Blog

  • Taliban New Rule: ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না, নয়া ফতোয়া তালিবানের

    Taliban New Rule: ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না, নয়া ফতোয়া তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সময়ে গোটা বিশ্বকে তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, গত বারের থেকে অনেক বেশি ‘উদার’ নীতি নিয়ে দেশ শাসন করবে। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, আসল ছবিটা ধীরে ধীরে বিশ্বের সামনে আসছে। সরকার গড়ার পরেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপরে কোপ পড়েছে, সরকারি চাকরি থেকেও বাদ পড়েছেন মহিলারা,  মহিলাদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে হিজাবে চলবে না, জনসমক্ষে পরতে হবে বোরখা।  এবার ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম হেরাট প্রদেশে এই নতুন ফতোয়া জারি করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, হেরাট প্রদেশের পুরুষদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে তাঁরা পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হলেও একসঙ্গে বসা যাবে না। তালিবানের ‘প্রমোশন অব ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ভাইস অ্যাপ্লাই’ মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেস্তোরাঁগুলিতে খেতে গেলে সেখানকার ম্যানেজারেরা আলাদা টেবিলে বসার নির্দেশ দিচ্ছেন। তালিবান আধিকারিক রিয়াজুল্লাহ সিরাত জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রেস্তোরাঁই নয়, পার্কগুলিতেও এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। মহিলা ও পুরুষেরা আলাদা আলাদা দিনে পার্কে যাবে। মহিলারা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার পার্কে যেতে পারবেন। বাকি দিনে আফগান পুরুষেরা শরীরচর্চার জন্য পার্কে যাবেন।

    এদিকে, ফতোয়া ঘিরে তালিবানের দ্বিচারিতাও প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন স্বীকার করেন যে বাকি মেয়েদের মেয়েদের জন্য স্কুল নিষিদ্ধ করা হলেও, তাঁর দুই মেয়ে দিব্যি স্কুলে যায়। সুহেল জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে হিজাব পরে স্কুলে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুহেলের এই বক্তব্য প্রকাশ পেতেই হইচই পডডে গিয়েছে। অনেক নেটাগরিক সুহেলের কন্যার সম্পর্কে একাধিক তথ্য প্রকাশ করেছেন। এমনই এক নেটিজেন লিখেছেন, সুহেলের মেয়ে কাতার ফুটবল দলে খেলে। কাতারি যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার। অথচ, আফগান মেয়েরা ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি পড়তে পারে না। খেলাধুলো করতে পারে না।

     

     

  • Aadhaar: অনলাইনে আধার সংক্রান্ত অভিযোগ জানাবেন কীভাবে, জানেন?  

    Aadhaar: অনলাইনে আধার সংক্রান্ত অভিযোগ জানাবেন কীভাবে, জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের পর দিন ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। ব্যাংক (Bank) থেকে শুরু করে নানা সরকারি পরিষেবা পেতে কিংবা পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। ১২ সংখ্যার এই আধার নম্বর ছাড়া জীবন অচল হওয়ার জোগাড়। আধার কার্ডে কোনও ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে। কোনও ব্যক্তির নাম, ঠিকানা থেকে প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে ওই কার্ডে। কারণ আধার কার্ডের সঙ্গে বায়োমেট্রিকের তথ্য যুক্ত থাকে। সরকারি কিংবা বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই আধার আজকাল বাধ্যতামূলক। আধার সংক্রান্ত অভিযোগ (grievance) জানাতে সম্প্রতি নয়া হেল্প লাইন নিয়ে এল ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (Unique Identification Authority of India)। এই সার্ভিস ব্যবহার করে আধার সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে। ইমেল অথবা অফিসিয়াল আধার ওয়েবসাইট থেকে দুর্নীতি, দুর্ব্যবহার এবং আধার সংক্রান্ত নানান অভিযোগও জানানো যাবে।

    আরও পড়ুন : সদ্যোজাতরাও পাবে আধার কার্ড! নয়া পরিকল্পনা ইউআইডিএআই-এর

    আধার সংক্রান্ত কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে অভিযোগ জানাবেন কীভাবে? তার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন এই সার্ভিস ব্যবহার করে নাগরিকেরা কী কী অভিযোগ জানাতে পারবেন। অফিসিয়াল আধার ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে অপারেটর ও এনরোলমেন্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে। যে কোনও সমস্যার জন্য রেজিস্টার্ড ফোন নম্বর থেকে ফোন করে জানানো যাবে অভিযোগ। সেই কারণেই নাগরিকদের জন্য বিশেষ টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে ইউআইডিএআই। আধারের সঙ্গে যে নম্বর লিঙ্ক করা রয়েছে, সেই ফোন থেকে ১৯৪৭ ডায়াল করে অভিযোগ জানানো যাবে। এছাড়া ই-মেলের মাধ্যমেও জানানো যাবে অভিযোগ। সমস্যার কথা জানিয়ে help@uidai.gov.in অ্যাড্রেসে ই-মেইল করুন।

    আরও পড়ুন : ৩০ জুনের পর প্যান-আধার লিঙ্ক করলে গুনতে হবে দ্বিগুণ জরিমানা!

    চ্যাটবট ব্যবহার করেও কমপ্লেন লজ করতে পারেন। uidai.gov.in এ যদি চ্যাটবট থাকে তাহলে আধার সার্ভিসের জন্য ক্যুইক অটোমেটেড রেসপন্স চান। রেসিডেন্ট পোর্টাল এবং ইউআইডিএআই ওয়েবসাইটের মেইন পেজে গিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করুন। নীল ‘আস্ক আধার’ আইকনে ক্লিক করুন। এর পরেই চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলা যাবে। হিন্দি এবং ইংরেজি দুই ভাষার সুবিধাই মিলবে। পোর্টালের মাধ্যমেও জানানো যাবে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে হবে https://resident.uidai,gov.in/file-complaint অ্যাড্রেসে।   

  • NEET PG 2022 Results: প্রকাশিত ‘নীট-পিজি ২০২২’-এর ফল, জেনে নিন কীভাবে দেখবেন

    NEET PG 2022 Results: প্রকাশিত ‘নীট-পিজি ২০২২’-এর ফল, জেনে নিন কীভাবে দেখবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল বোর্ড অফ এক্সামিনেশন (NBE) বুধবার ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট-পিজি (NEET PG 2022) এর ফলাফল প্রকাশ করেছে। বুধবার বিষয়টি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। মন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, “নীট-পিজি- র ফল প্রকাশিত হয়েছে। উত্তীর্ণ হওয়া সকল পরীক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানাই। দশ দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করার জন্য  @NBEMS_INDIA-র প্রশংসা করছি। natboard.edu.in-এ ফলাফল দেখুন।”  

    [tw]


    [/tw]

    যারা পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরা natboard.edu.in এই ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন। 

    আরও পড়ুন: পেছাচ্ছে না নীট স্নাতকোত্তর পরীক্ষা, জানাল শীর্ষ আদালত

    কী করে দেখবেন ফলাফল: 

    • প্রথমে natboard.edu.in বা nbe.edu.in-এই ওয়েবসাইটে যান।
    • হোমপেজে একটি লিঙ্ক দেখা যাবে ‘NEET PG 2022 results’
    • ওই লিঙ্কে ক্লিক করুন। রেজাল্টের পিডিএফ (PDF) খুলে যাবে।
    • নিজের রোল নম্বর খুঁজে পাওয়ার জন্য কিবোর্ডে ctrl+F ব্যবহার করুন। 
    • এবার নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখুন এবং সাবমিট করুন।
    • তাহলেই NEET PG ফলাফল দেখা যাবে। ভবিষ্যতের রেফারেন্সের জন্য একটি প্রিন্টআউটও নিয়ে রাখুন।

    আরও পড়ুন: ফের স্থগিত হতে পারে এবছরের নীট পরীক্ষা, প্রতিনিধি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৈঠকের পর এমনই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে

    চলতি বছরে গত ২১ মে দেশজুড়ে ৮৪৯টি কেন্দ্রে নীট পিজি পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরীক্ষাটি কম্পিউটারে নেওয়া হয়। মোট সাড়ে ৩ ঘণ্টার পরীক্ষা হয়েছিল।  প্রশ্নপত্রে মোট ২০০টি এমসিকিউ (MCQ) প্রশ্ন ছিল। প্রতিটি প্রশ্নের জন্যে চার নম্বর করে ধার্য করা হয় এবং প্রতিটি ভুল উত্তরে এক নম্বর করে কাটা হয় পরীক্ষার্থীদের। উত্তর না দিলে সেই প্রশ্নের জন্য কোনও নম্বর কাটা হয়নি।

     

  • KK Demise: শিল্পী বেঁচে থাকে তাঁর সৃষ্টিতে! কে কে-এর কালজয়ী ১০টি গান

    KK Demise: শিল্পী বেঁচে থাকে তাঁর সৃষ্টিতে! কে কে-এর কালজয়ী ১০টি গান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গাইল সে শেষ গান, পরে শেষ মালা..”।  শিল্পীর ছুটি নেই। সে বেঁচে থাকে তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। গান গাইতে গাইতেই সুরলোকে পারি দিলেন বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক সিঙ্গার কে কে (K K Demise)। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে থেমে গেল কণ্ঠ। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে।

    কিন্তু শিল্পীর কি আর মৃত্যু হয়? তাঁদের সৃষ্টি থেকে যায় ভক্ত ও শ্রোতাদের মনে। বার বার কলকাতাকে প্রিয় শহর বলেছেন কে কে। তাই এখানে আসার আগে উৎসাহী কে কে ফেসবুক পোস্টে বলেন, ”কলকাতা, গেট রেডি। আমি আসছি। ৩০ এবং ৩১ মে শহরে শো রয়েছে। ৩০ তারিখ বিবেকানন্দ কলেজের আয়োজিত ফেস্টে নজরুল মঞ্চে এবং গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের জন্য শো ৩১ মে।” তিনি এলেন, গাইলেন, রেখে গেলেন ‘পেয়ার কে পল…’।
     
    দেখে নিন কেকে এর কালজয়ী ১০টি গান:

    ১) পল্ (Pal)
    KK এর বিখ্যাত মিউজিক অ্যালবাম ‘পল্’ ৯০ এর দশকের বিখ্যাত গানগুলোর একটি। মানুষ এখনও তার অ্যালবাম ‘পল’পছন্দ করে।  লাইভ কনসার্টে এটিই তার শেষ গাওয়া গান।

    ২) তু হি মেরি সব হে ( Tu HI Meri Shab Hai)
    কঙ্গনা রানাউত, ইমরান হাশমি এবং শাইনি আহুজা অভিনীত ফিল্ম গ্যাংস্টার-এর বিখ্যাত গান ‘তু হি মেরি সব হ্যায়’ কে কে তার সুরেলা কণ্ঠে গেয়েছিলেন।

    ৩) আওয়ারাপন বাঞ্জারাপন ( Awarapan Banjarapan)
    জিসম ছবির ‘আওয়ারাপন বাঞ্জারাপন’ গানটিও কেকে-এর সেরা গানগুলির মধ্যে একটি।  গায়কের গানটি শ্রোতাদের খুব পছন্দ।

    ৪) ম্যায়নে দিল সে কাহা (Maine Dil Se Kaha)
    রোগ ছবির ‘ম্যায়নে দিল সে কাহা’ গানটিও কে কে তার নিজের সুর দিয়ে সাজিয়েছিলেন।  

    ৫) খুদা জানে (Khuda Jaane)
    কে কে রণবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ছবি ‘বাচনা এ হাসিনো’-এর বিখ্যাত গান ‘খুদা জানে’ গেয়েছেন।  এই গানটি শীর্ষ রোমান্টিক গানের মধ্যে একটি।

    আরও পড়ুুুুন: তবুও শ্রোতারা তাঁকে দিল না ছুটি…গানই শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    ৬) তদাপ তদাপ (Tadap Tadap)
    প্লেব্যাকে তাঁর প্রথম বড় ব্রেক বলিউডে সঞ্জয় লীলা বনশালীর সুপারহিট ছবি ‘হম দিল দে চুকে সনম’। সালমান খান, ঐশ্বর্যা রাই এবং অজয় ​​দেবগণ অভিনীত এই সিনেমায় গাওয়া কে কে-এর ‘তড়প তড়প কে’ গানটি বহু ভগ্ন হৃদয়ের মলম হয়ে উঠেছিল।এর আগে মাচিস ছবি দিয়ে বলিউডে জার্নি শুরু কে কে-র। ‘ছোড় আয়ে হাম ও গলিয়া’ গানে হরিহরণের সঙ্গে গান গেয়েছিলেন কে কে। 

    ৭) জারা সি দিল মে দে ( Zaraa Si Dil Main)
    ইমরান হাশমির সুপারহিট ছবি ‘জন্নত’-এর বিখ্যাত গান ‘জারা সি দিল মে দে’ এখনও শ্রোতাদের প্রিয় গানগুলির মধ্যে একটি।  এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কেকেও।

    ৮) বিতে লামহে (Beete Lamhein)
    কে কে ইমরান হাশমির ফিল্ম ‘দ্য ট্রেন’-এর বিখ্যাত গান ‘বিতে লামহে’ ও গেয়েছেন।  এই গানটি বিরহের মধ্যে পথ দেখায়।

    ৯) সাচ কেহ রাহা হ্যায় দিওয়ানা ( Sach Keh Raha Hai)
    এর সুপারহিট হিন্দি ছবি ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’-র বাম্পার হিট গান ‘সচ কহ রহা হ্যায় দিওয়ানা’। আসমুদ্র হিমাচল এই গানে মেতে উঠেছিল… ভালোবাসা জাহিরেও যেন মুশকিল আসান ছিল কে কে-র এই গান।

    ১০) ইয়ারোঁ দোস্তি বাদি হাসিন হ্যায় (Yaro Dosti Badi Hassin Hai)
    কে কে এর কণ্ঠে গাওয়া ‘ইয়ারোঁ দোস্তি বাদি হাসিন হ্যায়’ গানটি নব্বই দশকের একটি বিখ্যাত গান।  আজও এই গানটি শুনলে সবার মনে পড়ে তাদের বন্ধু ও বন্ধুত্বের কথা।  কে কে-এর এই গানটি সত্যিই বন্ধুত্বকে সংজ্ঞায়িত করে।

    এছাড়া, তাঁর গাওয়া কালজয়ী গানগুলির তালিকায় রয়েছে—

     

    ক্যায়া মুঝে প্য়ায়ার হ্যায় (ছবি: ও লমহে্)

    আঁখো মে তেরে (ছবি: ওম শান্তি ওম)

    তু জো মিলা (ছবি: বজরঙ্গী ভাইজান)

    তু আশিকী হ্যায় (ছবি: ঝনকার বিট্স)

    আলবিদা (ছবি: লাইফ ইন আ মেট্রো)

  • anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন অনুব্রত মণ্ডল(anubrata mandal)!

    শেষমেশ বৃহস্পতিবার সাত সকালেই নিজাম প্যালেসে গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই(cbi) দফতরে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের(tmc) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। বুধবার সন্ধেয় সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

    ৬ এপ্রিল গরু পাচারকাণ্ডে দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন সকালে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়েও পরে আর সিবিআই দফতরে হাজির হননি তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জেরে এসএসকেএম হাসপাতালের(sskm hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। অনুব্রত তখন সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, তারা চাইলে হাসপাতালে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। হাসপাতাল থেকে ছুটির পরে ফের একবার সিবিআইকে চিঠি দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি আছেন তিনি।

    পরে সিবিআইকে ফের একবার চিঠি দিয়ে তিনি জানান, ২১ মে’র পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত। নির্দিষ্ট ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই বুধবার সিবিআই দফতরে ফের আইনজীবি মারফৎ চিঠি পাঠান অনুব্রত। জানিয়ে দেন, গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রাজি হন তিনি। সেই মতো বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে সময় দেয় সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন তার ঢের আগেই চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি।           

    এসএসসি মামলায় বুধবার সন্ধেয় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরের দিনই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিলেন অনুব্রত। তাঁকে জেরা করে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তের জট খুলতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন : নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পার্থকে(partha chaterjee ) কেবল জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দিয়েছে সিবিআই। তার পরেই সাহস পেয়েছেন অনুব্রত। সেই কারণেই এদিন বীরভূমের(Birbhum) দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত সাত সকালে হাজির হয়েছেন সিবিআই দফতরে।

     

     

  • SSC Recruitment Scam: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! মধ্যরাতে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে “সিল” করে দেওয়া হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service commission) দফতর। গোটা ভবন মুড়ে ফেলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC frecruitment scam) নাটকীয় মোড় নিল বুধবার মধ্যরাতে।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers Recruitment scam) মামলায় সাড়ে তিন ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব সেরে বুধবার রাত ৯টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বের হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তার মধ্যেই, আচমকা এসএসসি (SSC) চেয়ারম্যান পদে রদবদল ঘটে। হঠাৎই চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যেই। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এসএসসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে আইএএস অফিসার শুভ্র চক্রবর্তীকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।

    এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আশঙ্কা এই পরিস্থিতির মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে ফেলা হতে পারে। আদালতের কাছে তাঁদের আর্জি অবিলম্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসির দফতরে সিআরপিএফ মোতায়েন করা হোক। চাকরিপ্রার্থীদের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে এ দিন রাতারাতি রাত সাড়ে দশটায় বেনজিরভাবে হাইকোর্টে শুরু হয় শুনানি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে শুনানি শুরু হয়। নিজের চেম্বার থেকেই মামলা শোনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীরা জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দিয়েছেন। যিনি মঙ্গলবারই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি ‘দুর্নীতিতে’ নম্বর জানিয়েছেন। অধ্যাপক মজুমদার ইস্তফা দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অবিলম্বে সিআরপিএফ মোতায়েন করে নথি সংরক্ষণের আবেদন করেন এসএসসির (SSC) চাকরিপ্রার্থীরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, কমিশনের হাতে থাকা হার্ড ডিস্ক-সহ নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করা হোক।  পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বা তাঁদের লোকজন নথি নষ্ট করতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত।

    এরপরই প্রায় মধ্যরাতে বিশেষ নির্দেশ দেয় আদালত। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ শুনে একের পর এক কড়া নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, বুধবার রাত সাড়ে বারোটা থেকে CRPF’এর নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে SSC সদর দফতর আচার্য সদন। বৃহস্পতিবার দুপুর একটা অবধি কোনও সরকারি আধিকারিক, কোনও কর্মী এসএসসি-র অফিসে ঢুকতে পারবেন না কেউ। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর থেকে কে বা কারা দফতরে ঢুকেছে তার সিসি ফুটেজ কাল বেলা ১২টার মধ্যে পেশের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। 

    সূত্রের খবর, হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর বিচারপতির চেম্বার থেকেই সিআরপিএফের (CRPF) অফিসে ফোন করা হয়। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত কথা বলেন।

     

     

  • PAN Aadhaar: বার্ষিক ২০ লক্ষের বেশি টাকার লেনদেন করছেন? এখন থেকে নতুন নিয়ম মানতে হবে

    PAN Aadhaar: বার্ষিক ২০ লক্ষের বেশি টাকার লেনদেন করছেন? এখন থেকে নতুন নিয়ম মানতে হবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নগদ টাকার লেনদেনে রাশ টানতে নতুন পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। সব অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে বছরে ২০ লক্ষের বেশি টাকার লেনদেনে প্যান কার্ড বা আধার কার্ডের তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হল। নতুন এই নিয়ম লাগু হবে ২৬ মে থেকে। সিবিডিটির (CBDT) পক্ষ থেকে আয়কর আইনের অধীনে এই নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছে।

    রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক হোক বা সমবায় কিংবা পোস্ট অফিস, সব জায়গাতেই এক বা একাধিক অ্যাকাউন্টে ২০ লক্ষ টাকা নগদ জমা বা নগদ টাকা তোলার ক্ষেত্রে প্যান (PAN Card) বা আধারের (Aadhaar Card) তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি সব ধরনের ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও প্যান কার্ডের তথ্য দেওয়ার বাধ্যতামূলক নিয়ম করা হয়েছে।   

    এতদিন পর্যন্ত একটি অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণের বেশি লেনদেন করলে প্যান বা আধারের তথ্য দিতে হত। সব অ্যাকাউন্টে একসঙ্গে নজরদারি চালানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এবার সেই উপায় নিয়েই হাজির মোদি সরকার। একসঙ্গে ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করলে তথ্য চাওয়া হত। বার্ষিক লেনদেনে কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। এবার বার্ষিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও এল নতুন নিয়ম। 

    দীর্ঘদিন ধরেই করদাতাদের কারচুপিতে নাজেহাল কেন্দ্র। যাদের রোজগার বেশি, তাও কেন তাঁরা আয়করের (Income Tax) আওতায় নেই তা খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্র। সেকারণেই ২০ লক্ষ টাকার বেশি সমস্ত লেনদেনের ওপর নজরদারি চালাতে চাইছে তারা।

    তাছাড়া, ২০ লক্ষের বেশি লেনদেনে প্যান-আধার বাধ্যতামূলক করা হলে, নগদে লেনদেনের প্রবণতা কমতে পারে বলেও মনে করছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে ভারতকে ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’ (Cashless Economy) করার যে উদ্যোগ নিয়েছিল মোদি (Modi) সরকার সেই পথেও কিছুটা অগ্রসর হওয়া যাবে বলে আশাবাদী সরকারি আধিকারিকরা।

    নিয়ম অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির প্যান তথ্য সরবরাহ করতে হয়, কিন্তু তাঁর কাছে সেই মুহূর্তে প্যান কার্ড না থাকে, তবে তিনি আধারের বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণ দিতে পারেন। 

     

  • Pooja Singhal: আর্থিক অনিয়ম আমলার! ৫ দিনের ইডি হেফাজতে আইএএস পূজা সিঙ্ঘল

    Pooja Singhal: আর্থিক অনিয়ম আমলার! ৫ দিনের ইডি হেফাজতে আইএএস পূজা সিঙ্ঘল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) খনিজ দফতরের সচিব তথা আইএএস (IAS) পূজা সিঙ্ঘলকে (Pooja Singhal) গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কেন্দ্রের মনরেগা (MGNREGA) তহবিলের টাকা তছরুপের অভিযোগ ছিল ঝাড়খণ্ডের খনিসচিব পূজার বিরুদ্ধে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিল ইডি। বুধবার দীর্ঘক্ষণ জেরার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আপাতত পাঁচ দিন ইডি-র হেফাজতে থাকবেন তিনি।

    মনরেগা প্রকল্পের তহবিলে আর্থিক অনিয়মের এই মামলায় পূজা ছাড়াও অভিযুক্ত তাঁর স্বামী অভিষেক ঝা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সুমন কুমার। গত শুক্রবারই সুমনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বুধবার গ্রেফতার হল পূজাও।  

    মনরেগা প্রকল্পের অর্থ তছরুপ মামলায় গত ২০১২ সাল থেকেই তদন্ত চলছে। তবে পূজার সঙ্গে এই মামলার যোগ সম্প্রতিই প্রকাশ্যে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন পূজার ১৫০কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির সন্ধান পায় ইডি। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি-সহ দেশের ১৮টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয় পূজা, তাঁর স্বামী এবং তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যোন্ট সুমনের বাড়ি থেকে। শুধু সুমনের বাড়ি এবং অফিসে থেকেই ১৭ কোটি ৭৯ লক্ষ নগদ টাকা পায় ইডি। ইডি জানিয়েছে, বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকের পদে থাকাকালীন পূজা এবং তাঁর স্বামী অভিষেকের অ্যাকাউন্টে বেতন ছাড়াও প্রায় ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা জমা পড়ে। 
      
    খুঁটি জেলায় মনরেগা প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে ২০২০ সালে ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রাক্তন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রামবিনোদ প্রসাদ সিন্‌হার গ্রেফতারি দিয়ে মামলাটি শুরু হয়। পরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার হওয়ার পরে রামবিনোদ জানান, নয়ছয় হওয়া টাকার পাঁচ শতাংশ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে কমিশন হিসেবে দিতে হয়েছিল তাঁকে। পুলিশ পুরনো রেকর্ড দেখে জানতে পারে, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন খুঁটির ডেপুটি কমিশনার ছিলেন পূজা। এর পরই গোয়েন্দা সংস্থাটি পূজার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।

     

  • Sri Lanka: অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    Sri Lanka: অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচে উত্তপ্ত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri lanka)। ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে পরিস্থিতি। প্রেসিডেন্ট গোতবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) ও সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের (Mahinda Rajapaksa) পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরাল বিক্ষোভকারীরা। আগুন শাসকদলের আরও এক সাংসদ এবং এক প্রাক্তন এক মন্ত্রীর বাড়িতেও। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ ও তাঁর সহকারীদের সুরক্ষায় নামানো হল সেনা। মাহিন্দার সরকারি আবাসন থেকে গুলিবর্ষণ করা হয় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে। এরপরেই খেপে যান বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রথমে মূল ফটক ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস।

    মাসকয়েক ধরে অর্থনৈতিক সঙ্কটে (economic crisis) ভুগছে শ্রীলঙ্কা। দেশের বিদেশি মুদ্রার হাল তলানিতে। বিদেশি দেনার দায়ে বন্ধ নিউজপ্রিন্ট আমদানি। কাগজের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজের পরীক্ষা। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দর লাগামছাড়া। নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। ভিটেমাটি ছেড়ে দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে দলে দলে লোকজন ঠাঁই নিচ্ছেন পড়শি দেশের শরণার্থী শিবিরে। এমতাবস্থায় ক্রমেই চড়ছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের আঁচ। প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধীরা। বিক্ষোভ সামাল দিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাতেও অবশ্য দমানো যায়নি বিক্ষোভকারীদের।

    আরও পড়ুন :প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    শনিবার রাতে মাহিন্দার পৈতৃক বাড়মেদামুলানা ওয়ালাওয়াতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের। উত্তেজিত জনতা মেদামুলানাতে ডিএ রাজাপক্ষে সৌধেও আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয় মোরাতুয়া মেয়র শামন ফার্নান্দো, কুরুনেগালা মেয়র থুসারা শানজিওয়া এবং পার্লামেন্ট সদস্য সনৎ নিশান্থা, রমেশ পথিরানা, মহীপালা হেরাথ, থিসা কুট্টিয়ার্চি এবং নিমল লাঞ্জার বাড়িতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ ও তাঁর সহকারীদের সুরক্ষায় নামানো হয়েছে সেনা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে মাহিন্দার সরকারি আবাসন থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। কমবেশি জখম হন অন্তত ১৩০ জন। ক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে মূল ফটক ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেন। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জল কামান। তার পরেও পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আসেনি। তার জেরেই বিক্ষোভকারীদের কড়া হাতে দমন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনাকে। কলম্বোয় জারি করা হয়েছে কার্ফু। 

     

  • Modi in Gujarat: “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    Modi in Gujarat: “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত আট বছরে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi), সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Ballavbhai Patel) স্বপ্ন পূরণে কাজ করেছে সরকার। গুজরাতে (Gujarat) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, “বাপু চাইতেন গরিব, দলিত, মহিলা, আদিবাসীদের ক্ষমতায়ন। যেখানে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া তাঁদের অধিকার। আমরা মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছি। সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি।” জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং করোনা অতিমারীর সময় বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশের সেবা করার জন্য কোনও প্রচেষ্টাই আমি ছাড়িনি। এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়।”

    আরও পড়ুন : গণতন্ত্র রক্ষায় মোদির অবদান, প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন

    ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আট বছর পূর্ণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন গুজরাতের রাজকোট জেলার আটকোট শহরে ২০০ শয্যার একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সভায়ই তাঁর আট বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বে কী কী কাজ করেছেন, তার ফিরিস্তি দেন। বলেন, “গত আট বছরে তিন কোটির বেশি পরিবারকে পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। ১০ কোটি পরিবারকে শৌচাগার দেওয়া হয়েছে। ৯ কোটি নারীকে এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আড়াই কোটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ছয় কোটি পরিবারকে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত যোজনা বিমা প্রকল্পে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ।”

    মোদি বলেন, “এগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি দেশের দরিদ্রদের মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ।” তাঁর দাবি, গত আট বছরে তাঁর সরকার দরিদ্রদের উন্নতির জন্য কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অর সব কা প্রার্থনা’ মন্ত্র দিয়ে আমরা দেশের উন্নয়নে নতুন দিক নির্দেশনা করেছি।” প্রত্যেক ভারতীয়কে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পূরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    ডবল ইঞ্জিন সরকারের (Double engine government) স্বপক্ষেও এদিন ফের সাফাই গেয়েছন মোদি। বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের কারণে গুজরাত উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ’১৪ সালের আগে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। আমরা যদি কেন্দ্রে (ইউপিএ সরকারের কাছে) উন্নয়ন প্রকল্পের কোনও ফাইল পাঠাতাম, তাহলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করত। এখন আর তা হয় না। আমাদের যে জীবনধারা বদলের প্রয়োজন রয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। বলেন, কারও অসুস্থ হওয়া উচিত নয়। আমাদের এমন একটা জীবনধারা তৈরি করতে হবে, যাতে আমরা অসুস্থ না হয়ে পড়ি।

     

LinkedIn
Share