Blog

  • Assam: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?

    Assam: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের (Assam) গুয়াহাটির একটি বিলাসবহুল হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছেন মহারাষ্ট্রের (Maharastra) বিদ্রোহী শিবসেনা (Shiv Sena) বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। তাঁর সঙ্গে ওই হোটেলে ঠাঁই নিয়েছেন আরও প্রায় চল্লিশ জন বিধায়ক। আসাম সরকার তাঁদের থাকার খরচ দিচ্ছে বলে অভিযোগ। শনিবার সেই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিবাদের জেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁরই সতীর্থ শিবসেনার একনাথ শিন্ডে। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে প্রথমে চলে যান গুজরাটের সুরাট এবং পরে সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে উড়ে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানেই অনুগতদের নিয়ে একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। শনিবার মধ্যরাতের বিশেষ বিমানে গুজরাটের ভাদোদরায় ফিরে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে দেখা করেন শিন্ডে। রাতেই ফিরে যান আসামের ওই হোটেলে।

    আরও পড়ুন : আধা-সামরিক বাহিনী ও আসাম রাইফেলসে নিয়োগে অগ্রাধিকার ‘অগ্নিবীর’দের

    বিলাসবহুল হোটেলে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের থাকা খাওয়ার খরচ দিচ্ছে আসাম সরকার। বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয় এমনই। প্রবল বন্যায় যখন রাজ্য ভাসছে, তখন সরকারের বিরুদ্ধে ‘বদান্যতা’র অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধীরা।  

    বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। তিনি বলেন, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের হোটেলের থাকার খরচ দিচ্ছে না আসাম সরকার। অসমে বর্তমানে ভয়াল আকার নিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের হোটেলে থাকার কোনও সম্পর্ক নেই। বিদ্রোহী বিধায়কদের হোটেল খরচ আসাম সরকার দিচ্ছে না।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    এদিকে, মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকার ডিসকোয়ালিফিকেশন নোটিশ ধরিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী ১৬ বিধায়ককে। আগামিকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের জবাব দিতেও বলা হয়েছে। এই ১৬ জনের মধ্যে রয়েছেন বিদ্রোহীদের নেতা শিন্ডে স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের হিসেব, এভাবেই বিদ্রোহীদের দমন করার খেলায় নেমেছে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার।

     

  • Summer Fruits: গরমকালে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন জাম, কী কী উপকারিতা জানেন?

    Summer Fruits: গরমকালে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন জাম, কী কী উপকারিতা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাম মানেই নস্ট্যালজিয়া। ‘জাম’ শব্দটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ছোটবেলায় গাছ থেকে পেড়ে খাওয়ার স্মৃতি। কালো ফলগুলির টক-মিষ্টি স্বাদ এবং খাওয়ার পরে জিভের বেগুনী রঙ ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়। জুন-জুলাই মানেই জামের মরশুম। স্বাদে অতুলনীয় এই ফল। শুধু তাই নয়, জাম স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারি। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, জাম একটি অন্যতম গ্রীষ্মকালীন ‘সুপার ফ্রুট’। জাম খেলে শরীরে আদ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। জামের ৮৪%-ই জল। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এই ফলের জুরি মেলা ভার। গরমকালে ঘাম হওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায়। তাই গরম কালে জাম অত্যন্ত উপকারি। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে ফলে হজমে সাহায্য করার সাথে সাথেই বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ সারাতেও সাহায্য করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে জাম। জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ফলে জাম খেলে ত্বকও সুন্দর হয়। আগেকার দিনে হাঁপানি, ত্বকের সমস্যা, মধুমেহ, পেট ব্যাথার মতো সমস্যার ওষুধ তৈরিতে জাম ব্যবহার করা হত।  

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্সার, কেমো প্রতিরোধকারী উপাদানও থাকে জামের মধ্যে। প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তাল্পতা রোধ করতেও উপকারি জাম। রক্তে লাল রক্ত কনিকা এবং হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে জাম।

    দেখে নেওয়া যাক জামের আরও কিছু উপকারিতা:

    জাম শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে: জামে ৮৪%-ই জল থাকায়, জাম শরীরের আদ্রতার মাত্রাকে বৃদ্ধি করে। ফসফরাস, আয়োডিনের মতো  মিনারেলসও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে জামে।  রোজ জাম খেলে শরীরে আদ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। 

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: জামে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

    ওজন কমানো: জাম খেলে ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। লো ক্যালরি ফল হলেও প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে জামের।

    স্বাস্থ্যকর ত্বক: গরমে ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। জামে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট প্রপার্টি আছে। যা ব্রনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে জামে। 

     

  • National Anthem: মাদ্রাসাগুলিতে প্রার্থনার সময় গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত, উত্তরপ্রদেশের পথে হরিয়ানাও?

    National Anthem: মাদ্রাসাগুলিতে প্রার্থনার সময় গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত, উত্তরপ্রদেশের পথে হরিয়ানাও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসা (madrassa) বা স্কুলগুলিতে প্রার্থনার পর জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কারোর কোনও সমস্যা হতে পারে না, অভিমত হরিয়ানার (Haryana) শিক্ষামন্ত্রী কানোয়ার পালের। এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের সঙ্গে একমত তিনি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সব মাদ্রাসায় প্রার্থনার পর জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) বাধ্যতামূলক করেছে যোগী সরকার। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কানোয়ার জানান, হরিয়ানাতেও সব মাদ্রাসা বা স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে সরকার।

    কানোয়ার বলেন, “জাতীয় সঙ্গীত সব জায়গায় গাওয়া যেতে পারে। এটা দেশবাসীর কাছে গর্বের। স্কুল হোক বা মাদ্রাসা, জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কারোর বাধা দেওয়া উচিত নয়।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত “জন গণ মন” গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 

    নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি মাদ্রাসায় সকালে হয় জাতীয় সঙ্গীতের সুর বাজাতে হবে না হলে গাইতে হবে। এই নির্দেশিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার এস এন পান্ডেও সমস্ত মাদ্রাসায় এই নির্দেশ জারি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।       

    নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্লাস শুরুর আগে, রাজ্যের সমস্ত স্বীকৃত, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং অ-সহায়ক মাদ্রাসায় আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষক এবং ছাত্রদের দ্বারা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। কিছু কিছু মাদ্রাসায় অবশ্য জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। তবে এবার প্রতিটি মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করে দিল যোগী সরকার।  

    হরিয়ানাতেও কী এধরনের পদক্ষেপ করা হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে কানোয়ার জানান “জন গণ মন” গাওয়াতে কোনও সমস্যা নেই। হরিয়ানা সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। হরিয়ানা সরকারের ক্লাস নাইনের ইতিহাস বইতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে কানোয়ার জানান, কোনও দলের ইচ্ছানুসারে ইতিহাস রচনা করা যায় না।

  • Bhagwant Mann Marriage: দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, পাত্রী ৩২ বছরের গুরপ্রীত

    Bhagwant Mann Marriage: দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, পাত্রী ৩২ বছরের গুরপ্রীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন পাঞ্জাবের (Punjab) মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। বৃহস্পতিবার চণ্ডিগড়ে হয়েছে তাঁর বিয়ে। ডক্টর গুরপ্রীত কৌরকে (Dr Gurpreet Kaur) বিয়ে করছেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও (Arvind Kejriwal) ভগবন্ত মান-এর বিয়েতে যোগ দেবেন। ঘরোয়াভাবেই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার নিজের বাসভবনেই চিকিৎসক গুরপ্রীত কৌরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তিনি। শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও দলের নেতা-নেত্রীদেরই আমন্ত্রণ করা হয়েছে তাঁর বিয়েতে। এর মধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিশেষ অতিথি ভগবন্ত মানের।

    [tw]


    [/tw]

    ৩২ বছরের মেয়ে গুরপ্রীত কৌরের সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বিয়ে নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালে আম্বালার মহাঋষি মারকেণ্ডশ্বর বিশ্ববিদ্যালয় (Maharishi Markandeshwar University) থেকে ডাক্তারি পাশ করেছেন গুরপ্রীত। তিন বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট তিনি। বড় দুই দিদি আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। গুরপ্রীত বর্তমানে মোহালিতে থাকেন।  কোনওরকম জাঁকজমক ছাড়াই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা।

    ভগবন্ত মান এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ছাদনাতলায় বসেছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী ইন্দরপ্রীত কৌর(Inderpreet Kaur) -এর সঙ্গে ২০১৫ সালেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁদের দুই ছেলে-মেয়েও রয়েছে। দিলশান (Dilshan) ও সীরাট (Seerat) তাঁর দুই সন্তানই পিতার দ্বিতীয়বারের বিয়ে নিয়ে যথেষ্ট উৎসুক ছিল। বাগদানের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছিল তারা।

    ভগবন্ত মানের ক্যাবিনেটের সহকর্মী অমন অরোরা (Aman Arora), হরজোত সিং (Harjot Singh) তাঁকে ট্যুইটারের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আপ নেতা রাঘব চাড্ডা সহ অনেকেই এদিন বিয়ের আসরে হাজির ছিলেন। 

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

     

  • Brazilian Model: ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ব্রাজিলীয় লাস্যময়ী মডেল, জানুন তাঁর আরেক পরিচয়

    Brazilian Model: ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ব্রাজিলীয় লাস্যময়ী মডেল, জানুন তাঁর আরেক পরিচয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন লাস্যময়ী মডেল (Brazilian Model)। পরবর্তীতে হাতে তুলে নেন বন্দুক। গত মাসে রাশিয়ার হামলায় (Russia-Ukrain War) নিহত ব্রাজিলীয় মডেল তথা স্নাইপার (Sniper) থালিতো দো ভ্যালে (Thalito do Valle)। হাতে সর্বদা অস্ত্র থাকলেও, মন থেকে চাইতেন শান্তি। আর, সেই কারণেই সারা বিশ্ব জুড়ে মানব কল্যাণের বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। এর আগে, ইরাকে আইএসআইএস-এর বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ৩৯ বছর বয়সী এই ব্রাজিলীয় মডেল। ইউক্রেনে রুশ হামলার পরও তিনি একই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। ছুটে গিয়েছিলেন ইউক্রেনে। ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। কে জানত এই লড়াইই তাঁর শেষ লড়াই! সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের খারকিভ শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র কেড়ে নিয়েছে তাঁর প্রাণ।  

    আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের       

    এক সময় ব্রাজিলের অন্যতম জনপ্রিয় মডেল ছিলেন থালিতো দো ভ্যালে। পরে মডেলিং ছেড়ে বিভিন্ন মানবতাবাদী কাজে লিপ্ত হন। কয়েক সপ্তাহ আগেই, তিনি ডগলাস বুরিগো নামে ব্রাজিল সেনার এক প্রাক্তন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে, ব্রাজিল থেকে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। ইউক্রেনের ওপর রুশ বর্বরতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে। ইউটিউব এবং টিকটকে তাঁদের ইউক্রেন যাত্রার ভিডিয়োও পোস্ট করছিলেন। এরপর,  ইউক্রেনের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাঁরাও রুশ বাহিনীকে পরাস্ত করার কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। বিশেষ করে থালিতো তাঁর স্নাইপার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিচ্ছিলেন। কিন্তু, গত মাসের শেষেই খারকিভ শহরের যুদ্ধে তাঁদের দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই থালিতো এবং ডগলাস খারকিভে এসেছিলেন। শহরের একটি বাঙ্কারে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে সেই বাঙ্কারটিই ধ্বংস হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ইউক্রেনের লাভিভে বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং রেল লাইনের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার     

    অত্যন্ত দক্ষ স্নাইপার হিসেবে পরিচিত ছিলেন থালিতো। স্নাইপারের প্রশিক্ষণ তিনি পেয়েছিলেন ইরাকে। ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আগেও, তাঁর যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিল। ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কুর্দি যোদ্ধাদের হয়ে লড়াই করেছিলেন এই মডেল। কুর্দিস্তান এলাকার সশস্ত্র যোদ্ধা বাহিনী ‘পেশমারগাস’-এ যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই বাহিনীর কমান্ডাররাই থালিতোকে স্নাইপারের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর স্নাইপার চালনায় সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে, সেই পড়াশোনাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে পশু উদ্ধারের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন।  

    ইউক্রেন যুদ্ধে তাঁর অভিজ্ঞতা একটি ইউটিউব চ্যানেলে নথিভুক্ত করছিলেন থালিতো। একজন লেখককেও জানিয়েছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। একটি বই প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। ব্রাজিলে আছে থালিতোর ভাই। দিদি তাঁর কাছে ‘নায়ক’। দিদির মৃত্যুর পর তিনি বলেছেন, “থালিতো বরাবর মানবতাবাদী যে কোনও অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। অসহায় মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে এগিয়ে যেতে দুবার ভাবতেন না। খারকিভে পৌঁছনোর পর থেকেই পরিবারের সঙ্গে থালিতোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে, ইউক্রেন থেকে বাড়িতে ফোন করতে ভয় পেতেন থালিতো। তাঁর মনে হত রুশ সেনাবাহিনী ফোনে আড়ি পাতছে।”  

     

  • Congress Chintan Shivir: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    Congress Chintan Shivir: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। শুক্রবার রাজস্থানের উদয়পুরে চিন্তন শিবিরে (Chintan Shivir) একথা বললেন কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia)। কংগ্রেস কর্মীদের ঋণ মেটানের আহ্বানও জানান তিনি।

    এদিন থেকে তিন দিনের চিন্তন শিবির শুরু হয়েছে কংগ্রেসের। উদ্বোধনী ভাষণ দেন সোনিয়া। সেখানেই জানান, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। বছর কয়েক ধরে একের পর এক নির্বাচনে গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। হাতছাড়া হয়েছে একাধিক রাজ্যের রশি। এক সময় যে রাজ্যগুলির একচেটিয়া রাশ ছিল কংগ্রেসের হাতে, সেগুলিতে থাবা বসিয়েছে বিজেপি।

    পরপর দু-টার্মে কেন্দ্রের তখ্তে বসেছে বিজেপি (BJP)। প্রত্যাশিতভাবেই শতাব্দী প্রাচীন দলে শুরু হয়েছে ক্ষয় রোগ। ধরেছে ভাঙন। এমতাবস্থায় দলকে খাদ থেকে ডাঙায় টেনে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেছেন বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। সোনিয়া বলেন, দলের দৈনন্দিন কার্যকারিতায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। একটি বড়, সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। চিন্তন শিবির সেই দিকেই একটি পদক্ষেপ।  

    আরও পড়ুন: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    দলকে বাঁচাতে হলে পার্টির সদস্যদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার ঊর্ধ্বে ওঠার মন্ত্রেও কংগ্রেস কর্মীদের দীক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী। কংগ্রেস কর্মীরা দলের কাছে ঋণী। সেই ঋণ শোধ করার ডাকও উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে দিয়েছেন সোনিয়া। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কংগ্রেস আমাদের সব কিছু দিয়েছে। এবার সেই ঋণ শোধ করতে হবে।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha election) কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে বলেও জানান কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেন, দল জনগণের প্রত্যাশার প্রতি উদাসীন নয়। দেশের রাজনীতিতে দল যে ভূমিকা পালন করেছে, তা আবারও পূরণ করুন।  

    কংগ্রেসের এই চিন্তন শিবিরে অংশ নিয়েছেন ৪৩০ জন প্রতিনিধি। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংগঠন, যুব ও কৃষক এই ছটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এজন্য প্রতিনিধিদের ছটি দলে ভাগ করা হয়েছে। দল যে ফের ঘুরে দাঁড়াবে, এদিন সেই আশাও ব্যক্ত করেন সোনিয়া। বলেন, আমি আশা করি যে আমরা যখন এখান থেকে বের হব, আমরা নতুন আত্মবিশ্বাস, শক্তি এবং সংকল্পের সঙ্গে তা করব।

      আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যু নিয়ে রাহুলের বিপরীতে গিয়ে হু-র দাবি খারিজ কংগ্রেসের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

      

  • Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতায় (Kolkata) জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইডি (ED) আধিকারিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police)। রাজ্য সরকার (Mamata government) ইডি  আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। কয়লা পাচারকাণ্ডে (coal smuggling case) তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার (Rujira) আবেদনের ভিত্তিতে জানালো সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু, কখন কোথায় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা ৭২-ঘন্টা আগে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। 

    এর আগে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ ইডির কাছে জানতে চায়, তৃণমূল সাংসদের দাবি মেনে কলকাতায় অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অসুবিধা কিসের? তখন ইডির পক্ষ থেকে নারদকাণ্ডে (narada case) সিবিআইয়ের (CBI) তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

    ২০২১-এর ১৮ মে সিবিআইয়ের রিজিওনাল অফিস নিজাম প্যালেস (nizam palace) ঘেরাও করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। দাবি জানান, মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয় অভিষেক ও রুজিরা “রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী”। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় যাওয়া ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। রাজ্য সরকার তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ইডি আধিকারিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 

    কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপ মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। প্রতিবারই নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা।

    শেষপর্যন্ত এবছর মার্চে দিল্লিতেই ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। কিন্তু সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান, অভিষেক-পত্নী রুজিরা। গত ১১ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন অভিষেক ও রুজিরা। সাংসদের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে, ২১ ও ২২ মার্চ ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে, সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান রুজিরা। এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তারই শুনানি হল বৃহস্পতিবার। তৃণমূল সাংসদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বাল।                                                                                                                                                                                                                                            

  • Covid 19 Vaccine: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক 

    Covid 19 Vaccine: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ প্রায় ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকার (Unused Covid 19 Vaccine) ডোজ রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করা হল। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। মন্ত্রক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির ব্যবহারের জন্যে উপলবদ্ধ করা হয়েছে।” স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, এই অবধি কেন্দ্রের বিভিন্ন মাধ্যম মারফৎ রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে ১৯৩.৫৩ কোটিরও বেশি টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, “এতদিন দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের (Vaccination Drive) অংশ হিসাবে, ভারত সরকারের তরফ থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত  অঞ্চলগুলিকে বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।” করোনা টিকাকরণ অভিযানের  সর্বজনীনীকরণের নতুন পর্যায়ে, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দেশের  ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের দ্বারা উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে।

    গত ১৬ মার্চ থেকে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ৩.০৬ কোটি কিশোর-কিশোরীকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

    দেশে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! চতুর্থ ওয়েভের আশঙ্কার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা! এই অবস্থায় করোনার তৃতীয় বুস্টার ডোজের উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, দেশে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির কাছে ১৯.৯০ কোটিরও বেশি অব্যবহৃত করোনা টিকার ডোজ মজুত রয়েছে৷   

    ১৬ জানুয়ারি ২০২১ এ দেশব্যাপি করোনা টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল৷ যদিও প্রথমে কোভিড যোদ্ধাদেরই করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছিল৷ পরে ২১ জুন ২০২১ থেকে সবার জন্য করোনা টিকা চালু হয়৷ পরবর্তীতে ভ্যাকসিনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তার অগ্রিম পরিমাপ করে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশে সফলভাবে কোভিডকালীন টিকা সরবরাহ করা হয়েছে৷ যার মাধ্যমে দেশে টিকাকরণ অভিযানকে ত্বরান্বিত করা গিয়েছে।   
     

  • Iron Age: তামিলদের হাত ধরে ৪২০০ বছর আগে ভারতে শুরু হয় লৌহ যুগ

    Iron Age: তামিলদের হাত ধরে ৪২০০ বছর আগে ভারতে শুরু হয় লৌহ যুগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতে সবচেয়ে আগে লোহার (Iron) ব্যাবহার শুরু হয়েছিল তামিলনাড়ুর একটি ছোট্ট গ্রামে। মায়িলাদুমপারাই (Mayiladumparai)l নামক একটি ছোট গ্রামে খননকার্য চালিয়ে প্রাপ্ত লোহার সরঞ্জামগুলি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তামিলনাড়ুতে লৌহ যুগ শুরু হয়েছিল ৪২০০ বছর আগে। যা সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন লোহার ব্যাবহারের স্থান বলা যেতে পারে। দক্ষিণ তামিলনাড়ুর আদিচানাল্লুরের লৌহ যুগের সমাধিস্থলটি লোহার সরঞ্জামের একটি চিত্তাকর্ষক সংগ্রহ প্রকাশ করেছিল, যা বর্তমানে চেন্নাইয়ের এগমোর মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে, যা ১০০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ এর মধ্যে ছিল তবে এটি প্রায় তার ৪ গুন বেশি পুরনো বলে জানা যাচ্ছে।

    মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন (M K Stalin),  তামিলনাড়ু বিধানসভায় বলেন: “এটি জানা গিয়েছে যে মায়িলাদুমপারাই থেকে প্রাপ্ত লোহার প্রত্নবস্তুর তারিখ ২১৭২ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৬১৫ খৃষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। ফলাফলগুলি এই সত্যটিকে পুনর্ব্যক্ত করেছে যে তামিলনাড়ুর লৌহ যুগ ৪২০০ বছর পুরনো, যা ভারতের প্রাচীনতম।”

    অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানগুলির মধ্যে প্রমাণ রয়েছে যে তামিলনাড়ুর শেষ নিওলিথিক পর্বটি ২২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আগে শুরু হয়েছিল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সময়ের ২৫ সেন্টিমিটার নীচে একটি সাংস্কৃতিক জমার উপর ভিত্তি করে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা আরও দেখেছেন যে কালো এবং লাল মৃৎপাত্রের প্রচলন হয়েছিল নিওলিথিক পর্বের শেষের দিকে। আগে মনে করা হত এটি লৌহ যুগে ঘটেছিল।

    তামিলনাড়ু স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিওলজি (TNSDA) এর একটি সূত্র বলেছে যে মায়িলদুমপারাই ছোট গ্রামটি ভারতে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম লৌহ যুগের স্থান। বারাণসী, উত্তর প্রদেশের কাছে মালহার এবং উত্তর কর্ণাটকের ব্রহ্মগিরির মতো জায়গায় আগে যে খনন করা হয়েছিল, সেই তারিখটিকে কেবল খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের কাছাকাছি পৌঁছেছিল বলে ওই সূত্রে  উল্লেখ করা হয়েছে। 

  • Weight Gain or Loss: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে!  হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত

    Weight Gain or Loss: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা খাদ্য গ্রহণ করি। সেই খাদ্য আমাদের শক্তি দেয়। একথা আমরা সবাই জানি। এই অর্জিত শক্তি আমরা শারীরবৃত্তীয় ও দৈনন্দিন জীবনের নানান কাজে খরচ করি। এই সহজ হিসেবের উপর ভিত্তি করেই মানুষ বেঁচে থাকে। শক্তি গ্রহণ ও খরচের মধ্যে ভারসাম্য না থাকলেই ওজন বাড়ে বা কমে। ধরুন আপনি বেশি খাচ্ছেন, কিন্তু পরিশ্রম কম করছেন। তখন ওজন বাড়বে। অপরদিকে বেশি পরিশ্রম করে কম খেলে ওজন কমবে। এটাই সহজ হিসেব।  

     কিন্তু ধরুন কোনও ব্যক্তি আগেও যেমন খেতেন, এখনও তেমনই খান। শারীরিক পরিশ্রমও আগে যেমন করতেন, আজও তেমনই করেন। তবুও হু হু করে তাঁর ওজন কমছে বা বাড়ছে। এমন অবস্থা কিন্তু শারীরিক কোনও অসুস্থতার দিকেই ইঙ্গিত করে। এরকম ঘটলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    প্রাইমারি থাইরোটক্সিকোসিস—এই রোগে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে বেশি পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন বের হয়। শরীরে থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য বিপাকক্রিয়াকে দ্রুত করে দেয়। বিপাকক্রিয়ার গতি বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে শক্তি ক্ষয় অনেক বেশি হয়। ফলে ওজন কমে দ্রুত। এদিকে রোগীর খিদে ভালোই থাকে। আবার অন্যদিকে হাইপোথাইরোডিজম দ্রুত হারে ওজন বাড়ায়।

    ডায়াবেটিস— পর্যাপ্ত খিদে থাকার পরও দ্রুত ওজন কমার অন্যতম কারণ হল ডায়াবেটিস। এই রোগে শরীর খাদ্যের মাধ্যমে গৃহীত গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না। গ্লুকোজ ইউরিন দিয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে শক্তির ঘাটতি দেখা যায়। এছাড়া এই বিশেষ রোগে শরীরে উপস্থিত প্রোটিন ভেঙে পড়ে এবং দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে পেশির ক্ষয় হয় দ্রুত। আবার টাইপ টু ডায়াবেটিসের ফলে ওজন বেড়ে যায়।

    ক্যান্সার— যে কোনও ধরনের ক্যান্সারই শরীরে শক্তির দ্রুত ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। ফলে ক্যান্সার হলে অনেক ক্ষেত্রেই ওজন কমে। তবে সমস্ত ধরনের ক্যান্সারের তুলনায় গ্যাস্ট্রো-ইন্টেসসটিনাল ক্যান্সার, অর্থাৎ পাকস্থলী, অন্ত্র, লিভার, খাদ্যনালীর মতো জায়গায় ক্যান্সার হলে ওজন দ্রুত কমে। কারণ খাদ্য হজমের প্রক্রিয়ায় শরীরের এই অংশগুলির ভূমিকা অনেক বেশি। তাই এই অংশে কর্কট রোগ ছড়িয়ে পড়লে খাবারকে পরিপাক করে শক্তি সঞ্চয় করতে সমস্যা হয়। আর পর্যাপ্ত শক্তির অভাবে ওজন কমে দ্রুত। 

    হতাশা— হতাশা বা মনের অসুখও মানুষের ওজন কমা বাড়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। হতাশা বা বিষ্ণণ্ণতা থেকে খাবারে অরুচি আসে. রাতে ঘুম কম হয়। এগুলি পরোক্ষে ওজন কমা-বাড়াতে প্রভাব ফেলে।

    পলিসিস্টিক ওভারি— এর ফলে দেহে স্থূলতা বৃদ্ধি পায়।

    দ্রুত ওজন বাড়া বা কমার উপসর্গকে কোনও সময়ই অগ্রাহ্য করবেন না। আবার ভয়ও পাবেন না। শুধু যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যত তাড়াতাড়ি ওজন কমা বা বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানবেন, ততই চিকিৎসা করতে সুবিধে হবে।

LinkedIn
Share