিনি হিন্দি ভাষায় উপন্যাসের জন্য এই সম্মানে সম্মানিত হলেন।

    দিল্লির বাসিন্দা গীতাঞ্জলির ‘রেত সমাধি’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন উত্তর ভারতের একজন ৮০ বছরের বৃদ্ধা, যিনি দেশভাগের সময় ভারতে আসলেও পরে পাকিস্তানে চলে যান। ফলে দেশভাগের জন্যে তাঁর জীবনের ওপর কী কী প্রভাব পড়েছে সেইসব দৃশ্যই এই উপন্যাসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন গীতাজ্ঞলি। একজন কন্যা, মা ও নারী হয়ে তাঁর জীবনের কী কী উপলব্ধি, তা নিয়েই গীতাঞ্জলি শ্রী-র এই উপন্যাস।

    গীতাঞ্জলি শুধুমাত্র পুরস্কারই পাননি, সঙ্গে পেয়েছেন ৫০ হাজার পাউন্ড, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ডেইজি রকওয়েল-এর  সঙ্গে পুরস্কারও ভাগ করে নিয়েছেন গীতাঞ্জলি। সব মিলিয়ে গীতাঞ্জলি পাঁচটি উপন্যাস লিখেছেন এবং অনেক ছোট গল্পও লিখেছেন। তাঁর লেখা ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, কোরিয়ান সহ একাধিক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি বুকার পুরস্কারটি পাব, তা কখনও ভাবতেই পারিনি। এর জন্য আমি বিস্মিত, খুশী, গর্বিত এবং সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।”

     

  • Viral News: এ কি কাণ্ড আমাজনের! প্লাস্টিকের বালতি, মগ বিক্রি হচ্ছে ২৬ হাজার টাকায়!

    Viral News: এ কি কাণ্ড আমাজনের! প্লাস্টিকের বালতি, মগ বিক্রি হচ্ছে ২৬ হাজার টাকায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা প্লাস্টিকের বালতির দাম ২৬ হাজার টাকা! একটা প্লাস্টিকের মগ প্রায় ১০ হাজার টাকা! না, কোনও চোখের ভুল নয়। একদম ঠিক পড়ছেন। জনপ্রিয় অনলাইন রিটেল স্টোর (online fretail store) আমাজনের ওয়েবসাইটে এমনই ডিসপ্লের দেখা মিলেছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। সকলেই বলছেন, যত কাণ্ড আমাজনে!

    কোনও জিনিস অনলাইনে কেনার কথা হলেই প্রথমেই যে ই-কমার্স (e-commerce) প্ল্যাটফর্মের কথা মনে পড়ে তা হল আমাজন (Amazon)। আর এই আমাজনের এমন কাণ্ড দেখে রীতিমত শোরগোল পড়়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। সম্প্রতি, একটি ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আমাজনে এমন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অত্যন্ত সাধারণ পণ্যের পাশে অস্বাভাবিক মূল্য হেঁকে বিক্রি করা হচ্ছে। আমাজন ওয়েবসাইটের ছবি তুলে দেখানো হয়েছে, সামান্য প্লাস্টিকের বালতি ২৫,৯৯৯ টাকায় এবং প্লাস্টিকের মগ ৯,৯১৪ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

    এখানেই শেষ নয়, মজাদার বিষয় হল, যখন বালতিটির আসল দাম জানা গেল। কারণ বালতিটির আসল দাম হল ৩৫,৯০০ টাকা এবং ২৮ শতাংশ ছাড়ের পরেই দাম হয়েছে ২৫,৯৯৯ টাকা। এমনকী, এও বলা হয়েছে যে কিস্তির মাধ্যমেও কিনতে পারেন ওই বালতি। এটি শোনার পর আরও হতবাক হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

    বিবেক রাজু নামে এক ব্যক্তি তার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এটি শেয়ার করে লেখেন, “এটি আমাজনে পেলাম, আমি জানি না, কি করা উচিত।” এরই মধ্যে অনেকেই বিষয়টিকে আমাজনের ভুল বলে মেনে নিয়েছে। আমাজনের তরফেও বলা হয়েছে, “এই ভুলভ্রান্তির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা এই দিকে বিশেষ নজর রাখব।”

    আরেকজন একটি আশ্চর্যজনক বিষয় তুলে ধরেন, এটি আমাজনের স্টকে মাত্র একটি পড়ে রয়েছে। অন্য একজন ট্যুইটার ইউজার একটি হাস্যকর কমেন্ট করে লেখেন, “কোনও বেআইনি জিনিস পাঠানোর এটি একটি ভালো পদ্ধতি। এটি একটি কোডেড আইটেমও (Coded Item) হতে পারে এবং এর মাধ্যমে অন্য জিনিসও পেয়ে যেতে পারেন।”

    এরই মধ্যে দুটি বাথরুম মগ ৯,৯১৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায় আমাজনে। যার আসল দাম ছিল ২২,০৮০ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ ছাড়ের পর ৯,৯১৪ টাকা হয়েছে। তবে এমন কাণ্ড আমাজনে নতুন কিছু নয়। এর আগেও অনেক কম দামি জিনিসকে চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে।এরপর আর কী কী দেখার বাকি আছে, এই নিয়েই সাধারণ মানুষ চিন্তিত।

  • Birbhum Bombs recovered: বারুদের স্তূপ বীরভূম! এবার ডোবা থেকে উদ্ধার ট্রাঙ্ক-ভর্তি বোমা

    Birbhum Bombs recovered: বারুদের স্তূপ বীরভূম! এবার ডোবা থেকে উদ্ধার ট্রাঙ্ক-ভর্তি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুই ঘটনার পর কেটে গেছে ৬৭ দিন। এখনও বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা বারুদ অস্ত্র। এবার ডোবা থেকে এক ট্রাঙ্ক ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। আবার কেন্দ্রস্থল সেই মাড়গ্রাম, যেখান থেকে গত ২ মাসে অন্তত ৪ বার বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। 

    ২১ মার্চের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল যাবতীয় বোমা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তারপর থেকে উদ্ধার হয়েই যাচ্ছে। বগটুই গ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয় মাড়গ্রাম। গত ২ মাসে এই এলাকার নাম বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে। 

    কখনও ড্রামের মধ্যে, নদীর পাড়ে, কখনও পরিত্যক্ত শৌচাগারের চেম্বার, কখনও আবার ঝোপ। সাম্প্রতিককালে, বীরভূম জেলার একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে চারশোরও বেশি তাজা বোমা। 

    এর আগে গত ২৫ মার্চ, মাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত ছোট ডাঙাল গ্রামেও থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর তাজা বোমা। প্রায় ২০০ বোমা উদ্ধার হয়। খালের পাশে ৬ টি ব্যারেলের মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল। খবর পেয়ে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। 

    একদিন পরই, মাড়গ্রামে রামপুরহাট-বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়কের ধারে নির্মীয়মাণ বাড়ির পিছনের চৌবাচ্চায় ৪ বালতি-ভর্তি বোমা মিলেছিল। বালতিগুলি খড় দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল। স্থানীয় মানুষ খবর দেয় পুলিশকে। অন্তত ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। 

    ফের একবার বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শিরোনামে মাড়গ্রাম। এবার মাড়গ্রাম থানার মাহিপাড়া থেকে উদ্ধার করা হল ট্রাঙ্কভর্তি বোমা। আর শুধু মাড়গ্রাম নয়, গোটা বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গত ২ মাসে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হয়েছে। রামপুরহাট থেকে দুবরাজপুর  বা  নানুর থেকে লাভপুর– বারবার বোমা উদ্ধার হয়েছে এই জলা থেকে। 

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সাম্প্রতিককালে বীরভূম থেকে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনাবলি-

    ২৫ মার্চ – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ২৬ মার্চ – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ৪ এপ্রিল – লোকপুরে তাজা বোমা উদ্ধার
    ৯ এপ্রিল – নানুরে ৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার ৫ জন।
    ১৬ এপ্রিল – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ৩ মে – রামপুরহাটে তাজা বোমা উদ্ধার
    ১০ মে – বোমা উদ্ধার পাইকরে
    ১১ মে – পিস্তল উদ্ধার রামপুরহাটে
    ১৬ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ১৯ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৪ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৫ মে  – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৫ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার লাভপুরে
    ২৭ মে – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে

    এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “প্রতিদিন বোমা উদ্ধারের পরও কিভাবে এলাকায় এত বোমা পাওয়া যাচ্ছে? কাদের মদতে এলাকায় বোমা বারুদের শিল্প তৈরি হচ্ছে?” বিরোধীদের কটাক্ষ, বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে গোটা জেলা। এই জেলায় যত বোমা এবং বারুদ মজুত আছে তাতে শুধু বীরভূম কেন, একটা দেশ উড়ে যেতে পারে! 

     

  • Dog Walking Row: ক্ষমতার অপব্যবহার! সটান বদলি আইএএস দম্পতি, স্বামী গেলেন লাদাখ, স্ত্রী অরুণাচলে

    Dog Walking Row: ক্ষমতার অপব্যবহার! সটান বদলি আইএএস দম্পতি, স্বামী গেলেন লাদাখ, স্ত্রী অরুণাচলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার অপব্যবহার করার ফল! দিল্লি থেকে সটান দেশের দুই সীমান্তে বদলি করে দেওয়া হল আইএস দম্পতিকে।

    পোষা কুকুরকে নিয়ে সস্ত্রীক স্টেডিয়ামে হাঁটতে আসেন আইএএস অফিসার। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে খালি করে দেওয়া হত দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম (Thyagraj Stadium)। ক্রীড়াবিদ এবং প্রশিক্ষকদের ব্যাগপত্র গুছিয়ে সাতটার মধ্যেই খালি করে দিতে হত স্টেডিয়াম চত্বর। সাংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দিল্লির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (রাজস্ব) তথা আইএএস অফিসার সঞ্জীব খিরওয়ারকে (Sanjeev Khirwar) বদলি করে দেওয়া হল লাদাখে (Ladakh) এবং উচ্চপদে কর্মরত তাঁর আইএএস স্ত্রী রিঙ্কু দুগ্গাকে পাঠানো হল অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh)। 

    [tw]


    [/tw]

    অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরেই দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে ক্রীড়াবিদ এবং প্রশিক্ষকদের সন্ধে ৭টার মধ্যে স্টেডিয়াম ছাড়তে বলা হচ্ছিল। ওই সময় নিজের পোষ্য কুকুরকে নিয়ে সস্ত্রীক এই স্টেডিয়ামে হাঁটতে আসেন দিল্লির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (রাজস্ব) তথা আইএএস অফিসার সঞ্জীব খিরওয়ার। এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দিল্লির সমস্ত স্টেডিয়াম রাত ১০টা পর্যন্ত খেলোয়াড়দের জন্য খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। দিল্লির মুখ্যসচিব বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে (Home Ministry ) চিঠি লেখেন। এর পরই আইএএস সঞ্জীব খিরওয়ার এবং তাঁর আইএএস অফিসার স্ত্রীকে বদলি করা হল।

    আরও পড়ুন: যৌনকর্মীরাও সমান সুরক্ষার অধিকারী জানাল শীর্ষ আদালত

    সম্প্রতি এক প্রশিক্ষক অভিযোগ করেন, “আগে আমরা ৮টা-সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ট্রেনিং করতাম। কিন্তু এখন, আমাদের সন্ধে ৭টার মধ্যে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ওই আমলা তাঁর কুকুর নিয়ে হাঁটতে পারেন। এর ফলে আমাদের প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটছে।’’এই ঘটনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে স্টেডিয়ামে খেলতে আসা খেলোয়াড়দের পরিবারের তরফ থেকেও।

    [tw]


    [/tw]

    যদিও স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা অনিল চৌধুরি আইএএস অফিসারের সুবিধার জন্য খেলোয়াড়দের তাড়াতাড়ি মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, খেলোয়াড়দের সন্ধে ৭টা পর্যন্তই প্রশিক্ষণ করার নিয়ম ছিল। এর পর, খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষকরা নিজেরাই চলে যান। কেউ তাঁদের তাড়াতাড়ি চলে যেতে বলেনি। আইএএস অফিসার সঞ্জীব জানিয়েছেন, এই ঘটনার ‘সম্পূর্ণ ভুল’ ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি স্বীকার করেছেন, তিনি মাঝে মাঝে তাঁর পোষ্যকে নিয়ে বেড়াতে যান ঠিকই, কিন্তু তাতে কারও প্রশিক্ষণে ব্যাঘাত ঘটে না। তবে ঘটনা যাই হোক আমলা দম্পতির বদলির পর তাঁদের পোষ্যটি কোথায় যাবেন তা নিয়ে চিন্তিত নেটিজেনরা। এই নিয়ে ট্যুইটারে মিমের ছড়াছড়ি। 

  • Sidhu Jail Diet Chart: জেল না স্পা? সিধুর ‘ডায়েট চার্টে’ চক্ষু চড়ক গাছ নেটিজেনদের

    Sidhu Jail Diet Chart: জেল না স্পা? সিধুর ‘ডায়েট চার্টে’ চক্ষু চড়ক গাছ নেটিজেনদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল মানেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা অন্ধকার ঘর, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, শুধু পেট ভরানোর জন্যে দুবেলা অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার। এক কথায় নরকের জীবন। বাস্তবে তাই হয়ে থাকে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কিন্ত এক নিয়ম চলে না। জেলে বসেও কেউ কেউ থাকতে পারেন রাজার হালে। যেমন নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। জেলে বসেও প্রাক্তন সাংসদ পাচ্ছেন রোজমেরি চা, চিয়া সিডস, ফলের রস, ল্যাকটোজ ছাড়া দুধ, অ্যাভোকাডো। ভিআইপি বন্দির ডায়েট চার্ট দেখলে জেলে রয়েছেন না ফাইভ স্টার কোনও হোটেলে আছেন বোঝা দুষ্কর।  

    আরও পড়ুন: অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে এক বছরের জেল সিধুর 

    সম্প্রতি ৩৪ বছরের পুরনো একটি পথ হিংসার মামলায় এক বছরের জেলের সাজা পেয়েছেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু। রায় ঘোষণার পরেই সিধুকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অসুস্থতার কথা জানিয়ে কোর্টের কাছে কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয় এবং সিধুর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে পাতিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষকে তাঁর জন্যে ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’ -এর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়। এখন এই ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’- নিয়েই আলোচনায় মেতেছে বিভিন্ন মহল। 

    আরও পড়ুন: সশ্রম কারাদণ্ডের একবছর জেলে কী কাজ করবেন নভজ্যোত সিং সিধু জানেন?
     
    কী কী রয়েছে সিধুর বিশেষ ডায়েটে? 

    একদম সকালে সিধু পাবেন রোজ়মেরি চা, ডাবের জল বা চালকুমড়োর জুস। প্রাতরাশে ল্যাকটোজ ছাড়া দুধ, এক চামচ ফ্ল্যাক্স সিড, সানফ্লাওয়ার, মেলন বা চিয়া সিড, পাঁচ-ছটা আমন্ড, একটা আখরোট, দুটো পেকান নাট। কিছুটা সময় পরে, যাকে আমরা ‘প্রি-লাঞ্চ’ বলি, সেই সময় বিটের রস, বা তুলসী-পুদিনা কিংবা সেলেরি পাতার জুস দেওয়া হবে। এক-একদিন এক একরকম করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি ফল দেওয়া হবে। সেই তালিকায় রয়েছে অ্যাভোকাডো, কিউই- র মতো দামি দামি সব ফল। দুপুরে সিধুকে দেওয়া হবে রুটি, তরকারি, রায়তা, শসা, লেটুস, লেবু দিয়ে স্যালাড ও এক গ্লাস লস্যি। সন্ধ্যায় ফের ল্যাকটোজ ছাড়া দুধের চা, সঙ্গে পনীর বা টফু। রাতে বিভিন্ন সবজি দিয়ে স্যুপ এবং অল্প তেলে হাল্কা ভাজা সবজি। ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাঁকে দেওয়া হবে চ্যামোমাইল চা এবং গরম জলে সাইলিয়াম হাস্ক। এছাড়াও রয়েছে বিকল্প খাবারের লম্বা এক তালিকা।

    এছাড়া কী কী খাওয়া যাবে না রয়েছে তারও লম্বা তালিকা। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রসেসড ফুড নৈব নৈব চ। রান্না করতে হবে অলিভ অয়েল বা কোল্ড প্রেসড ভোজ্য তেলে। স্যালাডে দেওয়া যাবে না সাধারণ সাদা লবন। সিধুর জন্যে জেল কর্তৃপক্ষের এই এলাহি ব্যবস্থা দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। অনেকেই মশকরা করে বলেছেন এটা জেল না স্পা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
     

     

     

      

LinkedIn
Share