Blog

  • ONDC: দেশের পাঁচটি শহর থেকে প্রথম চালু হচ্ছে সরকারের ই-কমার্স সেক্টর

    ONDC: দেশের পাঁচটি শহর থেকে প্রথম চালু হচ্ছে সরকারের ই-কমার্স সেক্টর

    ই-কমার্স সেক্টরে ফ্লিপকার্ট (Flipkart) এবং  অ্যামাজন (Amazon)-এর আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ভারত সরকার নিয়ে আসছে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের প্রায় ছ’কোটি খুচরো বিক্রেতা এর সুবিধা নিতে পারবে।  খুব শীঘ্রই নিজস্ব ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস চালু করতে চলেছে সরকার। এই উন্মুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামোর নাম ওপেন নেটওয়ার্ক ডিজিটাল কমার্স বা ওএনডিসি (Open Network for Digital Commerce)। এটি হবে এমন এক ধরনের ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস যেখানে মুদি ব্যবসায়ীরাও নিজেদের রেজিস্ট্রেশান করাতে পারবেন।

    বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে কর্মরত শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের (ডিপিআইআইটি) উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অনিল আগরওয়াল জানিয়েছেন যে, সরকার এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু, কোয়েম্বাটুর, শিলং এবং ভোপাল থেকে শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এতে মানুষ কেমন সাড়া দিচ্ছেন তা দেখতে চায় সরকার। এই ৫টি শহরে প্রচুর পরিমান খুচরো বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ী রয়েছেন। একইসঙ্গে অনেক লজিস্টিক পার্টনারকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।

    সরকারের নিজস্ব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম করার ভাবনা আসে করোনা মহামারীর সময়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এর কাজ শুরু হয়। সেই সময়ে, অনেক মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সরকারকে, যার জেরে সরকারের এমন একটি উন্মুক্ত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা আসে। এতে দেশের সেই সমস্ত ছোট দোকানদাররা এর ফলে উপকৃত হবেন। যাঁরা এখনও ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের অংশ হয়ে উঠতে পারেননি, তাঁরা এর আওতায় আসবেন।
     
    এতে এক ধরনের ওপেন রেজিস্ট্রি হবে। যাতে ছোট দোকানদাররা নিজেদের রেজিস্টার করাতে পারবেন। এর ফলে খুচরো বিক্রেতাদের অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার জন্য আর আলাদা আলাদা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নিজেকে রেজিস্টার করাতে হবে না। এর ফলে গ্রাহকদেরও বিশেষ সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।  

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ডিজিটাল খোলা বাজারের ভাবনাকে সফল করতে এগিয়ে এসেছেন ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নীলকোনি।এর আগে নন্দন নীলেকানি কেন্দ্র সরকারকে আধার বায়োমেট্রিক আইডি সিস্টেম ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করেছিলেন।

    অন্য দিকে বৃহস্পতিবার অ্যামাজন ইন্ডিয়া এবং ফ্লিপকার্টের কিছু শীর্ষ সেলার-এর অফিসে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (CCI)-র অভিযান চালায়। এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা কেইট (CAIT)-এর সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল,একটি বিবৃতিতে বলেছেন, এটি সিসিআই (CCI)-এর একটি সঠিক পদক্ষেপ। ক্লাউটডেল এবং অ্যাপারিও, যারা কি না অ্যামাজনের সেলার, তাদের অফিসে অভিযান চালানো হয়েছে। সেলারদের ঘরে তল্লাশির ব্যাপার নিয়ে অ্যামাজনের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এই দুটি সংস্থাতেই অ্যামাজনের বিনিয়োগ রয়েছে।

  • National Education Policy: কেন্দ্রের সঙ্গে ফের ‘সংঘাতে’ রাজ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনায় গঠিত ১০ সদস্যের কমিটি

    National Education Policy: কেন্দ্রের সঙ্গে ফের ‘সংঘাতে’ রাজ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনায় গঠিত ১০ সদস্যের কমিটি

    কলকাতা: কেন্দ্র-রাজ্য় সংঘাত (Centre-Bengal spat) এবার শিক্ষাক্ষেত্রেও।  কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) পর্যালোচনা করতে এবার বিশেষ কমিটি গঠন করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal government) । ১০ সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

    গত ৮ এপ্রিল, ওই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে। এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, পৃথক রাজ্য শিক্ষানীতির (State Education Policy) প্রয়োজন রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। কেন্দ্রের শিক্ষানীতি (NEP 2020) প্রকাশ পাওয়ার পর মহারাষ্ট্র ও কেরল সরকার যেমন নিজেদের পৃথক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তেমন কোনও পদক্ষেপ এরাজ্যও গ্রহণ করতে পারে কি না, তা পর্যালোচনা করবে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওই আধিকারিক বলেন, সাম্প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (University Grant Commission) নেওয়া নির্দেশিকাও (UGC guidelines) খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।

    রাজ্যের গঠিত ১০ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন — কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Columbia University) অধ্যাপিকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, এনআইটি দুর্গাপুরের ডিরেক্টর অনুপম বসু এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) অধ্যাপক সুগত বসু (Sugata Basu), সংস্কৃত ভাষা বিশেষজ্ঞ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি (Nrisingha Prasad Bhaduri) প্রমুখ। 

    এর আগের দিন, অর্থাৎ গত ৭ এপ্রিল, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bengal Education Minister Bratya Basu) ঘোষণা করেছিলেন যে, কেন্দ্রের শিক্ষানীতি কার্যকর করবে না পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। পরিবর্তে, রাজ্য সরকার নিজস্ব শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, অন্য সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাতেও জোর করে নিজেদের নীতি জারি করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।  তবে, আমরা তাতে রাজি নই। ফলত, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করার। 

    শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department) সূত্রে খবর, আগামী দুমাসের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে এই কমিটি। রাজ্য সরকারের পৃথক নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, নিজস্ব শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার অধিকার রয়েছে রাজ্যের। এটি ভালো সিদ্ধান্ত। তাঁর মতে, ভারতের মতো জনবহুল এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশে অভিন্ন শিক্ষানীতি কখনই কাম্য নয়। 

    অন্যদিকে, কেন্দ্রের (Modi government) তরফে যুক্তি, জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কেন্দ্রের মতে, জাতীয় শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্য হল ২০৩৫ সাল নাগাদ বৃত্তিমূলক শিক্ষা সহ উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়াদের মোট নিবন্ধীকরণের হার (Gross Enrolment Ratio) ২৬.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা। 

     

  • Sri Lanka economic crisis: আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    Sri Lanka economic crisis: আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সঙ্কটের (economic crisis) মুখে পড়ে শেষমেশ নিজেদের ঋণখেলাপি (defaulter) ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা (sri lanka)। বিদেশি ঋণ নিয়ে দু রকম প্রস্তাব দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF) থেকে সাহায্য মিললে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে রাজাপক্ষের সরকার।

    ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে শ্রীলঙ্কা। তার পর থেকে এহেন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। এক সময়ের সোনার শ্রীলঙ্কা এখন যেন নেই-রাজ্যের দেশ। চাল-গ্যাস-কেরোসিন-পেট্রোল বাড়ন্ত। কাগজের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পরীক্ষা। নিউজ প্রিন্ট আমদানি করার ডলার না থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে খবরের কাগজ ছাপানো। কয়লার অভাবে দিনে প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ ছাঁটাই হচ্ছে। সন্ধে হলেই রাস্তাঘাট নিষ্প্রদীপ। বিদ্যুৎ না থাকায় দহন দিনেও চালানো যাচ্ছে না ফ্যান-এসি। যাঁদের হাতে পয়সা নেই, তাঁর পড়েছেন সব চেয়ে বেশি সমস্যায়। যাঁদের হাতে পয়সা রয়েছে, তাঁদের সমস্যাও বড় কম নয়। বাধ্য হয়েই কোনওক্রমে দিন গুজরান করছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। 

    এহেন পরিস্থিতিতে দেশকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করে দিল রাজাপক্ষের সরকার। শ্রীলঙ্কা সরকারের মাথায় রয়েছে ৫১ বিলিয়ন ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৪ লক্ষ কোটি) বৈদেশিক ঋণ। ঋণ শোধের ব্যাপারে সে দেশের সরকার দুটো প্রস্তাব দিয়েছে ঋণদাতা দেশগুলিকে। এক, তারা চাইলে দেয় ঋণের ওপর সুদ চাপাতে পারে। দুই, চাইলে ধার শোধ করা হতে পারে শ্রীলঙ্কার মুদ্রায়। এমতাবস্থায় আইএমএফের দিকে তাকিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। 

    শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে আর্থিক অনটন চরমে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেওয়া হয়েছে একের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ঋণ শোধের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বিদেশি ঋণদাতা দেশগুলিকে। আইএমএফের তরফে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে। তাই আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজাপক্ষের সরকার। এমতাবস্থায় আরও কতদিন তাঁদের নেই-রাজ্যের বাসিন্দা হয়েই থাকতে হবে, তা বুঝতে পারছেন না দ্বীপরাষ্ট্রের ২২ কোটি মানুষ।

      

  • Gautam Navlakha: যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, এনআইএ আদালতে খারিজ নভলাখার জামিনের আবেদন

    Gautam Navlakha: যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, এনআইএ আদালতে খারিজ নভলাখার জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। তাই সমাজকর্মী গৌতম নভলাখার (Gautam Navlakha) জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণে তাঁর বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। প্রকৃতিগতভাবে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। সোমবার এনআইএর বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ জে কাটারিয়া (Rajesh J Katariya) নভলাখার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

    এদিন জামিনের আবেদন খারিজের সময় আদালতের পর্যবেক্ষণ, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে এই মামলার সঙ্গে তাঁর যোগের প্রমাণ মিলেছে। চার্জশিট থেকে জানা যাচ্ছে, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, আবেদনকারী এই ঘটনার সঙ্গে খুব সম্ভবত জড়িত। তিনি জানান, এই অপরাধ প্রকৃতিগতভাবে খুবই সিরিয়াস। অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে এবং প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, তাঁকে জামিন দেওয়া যায় না। 

    ২০১৮ সালে গ্রেফতার করা হয় নভলাখাকে। ইউএপিএ আইনে এনআইএ গ্রেফতার করে তাঁকে। কেবল নাভলাখাকেই নয়, ওই মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। দেশ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ওই আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁদেরকে। পুলিশের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণের এলগার পরিষদ কনক্লেভে উসকানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। করেছিলেন অর্থ সাহায্যও। পুলিশের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। নাভলাখাদের জ্বালাময়ী ভাষণের জেরেই ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের দ্বিশত বার্ষিকীতে হিংসার (Bhima Koregaon violence) ঘটনা ঘটেছিল।

    আরও পড়ুন : নতুন আইএসআইএস মডিউলের খোঁজ, ছয় রাজ্যে তল্লাশি চালাল এনআইএ

    জানা গিয়েছে, নভলাখাকে প্রথমে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। পরে পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। পরে নভি মুম্বইয়ের তালোজা কারাগারে বন্দি করে রাখা হয় এই সমাজকর্মীকে। এদিন নভলাখার হয়ে আদালতে সওয়াল করেন হর্ষবর্ধন আকোলকর এবং ওয়াহাব খান। তাঁদের দাবি, মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নভলাখাকে। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই। তাঁদের দাবি, তিনি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার। যদিও, আদালত গৌতমের জামিন খারিজ করে।
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ অগাস্ট। দু’টি দিনই ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি৷ এই দু’টি দিনই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কিন্তু দু’টি দিন জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানোর পদ্ধতির পার্থক্য আছে।

    স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা নীচে থেকে উপর পর্যন্ত তোলা হয়। লালকেল্লায় দেশের সম্মানে পতাকা উত্তোলন (Hoist) করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পতাকা খুঁটির নিচের অংশে বেঁধে ওপরে ‘উত্তোলন’ করা হয়। এটি একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে ভারতের উত্থান এবং ব্রিটিশ শাসনের অবসান চিহ্নিত করে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে উঠে দাঁড়িয়েছিল। তাই স্বাধীনতা দিবসে নীচে থেকে পতাকা উত্তোলন করা হয়। যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন ভারতে কোনও রাষ্ট্রপতি ছিলেন না ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।  

    আরও পড়ুন: দেশ বিভাজনের বিভীষিকা, এক যন্ত্রণার ইতিহাস

    অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে, জাতীয় পতাকা খুঁটির একদম শীর্ষেই বাঁধা হয় এবং স্বাধীনতা দিবসের মতো খুঁটির নীচের অংশে বাঁধা হয় না। সেটি শুধু ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে। সেখান থেকে পতাকাকে মুক্ত করা হয়।  প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয় ১৯৫০ সাল থেকে। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। তত দিন ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে। তাই জাতীয় পতাকা সেদিন উপরেই বাঁধা থাকে। সেটির উন্মোচন (Unfurl) করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ডানা মেলার প্রতীক ধরে। এটি একটি মুক্ত সময়কে ইঙ্গিত করে। ২৬ জানুয়ারী, ১৯৫০,  ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন এবং আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান হন। ওই দিন তিনিই পতাকা উন্মোচন করেন।  এরপর থেকেই প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করেন আর প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি পতাকা উন্মোচন করেন।

  • RSS: কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    RSS: কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিকে (Farming) পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম। এ ব্যাপারে তাদের কীভাবে উৎসাহিত করা যায়, তা কেন্দ্রকে দেখতে বললেন আরএসএসের (RSS) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। দুদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এগ্রিকালচারের (Agriculture) শেষ দিনে ভাষণ দিচ্ছিলেন দত্তাত্রেয়। সেখানেই তিনি কৃষিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা বলেন। দেশবাসীর একটা অংশের শহরমুখী হওয়ায় কৃষি শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে, এতে ভারতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার ওপর প্রভাব পড়বে।

    দত্তাত্রেয় বলেন, ভারতে শহরে বাস করেন ৫২ শতাংশ মানুষ। এটা শুভ লক্ষণ নয়। যদি এভাবে গ্রামের লোকজন শহরে চলে যেতে থাকেন, তাহলে ভারতের কৃষি প্রধান দেশের তকমা ঘুঁচে যাবে। যার ব্যাপক প্রভাব পড়বে ভারতীয় কৃষ্টি ও সভ্যতার ওপর। আরএসএসের এই সরকার্যবাহ বলেন, তরুণ প্রজন্মকে কৃষিমুখী করে তুলতে হবে। দক্ষতা বাড়িয়ে এবং  তাদের ভালো ইনসেনটিভ দিয়ে কৃষিমুখী করে তুলতে হবে।

    আরও পড়ুন : ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মোদি, মত আরএসএস নেতার

    এই সম্মেলনের আয়োজক ছিল ভারতীয় কিষান সংঘ, ভারতীয় অ্যাগ্রো-ইকোনমিক রিসার্চ সেন্টার ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ। দত্তাত্রেয় বলেন, কৃষিতে চাষিদের আয় নিশ্চিত হওয়া উচিত। তাহলে উৎপাদন বাড়বে। খাদ্যশস্যের দাম থাকবে সাধারণ মানুষের নাগালে। তিনি বলেন, খাদ্যশস্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগাল ছাড়িয়ে যাক, সেটা কাম্য নয়। কারখানাজাত সামগ্রীর দাম বাড়লে ক্ষতি নেই, তবে খাদ্যশস্য এবং খাদ্যসামগ্রীর দাম থাকা উচিত সাধারণের সাধ্যের মধ্যে।

    আরও পড়ুন :২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    তবে এজন্য যেন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। আরএসএস সরকার্যবাহ বলেন, কৃষিতে তাঁরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন, সেই মূলধন যেন নষ্ট না হয়। তাঁদের আয় নিশ্চিতকরণ করতে হবে। তাঁর মতে, কৃষিতে আয় বাড়লে চাষিদের সম্মানও বাড়বে। তিনি বলেন, কেবল গরিব নন, ধনী চাষিও রয়েছেন। তবে সমাজে তাঁদের স্থান কোথায়? তিনি বলেন, কৃষিবিজ্ঞানী কিংবা কৃষি-অধ্যাপকদের সমাজে জায়গা রয়েছে, কিন্তু কৃষকদের সম্মান নেই কেন?  আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে। স্নাতক স্তরে কৃষির ওপর একটা অধ্যায় রাখা উচিত বলেও মনে করেন এই আরএসএস নেতা। দত্তাত্রেয় বলেন, ভারতীয় পড়ুয়াদের কৃষির ভারতীয় পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। প্রায় ১২০০ বছর আগে ভারতীয় এক ঋষি বই লিখেছিলেন কৃষির ওপর। এর মধ্যে কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে। বিদেশি নয়, আমাদের দেশেই সমস্ত প্রযুক্তি ছিল। তিনি বলেন, আমাদের শুধু সেগুলো পুনর্বার পড়তে হবে।

     

  • Bengali Hindu Homeland: পশ্চিমবঙ্গ দিবসের শপথ: আমি ভয় করব না, ভয় করব না

    Bengali Hindu Homeland: পশ্চিমবঙ্গ দিবসের শপথ: আমি ভয় করব না, ভয় করব না

    ড. জিষ্ণু বসু

     

    আমি একজন বাঙালি হিন্দু। আমার জীবনে আমি কখনও কোনও ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের কোনও ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার মতো কিছু বলিনি। আমার স্বর্গতঃ পিতৃদেব রামকৃষ্ণ মিশনের দীক্ষিত ও একান্ত অনুগামী ছিলেন। আমি আশৈশব অন্য ধর্মের শ্রদ্ধেয় প্রাতঃস্মরণীয়দের সম্মান করতেই শিখেছি। আমার ঠাকুরদাদা মশাইও কখনও কোনও ধর্মের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন বলে শুনিনি।

    সূত্রাপুরের লক্ষীনারায়ণ জীউ মন্দিরের উল্টোদিকে আমাদের ঢাকার বাসাটা ১৯৫১ সালে নেহরু লিয়াকত চুক্তি হওয়ার পরেও ছিল। চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল পাকিস্তানে হিন্দু আর ভারতের মুসলমান শান্তিতে, সসম্মানে থাকতে পারবে। ১৯৫১ সালে পূর্ব-পাকিস্তানে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ২৪ শতাংশ, ২০১১ সালে তা কমে হয়েছে ৮ শতাংশ। গত দশ বছরে সংখ্যাটা আরও কমেছে। দুপারের বঙ্গভুমিতে হিন্দু বাঙালির মোট জনসংখ্যা ১৯৪১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত  ১৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। 

    যাঁরা খুন হননি বা ধর্মান্তরিত হননি তাঁরা পালিয়ে এসেছেন। এখনও আসছেন। এই পালিয়ে আসা মানুষের মধ্যে খুব কম, হাতেগোনা হিন্দু হয়ত দারিদ্রের কারণে এখানে এসেছেন। কিন্তু বাকি কেউই এখানে ২ টাকা কেজি চাল খাওয়ার জন্য আসেননি। একান্ত প্রান বাঁচাতে, বাড়ির মেয়েদের ইজ্জত বাঁচাতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন বা কান্ধামাল, দন্ডকারণ্যে গেছেন।

    গত বছর থেকে আমরা ‘খেলা হবে’ স্লোগানটা খুব শুনছি। কিন্তু এই খেলা আমরা বিগত সত্তর আশি বছর থেকে দেখছি। এই খেলায় সবথেকে বড় ভুমিকা ছিল শাসকদের। যিনি রক্ষক তিনিই ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

    ১৯৬৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর, কাশ্মীরের হজরতবাল মসজিদের থেকে উধাও হয়ে গেল পবিত্র কেশরাজি। এই ঘটনায় পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিলেন ইসলামিক বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আব্দুল হাই। পাকিস্তানের তদানিন্তন রাষ্ট্রপতি আয়ুব খাঁ ঢাকা বিমানবন্দর ছাড়ার সময় বলে গেলেন, “সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আঘাত এলে তার দায়িত্ব সরকারের নয়!” 

    ১৯৬৪ সালে ভয়াবহ দাঙ্গায় পূর্ববঙ্গের কয়েক হাজার হিন্দু বাঙালির প্রাণ যায়। এই গণহত্যার সঙ্গে, অগনিত হিন্দু মহিলা ধর্ষিতা হন, গ্রাম থেকে শহরে লুঠ আর মহিলা অপহরণ চলে, কয়েকশ মন্দির ভাঙা হয়। ঢাকার টিকাটুলির রামকৃষ্ণ মিশনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন পরেই মসজিদে কেশরাজি ফিরে এল, অপরাধীও ধরা পড়ল। কিন্তু খেলার একটি অধ্যায়ে সর্বশ্রান্ত  হয়ে গেলেন, উদ্বাস্তু হলেন লক্ষাধিক বাঙালি হিন্দু।

    ২০২২ সালের কলকাতা। নূপুর শর্মার বক্তব্যের বিরুদ্ধে এরাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার যিনি সর্বাধিকারী, তিনি ৯ জুন তারিখে ট্যুইট করলেন, ”আমি জোরালোভাবে দাবি করছি, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে এবং সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির প্রয়োজনে বিজেপির অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।”

    ১০ জুন সকাল থেকে হাওড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা শুরু হয়। যে সব স্থানে বাঙালি হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে গ্রামের পর গ্রাম পুড়তে থাকে। ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালাতে থাকে। পাঁচলার মতো বহু জায়গায় পুলিশের সামনেই দোকান লুঠ হয়। হিন্দুদের দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারপর একসময় পুলিশের দুটি গাড়িও পোড়ানো হয়।

    ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় ১১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে। নাশকতা পরপর কয়েকদিন চলতে থাকে। এরাজ্যে হিন্দু দেবদেবী নিয়ে আপত্তিকর কিছু বললে, ‘সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির’ কিছু তারতম্য হয় না। কাশীতে বীরেশ্বর শিবের বরে   মা ভুবনেশ্বরী দেবী স্বামী বিবেকানন্দকে পেয়েছিলেন। তাই ছোট্ট বিলে দুষ্টুমি করলে মা তাঁর মাথায়, “শিব, শিব” বলে জল ঢেলে শান্ত করতেন। 

    হিন্দু বাঙালির জীবনের প্রতিটি অংশ জুড়ে আছেন দেবাদিদেব মহাদেব। ভগবান শিবের নামে কেউ অসম্মানজনক কথা বললে তাকে এই রাজ্যের রাজনৈতিক শক্তি পুরষ্কৃত করে। সম্প্রতি শিব ঠাকুরের নামে অশ্রাব্য কথা বলার প্রতিবাদে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানায় একটি অভিযোগপত্র জমা হয় এমাসের ১৩ তারিখে। অভিযোগকারী ৪১ বছরের ছেলেটির জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পুলিশ তো অভিযোগ গ্রহণ করে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেইনি, বরং ছেলেটিকে বারবার পার্টি অফিসে নিয়ে শাসানি চলছে নিয়মিত, গত ১৮ জুন তারিখে ছেলেটিকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। কেন? পশ্চিমবঙ্গ তো বেঙ্গলি হিন্দু হোমল্যান্ড। এখানে কোনও হিন্দুর আরাধ্য দেবতাকে নিয়ে কদর্য কথা বললে পুলিশ কেন এফআইআর গ্রহণ করবে না? কেন অভিযোগকারীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা হবে না? গত ১১ বছর ধরে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার করা একটা বার্ষিক উৎসব হয়ে উঠেছে। কোনও না কোনও একটা অছিলা চাই।

    ২০১৪ সালের খাগড়াগড়ের ঘটনার পরে সিমুলিয়ার মতো মাদ্রাসার ছবি খবরে উঠে এল। হিন্দুদের নিকেষ করার জন্য কী ভীষণ প্রস্তুতি চলছে। এরাজ্যের সরকার প্রথমে ঘটনাটা ঢাকতেই চেয়েছিল। ২০১৫ সালে জামালপুরের তফশিলি সম্পদায়ের হিন্দুদের উৎসব ধর্মরাজের মেলা ছিল ছুতো। নদিয়া জেলার জুড়ানপুরে সেই বাহানায় খুন করা হল মারু হাজরাদের মত ৫ জন তফশিলি সম্প্রদায়ের গরিব অসহায় হিন্দুকে।

    ২০১৬ সালের বাহানা ছিল, কমলেশ তিওয়ারির ফাঁসির দাবি। সেই অপরাধে মালদার কালিয়াচকে থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হল। হিন্দু গ্রাম আক্রান্ত হল, গুলিবিদ্ধ হল সাধারণ মানুষ। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরেরই শুরু হল ধূলাগড়ের দাঙ্গা। এবারের বাহানা ছিল নবী দিবসের। মিলাত-উল-নবী পালন করার উৎসাহে ধূলাগড়ের মতো বহু জায়গায় আগুন জ্বলল। জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। 

    ২০১৭ সালে উওর ২৪ পরগণার বাদুড়িয়ায় একটি ১৭ বছরের বালকের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ছিল বাহানা। হিন্দু মন্দির ভাঙা হল, ঘর পোড়ানো হল, বসিরহাটে দিনের আলোয় খুন হলেন নিরীহ হিন্দু। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে আসানশোলে রামনবমীর মিছিল আক্রান্ত হল। প্রাণ গেল নিরীহ হিন্দুদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাস ছড়ানো হয়েছিল। বিডিও অফিসে অফিসে হার্মাদদের ঘর দেওয়া হয়েছিল। নিহত, ধর্ষিতা আর আক্রান্তদের প্রায় সকলেই হিন্দু বাঙালি।

    ২০১৯ সালে সিএএ বিরোধিতার নামে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। জাতীয় সড়ক অবরোধ, রেল স্টেশনে স্টেশনে চরম নাশকতা। মাসাধিক কাল উওরবঙ্গ আর দক্ষিণবঙ্গ রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। গ্রামে গ্রামে আক্রমণের লক্ষ্য ছিল বাঙালি হিন্দু, বিশেষ করে পূর্ববঙ্গের থেকে সব হারিয়ে আসা উদ্বাস্তু হিন্দু।

    ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পরেও হিন্দুদের উপর এই সিএএ বিরোধী অত্যাচার থামেনি। ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ছুতোয় হত্যা, ধর্ষণ আর লুঠের তাণ্ডবলীলা চলল। অর্ধশতাধিক হিন্দু বাঙালির প্রাণ গেল। যাঁরা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, যাঁরা “ক্যা ক্যা ছি ছি” করে পূর্ববঙ্গের হিন্দু উদ্বাস্তুর অধিকার পেতে দিলেন না, তাঁরা কিন্তু হিন্দু বাঙালির দুঃখের কথা বলবেন না।

    ভারতের কোথাও নির্বাচনের নামে এত লোক মারা যান না। এত বর্বরতা কোনও প্রদেশের মানুষের নেই। অথচ আমরা শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে কত এগিয়ে! এগিয়ে বাংলা! এবার একটা কথা পরিস্কার বলা প্রয়োজন। এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নিকারাগুয়ার জন্য, গাজা ভূখণ্ডের জন্য কথা বলবেন, আর পশ্চিমবঙ্গ যখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে তখন অন্য কোথাও পালিয়ে যাবেন পাথেয় নিয়ে।

    পূর্ববঙ্গের থেকে পালিয়ে আসা সর্বশ্রান্ত মানুষদের আশ্রয়ের জন্য ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো মনীষীরাই এই “বেঙ্গলি হিন্দু হোমল্যান্ড” আদায় করেছিলেন। মহম্মদ আলি জিন্না ১৯৪৭ সালে বহুবার আক্ষেপ করেছিলেন কলকাতা পেলেন না বলে। কিন্তু বাঙালি হিন্দু সেদিন এক ছিল। সুচেতা কৃপালিনী কংগ্রেসের নেত্রী, অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা বামপন্থী, কিন্তু তাঁরা শ্যামাপ্রসাদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের সমবেত প্র‍য়াসেই ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইনসভায় ঠিক হয়েছিল হিন্দুপ্রধান জেলাগুলি নিয়ে তৈরি হবে পশ্চিমবঙ্গ, সেই পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষে থাকবে, বেঙ্গলি হিন্দু হোমল্যান্ড হিসেবে।

    এরপর একের পর এক জেলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়েছে। ২০২১ সালের আদমসুমারিতে স্পষ্টতঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনা নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হবে। তাতে যে কি এল গেল, তা গতবছরের মৃত্যু তালিকা থেকে বোঝা যায়। ২ মে তারিখের পর থেকে ৯ জন খুন হয়েছেন এই জেলায়। ২ জুন সোনারপুরের হারান অধিকারী, ৩ জুন মগরাহাটের সৌরভ বর, ১০ জুন সন্দেশখালির আস্তিক দাস, ১৬ জুন ফলতার অরিন্দম মিদ্দে, ২০ জুন উওর সোনারপুরের নির্মল মণ্ডল,  ২৯ জুন ডায়মন্ড হারবারের রাজু সামন্ত, ২ অগাস্ট সাতগাছিয়ার চন্দনা হালদার, ২৫ অগাস্ট কাকদ্বীপের সমরেশ পাল, ২২ অক্টোবর মগরাহাটের মানস সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জন কেবলমাত্র ডায়মন্ড হারবার লোকসভায়। একটি মাত্র লোকসভা এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় এই মৃত্যু স্বাধীন ভারতের সর্বকালের রেকর্ড।
      
    তাতে অবশ্য এখানে কর্মরত কোনও প্রশাসনিক আধিকারিকের লজ্জাবোধ হয় না! যেসব ঝকঝকে রুপোলি পর্দার তারকারা ‘আমরা অন্য কোথাও যাবো না’ নাটক করেছিলেন তাঁদেরও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেনি। যে যার পুরস্কারের ভাগ পেয়েছেন। পূর্ববঙ্গের হিন্দু উদ্বাস্তুদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পুরস্কার হিসেবে কেউ ডেউচা পাচামির কমিটির সদস্য হয়েছেন।

    বাঙালি জল্লাদদের হাতে কোতল হলে এইসব তারকাদের কিচ্ছুটি যায় আসে না। এনাদের নিজেদের জীবদ্দশায় ভোগটুকু হলেই হল। কারণ নিশ্চিতভাবে এনাদের উত্তরপুরুষ হিন্দু নামধারী হলে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পারবে না। লোকের বাড়িতে কাজ করা তফশিলি জাতির যে মেয়েটি বুকের পাটা টানটান করে বিধানসভায় এসেছে, তাঁকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ রসালো বিষয়েই কেবল এগিয়ে থাকা সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ। স্বাধীনতার পরে ৭৫ বছরে এরাজ্যে এই মানুষগুলি কেন নেতৃত্বে আসেননি? এই প্রসঙ্গে ওই সব কাগজে একটি সম্পাদকীয়, কোনও ফ্রন্ট পেজার বা উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়নি।

    কিন্তু ঈশ্বরের তো কিছু পরিকল্পনা থাকে। বাঙালি হিন্দু ২০৪০ সালের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার হলে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু, স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রী অরবিন্দ বা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভূমিতে আসতেন না। আজ ৭৫ তম পশ্চিমবঙ্গ দিবসে আমাদের শক্তি আর দুর্বলতার হিসেব করা প্রয়োজন। যাকে ব্যবস্থাবিজ্ঞানের ভাষায় “এস.ডাব্লিউ.ও.টি. অ্যানালিসিস” বলে। বাঙালি হিন্দুর বেঁচে থাকার পক্ষে শক্তি কতটা আর দুর্বলতা কী কী?

    পশ্চিমবঙ্গের জন্য ১৯৪৭ সালে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, যাঁরা চেয়েছিলেন যে বাঙালিকে পাকিস্তানের নেকড়েরা যেন দাঁতে নখে না ছিঁড়ে খায়, রাজনৈতিক ভাবে শ্যামাপ্রসাদের দল পশ্চিমবঙ্গ তৈরির পরে সর্বকালের রেকর্ড শক্তি নিয়ে উঠে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও বিরোধী দল হিসেবেও ৭৭ জন বিধায়ক, কেবল যুক্তফ্রন্টের অতি সল্পকালীন সময় ছাড়া আর কোনও দিন, কোনও দলের ছিল না। তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে কখনও পঞ্চাশের গণ্ডি পার করেনি। কিন্তু পয়সা আর ক্ষমতার কাছে বিক্রি হওয়া প্রচারমাধ্যম সে কথা ভুলেও বলে না।

    আর সব থেকে বড় দুর্বলতা হল ভয়। আজ ২০ জুন, ঠিক একমাস আগে চুকনগর দিবস গেল। ১৯৭১ সালের ২০ মে ভারতের সীমান্তবর্তী খুলনার চুকনগরে খান সেনারা ১০ হাজার হিন্দু বাঙালিকে একদিনে হত্যা করেছিল। ওই হতভাগ্যরা কেবল বেঁচে থাকার জন্য ভারতে আসতে চেয়েছিলেন। মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন বন্দুকধারী এই নরসংহার করেছিল। যার অর্থ এক একজন সেমি অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে সাত-আট’শ মানুষকে মেরেছিল। যদি সমবেত নিরস্ত্র মানুষ কেবল পালিয়ে না গিয়ে আক্রমণকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পরত। রাইফেল ছিনিয়ে নিত? বাঘযতীনের রক্ত যাদের শরীরের মধ্যে বইছে, তাদের কাছে এটি বেশি চাওয়া?

    গুরুদেবের সেই কথাটা বারবার মনে হচ্ছে, ” যত বড়ই তুমি হও তুমি তো মৃত্যুর চেয়ে বড় নও।” আজ বাঙালি হিন্দুর মনে রাখা উচিত, এরা কত কষ্ট দেবে? কষ্ট তো মৃত্যু পর্যন্তই! 

    শ্রীমদ্ভাগবতগীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন—
    “যদৃচ্ছায়া চোপপন্নং স্বর্গদ্বারমপাবৃতম।
    সুখিনং ক্ষত্রিয়াং পার্থ লভন্তে যুদ্ধমীদৃশম।।”
    হে পার্থ, অনায়াসপ্রাপ্ত, উন্মুক্ত স্বর্গদ্বারসদৃশ এই প্রকার ধর্মযুদ্ধ ভাগ্যবান ক্ষত্রিয়গণই লাভ করেন। ভগবানের অশেষ করুণা আজকের বাঙালি হিন্দুকে সেই সুযোগ দিয়েছেন। 

    অত্যাচারীর পায়ে মাথা ঘষলেই মুক্তি মিলবে না। নিজেদের মা বোনেদের ইজ্জত বাঁচাতে, ধনপ্রাণ রক্ষা করতে সংগঠিত হতে হবে, প্রয়োজনে পুলিশে কর্মরত ভাইবোনেদের রক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে দেগঙ্গার মতো, ধূলাগড়ের মতো, পাঁচলার মতো আর একটা পুলিশের জিপও যেন না পোড়ে। কালিয়াচকের মতো থানা যেন না জ্বলে। সে ক্ষমতা আমাদের আছে কেবল আমাদেরই আছে। 

    ক্ষুদিরাম বসু জেলের দেওয়ালে  কাঠকয়লা দিয়ে লিখেছিলেন— 
    “বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
    নবানি গৃহ্নতি নরোহপরাণি।
    তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা
    ন্যন্যাতি সংযাতি নবানি দেহী।।”

    ওই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের লেখা কাগজে পড়ুন, তারকা অভিনেতার সিনেমা দেখুন, বম্বের থেকেও প্রতিভাবান বাঙালি শিল্পীর গান শুনুন কিন্তু নিজেদের রোল মডেল করুন প্রফুল্ল চাকি, ক্ষুদিরাম, নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে। উদ্বোধন কার্যালয়, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, গীতা প্রেস বা ইস্কনের স্টল থেকে একটা বাংলা গীতা কিনে নিন। একটি লাল শালুতে মুড়ে নিন। ওটাই আপনার বেঁচে থাকার, জিতে যাওয়ার অস্ত্র।

    আমি, আপনি সাধারণ মানুষ। কেউ কোনও “শ্রী” আপনাকে দেয়নি, ওই পাপের সম্মানে পদাঘাত করুন!  শ্রীচৈতন্য বুদ্ধিজীবীদের দিকে তাকাননি, আমার আপনার দিকে তাকিয়েই “শ্রী শিক্ষাষ্টকম” লিখেছিলেন। এই ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক শক্তি জল্লাদদের সামনে যত মাথা নোয়াবে, আমাদের শিরদাঁড়া তত টানটান হবে, উন্নত হবে শির।
    তোমাদের হাতে আমাকে ভয় দেখানোর আর কিছু নেই। আমরা মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যু আমাদের কাছে পরমানন্দ মাধবের আশির্বাদ।

    খেলা তো হবেই। এটা শেষ খেলা। আমরাই জিতব।

     

    (এই মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)

  • Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা (Fraud) এবং ঋণখেলাপি (stressed borrowers) রুখতে পৃথক ডেটা অ্যানালেটিক উইং (Analytics Wing) রাখতে পারে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি। এর আগে ব্যাংকগুলিকে প্রতারণা এবং ঋণখেলাপি রোখার বিষয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এবার নড়েচড়ে বসল ব্যাংকগুলি।    

    বিশেষজ্ঞদের একটি দল ডেটা অ্যানালেটিক উইং হিসেবে কাজ করবে। এই দলের মূল কাজ হবে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা। ব্যাংকের আয় থেকে ঋণ কাদের দেওয়া হচ্ছে, কবে টাকা ফেরত আসছে সহ গ্রাহক পরিষেবা সবটাই পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে ব্যাংকের এই বিশেষ উইং। সেইমতো পদক্ষেপ নেবে ব্যাংকগুলি। ঋণগ্রহীতাদের ওপর কড়া নজর রাখা এবং ঠিক সময়ে ঋণের টাকা ব্যাংক-এর ভাঁড়ারে আসছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখবে ডেটা অ্যানালেটিক উইং।  

    আরও পড়ুন: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    এক আধিকারিকের মতে, “এই ব্যবস্থায় ব্যপক উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এতে ব্যাংকগুলির আয় বাড়বে, এক নতুন মার্কেট পেতে পারে ব্যাংকগুলি। এমনকি প্রতিযোগীতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এই বিশেষ উইংযুক্ত ব্যাংকগুলি।”

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আধিকারিক আরও জানান, “এই দল ব্যাংকের আয়, গ্রাহক পরিষেবা, কস্ট-রিস্ক এবং ম্যানেজমেন্ট, ঋণ নীতি, প্রতারণা রোধ সবদিকেই নজর রাখবে। এতে গ্রাহক পরিষেবায় এক নতুন মাত্রা আসবে। এমনকি ব্যাংক-এর ঋণ দেওয়া, বীমা, বিনিয়গের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেও সাহায্য করবে এই দল।”

    প্রতিযোগীতার বাজারে ব্যাংকগুলিকে আরও উপযুক্ত করতে এবং ব্যবসাক্ষেত্রে আরও জোয়ার আনতে মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    এই বিশেষ উইং বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টগুলিকে পর্যালোচনা করবে এবং ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করবে। ফলে ব্যাংকের আয় বাড়বে এবং সমগ্র ব্যাংকিং প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    নীরব মোদি-মেহুল চোক্সী প্রতারণা-কাণ্ডে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংককে (পিএনবি) ১৩,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছিল। তার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা পাওনা বাকি রেখে গোপনে দেশ ছেড়েছিলেন বিজয় মাল্য। একের পর এক প্রতারণার ঘটনা থেকে এবার সাবধান হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি।   

      

     

  • Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশজুড়ে ফের ফণা তুলছে করোনা (Covid 19)। সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাকরণে (Vaccination) গতি এনেছে কেন্দ্র। জোড় দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজে (Booster Jab)। কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজকে বুস্টার ডোজ বলা হয়। ভারতে একে পূর্ব সতর্কতা ডোজও বলা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৯ মাসের মাথায় দেওয়া হয় এই বুস্টার শট। 

    চলতি বছর ১০ এপ্রিল থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকারই বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেন, তাহলে তিনি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে পাবেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই নিতে পারবেন এই বুস্টার ডোজ। 

    এপ্রিল মাসে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ লক্ষ করে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারপর চাহিদা খানিকটা কমলেও, মে-র দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে আবার বুস্টার ডোজের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ২১.০৮ লক্ষ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের দ্বিতীয় টিকার কারণে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সাথে অনেকটাই লড়তে সক্ষম হয়েছে দেশ। কিন্তু এখন আবার সেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করেছে। তাই চতুর্থ ঢেউকে প্রতিহত করতে বুস্টার ডোজ নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। যদিও এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।   

    আরও পড়ুন: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ?

    কোনও কোনও বিজ্ঞানীর মতে এই মুহূর্তে করোনার যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার শক্তি খুব বেশি নয়। বুস্টার ডোজ এই দুর্বল ভ্যারিয়েন্টে নিজের ক্ষমতা দেখাতে খুব বেশি সক্ষম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীর নিজে থেকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে নিতে পারে। অ্যান্টিবডি হ্রাস পাচ্ছে মানেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে না এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।  
    রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার নেপথ্যে থাকে টি-সেল এবং বি-সেল। টি-সেল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতারই একটি অংশ। কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এই টি-সেল। কেউ কেউ বলেছেন করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বুস্টার ডোজের কোনও প্রয়োজন নেই। একমাত্র নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এলেই বুস্টার ডোজের কথা ভাবা যেতে পারে।   

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুস্টার ডোজ এই মুহূর্তে তাঁদেরই প্রয়োজন যারা এখন অবধি করোনায় একবারও আক্রান্ত হননি। তাঁদের সেই রোগের কোনও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠেনি। তাঁরা বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। অল্প বয়স্কদের এখনই প্রয়োজন নেই বুস্টার ডোজ। বয়স্করা নিতে পারেন।  

    বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ায় কোনও ভয় নেই। বরং নেওয়া থাকলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো খারাপ পরিস্থিতিতে যেতে পারে না এই মারণ ভাইরাস। জানাচ্ছেন, ৬০% রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালে। তাঁদের মাত্র ৬% বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রশ্ন, কিছু দিনের মধ্যেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট হাজির হবে। তখন কেন হাসপাতালে বুস্টার ডোজ নিতে দৌড়ব? আগে থেকে নিয়ে কেন প্রস্তুত থাকব না? বুস্টার ডোজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাড়তি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা কোমর্বিলিটির রোগী, অর্থাৎ যাদের হৃদরোগ, ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা আছে তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। 

    ভেলোরের খ্রীষ্টান মেডিক্যাল কলেজের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বুস্টার ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ডই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। যদিও ভারতে এই মুহূর্তে সেই ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ আপনাকে প্রথম দুই ডোজে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকাই দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ হিসেবে। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে যে টিকাগুলি দেওয়া হচ্ছে তা করোনার প্রথম ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বানানো হয়েছিল। ভাইরাস এখন মিউটেশনের মাধ্যমে প্রকৃতি বদলেছে। তাই এই ভ্যারিয়েন্টে খুব বেশি কার্যকর হবে না এই টিকা বলে মত তাঁদের।
    তাই যাদের বিপদের আশঙ্কা সব থেকে বেশি একমাত্র তাঁদেরকেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এই বিশেষজ্ঞরা। 

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

  • Job Notification: ১৩০ শূন্যপদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের, কীভাবে আবেদন করবেন? 

    Job Notification: ১৩০ শূন্যপদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের, কীভাবে আবেদন করবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩০ শূন্যপদে  চ্যুক্তিভিত্তিক চাকরির (Contractual Job) বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment)। শুরুতে ২ বছরের চ্যুক্তিতে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে, পরবর্তীতে ৫ বছর অবধি চাকরির সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।   

    যোগ্য প্রার্থীরা শ্রম মন্ত্রকের দেওয়া লিঙ্কে www.ncs.gov.in ক্লিক করে আবেদন করতে পারেন। গুগল থেকেই এই লিঙ্কে গিয়ে আবেদন করতে হবে, এমনটাই বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।  

    আবেদন জমা করার শেষ দিন ২২ জুন, ২০২২। 

    শূন্য পদের সংখ্যা: ১৩০ 

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীকে স্নাতক পাশ হতে হবে এবং চার বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (বিএ, বিই, বিটেক, বিএড)। অথবা স্নাতকোত্তর পাশ (এমবিএ, বা ইকোনমিক্স, সাইকোলজি, সোসিওলজি, অপারেশন রিসার্চ, স্ট্যাটিস্টিক্স, সোশ্যাল ওয়ার্ক, ম্যানেজমেন্ট, ফিন্যান্স, কমার্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন স্নাতকোত্তর পাশ হতে হবে)  এবং ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আইন মেনে হচ্ছে না ১০০ দিনের কাজ 

    বয়সসীমা: এই শূন্যপদগুলিতে আবেদন করার জন্যে ০৮/০৬/২০২২- এর মধ্যে সর্বনিম্ন বয়স ২৪ এবং সর্বোচ্চ বয়স ৪০ হতে হবে। কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী বয়সে ছাড় থাকবে। 

    বেতন: প্রতি মাসে বেতন সমস্ত কর যোগ করে ৫০,০০০ টাকা।

    পোস্টিং: গোটা দেশে যেকোনও জায়গাতেই হতে পারে পোস্টিং। এছাড়া প্রার্থীর পছন্দের জায়গাকেও গুরুত্ব দেবে এনআইসিএস, ডিজিই। 

    দেশে বছর বছর কর্মসংস্থানের হার ৪০% করে বেড়েছে। এমনটাই জানা গেছে কর্মসংস্থান সাইট নকরি ডটকমের ইনডেক্সে। করোনার কারণে ২০২১-এ কর্মসংস্থান যেভাবে হ্রাস পেয়েছিল, সেই অবস্থা অনেকটাই উন্নীত হয়েছে ২০২২ সালে। বিশেষ করে পর্যটন, হোটেল, রিটেল, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় বেকারত্বের হার অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। 

    পর্যটনে কর্মসংস্থান ৩৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রিটেল এবং রিয়েল এস্টেটে যথাক্রমে ১৭৫ এবং ১৪১ শতাংশ। বিমা সংস্থাগুলিতেও ১২৬ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে। ব্যাঙ্কে ১০৪ শতাংশ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ৮৬ শতাংশ বেড়েছে কর্মসংস্থানের (Employment) হার।  

     

     

     

LinkedIn
Share