Blog

  • Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইন নিষিদ্ধ (Saline Controversy) করার পরও এরাজ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন? সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি। এই আবহের মাঝে এবার স্যালাইন বিভ্রাটে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায়, স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক? (Saline Controversy)

    মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ি থানায় পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের (Saline Controversy) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন শঙ্কর ঘোষ। তিনি (Sankar Ghosh) বলেন, ‘‘এর আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল-সহ কিছু মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার উৎপাদিত স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করল। মৃত্যুও হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল। তারপরেও এই সংস্থার স্যালাইন কীভাবে সব মেডিক্যাল সাপ্লাই দিল রাজ্য?’’ এ নিয়ে এদিন তিনি আরও  বলেন, ‘‘এই স্যালাইনের ব্যবহারেই অতীতের মৃত্যু হয়েছিল কিনা দেখা হোক। স্বতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিক সরকার। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতারও করতে হবে।” তিনি বলেন, ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা।’’ এই সংস্থার একটি অফিস শিলিগুড়িতে, সংস্থার আরেক ডিরেক্টর মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর বহরমপুরের মুকুল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে সরাসরি কালীঘাটের যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সাপ্লাই করে। ডিসিজিআই-কে দিয়েও তদন্তের অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।”

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০২৪-এর মার্চ মাসেই কর্নাটক সরকার এই স্যালাইন (Saline Controversy) প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই রাজ্যে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। ডিসিজিআই-কে চিঠিও দিয়েছিলেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কর্নাটক যে স্যালাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল, সেই স্যালাইন কেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। এসএসকেএমে লড়াই চলছে আরও তিন প্রসূতির। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ওই তিন প্রসূতিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বস্তুত ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গত ১০ ডিসেম্বর ওই স্যালাইনের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল। তারপরও কীকরে হাসপাতালে তা ব্যবহার করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Incident: স্যালাইনের দোসর অক্সিটোসিন! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে, কেন চুপ সরকার?

    Saline Incident: স্যালাইনের দোসর অক্সিটোসিন! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে, কেন চুপ সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু স্য়ালাইন (Saline Incident) নয়, দোসর অক্সিটোসিনও। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির অবস্থা যে কতটা শোচনীয় তা ফের একবার প্রমাণ করেছে মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা। এই ছবি, রাজ্যের আরও বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজেরও বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের। বিষাক্ত স্যালাইনে তিন প্রসূতির অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সংক্রমণের কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধছে না। ঠিক মতো কাজ করছে না ফুসফুস-কিডনিও। এসএসকেএম হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রয়েছেন নাসরিন খাতুন ও মাম্পি সিং। প্রসূতিদের এই পরিস্থিতির জন্য এবার দায়ী করা হল অক্সিটোসিনকে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনে সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্ট জমা পড়েছে। 

    অক্সিটোসিন কী?

    প্রসবের সময় তীব্র রক্তক্ষরণ হয়। সেই রক্তক্ষরণে বন্ধ করে অক্সিটোসিন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে অনেক প্রসূতির মৃত্যু পর্যন্ত হয়। সেই মৃত্যু রোধ করতেই দেওয়া হয়ে থাকে অক্সিটোসিন।

    কীভাবে দায়ী অক্সিটোসিন

    স্বাস্থ্য ভবনের তৈরি করে দেওয়া তদন্ত বোর্ডের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হচ্ছিল রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের কারণে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক সেই কারণেই। কিন্তু ফাইনাল রিপোর্ট জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়াল। শুধু বিষাক্ত স্যালাইন নয় দোসর অক্সিটোসিনও। এই অক্সিটোসিনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ওই সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্টে এও নাকি বলা হচ্ছে যে, কোনও প্রোটোকল না মেনেই পাঁচ রোগীকে অক্সিটোসিনের হাই ডোজ দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত ১০ ইউনিটের বদলে সবাইকে ১৫ থেকে ২৫ ইউনিট অক্সিটোসিন দেওয়া হয়। যার কারণে হু হু করে রোগীদের রক্তচাপ কমে যায়।

    চিকিৎসকদের দাবি

    স্যালাইনের গুণগত মান (Saline Incident) নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা রাজ্য উত্তাল। এর মধ্যেই চিকিৎসকমহলে প্রশ্ন উঠেছে অক্সিটোসিন নিয়েও। অক্সিটোসিনের গুণগত মানের জেরে সুস্থ মায়েরও মৃত্যু হয় বলে দাবি সরকারি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। তাদের দাবি, অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে সাপ্লাই করা অক্সিটোসিনের গুণমান যথেষ্ট খারাপ। এতটাই যে, কিছু হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে অক্সিটোসিন কিনে আনতে বলা হয়। ঘটনাটি বেশ কয়েক মাস আগে স্বাস্থ্যসচিবের নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন কিছু চিকিৎসক। বৈঠকের জন্য সময় চাওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিব সময় দিতে পারেননি।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যসচিব?

    স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, এই ধরনের মৃত্যু তাঁর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করা হয়। কিন্তু কোন ডাক্তাররা কবে কথা বলতে চেয়েছেন, তা তাঁর পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বা স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারতেন বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।

    স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি

    সংক্রমিত স্যালাইন (Saline Incident) ব্যবহারের জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আগে থেকেই ওই সংস্থার একাধিক পণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল নামে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে নভেম্বর মাসে কর্নাটকে কয়েকজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। এর পর ওই সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্য তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। সঙ্গে রাজ্যের হাসপাতালগুলি যাতে ওই সংস্থাকে কোনও পণ্যের বরাত দিতে না পারে সেজন্য সরকারি পোর্টালে পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তাও সেই সংস্থার স্যালাইনেই এবার প্রসূতি মৃত্যু হল রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের এই গাফিলতি কেন প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই?

    আরও পড়ুন: বন্দিদের মধ্যে মোবাইলের রমরমা! কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে বসছে ৫জি জ্যামার

    প্রসূতি মৃত্যুর পরিসংখ্যান

    সুস্থ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সুস্থ মা। কিন্তু এর পরেই একাধিক অঙ্গ বিকল। যার জেরে কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু (Saline Incident)। চমকে ওঠার মতো মৃত্যুর পরিসংখ্য়ান। দৃশ্যটি শুধু যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের তা নয়। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছর বয়সের কমবয়সি প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ। গত কয়েক মাসে শহর এবং প্রত্যেক জেলার কোনও না কোনও মেডিক্যাল কলেজ বা জেলা সদর হাসপাতালে সিজারের পরে অনেক প্রসূতির অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে এবং মৃত্যুও ঘটছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ভারতীয় সেনার ছ’জন জওয়ান। তাঁদের রাজৌরি (Landmine Blast in Rajouri) জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জনের আঘাত গুরুতর। মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া রাজৌরি জেলার নওশেরার ভবানী সেক্টরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনার উত্তরাঞ্চলীয় (নর্দার্ন) কম্যান্ড সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    কী ঘটেছিল?

    প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এদিন সকাল ১০.৪৫ নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোর্খা রাইফেলসের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। সেখানেই মাটিতে লুকনো ছিল ল্যান্ডমাইনটি। একজন সেনা জওয়ান ভুলবশত একটি ল্যান্ডমাইনের উপর পা দিয়ে দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক জনের আঘাত মারাত্মক হলেও বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অনুপ্রবেশ রোধে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় প্রায়শই ল্যান্ডমাইন পোঁতা থাকে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কখনও ওই ল্যান্ডমাইনগুলি সরানোর কাজ চলে। যার ফলেই এ দিনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    নাশকতার ছক!

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই এলাকাতেই ‘অ্যান্টি পার্সোনেল’ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক সেনা জওয়ানের পা উড়ে গিয়েছিল। এবার অবশ্য, প্রাথমিক চিকিৎসার পর জওয়ানরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।  তবে পাক জেহাদিরা ছক কষেই নাশকতার জন্য ল্যান্ডমাইন সরিয়ে এনেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে সেনা।  

     

    আরও পড়ুন: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকাল। ছাদে উঠে লাটাই হাতে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন একজন। সুতোয় টান দিয়েই যিনি ও..ওওওও.. বলে চিৎকার করে উঠলেন, তিনি আতিপাতি কেউ নন, হোমরাচোমরা ব্যক্তি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির সকালটা এভাবেই কাটালেন তিনি। কারও ঘুড়ি কেটে দেওয়ার পরেই যে তিনি শিশুর মতো উল্লাসে ফেটে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য। ভাইরাল হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য।

    ঘুড়ি ওড়ালেন শাহ (Amit Shah)

    মকর সংক্রান্তির দিন বাংলার অনেক জায়গায়ই ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এদিন গুজরাটের আকাশেও পতপত করে উড়তে থাকে পেটকাটি, চাঁদিয়াল-সহ হরেক কিসিমের ঘুড়ি। তেমনই একটা ঘুড়ি উড়িয়ে, ‘শৈশবে’র দিনগুলিতে ফিরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন আমদাবাদের শান্তিনিকেতন সোস্যাইটির ছাদে ঘুড়ি ওড়ান শাহ। তিনি আমদাবাদের সাংসদও। সাংসদকে ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়াতে দেখে আশপাশের বাড়ির ছাদে থাকা লোকজন হাত নেড়ে মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। এদিন শাহের (Amit Shah) সঙ্গে ছাদে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও। প্রসঙ্গত, ১৪ তারিখ থেকে তিনদিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন শাহ।

    স্মৃতির সাগরে ডুব মোদির

    এদিন স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ‘উত্তরায়ণ’ (মকর সংক্রান্তিকে এই নামেই ডাকা হয় গুজরাটে) এর স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতিতে মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব যে কতটা, সেটা সকলে জানেন।” তিনি বলেন, “আমি তো গুজরাটের লোক। আমার প্রিয় উৎসব মকর সংক্রান্তি ছিল। কারণ আজ গুজরাটের সব লোক ছাদেই থাকেন। দিনভর ঘুড়ি ওড়ান। আমি যখন ওখানে থাকতাম, তখন আমারও খুব শখ ছিল।”

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    গুজরাটে ঘুড়ি একটা বিরাট ব্যবসা। দেশের ৪০ শতাংশ ঘুড়ি তৈরি হয় এ রাজ্যে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) ছাদ ভাড়া দেওয়া হয়। ঘুড়ি (Amit Shah) ওড়ানো চলে দুদিন ধরে। আকাশে ঘুড়ির এই মেলা দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Balurghat: নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হন বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায়

    Balurghat: নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হন বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুম্ভ মেলায় ভিড়। ভিড় এ রাজ্যের গঙ্গাসাগরেও। পুণ্য স্নান করতে  বালুরঘাটের (Balurghat) অনেক মানুষই যেতে পারছেন না গঙ্গা সাগরে। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতেই বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে (Ganga Sagar 2025) ভিড় বাড়ছে পুণ্যার্থীদের। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মেলা। এদিন সকালেই আত্রেয়ী নদীতে পুণ্যস্নান করতে দেখা গেল বহু পুণ্যার্থীদের।

    পুণ্য লাভের আশায় ভিড় হয় মেলায়! (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে খানিক দূরে গঙ্গাসাগর গ্রাম। শুধুমাত্র নামের মাহাত্ম্যেই গঙ্গাসাগর গ্রামে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কথায় আছে “সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার”  অর্থাৎ গঙ্গাসাগরে একবার পুণ্য স্নান করলে সমস্ত তীর্থের পুণ্য অর্জন হয়। ওই গ্রামে রয়েছে কপিল মুনির আশ্রম। যাকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলা। মেলার পাশেই বয়ে গেছে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী। সেই নদীতে স্নানের জন্য ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। অনেকেই বলছেন, কুম্ভ মেলা ও গঙ্গাসাগরের মেলায় যেতে না পারলেও  বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরেই স্নান করে পুণ্য অর্জন করছেন ভক্তরা। মকর সংক্রান্তির দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরেও পুণ্য স্নান করতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে প্রতিবছর।  কিন্তু আর্থিক কারণে অনেকেই সেই গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না। তাঁরা ভিড় করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এই মেলায়।

    কপিল মুনির মন্দির কবে গড়ে উঠেছিল?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত গঙ্গাসাগর গ্রাম। নাম মাহাত্ম্যের কারণে আজ থেকে প্রায় বিয়াল্লিশ বছর আগে গ্রামের বয়স্করা এখানেও গঙ্গাসাগরের মতো কপিল মুনির মন্দির গড়ে তোলার পাশাপাশি চালু করেন মন্দিরের পাশে নদীতে স্নান করে মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতি। ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগর গ্রামের এই পুণ্য স্নানের কথা ছড়িয়ে পড়ে জেলা এবং জেলার বাইরে। প্রতিবছর বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এবং জেলা বাইরের বহু মানুষের সমাগম হয়ে থাকে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছর তিনদিনের মেলা বসে গঙ্গাসাগর গ্রামে। তিন দিনব্যাপী চলে মন্দির ঘিরে নাম সংকীর্তন।

    পুণ্যার্থীর বক্তব্য

    মালদা থেকে এই মেলায় এসেছিলেন রতন দাস। তিনি বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে পুণ্য স্নান করতে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। যেহেতু এই জায়গার নাম গঙ্গাসাগর। তাই আমরা বালুরঘাটের (Balurghat) গঙ্গাসাগরে এসে পুণ্য স্নান  করলাম। এইখানে স্নান করলেও পুণ্য হয়। উৎসব কমিটির সদস্য প্রবীর প্রামাণিক জানান, ৪২ বছর ধরে এখানের মকর সংক্রান্তির স্নান হয়ে আসছে। মানুষ বিশ্বাস করে এই গঙ্গাসাগরে স্নান করলে পুণ্য হয়। তাই হাজার হাজার মানুষ  স্নান করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 250: “গোবিন্দ, গোবিন্দ, সচ্চিদানন্দ, হরিবোল! হরিবোল! নাম করিতেছেন, আর যেন মধু বর্ষণ হইতেছে”

    Ramakrishna 250: “গোবিন্দ, গোবিন্দ, সচ্চিদানন্দ, হরিবোল! হরিবোল! নাম করিতেছেন, আর যেন মধু বর্ষণ হইতেছে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    শ্রীযুক্ত অধর সেনের বাটীতে কীর্তনানন্দে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) অধরের বাড়ি আসিয়াছেন। রামলাল, মাস্টার, অধর আর অন্য অন্য ভক্ত তাঁহার কাছে অধরের বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। পাড়ার দু-চারিটি লোক ঠাকুরকে দেখিতে আসিয়াছেন (Kathamrita)। রাখালের পিতা কলিকাতায় আছেন—রাখাল সেইখানেই আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (অধরের প্রতি)—কই রাখালকে খবর দাও নাই?

    অধর—আজ্ঞে হাঁ, তাঁকে খবর দিয়াছি।

    রাখালের জন্য ঠাকুরকে ব্যস্ত দেখিয়া অধর দ্বিরুক্তি না করিয়া রাখালকে আনিতে একটি লোক সঙ্গে নিজের গাড়ি পাঠাইয়া দিলেন।

    অধর ঠাকুরের কাছে বসিলেন। আজ ঠাকুরকে দর্শনজন্য অধর ব্যাকুল হইয়াছেন। ঠাকুরের এখানে আসিবার কথা পূর্বে কিছু ঠিক ছিল না। ঈশ্বরের ইচ্ছায় তিনি আসিয়া পড়িয়াছেন।

    অধর—আপনি অনেকদিন আসেন নাই। আমি আজ ডেকেছিলাম(Kathamrita),—এমন কি চোখ দিয়ে জল পড়েছিল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)(প্রসন্ন হইয়া, সহাস্যে)—বল কি গো!

    সন্ধ্যা হইয়াছে। বৈঠকখানায় আলো জ্বালা হইল। ঠাকুর জোড় হস্তে জগন্মাতাকে প্রণাম করিয়া নিঃশব্দে বুঝি মূলমন্ত্র করিলেন। তৎপরে মধুর স্বরে নাম করিতেছেন। বলিতেছেন, গোবিন্দ, গোবিন্দ, সচ্চিদানন্দ, হরিবোল! হরিবোল! নাম করিতেছেন, আর যেন মধু বর্ষণ হইতেছে। ভক্তেরা অবাক্‌ হইয়া সেই নাম-সুধা পান করিতেছেন। শ্রীযুক্ত রামলাল (Ramakrishna) এইবার গান গাইতেছেন:

    ভুবন ভুলাইলি মা, হরমোহিনী।
    মূলাধারে মহোৎপলে, বীণাবাদ্য-বিনোদিনী।
    শরীর শারীর যন্ত্রে সুষুম্নাদি ত্রয় তন্ত্রে,
    গুণভেদ মহামন্ত্রে গুণত্রয়বিভাগিনী ॥
    আধারে ভৈরবাকার ষড়দলে শ্রীরাগ আর,
    মণিপুরেতে মহ্লার, বসন্তে হৃৎপ্রকাশিনী
    বিশুদ্ধ হিল্লোল সুরে, কর্ণাটক আজ্ঞাপুরে,
    তান লয় মান সুরে, তিন গ্রাম-সঞ্চারিণী।
    মহামায়া মোহপাশে, বদ্ধ কর অনায়াসে,
    তত্ত্ব লয়ে তত্ত্বাকাশে স্থির আছে সৌদামিনী।
    শ্রীনন্দকুমারে কয়, তত্ত্ব না নিশ্চয় হয়,
    তব তত্ত্ব গুণত্রয়, কাকীমুখ-আচ্ছাদিনী।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Illegal Immigrants) আটক করেছে এটিএস। জানা গিয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তামিলনাড়ুর তিরুপুর এবং কোয়েম্বত্তুর জেলার গ্রামীণ এলাকা থেকে এই সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে অনুপ্রবেশের মুক্তাঞ্চল করে নাশকতামূলক চক্রান্তের ছক কষে জঙ্গি কার্যকলাপকে সক্রিয় করা হচ্ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi Illegal Immigrants)

    গোয়েন্দাদের তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএস-এর মোট ৫টি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে। আরও জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক মাস আগেই এই জঙ্গিরা এই এলাকায় বসবাস শুরু করেছিলেন। তিরুপুর জেলার পাল্লাদাম এলাকা থেকে ২৮ জন এবং বীরপান্ডি এবং নাল্লুর থানায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিরুপুরে পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন এই অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশ থেকে এই অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে, এরপর জাল নথি তৈরি করে আধার কার্ড বানিয়ে তিরুপুরে (Tamil Nadu) চলে যায়। গোটা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনন্দকুমার তিরুপতি এবং এরপর তিনি পাল্লাদম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    নাশকতামূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা?

    বাংলাদেশের (Bangladeshi Illegal Immigrants) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মহম্মদ হিউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই লাগাতার হিন্দু এবং আওয়ামি লিগকে টার্গেট করছে কট্টর মৌলবাদীরা। দেশের একাধিক কারাগার ভেঙে জঙ্গিরা উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে, জামাত শিবির এবং জেএমবির জঙ্গিরাও অতি সক্রিয় উঠেছে। তাঁরা ভারতে ঢুকে নাশকতা মূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে এই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। ইতিমধ্যে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IIT Baba: মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    IIT Baba: মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারোটি পূর্ণ কুম্ভের পর প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। এই মেলায় সাধারণ সাধুসন্ত থেকে শুরু করে কোটি কোটি পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন। এসেছেন বহু বিদেশি পর্যটকেরাও। মেলা শুরু হতেই দেখা গিয়েছে বহু বাবা। বাবাদের দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে। অনেকে নাগা বাবাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রোষের মুখে পড়ছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়ছে। এবার মহাকুম্ভে (Maha Kumbha 2025) এই সব বাবাদের মধ্যে নজর কেড়েছে আরও এক বাবা। ‘আইআইটি বাবা’ (IIT Baba)। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ‘আইআইটি বাবা’ জানিয়েছেন, তিনি আইআইটি পাশ করে ভালো চাকরি না করে সাধু বাবা হয়ে গিয়েছেন। আর এই সাক্ষাৎকার নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আইআইটি ইঞ্জিনিয়ারের লক্ষ টাকার চাকরি ছেড়ে সাধুবেশ ধারণ করেছেন তিনি।

    মহাকুম্ভ মেলায় ‘আইআইটি বাবা’ (IIT Baba)

    জানা গিয়েছে, ‘আইআইটি বাবা’-র (IIT Baba) প্রকৃত নাম অভয় সিং। সংসারের মায়া ত্যাগ করে সাধু হওয়ার পর তাঁর নাম হয় মাসানি গোরখ বাবা। প্রথম দিনেই তিনি মহাকুম্ভ মেলায় হাজির হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, তিনি আইআইটি থেকে অ্যারোস্পেস এবং অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। তাঁর বাড়ি হরিয়ানা। ইঞ্জিনিয়ার থেকে সন্ন্যাসীতে পরিণত হওয়ার পিছনের গল্পটিও খুব আকর্ষণীয়। তাঁর ইচ্ছা ছিল ফটোগ্রাফি করার। ফটোগ্রাফিতে চাকরির জন্য ডিগ্রির প্রয়োজন ছিল। এমন পরিস্থিতিতে এক বছর কোচিংও পড়িয়েছেন তিনি। বাবার কথায়, তাঁর গল্পটা অনেকটা হিন্দি সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর মতো। সাক্ষাৎকারে বাবা তাঁর জীবনের অনেক গোপন কথা জানান। জীবনের অর্থ খোঁজার জন্য-আধুনিকতাবাদ এবং সক্রেটিস এবং প্লেটোর মতো দার্শনিক ধারণাগুলি নিয়েছিলেন।

    কী বললেন আইআইটি বাবা?

    তিনি বলেন, ‘‘আইআইটি (IIT Baba) মুম্বইয়ে ৪ বছর পড়ার পরে আমি কোচিতে পদার্থবিজ্ঞান পড়িয়েছি। আবেগের কারণে ফটোগ্রাফি শিখেছিলাম। আমি ডিজাইনিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি করেছি। এত কিছু করার পরও কোথাও মন বসছিল না। আমার ভিতরে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে।” তাঁর কথায়,‘‘আর কী করব। এর পর আমার মনে হল ফটোগ্রাফি করা উচিত। ট্রাভেল ফটোগ্রাফি শুরু করলাম। মনে হচ্ছিল আমি এই স্বপ্নে জীবন যাপন করব। ঘোরাঘুরি করব, সব জায়গায় যাব এবং অনেক মজা করব এবং অর্থ উপার্জনও করব।” বাবাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফটোগ্রাফি করে এই অবস্থায় পৌঁছেছেন কীভাবে? এই বিষয়ে বাবা খুব স্পষ্ট করে বললেন, ‘‘এটাই শ্রেষ্ঠ পথ। যা কিছু কর, এখানেই আসতে হবে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে এটিই আসল জ্ঞান। যদি আপনি মনকে বুঝতে পারেন, তবে আপনি এটি করতে পারেন (আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে)।”

    মুখে হাসি লেগেই রয়েছে বাবার

    ইতিমধ্যেই এই ভিডিও (IIT Baba)  ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়, সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই সাধু পরে রয়েছেন গেরুয়া রঙের বস্ত্র। মাথা ভর্তি চুল। গলায় রকমারি পাথরের মালা। এক মুখ দাড়ি। কপালে সাদা ছাই ভস্ম। সঙ্গে লাল তিলক কাটা রয়েছে কপালে। মুখে সদাহাসি লেগেই রয়েছে। নিজেই অকপটে তাঁর জীবন কাহিনী বলে চলেছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার চাকরি করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারতেন তিনি। সব কিছু ছেড়ে তিনি এই সাধু বেশেই দিব্যি আছেন।

    এবারে ১৩ জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুম্ভমেলা চলবে। ১৩ তারিখ পূর্ণ স্নানে প্রায় ৬০ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। ১৪ তারিখও লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী শাহি স্নানে অংশগ্রহণ করেন। ১৪৪ বছর পর এই মহাকুম্ভ মেলা হচ্ছে। ৪০০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে হয়েছে আয়োজন। যোগী সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধুসন্ত-সহ বছর বছর এই মেলায় কমপক্ষে ৪৫ কোটি মানুষ অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের কুম্ভমেলায় নানা বেশে হাজির হয়েছেন সাধু-সন্তরা।

     

    .দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 5G Jammer in Jail: বন্দিদের মধ্যে মোবাইলের রমরমা! কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে বসছে ৫জি জ্যামার

    5G Jammer in Jail: বন্দিদের মধ্যে মোবাইলের রমরমা! কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে বসছে ৫জি জ্যামার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্দিদের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ঠেকাতে নতুন প্রযুক্তির আধুনিক জ্যামার (5G Jammer in Jail) বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য কারা দফতর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের  (Home Ministry) পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি, রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বাংলাদেশি জঙ্গিদের কার্যকলাপের সন্ধান পাওয়ার পর রাজ্যের কারা ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জেলের ভেতরে মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য অত্যাধুনিক জ্যামার প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়।

    কেন জ্যামার লাগানোর চিন্তা

    রাজ্যের কারা দফতর সূত্রে খবর, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সেখানকার জঙ্গি সংগঠনগুলির কার্যকলাপ সম্পর্কে নির্দিষ্ট খোঁজখবর নেওয়ার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে কিছু বিশেষ পরামর্শ পাঠানো হয় রাজ্যের কাছে। সেই পরামর্শে বলা হয়, জেলের মোবাইল ফোনের ব্যবহার ঠেকাতে নতুন প্রযুক্তির জ্যামার (5G Jammer in Jail) বসাতে হবে। তার পরেই রাজ্যের প্রায় সব জেলে জ্যামার বসানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কারা দফতর। বর্তমানে জেলে যে সব জ্যামার রয়েছে, সেগুলির প্রযুক্তি টু-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক আটকানোর জন্য। ফলে পুরোনো জ্যামারে টু-জি ফোনের নেটওয়ার্ক ‘ব্লক’ করা যায়। কিন্তু এখন ফোনে ব্যবহার করা হয় ফোর-জি এবং ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক। ফলে জেলের জ্যামারগুলি সে ভাবে কাজে লাগছে না। সেই পরিস্থিতি সাপেক্ষেই জেলে জ্যামারের ‘প্রযুক্তিগত চরিত্র’ বদলাচ্ছে রাজ্যের কারা দফতর। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

    কীভাবে লাগানো হবে জ্যামার

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের জেলগুলিতে অত্যাধুনিক জ্যামার না থাকায় বাংলাদেশি জঙ্গিরা জেলের ভিতর থেকে নানা নাশকতার ছক কষছে পশ্চিমবঙ্গে। যা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয় রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬০টি জেল রয়েছে। তবে একসঙ্গে সব জেলে জ্যামার বসানো সম্ভব নয়। তাই ধাপে ধাপে এই কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সি জেল (Presidency Jail) এবং দমদম সেন্ট্রাল জেলে (Dum Dum Central Jail) ‘টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম’ নামের অত্যাধুনিক জ্যামার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথমে এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে চালু করা হবে। পরে রাজ্যের অন্যান্য জেলেও আধুনিক জ্যামার বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে নতুন প্রযুক্তি চালু হলে সংশ্লিষ্ট জেল এবং তার আশপাশের এলাকায় মোবাইল পরিষেবা ব‍্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট জেলের সরকারি আধিকারিক বা আশপাশের এলাকার কিছু নম্বর যাতে ‘ছাড়’ পায়, তার বন্দোবস্ত আগে থেকে রাখা হবে। তবে তা নির্দিষ্ট কিছু মোবাইল নম্বরের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: অঘোরী কারা? তাঁদের গুরু কে? কীভাবে সাধক হয়ে সিদ্ধি লাভ করেন?

    Maha Kumbh Mela 2025: অঘোরী কারা? তাঁদের গুরু কে? কীভাবে সাধক হয়ে সিদ্ধি লাভ করেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতীর মিলনস্থল ত্রিবেণী সঙ্গমে কোটি কোটি ভক্তদের পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025)। এই মহামিলন মেলায় শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব, গণপাত্য এবং সৌর উপাসকেরা সমবেত হবেন। এক এক সাধু বিশেষ ব্রত নিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করছেন। তাঁদের কাছে জীবনের চরম লক্ষ্য হল মুক্তি। এই মেলাকে ঘিরে দেশের সাধুদের সঙ্গে বিদেশের সাধুরাও সমবেত হয়েছেন। তবে সাধুদের মধ্যে নাগারা যেমন রয়েছেন, ঠিক তেমনি অঘোরীরাও রয়েছেন। অঘোরীরা (Aghori) তান্ত্রিক এবং যোগাচারে সাধনা করে থাকেন।

    শিবের উপাসনা করেন অঘোরীরা (Mahakumbh Mela 2025)

    মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) আসা অঘোরী (Aghori) সাধুদের নিয়ে সাংসারিক জীবনের বসবাসকারী ভক্তসমাজের মধ্যে একটা কৌতূহল রয়েছে। সাধনার কোন স্তরে পৌঁছে গেলে অঘোরী হওয়া যায়, তা নিয়ে একটা জিজ্ঞাসা থাকেই। পৌরাণিক ভাবে বলা হয়েছে যে, অঘোর বলতে বোঝায় যাঁরা শিবের উপাসনা করেন। এমনটাই বিশ্বাস করা হয় আদিদেব ভগবান শিবের কাছ থেকেই অঘোরীদের জন্ম হয়েছে। মূলত এই সাধাকরা তন্ত্র এবং যোগাভ্যাস করে থাকেন। একান্ত ভাবেই তাঁরা শৈব ভক্ত। শিবের ভক্ত দত্তাত্রেয় ঋষিকে অঘোর শাস্ত্রের গুরু বলা হয়। আবার এই দত্তাত্রয়কে শিবের অবতার বলা হয়। তাঁকে আবার যোগের ঈশ্বর বলা হয়।

    অঘোরীরা শ্মশানে থাকেন

    অঘোর সাধুদের মধ্যে সবচেয়ে মান্যতা দেওয়া হয় বাবা কিনারামকে (Aghori)। ১৬০১ সালে উত্তরপ্রদেশের চান্দুলিতে জন্ম হয়েছিল তাঁর। নানা অলৌকিক গল্প প্রচলিত ছিল। বলা হয় নিজে থেকে চলতে চলতেই নাকি বালিয়ার কাছে কামেশ্বর ধামে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সারা ভারত ভ্রমণ করেছেন এবং গুজরাটের গিরনার পাহাড়ে ধ্যানে সিদ্ধিলাভ করেন। শেষে কাশী ধামে এসেছিলেন। তবে অঘোরীরা শ্মশানে থাকেন। মূলত তিন ধরনের পুজো করেন। তবে তাঁদের সাধনায় শিব এবং শবের সাধনা রয়েছে। অসমের কামাখ্যাধাম, বাংলায় তারাপীঠ, নাসিকের ত্রম্বকেশ্বর, উজ্জয়িনীর চক্রতীর্থে এই সাধনার পুণ্যভূমি। এই সাধকরা মদ, মাংস এবং মৈথুন নিয়ে সাধনা করেন এবং মৃতদেহে পা দিয়ে সাধনা করে থাকেন। কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) তাঁদের বিরাট যোগদান থাকে।

    অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী

    লৌকিক ভাবে কথিত রয়েছে একাবার কাশীর রাজা হাতিতে চড়ে ভ্রমণ করছিলেন। রাজা রাস্তায় কিনারামকে অঘোরী (Aghori) বেশে দেখে দেওয়ালের কাছে সরে যেতে বলেন, কিন্তু দেখা যায় হাতিগুলি সমানেই দেওয়ালে ঘোরাঘুরি করছে, ভুল বুঝে রাজা শেষে ক্ষমা চান। অঘোরীরা সময়ে সময়ে মায়াবী এবং অলৌকিক শক্তির অধিকারী হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share