Blog

  • Maoist Killed: ছত্তিশগড়ের বিজাপুুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই, নিকেশ ১২ মাওবাদী

    Maoist Killed: ছত্তিশগড়ের বিজাপুুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই, নিকেশ ১২ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম ১২ জন মাওবাদী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই। মাওবাদীদের (Maoist Killed) ধরতে বিশেষ অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে গুলির লড়াই।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Maoist Killed)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীদের একটি যৌথ বাহিনী মাওবাদীদের (Maoist Killed) তল্লাশিতে বিশেষ অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় হানা দেওয়ার পর বিজাপুরে এসে পৌঁছন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। দু’তরফেই চলতে থাকে গুলি। তার জেরেই এখনও পর্যন্ত ১২ জন মাওবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর আগে ৭ জানুয়ারি ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের করা একটি বিস্ফোরণে শহিদ হন ৮ জওয়ান। এই আট জওয়ানের মধ্যে শহিদ পাঁচজন প্রাক্তন মাওবাদী ছিলেন। অর্থাৎ তাঁরা জীবনের একটা বড় সময় নকশাল বা মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে মতাদর্শ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করে নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাসাগুদা থানার অন্তর্গত পুটকেল গ্রামের কাছে মাওবাদীদের দ্বারা লাগানো ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের দুই কর্মী আহত হন। পাশাপাশি, দান্তেওয়াড়া এলাকায় চলা এনকাউন্টারের সময় মাওবাদীদের গুলিতে ডিআরজি-এর এক জওয়ানও শহিদ হন।

    বস্তারের আইজি কী বললেন?

    বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে বস্তার অঞ্চলে ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিল। ওই আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী (Maoist Killed) ও স্থানীয় যুবকদের মধ্য থেকে ডিআরজি কর্মীদের বস্তার বিভাগের জন্য নিয়োগ করা হয়। যার মধ্যে ছিলেন বিস্ফোরণে শহিদ ৫ জওয়ানও। জানা গিয়েছে, ৪ জানুয়ারি গভীর রাতে ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ আবুজমাড় এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। এই এনকাউন্টার চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর ইউনিফর্ম পরা ৪ মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন জওয়ানরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BCCI: না মানলেই কড়া শাস্তি! রোহিত-বিরাটদের জন‍্য ১০ দফা নিষেধাজ্ঞা জারি বোর্ডের

    BCCI: না মানলেই কড়া শাস্তি! রোহিত-বিরাটদের জন‍্য ১০ দফা নিষেধাজ্ঞা জারি বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলে তারকা পুজো আর হওয়ার নয়, তা আকারে ইঙ্গিতে পরিষ্কার করে দিতে চাইছে বিসিসিআই। দলে বিশৃঙ্খলতা রুখতে এবার ১০ দফা ফতোয়া জারি করল ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই ১০ দফার নিষেধাজ্ঞা না মানলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের শাস্তিও দিতে চলেছে বিসিসিআই (BCCI)। কোথাও খেলতে গেলে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি মানতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। এই নিয়ম চালু হলে এখন থেকে রোহিত-কোহলিদের অনেক ধরনের সুখ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। 

    ক্রিকেটারদের কী কী নির্দেশিকা বোর্ডের

    ১) ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা এ বার থেকে বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে এ বার থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেই হবে। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য এবং বার্ষিক চুক্তিতে থাকার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেই হবে।

    ২) কোনও সফর বা সিরিজ চলাকালীন কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার এবার থেকে আর অ্যাড (বিজ্ঞাপন) শ্যুট করতে পারবেন না। 

    ৩) কোনও সফরে স্ত্রী বা বান্ধবীদের নিয়ে যাওয়াতে ফতোয়া জারি করেছে বোর্ড। ৪৫ দিনের কোনও সফরে ১৪ দিনের বেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁদের স্ত্রী বা বান্ধবীরা থাকতে পারবেন না।

    ৪) সিরিজের মাঝপথে কোনও ক্রিকেটার আগে ভাগে ঘরে ফিরতে পারবেন না। ব্যক্তিগত জরুরি অবস্থা না হলে পুরো সিরিজ ক্রিকেটারদের দলের সঙ্গে থাকতে হবে।

    ৫) কোনও ক্রিকেটার এবার থেকে ভারতীয় দলের ডিউটিতে থাকাকালীন ব্যক্তিগত ম্যানেজার বা নিজের কোনও কর্মীকে নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন না। যদি কেউ যান ও, সেক্ষেত্রে তাঁকে আলাদা থাকতে হবে।

    ৬) কোনও সফরে অতিরিক্ত মালপত্র নিয়ে যাওয়া যাবে না। লাগেজের ওজন ১৫০ কেজির (৩টে স্যুটকেস আর ২টো কিট ব্যাগ) বেশি হলে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকেই।

    ৭) কোনও ক্রিকেটারের বাড়তি ব্যাগ নেওয়ার প্রয়োজন হলে, তা প্রথমে বেঙ্গালুরুর সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে তবেই তা নিয়ে যাওয়া যাবে।

    ৮) কোনও সিরিজের আগে বা মধ্যে এবার থেকে আর অনুশীলন সেশন মিস করা চলবে না। বোর্ডের অপশনাল ট্রেনিং সেশন থাকলে বিষয়টা আলাদা।

    ৯) এ বার থেকে বোর্ডের কাজে ভারতের সকল ক্রিকেটারকে উপস্থিত থাকতেই হবে। আসলে বিসিসিআইয়ের যে আনুষ্ঠানিক শুটিং হয়, বা প্রচার হয়, তাতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের এবার থেকে হাজিরা বাধ্যতামূলক।

    ১০) কোনও সফর চলাকালীন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর আলাদা করে ভ্রমণ করতে পারবেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সে বিষয়েও বোর্ড নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    কেন এই নির্দেশিকা

    নতুন নিয়মগুলি আনার নেপথ্যে বোর্ডের কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা চায় ক্রিকেটারেরা খেলার প্রতি আরও মনোযোগী হয়ে উঠুক। সেই সঙ্গে দলে একাগ্রতা, শৃঙ্খলা এবং ইতিবাচক মনোভাব চাইছে বোর্ড। ক্রিকেটারদের আরও পেশাদার করাই লক্ষ্য তাদের। অধিনায়ক রোহিত শর্মা, কোচ গৌতম গম্ভীর, প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকর ও বিসিসিআই সভাপতি রজার বিন্নির মধ্যে বৈঠকে ১০ দফা আচরণবিধি তৈরি হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শীতের শেষে কলকাতা কাঁপবে ক্রিকেট জ্বরে! ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ও ফাইনাল-সহ ৯টি ম্যাচ

    আচরণবিধি না মানলে শাস্তি

    সূত্রের খবর, এই সব আচরণ বিধিগুলি কোনও ক্রিকেটার যদি না মানে তবে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ বলেই মনে করা হবে। এর ফলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সেই ক্রিকেটারকে। যার ফলস্বরূপ ওই প্লেয়ারের আইপিএল খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। কাটা হতে পারে তাঁর বার্ষিক চুক্তি এবং ম্যাচ ফি-র টাকাও। সূত্রের খবর, বিসিসিআই জানিয়েছে, যদি ব্যক্তিগত বা অন্য কোনও সমস্যার কারণে এই আচরণ বিধি-র বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করতে হয় তবে সেই ব্যাপারটি আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হবে কোচ এবং প্রধান নির্বাচককে, তবেই এড়ানো যাবে শাস্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SpaceX Starship: আকাশজুড়ে ছড়াল ধ্বংসাবশেষ, কী কারণে মাঝপথেই ভেঙে পড়ল ইলন মাস্কের স্টারশিপ?

    SpaceX Starship: আকাশজুড়ে ছড়াল ধ্বংসাবশেষ, কী কারণে মাঝপথেই ভেঙে পড়ল ইলন মাস্কের স্টারশিপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে মাঝপথেই বিলীন স্পেস এক্স স্টারশিপ (SpaceX Starship)। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অক্সিজেন লিক হওয়াকে দায়ী করলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সংস্থার সিইও ইলন মাস্ক সমাজ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, সাত বারের বিপত্তি সত্ত্বেও পরবর্তী উৎক্ষেপণ সম্পর্কে তিনি যথেষ্ঠ আশাবাদী। মাস্কের দাবি, একই রকমের সমস্যা, যাতে আর পরবর্তীকালে না হয় সেজন্য তাঁরা চেষ্টা চালাবেন। এরপর থেকে দুবার করে পরীক্ষা করা হবে লিকগুলি, সেটাও তিনি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, পুরো রকেটটি ছিল ৩৭ তলা বাড়ির সমান ছিল।

    আট মিনিটের মধ্যেই ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা যায় (SpaceX Starship) 

    বৃহস্পতিবার (আমেরিকার সময়) ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স তাদের স্টারশিপ (SpaceX Starship) রকেটের সপ্তম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালায়। তবে, উৎক্ষেপণের আট মিনিটের মধ্যেই ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা যায়। রকেটটি ভেঙে পড়ে। স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। তবে সাফল্যের বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা ছিল না। স্পেসএক্সের প্রতিনিধি কেট টাইস বলেন, ‘‘আমাদের রকেট ধ্বংস হয়েছে। আমরা হতাশ, তবে এমন পরীক্ষার মাধ্যমেই ভবিষ্যতে সফল হওয়া সম্ভব।’’

    ‘‘সাফল্য অনিশ্চিত, তবে বিনোদন নিশ্চিত’’

    রকেট ভেঙে পড়ার দৃশ্যের ভিডিও তুলে এক্সে পোস্ট করেন কয়েকজন নেটাগরিক। নিজের সংস্থার (SpaceX Starship) রকেট ভেঙে পড়ার সেই ভিডিও শেয়ার করে ঠাট্টার সুরে ইলন মাস্ক (Elon Musk) লেখেন, ‘‘সাফল্য অনিশ্চিত, তবে বিনোদন নিশ্চিত।’’

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে টেক্সাসের বোকা চিকা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে স্টারশিপ রকেট মহাশূন্যে পাঠায় স্পেসএক্স। উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত বুস্টারটি লঞ্চ প্যাডে ফিরে আসে এবং সেটিকে ‘ক্যাচ’ করা হয়। তবে মহাকাশের দিকে ছুটে যাওয়া রকেটটি ধ্বংস হয়ে যায়। 

    আরও পড়ুন: স্যালাইনকাণ্ডে সাসপেন্ড ৬ জুনিয়র ডাক্তার, মেদিনীপুর মেডিক্যালে কর্মবিরতি চিকিৎসক পড়ুয়াদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 253: “তুমি রামজীবনপুরের শীলের মতো—ঈশ্বরেতেও মন আছে, আবার সংসারেও মন আছে”

    Ramakrishna 253: “তুমি রামজীবনপুরের শীলের মতো—ঈশ্বরেতেও মন আছে, আবার সংসারেও মন আছে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    যদু মল্লিকের বাড়ি—সিংহবাহিনী সম্মুখে—‘সমাধিমন্দিরে

    গান সমাপ্ত হইলে আবার ভাবোন্মত্ত হইয়া যদুকে বলিতেছেন, “কি বাবু, কি গাইব? ‘মা আমি কি আটাশে ছেলে’—এই গানটি কি গাইব?” এই বলিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) গাহিতেছেন:

    মা আমি কি আটাশে ছেলে।
    আমি ভয় করিনে চোখ রাঙালে ॥
    সম্পদ আমার ও রাঙাপদ শিব ধরেন যা হৃৎকমলে।
    আমার বিষয় চাইতে গেলে বিড়ম্বনা কতই ছলে ॥
    শিবের দলিল সই রেখেছি হৃদয়েতে তুলে।
    এবার করব নালিশ নাথের আগে, ডিক্রি লর এক সওয়ালে ॥
    জানাইব কেমন ছেলে মোকদ্দমায় দাঁড়াইলে।
    যখন গুরুদত্ত দস্তাবিজ, গুজরাইব মিছিল চালে ॥
    মায়ে-পোয়ে মোকদ্দমা, ধুম হবে রামপ্রসাদ বলে।
    আমি ক্ষান্ত হব যখন আমায় শান্ত করে লবে কোলে ॥

    ভাব একটু উপশম হইলে বলিতেছেন (Kathamrita), “আমি মার প্রসাদ খাব।”

    ৺সিংহবাহিনীর প্রসাদ আনিয়া ঠাকুরকে দেওয়া হইল।

    শ্রীযুক্ত যদু মল্লিক বসিয়া আছেন। কাছে কেদারায় কতকগুলি বন্ধুবান্ধব বসিয়াছেন; তন্মধ্যে কতকগুলি মোসাহেবও আছেন।

    যদু মল্লিকের দিকে সম্মুখ করিয়া ঠাকুর চেয়ারে বসিয়াছেন ও সহাস্যে কথা কহিতেছেন। ঠাকুরের সঙ্গী ভক্ত কেউ কেউ পাশের ঘরে, মাস্টার ও দুই একটি ভক্ত ঠাকুরের কাছে বসিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—আচ্ছা, তুমি ভাঁড় রাখ কেন?

    যদু (সহাস্যে)—ভাঁড় হলেই বা, তুমি উদ্ধার করবে না!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্য)—গঙ্গা মদের কুপোকে পারে না!

    সত্যকথা ও শ্রীরামকৃষ্ণ—“পুরুষের এককথা” 

    যদু ঠাকুরের কাছে অঙ্গীকার করিয়াছিলেন, বাটীতে চন্ডীর গান দিবেন। অনেকদিন হইয়া গেল চন্ডীর গান কিন্তু হয় নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কই গো, চন্ডীর গান?

    যদু—নানা কাজ ছিল তাই এতদিন হয় নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সে কি! পুরুষ মানুষের এককথা!

    “পুরুষ কি বাত, হাতি কি দাঁত।

    “কেমন, পুরুষের এককথা, কি বল?”

    যদু (সহাস্যে)—তা বটে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তুমি হিসাবী লোক। অনেক হিসাব করে কাজ কর,—বামুনের গড্ডী খাবে কম, নাদবে বেশি, আর হুড়হুড় করে দুধ দেবে! (সকলের হাস্য)

    ঠাকুর কিয়ৎক্ষণ পরে যদুকে বলিতেছেন (Kathamrita), বুঝেছি, তুমি রামজীবনপুরের শীলের মতো—আধখানা গরম, আধখানা ঠাণ্ডা। তোমার ঈশ্বরেতেও মন আছে, আবার সংসারেও মন আছে।

    ঠাকুর দু-একটি ভক্তসঙ্গে যদুর বাটীতে ক্ষীর প্রসাদ, ফলমূল, মিষ্টান্নাদি খাইলেন। এইবারে ৺খেলাৎ ঘোষের বাড়ি যাইবেন।

     

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে অস্ত্র নিয়ে হামলা, একা মহিলা জওয়ানের বীরত্বে লেজ গুটিয়ে পালাল বাংলাদেশিরা!

    BSF: সীমান্তে অস্ত্র নিয়ে হামলা, একা মহিলা জওয়ানের বীরত্বে লেজ গুটিয়ে পালাল বাংলাদেশিরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border) চলল গুলি। উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি গবাদি পশু। বুধবার মধ্যরাতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের সীমান্তে গরুপাচার ঠেকাতে তৎপর বিএসএফ। দুষ্কৃতীরা বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর, অস্ত্র ছোড়ে। পাল্টা গুলি ছুড়তে হয় বিএসএফকে। ব্যাস, তার পরই দে দৌড় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর দল। এর আগে মালদার (Malda) বৈষ্ণবনগরে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে আগেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সেখানে বিএসএফ-এর (BSF) সঙ্গে গ্রামবাসী হাতে হাত লাগিয়ে নেমেছিলেন লড়াইয়ের ময়দানে। এবার পুরানো মালদার সীমান্তে আউট পোস্ট (India Bangladesh Border) নানহালভঙ্গে এক মহিলা বিএসএফ জওয়ানের ওপর হামলা চালায় অনুপ্রবেশকারীরা। সেই সময় একাই কার্যত দেবী দুর্গার মতো ‘রণাঙ্গনে’ রুখে দেন বাংলাদেশিদের। অনুপ্রবেশকারী ও পাচারকারীদের দেন যোগ্য জবাব। আত্মরক্ষার স্বার্থে ওই মহিলা জওয়ান চালালেন পরপর গুলি। ‘লেজ’ গুটিয়ে পালায় অনুপ্রবেশকারীরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে সীমান্তে (India Bangladesh Border)  নজরদারির কাজ করছিলেন এক মহিলা জওয়ান। সেই সময় বাংলাদেশের দিক থেকে গবাদি পশু নিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিক থেকে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী। মহিলা বিএসএফ জওয়ান সেই সময় ওই এলাকায় পাহারায় ছিলেন। আওয়াজ পেয়েই তিনি সেই দিকে ছুটে যান। পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের সতর্ক করতে চিৎকার শুরু করেন। তখনই বাংলাদেশের দিকে থাকা অনুপ্রবেশকারীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে ওই মহিলা জওয়ানের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে (India Bangladesh Border)। সেই সময় মহিলা জওয়ান আকাশের দিকে তাক করে পরপর গুলি ছোড়েন। চোরাকারবারীরা তখনও এগিয়ে যেতে থাকেন। এরপর পাচারকারীদের দিকে তাক করে এক রাউন্ড গুলি চালান। ব্যস। তাতেই আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায় পাচারকারীদের। রণে ভঙ্গ দিয়ে তৎক্ষণাৎ অনুপ্রবেশকারীরা অন্ধকারে বাংলাদেশের দিকেই পালিয়ে যায়। ফেলে যায় গরুগুলিকে। সেগুলিকে উদ্ধার করেন ওই বিএসএফ জওয়ান।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল সইফের ছোট ছেলে জেহ্! পুলিশকে দেওয়া পরিচারকের বয়ানে হাড়হিম করা তথ্য

    উদ্ধার ৫টি গবাদি পশু

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওপার সীমান্তের ১৫ থেকে ২০ জন সশস্ত্র একটি দুষ্কৃতীর দল জড়ো হয়েছিল। মালদার হবিবপুর সীমান্তের (India Bangladesh Border)  নানহালভঙ্গে বা নাঙ্গোলবান্দা এলাকা দিয়ে গরু-মোষ পাচারের চেষ্টা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু বিএসএফের প্রহরারত মহিলা জওয়ান অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের অপরাধ ঠেকিয়েছেন। পরে উদ্ধার হওয়া ওই পাঁচটি গবাদি পশু হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ (BSF) কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar SIM Card: জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে সিমকার্ড কেনার সময় বায়োমেট্রিক যাচাই হবে বাধ্যতামূলক

    Aadhaar SIM Card: জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে সিমকার্ড কেনার সময় বায়োমেট্রিক যাচাই হবে বাধ্যতামূলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইল ফোনের সিমের (Aadhaar SIM Card) নতুন সংযোগ দিতে এবার থেকে গ্রাহকের যাচাইয়ে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে এবার দ্রুত বড়সড় বদল আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং টেলিকম দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন আর্থিক জালিয়াতি এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ডকে আটকাতে এবার থেকে প্রতিটি সিমকার্ডের ক্রেতাকে যাচাই করে নিতে হবে বায়োমেট্রিক (Biometric Verification)। ফলে আধার ভিত্তিক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে আগামী দিনে।

    গ্রাহকের আধার নম্বর এবং বায়োমেট্রিক মেলাবে (Aadhaar SIM Card)

    এবার থেকে নতুন সিম কিনলেই তা আর চালু হবে না। গ্রাহকের আধার নম্বর এবং বায়োমেট্রিক (Biometric Verification) অর্থাৎ হাতের আঙুলের ছাপ, বা চোখের মণি কিংবা মুখের ছবিকে মিলয়ে দেখবে টেলিকম সংস্থা। একইভাবে, আগামী দিনে একজন ব্যক্তির নামে সর্বাধিক ৬টির বেশি সিম নেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। ভুল তথ্য দিয়ে সিম নেওয়া এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য অপরাধীদের কিনারা করা যাচ্ছে না বলে এই ধরনের নিয়ম করা হচ্ছে। তবে আগে দেখা গিয়েছে যে, আধারের বায়োমেট্রিক হাতিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করে আর্থিক প্রতারণা হয়েছে। যে কারণে, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া ছাড়া অন্যত্র এই আধারকে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। ফলে সেই সম্ভাবনা একটা থেকে যাচ্ছে। তাকে কী উপায়ে মোকাবিলা করছে সরকার, তা দেখার।

    আরও পড়ুনঃ ভারত, হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিরাট ছক কষছে চারটি জঙ্গি সংগঠন! ফাঁস সেই নাশকতামূলক চক্রান্ত

    বায়োমেট্রিক যাচাই সফল না হলে চালু হবে না সিম

    সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো আধার (Aadhaar SIM Card) দিয়ে সিম তুলে বেআইনি কাজের ঝোঁক বাড়ছে। যার প্রধান ক্ষেত্রগুলি হল, আর্থিক প্রতারণা, ডিজিটাল অ্যারেস্টের মতো সাইবার অপরাধ। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুষ্কৃতীদের ধরা হবে। ফলে এখন টেলিকম সংস্থাগুলির মতামত জেনে দ্রুত নির্দেশিকা জারি করবে সরকার। নতুন সিম নেওয়ার নিয়মে আধার ছাড়া অন্য নথি গ্রাহ্য করা যাবে না। বায়োমেট্রিক যাচাই সফল না হলে চালু হবে না সিম। একই ভাবে বিএসএনএল সংস্থা জানিয়েছে, “আমাদের কাছে এখনও কোনও তথ্য আসেনি। এলে ভালো করে বলতে পারব।”

    উল্লেখ্য বর্তমানে ব্যক্তিগত পরিচয়ের ঠিকানার প্রমাণ দেখে যে কোনও সিম দেওয়া হয়। ফলে যে কোনও নথি দিয়েই সিম তোলা যায়। যেহেতু আধার বাধ্যতামূলক নয়। আবার জিও, ভোডাফোন জানিয়েছে,  এতদিন পর্যন্ত আধার নম্বর নেওয়া হত এবং তা মিলিয়ে দেখা হত। তবে যাচাইয়ের প্রধান পদ্ধতি ছিল মোবাইলে ওটিপি। আধার নম্বর দিলেও সিম চালু হলেও কিন্তু বায়োমেট্রিক (Biometric Verification) পদ্ধতি যাচাই করা হত না। এবার থেকে নিয়ম বদল হচ্ছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Laurene Powell Jobs: বসন্ত পঞ্চমীতে ফের ফিরবেন মহাকুম্ভে, অমৃত স্নানের অপেক্ষায় সনাতন ধর্মে দীক্ষিত লরেন

    Laurene Powell Jobs: বসন্ত পঞ্চমীতে ফের ফিরবেন মহাকুম্ভে, অমৃত স্নানের অপেক্ষায় সনাতন ধর্মে দীক্ষিত লরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মের প্রতি অনেকের মনেই ক্রমশ আস্থা জাগছে। বিদেশিরাও সনাতন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। এই তালিকায় এবার নাম লেখালেন বিশ্বের ধনী মহিলাদের মধ্যে অন্যতম অ্যাপল কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ ডোবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল। মহাকুম্ভে প্রয়াগরাজে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানেই মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে স্বামী কৈলাশানন্দ গিরির শিবিরে সমস্ত নিয়ম মেনে পূজার্চনা করার পর তাঁকে দীক্ষা দেওয়া হয়। তবে অসুস্থতার কারণে লরেন সঙ্গমে মকর সংক্রান্তির দিন অমৃত স্নান করতে পারেননি। এখন তিনি ভুটানে রয়েছেন। তবে বসন্ত পঞ্চমীতে ফের ভারতে আসতে পারেন লরেন। সেই সময় তিনি প্রয়াগে সারবেন অমৃত-স্নান। 

    সনাতন ধর্মে আকৃষ্ট লরেন

    আগামী, ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী, স্বরস্বতী পুজো সেদিন অমৃত স্নান মহাকুম্ভে। ১৪ জানুয়ারি মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করতে পারেননি লরেন। কুম্ভের ভিড়ে লরেনের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। এত জনাকীর্ণ জায়গায় থাকার অভ্যাস নেই পৃথিবীর অন্যতম ধনী মহিলার। তবে শারীরিক সমস্যা থাকলেও তিনি পুণ্যস্নান করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, সনাতন ধর্মের প্রতি গভীর আস্থা রয়েছে জোব্‌‌স-জায়ার। এর আগেও তিনি স্বামীর সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন। কুম্ভ তথা ভারতে এটি তাঁর দ্বিতীয় সফর। এবার স্বামী কৈলাশানন্দ গিরির কাছে তিনি দীক্ষা নেন। কৈলাশানন্দ সঙ্গমের জল ছিটিয়ে লরেনকে পুণ্য প্রদান করেন। পাশাপাশি সঙ্গমে স্নানের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করেন।

    আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকেই অষ্টম বেতন কমিশন, কত মাইনে বাড়বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের?

    হিন্দু রীতি নীতির প্রতি টান

    সনাতন ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর লরেন গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ধারণ করার সংকল্পও নেন। নতুন নামে ভূষিত হন তিনি। পাশাপাশি হিন্দু রীতি-নীতি মেনে নতুন গোত্র দেওয়া হয় তাঁকে। মকর সংক্রান্তি থেকে লরেন পাওয়েল পরিচিত হন কমলা নামে। তাঁকে অচ্যুত গোত্র দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতের হিন্দু ঐতিহ্যের সঙ্গে লরেনের প্রথম পরিচয় ঘটে তাঁর স্বর্গীয় স্বামী স্টিভ জোবসের হাত ধরে। ১৯৭৪ সালে স্টিভ জোবস যখন বাবা নিম করোলি দরবারে আসেন। সেই সময় স্টিভের সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী লরেন। এই সফরে স্টিভ জবসের সঙ্গে তিনি বেশ কয়েকদিন ছিলেন নিম করোলির আশ্রমে। সেই থেকে হিন্দু রীতি নীতির প্রতি টান বাড়ে লরেন পাওয়েলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindus Under Threat: ভারত, হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিরাট ছক কষছে চারটি জঙ্গি সংগঠন! ফাঁস সেই নাশকতামূলক চক্রান্ত

    Hindus Under Threat: ভারত, হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিরাট ছক কষছে চারটি জঙ্গি সংগঠন! ফাঁস সেই নাশকতামূলক চক্রান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ভারতীয় হিন্দুদের (Hindus Under Threat) বিরুদ্ধে বিরাট নাশকতামূলক চক্রান্ত করছে। তাদের বিস্তৃত প্রস্তুতি এবং কট্টর মৌলবাদীদের লাগাতার হুমকি হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। জানা গিয়েছে, ভারত এবং হিন্দুদের লক্ষ্য করে অনেকদিন ধরেই কাজ করছে এই ইসলামী জেহাদি সংগঠনগুলি। তাদের মূল টার্গেট হিন্দু জন-জীবন এবং সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা। এরকম চারটি জঙ্গি সংগঠন (Militant Organization) হল— ইন্ডিয়ান আমেরিকান কাউন্সিল, খালিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, দাউদ সিন্ডিকেট এবং আল-ইসাবাহ্ মিডিয়া। সংবাদমাধ্যমে এই সংগঠনগুলির নাশকাতার খবর প্রকাশিত হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    আল-ইসাবাহ মিডিয়া (Hindus Under Threat)

    আল-ইসাবাহ্ মিডিয়া হল আনসার-উত তাওহীদ ফির বিলাদ আল-হিন্দের একটি শাখা। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি (Militant Organizationt) ইসলামিক রাষ্ট্র নির্মাণের পক্ষপাতী। আর তাই ভারতকে মুসলমান রাষ্ট্র করতে ভারতের হিন্দুদের (Hindus Under Threa) বিশেষভাবে টার্গেট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাময়িকভাবে নিজেদের আত্মগোপন করে রাখলেও, ২০২৪ সাল থেকে অতিসক্রিয় হয়ে কাজ করছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক বিষয়কে সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে অধিক পরিমাণ মুসলমানদের নাশকতামূলক কাজের জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকে। একইভাবে নিজেদের কাজকে বাস্তবায়িত করতে যুবককের মগজ ধোলাই করে জেহাদ করার জন্য হিংসাত্মক প্ররোচনা দিয়ে থাকে।

    সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার

    জানা গিয়েছে, ভারতকে গাজওয়া-ই-হিন্দ করার জন্য সামজিকভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসার (Hindus Under Threat) বাতাবরণ তৈরি করছে। এই কাজকে বাস্তবায়ন করতে টেলিগ্রাম এবং রকেট চ্যানেলের মতো সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সব থেকে বেশি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। মুসলমানদের কীভাবে এগিয়ে আসতে হবে সেই রাস্তার কথাও বলা হয়েছে। বিশেষ করে কাশ্মীরের উপর কিছু কিছু হিংসাত্মক পোস্টার বানানো হয়েছে। একই ভাবে, উত্তরপ্রদেশে নানা জায়গায় হিন্দু মন্দির এবং জনবসতিকে লক্ষ্য করে বড়সড় আক্রমণের পরিকল্পনা করার জন্য উস্কানি দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে শরিয়া আইন, মুসলিম মহিলাদের বোরখা, হিজাব পরার ওপর জোর দিয়ে আল-ইসাবাহ্ সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রসার করছে। উল্লেখ্য, এই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য যেমন বক্তব্য রাখা হয়েছে, ঠিক তেমনি অমুসলমানদের ইসলাম গ্রহণের জন্য প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সংবিধান, পতাকার সঙ্গে তুলনা করে ইসলাম ধর্মের শুদ্ধতার দিকে বেশি জোর দিয়ে প্রচার করা হয়েছে।

    ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল বা আইএএমসি

    ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল (আইএএমসি) হল বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের (Militant Organizationt) সমন্বয়। হিন্দুদের সব সময় তারা শত্রু বলে মনে করে। তাদের তালিকায় (পড়তে হবে হিটলিস্টে) বেশ কিছু হিন্দু নেতার নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেমন— যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, জে সাই দীপ, পুষ্কর ধামি এবং আরও অনেকে। সকলকেই টার্গেট (Hindus Under Threa) তালিকায় রাখা হয়েছে। আইএএমসি ২০২৪ সালের জন্য যে তালিকা তৈরি করেছে তা পিএফআই দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সংগঠন বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের নিঃশেষ করতে বিরাট পরিকল্পনা করেছে। মিনহাজ খানের মতো কিছু ব্যক্তি রয়েছেন এর পিছনে, যাঁরা সবসময় ভারতের ক্ষতির কথাই ভাবেন। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে প্রায় ৫৫ হাজার ডলার দিয়ে তাঁদের সাহায্য করেছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা। এই সংস্থার সঙ্গে রয়েছে জাস্টিস ফর অল, স্টুডেন্টস্ ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি), ইসলামিক সার্কেল অফ নর্থ আমেরিকা এবং মুসলিম ব্রাদারহুড।

    খালিস্তান এবং ডি-সিন্ডিকেট

    খালিস্তানী জঙ্গি সংগঠন (Militant Organization) সবসময়ে ভারত ধ্বংসের (Hindus Under Threat) ষড়যন্ত্র করে থাকে। একাধিক সময়ে দেশে এবং দেশের বাইরে ভারতীয় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করেছে। সম্প্রতি পাঞ্জাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং আলাদা দেশ গঠনের বিচ্ছিন্ন ভাবনাকে উস্কানি দেওয়ার কাজ করছে। অপর দিকে কানাডা এবং আমেরিকা তাদের জঙ্গিকার্যকালাপকে পরোক্ষে মদত দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তাই এই জঙ্গিদের সক্রিয়তা আগে থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা কট্টর মুসলিমদের পূর্ণ সমর্থন করে থাকে।

    অপর দিকে দাউদ সিন্ডিকেট বা ডি-গ্যাং হল অন্ধকার জগতের কুখ্যাত জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিমের কোম্পানি। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ থেকে সক্রিয় এই গ্যাং। দাউদ ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ গুজরাটে হিন্দু বিরোধী একটি বাতাবরণে প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছিল। একই ভাবে উত্তরপ্রদেশের হিন্দু নেতাদের টার্গেট করতে বিশেষ তালিকা তৈরির কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। বেশির ভাগ বিজেপি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মমতা সরকার ৫০ লক্ষ না দিলে নেবেন না”, স্যালাইনকাণ্ডে মৃতের পরিবারকে বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা সরকার ৫০ লক্ষ না দিলে নেবেন না”, স্যালাইনকাণ্ডে মৃতের পরিবারকে বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইনকাণ্ডে মৃত্যু হয় মামণি রুইদাস নামে এক প্রসূতির। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে মৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ১০ লক্ষ টাকা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার তিনি (Suvendu Adhikari) আশ্বাস দিয়ে যান। একইসঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিমাণ নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।

    ৫০ লক্ষের থেকে এক টাকাও কম নেবেন না (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “চিন্তা করবেন না, যা বলে গেলাম, তাই করব। বাচ্চাটার দায়িত্ব আমার। মুখ্যমন্ত্রী ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ৫০ লক্ষের থেকে এক টাকাও কম নেবেন না। ওর পাঁচ লক্ষ টাকার দরকার নেই, আমিই দশ লক্ষ টাকা দেব। আজকে ২ লক্ষ দিয়ে গিয়েছি, আরও ৮ লক্ষ দেব।” মামনি রুইদাসের স্বামীকে নিয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, “আমি তোমাকে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট লড়াই করে টাকা তোমাকে পাইয়ে দেব। আমার দায়িত্ব।” প্রসঙ্গত, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার-সহ ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য। ডাক্তারদের গাফিলতির তত্ত্বও খাড়া করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আশ্বস্ত করেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে রুজু হবে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও। পাশাপাশি মৃত পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা, পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল সইফের ছোট ছেলে জেহ্! পুলিশকে দেওয়া পরিচারকের বয়ানে হাড়হিম করা তথ্য

    সংক্রমিত স্যালাইন কাদের দেওয়া হয়েছে, তালিকা প্রকাশের দাবি!

    সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারের ফলে রোগীমৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়কদের স্বাস্থ্যভবন অভিযানের শেষে রাজ্য সরকারের কাছে একগুচ্ছ দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমি জানতে চেয়েছিলাম শুধুমাত্র এই ৫ জনকেই এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে, না কি আরও কেউ রয়েছে। আমাকে কোনও জবাব দিতে পারেনি। আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। গত ১ মাস ধরে কোটি কোটি মানুষকে সরকারি হাসপাতালে এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যাদের এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তাদের যে কোনও সময় কিডনি ফেল করতে পারে। তখন এই সরকার নিজের দায় ঝাড়তে কিডনি ফেলের কারণ হিসাবে অন্য কোনও কিছু যুক্তি খাড়া করবে। তাই, কাদের দেওয়ার হয়েছে স্যালাইন তার নাম প্রকাশ করতে হবে।” একই সঙ্গে ফের এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের গ্রেফতারি দাবি করেন তিনি। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় যান শুভেন্দুবাবু। সেখানে এই ঘটনায় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha kumbh 2025: মাঝরাতে ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব, কঠোর ব্রত পালন, মহাকুম্ভে শুরু নাগা সাধু হওয়ার প্রক্রিয়া

    Maha kumbh 2025: মাঝরাতে ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব, কঠোর ব্রত পালন, মহাকুম্ভে শুরু নাগা সাধু হওয়ার প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঠিন ব্রতের মধ্য দিয়ে হওয়া যায় নাগা সাধু (Naga Sadhu)। মৌনী অমাবস্যার আগেই, সাতটি শৈব এবং উদাসীন আখড়া নতুনভাবে নাগা সাধুদের নিয়োগ করবে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর জন্য নাগা সাধুদের অনেক কঠিন ব্রতের মধ্য দিয়েই যেতে হয়। মধ্যরাতে তাঁদের ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব দিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়।

    ১৮০০-রও বেশিজনকে দীক্ষা দেওয়া হবে (Maha kumbh 2025)

    জানা গিয়েছে, ১৮০০-রও বেশিজনকে দীক্ষা দেওয়া হবে নাগা সাধুর। মহানির্বাণী, নিরঞ্জনী, অটল, অগ্নি, আবাহন সহ উদাসীন আখড়ায়, এই নাগা সাধু নিয়োগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই নতুনভাবে দীক্ষিতরা নাগা সন্ন্যাসী (Maha kumbh 2025) হবেন। তার প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাঁরা খাবার ও জল ছাড়া তপস্যা করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে নাগা সাধু দীক্ষিত (Maha kumbh 2025) হবেন?

    শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে নাগা সাধুদের (Maha kumbh 2025) নিয়োগ। এই পর্ব চলবে মৌনি অমাবস্যা পর্যন্ত। জুনা আখড়ার মহন্ত রমেশ গিরি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথমে সাধুরা আখড়ার ধর্মীয় পতাকার নীচে তপস্যা শুরু করবেন। জানা গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা ধরে এই তপস্যা করবেন নাগা সাধুরা। এই সময় তাঁরা (Naga Sadhu) অন্ন বা জল কোনওটাই গ্রহণ করবেন না। এরপর তাঁরা মাঝরাতে গঙ্গায় ১০৮ বার ডুব দিয়ে অমৃতস্নান করবেন। এরপর তাঁদের ক্ষৌর কর্ম এবং বিজয় হবন করা হবে। এখানে পাঁচজন গুরু নব সন্ন্যাসীদের বিভিন্ন জিনিস অর্পণ করবেন। এরপর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা দেবেন। এরপর ফের হবন বা যজ্ঞ হবে। প্রসঙ্গত, ১৯ জানুয়ারির সকালে কটিবস্ত্র খুলে নাগায় রূপান্তরিত করা হবে। উল্লেখ্য, নাগা সন্ন্যাসীদের (Maha kumbh 2025) পোশাক পরে বা দিগম্বর আকারে বসবাসের বিকল্পও দেওয়া হয়। যাঁরা বস্ত্র নিয়ে থাকেন, তাঁরা অমৃতস্নানের সময় শুধুমাত্র নাগা রূপে স্নান করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share