Blog

  • High Cholesterol: শরীরে কোলেস্টেরল বেড়েছে? বুঝে নিন ত্বকের এই উপসর্গ দেখেই

    High Cholesterol: শরীরে কোলেস্টেরল বেড়েছে? বুঝে নিন ত্বকের এই উপসর্গ দেখেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা যত বাড়বে, ততই চিন্তা বাড়ে। কারণ কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির কারণে শরীরে একাধিক রোগের সংক্রমণ বাড়ে। হৃদরোগ, যকৃৎ সহ শরীরের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, রক্ত সঞ্চালনে বাধা ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাঁদের হাই কোলেস্টেরল থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

    তাই সঠিক সময়ে শরীরের খেয়াল রাখা দরকার এবং নিয়মিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে কীভাবে বুঝবেন যে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে কিনা? চিকিৎসকদের মতে, রক্ত পরীক্ষা করা ছাড়াও আপনি আপনার ত্বক দেখেও বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে।  ত্বকের কী কী পরিবর্তন দেখলে বুঝতে পারবেন যে কোলেস্টেরল বেড়েছে তা বিস্তারিত বলা হল।

    ত্বকে বেগুনী বা নীল বর্ণের জাল ন্যায় আভা – বিশেষ করে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে এমন দেখা দিতে পারে। এটি কোলেস্টেরল এমবলিজেশন সিনড্রোমের (cholesterol embolization syndrome) লক্ষণ। এর ফলে ধমনীতে কোলেস্টেরল জমে যায় ও রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে।

    আরও পড়ুন: হার্টের রোগের ঝুঁকি রয়েছে কাদের, বলে দেবে ব্লাড গ্রুপ!

    জ্যানথেলাসমা (Xanthelasma) – এই ক্ষেত্রে চোখের পাশে হলুদ-কমলা বর্ণের অতিরিক্ত কিছু অংশ দেখতে পাওয়া যায় যা ত্বকের নীচে কোলেস্টেরল জমেই এটি তৈরি হয়।

    জ্যান্থোমা (Xanthoma) – এটি জ্যানথেলাসমার মতই যা কোলেস্টেরল ত্বকের নীচে জমেই সৃষ্টি হয়, কিন্তু এটি চোখের পাশে না হয়ে পায়ে অথবা হাতে হয়।

    সোরিয়াসিস (Psoriasis) – নতুন গবেষণায় জানা যায় যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই সোরিয়াসিস দেখা যায়, যা হাইপারলিপিডেমিয়া (Hyperlipidaemia) নামে পরিচিত।

    আরও পড়ুন: চিজ খেতে পছন্দ করেন? তবে জেনে নিন চিজ খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে

    শুষ্ক ত্বক ও ত্বকের রঙ পরিবর্তন – কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে ত্বকের কোষগুলো সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পায় না, তাই ত্বকের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায় ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

    ফুট আলসার সারতে বিলম্ব – কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ফলে পায়ের ক্ষত বা ফুট আলসার ঠিক হতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ কোলেস্টেরল বেশী হলে রক্ত প্রবাহে অসুবিধা হয় ও ক্ষত স্থানে সঠিক পরিমাণে রক্ত পৌঁছতে পারে না, তাই এই সমস্যা দেখা যায়।

  • Mukul Roy: বিতর্কের জের! পিএসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা মুকুল রায়ের

    Mukul Roy: বিতর্কের জের! পিএসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা মুকুল রায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি (Public Accounts Comittee) বা পিএসি (PAC)-র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। সোমবার বিধানসভার (West Bengal Assembly) অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) কাছে ই-মেল মারফৎ ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক।

    গত শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনের শেষে স্পিকার আরও এক বছরের জন্য ৪১টি কমিটির মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন। এর ফলে পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়েরও মেয়াদ বাড়ে আরও এক বছর। কিন্তু এরই মধ্যে সোমবার পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে স্পিকারকে ই-মেল করেন মুকুল। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যজনিত কারণেই তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন।
     
    মুকুলের পিএস চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়ে বিতর্ক অনেকদিন ধরেই চলছিল। এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি বঙ্গ রাজনীতিতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে ভোটে লড়েন মুকুল রায়। তাতে তিনি জিতেওছিলেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের একমাসের মধ্যেই আচমকাই বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। কিন্তু, বিজেপির বিধায়ক পদ ত্যাগ করেননি মুকুল রায়।

    এর কয়েকদিনের মধ্যেই মুকুল বিধানসভায় পিএসি-র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সাধারণত এই পদটি পায় বিরোধীরা। সে ক্ষেত্রে মুকুল দলবদল করায় কী ভাবে পিএসি চেয়ারম্যান করা হল তাঁকে, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই নিয়ে আপত্তি তুলেছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি ছিল যে, পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে বসতে পারেন বিরোধী দলের কোনও নেতা। কিন্তু মুকুল রায় তো শাসকদলে যোগ দিয়েছেন, তাহলে তিনি এই পদের যোগ্য নন। 

    এই নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ করা হয় বিজেপির তরফে। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সরব হয় পদ্ম-শিবির। যদিও, স্পিকার জানান যে, মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। স্পিকারের এই রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। কিন্তু আদালতের নির্দেশে দু’বার স্পিকার জানিয়েছিলেন, মুকুল এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘মুকুল বিজেপিতে’, স্পিকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় দিলীপ

    ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, মুকুলের ওপর চাপ বাড়ছিলই। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ গত ১১ এপ্রিল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিধানসভার স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছিল৷ মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদানের সাংবাদিক বৈঠকের ভিডিও ফুটেজকেও প্রামাণ্য নথি হিসেবে গণ্য করতে বলেছিল আদালত৷ এরই মধ্যে, পিএসি সহ ৪১টি কমিটির মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করেন বিধানসভার স্পিকার। তাই নতুন বিতর্ক এড়াতে পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল।

  • Cyclone Update:  আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?

    Cyclone Update: আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মে মাসের শুরুতেই ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় (cyclone)। তেমনই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে।  শুক্রবার ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। ক্রমশ যা রূপান্তরিত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার।
    বিগত কয়েক বছরে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার সাক্ষী থেকেছে বাংলার এই পড়শি রাজ্য। এই প্রসঙ্গে ওড়িশার মুখ্যসচিব এস সি মহাপাত্র বলেন, ”ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য তৈরি। ক্ষয়ক্ষতি কী হতে পারে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের তৎপর করা হয়েছে (Cyclone Update)।”
    বাংলাতেও কী আছড়ে পড়বে সাইক্লোন? কোন পথে এগোবে ঘূর্ণিঝড়? এখনও এই নিয়ে চূড়ান্ত পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। শনিবারের আগে এব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
    IMD-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন,”ল্যান্ডফল নিয়ে এখনও পূর্বাভাস নেই। কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। আরেকটা বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে ও নভেম্বরের মধ্যে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।” IMD-র বিজ্ঞানী আর কে জেনামনি বলেছেন, ”৬ মে নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর তা শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘনীভূত হবে। দক্ষিণ আন্দামান ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় সতর্ক করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের মূলত না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কেননা আবহাওয়ায় অনেক বদল ঘটবে।” জানা যাচ্ছে, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে, তার নাম হবে ‘অশনি’। ঘূর্ণাবর্ত নিয়ে মৌসম ভবনের ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আনন্দকুমার দাস বলেন, ‘আমাদের ধারণা, গভীর নিম্নচাপ থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে (এই ঘূর্ণাবর্তটি)। যা সম্ভবত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমরা নির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না যে সেটা কীভাবে এগিয়ে যাবে বা উপকূলে কতটা প্রভাব ফেলবে।’

    এখনও ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া না গেলেও ইতিমধ্যেই মালকানগিরি থেকে ময়ূরভঞ্জ পর্যন্ত ১৮টি জেলাকে সতর্ক করেছে ওড়িশা সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • Pending DA Case: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

    Pending DA Case: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনের শেষ দিনে বেতন হয়েছে বিদ্যুৎ কর্মীদের। কিন্তু ডিএ মেলেনি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বেতনের সঙ্গেই আরও কিস্তি ডিএ পাওয়ার কথা ছিল রাজ্যের চারটি বিদ্যুৎ সংস্থার প্রায় ১৪ হাজার কর্মীর। ডিএ দিতে না পারলে চার কর্তার বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এদিন আরও এক দফা নির্দেশে ছয় কর্তার বেতন বন্ধ রাখতে বলেছেন তিনি। প্রশ্ন, তা হলে কি ডিএ পাবেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা?

    বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের চলতি বেতন কমিশনের আগের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবে চার সংস্থা। এক কিস্তি দিয়েও দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচটি কিস্তি বাকি রয়েছে। কিন্তু টাকার সংস্থান করতে সময় লাগছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ কর্তারা। তাঁরা জানান, ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার জন্য বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ ২৪০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার ৮০ কোটি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের ১২০ কোটি এবং ডিপিএলের বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত বকেয়া মেটাতেই ৪৮০ কোটি টাকা লাগবে বিদ্যুৎ দফতরের। এর পর রয়েছে ২০২০ থেকে আজ অবধি বকেয়ার পরিমাণও। 

    আরও পড়ুন: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    কর্তারা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে এক কিস্তি ডিএ দেওয়া হয়েছে। এখনও প্রয়োজন ৪৫০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারের অবস্থা করুণ। ফলে রাজ্যের মন্ত্রিসভা চার বিদ্যুৎ সংস্থাকে টাকার ব্যবস্থা করে দেবে এমন পরিস্থিতি নেই। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সরিয়ে কর্মীদের ডিএ মেটানোর একটা চেষ্টা হচ্ছে বটে, সেটাও কতটা ফলপ্রসু হবে না বুঝে উঠতে পারছেন না কর্তারা। অগত্যা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কর্মীদের ডিএ মেটানোর পথেই হাঁটতে হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ ভবনে কানাঘুঁষো চলছে। 

    যদিও এক বিদ্যুৎ কর্তার ব্যাখ্যা, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ২৪ হাজার কোটি টাকার সংস্থা। সামান্য টাকা মেটাতে কোনও সমস্যা নেই। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ মিটিয়ে দিলে রাজ্যের বাকি ১০ লক্ষ কর্মচারীর কী হবে? নবান্ন চায়নি শুধু বিদ্যুৎ কর্মীদের সব পাওনা মিটে যাক। সেই কারণেই এতদিন বকেয়া ডিএ মেটানো হয়নি। এখন হাইকোর্টের নির্দেশে ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    কর্তাদের ব্যাখ্যা যাই হোক না কেন দফতরের অন্দরের খবর, কর্মীদের ডিএ-র বোঝার দায় আসলে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপরই চাপিয়ে দিতে পারে বণ্টন সংস্থা। অচিরেই বিদ্যুতের মাশুল বাড়ানোর পথে হাঁটতে হতে পারে বলে কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, আগেরবার ডিএ দেওয়ার নাম করেই মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। এবারও কি বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দাম বাড়াতে রাজি হবে? বিদ্যুৎ কর্মীরা বকেয়া পেলেই অবশ্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র দাবি আরও জোরালো হবে। এক্ষেত্রেও হাইকোর্ট ডিএ মেটানোর রায় দিলেও রাজ্য চুপ করে বসে রয়েছে। 

  • PACS Computerisation: ৬৩,০০০ ‘প্যাকস’- এর জন্যে ২,৫১৬ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন কেন্দ্রের 

    PACS Computerisation: ৬৩,০০০ ‘প্যাকস’- এর জন্যে ২,৫১৬ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন কেন্দ্রের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৬৩ হাজার প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটির (Primary Agricultural Credit Societies) ডিজিটাইজেশনের জন্যে ২,৫১৬ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিল কেন্দ্র। এর মধ্যে কেন্দ্র দেবে ১,৫২৮ কোটি টাকা। ৫ বছরের এই প্রকল্পে প্যাকসগুলিকে ডিজিটাইজ করা হবে। মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি (Cabinet Committee on Economic Affairs) বুধবার এই অনুমোদন দিয়েছে। দেশের ১৩ কোটি কৃষক এই সোসাইটিগুলির সদস্য।

    আরও পড়ুন: ‘সেদিন দেশবাসীর অধিকার…’, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    সরকারের বক্তব্য, দেশের বেশিরভাগ ক্রেডিট সোসাইটিই কম্পিউটারাইজড নয়। এখনও ম্যান্যুয়াল পদ্ধতিতে চালিত হয়। ফলে স্বচ্ছতার অভাব দেখা দিচ্ছে। তাই পুরো প্রক্রিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সহজ করতে সরকারের এই ভাবনা। কিছু কিছু রাজ্যে প্যাকসের কম্পিউটারাইজেশন হলেও, তারা সবাই এক সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে না বলে একে অপরের সাথে কোনওভাবে যুক্ত নয়। পরিকল্পনা করা হয়েছে, দেশের সমস্ত প্যাকসকে কম্পিউটারাইজড করে এক ছাতার তলায় আনা হবে। ফলে প্রতিদিনের হিসেব রাখতে সুবিধে হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    সফ্টওয়্যারটিতে সাইবার নিরাপত্তা এবং ডেটা স্টোরেজসহ ক্লাউড-ভিত্তিক সফ্টওয়্যার, রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তা, প্রশিক্ষণসহ বর্তমান রেকর্ডগুলির ডিজিটাইজেশনের সুবিধা থাকবে। সফ্টওয়্যারটিতে স্থানীয় ভাষায় অপারেট করার সুবিধাও থাকবে। 

    এই বিষয়ে ট্যুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি লেখেন, “এই প্রকল্পটি চালু হলে পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে। বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতাও বাড়বে। মানুষের সুবিধার জন্যে আঞ্চলিক ভাষাতেও সফ্টওয়্যার অপারেট করার সুবিধা থাকবে।”

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    প্রক্রিয়াটি চালু হলে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকবে। এছাড়াও সরকারি প্রকল্প, ফসল বীমা সম্পর্কে কৃষকদের তথ্য পেতে আরও সুবিধে হবে। সবটাই চলে আসবে হাতের নাগালে। 

     

  • SSC Scam: মন্ত্রীই সর্বেসর্বা, ‘অবৈধ’ প্যানেলেও সম্মতি দিয়েছিলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিত বয়ান শিক্ষাসচিবের

    SSC Scam: মন্ত্রীই সর্বেসর্বা, ‘অবৈধ’ প্যানেলেও সম্মতি দিয়েছিলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিত বয়ান শিক্ষাসচিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) বা এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam) তদন্তে সিবিআইয়ের (CBI) সামনে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়ে এসেছেন, নিয়োগের অনিয়মের ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা ছিল না। যিনি এসব জানতেন, তিনি হলেন শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন (Manish Jain)। মাধ্যম গতকালই জানিয়েছিল, শিক্ষাসচিব তদন্ত কমিটির সামনে কী বলেছেন তাও জানানো হবে। মাধ্যম জেনেছে, শিক্ষাসচিবও তদন্ত কমিটির সামনে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্বেসর্বা ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। সব সিদ্ধান্তে তিনিই সিলমোহর দিয়েছিলেন। বরং তাঁর (মনীশবাবুর) কোনও ক্ষমতাই ছিল না।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Teachers Recruitment scam) তদন্তে বর্তমান শিক্ষাসচিব যাবতীয় দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়াতে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে অনেকেই নানা ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন। অনেকের মতে, হাইকোর্টের সামনে অনিয়মের অভিযোগ স্পষ্ট। সিবিআই সক্রিয়। ফলে পিঠ বাঁচাতে মন্ত্রী বা আমলা কেউই আর দায় নিতে রাজি নন। একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেরা মুক্তি পেতে চাইছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরের চোরাস্ত্রোতের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানাচ্ছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সরকারের প্রভাবশালীরা এখন বলির পাঁঠা খুঁজছেন। সর্বোচ্চ স্তরের ইঙ্গিত না থাকলে বর্তমান শিক্ষাসচিব কখনই লিখিতভাবে তদন্ত কমিটির সামনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর উপর সব দায় চাপিয়ে দিতেন না।

    আরও পড়ুন: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    কোথায়, কী বলেছেন মনীশ জৈন?

    বিকাশ ভবনের খবর, ২০১৬ সালের ৮ অগাস্ট গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি তার লিখিত পরীক্ষা হয়। স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে যোগ দিতে ১১ লক্ষ ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর কমিশনের ওয়েবসাইটে প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেখানে ৩৯২৪ জনের নাম নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয় ৯৮৪৭ জনকে। 

    কোনও পরীক্ষার প্যানেল সাধারণত এক বছর ভ্যালিড থাকে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাতকারণে গ্রুপ-ডির প্যানেল ২০১৯-এর ৪ মে পর্যন্ত সরকারিভাবে ভ্যালিড ছিল। কিন্তু তার পরেও নিয়োগ চলতে থাকে। এ সব নানা গরমিল নিয়েই আদালতে মামলা হয়। আদালত বিচারপতি রণজিৎ বাগের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে দেয়। তদন্ত করে দেখতে বলে পুরো বিষয়টিকে। গত ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল বিচারপতি বাগ তাঁর ৬৮ পাতার মূল রিপোর্টটি কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা করেন। সেই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের  (Justice Abhijit Gangyopadhyay) রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। শুরু হয় সিবিআই তদন্ত।

    সূত্রের খবর, বিচারপতি রণজিৎ বাগ কমিটির (Ranjit Bag Committee) কাছেই লিখিতভাবে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন জানিয়ে দেন, নিয়োগের ব্যাপারে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হাতে সিদ্ধান্তগ্রহণের কোনও ক্ষমতাই ছিল না। শুধু তাই নয় গ্রুপ-ডি নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যে মাথায় প্রশাসনিক কমিটি বসিয়ে নিয়োগ চালিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাও বাগ কমিটিকে জানিয়ে দেন মনীশ জৈন। সেই সিদ্ধান্তও যে পার্থবাবুই নিয়েছিলেন তাও স্পষ্ট করে দেন স্কুল শিক্ষাসচিব। বিচারপতি বাগ হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টের ৫৬-৫৭ পাতায় শিক্ষা সচিবের দেওয়া বয়ান ও নথির কথা উল্লেখ করেছেন। কমিটির মতেও নিয়োগের ব্যাপারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই ছিলেন সর্বেসর্বা।

    কী বলেছেন মনীশ জৈন?

    বাগ কমিটির রিপোর্টের ৫৬-৫৭ পাতায় বলা হয়েছে, স্কুল শিক্ষাসচিব মন্ত্রী পরিষদের কার্য পরিচালনা এবং সিদ্ধান্তগ্রহণের নানা ফাইলের নোটশিট পেশ করেছেন। শিক্ষাসচিব জানিয়েছেন, সংবিধানের ১৬৬(৩) ধারা মেনে রাজ্য মন্ত্রিসভার কার্য পরিচালনার জন্য ‘রুলস অব বিজনেস’ তৈরি হয়। সেই রুলস অব বিজনেস-এর ১৯ ধারায় বলা রয়েছে, কোনও মন্ত্রী স্ট্যান্ডিং অর্ডার দিয়ে ঘোষণা করবেন দফতর পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় তাঁর নজরে আনতে হবে। সেই নির্দেশিকা প্রকাশ হলে দফতরের আমলারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে স্বাধীন থাকেন। শুধুমাত্র মন্ত্রীর উল্লেখিত বিষয়গুলি ছাড়া সব সিদ্ধান্ত আমলারাই নিতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমলাদের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেননি। ফলে নিয়োগ সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত মন্ত্রীমশাই নিয়েছেন বলে অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন মনীষ জৈন। কেবল তাই নয়, পার্থবাবু যখন নিয়োগ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ততদিনে গ্রপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগের প্যানেলের ভ্যালিডিটি শেষ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ অবৈধ প্যানেল থেকে নিয়োগ করার জন্য পার্থবাবু নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও মনীশ জৈন বাগ কমিটিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তারই পরিণতিতে সিবিআই (CBI) তদন্ত। সেই তদন্তের মুখোমুখি হয়ে পার্থবাবুর বয়ান, তিনি অজ্ঞ, সব জানেন মনীশ জৈন।   

  • Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের  

    Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের (Jammu Kashmir delimitation) বিরুদ্ধে পাকিস্তানের (Pakistan) সংসদে পাশ হয়েছে প্রস্তাব। প্রস্তাবটি ‘প্রহসনমূলক’ (farcical resolution) বলে জানিয়ে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (ministry of external affairs)।  মঙ্গলবার মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকারই পাকিস্তানের নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) সহ সমগ্র জম্মু-কাশ্মীর (jammu & kashmir) এবং লাদাখ (Ladakh) ভারতের (India) অবিচ্ছেদ্য অংশ।

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয় নরেন্দ্র মোদির (modi) সরকার। ভূস্বর্গকে আক্ষরিক অর্থেই শান্তির স্বর্গে পরিণত করতে কোমর কষে নামে মোদি-অমিত শাহ (Amit Shah) জুটি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের কার্যত দুরমুশ করে দিয়ে ফের কেন্দ্রের কুর্সিতে ফেরে বিজেপি। তার পরেই কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। উপত্যকায় ফেরে শান্তি। জম্ম-কাশ্মীরকে সুশাসন দিতে সেখানে বিধানসভা ভোট করার প্রস্তুতি শুরু করে মোদি সরকার। শুরু হয় সীমানা পুর্নবিন্যাসের কাজ। সম্প্রতি শেষও হয়েছে কাজ। ডিলিমিটেশন কমিশনের জমা দেওয়া রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরে লোকসভা কেন্দ্র হয়েছে পাঁচটি। প্রত্যাশিতভাবেই আসন সংখ্যা বেড়েছে বিধানসভারও।

    ভারতের এই সীমানা পুনর্বিন্যাসের ঘটনায় ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিল ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন ওআইসি (OIC)। বিশ্বের ৫৭টি দেশ এই সংগঠনের সদস্য। তাদের অভিযোগ, কাশ্মীরিদের অধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত। সোমবার ইসলামিক দেশগুলির এই সংগঠনকেও কড়া জবাব দিয়েছিল ভারত। বিদেশ মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ওআইসির এই ধরনের ‘অযৌক্তিক মন্তব্য’ করা উচিত নয়।

    সীমানা পুনর্বিন্যাসের নিন্দা করে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে (Pakistan national assembly) একটি প্রস্তাব পাশ হয় গত সপ্তাহে। পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সংসদে প্রস্তাবটি পেশ করে বলেছিলেন, কৃত্রিমভাবে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী শক্তি বদলে দেওয়ার লক্ষ্যেই ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এদিন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিদেশ সচিব অরিন্দম বাগচি বলেন, অবৈধভাবে এবং জোর খাটিয়ে পাকিস্তানের দখল করা ভারতীয় ভূখণ্ড-সহ ভারতের কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য বা হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই। তিনি বলেন, ভারতীয় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাক সংসদে যে প্রহসনমূলক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, তা আমরা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিবৃতিতে এও বলা হয়, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের অনুশীলন একটি গণতান্ত্রিক অনুশীলন। যারা যারা এতে প্রভাবিত হবেন, তাদের সবার সঙ্গেই বিস্তারিত পরামর্শের পরেই এই কাজ করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক বিষয় যে, পাকিস্তানের নেতৃত্ব নিজেদের ঘর গোছানোর পরিবর্তে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছে এবং ভিত্তিহীন ও উস্কানিমূলক ভারত-বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

    ভারতের দাবি, পাকিস্তানকে অবিলম্বে ভারত বিরোধী আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে এবং ভেঙে দিতে হবে তার সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামো।

    আরও পড়ুন : ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

  • Taj Mahal: কী আছে তাজমহলের বন্ধ ঘরগুলিতে? ছবি প্রকাশ করল এএসআই 

    Taj Mahal: কী আছে তাজমহলের বন্ধ ঘরগুলিতে? ছবি প্রকাশ করল এএসআই 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহল নিয়ে গোটা বিশ্বের কৌতূহলের শেষ নেই। তাহমহলের খানিকটা অংশ জনসাধারণের দর্শনের জন্যে খোলা থাকলেও, বেশ খানিকটা অংশ এখনও রয়েছে সাধারণের চোখের আড়ালে। শোনা যায়, তাজমহলের (Taj Mahal) ২২টি ঘর নাকি আজও তালাবন্ধ। কী আছে দরজার (Closed Rooms) ওপারে? এনিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বার বার সেই ঘরগুলি খোলার দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি। সম্প্রতি ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাজমহলের বন্ধ ঘরের বিতর্ক। এলাহাবাদ হাইকোর্টে ওই বন্ধ ঘর খোলার দাবিতে পিটিশনও দেন এক বিজেপি নেতা। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। 

    এবার তাজমহলের মধ্যে থাকা কয়েকটি বন্ধ ঘরের ছবিই প্রকাশ করল খোদ আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archaeological Survey of India)। বেসমেন্টে থাকা কয়েকটি ঘরের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এএসআই-এর ওয়েবসাইটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে জায়গাগুলি ক্ষয়ে গিয়েছে, সেখানে আবার নতুন করে প্লাস্টার করা হয়েছে। মেরামতির আগে এবং পরের দুই ছবিই প্রকাশ করেছে এএসআই (ASI) কর্তৃপক্ষ। 

    এএসআই-এর দাবি, এই মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছিল ২০২১-এর ডিসেম্বরে এবং শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। এক এএসআই আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে বলেন, “ছবিগুলি ২০২২ সালের জানুয়ারির নিউজলেটারের অংশ হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে কেউ ওয়েবসাইটে গিয়ে তা দেখতে পারেন।”

    [tw]


    [/tw]

    অর্থাৎ এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দেওয়ার বেশ খানিকটা আগেই তাজমহল নিয়ে মানুষের কৌতূহল প্রশমন করার চেষ্টা করেছে ভারত সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। 

    এএসআই দাবি করে, ২০০৬-০৭ সালেও ঘরগুলির মেরামত করা হয়েছিল। এএসআই-এর ওয়েবসাইটে সেই ছবিও আপলোড করা হয়। এবারও যে বন্ধ ঘরগুলি মেরামতের জন্য খোলা হয়েছিল, সেই ছবিও আপলোড করা হয়েছে ওয়েবসাইটে।   

    কিছুদিন আগেই ২২টি বন্ধ ঘর খোলার দাবিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টে করা পিটিশনে বলা হয়েছিল, তাজমহলের যে ২২টি ঘর বছরের পর বছর ধরে বন্ধ রয়েছে, তা খোলা হোক এবং সেখানে কী রয়েছে, তা নিয়ে এএসআইকে তদন্ত করার অনুমতি দেওয়া হোক। যদিও আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আর তারপরেই এএসআই- এর এই ছবি প্রকাশ। এএসআই- এর তরফে বলা হয়েছে, ওই বন্ধ ঘরগুলি নিয়ে কোনও গোপনীয়তা নেই। এগুলো শুধুই কাঠামোর অংশ। 

     

  • Reliance Jio:  ইস্তফা মুকেশ আম্বানির! রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদে পুত্র আকাশ

    Reliance Jio:  ইস্তফা মুকেশ আম্বানির! রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদে পুত্র আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিলায়েন্স জিও-এর দায়িত্বে নতুন মুখ। ছেলের হাতে ব্যাটন তুলে দিলেন বাবা। দেশের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)-এর ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছে সংস্থার পরিচালন পর্ষদ। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন মুকেশ-পুত্র আকাশ আম্বানি (Akash Ambani)।

    সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৭ জুন রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মুকেশ আম্বানি। চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর ছেলে আকাশকে অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড। তাঁকে সংস্থার নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবেও নিয়োগ করা হয়েছে। সংস্থার তরফে মঙ্গলবার স্টক এক্সচেঞ্জে এই খবর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ২৭ জুন বাজার বন্ধ হওয়ার পর রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। আকাশ আম্বানিকে বোর্ডের (রিলায়েন্স জিও-এর) চেয়ারম্যানের পদে বসানো হচ্ছে। 

    পরবর্তী প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে মুকেশের এই সিদ্ধান্ত বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি তাঁর পরবর্তী প্রজন্মকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন মুকেশ। তিনি বলেছিলেন, যেভাবে তাঁর বাবা ধীরুভাই আম্বানি তাঁদের তৈরি করেছিলেন, সেভাবেই নিজের সন্তানদের তৈরি করতে চান তিনি। প্রসঙ্গত, ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক আকাশ। ২০১৪ সালে রিলায়েন্স জিও-র বোর্ডে যোগ দেন তিনি। জিও-৪জি (Jio 4G) সফল হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। উল্লেখ্য, এমন সময় আকাশ দায়িত্ব নিলেন, যখন দেশে কয়েক মাসের মধ্যেই ৫-জি (5G) পরিষেবা শুরু হতে পারে। আকাশ কার্যত বড় ধরনের এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেন। রিলায়্যান্সের (Reliance) সম্পত্তি বৃদ্ধির দিকেও যেমন তাঁকে নজর দিতে হবে, নজর রাখতে হবে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির দিকেও।

    আরও পড়ুন: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছে পঙ্কজ মোহন পাওয়ারকে। ২৭ জুন থেকে আগামী পাঁচ বছর এই পদে থাকবেন তিনি। ওই দিন জিও’র বোর্ড অব ডিরেক্টরদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাধীন ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামিন্দর সিং গুজরাল এবং কে ভি চৌধুরীকে।

  • Rahul Gandhi: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    Rahul Gandhi: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চর্চায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল রাহুল গান্ধীর প্রতিবেশী দেশের নাইট ক্লাবে (Night Club) পার্টি করার ভিডিও। ভিডিওয় ক্লাবের আলো আধারিতে হঠাৎই মুখ ভেসে ওঠে কংগ্রেস সাংসদের। নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডুর (Kathmandu) একটি নাইট ক্লাবে বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতিকে। মঙ্গলবার ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল (viral video) হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।     

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) প্রথম টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেন। টুইটে তিনি লেখেন, “গোটা মুম্বই যখন অবরুদ্ধ তখন  রাহুল গান্ধী ছিলেন নাইট ক্লাবে। তাঁর দলে যখন একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে, তখন তাঁকে উল্লাসে মাততে দেখা গেল।” 

    [tw]


    [/tw]

    যদিও এখনও পর্যন্ত ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায় নি। তবে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ভিডিওটি কাঠমান্ডুর একটি নাইট ক্লাবের। সোমবার এক সাংবাদিক বন্ধু সুমনিমা দাসের বিয়েতে গিয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের এই সদস্য। বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল ম্যারিয়ট (Mariott) হোটেলে।  

    এদিন রাহুল (Rahul) গান্ধীর ভিডিও সামনে আসতেই আক্রমণ শানায় ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) জার্মানি, ডেনমার্ক, ফ্রান্স সফরকেও রেয়াত করেনি হাত শিবির। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, “দেশে যখন একটা সঙ্কটময় পরিস্থিতি চলছে, তখন সাহেব বিদেশ ভ্রমণে ব্যস্ত।” এরপরই রাহুল গান্ধীর নাইট ক্লাবের ভিডিও প্রকাশ্যে এলে কংগ্রেসকে (Congress) খোঁচা মারতে এক মূহূর্তও দেরি করেনি বিজেপি।

     

     

LinkedIn
Share