Blog

  • Defence ministry: গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রেকর্ড রফতানি ভারতের

    Defence ministry: গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রেকর্ড রফতানি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) স্বপ্নের আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আরও এক ধাপ এগোল দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Defence Ministry )। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফাতানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করল ভারত (India)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রফতানি করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের দিকে লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রের তরফে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গত ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়েছে বলে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। মোট রফতানি অর্থের বেসরকারি খাত থেকে এসেছে ৭০ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ এসেছে সরকারি খাত থেকে।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, আগের আর্থিক বছরগুলির তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রফতানি বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রেকর্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির বৃদ্ধির কথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় জাজু (Sanjay Jaju)।

    আরও পড়ুন: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে আরও খবর, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রফতানি পরিমাণ বেড়েছে তার আগের বছরগুলির তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে রফতানির পরিমাণ ভারতীয় টাকায় ছিল প্রায় ৮ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালে ৯ হাজার ১১৫ কোটি এবং ২০১৫-১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৯ কোটি। করোনা অতিমারির জন্যই ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি কিছুটা কম হয়েছিল বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোদি-আবে রসায়নই কি চিন্তা বাড়িয়েছিল চিনের? ইন্দো-জাপান মধুর সম্পর্কের স্থপতি শিনজো

    প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর,  যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ১৫ জুলাই গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করবেন তিনি। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স যে তিনটি ফ্রিগেজ জাহাজ নির্মাণের বরাত পেয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয় জাহাজ এটি। 

  • Covid-19 Maharashtra: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    Covid-19 Maharashtra: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা (Covid-19)। মুম্বাইয়ে (Mumbai) একদিনে আক্রান্ত ৭৩৯ জন। ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই প্রথম এত বেশি সংক্রমণ নথিভুক্ত হল। কোভিডের এই বাড়বাড়ন্তে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে মুম্বাইবাসীর। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে কোভিড টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের ডাক দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। যাতে লকডাউনের সম্ভাবনা আরও জোরালো হল। 

    মঙ্গলবার মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০৬ জন। বুধবারে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩৯ জন। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ২৩৩। এই নিয়ে পরপর দু’দিন মুম্বাইয়ের কোভিড সংক্রমণ ছিল ৫০০-র উপরে। বিষয়টিতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসন। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্ক পরায় অনীহা এবং কোভিড বিধিনিষেধ মেনে না চলা এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের একটা বড় কারণ হতে পারে। এই মুহূর্তে স্বপ্ননগরীতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩০০০। বহুদিন পরে প্রায় ১০০ জন কোভিডের কারণে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। টানা চার মাস এই দৃশ্য দেখেনি শহর।

    আরও পড়ুন: একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান?

    আরও চিন্তার খবর, বুধবারই ধারাভি বস্তিতে ১০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। এই মুহূর্তে সেই বস্তিতে ৩৭ টি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। এই অবধি মুম্বাইয়ে মোট ১০,৬৬,৫৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৯,৫৬৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টার কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। 

    মুম্বাইয়ে এই মুহূর্তে করোনায় সুস্থতার হার ৯৮%। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯৫ জন। এযাবৎ ১০,৪৪,০০৫ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,৭৯২ জনের টেস্ট করানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক   

    আকস্মিক কোভিডের এই বাড়বাড়ন্তে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC) কর্তারা। কোভিডের মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকাকরণের নির্দেশ জারি করেছে বিএমসি। বুধবার সংবাদমাধ্যমে বিমএসি জানিয়েছে, শহরে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ হার বেড়েছে ৬ শতাংশ। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী,  চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৩৬। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৭০০-র ঘর ছাড়িয়েছে।

    সংক্রমণ রুখতে কোভিড টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে বিএমসি এবং রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি, মুম্বইয়ের হাসপাতালগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আশঙ্কা, ‘‘বর্ষা প্রায় আসন্ন। এর মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। উপসর্গ আছে এমন রোগীদের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়তে পারে।’’    

    কোভিডের সংখ্যায় রাশ টানতে ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচিতে গতি আনতে চায় মহারাষ্ট্র। পাশাপাশি, বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে সরকার।       

    হাসপাতালগুলিকে ইতিমধ্যেই সমস্ত ব্যবস্থা নিয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলিকেও সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। 

    গত সপ্তাহেই মুম্বাইয়ের গার্ডিয়ান মিনিস্টার আসলাম শেখ বলেছিলেন, কোভিডের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে আবার লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। আসলাম বলেন, “যেভাবে ব্যপকহারে কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে আবার জনগণের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে হতে পারে। প্লেনে যাতায়াতে এখনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাড়বাড়ন্ত হলে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে হতে পারে।” 

     

  • PM Modi: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    PM Modi: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই খবর শোনার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ট্যুইট করে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য কামনা করেন। সোনিয়া গান্ধী করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেই নিজেকে নিভৃতবাস রেখেছেন। বৃহস্পতিবার সোনিয়া (Sonia) গান্ধীর  অসুস্থতার খবর প্রথম জানান কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala)। তিনি জানান, সোনিয়া গান্ধীর হালকা জ্বর এসেছিল ও অন্যান্য কোভিডের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে লেখেন, “কোভিড-১৯ (Covid-19) থেকে সোনিয়াজির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ৮ জুনে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা  সোনিয়ার। আর তার আগেই করোনায় আক্রান্ত হলেন কংগ্রেস নেত্রী। 

    আরও পড়ুন: কোভিড আক্রান্ত সোনিয়া, রয়েছেন নিভৃতবাসে, ইডি তলবের পরদিনই জানাল কংগ্রেস

    সোনিয়ার হাজিরা নিয়ে কংগ্রেস থেকে জানানো হয়েছে, সোনিয়াজি চাইছেন ৮ তারিখই তিনি ইডি-র দফতরে যাবেন। তবে অবশ্যই যদি সেই সময় কোভিড সংক্রান্ত জটিলতা না থাকে। পাশাপাশি, এই মামলায় তাদের যে কিছুই লুকোনোর নেই তাও মনে করিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। দল বলেছে, “আমরা আইনি, রাজনৈতিক, সামাজিক পথেই লড়াই করব।” 

    কংগ্রেস মন্ত্রী ও আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই মামলায় অর্থ পাচার বা বিনিময়ের কোনও প্রমাণই নেই। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধী দলকে নিশানা করতেই এই মামলা দায়ের করেছে এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অপব্যবহার করছে।

    আরও পড়ুন: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    এদিকে, সোনিয়া গান্ধীর পর এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও। করোনায় আক্রান্তের খবর শুক্রবার নিজেই ট্যুইট করে জানালেন তিনি। তিনি ট্য়ুইটে লেখেন, “আমার করোনা পজিটিভ এসেছে ও করোনার মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতেই রয়েছি। গত বেশ কয়েকদিন যাঁরা আমার কাছাকাছি এসেছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য অনুগ্রহ করছি।”

    [tw]


    [/tw]

  • Satyendar Jain: হাওয়ালা লেনদেন! ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতে সত্যেন্দ্র জৈন

    Satyendar Jain: হাওয়ালা লেনদেন! ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতে সত্যেন্দ্র জৈন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি (Delhi) সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে (Satyendra Jain) ৯ জুন পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতে পাঠাল আদালত। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের (money laundering) অভিযোগে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED)।

    মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয় সত্যেন্দ্রকে। ইডি-র তরফে আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, “কী ভাবে টাকা হাওয়ালায় (Hawala) লগ্নি করা হয়েছিল, অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল, সে সব তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতের ১৪ দিনের হেফাজত চাইছে ইডি।” 

    মেহতা জানান, ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন প্রায় ১.৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন সত্যেন্দ্র। তদন্তে উঠে এসেছে, সেই দুর্নীতির টাকা তিনি কলকাতার ভুয়ো সংস্থার খাতায় পাঠিয়েছিলেন। কলকাতারই দুই ব্যক্তি ওই কাগুজে সংস্থাগুলি তৈরি করেছিলেন। একশো টাকায় ১৫-২০ পয়সা কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করার কথা তাঁরা স্বীকারও করেছেন। ইডি-র দাবি, আসলে সত্যেন্দ্রই ওই সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।

    আরও পড়ুন: আইনের ফাঁসে আরেক আপ নেতা! হাওয়ালাকাণ্ডে গ্রেফতার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, রাজনীতিতে আসার আগে সত্যেন্দ্র প্রথমে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে নির্মাণ সংক্রান্ত একটি পরামর্শদাতা সংস্থা খোলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ইডি ইতিমধ্যেই জৈন পরিবার ও তাঁদের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থাগুলির ৪.৮১ কোটি টাকার সম্পত্তি সাময়িক ভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে।

    আদালতে ইডি জানায়, এই মামলায় প্রথমে সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার না করেই তদন্ত চালাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু মন্ত্রী উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। সত্যেন্দ্রর আইনজীবী বলেন, ‘‘২০১৮ সালে এই মামলা দায়ের হয়েছিল। এখন ২০২২। এর মধ্যে অন্তত ছ’বার মন্ত্রীকে ডাকা হয়েছে এবং প্রত্যেক বারই তিনি সহযোগিতা করেছেন। তদন্তকারী সংস্থা শুধু বড় বড় কথা বলছে। মন্ত্রীর সঙ্গে কালো টাকার যোগের প্রমাণ কোথায়?’’

    পাঞ্জাবের আপ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলার (Vijay Singla) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সপ্তাহখানেক আগেই তাঁকে বরখাস্ত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। সত্যেন্দ্রর ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালও (Kejriwal) কেন একই পথে হাঁটছেন না, বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া আজ সেই প্রশ্ন তুলেছেন।

    কেজরিওআলের দাবি, ‘‘পাঞ্জাবের মন্ত্রীর একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পাওয়া গিয়েছিল, যার কথা কোনও তদন্তকারী সংস্থা বা বিরোধীরা জানতই না। চাইলে আমরা সেটা ধামাচাপা দিয়ে দিতেই পারতাম। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, তাঁকে গ্রেফতার করিয়েছি। কিন্তু সত্যেন্দ্র নির্দোষ। মামলাটি পুরোপুরি জাল এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিচার ব্যবস্থায় আমাদের আস্থা আছে। সত্যেন্দ্র জৈন সত্যের পথে হেঁটেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন।’’

    এদিকে, সত্যেন্দ্রকে সমর্থন করার জন্য কেজরিওয়ালের দিকে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সত্যেন্দ্রকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে স্মৃতি বলেন, সত্যেন্দ্র দেশের সম্পদ লুঠ করেছেন তাঁকে শাস্তি না দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন আপ (AAP) নেতা।

  • Modi Yoga Day: আসন্ন বিশ্ব যোগ দিবসে এখানে যোগাসন করবেন মোদি!

    Modi Yoga Day: আসন্ন বিশ্ব যোগ দিবসে এখানে যোগাসন করবেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day)। ওইদিন মাইসুরু প্রাসাদের (Mysuru palace) সামনে গণ যোগাসন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি জানান, অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। মাইসুরু হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের প্রথম শহর যারা যোগ কর্মসূচির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

    যোগাসন ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য। সুপ্রাচীন কাল থেকে ভারতের বুকে চলছে যোগ চর্চা। বেদেও যোগের উল্লেখ রয়েছে বলেও শোনা যায়। সেই ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করেই ভারতের যোগাসনকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্প্রসারিত করতেই যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জে ২১ জুন দিনটিকে যোগ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার পরের বছর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় যোগ দিবস পালন।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    যোগব্যয়ামের প্রসারে মোদি সরকার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এগুলি হল, ২০১৪ সালে নয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনস্বাস্থ্যে যোগের ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের চেষ্টা শুরু করে। ওই বছরই গঠিত হয় আয়ুষ মন্ত্রক। এই মন্ত্রকের অধীনেই যোগ সম্পর্কিত নানা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ক্ষমতায় আসার পরেই ৯ নভেম্বর সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৭৩টি দেশ যোগ দিবস পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর পরের বছর ১৫ জুন থেকে বিশ্বব্যাপী যোগ দিবস পালিত হয়। সেই থেকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে পালিত হয়ে আসছে নানা কর্মসূচি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    যোগ সম্প্রসারণ ও সংস্কারেও সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এগুলি হল, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের ক্ষেত্রে যোগা প্রোটোকল নির্ধারণ করে আয়ুষ মন্ত্রক। ‘ন্যাশনাল যোগা অ্যান্ড ন্যাচারোপ্যাথি প্রোমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বোর্ড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাতীয় স্তরে যোগ সম্পর্কিত উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে এই সংস্থা। ২০১৬ সালে আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে জাতীয় শোক এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসার প্রচারে উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

    যোগ ব্যায়াম প্রশিক্ষণে শংসাপত্র দিয়ে উৎসাহিত করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যোগব্যায়াম শিখতে যুব প্রজন্মকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। দেশের সব নাগরিকের জন্য প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। যোগ প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলির ওপর আয়ুষ মন্ত্রকের নজর রাখার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

     

     

  • Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর (foundation stone) স্থাপন করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Uttar Pradesh cm) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার হয় বিশেষ প্রার্থনাসভা ও পুজোপাঠ। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত পূজারি এবং সাধু-সন্ন্যাসীরা। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয় মন্দির চত্বর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দিনটি অতি পবিত্র। এই পবিত্র দিনেই মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল।

    ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ভারতবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

    তার পর থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। আজ হল গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। তিনি বলেন, মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে ভারতবাসীর এই স্বপ্নের মন্দির। দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে আগামী বছরের ডিসেম্বরে।

    আরও পড়ুন : ১৮৬২টি মন্দির ভেঙে বদলে দেওয়া হয়েছে মসজিদে! তালিকা প্রকাশ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের

    মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, অযোধ্যার এই মন্দিরটি হবে ত্রিতল বিশিষ্ট। পুরোটাই হবে গ্রানাইট পাথর দিয়ে। মন্দির তৈরি করতে লাগবে ১৭ হাজার গ্রানাইট পাথর। প্রতিটি পাথর লম্বায় পাঁচ ফুট, চওড়ায় আড়াই ফুট। রাজস্থানের ভরতপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে পাথর। আট একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে মন্দির। গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, রাম মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Viswanath) সহ অন্যান্য মন্দির সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?

    ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদের (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid dispute)। হিন্দুদের দাবি ছিল, যে জায়গায় বাবরি মসজিদ রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান রাম। তাই দীর্ঘদিন ধরেই রাম মন্দিরের পক্ষে সওয়াল করছিলেন হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।

    শেষমেশ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogoi) নেতৃত্বে আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দেয়। বিচারপতি সব পক্ষকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে রায় পড়ে শোনান। তিনটি পক্ষই আদালতে সওয়াল-জবাব করেছে। তাদের প্রত্যেকের সওয়াল-জবাবকেই মান্যতা দিয়ে তার পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই জমিটি রাম লালার বলে রায় দেয় শীর্ষ আদালত।

     

  • Kolkata Model Death: ১৫ দিনে ৪! আরও এক মডেলের রহস্যমৃত্যু, নেপথ্যে কারণ কী?

    Kolkata Model Death: ১৫ দিনে ৪! আরও এক মডেলের রহস্যমৃত্যু, নেপথ্যে কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক উঠতি মডেলের মৃত্যু শহরে। এই নিয়ে গত দুসপ্তাহে চারজন। একের পর এক তরুণীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। রবিবার রাতে কসবা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় মডেলের ঝুলন্ত দেহ। শনিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

    কসবায় সরস্বতী দাস (Saraswati Das) নামের ওই মডেলের মামাবাড়ি ছিল বলে খবর। সেখানেই তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। সেদিন রাতে তিনি আর তাঁর দিদা ছিলেন বাড়িতে। সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন খবর দেয় থানায়। কসবা থানার তরফে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। 

    অভিনেত্রী পল্লবী দে এবং পরপর আরও দুই মডেলের মৃত্যুর রেশ থেকেই বেরিয়ে আসতে পারেনি শহর কলকাতা। তার মাঝেই আরও এক অনভিপ্রেত ঘটনা। ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীর মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা থাকলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন ওই তরুণী। 

    পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার ও মঞ্জুসা নিয়োগী (ফাইল ছবি)

    পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার ও মঞ্জুসা নিয়োগী (ফাইল ছবি)

    এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, “আমাদের সব দিক খতিয়ে দেখতে হবে। প্রথমে সরস্বতীর দিদা তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সবজি কাটার বঁটি দিয়ে কাটেন দড়ি। দেহ নামিয়ে এনে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর পুলিশকে জানানো হয়। আমাদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসা অবধি অপেক্ষা করতে হবে।”

    আরও পড়ুন: ফের রহস্যমৃত্যু! পল্লবীর পর আরও এক টলিউড অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

    পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, “মা এবং মাসী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরে শনিবার রাতে আত্মহত্যা করেন সরস্বতী। আমরা তাঁর মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছি। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ক্রিয়া-কলাপ পরীক্ষা করে দেখা হবে।”
     
    লকডাউনের সময়ই পড়াশোনা ছেড়ে দেন সরস্বতী। তারপর থেকেই ছোটখাটো জায়গায় মডেলিং করতেন, মেহেন্দি পরাতেন এবং মেকআপ আর্টিস্টের কাজ করতেন। প্রাণোচ্ছ্বল মেয়ের এহেন পরিণতিতে হতবাক পরিবার-পরিজনরা। পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুসা নিয়োগীর মৃত্যুর সঙ্গে এই মৃত্যুর কোনও যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।    

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা?

    ছেলেবেলাতেই ঘর ছেড়েছেন বাবা। মা-মাসীর সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকতেন সরস্বতী। মা-মাসী দুজনেই গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন। সরস্বতীর মামা গোবিন্দ মণ্ডলের দাবি, “প্রতিদিন রাতে ভাগ্নি ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলত। কয়েক দিন ওকে কাঁদতেও দেখি।” মামার অনুমান, ফোনে কেউ তাঁকে হুমকি দিত। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরস্বতী।     

    ১৫ মে জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallabi Dey) ঝুলন্ত দেহ তাঁর গরফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়। তার কিছুদিন পরেই একই অবস্থায় পাওয়া যায় মডেল বিদিশা দে মজুমদারের (Bidisha De Majumdar) দেহ। সেই ঘটনার দুদিনের মাথায় বিদিশারই বন্ধু মঞ্জুসা নিয়োগীর (Manjusha Niyogi) দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। এভাবে একের পর এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছে শহর। সবার একটাই প্রশ্ন নেপথ্যে কী শুধুই মানসিক অবসাদ?  নাকি আরও বড় কারণ সবার নজর এড়াচ্ছে! 
      

     

  • Dalai Lama: স্বাধীনতা নয়, অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছি, বললেন দলাই লামা  

    Dalai Lama: স্বাধীনতা নয়, অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছি, বললেন দলাই লামা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনারা (Chinese) এখন বুঝতে পারছেন আমি স্বাধীনতা (Independence) চাইছি না বরং অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন (Meaningful Autonomy) এবং তিব্বতি বৌদ্ধ সংস্কৃতির সংরক্ষণ চাইছি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথাই বললেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama)।

    শুক্রবার লেহ যাওয়ার কথা দলাইয়ের। বৃহস্পতিবার ভোরে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা ছাড়েন তিনি। পরে সেখান থেকে চলে যান জম্মু। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও বহু মানুষ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন সেখানে। এই জম্মু থেকেই তাঁর লেহ যাওয়ার কথা। তার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই তিব্বতি ধর্মগুরু। তিনি বলেন, কিছু চিনা কট্টরপন্থী আমাকে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করেন। তাঁরা সব সময় আমার সমালোচনা করেন। কিন্তু এখন চিনারা বুঝতে পারছেন আমি স্বাধীনতা চাইছি না। বরং অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছি। তিনি বলেন, তিব্বতি বৌদ্ধ সংস্কৃতিরও সংরক্ষণ চাইছি আমি। তাঁর সফরে চিনের আপত্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দলাই বলেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে চিনা জনগণ আপত্তি করছেন না। চিনারা বেশি করে তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, কিছু চিনা পণ্ডিত বুঝতে পারছেন তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্ম খুবই বৈজ্ঞানিক। পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।

    আরও পড়ুন : চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    দেশে দেশে যুদ্ধের তিনি যে ঘোরতর বিরোধী, এদিন তা ফের উঠে এসেছে দলাইয়ের কথায়। তিব্বতি এই ধর্মগুরু বলেন, মানুষের কাছে আমার বার্তা, আমরা সকলে ভাইবোন। লড়াই করে কোনও লাভ নেই। আমার জাতি, আমার আদর্শের মতো সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে লড়াই শুরু হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব বিবাদের সমাধানের ওপর আরও একবার জোর দিয়েছেন তিব্বতি এই ধর্মগুরু। চলতি মাসের শুরুর দিকে জন্মদিন ছিল দলাইয়ের। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি। তা নিয়ে মোদির সমালোচনা করে শি জিনপিংয়ের সরকার। যদি তাকে পাত্তাই দেয়নি নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দালাই লামা দেশের একজন সম্মানীয় অতিথি। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।

    আরও পড়ুন : বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

     

  • coal scam: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

    coal scam: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা দুর্নীতিতে (Coal Scam) সিবিআই-এর (CBI) জালে সাতজন ইসিএল (ECL) কর্তা। সংস্থার বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার এসসি মিত্র-সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমান জিএম এসসি মিত্র ছাড়াও, ধৃতরা হলেন প্রাক্তন জেনারেল ম্য়ানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্ময় দাস। এছাড়া গ্রেফতার হয়েছেন ইসিএল-এর ম্যানেজার মুকেশ কুমার। দু’জন নিরাপত্তাকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকালে নিজাম প্যালেসে ডেকে ওই সাতজনকে অনেক ক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সারাদিন ধরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ধৃতদের উত্তরে অসঙ্গতি মেলে। এরপরই সংস্থার বর্তমান ও প্রাক্তন-সহ ৪ জেনারেল ম্য়ানেজার এবং আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে অ্য়ান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ।

    আরও পড়ুন: রুজিরা নারুলাকে চেনেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কয়লাপাচার তদন্তে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি

    সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ রয়েছে এই সাতজনের বিরুদ্ধেই। আর সেই সংক্রান্ত বেশ প্রমাণও ইতিমধ্যেই তদন্তকারী অফিসারেরা পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ধৃত সাতজনকেই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে কয়লা এবং গরু পাচার-কান্ডের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। দুই মামলাতে আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও (ED)। ইতিমধ্যেই কয়লা -পাচার কাণ্ডে মোট ২৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    তদন্তে একাধিক প্রভাবশালীকে ইতিমধ্যে জেরা করেছে সিবিআই। এমনকি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamta Banerjee) ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) পর্যন্ত দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, ইসিএলের এই সাতজনই দীর্ঘদিন ধরে সিবিআই র‍্যাডারে ছিলেন। এমনকি তাঁদের বাড়িতে এবং অফিসেও একাধিকবার তল্লাশি চালানো হয়েছে। বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়লা পাচার-কাণ্ডে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেডের সাত কর্মীর গ্রেফতারির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

     

  • Delhi Shocker: ট্রলি ভরতি বন্দুক, দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার দম্পতি

    Delhi Shocker: ট্রলি ভরতি বন্দুক, দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্য দেশ থেকে ট্রলি ব্যাগ ভরতি বন্দুক (Handguns) বেআইনিভাবে দেশে পাচার করে ধৃত এক ভারতীয় দম্পতি। বুধবার নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Indira Gandhi International Airport) শুল্ক বিভাগের (Customs Department) আধিকারিকরা ৪৫টি পিস্তল সহ দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছেন। বন্দুকগুলো আসল কি না তা  খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (NSG) সন্ত্রাস দমন শাখা এই মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া সবকটি বন্দুক আসল। ব্যালিস্টিক রিপোর্টে নিশ্চিত করা হবে বন্দুকগুলি আসল কি না। 

    [tw]


    [/tw]

    এক শুল্ক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড প্রাথমিক রিপোর্টে নিশ্চিত করেছে যে বন্দুকগুলি আসল এবং সচল।’ সূত্রের খবর ধৃতদের নাম, জগজিৎ সিং (Jagjeet Singh) এবং জাসবিন্দর কৌর (Jaswinder Kaur)। তাঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। ভিয়েতনাম থেকে বন্দুকগুলি এনেছেন বলে, প্রাথমিক জেরায় জানিয়েছেন এই দম্পতি। তাঁরা গত ১০ জুলাই ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর থেকে ভারতে ফিরেছেন। আগে থেকেই তাঁদের ওপর নজর রাখা হয়েছিল। দুটি ট্রলি ব্যাগে করে এই বন্দুকগুলি আনেন তাঁরা। ভাই মনজিৎ সিং এই বন্দুকগুলি তাঁকে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন জগজিৎ।

    আরও পড়ুন: গতি বাড়ল রাজধানী এক্সপ্রেসের, হাওড়া থেকে দিল্লি মাত্র ১৪ ঘণ্টায়    
     
    শুল্ক আধিকারিকদের মতে, মহিলা যাত্রী তাঁর স্বামীকে বন্দুক বোঝাই ট্রলি ব্যাগ নিয়ে পালাতে সাহায্য করেছিল। ব্যাগে থাকা ট্যাগগুলি নিজেই সরিয়েছিলেন জাসবিন্দর কৌর। এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পুরুষ যাত্রীটি যেই দুটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা পরীক্ষা করে দেখা যায় যে তাতে ৪৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বন্দুক রয়েছে। উদ্ধারকৃত বন্দুকের আনুমানিক মূল্য ২২.৫ লক্ষ টাকা।’ অভিযুক্ত উভয়ই জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে তাঁরা এর আগে তুরস্ক থেকে ২৫টি পিস্তল ভারতে এনেছিলেন। সেই বন্দুকগুলির মোট মূল্য ছিল ১২.৫ লক্ষ টাকা। বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এতগুলো বন্দুক নিয়ে এই দম্পতি কী করে ভিয়েতনাম বিমান বন্দরে বিমানে ওঠার ছাড়পত্র পেলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় তদন্তকারী দল। আধিকারিকদের দাবি, এই বন্দুকগুলি দম্পতি ৫-৬ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। এক একটি বন্দুক ৪০-৫০ টাকায় বেচার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। 

    আরও পড়ুন: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    এই দম্পতির সঙ্গে তাঁদের শিশুকন্যাও ছিল। তাকে তার ঠাকুমার কাছে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। 

     

     

     

LinkedIn
Share