Blog

  • Vladimir Putin: অস্ত্রোপচার পুতিনের! কেমন আছেন রুশ নেতা?

    Vladimir Putin: অস্ত্রোপচার পুতিনের! কেমন আছেন রুশ নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা চলছিলই,  এবার এল অস্ত্রোপচারের খবর। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President) ভ্লাদিমির পুতিনের(Vladimir Putin) তলপেটে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। কোনওরকম জটিলতা ছাড়াই পুতিনের তলপেটে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, বলে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের খবর। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিনের তলপেটে অস্ত্রোপচার করে ফ্লুইড বের করা হয়। অস্ত্রোপচারটি হয় ১২ ও ১৩ মে’র রাতে। তবে এর সঙ্গে ক্যান্সারের কোনও সম্পর্ক নেই।

    রাশিয়ার ফরেন ইনটেলিজেন্স (Foreign Intelligence Service) সার্ভিসের সঙ্গে টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘জেনারেল এসভিআর’র কথোপকথন থেকেই এই খবর জানা যায়। এই অস্ত্রোপচারের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠকেও অংশ নিতে পারেননি রুশ নেতা। নেতাদের উদ্দেশে পুতিনের বক্তব্য আগে থেকে রেকর্ড করা ছিল। তাই বৈঠকে দেখানো হয়।

    ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের তরফে  টেলিগ্রাম বার্তারও কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়। যেখানে রুশ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, পুতিনের যে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল তা এখনও হয়নি। এটা চিকিৎসার একটি ধাপ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের অস্ত্রোপচার এবং তার সাময়িকভাবে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়াটি, পরের দিন ‘ডিপফেইক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেখানো হয়। যদিও এই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।  

    আরও পড়ুন: পুতিনের অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    এর আগেও পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রাক্তন ব্রিটিশ গুপ্তচর ক্রিস্টোফার স্টেলি জানান, পুতিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। তা নিরাময় যোগ্য কিনা সে সম্পর্কেও কিছু নিশ্চিত করে বলেননি স্টেলি। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান দাবি করেছিলেন, পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে তিনজন করে চিকিৎসক থাকছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন একজন ক্যানসার স্পেশালিস্টও। পুতিনের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে মুখ খোলেন রাশিয়ার এক ধনকুবেরও। তবে ক্রেমলিন কখনওই রুশ নেতা পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে কিছু খবর প্রকাশ্যে আনেনি।  

  • Father-Daughter: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

    Father-Daughter: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবাকে আদর্শ করে তাঁর দেখানো পথে হাঁটতে পৃথিবীর সব মেয়েই চান। আবার বাবার পেশাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখে থাকেন। তবে এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে খুব সংখ্যক কেই দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে সেই বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করে ভারতীয় বায়ুসেনায় একইসঙ্গে যুদ্ধবিমান ওড়ালেন বাবা-মেয়ে। আকাশে বিমান ওড়ানোর এই ঘটনাটি বর্তমানে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আর বাবা-মেয়ের যুগলবন্দীতে বিমান ওড়ানোর মুহূর্তটি ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। একই ফাইটার জেট আকাশে ওড়ালেন বাবা-মেয়ের জুটি। প্রথমবার এমন নজির দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force)।

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    ভারতীয় বায়ুসেনায় আধিকারিক পদে রয়েছেন সঞ্জয় শর্মা (Sanjay Sharma)। আর মেয়ে অনন্যা শর্মা (Ananya Sharma) ফাইটার পাইলট হিসেবে ২০২১ সালে বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। এবার অনন্যা শর্মা ও তাঁর বাবা ভারতীয় বিমান বাহিনীতে এক ইতিহাস তৈরি করেছেন। বাবা এবং ছেলের একসঙ্গে যুদ্ধবিমান ওড়ানোর দৃশ্য আগে অনেকবার দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায়। কিন্তু বাবা আর মেয়ের জুটি এর আগে কখনও দেখা যায়নি৷ আর এবার সেই শূন্যতাই পূরণ করলেন বায়ুসেনা আধিকারিক সঞ্জয় শর্মা এবং ফ্লাইং অফিসার অনন্যা শর্মা।

    ছোট থেকেই তিনি তাঁর বাবাকে দেখেছেন ভারতীয় বায়ুসেনায় বিমান চালাতে। আর সেই থেকেই তাঁর মনেও একইরকম হওয়ার ইচ্ছে ছিল। এমনকি এই পেশা ছাড়া অন্য কোনও পেশার কথা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি। এমনটিই জানিয়েছেন অনন্যা। কিন্তু তাঁর এই পথ এতটাও সহজ ছিল না। কারণ আগে মেয়েদের জন্য বিমান ওড়ানোর অনুমতি ছিল না। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রথম মেয়েদের ফাইটার পাইলট হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরেই ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশনে অনন্যা বি টেক সম্পন্ন করে আইএএফ-এর ফ্লাইং শাখার প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন। এরপরেই তিনি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একজন ফাইটার পাইলট হিসেবে নিযুক্ত হন। অন্যদিকে ১৯৮৯ থেকে ভারতীয় বায়ুসেনাতে কর্মরত আছেন তাঁর বাবা সঞ্জয় শর্মা ।  

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    চলতি বছরের ৩০মে এই পিতা-কন্যার যুগলবন্দীতে যুদ্ধ বিমান চালানোর ঘটনাটি ঘটে। এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছেন এই জুটি।

     

  • Matchmaking to employees: বিয়ে করলে বাড়ে বেতন এবার কর্মীদের জীবনসঙ্গীও খুঁজে দেবে সংস্থা

    Matchmaking to employees: বিয়ে করলে বাড়ে বেতন এবার কর্মীদের জীবনসঙ্গীও খুঁজে দেবে সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্থার স্বার্থে কর্মীরা যাতে মন দিয়ে কাজ করেন এবং অল্পদিনেই কাজ ছেড়ে চলে না যান , তাই  অভিনব উদ্যোগ নিল তামিলনাড়ুর এক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা। বিয়ে হলে কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার রীতি আগে থেকেই ছিল  মাদুরাই ভিত্তিক শ্রী মুকাম্বিকা ইনফোসলিউশনসে। এবার পছন্দমতো জীবনসঙ্গী খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব নিল সংস্থা। একই সঙ্গে  ছয় মাস অন্তর কর্মীদের বেতনও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার এই সিদ্ধান্তে খুশি কর্মীদের একাংশ।

    ওই সংস্থায় কর্মীদের স্থায়িত্ব খুব বেশিদিনের হয় না। পাঁচ বছরের কম সময় চাকরি করেই ছেড়ে দেন অনেকে। কাজ শিখে যাওয়ার পরই উচ্চ বেতনের আশায় অন্য জায়গায় চলে যান কর্মীরা। তাই কর্মীদের আনুগত্য ধরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে অনুমান। ওই সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যা ৭৫০জন। এর মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ কর্মী পাঁচ বছরের বেশি সময় ওখানে কাজ করেছেন।

    শিবকাশিতে ২০০৬ সালে সংস্থার কাজ শুরু হয়। পরে মাদুরাইতে সরে যায় অফিস। এখন ওই সংস্থার মাসিক আয় ১০০কোটি টাকা। বিয়ে করলে কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার রীতি আগেই ছিল এই সংস্থায় তবে এবার সঙ্গীও খুঁজে দেওয়া হবে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও এমপি সেলভাগনেশ জানিয়েছেন, কর্মীদের তিনি নিজের ভাই-বোনের মতো দেখেন।  অনেক কর্মীই গ্রাম থেকে এসেছেন। কারও বাবা-মায়ের অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে, সন্তানের জন্য পাত্র-পাত্রী খোঁজার মতো অবস্থা নয়। তাই সংস্থার পক্ষ থেকে অ্যালায়েন্স মেকার নামে একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাত্র-পাত্রী খুঁজে দেওয়া হবে।

     

  • Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) । কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী। পরেশ অধিকারীর মামলা শুনবে না বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা থেকে অব্যাহতি চাইল বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    গতকাল, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার জেরেই পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: আজই হয় হাজিরা সিবিআইয়ে নয়তো হেফাজত, গ্রেফতারি এড়াতে ডিভিশন বেঞ্চে মন্ত্রী পার্থ

    নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান পরেশ অধিকারী। সিবিআই-জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি টন্ডনের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মামলা থেকে অব্যাহতি চান বিচারপতি টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হবে পরেশ অধিকারীকে। কিন্তু, কলকাতায় না থাকায় সেই হাজিরা দেননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।

    এদিকে, পরেশের কলকাতায় আসা নিয়েও তৈরি হয় ধোঁয়াশা। গতকাল আদালত যখন রায় দিচ্ছিল, সেই সময় মেখলিগঞ্জে ছিলেন পরেশ। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ে অঙ্কিতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত পৌনে ৮টার পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। কিন্তু, বুধবার সকালে দেখা যায়, পদাতিক এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে কলকাতায় পৌঁছলেও, তাতে নেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা। আজ সকাল ৬টা ৪৫-এ শিয়ালদা স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছয় পদাতিক এক্সপ্রেস। ট্রেন অ্যাটেন্ড্যান্ট জানান, এইচ-১ কামরার নম্বর সি কুপে ছিলেন পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।

    ট্রেনের অ্যাটেন্ড্যান্ট দাবি করেন, মাঝপথেই  ট্রেন থেকে নেমে যান মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা। পরে, জানা জায়, বর্ধমান স্টেশনে নেমে যান তাঁরা। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। জানা গিয়েছে, ভোর ৪: ৫২ মিনিটে বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে থামে পদাতিক এক্সপ্রেস৷ মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর সঙ্গে ভোর ৪: ৫৬ মিনিট নাগাদ দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷ এরপর ভোর ৫:০৪ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশন চত্বর থেকে একটি সাদা স্করপিও গাড়িতে করে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷

    আরও পড়ুন: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

  • Chennai: এটিএমের বিনে ১৫ লক্ষ টাকার সোনা ফেললেন মহিলা, কেন?

    Chennai: এটিএমের বিনে ১৫ লক্ষ টাকার সোনা ফেললেন মহিলা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহিলা এবং সোনার যেন জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক। সোনা-গয়না পছন্দ করেন না এমন মহিলার সংখ্যা এদেশে প্রায় অমিল। একজন মহিলা গয়নার জন্যে কত দূর যেতে পারেন ‘মণিহার’ গল্পে দেখিয়ে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই সব মোহমায়া ত্যাগ করে এক মহিলা নাকি ১৫ লক্ষ টাকার সোনা (Gold Worth 15 Lakh) ফেলে এলেন এটিএমে রেখে দেওয়া পাত্রে (ATM Bin)। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ে (Chennai)।

    আরও পড়ুন: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল….       

    এটিএম কিয়ক্সটির নিরাপত্তারক্ষী এটিএমের ভেতরে একটি চামড়ার ব্যাগ খুঁজে পাওয়ার পরই বিষয়টি সকলের নজরে আসে। ব্যাগটি খুলে দেখা যায়, রয়েছে লক্ষ-লক্ষ টাকার গয়না। প্রথমে ওই নিরাপত্তারক্ষী ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে কুন্দ্রাথুরের (Kundrathur) পুলিশকে জানানো হয়। 

    পুলিশের কাছেও ওইদিনই ৩৫ বছরের এক মহিলার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন এক দম্পতি। সেদিন ভোর ৪টে থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁদের মেয়ে। পরে দম্পতি জানান, তাঁদের মেয়ে সকাল সাতটাতেই ফিরে এসেছেন। পুলিশের বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায়, ওই এটিএম এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ওই দম্পতিকে দেখানো হয়। ভিডিও দেখে দম্পতি নিশ্চিত করেন ওই ভিডিওতে তাঁদের মেয়েই রয়েছেন, যার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বাইকের বদলে ঘোড়া! জলমগ্ন মুম্বইয়ে খাবার পৌঁছে দিতে একি করলেন সুইগি বয় 

    দম্পতি পুলিশকে জানান, তাঁদের সন্তান হতাশার শিকার এবং তাঁর ঘুমের ঘোরে হাঁটার (Sleep Walking) অভ্যেস রয়েছে। চিকিৎসাও চলছে তাঁর। 

    আরও পড়ুন: পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয় গেলেন ছাত্রী, বেরোলেন সদ্যোজাত কোলে নিয়ে!

    কুন্দ্রাথুর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর চন্দ্রু জানান, “নিরাপত্তারক্ষী ঠিক সময় খবর না দিলে ওই গয়না উদ্ধার করা সম্ভব হত না।” পরে পুলিশ ওই দম্পতির হাতে সোনা তুলে দেয় এবং নিরাপত্তারক্ষী এবং ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তাঁদের সাহায্যের জন্যে  ধন্যবাদ জানায়। 

     

  • Modi: “বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি…”, আঞ্চলিক ভাষা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য মোদির

    Modi: “বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি…”, আঞ্চলিক ভাষা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ভারতের (India) গর্ব। ভাষা-বৈচিত্র্যও তার ব্যতিক্রম নয়। নানা-ভাষার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভারতের সংস্কৃতি। প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাই দেশের কাছে গর্বের বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। জয়পুরে বিজেপির (BJP) দলীয় সম্মেলনে শুক্রবার মোদি বলেন, “ভাষা নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।” 

    দলের দু’দিনের সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা (Regional languages) সম্পর্কে শুক্রবার মোদি বলেন,”অতীতে দেখা গিয়েছে, ভাষার ওপর ভিত্তি করে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়। প্রত্যেকটি আঞ্চলিক ভাষাই সমানভাবে পূজনীয়। বিজেপি দেশের প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষার প্রতিই শ্রদ্ধাশীল। ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ভাষার ভূমিকাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।”‌ প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে জানান, দেশে যে জাতীয় শিক্ষা নীতি তৈরি হচ্ছে, তাতে আঞ্চলিক ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভাষাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অশান্তি না হয়, সেজন্য দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সম্প্রতি হিন্দিকে সরকারি ভাষা করা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, মোদির  এই বক্তব্য তাকে প্রশমিত করবে বলেই আশা রাজনৈতিক মহলের।

    [tw]


    [/tw]

    গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সংসদীয় সরকারি ভাষা কমিটির সদস্যদের জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের যে কর্মসূচি তৈরি হয়, তার ৭০ শতাংশই হিন্দিতেই হয়। সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির থেকে হিন্দিই বেশি গ্রহণযোগ্য। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা ইংরেজির বিকল্প হতে পারে না। শাহের এই ধরনের মন্তব্যে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিরোধীরা সরব হয়ে ওঠেন। তাঁদের দাবি ছিল, শাহ হিন্দিকে দেশের সরকারি ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ভারত যেখানে বহু ভাষাভাষীর দেশ, সেখানে এভাবে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এই প্রসঙ্গে মোদি এদিন বলেন, “বিরোধীরা যে কোনও ছোট ছোট বিষয় নিয়েই বিতর্ক তৈরি করে যা দেশবাসীর স্বার্থে কাম্য নয়।”

  • Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম, সাত জেলার ৫৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম, সাত জেলার ৫৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অসমে (Assam ) বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে মে মাসেই অসমে বন্যা (Flood Situation) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভেসে গিয়েছে একাধিক গ্রাম। অসমের কাছাড়, কামরূপ, কার্বি আংলং, হোজাই, লখিমপুর, নয়গাঁও সহ প্রায় সাতটি জেলা বন্যায় বিপর্যস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৫৭ হাজার মানুষ। ২২২টি গ্রাম জলের তলায়। দশ হাজার ৩২১ হেক্টর কৃষিক্ষেত্র জলমগ্ন। এখনও পর্যন্ত একজন শিশু-সহ ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে হাত লাগিয়েছে বায়ুসেনাও। বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এবং সেখান থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করার কাজ করছে বায়ুসেনা।

    [tw]


    [/tw]

     বিভিন্ন রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে। যার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে একাধিক গ্রাম। রেল লাইনও জলের তলায়। তার জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। শিলচর-গুয়াহাটি গামী একাধিক ট্রেন কাছাড় জেলায় আটকে রয়েছে। ১৪০০ যাত্রী-সহ দুটি ট্রেন আটকে রয়েছে দাইতোকেচরা স্টেশনের কাছে। বায়ুসেনার সাহায্যে ১১৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যার কারণে একাধিক রেল লাইনে ধস নেমেছে। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে রেল ট্র্যাকগুলি। সেকারণে ট্রেন চালানোর সাহস দেখাতে পারছে না রেলওয়ে। মাহুর-ফাইডিং এলাকায় রেললাইনে ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। ইতিমধ্যেই একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। 

    [tw]


    [/tw]

     রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বায়ুসেনাও। একাধিক জায়গায় সড়কপথে যাওয়া যাচ্ছে না। হেলিকপ্টারের সাহায্যে দুর্গতদের সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। এমনকি  হেলিকপ্টার করেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অসমের কুঞ্জুং, ফিয়াংপুই, মৌলহি, নামজুরাং, সাউথ বাগেটর, মাধব টিলা, কালীবাড়ি, নর্থ বাগেটর, জিওন, লোধি পাগমোল সহ একাধিক জায়গায় ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৮০টি বাড়ি ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    অসমে ১৮ তারিখ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন (IMD)। আগামী কয়েকদিন অসম,মেঘালায়,মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে বৃষ্টি  না ধরলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

  • Hardik Patel: বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল? জোর জল্পনা

    Hardik Patel: বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল? জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভাবনা ছিলই। সেই মতো বৃহস্পতিবারই সম্ভবত বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন গুজরাতের (Gujarat) বছর আঠাশের পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। সংবাদ সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। ওই দিন গান্ধীনগরে গুজরাতের বিজেপি সভাপতি সি আর প্যাটেলের (CR Patel) উপস্থিতিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি।

    ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের (2019 Loksabha elections) ঠিক আগে কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক। গতকয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি লাগাতার আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেসকে। মন্তব্য করেছিলেন, “আমি যেন নাসবন্দি হওয়া বর!” হার্দিক যখন গুজরাত কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন, তখনও তাঁর মুখে বিজেপি-প্রশস্তি শোনা গিয়েছে। বলেছিলেন, “বিজেপির যে কিছু ভালো দিক রয়েছে, তা মানতেই হবে।”

    এর পরেই জল্পনা ছড়ায়, কংগ্রেস ছেড়ে পদ্মশিবিরেই যোগ দিচ্ছেন হার্দিক। এক বার শোনা যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন গুজরাতের এই পতিদার নেতা। ওই দুই জল্পনাই অস্বীকার করেছিলেন হার্দিক। তিনি বলেছিলেন, আমি এখন পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি, তা বিজেপি বা আপ যাই হোক না কেন। আমি যে সিদ্ধান্তই নেব, তা হবে জনগণের স্বার্থে।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল!

    দিনকয়েক আগে ফের একবার মোদি-ঘনিষ্ঠ আম্বানি-আদানিস্তুতিও শোনা গিয়েছিল হার্দিকের মুখে। এর পর থেকেই তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়। শেষমেশ সেটাই সত্যি হতে চলেছে বৃহস্পতিবার। হার্দিক নিজের মুখে স্বীকারও করেছেন একথা।

    হার্দিক দল ছাড়ার পরে পরেই তাঁকে ‘সুবিধাবাদী’ বলে কটাক্ষ করেছিল কংগ্রেস। সোনিয়ার দলের দাবি, গত ছ’বছর ধরেই বিজেপির সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলেন তরুণ পতিদার নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগগুলি থেকে মুক্তি পেতেই দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিজেপি-সঙ্গ করছেন বলে দাবি হাত শিবিরের।

    চলতি বছরের শেষেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন (2022 Gujarat Assembly Election)। তার আগে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির পদ্ম শিবিরে যোগদান যে কংগ্রেসকে বেশ খানিকটা বেকায়দায় ফেলল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির হয় কংগ্রেসের। সেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেই শিবির শেষ হওয়ার তিন দিনের মধ্যেই হাত শিবির ছেড়ে দিয়েছিলেন হার্দিক। এবার চড়ছেন পদ্ম-পানসিতে। 

    আরও পড়ুন : হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

  • Congress Chintan Shivir: আস্তিনে লুকানো কোন অস্ত্র? চিন্তন শিবিরের তথ্য পাচার রোধে নয়া ফরমান কংগ্রেসে

    Congress Chintan Shivir: আস্তিনে লুকানো কোন অস্ত্র? চিন্তন শিবিরের তথ্য পাচার রোধে নয়া ফরমান কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন (2024 lokshabha election)। বিজেপিকে (BJP) গদিচ্যুত করতে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতেই কংগ্রেস (congress) শাসিত রাজস্থানের (rajasthan) উদয়পুরে বসছে দলের চিন্তন শিবির (chintan shivir)। সেখানে চব্বিশের মহারণের যে রণকৌশল স্থির হবে, তা যাতে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য মোবাইল জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হল শিবিরে উপস্থিত প্রতিনিধিদের।

    টানা দু বার কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Modi) । ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারকে (UPA govt) পরাস্ত করে বিজেপিকে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসান নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ (Amit Shah) জুটি। এই জুটির নেতৃত্বেই একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেসকে হারিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিজেপি-রাজ। মোদি-শাহের জুটির রণকৌশলের জেরে বিভিন্ন রাজ্যে ঘায়েল হয়েছে বিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচনেও বিরোধীদের মাত দিতে এখন থেকেই অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

    পদ্ম শিবিরকে লোকসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী করতে আস্তিন গুটোচ্ছে কংগ্রেসও। যার কারণে দীর্ঘদিন পরে এবার ফের বসেছে চিন্তন শিবির। শুক্রবার শুরু হওয়া শিবির চলবে তিনদিন ধরে।

    শুক্রবার উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন প্রসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। স্বাগত ভাষণে তিনি জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসকে চাঙা করতে ঋণ শোধ করতে হবে কর্মীদের।

    দ্বিতীয় দিনেও আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। লোকসভা নির্বাচনে কুর্সিতে ফেরার কৌশল নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। সেই কৌশল যাতে বিধোধী শিবিরে পৌঁছে না যায় তাই ফোন জমা রাখতে বলা হয়েছে শিবিরে আসা কংগ্রেস প্রতিনিধিদের।

    বর্তমানে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র দুটি রাজ্যের রশি। একটি ছত্তিশগড়, অন্যটি রাজস্থান। এই রাজস্থানের দায়িত্বে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন (Ajay Maken)। তিনি বলেন, পার্টির গোপন খবর যাতে বাইরে চলে না যায় তাই শিবিরে উপস্থিত প্রতিনিধিদের ফোন জমা রাখতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, প্রত্যেকের জন্য লকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাবিও রয়েছে। সেখানেই যেন প্রতিনিধিরা ফোন জমা রাখেন।

    আরও পড়ুন : বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    বিজেপির ‘মেরুকরণের রাজনীতি’র মোকাবিলায় কী করা যায়, এই শিবিরে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। দলিত, সংখ্যালঘু এবং ওবিসি ভোটারদের কীভাবে ফের কংগ্রেসমুখী করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে। গত মাসে ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা বসেন। কংগ্রেসকে চাঙা করার গুচ্ছ দাওয়াইও দেন তিনি। তারই একটি দলিত, ওবিসি এবং সংখ্যালঘুদের ভোট হাতের ঝুলিতে ফেরানো। দলিত এবং ওবিসি ভোটে ভাগ বসিয়েই যে বিজেপি এবারও উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছে, বিধানসভা নির্বাচনের ফলেই তা স্পষ্ট। দেশজুড়ে এই ভোট কীভাবে ফেরানো হবে, তার উপায় বাতলানো হতে পারে কংগ্রেসের এই শিবিরে। বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির মোকাবিলায় কী করণীয়, তাও আলোচনা হবে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।

     

  • Ujjain mosque: উজ্জ্বয়িনী মসজিদ আদতে ছিল ভোজ আমলের হিন্দু মন্দির? প্রমাণ দেখাল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

    Ujjain mosque: উজ্জ্বয়িনী মসজিদ আদতে ছিল ভোজ আমলের হিন্দু মন্দির? প্রমাণ দেখাল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসজিদ বদলে গেল মন্দিরে! মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনীতে (Ujjain) একটি মসজিদের  শিব (Lord Shiva) ও গণেশের (Lord Ganesha) মূর্তি রয়েছে বলে দাবি উঠেছিল দিনকয়েক আগে। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এবার প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (archaeological department) নিশ্চিত করে জানাল, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, এক সময় সেখানেই ছিল হিন্দু দেবতা শিবের মন্দির (Shiva temple)। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের এই ঘোষণায় খুশি একাধিক হিন্দু সংগঠন।

    কিছুদিন আগে মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অতুলেশানন্দ জি মহারাজ দাবি করেছিলেন, উজ্জয়িনীর একটি মসজিদে (Ujjain mosque) শিব ও গণেশের মূর্তি রয়েছে। মসজিদটি দানি গেটে অবস্থিত। প্রতিদিন এখানে পাঁচবার নমাজ পাঠ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। অতুলেশানন্দ মহারাজের দাবি ছিল, ২০০৭ সালে তিনি একবার ওই মসজিদে প্রবেশ করেছিলেন। তখনই দেখেছিলেন, মন্দিরে রয়েছে শিব ও গণেশের ছবি। মূর্তিগুলি রাজা ভোজের সময়কার বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি যে নিছক দাবি নয়, প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের শিলমোহরেই মিলল তার প্রমাণ।

    ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে, মুঘল আমলের এদেশের অনেক মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বহু মন্দিরের বিগ্রহ সরিয়ে রূপদান করা হয় মসজিদের। মুসলমান শাসকের আমলে এসব নিয়ে খুব বেশি হইচই হয়নি। হইচই হয়নি স্বাধীনতা-উত্তর কালেও। সম্প্রতি একের পর এক মসজিদ এক সময় হিন্দুদের মন্দির ছিল বলে দাবি হিন্দুদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর। যেমন, আগরার তাজমহল নাকি এক সময় তেজো মহালয়া নামের শিব মন্দির ছিল। ওই স্মৃতিসৌধের বন্ধ থাকা ২০টি কক্ষ খুলে দেওয়ার দাবিও জানায় হিন্দুদের কয়েকটি সংগঠন।

    আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

    বিবাদ বেঁধেছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েও। কাশী বিশ্বনাথের মূল মন্দিরটি দু’হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত হয়েছিল বলে দাবি করেছেন হিন্দুদের একাধিক সংগঠন। তাদের দাবি, ১৬৬৯ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মন্দিরটি ভেঙে ফেলেন। তার পরেই তৈরি হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque)। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে এক সময় সেখানেই ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। মন্দির ফেরানোর দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কাশীর একটি হিন্দু সংগঠন।

     

     

LinkedIn
Share