Blog

  • Jawaharlal Nehru: নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    Jawaharlal Nehru: নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) ঔপনিবেশিক মানসিকতা (colonial mindset) ছিল। তাঁর মৌলিকতাও ছিল না। সেই কারণেই ভারত (India) অতীতে বিশ্বের সামনে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে এই মত পোষণ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক মুকুল কানিতকর। একইসঙ্গে তিনি আশাবাদী, ২০২২ সালেই হৃত অ্যাকাডেমিক গৌরব পুনরুদ্ধার এবং বিশ্বের কাছে তার সংস্কৃতি উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে ভারত।

    বৃহস্পতিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Delhi University) তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোচনাসভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন কানিতকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, ‘রিভিজিটিং আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া ফ্রম স্বরাজ টু নিউ ইন্ডিয়া’। কানিতকরের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    আলোচনাসভায় নেহরুর মতাদর্শকে আক্রমণ করেন কানিতকর। বলেন, একবার নেহরুকে চিঠি লিখে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) অনুরোধ করেছিলেন, উন্নয়ন যাতে একেবারে গরিব শ্রেণি পর্যন্ত পৌঁছয়, তার জন্য “গ্রাম স্বরাজ” বা স্বনির্ভর গ্রামকে মান্যতা দেওয়া হোক। এর জন্য গান্ধী ৬টি পয়েন্টে গোটা বিষয়টি ভেঙে বুঝিয়েছিলেন নেহরুকে। কিন্তু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। কারণ, তাঁর মধ্যে কোনও নিজস্বতা ছিল না এবং তাঁর মানসিকতা ঔপনিবেশিক ছিল। আরেকটি সুযোগ হারিয়েছিল বাংলাদেশ গঠনের সময়। ভারত সেই সময় সহজেই এই উপ-মহাদেশে নিজের জন্য একটা জায়গা তৈরি করতে পারত।

    কানিতকর বলেন, ভারত বিশ্বের কাছে তার প্রকৃত শিক্ষার আত্মাকে উপস্থাপন করার সুযোগের বেশ কয়েকটি জানালা হারিয়েছে। কিন্তু এখন আর আমাদের এই সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত নয়। তিনি বলেন, বিবাদের সমাধান এবং ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মেই। এগুলিকে একটি সামাজিক বিজ্ঞান তত্ত্বের আকারে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। তাহলেই বিশ্ব আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করবে। কানিতকর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে ভারতে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি উপস্থাপন করা উচিত।

    আরও পড়ুন : “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন বলেও মনে করেন কানিতকর। তিনি বলেন, ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। আরএসএসের সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক বলেন, ১৮৩৫ সালের পরে ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের মৌলিকতা হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং এখনও পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করেননি। পোখরান পরীক্ষা ও দেশীয়ভাবে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা ভারতীয় গবেষণার সত্যিকারের নিদর্শন। এর পরেই তিনি নিশানা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।

    এদিনের অনুষ্ঠান বক্তৃতা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে হতে হবে পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ভারতকে আন্তর্জাতিক সম্মান এনে দিয়েছেন বলেও মনে করিয়ে দেন শাহ।

     

  • Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Prophet row: সাসপেন্ডেড বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পাশে দাঁড়ালেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ (Jamaat Ulama-e-Hind) প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। শান্তির বার্তা দিলেন সুহেব। ইসলামের রীতি মেনেই নূপুরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি।

    পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুরের মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়েছে অশান্তি। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন নূপুরকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কাসমি। দেশ জুড়ে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাকে সংগঠন সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। কাসমি বলেন, “এ ভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। ইসলামে বিশ্বাস থাকলে, নূপুর শর্মাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। নূপুর শর্মার মন্তব্য অবমাননাকর হলেও, শুক্রবারের নমাজের পর যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে একেবারেই একমত নই আমরা।”

    সমালোচনার মুখে পড়ে নূপুরকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছে বিজেপি। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কাসমি। তিনি বলেন, “নূপুর শর্মাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ভারতে আইন রয়েছে। আমরা নিজের হাতে সেই আইন তুলে নেব না। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো, আইনভঙ্গের অধিকার নেই আমাদের।” যে বা যাঁরা অশান্তি এবং হিংসা ছড়ানোয় যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান কাসমি। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং মহম্মদ মাদানির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    শুধু তাই নয়, যে সমস্ত সংগঠন হিংসায় উস্কানি জুগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আর্জি জানিয়েছে জামাত উলেমা-ই-হিন্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ এর প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য যে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যেরল পরই বিজেপির তরফ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, সব ধর্মকে সম্মানের চোখে দেখে বিজেপি। বলা হয়, “ভারতের ইতিহাসে সবসময়ে সব ধর্ম একসঙ্গে বিকশিত হয়েছে। কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করার তীব্র নিন্দা করছে বিজেপি। এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয় না বিজেপি (BJP)।”  

     

  • Howrah Violence: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Howrah Violence: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার পাপের ফলে আজ ভুগতে হচ্ছে জনগণকে। হাওড়াকাণ্ডে ( Howrah Violence) এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। হজরত মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি (BJP) মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অশান্ত বাংলার হাওড়া। পরপর দুদিন জেলার একাংশের পরিস্থিত অগ্নিগর্ভ হয়ে রইলেও, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। তার জেরেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের এই ট্যুইটবাণ।

    হাওড়ার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই হুমকির প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, কেন আপনি মিছে ধমক দিচ্ছেন। সবে কিছু দোকানপাট লুঠেছে, পার্টি অফিস, গাড়ি পুড়িয়েছে, বোমা ছুঁড়েছে, থানায় পাথর মেরেছে, রেলস্টেশন ভাঙচুর করেছে। অশান্তির দায় মমতা চাপিয়েছেন বিজেপির ঘাড়ে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই শুভেন্দু বলেন, বিজেপি কোনও পাপ করেনি। আপনার পাপের ফল ভুগতে হচ্ছে জনগণকে।

    [tw]


    [/tw]

    মমতার উসকানিতেই যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। বলেন, আপনি সিএএ নিয়ে ভুল বুঝিয়ে জনগণকে ক্ষিপ্ত করেছিলেন। উসকানি দিয়ে পথে নামিয়েছিলেন। দাঙ্গাবাজদের সাহস জুগিয়েছেন আপনি। সায়নী ঘোষের পবিত্র শিবলিঙ্গ সম্বন্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের বেলায় আপনি চুপ ছিলেন কেন? শুভেন্দুর প্রশ্ন, তখন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগেনি? ক্ষমতা আছে নিন্দা করার?

    আরও পড়ুন : “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    মমতাকে রোম সম্রাট নিরোর সঙ্গে তুলনা করেছেন শুভেন্দু। বলেন, রোম যখন পুড়ছিল তখন নিরো বেহালা বাজাচ্ছিলেন। আর বাংলা যখন পুড়ছে, তখন মমতা গুণ্ডাদের কাছে ভিক্ষা চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীও। শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মন্ত্রী আপনি জেগে উঠুন। মুর্শিদাবাদে বেলডাঙা থানায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে কেন্দ্রের সাহায্য চান। শুভেন্দু বলেন, এক জন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কী আশা করা যায়, যিনি গুন্ডাদের সামনে হাতজোড় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে  ভিক্ষে চাইছেন? 

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দুর কথায় রাজ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে পার্টি অফিস, দোকানপাট। তৃণমূলের মদতপুষ্ট গুন্ডারাই দোকানপাট ভাঙচুর করছে। বাড়িঘরে আগুন লাগানো হয়।

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গত দু দিন ধরে অশান্ত হাওড়া। সড়ক অবরোধের জেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় বাসে ট্রেনে বসে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের। অসুস্থ মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি পরিজনেরা। ক্যান্সার রোগী, বয়স্ক মানুষের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। কোথাও কোথাও পানীয় জলের জন্য হাহাকার করতে দেখা গিয়েছে যাত্রীদের কাউকে কাউকে। শিশুরা কেঁদেছে খাবারের অভাবে। কেঁদে কেঁদে ক্লান হয়ে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে কোনও কোনও শিশু। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মূল স্লোগান ছিল, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। এক মায়ের ছবি দেখিয়ে এদিন তাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, এই দেখুন বাংলার মেয়ের এক মাকে। শিশুর অবস্থা দেখে যিনি উগরে দিচ্ছেন ক্ষোভ।

    [tw]


    ass=”twitter-tweet”>

    The mob on rampage since yesterday is targeting @BJP4Bengal Party Offices & functionaries, as instigated by CM.
    In the name of protest specific places, people & their properties are being attacked.
    The TMC sponsored goons are vandalising and setting shops & homes on fire as well. pic.twitter.com/6fDxAjobcd

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 10, 2022

    [/tw]

  • PFI: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    PFI: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও বেআইনি আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরে দেশ জুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। বুধবার ভোর রাতে থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরে চলে ব্যপাক ধরপাকর অভিযান। এই অভিযান আগে থেকে পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। দীর্ঘদিন ধরেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় হয়ে ওঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    বিশেষ সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করেই এই ধরপাকর অভিযান শুরু হয়। গত তিন চার মাস ধরে এই প্রক্রিয়া চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে বারবার আলোচনা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর নেতৃত্বেই সারা দেশের ১৫ টি রাজ্যের ৯৩টি জায়গায় অভিযান চালায় ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (NSA) অফিসাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, বৃহস্পতিবার অভিযানের সময়ও এ নিয়ে এক প্রস্থ কথা হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, এনআইএ ডিরেক্টর জেনারেল দীনকর গুপ্ত, অজিত দোভাল ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে।  

    আরও পড়ুন: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে এই সংগঠন তৈরি করা হয়। ২০০৬ সালে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী সময়ে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ একাধিক সংগঠন মিলিত হয়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া তৈরি করে। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে।  কেন্দ্রের তরফেও এই সংগঠনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে পিএফআই সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র, বোমা, গানপাউডার,তলোয়ার সহ একাধিক জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। কেরলে এই সংগঠনের বিস্তার সবচেয়ে বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন আইএনএস বিক্রান্তের উদ্বোধন করতে কোচি যান, তখনই কেরল পুলিশ ও নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে পিএফআই নিয়ে তাঁর কথা হয় বলেও জানান ওই আধিকারিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Mamata Award Protest: মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে পদত্যাগ, পদক ফেরালেন ‘অপমানিত’ বিশিষ্টজনরা

    Mamata Award Protest: মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে পদত্যাগ, পদক ফেরালেন ‘অপমানিত’ বিশিষ্টজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপমানিত’ বিশিষ্টরা। কেউ বললেন অশ্রদ্ধা কবিগুরুকে। কেউ ফেরালেন পুরস্কার। কেউ বা করলেন পদত্যাগ। ট্যুইটারে (Twitter) প্রতিবাদ অনেকের। ওখানেই থেমে থাকেনি। সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) মিম-  মশকরার ছড়াছড়ি। লক্ষ্য একজনই। মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সরকারের হাত থেকে নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করেছেন রাজ্যের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী।

    সোমবার ‘নিরলস কবিতার সাধনা’র জন্য বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (Bangla Academy Award) দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বেছে নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindra Nath Tagore) জন্মদিবসের (Rabindra Jayanti) সরকারি কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানকে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মঞ্চে বসা মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমির পক্ষে পুরস্কার দেন তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। পুরস্কার গ্রহণ করেছেন পুরস্কারের ঘোষক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৯৪৬টি কবিতার (Mamata poem) সংকলন ‘কবিতা বিতান’ (Kabita Bitan) কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘কবিতা বিতান’।

    এরপরই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তীক্ষ্ণ সমালোচনায় ফেটে পড়েন সংস্কৃতির গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় (Ratna Rashid Bandopadhyay)। ২০০৯ তিনি বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন ও ২০১৯ সালে বাংলা আকাদেমি তাঁকে দিয়েছিল ‘অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান’ পুরস্কার। গবেষক রত্না তাঁর ২০১৯ সালের পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কবিতার বইয়ের একটা মানদণ্ড থাকবে তো! যে ভাবে বাংলা আকাদেমি এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে তার একটা প্রতিবাদ দরকার। তিনি বলেন, ‘‘উনি (মমতা) একজন মান্যগণ্য মানুষ। উনি আমাদের সবার ভোটে জিতে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ওঁর কাছ থেকে পরিপক্ক সিদ্ধান্ত আশা করি। বইয়ের তো একটা স্ট্যান্ডার্ড (মান) থাকতে হবে। পুরস্কার দিলেই বা উনি নিয়ে নেবেন কেন!’’

    মঙ্গলবারই সাহিত্য আকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন, লেখক ও সম্পাদক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতায় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর দিন কবিকে যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে, তাতে তিনি ‘বিরক্ত’। সেই কারণেই ইস্তফা।” প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন বিশিষ্ট কবি তসলিমা নাসরিনও। তিনি এখন দিল্লিতে থাকেন। ট্যুইটে কবি সাহিত্যিক তসলিমা জানিয়েছেন,”…বাংলার লেখক শিল্পী বুদ্ধিজীবিরা সবাই বিক্রি হয়ে গেছে। অর্থ আর ক্ষমতার কাছে তাঁরা নিজেদের সততা, ব্যক্তিত্ব আর মর্যাদাকে বিকিয়ে দিয়েছেন।”

    [tw]


    [/tw]

    ‘অবাধ্য’ সোশ্যাল মিডিয়া ও বিশিষ্টজনের প্রতিবাদে বেজায় চটেছেন রাজ্যের নাট্যকার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, যিনি আবার বাংলা আকাদেমির সভাপতিও বটে। ব্রাত্য বলেন, “একমাত্র বাঙালিদের একটা অংশই এমন পারে! বলতে ইচ্ছে করছে, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি। অ-বাঙালিরা এমন করতেন না!” বাংলা আকাদেমির আরেক অন্যতম সদস্য কবি সুবোধ সরকারের মতে, এই পুরস্কার আসলে ‘ম্যাগসেসের মত’। “এই ত্রিবার্ষিক সম্মাননা এমন একজন সাহিত্যিককে দেওয়া হল যিনি সমাজকল্যাণে পরিবর্তনের ভূমিকা পালন করেছেন। ১১৩ গ্রন্থের লেখক, জুরি বিচারকদের বিচারে প্রথমেই ছিল কবিতা বিতান।”

    ম্যাগসেসে পুরস্কারকে (Magsaysay award) এশিয়ান নোবেলও বলা হয়। ফিলিপাইনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি র‌্যামন ম্যাগসেসে-এর নামে এই পুরস্কার দেওয়া হয় এশিয়াবাসীদের। ১৯৫৮ সালে এই পুরস্কারের সূচনা। শাসন ব্যবস্থায় সততা, জনগণের প্রতি সাহসী সেবা এবং একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে বাস্তববাদী আদর্শবাদের উদাহরণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পুরস্কৃত করা হয় প্রাপকদের। বিনোবা ভাবে ১৯৫৮ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ম্যাগসেসে পুরস্কার পান।

    tag: 

     

  • Future CJ Pardiwala: মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী, রায়ে মানবিক স্পর্শ, জানুন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য 

    Future CJ Pardiwala: মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী, রায়ে মানবিক স্পর্শ, জানুন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি পদে শপথ নিলেন জামশেদ বুরজোর পারদিওয়ালা। ২০২৮ সালের মে মাসে তিনি হবেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice)। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু’বছর তিন মাস। মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী এই বিচারক কোনও দম্পতির মধ্যে অশান্তি মেটাতে নিজের বাইরে গিয়েও চেষ্টা করেন। তাঁর প্রতিটি রায়ে দেন ‘মানবিকতার স্পর্শ’।  

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা (J B Pardiwala) ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা এই দুই বিচারপতিকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। 

    এর আগে গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন বিচারক জামশেদ বুরজোর পারদিওয়ালা। নতুন দুই বিচারপতি শপথ নেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের মোট বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হল ৩৪। তবে, তা ১০ মে পর্যন্ত। ১০ মে অবসর নেওয়ার কথা বিচারপতি বিনীত সরনের। বিচারপতি ধুলিয়া, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট থেকে পদোন্নতি হওয়া দ্বিতীয় বিচারপতি। অপরদিকে, বিচারপতি পারদিওয়ালা চতুর্থ পার্সি যিনি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে উন্নীত হলেন।   

    ১১ বছর আগে বিচারক হন পারদিওয়ালা। কয়েকজন প্রবীণ বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে প্রতিযোগীতায় হারিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের এই পদে আসীন হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ ৩০ মাস ৩৪ জন বিচারপতির পদ শূন্য ছিল। সম্প্রতি ওই পদগুলি পূরণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নতুন বিচারপতিদের নাম সুপারিশ করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক তা অনুমোদন করে। 

    গত ১১ বছর উচ্চ আদালতে বিচারপতি থাকাকালীন পারদিওয়ালার বিভিন্ন রায় সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে। কোভিড অতিমহামারীর সময় একাধিকবার তিনি সরকারকে তিরস্কার করেছেন। ওই সময় তিনি পুরীতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার অনুমতি দেননি। একটি রায়ে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। সেজন্য তাঁকে ইমপিচ করার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছিল।   

    বিচারপতি পারদিওয়ালার ডাক নাম জাপু। গুজরাতের দক্ষিণে এক পার্সি পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর দাদু কাওয়াসজি নভরোজ পারদিওয়ালা, ১৯২৯ সালে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ১৯৫৮ সাল অবধি আইনের পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জামশেদ পারদিওয়ালার বাবা  বুরজোর কাওয়াসজি পারদিওয়ালা ওকালতির পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন। তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গুজরাত বিধানসভার স্পিকার ছিলেন।

    জামশেদ পারদিওয়ালা ১৯৮৮ সাল থেকে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ২০১১ সালে তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। ২০১৩ সালে তাঁকে ওই পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু জাল উনওয়ালা জানিয়েছেন, একসময় ভাল টেনিস খেলতেন পারদিওয়ালা। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। অদৃষ্টও মেনে চলেন। 

    পারদিওয়ালা তরুণ আইনজীবীদের কাছে একজন অত্যন্ত পছন্দের বিচারপতি। তাঁরা বলেন, পারদিওয়ালার ভাষার ওপরে তাঁর যথেষ্ট দখল আছে। সর্বোপরি তিনি প্রতিটি রায়ে মানবিক স্পর্শ দেন। এক প্রবীণ অ্যাডভোকেট বলেন, বিচারপতি পারদিওয়ালা যদি দেখেন এমন কোনও দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছে যাঁদের সন্তান আছে, তাঁদের তিনি নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান। দু’জনের কাছে আবেদন করেন, সন্তানের কথা ভেবে আপনারা বিচ্ছিন্ন হবেন না। এমনকি বৈবাহিক ধর্ষনেরও বিরোধীতা করেন এই ‘মানবিক’ বিচারপতি। 

     

  • Covaxin ৬-১২ বছর বয়সীদের দেওয়া যাবে Covaxin, জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র DCGI-এর

    Covaxin ৬-১২ বছর বয়সীদের দেওয়া যাবে Covaxin, জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র DCGI-এর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ৬-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ভারত বায়োটেকের (Bharat biotech) কোভ্যাক্সিন (Covaxin) টিকা ব্যবহার করা যাবে। মঙ্গলবার এই বয়সীদের শরীরে কোভ্যাক্সিনের ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)। কবে থেকে টিকা (covid-19 vaccine) দেওয়া শুরু হবে তা এখনও জানানো হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই এই টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হতে পারে বলে খবর। 

    পাশাপাশি, ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও সতর্ক কেন্দ্র। সেই কারণে, ভারত বায়োটেককে ডিসিজিআই-এর কঠোর নির্দেশ — প্রথম দুই মাসের জন্য প্রতি ১৫ দিন অন্তর যথাযথ বিশ্লেষণ সহ ভ্যাকসিনের প্রতিকূল ঘটনার পাশাপাশি এর কার্যকারিতার তথ্যও জমা দিতে হবে। এছাড়া, দুই মাস পরে, ভারত বায়োটেককে ৫ মাসের মাসিক তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

    এর আগে, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর, ১২-১৮ বছর বয়সীদের জন্য কোভ্যাক্সিন টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য কোরবিভ্যাক্স (Corbevax)-কে জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। কোরবিভ্যাক্স বর্তমানে ১২-১৪ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি, ১৫-১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে এই বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে।

    করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও জুন-জুলাই থেকে ফের একবার সংক্রমণের গ্রাফ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাচ্চাদের টিকাকরণ শুরু করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে স্কুলও খুলে গেছে। রাজধানী দিল্লি (Delhi) সহ দেশের কয়েকটি প্রান্তে স্কুল খোলামাত্রই খুদেদের মধ্য়ে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। তাই বাচ্চাদের সুরক্ষার কারণেই জরুরি ভিত্তিতে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকায় ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র।

     

  • President Kovind: বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    President Kovind: বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি নিয়ে শুক্রবার রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হল বিজেপি প্রতিনিধিদল। ১০ জনের ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজেপি-ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা। সেখানে তাঁরা দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। ফলত, সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। 

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রতিনিধিদলের সদস্য এক আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে দিল্লি হাইকোর্ট ও জেলা আদালতের আইনজীবীরা — সকলে মিলে আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করি। আমাদের আবেদন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। তাই সেখানে ৩৫৬ ধারা জারি করা হোক। ওই সদস্য জানান, পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং হিংসা হয়ে চলেছে। এটা রুখতে তাঁর (কোবিন্দ) হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তাই এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত। ওই সদস্য জানান, ২০ মিনিট বৈঠকে রাষ্ট্রপতি গোটা বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। 

    আইনজীবী প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি, এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারবর্গের। কিন্তু, কোভিড-নিয়ন্ত্রণ থাকায় তাঁদের সঙ্গে রামনাথ কোবিন্দের দেখা হয়নি। তবে তাঁদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা। পাশাপাশি, ইন্ডিয়া গেটের কাছে নিহতদের পরিবারবর্গ মোমবাতি মিছিলও করবেন তাঁরা। 

     

  • Taliban Pakistan Conflict: ‘‌কোনওরকম হামলা বরদাস্ত করা হবে না’‌, নাম না করে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    Taliban Pakistan Conflict: ‘‌কোনওরকম হামলা বরদাস্ত করা হবে না’‌, নাম না করে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: নাম না করে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে (Pakistan) এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিল তালিবান (Taliban)। আফগানিস্তানের (Afghanistan) প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব (Mullah Mohammad Yaqoob) সাফ জানিয়ে দিলেন যে প্রতিবেশীদের থেকে কোনও আগ্রাসন বা হামলা (invasion) বরদাস্ত করবে না তালিবান প্রশাসন। তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের (Mullah Mohammad Omar) মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তার ছেলে তথা আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব। সেখানেই তিনি পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেন।

    গত ১৬ তারিখ, কুনার ও খোস্ত প্রদেশে আকাশপথে সামরিক অভিযানে (airstrikes) মহিলা ও শিশু সহ মৃত্যু হয় অন্ততপক্ষে ৩০ জনের। পাকিস্তান ওই হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করে আফগানিস্তানের শাসক তালিবান। এয়ারস্ট্রাইকের পরেই তালিবানের বিদেশ মন্ত্রক পাক রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল। যদিও, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা নিশ্চিত করেনি ইসলামাবাদ। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক “ভ্রাতৃত্বপূর্ণ”। পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, ‘‌শান্তি বজায় রাখতে আফগানিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী পাকিস্তান। পাক ও আফগান দুই ভাইয়ের মতো। দুই দেশের সরকার ও বাসিন্দারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না।’‌ 

    যদিও তালিবদের দাবি, পাক সামরিক হেলিকপ্টারই এই এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে। হামলায় অন্তত ৩৬ জন মারা যান। তার মধ্যে ২০ জন শিশু। তালিবান এই বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নিতে নারাজ। হামলার ঘটনা নিয়ে তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হচ্ছে। মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘‌বিশ্ব ও প্রতিবেশী দেশগুলি আমাদের জন্য নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। কুনারের হামলাই তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এই ধরণের নাক গলানো আমরা বরদাস্ত করব না।’‌ মন্ত্রীর সাফ কথা, ‘আমরা আগ্রাসন সহ্য করতে পারি না। আমরা সেই হামলা সহ্য করেছি। জাতীয় স্বার্থের কারণে আমরা এটা সহ্য করেছি, পরের বার হয়তো আমরা এটা সহ্য করব না।’

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের শাসনভার তালিবানের হাতে আসা ইস্তক প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা লেগেই রয়েছে। ২৬০০ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছে কাবুল ও ইসলামাবাদ। অন্যদিকে, আফগান সীমান্তে লাগাতার জঙ্গি হামলার ঘটনায় একাধিক পাক সেনা প্রাণ হারিয়েছে। এই নিয়ে তালিবানকে বারবার সতর্ক করে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা যেন সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করে। কিন্তু তাতে কোনও ফল না হওয়ায়, বিগত কয়েকমাসে আফগান সীমান্তে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে পাকিস্তান।

  • Omicron: বুস্টার ডোজ নিলেও হতে পারে ওমিক্রন, গবেষণায় মিলল প্রমাণ

    Omicron: বুস্টার ডোজ নিলেও হতে পারে ওমিক্রন, গবেষণায় মিলল প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ভ্যাকসিন ও বুস্টার শট দেওয়ার পর উৎপাদিত অ্যান্টিবডিগুলি আগের করোনভাইরাস স্ট্রেনের তুলনায় ওমিক্রন ভাইরাসের বিরুদ্ধে কম কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছেন আমেরিকার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। 

    ভারতেও দেখা গিয়েছে কোভিডের টিকা নেওয়ার পরও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। এর কারণ হিসেবে মনে করা হয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা অ্যান্টিবডিগুলি নতুন এই প্রজাতির কাছে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ১৮ জন সুস্থ এবং কোভিডের বুস্টার ডোজ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের উপর একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানেই দেখা যায়, ১৪ থেকে ৯২ দিনের মধ্যে তাঁরা আবারও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ২১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এঁরা সকলেই কোভিড টিকা ও বুস্টার ডোজ পেয়েছিলেন। কিন্তু এর আগে কোভিডের কোনও সংক্রমণের আঁচ তাঁদের উপর এসে পড়েনি।

    জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক সিনিয়র লেখক ড. জোয়েল ব্ল্যাঙ্কসন জানান, এই রোগীদের উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিবডি রয়েছে যা করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে কোষের উপরিভাগে বাঁধতে বাধা দেয়, কিন্তু অ্যান্টিবডিগুলি আসল স্ট্রেনের তুলনায় ‘ওমিক্রন স্ট্রেনের সাথে প্রতিক্রিয়ার সময় সেই কাজটি সম্পাদন করেনি। গবেষকরা জানান, সার্স কোভ-২-এর ভাইরাস আমাদের শরীরে মূল স্ট্রেনের প্রতি প্রতিক্রিয়া ঘটায়। ভাইরাসের অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ (সাধারণত ACE2 নামে পরিচিত) এর সঙ্গে তা যুক্ত হলেই কোভিড সংক্রমণ হয়। ওমিক্রনের ভাইরাস এই ACE2 এপ স্পাইপ প্রোটিনের সঙ্গে কোভিড অ্যান্টিবডিকে সংযুক্ত হতে বাধা দেয়। যা সংক্রমণের প্রধান কারণ। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই টি-কোশই প্রধান ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে ওমিক্রনের সংক্রমণ ততটাও শরীরে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি। 

LinkedIn
Share