Blog

  • US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত। ওয়াশিংটন প্রদেশের সিয়াটেলের আদালতের বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্দেশ কার্যকরের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

    কী বলল আদালত

    প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতে বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের নির্দেশে সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে। 

    ট্রাম্পের নির্দেশ নামা

    আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ, এখন থেকে আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশুর বাবা এবং মা উভয়েই যদি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হন, তবে শিশুও জন্মানোর পরেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। কিন্তু বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের যদি নাগরিকত্ব না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সদ্যোজাতকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির পর আমেরিকায় এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানান ট্রাম্প।

    এতদিন কী ছিল

    আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে জন্মগত ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হত। এর পর ওই শিশুর বয়স যখন ২১ বছর পূর্ণ হয়, তখন বাবা-মায়েরও আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। এই সুযোগটি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে আমেরিকায় ভারতীয় দম্পতিরা উদ্বেগে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিজার চেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আবেদনও করছেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

    ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি

    উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। তবে সেই অধিকারকে বাতিল করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই আবহে বিচারক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ১৮৬৮ সালে আমেরিকার সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    প্রবাসী ভারতীয়দের উপর প্রভাব

    ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা যদি বৈধভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। এছাড়া কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না। এদিকে নয়া নিয়মে যে সব ভারতীদের সন্তান ১০০+ গ্রিন কার্ড ওয়েটিং লিস্টে আছে, তারা মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভারতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  •  NHM: ‘‘জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন আরও পাঁচ বছর চলবে’’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের

     NHM: ‘‘জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন আরও পাঁচ বছর চলবে’’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM) আরও পাঁচ বছর চলবে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ‘‘জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন আরও পাঁচ বছর চলবে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, গত দশ বছরে এই মিশন স্বাস্থ্যখাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২১ এবং ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ কর্মী জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে যোগ দিয়েছেন। ভারত এই মিশনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।

    পর্যালোচনা বৈঠক (NHM)

    বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (NHM) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিগত তিন বছরে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অগ্রগতি সম্পর্কে এক পর্যালোচনা করা হয়। প্রসঙ্গত, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বিষয়ে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ করোনা পরিস্থিতির পরে সারা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কতটা অগ্রগতি হয়েছে এবং কতটা টেকসই হয়েছে, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়। একইভাবে এই বৈঠকেই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনকে আরও পাঁচ বছর কাজ চালানোর জন্য অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Modi Cabinet)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের সময়সীমার অনেক আগেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারত তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চলেছে।

    কী জানালেন পীযূষ গোয়েল

    মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ কোয়েল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (NHM) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে ও মানবসম্পদ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে। যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার মোকাবিলা, এই সমস্ত কিছুতেই নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারতের জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে এক উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সামনে যে রিপোর্ট পেশ করা হয় সেখানে দেখা যায় যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, জনগণের রোগ নির্মূলের ক্ষেত্র, স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোসহ একাধিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের এমন সাফল্যকে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

    রিপোর্ট পেশ করা হয় মোদির সামনে 

    ২০২০, ২০২১, ২০২২ বছরগুলিতে ভারতবর্ষে করোনা অতিমারী ব্যাপক আঘাত হানে। এই সময়তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। পরবর্তীকালে, করোনা টিকা আবিষ্কার হওয়ার পরে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বিনামূল্যে টিকাকরণের কাজও করে তারা। এর ফলে সারা দেশে সহজলভ্য হয়েছে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা। এর ফলেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের গুণগত মান বেড়েছে। উন্নত হয়েছে দেশের স্বাস্থ্যপরিসেবা এবং এর প্রতিটা ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM)। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভাপতিত্বে এবং সেখানেই জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির বিভিন্ন বছরের যে অগ্রগতির রিপোর্ট সেটি পেশ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সামনে। এগুলি ছিল ২০২১-২২, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রিপোর্ট এবং প্রতিটিতেই উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি দেখা যায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের।

    ২০২১-২২ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ২ লাখ ৬৯ হাজার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করে

    ওই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে বিগত বছরগুলিতে মাতৃ মৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুহার ভালোই কমেছে। এর পাশাপাশি যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ডেঙ্গি, কুষ্ঠ, হেপাটাইটিসের মতো বিভিন্ন রোগগুলিও নির্মূলও করা গিয়েছে। এই সবক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM)। এক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পেরেছে তারা। একইসঙ্গে অ্যানিমিয়া নির্মূল মিশনের মতো নতুন উদ্যোগ সম্পর্কেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ২ লাখ ৬৯ হাজার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করে, যার মধ্যে ছিল মেডিক্যাল অফিসার, বিশেষজ্ঞ, নার্স, আয়ুষ ডাক্তার।

    ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ লাখ ২১ হাজার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়

    ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেখা যাচ্ছে ৪ লাখ ২১ হাজার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫.২৩ লক্ষে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ২২০ কোটিরও বেশি কোভিড ১৯ টিকা ডোজ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতি এক লক্ষ জীবিত শিশু জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ১৩০। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সেই হার দাঁড়িয়েছে ৯৭ শতাংশে। 

    রোগ নির্মূল করার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য

    রোগ নির্মূল করার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। ২০১৫ সালে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় যক্ষ্মা রোগী ছিল ২৩৭। ২০২৩ সালে তা কমে এসেছে ১৯৫ তে। একই সময়ে প্রতি ১ লাখে যক্ষা রোগের মৃত্যু হত আঠাশ জনের তা বর্তমান সময়ে কমে দাঁড়িয়েছে বাইশে। ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যান বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে এবং আগের থেকে মৃত্যুহার অনেক কমেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে সিবিআই, দায়ের মামলা, শুনানি সোমবার

    CBI: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে সিবিআই, দায়ের মামলা, শুনানি সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হয়েছে শিয়ালদা আদালত। যদিও সেই রায়ে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। হাইকোর্টের সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার আবেদন জানিয়েছে তারা। শুক্রবার হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত শুনানির দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী সোমবার এই মামলাটি শুনানির দিনও এদিন জানিয়ে দেন।

    মামলার শুনানি সোমবার! (CBI)

    সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবারই কলকাতার হাইকোর্টে পিটিশন ফাইল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে মামলা করার ক্ষেত্রে বুধবার সিবিআইয়ের তৎপরতা চোখে পড়েছিল। সে দিনও তারা আবেদন জানিয়েছিল। শুক্রবার নতুন করে তা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিচারপতিরা জানান, আগামী সোমবার, অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি রাজ্যের আবেদনের সঙ্গে সিবিআইয়ের মামলাটিও শোনা হবে। প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় সিবিআই যেভাবে তদন্ত করেছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভয়ার বাবা-মা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু, সঞ্জয়কে ধরেছে কলকাতা পুলিশ। তারপর এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সিবিআই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন পেয়ে যান তাঁরা। এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভয়ার বাবা-মা ও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার সঞ্জয়েরও মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, দিল্লির সদর দফতরের সিদ্ধান্ত মতো এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    রাজ্যের মামলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সিবিআই

    রাজ্য যে উচ্চ আদালতে গেল, তা তারা আদৌ করতে পারে কি না, তা নিয়ে আদালতেই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই (CBI)। আইনজীবীদের একাংশের মতে, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের যে আবেদন জমা পড়েছে হাইকোর্টে, তাতে সিবিআই-ই প্রথম পক্ষ হতে চাইছে বলেই এই পদক্ষেপ। জানা গিয়েছে, বুধবার তার শুনানিতেই সিবিআই জানায়, দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাজ্য কী ভাবে আবেদন করতে পারে। ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল (সিবিআইয়ের আইনজীবী) রাজদীপ মজুমদারের বক্তব্য, সিবিআইও এই মামলায় দোষী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তিই চেয়েছিল। এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবার, সিবিআই কিংবা দোষী হাইকোর্টের দ্বারস্থ না হলে, রাজ্য কী ভাবে এই আবেদন করতে পারে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল। সিবিআইয়ের আইনজীবীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং সরকারি আইনজীবী (পিপি) দেবাশিস রায়। তার কয়েক ঘণ্টা পরে সিবিআই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণাতে এই মামলা শেষ হয়ে যায়নি

    আরজি করের ঘটনায় কেন সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ড দিল না শিয়ালদা আদালত? বিচারক অনির্বাণ দাস শাস্তি ঘোষণা করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে তিনি মনে করছেন না। ভারতী ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১) তিনটি ধারাতেই সঞ্জয়ের অপরাধ প্রমাণিত। তাই তাঁকে আমৃত্যু কারাবাস করতে হবে। এই ঘটনাতেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু সময়ে চার্জশিট দিতে না-পারায় তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সন্দীপ অবশ্য আরজি কর সংক্রান্ত অন্য মামলায় বন্দি। ধর্ষণ-খুন মামলাতেও পরবর্তী চার্জশিট জমা দিতে হবে সিবিআইকে (CBI)। ফলে, সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণাতে এই মামলা শেষ হয়ে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ জানুয়ারি সারাদেশে পালিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। ওই দিনই এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ওই দিন থেকে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে উত্তরাখণ্ড। যেখানে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাই চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবস উত্তরাখণ্ডের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি একটি মাইলস্টোন হিসেবে থেকে যাবে, সে রাজ্যের ইতিহাসে।

    ২০২২ সালে বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাস ছিল ইউসিসি (Uttarakhand) 

    ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার তৈরি করে বিজেপি। নির্বাচনের পূর্বে গেরুয়া শিবির উত্তরাখণ্ডের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এলে সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হবে। এবার নিজেদের দেওয়া সেই আশ্বাসই পূরণ করতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে, রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের জন্য একই আইন চালু হবে। এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে কী কী সুবিধা মিলবে এবং এর প্রভাবই বা কী? সে নিয়েই এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কী কী পরিবর্তন আনবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে উত্তরাখণ্ডের সমস্ত ধর্মের জন্য যে ব্যক্তিগত আইন বা পার্সোনাল ‘ল’ গুলি রয়েছে, যেমন- বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার আইন, দত্তক আইন, ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন- এই সমস্ত কিছুকেই সংস্কার করা হবে এবং ব্যক্তিগত আইনে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে সেগুলিকেও নির্মূল করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ এবং একত্রবাস এই সমস্ত কিছুকে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রি করা হবে। তথ্য রাখা হবে একটি পোর্টালে। যে পোর্টালটি পরিচালনা করবে উত্তরাখণ্ড সরকার। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

    ● যদি কোনও পুরুষ-মহিলা একত্রবাস করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে একত্রবাসের এক মাস আগে তা রেজিস্ট্রি করাতে হবে। যদি কেউ এই নিয়মকে লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁদের তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ডের এই আইনের মাধ্যমে মহিলাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ● প্রসঙ্গত, এই আইনের মাধ্যমেই উত্তরাখণ্ডের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মহিলা তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার পাবেন।

    ● এই আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হবে বহুবিবাহ প্রথাও। একের বেশি বিয়ে কোনওভাবেই করা যাবে না। যদি তা কেউ করেন তবে তা আইনত দণ্ডনীয়  অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে।

    ● এই আইনের মাধ্যমে একত্রবাসের ফলে যদি কোনও শিশু জন্ম নেয়, তাহলে ওই শিশুকে বৈধ বলেই বিবেচনা করা হবে এবং জন্ম নেওয়া শিশু সমানভাবে উত্তরাধিকার পাবে অর্থাৎ তার পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার পাবে।

    ● একত্রবাস যদি কেউ শেষ করতে চায়, তাহলে ওই একত্রবাসের সঙ্গী এবং সঙ্গিনীকেই সেটি রেজিস্ট্রি করে জানাতে হবে এবং আইনি স্বীকৃতি নিতে হবে। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

    ● বহুবিবাহ এবং ইদ্দত এরফলে নিষিদ্ধ হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত মুসলিম মহিলাদের তালাক দেওয়া হয়, তাঁদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করানো হয়, এটাকেই বলা হয় ইদ্দত। এই সমস্ত কিছুই এবার বন্ধ হতে চলেছে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মাধ্যমে।

    আইনি প্রক্রিয়া হতে চলেছে সরল

    ● উত্তরাখণ্ডের নাগরিকরা (Uniform Civil Code) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলেই, অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের উইল, যে কোনও আপিল বা অভিযোগ জানাতে পারবেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।

    ● গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত কর্মীরাই সাব-রেজিস্টার হিসেবে কাজ করবেন। তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাস্তবায়নে।

    ● বিভিন্ন নথি যাচাই করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নেবে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    ● একই সঙ্গে গড়ে তোলা হবে কমন সার্ভিস সেন্টার। জানা গিয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা প্রদান করবে সরকার।

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে কার্যকর করতে দশ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    শীর্ষ আদালতের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নির্বাচনে বিজেপি বিপুল জয় পেতেই শুরু হয় উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এরপরে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কমিটি ৪০০ পাতার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিধানসভাতে আগেই উত্থাপন করে বিজেপি।

    ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ বিলে সই রাষ্ট্রপতির

    ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় উত্থাপন করা হয় ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিল। বিরোধীরা ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে। হইহট্টগোল শুরু করে। বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ঠিক তার পরের দিনই বিলটিকে পাস করানো হয়। ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ ওই বিল রাষ্ট্রপতি সই করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাহিলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর পরেই ইউসিসির বাস্তবায়নের জন্য জোর কদমে মাঠে নামে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। এবার ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সে রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে ইউসিসি।

    চালু হতে পারে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বিজেপি এই কারণে উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল রাজ্য হিসেবে সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছে। কারণ ভারতবর্ষের প্রথম কোনও রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে পারল উত্তরাখণ্ড সরকার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যে— অসম, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, ইউসিসির বাস্তবায়ন কেন গুরুত্বপূর্ণ!এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি রাজ্য সভাপতি কেশবপ্রসাদ মৌর্য।

    লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে নারী অধিকার

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে যদি এভাবেই ইউসিসি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এ কথা যখন বিজেপি নেতারা বলছেন তখনই তাঁরা উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল হিসেবে তুলনা করছেন। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রশংসা করছেন। কারণ তাঁরা মনে করছেন যে এর ফলে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়। এর ফলে ন্যায়বিচার আরও সহজে আসে এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে, বেশ কিছু মৌলবাদী অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োগের খবর সামনে আসতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে উঠে পড়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, এর ফলে বহুবিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ওপর ইউসিসি প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই সময় দেখা যাচ্ছে নারী অধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারের ওপর যে সমস্ত সংগঠন কাজ করে, সেগুলি ইউসিসির বিধানগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ, এর ফলে সমানভাবে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হবে এবং লিভ-ইন সম্পর্কে মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।

    সমস্ত রাজ্যের নজর উত্তরাখণ্ডের ওপর 

    এখন দেখার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই ইউসিসি কীভাবে কার্যকর হয়! যদিও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার, রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতগুলিকেই ইউসিসি কার্যকর করার দায়িত্ব ইতিমধ্যে অর্পণ করেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রস্তুতি যখন উত্তরাখণ্ডজুড়ে চলছে, তখন ভারতের অন্যান্য অংশগুলিও এর ওপরে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখছে। কারণ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনি অধ্যায়। এই আইন সফল হবে নাকি ব্যর্থ! সেই ধারনাই গড়ে উঠবে আগামী ২৬ জানুয়ারির পর থেকে। উত্তরাখণ্ডে এই আইন শুধুমাত্র বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাসকেই বাস্তবায়িত করছে না, একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 23 January 2025: সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 January 2025: সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আপনার কর্মদক্ষতার কারণে জীবিকার স্থানে শত্রু বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বদনাম থেকে সবাই খুব সতর্ক থাকুন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) সংসারে শান্তি বজায় থাকবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) আপনার রূঢ় আচরণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    PM Modi: মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন মোদি, স্নান করবেন রাষ্ট্রপতিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। আবার এই যোগ আসবে ১৪৪ বছর পর। কারণ ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। পূর্ণকুম্ভ হয় ১২ বছর অন্তর। এবার প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ। গঙ্গা-যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে মহামিলন মেলা। সূত্রের খবর, মহাকুম্ভ উপলক্ষে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), ৫ ফেব্রুয়ারি। ঘটনাচক্রে এদিনই হবে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে কন্যাকুমারীতে গিয়ে ধ্যানে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধ্যান করেছেন কেদারনাথে গিয়েও। এবার তিনি সারবেন কুম্ভস্নান।

    কুম্ভস্নানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    চলতি বছর কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেশ-বিদেশ থেকে কাতারে কাতারে আসছেন মানুষ, অমৃতস্নান করবেন বলে। পঞ্জিকা মতে, অমৃতস্নানের (একেই আগে শাহি স্নান বলা হত) যোগ পাঁচটি। প্রধানমন্ত্রী যে দিন স্নান করবেন, সেদিন অমৃতস্নানের যোগ নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণে ৫ ফেব্রুয়ারি মেলায় ভিড় কম হবে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই এই দিনটিই বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ত্রিবেণী সঙ্গমে কে, কবে

    কুম্ভস্নান সেরে নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২৭ জানুয়ারি পুণ্যস্নান করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১ ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নানে যাবেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আর ১০ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরই মাঝে ৫ তারিখে কুম্ভস্নান সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    আরও পড়ুন: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাস দেড়েকের মেলায় অমৃতস্নানের যোগ রয়েছে পাঁচটি। একটি হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে চারটি। এগুলি হল, ২৯ জানুয়ারি, মৌনী অমবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি। এই দিনগুলিতে কয়েক কোটি ভক্ত কুম্ভস্নান করবেন পুণ্যলাভের আশায়। তাই এই দিনগুলিতে প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি অমৃতস্নানে গেলে অসুবিধায় পড়বেন সাধারণ পুণ্যার্থীরা। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই কারণেই অমৃতস্নানের জন্য প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন সাধারণ একটি দিন। প্রসঙ্গত, প্রতি ছ’বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভ। প্রয়াগরাজ (Mahakumbh) ছাড়াও সেগুলি হয় হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জ্বয়িনীতে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পথে প্রধান কাঁটা হতে পারে বেকারত্ব। রাজ্যে শিল্প নেই। জটিলতার কারণে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগও। সরকারি চাকরির (Govt Employee) দশাও তথৈবচ। এমতাবস্থায় এবার বেকার ছেলেমেয়েদের চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার মালদহের সভামঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের এমন পরামর্শই দেন তিনি।

    সরকারি টাকায় মোচ্ছব! (Mamata Banerjee)

    ফি বছর শিল্প সম্মেলনের নামে সরকারি টাকায় মোচ্ছব হয় বলে অভিযোগ। দু’দিন-তিনদিন ধরে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন হয়। ব্যস, সম্মেলন শেষে হাতে থাকে শুধুই পেন্সিল, শিল্প আর হয় না! রাজ্যের হা-শিল্প দশা দেখে এর আগে কর্মপ্রার্থীদের ‘চপ শিল্প’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। তাতে কতজন বেকারের আর্থিক অবস্থার হাল ফিরেছিল, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে চপ শিল্পের কল্যাণে যে রাজ্যের হাল ফেরেনি, তা মালুম হল মঙ্গলবারের বারবেলায় মুখ্যমন্ত্রী ফের চা শিল্পের পরামর্শ দেওয়ায়।

    চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ

    এদিন মালদার ডিএসের মাঠে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, পলিটেকনিক, আইটিআই বাংলায় ৫০০টা আছে। সেখান থেকে ট্রেনিং নেবেন স্কিলড ট্রেনিং। পড়াশোনার সুযোগ, ট্রেনিংয়ের সুযোগ, সব সুযোগ আছে। আমি তো বলব, দু’তিন লাখ অ্যাপয়েন্টমেন্ট হতেই পারে ইমিডিয়েট। যদি ওবিসি রিজার্ভেশনটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। সরকারি চাকরি করতে গেলে কতকগুলো সিস্টেম আছে। ইন্টারভিউ কল করে। আপনাদের পরীক্ষা দিতে হয়। ইন্টারভিউ দিতে হয়।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাইয়েরা আমার, চিন্তা করার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলেও, চা-বিস্কুট-ঘুগনি, ইনকাম খারাপ হয় না। সরকারি চাকরির থেকে বেশি রোজগার হয়।”

    ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা!

    তাঁর এই কথা হাসির খোরাক হতে পারে ভেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন, আমরা ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করে দিয়েছি। আরও কয়েক লাখ চাকরি হবে খুব শিগগিরই।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিক ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন। ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিক ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাদের চাকরি করে দিয়েছি।”

    প্রচারের ঢক্কানিনাদ

    কর্মপ্রার্থীদের চায়ের দোকান (Mamata Banerjee) খোলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কৌশলে ভোট প্রচারের কাজটিও সেরে রাখলেন। তাঁর জমানায় রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “নারায়ণপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কালিয়াচকে সিল্ক পার্ক, ইংরেজবাজারে ফুড পার্ক, মালদা আইআইটি পার্ক গড়ে উঠেছে। ৫৭ হাজারের বেশি ক্ষুদ্রশিল্পে এক লাখ মানুষ কাজ করছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট যাঁরা আছেন, অনেক কিছু হতে পারে আপনাদের এখানে। একটু মাথা খাটান। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলাদেশের বর্ডার মালদা।”

    আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকাণ্ডে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র যোগ, জানেন কীভাবে?

    শিল্পনগরী তৈরি করেছি

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এখানে বিজনেস করলে সারা উত্তরবঙ্গ তার সুফল পাবে। আপনাদের কথা শুনে ইন্ডাস্ট্রির কথা শুনে আমরা শিল্পনগরী তৈরি করেছি। আরও ঢেলে সাজান।” তিনি বলেন, “যখন বিজনেস করবেন, মনে রাখবেন, একটা প্রজেক্ট নেবেন, আমার বিজনেস দিয়ে আমি ১০টা পরিবারকে সাহায্য করব। ১০টা গবির মানুষের ঘর করে দিন না। বেশি টাকা লাগে না। ১০টা গরিব মানুষের ঘর করতে বড়জোর ১৫ লাখ টাকা লাগবে (Mamata Banerjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি সিএসআরের মাধ্যমে আপনারা ডিএমকে জিজ্ঞেস করুন। ডিএম আপনাদের তালিকা দিয়ে দেবেন, যাঁরা সত্যিকারের গরিব, তাঁদের। এটা আমাদের তালিকার মধ্যে নয়। এটা আমি এক্সট্রা করতে বলছি।”

    খয়রাতির রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কোষাগার। বিভিন্ন ‘শ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আদতে ভোট কেনার রাজনীতি করেছেন। তার জেরে শূন্য হয়েছে রাজকোষাগার। বেকারত্ব এবং রাজ্যের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে মেলা-খেলার আয়োজনও করা হয়। তার পরেও মাঝেমধ্যে চাগাড় দিয়ে ওঠে বেকারত্বের ভূত। সেই ভূত তাড়াতেই কখনও (ঢপের?) চপ শিল্প, কখনও আবার চা শিল্পের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    জনতা (Govt Employee) জনার্দন এতে ভোলে কিনা, এখন তাই দেখার (Mamata Banerjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Rape and Murder Case) নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের লড়াই করার মানসিকতাকে কুর্নিশ জানালেন বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে এই ঘটনাকে বিরলতম অ্যাখ্যা দিলেন তিনি। অন্যদিকে, আজ, বুধবার চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের মামলা শুনবে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে নিম্ন আদালত শাস্তি দেওয়ার পর এই প্রথম  সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি।

    ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা শুভেন্দুর

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) শাস্তি ঘোষণার পরের দিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হচ্ছে। নির্যাতিতার বাবা-মা তাঁর উপরে ভরসা রাখেন। প্রায় ৩০ মিনিট তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে বলেও জানান শুভেন্দু। মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে কুর্নিশ। ওঁদের একটি পিটিশনের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সামগ্রিক ভাবে ওঁরা বৃহত্তর আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন।’’ শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘আমি নিজেকে তাঁদের পরিবারের এক জন বলে মনে করি। আমি তাঁদের সঙ্গে রয়েছি। যে ভাবে ওঁরা সহযোগিতা চাইবেন, সে ভাবে আমার সাধ্যমতো ওঁদের সাহায্য করব।’’

    আরও পড়ুন: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার

    সোমবার আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় (RG Kar Rape and Murder Case) ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমরণ কারাবাসের শাস্তি দেয় শিয়ালদা আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর নির্দেশে জানান, বিরলের মধ্যে বিরলতম নয় এই ঘটনা। এ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমার মতে ঘটনাটি (আরজি কর-কাণ্ড) বিরলতমই। জাজমেন্টে (বিচারে) অনেকগুলো বিন্দু আছে। অনেকগুলো ভাল কথা বলেছেন বিচারক। কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল থেকে সিবিআই নিয়ে বেশ কিছু ত্রুটির কথা বলেছেন। তবে বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েই বলছি, সরকারি কর্মক্ষেত্রে এক জন মহিলা চিকিৎসককে যে ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, আমার ব্যক্তিগত মত, এটা বিরলতম ঘটনা। অনেক বড় লড়াই হবে। পরিবার তার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’ 

    সুপ্রিম দুয়ারে পরিবার

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) দু’টি বিষয়ে মামলা চলছে। একটি হল, মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলা। অন্যটি, আর্থিক দুর্নীতির মামলা। দু’টি মামলা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই শুনবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় গত শনিবার শিয়ালদা আদালত ধৃত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার তাঁর আজীবন জেলের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, একা সঞ্জয় নন, অপরাধের জড়িত রয়েছেন আরও ব্যক্তি। শিয়ালদা আদালত রায় ঘোষণার আগেই চলতি মাসের গোড়ায় ‘আরও তদন্ত চেয়ে’ শীর্ষ আদালতে আবেদনের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 260:  “কেশব বললে, আর শিষ্যেরাও একসঙ্গে বললে, ভাগবত-ভক্ত-ভগবান, বল গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব”

    Ramakrishna 260: “কেশব বললে, আর শিষ্যেরাও একসঙ্গে বললে, ভাগবত-ভক্ত-ভগবান, বল গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    “তুমি দল দল করছ। তোমার দল থেকে লোক ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। কেশব বললে, মহাশয়, তিন বৎসর এ-দলে থেকে আবার ও-দলে গেল। যাবার সময় আবার গালাগালি দিয়ে গেল। আমি বললাম, তুমি লক্ষণ দেখ না কেন, যাকে তাকে চেলা করলে কি হয়?”

    কেশবকে শিক্ষা—আদ্যাশক্তিকে মানো 

    “আর কেশবকে বলেছিলাম, আদ্যাশক্তিকে মানো। ব্রহ্ম আর শক্তি অভেদ—যিনিই ব্রহ্ম তিনিই শক্তি। যতক্ষণ দেহবুদ্ধি, ততক্ষণ দুটো বলে বোধ হয়। বলতে গেলেই দুটো। কেশব কালী (শক্তি) মেনেছিল।

    “একদিন কেশব শিষ্যদের সঙ্গে এখানে এসেছিল। আমি বললাম, তোমার লেকচার শুনব। চাঁদনিতে বসে লেকচার দিলে। তারপর ঘাটে এসে বসে অনেক কথাবার্তা হল। আমি বললাম, যিনিই ভগবান তিনিই একরূপে ভক্ত। তিনিই একরূপে ভাগবত। তোমরা বল ভাগবত-ভক্ত-ভগবান। কেশব বললে, আর শিষ্যেরাও একসঙ্গে বললে, ভাগবত-ভক্ত-ভগবান। যখন বললাম, ‘বল গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব’, তখন কেশব বললে, মহাশয়, এখন অত দূর নয়, তাহলে লোকে গোঁড়া বলবে।”

    পূর্বকথা— শ্রীরামকৃষ্ণের মূর্ছা—মায়ার কাণ্ড দেখে 

    “ত্রিগুনাতীত হওয়া বড় কঠিন। ঈশ্বরলাভ না করলে হয় না। জীব মায়ার রাজ্যে বাস করে। এই মায়া ইশ্বরকে জানতে দেয় না। এই মায়া মানুষকে অজ্ঞান করে রেখেছে। হৃদে একটা এঁড়ে বাছুর এনেছিল। একদিন দেখি, সেটিকে বাগানে বেঁধে দিয়েছে ঘাস খাওয়াবার জন্য। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হৃদে, ওটাকে রোজ ওখানে বেধে রাখিস কেন? হৃদে বললে, ‘মামা, এঁড়েটিকে দেশে পাঠিয়ে দিব। বড় হলে লাঙল টানবে।’ যাই এ-কথা বলেছে আমি মূর্ছিত হয়ে পড়ে গেলাম! মনে হয়েছিল কি মায়ার খেলা! কোথায় কামারপুকুর, সিওড়—কোথায় কলকাতা! এই বাছুড়টি যাবে, ওই পথ! সেখানে বড় হবে। তারপর কতদিন পরে লাঙল টানবে—এরই নাম সংসার,—এরই নাম মায়া!

    “অনেকক্ষণ পরে মূর্ছা ভেঙেছিল।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 259: “দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞানে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না”

    Ramakrishna 259: “দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞানে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    “ব্রহ্ম কি, তা মুখে যায় না। যার হয় সে খবর দিতে পারে না। একটা কথা আছে, কালাপানিতে জাহাজ গেলে আর ফিরে না।

    “চার বন্ধু ভ্রমণ করতে করতে পাঁচিলে ঘেরা একটা জায়গা দেখতে পেলে। খুব উঁচু পাঁচিল। ভিতরে কি আছে দেখবার জন্য সকলে বড় উৎসুক হল। পাঁচিল বেয়ে একজন উঠল। উঁকি মেরে যা দেখলে, তাতে অবাক হয়ে ‘হা হা হা হা’ বলে ভিতরে পড়ে গেল। আর কোন খবর দিল না। যে-ই উঠে সে-ই ‘হা হা হা হা’ করে পড়ে যায়। তখন খবর আর কে দেবে?”

    জড়ভরত, দত্তাত্রেয়, শুকদেব—এঁদের ব্রহ্মজ্ঞান 

    “জড়ভরত, দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে আর খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না। তাই রামপ্রসাদ বলেছে, ‘আপনি যদি না পারিস মন তবে রামপ্রসাদকে সঙ্গে নে না।’ মনের লয় হওয়া চাই, আবার ‘রামপ্রসাদের’ অর্থাৎ অহংতত্ত্বের লয় হওয়া চাই। তবে সেই ব্রহ্মজ্ঞান হয়।”

    একজন ভক্ত—মহাশয়, শুকদেবের কি জ্ঞান হয় নাই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেউ কেউ বলে, শুকদেব ব্রহ্মসমুদ্রের দর্শন-স্পর্শন মাত্র করেছিলেন, নেমে ডুব দেন নাই। তাই ফিরে এসে অত উপদেশ দিয়েছিলেন। কেউ বলে, তিনি ব্রহ্মজ্ঞানের পর ফিরে এসেছিলেন—লোকশিক্ষার জন্যে। পরীক্ষিৎকে ভাগবত বলবেন আরও কত লোকশিক্ষা দিবেন, তাই ইশ্বর তাঁর সব ‘আমি’র লয় করেন নাই। বিদ্যার ‘আমি’ এক রেখে দিয়েছিলেন।

    কেশবকে শিক্ষা—দল (সাম্প্রদায়িকতা) ভাল নয় 

    একজন ভক্ত—ব্রহ্মজ্ঞান হলে কি দলটল থাকে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব সেনের সঙ্গে ব্রহ্মজ্ঞানের কথা হচ্ছিল। কেশব বললে, আরও বলুন। আমি বললুম, আর বললে দলটল থাকে না। তখন কেশব বললে, তবে আর থাক, মশাই। (সকলের হাস্য) তবু কেশবকে বললুম, ‘আমি’ ‘আমার’ এটি অজ্ঞান। ‘আমি কর্তা’ আর আমার এই সব স্ত্রী, পুত্র, বিষয়, মান, সম্ভ্রম—এ-ভাব অজ্ঞান না হলে হয় না। তখন কেশব বললে, মহাশয়, ‘আমি’ ত্যাগ করলে যে আর কিছুই থাকে না। আমি বললুম, কেশব তোমাকে সব ‘আমি’ ত্যাগ করতে বলছি না, তুমি ‘কাঁচা আমি’ ত্যাগ কর। “আমি কর্তা” “আমার স্ত্রী-পুত্র” “আমি গুরু” —এ-সব অভিমান, “কাঁচা আমি”। এইটি ত্যাগ করে “পাকা আমি” হয়ে থাক—“আমি তাঁর দাস, আমি তাঁর ভক্ত, আমি অকর্তা, তিনি কর্তা।”

    ঈশ্বরের আদেশ পেয়ে তবে ধর্মপ্রচার করা উচিত 

    একজন ভক্ত—“পাকা আমি” কি দল করতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব সেনকে বললুম, আমি দলপতি দল করেছি, আমি লোকশিক্ষা দিচ্ছি—এ ‘আমি’ “কাঁচা আমি”। মত প্রচার বড় কঠিন। ঈশ্বরের আজ্ঞা ব্যতিরেকে হয় না। তাঁর আদেশ চাই। যেমন শুকদেব ভাগবতকথা বলতে আদেশ পেয়েছিলেন। যদি ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার করে কেউ আদেশ পায়—সে যদি প্রচার করে, লোকশিক্ষা দেয় দোষ নাই। তার ‘আমি’ “কাঁচা আমি” নয়—“পাকা আমি”।

    “কেশবকে বলেছিলাম, ‘কাঁচা আমি’ ত্যাগ কর। ‘দাস আমি’ ‘ভক্তের আমি’ এতে কোন দোষ নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share