Blog

  • Indian Army Chief on China: ‘সমাধান নয়, সীমান্ত ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় চিন’, বললেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে

    Indian Army Chief on China: ‘সমাধান নয়, সীমান্ত ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় চিন’, বললেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লাদাখ সীমান্তে সংঘাত মেটাতে চিনের কতটা ইচ্ছা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানান, ভারত চাইছে সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসুক । তিনি বলেন,”তবে এটা কোনও মতেই এক তরফা হতে পারে না।” এই বিষয়ে তিনি কার্যত বেজিংয়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন।

    চিন ইস্যুতে মনোজ পাণ্ডে বলেন,”মূল সমস্যা হচ্ছে সীমান্ত ইস্যুর সমাধান। কিন্তু চিনের উদ্দেশ্য হল সীমান্ত সমস্যাকে বাঁচিয়ে রাখা। যাতে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় থাকে, তার চেষ্টা করে ভারত। কিন্তু অন্যদিক থেকে সাহায্য পাওয়া যায় না।” ২০২০ সালের মে মাস থেকে লাদাখের পূর্ব প্রান্তে চিনের আগ্রাসন ভারতের মাথা ব্যথার মূল কারণ। এই ঘটনার তিন বছর কেটে গেছে কিন্তু লাদাখে সীমান্ত রেখা নিয়ে বিবাদের সমাধান সূত্র এখনও মেলেনি। 

    গত এপ্রিলে সেনার দায়িত্ব নেন মনোজ। সেনাপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান পদে ছিলেন মনোজ পাণ্ডে। ছিলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ (জিওসি-ইন-সি) পদে। এই কমান্ডই সিকিম ও অরুণাচলে ভারত-চিন সীমান্তের রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাই চিনের সীমান্ত সম্পর্কে তাঁর ধারণা স্বচ্ছ। ২ বছর আগে এই মে মাসেই লাদাখে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অংশে পা রেখেছিল চিনা ফৌজ। যার মোক্ষম জবাব দিয়ে ভারত স্পষ্ট করেছিল নিজের অবস্থান। গোগরা, ডেপসাং, ডেমচকে সংঘাতের রেশ দেখা গিয়েছিল। লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এরপর থেকে দুই পক্ষের সেনার মধ্যে শান্তি আলোচনা চলেছে। এখনও তা অব্যাহত। 

    এদিন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘স্টেটাস কো পাল্টাতে দেওয়া হবে না’। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করেন যে, দেশের অংশের একচুলও জমি ভারতীয় সেনা ছাড়তে রাজি নয়। সেই বিষয়টিও চিন সীমান্তে নিশ্চিত করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। পর্যাপ্ত সেনাও রয়েছে সীমান্তে। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। এদিন মনোজ বলেন,”কয়েকটি এলাকা নিয়ে চিনের সঙ্গে মতপার্থক্য এখনও রয়ে গিয়েছে। তবে সেই জায়গার সমাধান সূত্র বের করতে আমরা চিনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাব। আলোচনা চলছে। আর এর মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়।” 

  • Bird Flu:  চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে  অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    Bird Flu: চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:করোনা-আবহেই আবার বার্ড-ফ্লু। মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল চিনে। আক্রান্ত হয়েছে চার বছরের এক শিশু। চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম। তবে এ বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন।

    চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মধ্য হেনান প্রদেশে চার বছরের একটি শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুটি অ্যাভিয়ান ফ্লু-তে আক্রান্ত। জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই শিশুর বাড়িতে মুরগি এবং হাঁসের খামার রয়েছে, বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। সেখান থেকেই সরাসরি সংক্রমণ হয়েছে বলে অনুমান। 

    স্বাস্থ্য কমিশনের পরামর্শ, মৃত এবং অসুস্থ পাখির কাছে যেন নাগরিকরা না যান। যদি কোনও রকম উপসর্গ ধরা পড়ে তা হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। বার্ড ফ্লু সাধারণত পাখি এবং হাঁস বা মুরগির হয়। মানবদেহে এই ফ্লু-র সংক্রমণের ঘটনা বিরল।

    ২০০২-এ উত্তর আমেরিকায় এই প্রজাতির সংক্রমণ ধরা পড়ে বুনো হাঁসের দেহে। ঘোড়া, কুকুর এবং সিল মাছের দেহেও এই ভাইরাস পাওয়া যায়। ২০১২-তে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলে ১৬০টি সিল মাছের মৃত্যু হয়েছিল। তখন দাবি করা হয়, এইচ৩এন৮-এর সংক্রমণেই মৃত্যু হয় সিল মাছগুলির। ১৯৯৭ এবং ২০১৩ সালে বার্ড ফ্লু-র দু’টি প্রজাতি এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯ সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।

  • Women Pilot: ভারতেই মহিলা পাইলটের সংখ্যা বেশি, সমীক্ষায় উঠে এল নতুন তথ্য

    Women Pilot: ভারতেই মহিলা পাইলটের সংখ্যা বেশি, সমীক্ষায় উঠে এল নতুন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি জানেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মহিলা পাইলট কোন দেশে আছে? না জানলে জেনে নিন, অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় মহিলা পাইলটের সংখ্যা ভারতে সবচেয়ে বেশি। শুনে অবাক হচ্ছেন তো! কিন্তু এটিই সত্যি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতে এবারে মহিলাদের হাত ধরেই বিমান পরিষেবার পথ আরও বেশি উন্নত ও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ উইমেন এয়ারলাইন পাইলট (International Society of Women Airline Pilots) অনুসারে, ভারতে ১২.৪ শতাংশই মহিলা পাইলট, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫.৫ শতাংশ ও ব্রিটেনে ৪.৭ শতাংশ মহিলারা বিমান চালনার সঙ্গে জড়িত আছেন।

    আরও পড়ুন: স্বপ্নের উড়ান, একই ফ্লাইটে পাইলটের ভূমিকায় মা ও মেয়ে

    নিবেদিতা ভাসিন, যিনি ১৯৮৯ সালে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বাণিজ্যিক এয়ারলাইন ক্যাপ্টেন হন, তাঁর পর থেকেই ভারতে বিমান শিল্পে মহিলা পাইলটের কমতি দেখা যায়নি। মহিলা পাইলটের সংখ্যা ভারতে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। নিবেদিতা ভাসিন ও তাঁর মতই আরও পাইলটরা জানিয়েছেন, ভারতে কর্পোরেট নীতি, পরিবারের সমর্থনের জন্যই মহিলারা এই পেশায় যেতে আগ্রহী হচ্ছে। এছাড়াও ১৯৪৮ সালে গঠিত জাতীয় ক্যাডেট কর্পসের মাধ্যমে ভারতের মেয়েরা এই পেশার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। এটি এক ধরণের যুব প্রোগ্রাম যেখানে ভারতের ছেলেমেয়েদের মাইক্রোলাইট বিমান চালানোর ট্রেনিং দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যও মহিলাদের জন্য এই ট্রেনিংকে আরও সহজলোভ্য করার জন্য সহায়তা করে থাকে। আবার বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থাও নির্দিষ্টকালের জন্য বিমান চালানোর জন্য ট্রেনিং দিয়ে থাকে। ভারত ১৯৯০ সাল থেকেই বিমান পাইলট হিসেবে মহিলাদের নিয়োগ করা শুরু করেছে। আবার কিছু কিছু বিমান সংস্থা মহিলাদের সুবিধার্থে গর্ভাবস্থাকালীন ছুটিরও ব্যবস্থা করেছে। যেমন- ইন্ডিগো ২৬ সপ্তাহের জন্য ছুটি দেয়, অন্যদিকে ভিস্তারা ছয় মাসের জনয ছুটি দেয়। আবার জানা গিয়েছে, মহিলা পাইলটদের জন্য আলাদা একজন ড্রাইভার এবং গার্ডকে নিয়োগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    আবার বিমানের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও মহিলাদের অবদানই বেশি কারণ জেন্ডার ডিফারেন্স ইন জেনারেল এভিয়েশন ক্র্যাশেস নামে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মহিলারা বিমান চালালে বিমান দুর্ঘটনা কম ঘটে। অর্থাৎ পুরুষ পাইলটদের দুর্ঘটনার হার মহিলাদের চেয়ে বেশি। উইমেন ইন কমব্যাট আর্মস: অ্যা স্টাডি অফ দ্য গ্লোবাল ওয়ার অন টেরর অনুসারে, মহিলারা বেশি নিরাপদে বিমান চালায়। ভারতীয় মহিলারা যারাই এয়ারলাইন শিল্পে সফল হয়েছেন তাঁরা অন্যান্য মেয়েদেরও বিমান চালনা সম্পর্কে অনুপ্রাণিত করেছেন। ফলে দেশে মহিলা পাইলটের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে ও আশ করা হচ্ছে, ভারতীয় মহিলারা ভবিষ্যতে এক নজির গড়ে তুলতে চলেছে।

  • INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) জন্য ২৬টি নৌ-যুদ্ধবিমান কিনবে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ফাইটার জেটের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌবাহনীর শক্তি বৃদ্ধি হবে। এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে ভারত। নৌবাহিনীর সুপারিশে এই যুদ্ধবিমানগুলি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    গত জানুয়ারিতেই গোয়ায় ভারতীয় নৌবাহিনীর পরীক্ষা কেন্দ্রে ফরাসি রাফাল-মেরিনের (Rafale-M) পরীক্ষা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে মার্কিন ‘এফ-১৮ সুপার হর্নেট’ (F-18 Super Hornet) -এর ট্রায়ালও সেরে ফেলা হবে। দুটি যুদ্ধবিমানেরই গোয়ার পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু সেগুলি এখনও ভারতের একমাত্র বিমানবাহী ক্যারিয়ার জাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya) অবতরণ করেনি। কারণ বর্তমানে এই বিমানবাহী রণতরীটি রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে রয়েছে। জুনের পরে যাত্রা শুরু করবে।

    সূত্রের খবর, আগামী ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে বিক্রান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ২৬২ মিটার উঁচু, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু আইএনএস বিক্রান্তে ১,৭০০-রও বেশি নৌসেনা এবং অফিসারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে মহিলা অফিসারদের থাকার জন্য পৃথক ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিলোমিটার)। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটারেরও বেশি। ‘অ্যারেস্টেড হুক’ ব্যবহার করে তেজসের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ হারকিউলিস পাঁচের দশকে কিনেছিল ভারত। নাম দেওয়া হয় আইএনএস বিক্রান্ত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল সেই বিক্রান্তের। প্রায় ৪ দশক কাজ করার পরে নয়ের দশকের শেষপর্বে বিক্রান্ত অবসর নেয়। ভেঙে ফেলা হয় জাহাজটি। তারই স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে প্রথম ‘ভারতীয়’ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজটি।

    মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, বিক্রান্তের জন্য নতুন মোট ২৬টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। তার মধ্যে ৮টি টুইন সিটার প্রশিক্ষক বিমান। প্রশিক্ষক বিমানের মাধ্যমে নৌসেনার নতুন পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালনার ট্রেনিং দেওয়া যাবে। তবে, এগুলি যে শুধু ট্রেনিংয়ে ব্যবহৃত হবে, তা নয়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ফাইটারগুলি ভারতেই রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা যাবে।

     

  • S Jaishankar: ‘‘জেগে আছেন?’’, হঠাৎ মধ্যরাতে ফোন মোদির! তারপর… স্মৃতি রোমন্থন জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘জেগে আছেন?’’, হঠাৎ মধ্যরাতে ফোন মোদির! তারপর… স্মৃতি রোমন্থন জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে নিউ ইয়র্কে রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন তিনি। সেখানে গিয়ে নিউ ইয়র্কে বৃহস্পতিবার মোদীকে নিয়ে লেখা একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জয়শঙ্কর। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিষয়ে কথা বলেন। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। জয়শঙ্কর বলেন, “সে দিন আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে একটি বিস্ফোরণ হয়। আমি সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। হঠাত্‍ মাঝরাতে ফোন বাজল। দেখি, প্রধানমন্ত্রী ফোন করছেন। তখন রাত সাড়ে ১২টা। ফোন তুলতেই জিগ্গেস করলেন, জেগে আছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ স্যর জেগে আছি।’

    জয়শঙ্কর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন ওখানে কী হচ্ছে? উত্তরে আমি জানাই উদ্ধারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী দু ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আমি আপনার দফতরে ফোন করে জানিয়ে দেব। তখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন সোজাসোজি তাঁকে ফোন করে জানাতে।” 

    আরও পড়ুন: টাকার দামে রেকর্ড পতন! মার্কিন ডলারের তুলনায় দাম কমে দাঁড়াল ৮১ টাকা ৯ পয়সা

    ২০১৬ সালের ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন বিদেশমন্ত্রী। তখন তিনি দেশের বিদেশ সচিব ছিলেন। সেইসময় আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ শহরে ভারতীয় কনস্যুলেটে জঙ্গি হামলার ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় তাঁর। মাজার-ই-শরিফে ভারতীয় কনস্যুলেটে তিন তলা ভবনের একাংশ দখল করে নিয়েছিল কয়েক জন ফিদায়েঁ জঙ্গি। রাতভর চলে পুলিশ-জঙ্গি লড়াই। প্রাথমিক ভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল দূতাবাস কর্মীদের একাংশকে পণবন্দি করে ফেলেছে জঙ্গিরা। সেদিনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে জয়শঙ্কর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রথম দেখার আগে থেকে আমি তাঁকে পছন্দ করতাম। ওনার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেকটা জানতে পেরেছি। ওনার কাজের প্রতি নিষ্ঠা আমাকে মুগ্ধ করেছে।”

    আরও পড়ুন: মেক ইন ইন্ডিয়ায় ভরসা! ব্রহ্মস এয়ারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১৭০০ কোটির চুক্তি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে সাতটায় কাজ শুরু করেন। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।”

    গত বছর আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পরের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেন তিনি। তিনি বলেন, “প্রবল সঙ্কটের মধ্যে ভারত অভিযান চালিয়েছিল। যেসমস্ত ভারতীয় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কাবুল থেকে ভারত তাদের নাগরিকদের এয়ালিফট করিয়েছে। সেই সময় আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের সময় প্রধানমন্ত্রী একাদিক কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bangladesh Hilsa: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশীয় প্রজাতি সংরক্ষণে জোর বাংলাদেশের

    Bangladesh Hilsa: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশীয় প্রজাতি সংরক্ষণে জোর বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলিশের (Hilsa) উৎপাদন আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সম্প্রতি জিআই ট্যাগ (G I Tag) পেয়েছে বাংলাদেশি ইলিশ। তারপরেই শুরু হয়েছে ইলিশ উৎপাদনে জোর তৎপরতা। বাংলাদেশের মৎস্যমন্ত্রী এসএম রেজাউল করিম (Rezaul Karim) জানান, বাগদা চিংড়িও পেয়েছে জিআই ট্যাগ।

    স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় বাংলাদেশের ইলিশ। গোটা বিশ্বেই কদর রয়েছে বাংলাদেশের এই রুপোলি ফসলের। বিশ্বে সব চেয়ে ইলিশ উৎপাদন হয় বাংলাদেশেই। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নানা ব্যবস্থাও নিয়েছে সে দেশের সরকার। প্রজনন মরশুমে মাছ ধরায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ধরা নিষেধ খোকা ইলিশও। এসব কারণেই ফি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাংলাদেশে বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন।

    বাংলাদেশের মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দেশে ইলিশের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল তিন লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫.৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন। বিদেশে বাংলাদেশি ইলিশের বিপুল চাহিদা। মন্ত্রী জানান, বিশ্বের ৫২টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ইলিশ রফতানি করে। এদিন ঢাকায় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করেন রেজাউল। সেখানেই তিনি জানান, ইলিশের কোয়ালিটি যাচাই করতে বাংলাদেশে তিন ধরনের আর্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    কেবল বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব থেকেই হারিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ। এদিন সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা লুপ্তপ্রায় ৩৬টি প্রজাতির মাছকে ফিরিয়ে এনেছেন। ময়মনসিংয়ে এজন্য একটি জিন ব্যাংকও স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই জিন ব্যাংকে একশোরও বেশি প্রজাতির মাছের জিন সংরক্ষণ করা যাবে। এদিন মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মন্ত্রী একটি রঙিন নৌকো সমাবেশের সূচনাও করেন।

    আরও পড়ুন : দু’বছর পর ফের চালু হল ভারত-বাংলাদেশ রেল পরিষেবা

    জানা গিয়েছে, গত ষোলো বছরে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। সে দেশের মোট জিডিপির ৩.৫৭ শতাংশ আসে ফিসারিজগুলি থেকে। আর কৃষি থেকে আসে ২৬.৫০ শতাংশ। অন্তর্দেশীয় মৎস্য উৎপাদনে গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান তৃতীয়। তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ স্থান দখল করে বাংলাদেশ। আর ইলিশ উৎপাদনে দেশটির স্থান সবার ওপরে।

     

  • Monsoon in Bengal: দক্ষিণবঙ্গে কবে থেকে বর্ষা? খুশির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    Monsoon in Bengal: দক্ষিণবঙ্গে কবে থেকে বর্ষা? খুশির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। ভিজতে চলেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ (Gangetic West Bengal)। শুক্রবারই রাজ্যে ঢুকছে বর্ষা (Monsoon)। এমনটাই জানাল হাওয়া অফিস (Weather Department)। আজ প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি চলবে একাধিক জেলায়। নামবে তাপমাত্রার (Weather Forecast) পারদ।  

    এদিকে, আজ সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ১-২ ঘণ্টার মধ্যে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বর্ষা এলেও আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম দক্ষিণবঙ্গে।  

    আরও পড়ুন: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    উত্তরবঙ্গে আগামী চার-পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টি চলবে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে। 

    সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি এবং অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা রয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই। নদীতে জল স্তর বাড়বে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। পাহাড়ি এলাকায় দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমবে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ ধ্বস নামার আশঙ্কা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: “পথে হল দেরি”, ১৬জুন বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে

    কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আদ্রতা জনিত অস্বস্তি কিছুটা হলেও কমবে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কম-বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু রাজ্যের দিকে এগোচ্ছে। শুক্রবার তা রাজ্যে প্রবেশ করবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। 

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এমনকি কলকাতাতেও আজ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি। 

    গত ২৪ ঘণ্টায় পুরুলিয়ায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাছাড়া রাজ্যজুড়ে বৃহস্পতিবার কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতাসহ আশেপাশের কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুতসহ বৃষ্টির পুর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।  

      

  • Jammu & Kashmir: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা

    Jammu & Kashmir: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জঙ্গিদের হামলার শিকার ফের দুই পরিযায়ী শ্রমিক। সূত্রের খবর, শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দুই পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ফলে আহত অবস্থায় তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আহত দুই শ্রমিক আদতে বিহারের বাসিন্দা।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার রত্নিপোরার খারপোরা এলাকায় দুই শ্রমিককে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। ঘটনার পর দুই শ্রমিককে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা বিহারের বাটিয়া জেলার বাসিন্দা শামশাদ এবং ফাইজান কাসরি। এই বিষয়ে গতকালই কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইট করে জানিয়েছে।


    [/tw]

    আরও পড়ুন: কাশ্মীর পুলিশের এনকাউন্টারে খতম বাংলার শ্রমিক হত্যাকারী দুই জঙ্গি

    কিন্তু তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে, এখনও হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেই খবর। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে বারবার জঙ্গি হামলার মুখে পড়তে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। গত মাসেই কাশ্মীরের বান্দিপোরায় এক পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের। ওই শ্রমিকও বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। চলতি মাসেও বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ২ সেপ্টেম্বর এই ঘটনাটি ঘটেছিল। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, আহত ওই শ্রমিক বাঙালি। তাঁর নাম মুনিরুল ইসলাম। পুলওয়ামার উগারগুন্ড এলাকায় জঙ্গিহামলার এই ঘটনাটি ঘটেছিল। চিকিৎসার পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। বাঙালি শ্রমিককে মেরে ফেলার ঘটনায় যুক্ত ছিল দুই জঙ্গি, পরে তাদেরকে শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় এনকাউন্টারে খতম করা হয়। 

  • Partha-Arpita: পুর-ভোটে অর্পিতাকে প্রার্থী করতে মরিয়া ছিলেন পার্থ? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Partha-Arpita: পুর-ভোটে অর্পিতাকে প্রার্থী করতে মরিয়া ছিলেন পার্থ? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Recruitment Scam) অভিযুক্ত হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukhopadhyay)। তদন্তে পার্থ-অর্পিতার বিশাল বেআইনি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ফলে বর্তমানে দুজনেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন। একথা এখন সবারই জানা। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে যে, অর্পিতা পার্থর কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন? আর তারই এক প্রমাণ হিসিবে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এবারে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, অপার শুধুমাত্র বিশাল সম্পত্তিই ছিল না, পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতাকে পুরসভা নির্বাচনে (Municipal Election) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর পরিকল্পনা সফল হয়নি।

    আরও পড়ুন: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অর্পিতা, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এতটাই কাছের ছিলেন যে, অর্পিতাকে পুরসভা নির্বাচনে কামারহাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, অর্পিতা মুখোপাধ‌্যায় কে? দলের সঙ্গে কী সম্পর্ক তাঁর? যাঁকে কেউ চেনেনই না তাঁকে প্রার্থী করা হবে কেন? এতসব‌ প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। বিশেষ করে বিধায়ক মদন মিত্র এবং গোপাল সাহার আপত্তিতেই পার্থর এই ইচ্ছাটি পূরণ হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

    আরও জানা গিয়েছে, অর্পিতা ও পার্থর সাক্ষাৎ নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোতে হয়নি। এরও আগে তাঁদের আলাপ হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এক বস্ত্রবিপণিতে সেলস গার্লের কাজ করতেন অর্পিতা। সেখানেই পার্থ তাঁকে দেখেছিলেন। এরপর পার্থর তাঁকে পছন্দ হওয়ায় তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করা থেকে শুরু করে ফোন নম্বরও শেয়ার করে। তারপরই দুর্গাপুজোয় পার্থ আমন্ত্রণ করেন অর্পিতাকে। এছাড়াও নিউ ব্যারাকপুরের একটি রেস্তোরাঁয় নিয়মিত যেতেন অপা, এমনটাই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dilip Ghosh: “খালি মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন…মানুষ কি বুঝতে পারে না!”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “খালি মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন…মানুষ কি বুঝতে পারে না!”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কেন্দ্রের (central government) কাছে বিপুল বকেয়া টাকার (pending dues) হিসেব নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন (Nabanna) সভাঘর থেকে কেন্দ্রের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Modi) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এমনকী, রাজ্যের চিঠিতে কেন্দ্র  জবাব দিচ্ছে না অভিযোগ তুলে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাল্টা বিঁধলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতার তোলা অভিযোগের একের পর এক জবাব দিলেন বিজেপি সাংসদ। বললেন, ‘‌রাজ্যের বকেয়া রয়েছে নাকি। দিল্লির কাছে আমিও জানতে চাইছি ৯৭ হাজার কোটি টাকার হিসেব এল কোথা থেকে? ৪৩ হাজার কোটি টাকা আমফান–সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য তা বোঝা গেল৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে চড়ে যে খরচ করেছেন সেই খরচ দাবি করছেন। 

    অন্য রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে বিজেপি নেতার  আরও কটাক্ষ, ‘পার্টির লোককে সরকারি পয়সায় পুষবেন আর সেই টাকা দিল্লি দেবে? অন্য রাজ্য কান্নাকাটি করে না। কেন টাকা নেই টাকা নেই বলে দাবি? খালি মোদিজির টাকায় ফুটানি মারবেন। আর দিল্লির প্রকল্প নিজের নামে চালাবেন। বাংলার মানুষ কি বুঝতে পারে না?’

     

     

     

LinkedIn
Share