Blog

  • Suvendu Attacks Mamata: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Mamata: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) সরকারের পাশ করা আচার্য বিলকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিলেন, এখানে পাশ করে কোনও লাভ নেই। বিল দিল্লি পাঠাতে হবে। তাঁর কটাক্ষ, দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না।  

    বিরোধীদের শত আপত্তি সত্বেও বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই পাশ হয়েছে আচার্য বিল। এই বিলে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) নন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসবেন এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। বিলের পক্ষে এদিন ভোট পড়ল ১৮২, বিপক্ষে ভোট পড়ল ৪০টি। বিধানসভায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল (University Act Amendment Bill) পাস হয়েছে। এবার রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য যাবে সংশোধনী বিল।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা মারতেই কি স্কুলে গরমের ছুটিবৃদ্ধি? তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই প্রেক্ষিতে এদিন বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, দাবি করেন, “বিধানসভায় সংখ্যা আছে, বিল পাস করিয়ে নিয়েছে৷ কিন্তু আমাদের আপত্তি নথিভুক্ত করেছি৷ বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়নি৷ আগামী সোমবার আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তাঁকে বলব যে বিলে সই না করতে৷ আমি এখনই বলে দিচ্ছি, রাজ্যপাল বিলে সই করবেন না৷”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মনে করিয়ে দেন, শিক্ষা যুগ্মতালিকার অন্তর্ভুক্ত। ফলে, তা যাবে কেন্দ্রের কাছে। তিনি বলেন, বিধানসভায় বিল পাশ হলেও তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। এরপর বিষয়টি যুগ্ম তালিকা ভুক্ত হওয়ায় কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে হবে। তবে তা রাজ্যের নাম পরিবর্তনের মতোই সেখানে গিয়ে পড়ে থাকবে। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক-পত্নীকে তলব সিবিআইয়ের, আগামীকাল জেরা কলকাতাতেই?

    অর্থাৎ, শুভেন্দু জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আপাতত কার্যকরী হচ্ছে না। মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না।”

    বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী— এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিবৃতি দিয়েছে বিশিষ্টজনরাও। তাঁদের তরফে জানানো হয়, কোনও শিক্ষাবিদকে আচার্য করা হোক। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রধান আচার্য হলে ভঙ্গ হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকার’। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিভাস চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, সমীর আইচ, অনীক দত্ত-সহ আরও অনেক বিশিষ্টরা। 

     

  • Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র একের পর এক প্রকল্প চালু করছে। উপকৃত হচ্ছেন সারা দেশের মানুষ। কিন্তু বিরোধিতার জন্যই শুধু বিরোধিতা করে যাচ্ছে মমতার (Mamata) সরকার। কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে নিজেদের নাম দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আবার কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (Central projects) বিরুদ্ধেই বিষোদগার করছে। যার ফলে, বঞ্চিত হচ্ছেন এরাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ। যুক্তি দিয়ে এভাবেই তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের ভ্রান্ত সমালোচনার বিরুদ্ধাচরণ করা থেকে জনগণের কল্যাণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি চালু করার দাবি— এদিন একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার জানান, আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পকে মেনে নিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের প্রকল্প চালু না হওয়ায় মানুষ বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গে ৩ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান প্রকল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু রাজ্যের বাধায় তা কাজে আসেনি। এরাজ্যের সরকার আজ না হয় কাল এই প্রকল্পে যোগদান দিতে বাধ্য হবে বলেই মত তাঁর। এর পিছনে যুক্তিও দেন তিনি। সাম্প্রতিক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়ে তিনি বলেন, “মানুষ স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এই বিল নিয়ে বিধানসভায় বিতর্কও হতে দিচ্ছে না।” একে স্বাস্থ্যসাথী না বলে অস্বাস্থ্য সাথী বা ব্যর্থ সাথী বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

    এই কার্ড নিয়ে হাজার হাজার মানুষ যেভাবে নাজেহাল হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ভাবে ফুঁসে উঠছেন, তার জন্য সরকারি দিশাহীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, কেন্দ্রের বিরোধিতা করার মানসিকতা থেকে রাজ্যের মানুষকেই দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পকে মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে বাধ্য হবেন বলেও তোপ দাগেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    এর পাশাপাশি, মনে করিয়ে দেন রাজ্য সরকারের ১১ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ নিয়ে। তিনি জানান, কেন্দ্র গোটা দেশজুড়েই আয়ুষ্মান ভারত ওয়েলনেস সেন্টার (Ayushman Bharat Wellness Centre) খুলছে। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে রাজি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কিন্তু এখানেও কোন অভিসন্ধি নিয়ে তৃণমূল সরকার হাঁটতে চলেছে তা প্রকাশ্যে এনেছেন সুকান্ত। প্রকল্পটির নাম বদলে রাজ্য নাম দিয়েছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর পিছনে আর এক কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছে বিজেপি। তাই তারাও সতর্ক থাকছে। দুর্নীতি রুখতে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। দরকারে খোলা রাখা হচ্ছে সিবিআইয়ের (CBI) কাছে যাওয়ার রাস্তা। কেন্দ্রকেও অনুরোধ করা হয়েছে গোটা বিষয়টির প্রতি কড়া নজর রাখতে। 

    এরই পাশাপাশি জ্বালানি ইস্যু নিয়েও রাজ্য সরকারকে বেঁধেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর (Fuel cess) কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন (Nabanna) অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) দিতে হবে।

  • India Squad: আইপিএলে সাফল্যের পুরস্কার! দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে উমরান, অর্শদীপ

    India Squad: আইপিএলে সাফল্যের পুরস্কার! দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে উমরান, অর্শদীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএল (IPL 2022) থেকে সোজা জাতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। এমনই লম্বা উড়ান দিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের (SRH) ফাস্ট বোলার উমরান মালিক (Umran Malik) এবং পাঞ্জাব কিংসের (PBKS) বোলার অর্শদীপ সিং (Arshdeep Singh)। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে (South Africa) টি-২০ সিরিজের (T-20 Series) ১৮ জনের ভারতীয় দলে জায়গা করে নিলেন এই দুই তরুণ ক্রিকেটার। জুন মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এই সিরিজ। 

    চলতি বছরই উমরান মালিককে দলে টেনেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ১৩টি ম্যাচ খেলে ২১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। বল করার গড় গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে এই মরশুমে ১০টি উইকেট নিয়েছেন অর্শদীপ সিং। 

    টি-২০ সিরিজে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন কেএল রাহুল (KL Rahul)। এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও বিরাট কোহলিকে (Kohli)। বিশ্রামে থাকবেন জসপ্রীত বুমরাহও (Bumrah)। লোকেশ রাহুলের সহকারীর দায়িত্ব পালন করবেন ঋষভ পন্ত (Pant)। 

    আরও পড়ুনঃ আইপিএলে অনন্য কীর্তি বিরাটের, ছুঁলেন এই মাইলস্টোন

    যেখানে বড় নামী ক্রিকেটাররা বাদ গেছেন সিরিজ থেকে সেখানে এই দুই তরুণ ক্রিকেটারদের দলে স্থান পাওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। শিখর ধাওয়ানের (Shikhar Dhawan) মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও এবার নিজের জায়গা করে নিতে পারেননি দলে। উমরান ও অর্শদীপ ছাড়া জায়গা পেয়েছেন হর্ষল প্যাটেল (Harshal Patel) ও আবেশ খান (Avesh Khan)। 

    রাহানে এবং চিতেশ্বর পুজারা এবছরের শুরুতেই শ্রীলঙ্কা সিরিজে নিজেদের জায়গা করতে পারেননি। যদিও পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। চারটে সেঞ্চুরি নিয়ে কামব্যাক করেন রাহানে। 

    আরও পড়ুনঃ উমরান মালিক থেকে লকি ফার্গুসন, একনজরে দেখে নিন আইপিএলের ফাস্ট বোলারদের

    পুরোনোদের মধ্যে দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) রয়েছেন দলে। ফর্মে না থাকা সত্ত্বেও স্থান পেয়েছেন ইশান কিষান (Ishan Kishan)। 

    এক নজরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় টি-২০ দল: 

    লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ইশান কিষাণ, দীপক হুডা, শ্রেয়স আয়ার, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার ও সহ-অধিনায়ক), দীনেশ কার্তিক, হার্দিক পান্ডিয়া, ভেঙ্কটেশ আয়ার, যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল, রবি বিষ্ণোই, ভুবনেশ্বর কুমার, হর্ষল প্যাটেল, আবেশ খান, অর্শদীপ সিং ও উমরান মালিক।  

     
     

  • Ukraine Russia War: “ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি হতে পারে”, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    Ukraine Russia War: “ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি হতে পারে”, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine Russia War) দু’মাস অতিক্রম করেছে। যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই বরং আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছ রাশিয়া (Russia)। এবার সরাসরি পশ্চিমকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World war III) হুঁশিয়ারি দিল রাশিয়া। আর মস্কোর (Moscow) নিশানায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ও ন্যাটোভুক্ত (NATO allies) দেশগুলি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের (Ukraine) ছোড়া নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র (Neptune missile)  রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজের ওপর আছড়ে পড়ে। যুদ্ধজাহাজ মস্কভা (Moskva cruise ship) ধ্বংস হয়ে যাবার পরেই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল রাশিয়ার সরকারি টিভি চ্যানেল। এবার সেই হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ (Sergei Lavrov)। একটি রুশ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাভরভ বলেন, ‘‘রাশিয়াকে নিশানা করতেই ওই সমস্ত অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়া পাল্টা সেখানে হামলা করার অধিকার রাখে।’’

    ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে লাভরভ জানান, তারা সামরিক জোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটা প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ (proxy war) শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘‘মোদ্দা কথা, রাশিয়ার সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে ন্যাটোবাহিনী। আর যুদ্ধ মানে যুদ্ধই।’’ ওই সাক্ষাৎকারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন লাভরভ। তিনি বলেন, ‘‘এটাই বাস্তব। বিশ্ব এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দোড়গোড়ায়। পরিস্থিতি গুরুতর হচ্ছে। কেউই আর এই বাস্তবকে অস্বীকার করতে পারবে না।’’ পাশাপাশি একের পর এক শান্তি বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার দায় কিভের উপরেই চাপিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী।

    রাশিয়ার তরফ থেকে ভাবা হচ্ছে, ন্যাটোর পরিকাঠামোর বিরুদ্ধেই লড়ছে রাশিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের পেছনে নেটোর ভূমিকাই দেখছে রাশিয়া।  খুব স্বাভাবিক ভাবেই রাশিয়ার তরফ থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে চলছে এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা। 

    শুধু তাই নয়, কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশিয়ার দাবি, যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে নিউক্লিয়ার হামলা (Nuclear War)। লাভরভ বলেন, ‘‘যে কোনও মূল্যে পরমাণু যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার নীতিতে অটল রাশিয়া। এটিই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। কিন্তু বর্তমানে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা বিবেচনাযোগ্য। আমরা এসব ঝুঁকি কৃত্রিমভাবে বাড়াতে চাই না।’’ বিদেশমন্ত্রীর এই বিস্ফোরক মন্তব্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। 

     

     

  • Bengal Fund Crunch: অগাস্টের বেতন হয়নি পাঞ্জাবে, বাংলারও কি একই হাঁড়ির হাল? 

    Bengal Fund Crunch: অগাস্টের বেতন হয়নি পাঞ্জাবে, বাংলারও কি একই হাঁড়ির হাল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস শেষ হয়ে পার হয়ে গিয়েছে সপ্তাহ। এখনও অগাস্ট মাসের বেতন হয়নি পাঞ্জাবের (Punjab) সরকারি কর্মীদের। প্রত্যাশিতভাবেই বিরক্ত তাঁরা। আম আদমি পার্টির (APP) সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধীরাও। তবে রাজকোষাগারে অর্থ যে বাড়ন্ত, সে কথা মানতে রাজি নয় ভগবন্ত মানের সরকার। পাঞ্জাবের এহেন দশায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলার সরকারি কর্মীরাও। তাঁরাও ভাবছেন, খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাবে না তো তৃণমূল পরিচালিত সরকার?

    চলতি বছরই কংগ্রেসকে হটিয়ে পাঞ্জাবের ক্ষমতা দখল করে আম আদমি পার্টি। তার পরেই নিয়েছে একের পর এক জনমোহিনী নীতি। অভিযোগ, যা করতে গিয়ে সরকারি কর্মীদের অগাস্ট মাসের বেতন হয়নি মাস শেষ হয়ে ৭ তারিখ পেরিয়ে গেলেও। সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে হরিয়ানার হিসারে গিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কবে বেতন হবে সরকারি কর্মীদের। তখনই তিনি জানান বেতন হবে বুধবার সন্ধের মধ্যে।

    আপ সরকারের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে ফান্ডের কোনও সমস্যা নেই। ট্রেজারি ইতিমধ্যেই ৩ হাজার ৪০০ কোটিরও বেশি টাকা বেতন ও অন্যান্য খাতে খরচের জন্য দিয়ে দিয়েছে। সরকারের তরফে এও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের মাইনেও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ডেমক্রেটিক টিচার্স ফ্রন্ট প্রেসিডেন্ট বিক্রম দেব সিং বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে পূর্বতন সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছিল আপ। ক্ষমতায় আসার পরে তাদেরই অব্যবস্থপনা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    আরও পড়ুন : ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    এদিকে, সম্প্রতি একটি রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাঞ্জাব, বাংলা, কেরল এবং রাজস্থান ঋণভারগ্রস্ত। দেশের শীর্ষ ব্যাংকের এহেন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। তাঁদের প্রশ্ন, অচিরেই কি পাঞ্জাবের দশা হবে বাংলার? হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মেটানো যায়নি কর্মীদের বকেয়া ডিএ। এমতাবস্থায় বেতন বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে, প্রশ্ন শঙ্কিত কর্মীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • S Jaishankar Hits Back: মানবাধিকার প্রসঙ্গে আমেরিকাকে ‘দুসরা’ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের 

    S Jaishankar Hits Back: মানবাধিকার প্রসঙ্গে আমেরিকাকে ‘দুসরা’ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন বিদেশ সচিবকে ‘দুসরা’ দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (EAM S Jaishankar)। সম্প্রতি, ভারত-মার্কিন প্লাস-টু (India US 2+2 dialogue) বৈঠকে আমেরিকার বিদেশ সচিবের কাছে মানবাধিকার (Human Rights) নিয়ে খোঁচা শুনতে হয়েছিল ভারতকে। দু’দিন পর তারই পাল্টা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর বলেন, আপনাদের দেশে মানবাধিকার নিয়েও আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। সময় এলে মুখ খুলবে ভারত (India)।

    দিন কয়েক আগে প্লাস টু বৈঠকে বসে ভারত ও আমেরিকা। ভারতের পক্ষে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং(Defence Minister Rajnath Singh)। আর আমেরিকার তরফে ছিলেন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিকেন (US secretary of state Antony Blinken) এবং অস্টিন লয়েড। ওই বৈঠকেই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হলেও, চোনা পড়ে যায় মার্কিন বিদেশ সচিবের একটি খোঁচায়। 

    ভারতের দুই প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা। কিছু সরকারি আধিকারিক, পুলিশ এবং জেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠছে। আমরা নিয়মিত আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছি।
     
    মার্কিন খোঁচা নিঃশব্দে সেদিন সহ্য করে নেন জয়শঙ্কর। কিন্তু, দুদিন পরই মার্কিন-খোঁচার জবাবে তিনি বলেন, দেখুন কেউ ভারত সম্পর্কে নিজের মতামত দিতেই পারে। কিন্তু আমাদেরও মতামত রয়েছে। আমরা জানি ওরা কেন একথা বলছে। কোন লবি এবং ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, সেসবও আমাদের জানা রয়েছে। আমি আপনাকে বলছি, যখন এনিয়ে আলোচনা হবে, তখন আমরাও মুখ খুলতে পিছপা হব না। 

    জয়শংকর সাফ জানিয়ে দেন, ভারত-আমেরিকা টু প্লাস টু বৈঠকে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়নি, তাই এনিয়ে ভারত কিছু বলেনি। পরে যখন এনিয়ে আলোচনা হবে তখন ভারত আমেরিকা প্রসঙ্গেও নিজেদের মতামত তুলে ধরবে। এর পরেই বিদেশমন্ত্রী বলেন, বহু মানুষের মানবাধিকার নিয়ে আমাদেরও মতামত রয়েছে। আমেরিকায় মানবাধিকার নিয়েও আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নিউ ইয়র্কের (New york) রিচমন্ড হিলের কাছে হিংসার শিকার হয়েছেন দুই শিখ যুবক। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকাকে জয়শঙ্কর বুঝিয়ে দিলেন আমেরিকা যেমন ভারতের ওপর নজর রাখছে, তেমনি চোখ বুজে বসে নেই নয়াদিল্লিও (New Delhi)। সাউথ ব্লকের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে আমেরিকার ওপর।

     

  • Radha Iyengar Plumb: মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাধা

    Radha Iyengar Plumb: মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। পেন্টাগনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় বং‌শোদ্ভূত রাধা আয়েঙ্গার প্লাম্বকে (Radha Iyengar Plumb) মনোনীত করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। বুধবার তাঁকে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি (সামরিক ক্রয় এবং স্থিতিশীলতা) পদে নিয়োগ করা হয়েছে। আমেরিকার সামরিক ক্রয় এবং স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।  গত কিছুদিন ধরেই ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাচ্ছে আমেরিকার সরকার (USA Government)। 

    নিরাপত্তা বিশারদ হিসাবে বহুদিন ধরেই কাজ করছেন রাধা। কর্ম জীবনের শুরুতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী রাধা লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে শিক্ষকতা করতেন। পেন্টাগনের চিফ অফ স্টাফ হিসাবে নিয়োগের আগে তিনি গুগল-এ (ট্রাস্ট এবং সেফটি) গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত  ডেটা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত গবেষণায় গুগলের (Google) ক্রস-ফাংশনাল টিমের নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত৷ এছাড়াও ফেসবুকের (Facebook) নীতি বিশ্লেষণ সংক্রান্ত বিভাগের গ্লোবাল হেড হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন রাধা। রাধা ছাড়াও আরও কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভুতকে গুরুত্বপূর্ণ (USA Appoints Indians) পদে বসিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। গত মাসেই ইন্দো-আমেরিকান কূটনীতিক গৌতম রানাকে আমেরিকার বিশেষ দূত হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। মালির রাষ্ট্রদূত হিসাবে ভারতীয় বংশোদ্ভুত রচনা সচদেব কোরহোনেনকে নিয়োগ করা হয়েছে। 

    অর্থনীতির ছাত্রী রাধা আয়েঙ্গার প্লাম্ব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা, অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ব্যবসা এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ‘বিশেষজ্ঞ’ হিসাবে পরিচিত। সেই কারণেই তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে মার্কিন কূটনৈতিক মহল। নিজের প্রোফাইলে রাধা নিজেকে একজন পলিসি রিসার্চার, ইকোনোমেট্রিক্স, ট্রাস্ট এবং সেফটি ইস্যু বিশেষজ্ঞ এবং প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষ বলে দাবি করেছেন। ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি পদে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারির (US deputy secretary of defense) দফতরে ‘চিফ অফ স্টাফ’ পদে কর্মরত ছিলেন রাধা। সেই সঙ্গে ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি, হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন রাধা। এবার পেন্টাগনের অন্যতম শীর্ষ পদে বসতে চলেছেন তিনি। 

  • Bhojshala Hindu Temple: ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ? 

    Bhojshala Hindu Temple: ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোজশালা (Bhojshala) স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গনে মুসলমানদের নমাজ পড়া স্থগিত চেয়ে আবেদন গ্রহণ করল মধ্যপ্রদেশ (Madhya pradesh) হাইকোর্ট। মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় রয়েছে ওই স্মৃতিস্তম্ভ। সম্প্রতি আদালত মধ্যপ্রদেশ সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতের পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ বিভাগকেও (Archeological survey of India) সমন পাঠিয়েছে। মামলাটি করেছিল হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস (Hindu front for justice)।

    ভোজশালা কমপ্লেক্সে দেবী সরস্বতীর (saraswati) মন্দির ছিল বলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি। তাই হিন্দু সংগঠনটি ওই কমপ্লেক্সে সরস্বতীর মূর্তি স্থাপনের পাশাপাশি কমপ্লেক্সের শিলালিপির রঙিন ছবি তৈরির অনুরোধ জানায়। স্মৃতিস্তম্ভে থাকা পুরাকীর্তি এবং ভাস্কর্যগুলির রেডিওকার্বন ডেটিং (Radio Carbon dating) করার অনুরোধও জানানো হয়েছিল।  

    আরও পড়ুন : অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

    দেশে শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী রাজা ভোজ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দেবী সরস্বতীর মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। পারমার বংশের এই রাজা শিক্ষা প্রসারে একটি কলেজও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কলেজটি ভোজশালা নামে পরিচিত। দূরদুরান্ত থেকে ছাত্ররা পড়তে আসত ভোজশালায়। সঙ্গীত, সংস্কৃত, জ্যোতির্বিদ্যা, যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ ও দর্শনের পাঠ নিতে আসতেন পড়ুয়ারা। হাজার হাজার পড়ুয়া ও বুদ্ধিজীবীদের থাকার ব্যবস্থাও ছিল ভোজশালায়। সরস্বতীর মন্দির গড়ে উঠেছিল ধর জেলায়, ভোজশালা কমপ্লেক্সে। এই ধর জেলাই এক সময় রাজা ভোজের রাজধানী ছিল।

    হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, বর্তমান কামাল মাওলানা মসজিদ, যেটি মন্দির ধ্বংস করার পর নির্মাণ করেছিলেন মুসলিমরা, তাতে ভোজশালার প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে। মসজিদে ব্যবহৃত খোদাই করা স্তম্ভগুলি ভোজশালায় ব্যবহৃত হয়। মসজিদের দেওয়ালে খোদাই করা পাথরের স্ল্যাবগুলিতেও এখনও মূল্যবাহ কারুকার্য রয়েছে। শিলালিপিগুলিতে সংস্কৃত ব্যাকরণের জ্ঞানও উৎকীর্ণ রয়েছে। কিছু শিলালিপিতে রাজা ভোজের পরবর্তীকালের শাসকদের প্রশস্তি খোদাই করা রয়েছে। রাজা ভোজ প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের সরস্বতীর মূর্তিটি বর্তমানে রয়েছে লন্ডনের মিউজিয়ামে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, ১৩০৫, ১৪০১ ও ১৫১৪ সালে মুসলমান শাসকরা ভোজশালার মন্দির ও শিক্ষাকেন্দ্র ধ্বংস করে। ১৩০৫ সালে প্রথম ধ্বংসলীলা চালায় অত্যাচারী মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় ভোজশালায় ১২০০ হিন্দু ছাত্র ও শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মন্দির কমপ্লেক্স। পরবর্তীকালে হামলা হয়েছে আরও দুবার। তারও পরে নির্মাণ হয় কামাল মওলানা মাকবারা। এর ভিত্তিতেই ভোজশালাকে দরগাহ বলে দাবি করা হচ্ছে।

    ১৯৫২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ভোজশালা তুলে দেয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের হাতে। বর্তমানে কেবল বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোর দিন ভোজশালায় প্রবেশ ও পুজো করতে পারেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে হিন্দুদের জন্য ভোজশালা খুলে দেওয়া হয়। তবে উপাসনার জন্য সম্পূর্ণ প্রাঙ্গণ পুনরুদ্ধারের জন্য পিটিশন দাখিল করা হয়।

     

  • ONDC: দেশের পাঁচটি শহর থেকে প্রথম চালু হচ্ছে সরকারের ই-কমার্স সেক্টর

    ONDC: দেশের পাঁচটি শহর থেকে প্রথম চালু হচ্ছে সরকারের ই-কমার্স সেক্টর

    ই-কমার্স সেক্টরে ফ্লিপকার্ট (Flipkart) এবং  অ্যামাজন (Amazon)-এর আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ভারত সরকার নিয়ে আসছে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের প্রায় ছ’কোটি খুচরো বিক্রেতা এর সুবিধা নিতে পারবে।  খুব শীঘ্রই নিজস্ব ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস চালু করতে চলেছে সরকার। এই উন্মুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামোর নাম ওপেন নেটওয়ার্ক ডিজিটাল কমার্স বা ওএনডিসি (Open Network for Digital Commerce)। এটি হবে এমন এক ধরনের ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস যেখানে মুদি ব্যবসায়ীরাও নিজেদের রেজিস্ট্রেশান করাতে পারবেন।

    বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে কর্মরত শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের (ডিপিআইআইটি) উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অনিল আগরওয়াল জানিয়েছেন যে, সরকার এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু, কোয়েম্বাটুর, শিলং এবং ভোপাল থেকে শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এতে মানুষ কেমন সাড়া দিচ্ছেন তা দেখতে চায় সরকার। এই ৫টি শহরে প্রচুর পরিমান খুচরো বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ী রয়েছেন। একইসঙ্গে অনেক লজিস্টিক পার্টনারকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।

    সরকারের নিজস্ব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম করার ভাবনা আসে করোনা মহামারীর সময়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এর কাজ শুরু হয়। সেই সময়ে, অনেক মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সরকারকে, যার জেরে সরকারের এমন একটি উন্মুক্ত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা আসে। এতে দেশের সেই সমস্ত ছোট দোকানদাররা এর ফলে উপকৃত হবেন। যাঁরা এখনও ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের অংশ হয়ে উঠতে পারেননি, তাঁরা এর আওতায় আসবেন।
     
    এতে এক ধরনের ওপেন রেজিস্ট্রি হবে। যাতে ছোট দোকানদাররা নিজেদের রেজিস্টার করাতে পারবেন। এর ফলে খুচরো বিক্রেতাদের অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার জন্য আর আলাদা আলাদা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নিজেকে রেজিস্টার করাতে হবে না। এর ফলে গ্রাহকদেরও বিশেষ সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।  

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ডিজিটাল খোলা বাজারের ভাবনাকে সফল করতে এগিয়ে এসেছেন ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নীলকোনি।এর আগে নন্দন নীলেকানি কেন্দ্র সরকারকে আধার বায়োমেট্রিক আইডি সিস্টেম ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করেছিলেন।

    অন্য দিকে বৃহস্পতিবার অ্যামাজন ইন্ডিয়া এবং ফ্লিপকার্টের কিছু শীর্ষ সেলার-এর অফিসে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (CCI)-র অভিযান চালায়। এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা কেইট (CAIT)-এর সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল,একটি বিবৃতিতে বলেছেন, এটি সিসিআই (CCI)-এর একটি সঠিক পদক্ষেপ। ক্লাউটডেল এবং অ্যাপারিও, যারা কি না অ্যামাজনের সেলার, তাদের অফিসে অভিযান চালানো হয়েছে। সেলারদের ঘরে তল্লাশির ব্যাপার নিয়ে অ্যামাজনের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এই দুটি সংস্থাতেই অ্যামাজনের বিনিয়োগ রয়েছে।

  • National Education Policy: কেন্দ্রের সঙ্গে ফের ‘সংঘাতে’ রাজ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনায় গঠিত ১০ সদস্যের কমিটি

    National Education Policy: কেন্দ্রের সঙ্গে ফের ‘সংঘাতে’ রাজ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনায় গঠিত ১০ সদস্যের কমিটি

    কলকাতা: কেন্দ্র-রাজ্য় সংঘাত (Centre-Bengal spat) এবার শিক্ষাক্ষেত্রেও।  কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) পর্যালোচনা করতে এবার বিশেষ কমিটি গঠন করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal government) । ১০ সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

    গত ৮ এপ্রিল, ওই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে। এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, পৃথক রাজ্য শিক্ষানীতির (State Education Policy) প্রয়োজন রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। কেন্দ্রের শিক্ষানীতি (NEP 2020) প্রকাশ পাওয়ার পর মহারাষ্ট্র ও কেরল সরকার যেমন নিজেদের পৃথক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তেমন কোনও পদক্ষেপ এরাজ্যও গ্রহণ করতে পারে কি না, তা পর্যালোচনা করবে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওই আধিকারিক বলেন, সাম্প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (University Grant Commission) নেওয়া নির্দেশিকাও (UGC guidelines) খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।

    রাজ্যের গঠিত ১০ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন — কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Columbia University) অধ্যাপিকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, এনআইটি দুর্গাপুরের ডিরেক্টর অনুপম বসু এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) অধ্যাপক সুগত বসু (Sugata Basu), সংস্কৃত ভাষা বিশেষজ্ঞ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি (Nrisingha Prasad Bhaduri) প্রমুখ। 

    এর আগের দিন, অর্থাৎ গত ৭ এপ্রিল, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bengal Education Minister Bratya Basu) ঘোষণা করেছিলেন যে, কেন্দ্রের শিক্ষানীতি কার্যকর করবে না পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। পরিবর্তে, রাজ্য সরকার নিজস্ব শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, অন্য সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাতেও জোর করে নিজেদের নীতি জারি করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।  তবে, আমরা তাতে রাজি নই। ফলত, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করার। 

    শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department) সূত্রে খবর, আগামী দুমাসের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে এই কমিটি। রাজ্য সরকারের পৃথক নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, নিজস্ব শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার অধিকার রয়েছে রাজ্যের। এটি ভালো সিদ্ধান্ত। তাঁর মতে, ভারতের মতো জনবহুল এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশে অভিন্ন শিক্ষানীতি কখনই কাম্য নয়। 

    অন্যদিকে, কেন্দ্রের (Modi government) তরফে যুক্তি, জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কেন্দ্রের মতে, জাতীয় শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্য হল ২০৩৫ সাল নাগাদ বৃত্তিমূলক শিক্ষা সহ উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়াদের মোট নিবন্ধীকরণের হার (Gross Enrolment Ratio) ২৬.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা। 

     

LinkedIn
Share