Blog

  • Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতায় (Kolkata) জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইডি (ED) আধিকারিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police)। রাজ্য সরকার (Mamata government) ইডি  আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। কয়লা পাচারকাণ্ডে (coal smuggling case) তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার (Rujira) আবেদনের ভিত্তিতে জানালো সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু, কখন কোথায় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা ৭২-ঘন্টা আগে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। 

    এর আগে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ ইডির কাছে জানতে চায়, তৃণমূল সাংসদের দাবি মেনে কলকাতায় অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অসুবিধা কিসের? তখন ইডির পক্ষ থেকে নারদকাণ্ডে (narada case) সিবিআইয়ের (CBI) তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

    ২০২১-এর ১৮ মে সিবিআইয়ের রিজিওনাল অফিস নিজাম প্যালেস (nizam palace) ঘেরাও করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। দাবি জানান, মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয় অভিষেক ও রুজিরা “রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী”। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় যাওয়া ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। রাজ্য সরকার তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ইডি আধিকারিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 

    কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপ মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। প্রতিবারই নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা।

    শেষপর্যন্ত এবছর মার্চে দিল্লিতেই ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। কিন্তু সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান, অভিষেক-পত্নী রুজিরা। গত ১১ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন অভিষেক ও রুজিরা। সাংসদের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে, ২১ ও ২২ মার্চ ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে, সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান রুজিরা। এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তারই শুনানি হল বৃহস্পতিবার। তৃণমূল সাংসদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বাল।                                                                                                                                                                                                                                            

  • Covid 19 Vaccine: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক 

    Covid 19 Vaccine: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ প্রায় ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকার (Unused Covid 19 Vaccine) ডোজ রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করা হল। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। মন্ত্রক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির ব্যবহারের জন্যে উপলবদ্ধ করা হয়েছে।” স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, এই অবধি কেন্দ্রের বিভিন্ন মাধ্যম মারফৎ রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে ১৯৩.৫৩ কোটিরও বেশি টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, “এতদিন দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের (Vaccination Drive) অংশ হিসাবে, ভারত সরকারের তরফ থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত  অঞ্চলগুলিকে বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।” করোনা টিকাকরণ অভিযানের  সর্বজনীনীকরণের নতুন পর্যায়ে, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দেশের  ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের দ্বারা উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে।

    গত ১৬ মার্চ থেকে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ৩.০৬ কোটি কিশোর-কিশোরীকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

    দেশে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! চতুর্থ ওয়েভের আশঙ্কার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা! এই অবস্থায় করোনার তৃতীয় বুস্টার ডোজের উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, দেশে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির কাছে ১৯.৯০ কোটিরও বেশি অব্যবহৃত করোনা টিকার ডোজ মজুত রয়েছে৷   

    ১৬ জানুয়ারি ২০২১ এ দেশব্যাপি করোনা টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল৷ যদিও প্রথমে কোভিড যোদ্ধাদেরই করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছিল৷ পরে ২১ জুন ২০২১ থেকে সবার জন্য করোনা টিকা চালু হয়৷ পরবর্তীতে ভ্যাকসিনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তার অগ্রিম পরিমাপ করে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশে সফলভাবে কোভিডকালীন টিকা সরবরাহ করা হয়েছে৷ যার মাধ্যমে দেশে টিকাকরণ অভিযানকে ত্বরান্বিত করা গিয়েছে।   
     

  • Iron Age: তামিলদের হাত ধরে ৪২০০ বছর আগে ভারতে শুরু হয় লৌহ যুগ

    Iron Age: তামিলদের হাত ধরে ৪২০০ বছর আগে ভারতে শুরু হয় লৌহ যুগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতে সবচেয়ে আগে লোহার (Iron) ব্যাবহার শুরু হয়েছিল তামিলনাড়ুর একটি ছোট্ট গ্রামে। মায়িলাদুমপারাই (Mayiladumparai)l নামক একটি ছোট গ্রামে খননকার্য চালিয়ে প্রাপ্ত লোহার সরঞ্জামগুলি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তামিলনাড়ুতে লৌহ যুগ শুরু হয়েছিল ৪২০০ বছর আগে। যা সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন লোহার ব্যাবহারের স্থান বলা যেতে পারে। দক্ষিণ তামিলনাড়ুর আদিচানাল্লুরের লৌহ যুগের সমাধিস্থলটি লোহার সরঞ্জামের একটি চিত্তাকর্ষক সংগ্রহ প্রকাশ করেছিল, যা বর্তমানে চেন্নাইয়ের এগমোর মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে, যা ১০০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ এর মধ্যে ছিল তবে এটি প্রায় তার ৪ গুন বেশি পুরনো বলে জানা যাচ্ছে।

    মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন (M K Stalin),  তামিলনাড়ু বিধানসভায় বলেন: “এটি জানা গিয়েছে যে মায়িলাদুমপারাই থেকে প্রাপ্ত লোহার প্রত্নবস্তুর তারিখ ২১৭২ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৬১৫ খৃষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। ফলাফলগুলি এই সত্যটিকে পুনর্ব্যক্ত করেছে যে তামিলনাড়ুর লৌহ যুগ ৪২০০ বছর পুরনো, যা ভারতের প্রাচীনতম।”

    অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানগুলির মধ্যে প্রমাণ রয়েছে যে তামিলনাড়ুর শেষ নিওলিথিক পর্বটি ২২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আগে শুরু হয়েছিল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সময়ের ২৫ সেন্টিমিটার নীচে একটি সাংস্কৃতিক জমার উপর ভিত্তি করে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা আরও দেখেছেন যে কালো এবং লাল মৃৎপাত্রের প্রচলন হয়েছিল নিওলিথিক পর্বের শেষের দিকে। আগে মনে করা হত এটি লৌহ যুগে ঘটেছিল।

    তামিলনাড়ু স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিওলজি (TNSDA) এর একটি সূত্র বলেছে যে মায়িলদুমপারাই ছোট গ্রামটি ভারতে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম লৌহ যুগের স্থান। বারাণসী, উত্তর প্রদেশের কাছে মালহার এবং উত্তর কর্ণাটকের ব্রহ্মগিরির মতো জায়গায় আগে যে খনন করা হয়েছিল, সেই তারিখটিকে কেবল খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের কাছাকাছি পৌঁছেছিল বলে ওই সূত্রে  উল্লেখ করা হয়েছে। 

  • Weight Gain or Loss: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে!  হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত

    Weight Gain or Loss: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা খাদ্য গ্রহণ করি। সেই খাদ্য আমাদের শক্তি দেয়। একথা আমরা সবাই জানি। এই অর্জিত শক্তি আমরা শারীরবৃত্তীয় ও দৈনন্দিন জীবনের নানান কাজে খরচ করি। এই সহজ হিসেবের উপর ভিত্তি করেই মানুষ বেঁচে থাকে। শক্তি গ্রহণ ও খরচের মধ্যে ভারসাম্য না থাকলেই ওজন বাড়ে বা কমে। ধরুন আপনি বেশি খাচ্ছেন, কিন্তু পরিশ্রম কম করছেন। তখন ওজন বাড়বে। অপরদিকে বেশি পরিশ্রম করে কম খেলে ওজন কমবে। এটাই সহজ হিসেব।  

     কিন্তু ধরুন কোনও ব্যক্তি আগেও যেমন খেতেন, এখনও তেমনই খান। শারীরিক পরিশ্রমও আগে যেমন করতেন, আজও তেমনই করেন। তবুও হু হু করে তাঁর ওজন কমছে বা বাড়ছে। এমন অবস্থা কিন্তু শারীরিক কোনও অসুস্থতার দিকেই ইঙ্গিত করে। এরকম ঘটলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    প্রাইমারি থাইরোটক্সিকোসিস—এই রোগে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে বেশি পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন বের হয়। শরীরে থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য বিপাকক্রিয়াকে দ্রুত করে দেয়। বিপাকক্রিয়ার গতি বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে শক্তি ক্ষয় অনেক বেশি হয়। ফলে ওজন কমে দ্রুত। এদিকে রোগীর খিদে ভালোই থাকে। আবার অন্যদিকে হাইপোথাইরোডিজম দ্রুত হারে ওজন বাড়ায়।

    ডায়াবেটিস— পর্যাপ্ত খিদে থাকার পরও দ্রুত ওজন কমার অন্যতম কারণ হল ডায়াবেটিস। এই রোগে শরীর খাদ্যের মাধ্যমে গৃহীত গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না। গ্লুকোজ ইউরিন দিয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে শক্তির ঘাটতি দেখা যায়। এছাড়া এই বিশেষ রোগে শরীরে উপস্থিত প্রোটিন ভেঙে পড়ে এবং দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে পেশির ক্ষয় হয় দ্রুত। আবার টাইপ টু ডায়াবেটিসের ফলে ওজন বেড়ে যায়।

    ক্যান্সার— যে কোনও ধরনের ক্যান্সারই শরীরে শক্তির দ্রুত ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। ফলে ক্যান্সার হলে অনেক ক্ষেত্রেই ওজন কমে। তবে সমস্ত ধরনের ক্যান্সারের তুলনায় গ্যাস্ট্রো-ইন্টেসসটিনাল ক্যান্সার, অর্থাৎ পাকস্থলী, অন্ত্র, লিভার, খাদ্যনালীর মতো জায়গায় ক্যান্সার হলে ওজন দ্রুত কমে। কারণ খাদ্য হজমের প্রক্রিয়ায় শরীরের এই অংশগুলির ভূমিকা অনেক বেশি। তাই এই অংশে কর্কট রোগ ছড়িয়ে পড়লে খাবারকে পরিপাক করে শক্তি সঞ্চয় করতে সমস্যা হয়। আর পর্যাপ্ত শক্তির অভাবে ওজন কমে দ্রুত। 

    হতাশা— হতাশা বা মনের অসুখও মানুষের ওজন কমা বাড়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। হতাশা বা বিষ্ণণ্ণতা থেকে খাবারে অরুচি আসে. রাতে ঘুম কম হয়। এগুলি পরোক্ষে ওজন কমা-বাড়াতে প্রভাব ফেলে।

    পলিসিস্টিক ওভারি— এর ফলে দেহে স্থূলতা বৃদ্ধি পায়।

    দ্রুত ওজন বাড়া বা কমার উপসর্গকে কোনও সময়ই অগ্রাহ্য করবেন না। আবার ভয়ও পাবেন না। শুধু যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যত তাড়াতাড়ি ওজন কমা বা বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানবেন, ততই চিকিৎসা করতে সুবিধে হবে।

  • Elon Musk: “‘ট্যুইটার কিনেছেন এবার…”, ইলন মাস্ককে কোন পরামর্শ দিলেন আদর পুনাওয়ালা?

    Elon Musk: “‘ট্যুইটার কিনেছেন এবার…”, ইলন মাস্ককে কোন পরামর্শ দিলেন আদর পুনাওয়ালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মাইক্রোব্লগিং সাইট ট্যুইটার (Twitter) কিনে গোটা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক (Elon Musk) ৷ টেসলা (Tesla) প্রধানের পরের পদক্ষেপ কী হবে, সকলের নজর এখন সেই দিকে ৷ ভারতে কী বিনিয়োগ করবেন মাস্ক, তা জানতেও কৌতূহলের শেষ নেই ৷ এমতাবস্থায় এবার মাস্ককে ভারতে বিনিয়োগ করতে আবেদন জানালেন সেরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute) সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) ৷ ভারতে তাঁর বিনিয়োগ যে সেরা বিনিয়োগ হতে পারে তাও ইলন মাস্ককে মনে করিয়ে দিয়েছেন সেরাম প্রধান ৷    

    ট্যুইটে ইলন মাস্ককে ট্যাগ করে আদর পুনাওয়ালা (Serum Institute CEO Adar Poonawalla) লেখেন, “আপনি যদি টুইটার কিনেই থামতে না চান তাহলে ভারতেও কিছু অর্থ বিনিয়োগ করে এখানে টেসলার  (Tesla) গাড়ি তৈরি করতে পারেন ৷ আমি কথা দিতে পারি এই বিনিয়োগ এখন অবধি করা আপনার সেরা বিনিয়োগ হবে ৷” যদিও এর কোনও উত্তর এখনও দেননি ইলন মাস্ক ৷   

    [tw]


    [/tw]

    তবে আদর পুনাওয়ালার এই টুইটের পর তাঁর প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আকর প্যাটেল ৷ পাল্টা ট্যুইটে পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁর প্রশ্ন,  “টেসলার এক একটি গাড়ির নূন্যতম মূল্য ৩৫ লক্ষ টাকা ৷ ভারতে ৩৫ লক্ষের উপরে মাত্র ৩৫ হাজার গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৷ চিনে তা ৩০ লক্ষের উপরে ৷ টেসলা কেন এমন একটা জায়গায় বিনিয়োগ করতে যাবে ফোর্ড, জেনারেল মোটরস যেখান থেকে চলে গিয়েছে?”    

    কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি গতমাসে বলেছিলেন, টেসলা যদি ভারতে তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি বানাতে চায় তাহলে কোনও সমস্যা নেই ৷ কিন্তু চিন থেকে এদেশে গাড়ি আমদানি করা যাবে না ৷ এর আগে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, যদি বাইরে থেকে আমদানি করে নিয়ে গিয়ে ভারতে তাদের গাড়ি ব্যবসা সফল হয় তাহলে টেসলা ভারতে কারখানা করতে পারে।

  • Shahi Idgah mosque: ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান, নমাজ পড়া বন্ধের দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে

    Shahi Idgah mosque: ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান, নমাজ পড়া বন্ধের দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (Gyanvapi mosque) নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মন্দিরনগরী মথুরার (Mathura) শাহি ইদগাহ (Shahi Idgah Mosque) মসজিদে নমাজ পড়া বন্ধের আর্জি জানাল আইনজীবী এবং আইন পাঠরত ছাত্রদের একাংশ। আদালতে তাঁদের আবেদন, অতি সত্বর যেন শাহি ইদগাহ মসজিদে নমাজ পড়তে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হিন্দুত্বের প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে এই আশঙ্কায় মসজিদ চত্বর সিল করে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়।

    আবেদনকারীদের দাবি শাহি ইদগাহ মসজিদ আসলে কৃষ্ণের জন্মস্থান। ওই স্থানে একটি প্রাচীন মন্দির ছিল। আবেদনকারী এক আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘মসজিদের এই কাঠামো একটি হিন্দু মন্দিরের অবশিষ্টাংশের উপর তৈরি হয়েছে। এটি একটি মন্দির এবং এই কাঠামোর উপর মসজিদ হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।’’হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের দাবি, ইদগাহের ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি অনেক দিন ধরেই  দাবি জানিয়ে আসছে, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কৃষ্ণ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে তৈরি করেছিলেন ওই মসজিদ। ফলে ওই মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে। এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া কৃষ্ণের একটি মন্দিরও রয়েছে। মন্দিরের নাম কাটরা কেশব দেব মন্দির।

    শুধু নমাজ বন্ধ নয়, মঙ্গলবার হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে মথুরা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদের মতোই শাহী ঈদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। সেগুলোর সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির দাবিতে ইতোমধ্যেই একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় ঘোষণার আগেই ঈদগাহ থেকে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তাই অবিলম্বে পুরো চত্বরটি সিল করারও আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বলেন, “কাশীর তথাকথিত জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট দেখার পরে সোমবার আদালত ‘মা শৃঙ্গার গৌরিস্থল’ (মসজিদের ওজুখানা এবং তহখানা এলাকা) সিল করার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে প্রাচীন শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে। আমাদের আশঙ্কা, মথুরার শাহী ঈদগাহ থেকে এবার এমন ঐতিহাসিক প্রমাণগুলো নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা হবে। “এই মামলায় পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসের ১ তারিখ।

  • Asian Games 2022: চিনে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা, স্থগিত হয়ে গেল ১৯তম এশিয়ান গেমস

    Asian Games 2022: চিনে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা, স্থগিত হয়ে গেল ১৯তম এশিয়ান গেমস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China) করোনার (Covid-19) বাড়বাড়ন্তে স্থগিত হয়ে গেল এশিয়ান গেমস (2022 Asian Games)। চলতি বছরেই ১০ ​​থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯তম এশিয়ান গেমসের আসর বসার কথা ছিল চিনের হাংজুতে (Hangzhou)। এএফপি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনার প্রকোপে সে প্রতিযোগিতায় স্থগিতাদেশ দিল অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া (Olympic Council of Asia)।    
     
    [tw]


    [/tw]

    চিনের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত । তাসখন্দে সংস্থার এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গেমসের আয়োজন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে হাংজু প্রশাসনের তরফেও।

    [tw]


    [/tw]

    একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুসারে, অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া শুক্রবার জানিয়েছে, চিনের হাংজুতে ১৯তম এশিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিত করা হবে। কতদিনের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে প্রতিযোগিতাটি সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।  

    করোনার প্রকোপে এশিয়ান গেমস বাতিল হতে পারে এমন জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। চিনে করোনা সংক্রমণ ফের ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কিছু মানুষের। পরিস্থিতি সামাল দিতে সে দেশের একাধিক শহরে লকডাউন করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিনে গিয়ে এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করা নিয়ে কিছু দেশ আপত্তি জানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য গেমস স্থগিত হওয়ায় স্বস্তি পেলেন অনেকেই।
      

  • Hyderabad Killing: “সংবিধান ও ইসলামের বিচারে জঘন্য হত্যা”, হিন্দু যুবক খুনের তীব্র নিন্দা ওয়াইসির

    Hyderabad Killing: “সংবিধান ও ইসলামের বিচারে জঘন্য হত্যা”, হিন্দু যুবক খুনের তীব্র নিন্দা ওয়াইসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদে মুসলিম স্ত্রীর ভাইয়ের হাতে হিন্দু দলিত যুবকের হত্যার ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ইসলাম অনুযায়ী ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে উল্লেখ করলেন সারা ভারত মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল-মুসলিমিন (AIMIM)-র প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তাঁর মতে, ভাইয়ের অধিকার নেই দলিত ওই যুবককে খুন করার। ঘটনাটিকে তিনি ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট’ বলে অভিহিত করেছেন।

    ভিনধর্মে বিয়ে করায় নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবককে খুন করা হয় হায়দরাবাদে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় হায়দরাবাদ সহ গোটা তেলাঙ্গানা। ভালবেসে মুসলিম সহপাঠীকে বিয়ে করেছিলেন তেলেঙ্গানার সারুরনগর এলাকার হিন্দু দলিত যুবক বিল্লাপুরাম নাগরাজু। বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের অমতে।

    এলাকার এক মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন বছর ছাব্বিশের বিল্লাপুরাম ও তাঁর বান্ধবী আসরিন সুলতানা। বিয়ের পরে পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেন নাগরাজু ও তাঁর স্ত্রী। পাছে হিন্দু স্বামীর কোনও ক্ষতি তাঁর আত্মীয়রা যাতে না করতে পারেন, তাই নাম বদলে সুলতানা হয়ে যান পল্লবী।

    আরও পড়ুন: ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    সম্প্রতি এলাকায় ফেরেন ওই দম্পতি। গাড়ির শোরুমের সেলসম্যানের কাজে যোগ দেন নাগরাজু। এর পরেই রাতের অন্ধকারে বাইকে চড়ে এসে তাঁকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় সুলতানার ভাই সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    এই ঘটনারই কড়া সমালোচনা করেছেন মিম প্রধান। শুক্রবার সারুরনগরের ঘটনাকে তিনি ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট’ বলে অভিহিত করেন। শুক্রবার তেলেঙ্গানার এক জনসভা ওয়াইসি বলেন, আমরা সারুরনগরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। মেয়েটি স্বেচ্ছায় হিন্দু ছেলেটিকে বিয়ে করেছিল। ভাইয়ের কোনও অধিকার নেই বোনের স্বামীকে খুন করার। সংবিধানের বিচারে এটা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট। আর ইসলামের বিচারে কদর্য অপরাধ। তিনি বলেন, আমরা খুনিদের পাশে দাঁড়াব না।

    এদিকে, নাগরাজু খুন হওয়ার দু’দিন পরে খুনের ঘটনার রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও তেলাঙ্গানার পুলিশ প্রধানকে চার সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধার সুরক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধার সুরক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওজুখানার জলাধারে  নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। ওই জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) মিলেছে বলে দাবি। সেই কারণেই জলাধারে নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ।

    উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)  সরকারের পক্ষে এদিন সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবি জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, বেঞ্চ উজুখানা এলাকাটি সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে শিবলিঙ্গ রয়েছে। তুষার বলেন, যদি ওই জলাধারে মুসলমানদের অজু করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে হাত-পা-মুখ ধোয়া হবে। কেউ শিবলিঙ্গে পা রাখতেই পারেন। তাতে আইন-শৃঙ্খলার গুরুতর সমস্যা হবে। মসজিদের অন্য কোনও এলাকায় অবশ্য অজু করা যেতে পারে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kasi Viswanath Temple) লাগোয়া জমিতেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুদের কয়েকটি গোষ্ঠীর দাবি, বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙেই ঔরঙ্গজেবের রাজত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি একটি সম্প্রদায়ের। হিন্দুদের একাংশের দাবি, পরে রানি অহল্যাবাই বর্তমান মন্দিরটি স্থাপন করেন। হিন্দু সংগঠনের এও দাবি, যেখানে এখন মসজিদ রয়েছে, সেখানে এক সময় ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুদের কয়েকটি সংগঠন।

    মন্দির-মসজিদ বিবাদের(mosque temple controvercy) নিষ্পত্তি করতে মসজিদে ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালত নিযুক্ত বিশেষ কমিশনকে। ভিডিওগ্রাফি চলাকালীন একটি পক্ষের দাবি, ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ মিলেছে। হিন্দুদের একটি সংগঠনের দাবি, ওই ওজুখানা ও সংলগ্ন এলাকা আদতে শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। এর পরেই ওজুখানার কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি সিআরপিএফের একজন কমান্ডান্ট(সুপার) স্তরের আধিকারিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন : অ্যাডভোকেট কমিশনারকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট, রিপোর্ট জমা করতে দু’দিন সময় কমিশনকে

    তবে বিচারক চন্দ্রচূড় ও নরসিমার বেঞ্চ জানায়, ওজুখানার জলাধার ব্যবহার করা না গেলেও, নমাজ পড়ায় কোনও বাধা নেই। মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা নির্দিষ্ট সময়েই গিয়ে নমাজ পড়তে পারবেন। অন্যান্য ধর্মীয় রীতিও পালন করতে পারবেন তাঁরা।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করলেও, মসজিদ কমিটির দাবি, জলাধারে(pond) রয়েছে পুরানো একটি ফোয়ারা। তবে যাই হোক না কেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই ওজুখানার ওই জলাধারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

     

  • Babul Supriyo Oath Controversy: ‘বিধায়ক’ বাবুলের দুবার শপথ! প্রথমে প্রকাশ্যে, পরে গোপনে, কেন জানেন? 

    Babul Supriyo Oath Controversy: ‘বিধায়ক’ বাবুলের দুবার শপথ! প্রথমে প্রকাশ্যে, পরে গোপনে, কেন জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালিগঞ্জের বিধায়ক (Ballygunge TMC MLA) বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) শপথ গেরো যেন কাটছে না। দেশে কোথাও যা ঘটেনি তাঁর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) তেমনই ঘটেছে। এক বিধায়ককে দুবার শপথ নিতে হয়েছে। এক বার প্রকাশ্যে, একবার লুকিয়ে। কারণ দিনক্ষণ জানা গেলেও কোথায়, কবে তাঁকে স্পিকার শপথ পাঠ করিয়েছেন তা কেউ বলতে পারছেন না। যদিও সংসদীয় বিষয়ক দফতরের ফাইলে তা জ্বলজ্বল করছে। আর এমন আজব কাণ্ড জানাই যেত না, যদি না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar) সদ্য রাজভবনে (Raj Bhawan) যাওয়া তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধি দলকে বাবুল-কাণ্ডের কথা না জানাতেন। প্রতিনিধি দলের এক সদস্য মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাবুল সুপ্রিয়র দ্বিতীয় শপথের কথা রাজ্যপালের মুখেই প্রথম শুনেছেন। এমনকি, অস্বস্তি এড়াতে বিধানসভায় শাসক দলের কোর টিমেরও নাকি এসব অজানাই রয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

    ঠিক কি হয়েছিল? বিধানসভা সূত্রের খবর, বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য গত ২৯ এপ্রিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেন। সংসদীয় বিষয়ক দফতর রাজ্যপালের সেই অথরাইজেশন ২ মে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে ডেপুটি স্পিকার রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণে অপারগ। একই চিঠি আশিসবাবু সংসদীয় বিষয়ক দফতরকেও জানিয়ে দেন। এর পর সংসদীয় বিষয়ক দফতর ডেপুটি স্পিকারের অপারগতার কথা জানিয়ে রাজ্যপালকে অবহিত করেন। ফলে ২৯ এপ্রিল রাজ্যপাল যে অথরাইজেশন ডেপুটি স্পিকারকে দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাখ্যান করার সঙ্গে সঙ্গে রাজভবনের সেই আদেশনামা মূল্যহীন হয়ে পড়ে। ৭ মে সংসদীয় বিষয়ক দফতরও প্রত্যাখানের কথা রাজভবনকে জানিয়ে দিয়েছিল।

    কিন্তু এর মধ্যেই গত ১১ মে ডেপুটি স্পিকার বাবুল সুপ্রিয়কে বিধানসভায় ডেকে শপথবাক্য পাঠ করান। সংবাদমাধ্যমে তা প্রচারিতও হয়। রাজভবন বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করে জানতে চায়, কীভাবে রাজ্যপালের সাংবিধানিক অথরাইজেশন ছাড়া বাবুলের শপথ হল? বিধানসভার সচিব এস ভট্টাচার্য গত ২৭ মে রাজভবনে রিপোর্ট পাঠান। বিধানসভা সূত্রের খবর, সচিব লিখিত রিপোর্টে জানান, ডেপুটি স্পিকার ৬ মে চিঠি দিয়ে প্রত্যাখান করলেও, ১০ মে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেন। তা জানানো হয় নবান্নেও। 

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    এর পরই ১১ মে বাবুলের বেলা সাড়ে ১২টায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। বিধানসভা সূত্রের খবর, রাজভবন জানায়, বিধায়কের শপথ গ্রহণের অথরাইজেশন দেওয়ার একমাত্র সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে রাজ্যপালের। গত ২৯ এপ্রিল ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া অথরাইজেশন প্রত্যাখান করার পরই তা মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল। ফলে বাবুলের শপথ সাংবিধানিকভাবে বৈধ নয়। স্পিকার কোনওভাবেই ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে এমন শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন না। স্পিকার রাজ্যপালের সাংবিধানিক চৌহদ্দিতে ঢুকছেন বলেও অভিযোগ তোলে রাজভবন। চাওয়া হয় রিপোর্টও। 

    ৩ জুন বিধানসভার সচিব সুপ্রতিম ভট্টাচার্য স্পিকারের পর্যবেক্ষণ লিখিত আকারে রাজভবনে জানান। তাতে বলা হয়, বাবুল সুপ্রিয়র শপথে অনিয়ম কিছু হয়নি। ২৯ এপ্রিলের অথরাইজেশন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রক ২ মে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হয়নি। ফলে সেই বিজ্ঞপ্তি বহাল রয়েছে ধরে নতুন অথরাইজেশন নেওয়া হয়নি। ডেপুটি স্পিকারকে তিনি কেবলমাত্র সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার বলেছিলেন, কোনও নির্দেশ দেননি। রাজ্যপালের সাংবিধানিক চৌহদ্দিতে প্রবেশও করতেও চাননি বলে নিজের পর্যবেক্ষণে জানান স্পিকার। 

    আরও পড়ুন: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির

    তবে ৬ মে ডেপুটি স্পিকারের শপথগ্রহণ করাতে না পারার কথা জানানো এবং ৭ মে সংসদীয় বিষয়ক দফতর তা রাজভবনকে জানিয়ে দেওয়ার পরও কীভাবে ২৯ এপ্রিলের অথরাইজেশন বহাল থাকে তার কোনও ব্যাখ্যা বিধানসভা বা সরকার রাজভবনকে দিতে পারেনি। এর পরই গত ৯ জুন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব তুলে দিয়ে ফের একবার বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পাঠ করানোর অথরাইজেশন দেন রাজ্যপাল। তা না হলে বাবুলের শপথের সাংবিধানিক বৈধতা ছিল না। তবে দ্বিতীয় অথরাইজেশনের সেই নির্দেশ কীভাবে, কখন, কোথায়, কবে পালিত হয়েছে তা আজও গোপন। সরকারিভাবে বাবুল সুপ্রিয়র দ্বিতীয় শপথটির গোপন কথা কবে জানা যাবে তা লাখ টাকার প্রশ্ন। এ ব্যাপারে বালিগঞ্জের বিধায়ক বা বিধানসভা থেকে কারও কোনও টুঁ শব্দটি শোনা যাচ্ছে না।     

LinkedIn
Share