Blog

  • Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। যা পৌষ পার্বণ নামেও বাংলায় বহুল প্রচলিত। বাংলার, বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের ঘরে ঘরে এই দিন পিঠে-পুলির উৎসব হয়। অন্দরে অন্দরে দুধ, ক্ষির, গুড়, নারকেলের গন্ধে ম-ম করে। হাড় কাঁপানো শীতে কম্বলের আরাম ছেড়ে জোরকদমে পিঠে-পুলি বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাড়ির মা-বউরা। পৌষ পার্বণ অথচ পিঠে হবে না তা আবার হয় নাকি? যুগ যুগ ধরে পৌষ সংক্রান্তির (Makar Sankranti) দিনে এই মিষ্টান্নের স্বাদ নিতে ভোলেন না বাংলার মানুষ। 

    কেন সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয় জানেন? (Makar Sankranti)

    পৌষ পার্বণের সঙ্গে পিঠে-পুলির যোগ নিয়ে পৌরাণিক গল্পগাথা রয়েছে। জানা যায়, এই দিনই পিতামহ ভীষ্ম স্বইচ্ছায় মৃত্যু বরণ করেন। মূলত নতুন ফসলের উৎসব (Makar Sankranti) বলেই এই দিনটিকে পৌষ-পার্বণ হিসেবে উদযাপন করেন বাঙালিরা। এই সময়ে ঘরে ঘরে নতুন ফসল থাকে। সেই নতুন ফসল দিয়েই তৈরি করা হয় এই বিশেষ মিষ্টান্ন। এই নতুন ফসলকে স্বাগত জানাতেই ঘরে ঘরে বানানো হয় এই অসাধারণ মিষ্টান্ন। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এ দিন চাল গুঁড়ো, নারকেল, গুড়, দুধ, ক্ষির দিয়ে তারি করা হয় রকমারি পিঠে। সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠে হল— ভাপা পিঠে। এ ছাড়াও রয়েছে চিতই পিঠে, দুধচিতই, ছিট পিঠে, দুধপুলি, ক্ষীরপুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠে, মালাই পিঠে, মোলপোয়া, পাকন পিঠে, ঝাল পিঠে ইত্যাদি। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘পৌষপার্বণ’ নামের কবিতায় রয়েছে, ‘গড়িতেছে পিঠে পুলি অশেষ প্রকার, বাড়ি বাড়ি নিমন্ত্রণ কুটুম্বের মেলা, হায় হায় দেশাচার ধন্যি তোর খেলা।’ এই কবিতাতেই বাঙালির কাছে পিঠের আসল গুরুত্ব ধরা পড়ে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য!

    তবে, এখন শহুরে বাঙালিদের হেঁশেলে পিঠে-পুলি তৈরি করার রেওয়াজ ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু। ফলে, রসিক বাঙালি পিঠে (Makar Sankranti) খেতে আস্তানা গেড়েছে মেলায় বা মিষ্টির দোকানে। তাই আজ আর আগের মতো হেঁশেলে ঢুকলেই হাঁড়ির ভেতরে যবুথবু হয়ে থাকে না ক্ষিরে ভরা পাটিসাপটা। আগে তাও যৌথ পরিবার থাকায় মা, দিদিমারা মিলে বা বাড়ির বড় কোনও সদস্যা পিঠে বানানোর উদ্যোগ নিতেন। কিন্তু, এখন কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই মা, দিদিমারাও। পরিবার ভেঙেছে। যে যার নিজের কাজে ব্যস্ত। তাই বাড়িতে বাড়িতে কমে এসেছে পিঠে বানানোর হিড়িকও। কর্মব্যস্ততার যুগে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Army chief Upendra Dwivedi: বাংলাদেশকে নরমে-গরমে হুঁশিয়ারি, কাশ্মীরে ৬০ শতাংশ জঙ্গিই পাকিস্তানি, দাবি সেনাপ্রধানের

    Army chief Upendra Dwivedi: বাংলাদেশকে নরমে-গরমে হুঁশিয়ারি, কাশ্মীরে ৬০ শতাংশ জঙ্গিই পাকিস্তানি, দাবি সেনাপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক (India Bangladesh Relation) দিক থেকে কোনও চরম শত্রুতা নেই। তবে বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিরতার কারণেই যৌথ সামরিক মহড়া পিছিয়ে গিয়েছে বলে জানালেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Army chief Upendra Dwivedi)। সেনা দিবস তথা আর্মি ডে-এর আগে একাধিক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সেনাপ্রধান। সেখানেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নানান মত জ্ঞাপন করেন দ্বিবেদী।

    সম্পর্ক ঠিক আছে তবে সামরিক মহড়া নয়

    বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের রেশ ধরেই এদিন দ্বিবেদী (Army chief Upendra Dwivedi) জানান, সুরক্ষার স্বার্থে দুই দেশকেই (India Bangladesh Relation) এগিয়ে আসতে হবে। কোনও ধরনের শত্রুতা আনা হবে না। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের প্রতিবেশী। আমাদের পারস্পারিক সহাবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই উভয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একান্ত নিজেদের স্বার্থেই উভয়ের মধ্যে কোনও রকম শত্রুতা (Animosity) আনা ঠিক হবে না।’’ বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সময় সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখে চলছিলেন বলেও এদিন জানান ভারতের সেনাপ্রধান। সরকার বদলের সময় নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখা হয়েছে। এমনকি, দু’তরফে ভিডিও কনফারেন্সে কথাও হয়েছিল বলে এদিন জানান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সামরিক সহাবস্থান পুরোদমে রয়েছে বলে দাবি দ্বিবেদীর। তবে তিনি জানান, যতদিন না বাংলাদেশে অস্থিরতা কাটিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, ততদিন মহড়া হবে না।

    উপত্যকায় টেররিজম থেকে ট্যুরিজম

    অন্যদিকে, ভারতের পশ্চিম প্রান্তের প্রতিবেশী নিয়ে কড়া কথা শোনা গেল সেনাপ্রধানের গলায়। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত প্রসঙ্গে এদিন সেনাপ্রধান (Army chief Upendra Dwivedi) জানান, উপত্যকাবাসী সন্ত্রাস চায় না। তাদের মগজধোলাই করার চেষ্টা চলে। উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদে যে সমস্ত জঙ্গিদের নিকেশ করা হয়েছ, তাদের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানি। কেউই স্থানীয় বাসিন্দা নন। জম্মু কাশ্মীরে বসবাসরত ৮০ শতাংশ জঙ্গিই আবার বহিরাগত। জম্মু কাশ্মীরে ড্রোনের ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে অনুপ্রবেশ আটকাতে আগের থেকে অনেক বেশি সফল সেনা। এর ফলে দ্রুত উপত্যকায় টেররিজম থেকে ট্যুরিজমে উন্নীত হওয়ার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে বলেও জানান দ্বিবেদী। ড্রোন ছাড়াও নাইট ভিশন ডিভাইসের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎপাটিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে সেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মাইনাস তাপমাত্রাতেও বস্ত্রহীন থাকেন নাগা সাধুরা, কোন আধ্যাত্মিক শক্তিতে?

    Maha Kumbh 2025: মাইনাস তাপমাত্রাতেও বস্ত্রহীন থাকেন নাগা সাধুরা, কোন আধ্যাত্মিক শক্তিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) ব্যাপক ভিড় নাগা সাধুদের। প্রবল শীতেও তাঁরা বস্ত্র ধারণ করেন না। সাম্প্রতিক, ৮ বছরের নাগা সাধু গোপাল গিরির একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ঈশ্বরই তাঁর জ্যাকেট। এই কারণে তাঁর ঠান্ডা লাগে না। নাগা সাধুরা (Naga Sadhu) শূন্য কিংবা মাইনাস তাপমাত্রাও সহ্য করতে সক্ষম। কীভাবে সম্ভব হয় এটি? চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মানুসারে, মানুষ পোশাক ছাড়া মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে নাগা সাধুরা একথা একেবারেই মানেন না। তাঁরা মনে করেন, আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মাধ্যমে চরম ঠান্ডা সহ্য করা যায়।  ঠিক এই কারণে তাঁরা তিন ধরনের সাধনা করেন।

    নাগা সাধুদের তিন ধরনের সাধনা (Maha Kumbh 2025)

    অগ্নি সাধনা: নাগা সাধুরা (Naga Sadhu)  একধরনের ধ্যান অনুশীলন করেন। এই অনুশীলনের মাধ্যমে তাঁদের শরীরের মধ্যে আগুনের উপাদান জমতে থাকে। এভাবেই প্রবল শীতেও তাঁদের শরীর উষ্ণ থাকে।
     
    নাড়ি শোধন: নাড়ি শোধন প্রাণায়ামের মাধ্যমে, নাগা সাধুরা তাঁদের শরীরের মধ্যে বায়ুপ্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। এভাবেই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত এবং উষ্ণ থাকে। 

    মন্ত্রোচ্চারণ: অন্যদিকে নাগা সাধুদের মতে, মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমেও তাঁদের শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়, যা শরীরে তাপ তৈরি করে। প্রবল ঠান্ডার তাপমাত্রা এভাবেই সহ্য করতে পারেন তাঁরা।

    ছাই দিয়ে ঢাকা থাকে শরীর, কাজ করে অন্তরকের  (Maha Kumbh 2025)

    এ ছাড়া (Maha Kumbh 2025) নাগা সাধুরা ছাই দিয়ে তাঁদের শরীর ঢেকে রাখেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি একটি অন্তরক স্তর হিসেবে কাজ করে। ছাইতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এভাবেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘বোমা ফাটালেন’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর (Suvendu Adhikari) দাবি, প্রায় আড়াই বছর জেলে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফোনে কথা হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কীভাবে ফোনে কথা হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। প্রসঙ্গত, জেলে বসে মোবাইল ব্যবহার করছে অপরাধীরা। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জঙ্গিরা। নাশকতার ছক পরিকল্পনা হচ্ছে সেখান থেকেই। এই অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে কারা দফতর। আধুনিক প্রযুক্তি বিশিষ্ট জ্যামার লাগানো হচ্ছে রাজ্যের জেলগুলিতে। তার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এ হেন মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    পার্থকে নিয়ে আর কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

    সোমবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। আমি আগের কথা বলব না। সম্প্রতির কথা বলব। পার্থ যেদিন চান, বেলের মোরব্বা খান। যেদিন চান, খাসির মাংস খান। গত অষ্টমীতে লুচি-ছোলার ডাল খেয়েছেন। তাই, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ের মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিয়েছে। কনভিকশন করাতে চায়। তাদের বলব সুপ্রিম কোর্টকে বলে এই মামলাগুলি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যান। আমি বরাবরই দাবি করি, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই মামলাগুলি নিয়ে যাওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    জেল কাকে বলে জানেন সুদীপ-অনুব্রত!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘রোজভ্যালির মামলা ওড়িশায় ছিল বলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন জেল কাকে বলে। আজ শাহজাহান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এরা জানেন না। জেল কাকে বলে কিছুটা অনুব্রত মণ্ডল জানেন। তিনি রাজনীতি করছেন করুন। জেলে যাওয়ার আগের ভাষা আর তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর ভাষা অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সুদীপদার ভাষার মধ্যেও আমরা তফাৎ দেখি। কিন্তু, এখানকার জেল থেকে যারা ফিরে আসেন যেমন জীবনকৃষ্ণ সাহা, মানিক ভট্টাচার্য, তাদের আমরা দেখছি নির্লজ্জের মতো, মুখে মাস্ক না লাগিয়ে ঢুকছেন, বের হচ্ছেন। আমার স্ট্যান্ডিং কমিটি কোথায় খোঁজ নিচ্ছেন।”

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্থর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে। একাধিক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, অযোগ্যদের তালিকায় থাকা সব অযোগ্যরাই কোনও কোনও না কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশ করা নাম। অর্থাৎ প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে, সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যান তিনি। মেতে ওঠেন উৎসবে। বারবার এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। সোমবারও সেই ছবিই দেখা গেল দিল্লিতে। দিল্লির নারাইনা গ্রামে লোহরি (Lohri) উৎসবে সামিল হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে। দুই উৎসবে সামিল হয়ে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের সুস্বাস্থ্য কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান

    বুধবার সন্ধ্যায় নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের গ্রামে আসায়, ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। কারও কারও চোখে আনন্দাশ্রু দেখা যায়। এক নাবালকের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। এরপর লোহরি উৎসবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

    সকলকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তর ভারত-সহ বহু জায়গার মানুষের কাছে লোহরির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটা আশার প্রতীক। কৃষি ও কৃষকদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই উৎসবের।’’ সবাইকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে

    নারাইনা গ্রামে যাওয়ার আগে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির দিল্লির বাড়িতে পোঙ্গল এবং সংক্রান্তি পালনেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সে নিয়েই তিনি এক্স মাধ্যমে লেখেন, ‘‘পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলাম মন্ত্রিসভার আমার সহকর্মী জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে। এখানে সাক্ষী থাকলাম দূর্দান্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সারা দেশে আজকে (সোমবার) পালিত হচ্ছে সংক্রান্তি ও পোঙ্গল উৎসব।’’ সকলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, তিনি প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। পোঙ্গল উৎসবে সামিল হয়ে রীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদি ভোগী অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করেন। শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বলেই মানা হয় লোহরিকে। এটি মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেই পালন করা হয়। শীতের শেষের দিকে রবিশস্য কাটার সময় তা পালিত হয়। অন্যদিকে, পোঙ্গল উৎসব সূর্যকে উৎসর্গ করে পালন করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Arrest: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    Bangladeshi Arrest: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশায় সামান্য অটোচালক! অথচ, এদেশে এসে বছর খানেকের মধ্যেই জীবনযাত্রার মান বদলে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের নুরুল ইসলাম, যা রীতিমতো অবাক করেছিল স্থানীয়দেরও। থাকছিলেন বারাসতের দক্ষিণ কাজিপাড়ার বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে। এই রফিকুলের বাড়ি বাংলাদেশের  (Bangladeshi Arrest) মাদারিহাট এলাকায়। দুজনেরই কাজকর্ম ও গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁদের ওপর নজর রাখতে শুরু করেছিল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। রবিবার ভোরে ওই দুই বাংলাদেশিকে পাকড়াও করা হয় বারাসতের (Barasat) বামনগাছি চৌমাথা সংলগ্ন এলাকা থেকে। এর আগেও বাংলাদেশিদের এদেশে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সমীর দাস-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ফের দুই বাংলাদেশির সন্ধান মিলল বারাসতে।

    নুরুল হক থেকে নারায়ণ অধিকারী! (Bangladeshi Arrest)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladeshi Arrest) এই নুরুল হক ভারতে এসে হয়ে গিয়েছিলেন নারায়ণ অধিকারী। তাঁর বাড়ি গাজিপুর। বাবার নাম গিয়াস মিঞার পরিবর্তে এখানে করেছিলেন নগেন অধিকারী। রফিকুল ইসলাম আবার ভারতে ঢুকে বারাসতে পেল্লাই বাড়িও বানিয়ে ফেলেছিলেন। দত্তপুকুর থেকে ধৃত রফিকুল ইসলাম এবং নুরুল হক ওরফে নারায়ণ অধিকারীর নথি তৈরি করে দিয়েছিল নথি-জালকাণ্ডে ধৃত সমীর দাস, দাবি পুলিশের। পেশায় লোক দেখানো অটোচালক হলেও দুজনের জীবনযাত্রা নিয়ে স্থানীয় ও পরিচিতদের মধ্যে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। তারই মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উত্তাল পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশকারীদের ধরপাকড় শুরু হলে এই দুজনের গতিবিধির ওপরও নজর রাখতে শুরু করেছিল পুলিশ। শেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

    নুরুলের ঠাটবাটই ছিল অন্য রকম!

    অনেকেই বলছেন, নুরুলের ঠাটবাটই ছিল অন্য রকম। হাতে তাঁর সব সময় থাকত দামি ঘড়ি। আইফোন (Bangladeshi Arrest) ছাড়া অন্য কোনও ফোন ব্যবহার করতেন না। শুধু তাই নয়, কোনও অনুষ্ঠান হলেই শয়ে শয়ে টাকাও খরচ করতেন নুরুল। এমনই দাবি করছেন স্থানীয় লোকজন। কিন্তু, সামান্য অটোচালক হয়ে কীভাবে সে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করত? এখানেই খটকা লাগছে তদন্তকারীদের। পুলিশের অনুমান, এসবই অসৎ পথে উপার্জনের টাকা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে নুরুল ওপার বাংলার ক্লায়েন্ট জোগাড় করত। তারপর মোটা টাকার বিনিময়ে রফিকুলের মাধ্যমে সে বাংলাদেশিদের ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত। সেখান থেকেই নুরুল মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করতেন বলে ধারণা তদন্তকারীদের। তবুও দত্তপুকুর থেকে ধৃত বাংলাদেশি নুরুল ইসলামের আয়ের উৎস খুঁজতে তৎপর পুলিশ।

    ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করেন রফিকুল

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ (Bangladeshi Arrest) জানতে পেরেছে, ধৃত নুরুল বিগত তিন-সাড়ে তিন বছর ধরে বারাসতের দক্ষিণ কাজিপাড়ার রফিকুলের বাড়িতে ভাড়া থাকার নামে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই সময়ই তিনি নারায়ণ নামে জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিলেন। সেগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রফিকুল আবার গত প্রায় কুড়ি বছর ধরে থাকছিল এদেশে। প্রথমে সে দত্তপুকুর এলাকায় থাকলেও পরে রফিকুল দক্ষিণ কাজিপাড়ায় বাড়ি তৈরি করে ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে এদেশে থাকতে শুরু করেছিল। দত্তপুকুর থেকে ধৃত রফিকুল ইসলামের বাড়িতে প্রচুর বাংলাদেশির যাতায়াত ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। দত্তপুকুরের কাজিপাড়ায় নিজের নামে বাড়িও বানিয়ে ফেলেছিল রফিকুল। জিজ্ঞেস করলে রফিকুল বলতেন, বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে এসেছেন ওই ব্যক্তিরা। নুরুলও প্রথমে নিজের পরিচয়েই এসেছিলেন রফিকুলের বাড়ির দোতলার ভাড়াটে হিসেবে।

    নুরুলকে বাড়ি ছাড়া করতে স্থানীয়রা চাপ দিচ্ছিল

    পরে বদলে যায় সবটা। রফিকুল আবার নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন স্থানীয়দের কাছে। রফিকুল ইসলামের বাড়িতে সাড়ে তিন বছর আগে থেকে থাকা শুরু করেন নারায়ণ অধিকারী, ওরফে নুরুল হক। মাছের ব্যবসা করছেন, এই পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথমে নুরুল হকের নাম-পরিচয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে থাকলেও পরে নাম, পরিচয়, ভোল- সবই আমূল বদলে ফেলেন তিনি। তখনই চটে যান প্রতিবেশীরা। ভোল বদলের পর নুরুল ইসলামকে বাড়ি ছাড়া করতে রফিকুলকে চাপ দিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের কাছ থেকে বেশ কয়েকবার সময়ও চেয়ে নিয়েছিলেন রফিকুল। এরইমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে এদেশে আসা অনুপ্রবেশকারীদের হাতে দ্রুত নথি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে এক্সপার্ট ছিলেন সমীর দাস, এই তথ্য আগেই জানিয়েছে পুলিশ। আর সেই জন্য বাংলাদেশে বেশ নামডাকও ছিল তাঁর। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশেও জাল নথি তৈরির ব্যবসার ফাঁদ বিছিয়ে রেখেছেন বারাসাত থেকে ধৃত সমীর দাস। জালিয়াতিকাণ্ডে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মদ নীতি কেলেঙ্কারির জেরে আপ সরকারের আমলে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ২ হাজার ২৭ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক এক অডিট রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে (BJP)। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, সংক্ষেপে ক্যাগ (CAG Report)। রিপোর্টে আবগারি দফতরের শাসন ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ত্রুটিগুলিরও সমালোচনা করা হয়েছে।

    ক্ষতির পরিমাণ (CAG Report)

    বলা হয়েছে, আবগারি দফতরের কাজের ধরন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন হয় যে তারা কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। অডিটের ফল থেকে আর্থিক প্রভাবের মোট পরিমাণ প্রায় ২.০২৬.৯১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ওই কেলেঙ্কারির অভিযোগে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।

    আপকে নিশানা বিজেপির

    ক্যাগের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম-পার্টির জাতীয় সভাপতি আক্রমণ শানিয়েছেন আপ এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ক্ষমতার নেশায় মত্ত, অপশাসনের ওপরে। আপ দা (‘AAP’DA) মডেল লুটের সম্পূর্ণ প্রদর্শনে এবং তাও মদের মতো কিছুতে। আপ সরকারকে ভোট দেওয়া ও তার অপকর্মের জন্য শাস্তি দেওয়া মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার।”

    পদ্ম সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মদ কেলেঙ্কারির ‘মূল হোতা’ বলে অভিহিত করেছেন (CAG Report)। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও। হাত শিবিরের প্রবীণ নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেন, “কেজরিওয়াল ভুল করেছেন। তিনি বলেন, সিএজি বলেছে যে মদের নীতিতে ২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। এখন এটা পরিষ্কার যে তিনি (কেজরিওয়াল) ভুল করেছেন। তিনি সরকারি কোষাগার খালি করেছেন। যদি মদ নীতির কারণে ছ’মাসে ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়, আর যদি সেই স্কিমটি এখনও চালু থাকত, তাহলে আমাদের ক্ষতি হত (BJP) ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা (CAG Report)।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ভারত! মহাকুম্ভে যোগ দিয়ে আবেগে ভাসলেন বিদেশিরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mahakumbha Mela 2025: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    Mahakumbha Mela 2025: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে প্রথম শাহি স্নান নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে উঠেছে। সোমবার প্রবল শৈত্যপ্রবাহ এবং ঠান্ডা উপেক্ষা করেই মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। দেশ-বিদেশ থেকে আসা বহু পুণ্যার্থী দলে দলে প্রয়াগরাজে (Mahakumbh Mela 2025) পৌঁছেছেন। আজ সোমবার থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলার শুরুর দিন অন্তত ৬০ লক্ষ মানুষ ত্রিবেণী সঙ্গমে শাহি স্নান সেরেছেন বলে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ভক্তদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি (Mahakumbh Mela 2025)

    পবিত্র এই সময় (Mahakumbh Mela 2025) পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি লেখেন, “পৌষ পূর্ণিমায় পবিত্র স্নানের মধ্য দিয়ে প্রয়াগরাজের পবিত্র স্থানে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে। বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত এই অনুষ্ঠানে আমি সমস্ত ভক্তকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত এই উৎসব সকলের জীবনে নতুন শক্তি ও উদ্দীপনা জোগাবে।” শুধু তাই নয়, প্রয়াগরাজে পুণ্যার্থীরা যেভাবে ভিড় জমাচ্ছেন, স্নান সারছেন তা দেখে তিনি যে আপ্লুত এবং আবেগপ্রবণ তাও এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শুভেচ্ছা বার্তা যোগীর

    শাহি স্নান নিয়ে বার্তা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুভেচ্ছা (Mahakumbh Mela 2025) জানিয়েছেন পৌষ পূর্ণিমার। তিনি লিখছেন, “সোমবার থেকে তীর্থরাজ প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ ‘মহাকুম্ভ’। মেলায় আসা সমস্ত ভক্ত এবং পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই।” এদিকে কুম্ভমেলা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রয়াগরাজজুড়ে। লক্ষ লক্ষ ভক্তের নিরাপত্তায় কয়েকশো পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে ত্রিবেণী সঙ্গমে। প্রসঙ্গত, সোমবার প্রথম শাহি (Mahakumbh Mela 2025) স্নান। এরপর ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি স্নান আছে। ১৪ জানুয়ারি রয়েছে মকর সংক্রান্তির স্নান। সেদিন আরও মানুষ আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় এক কোটি মানুষ মকর সংক্রান্তিতে স্নান করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই মতো সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ভারত! মহাকুম্ভে যোগ দিয়ে আবেগে ভাসলেন বিদেশিরা

    Maha Kumbh Mela 2025: বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ভারত! মহাকুম্ভে যোগ দিয়ে আবেগে ভাসলেন বিদেশিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্ব থেকে লাখো ভক্ত, পুণ্যার্থী, সাধুসন্ত এবং পর্যটকেরা পাড়ি জমাচ্ছেন এই মেলায়। পৃথিবীর অন্যতম বড় আয়োজন, বড় সমাবেশ মহাকুম্ভ। ভারতে এখন বহু বিদেশিরই গন্তব্য প্রয়াগরাজ। পৌষ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে শাহী স্নান সারতে সোমবারই ঘাটে ঘাটে উপচে পড়ছে ভিড়। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মেলার প্রথম দিন সকাল আটটায় ত্রিবেণী সঙ্গমে জলে ডুব দিয়েছেন প্রায় ৬০ লাখ পুণ্যার্থী। এই মহাযজ্ঞ চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 

    বিদেশ থেকে ভক্ত সমাগম

    শুধুমাত্র ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে নয়, বিদেশ থেকেও বহু ভক্ত এসেছেন প্রয়াগরাজে। কুম্ভমেলার শুরুর দিন থেকেই তাঁরা শাহী স্নানে মন দিয়েছেন। ইতিমধ্যে একাধিক বিদেশি নাগরিকের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেওয়ার ছবি, ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। এই সময়টা অত্যধিক ঠান্ডা থাকে। স্বভাবতই জলও মারাত্মক ঠান্ডা। তবে শাহী স্নানে কোনও রকম কার্পণ্য করছেন না কেউই। স্পেন থেকে আসা এক ভক্ত ১২ বছর আগে পূর্ণকুম্ভে ৪দিনের জন্য এসেছিলেন। স্বল্প সময়ে তাঁর মন ভরেনি, তাই এবার এসেছেন এক মাস সময় নিয়ে। মহাকুম্ভের রঙ, জৌলুস, অবাক করেছে ইটালির এক ভক্তকেও। তাঁর কথায় নানা আবেগের মিলনস্থল মহাকুম্ভ।

    মোক্ষের লক্ষ্যে কুম্ভে

    ‘জল ঠান্ডা তো কী হয়েছে, এখানে এসে হৃদয় উষ্ণতায় ভরে গেছে…’ এই ভাষায়ই মনের ভাব প্রকাশ করছেন বিদেশিরা। কুম্ভে এসে এক ব্রাজিলিয় ভক্তের বক্তব্য, মোক্ষ খুঁজতে তিনি ভারতে এসেছেন। আর কুম্ভমেলায় এসে তাঁর মন ভরে গেছে। তিনি প্রথমবার ভারতে এসেই কুম্ভমেলায় গেছেন। বলছেন, ভারত তো বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী। তাই এখানে এই পরিবেশ পেয়ে তিনি ধন্য। 

    সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা

    ব্রাজিল ছাড়াও স্পেন, পর্তুগাল, রাশিয়া, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ একাধিক দেশ থেকে ভক্তরা এসেছেন কুম্ভমেলায়। প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর মিলনস্থলই হয়ে উঠেছে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু। সাধু-সন্ন্যাসী, সাধারণ মানুষ তো বটেই, মহাকুম্ভ যজ্ঞে বহু হেভিওয়েটও অংশ নিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন ‘অ্যাপল’ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সিইও, স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল। তবে বিপুল এই ভক্ত সমাগমকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছে উত্তরপ্রদেশ এমনই অভিমত ইটালি থেকে আসা এক পুণ্যার্থীর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: ইটের বদলে পাটকেল! বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে দিল্লিতে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

    India Bangladesh Relation: ইটের বদলে পাটকেল! বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে দিল্লিতে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটের বদলে পাটকেল! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Relation) কাঁটাতার বিতর্কের মধ্যেই রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিল মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। এবার পাল্টা চাল দিল ভারতও (India)। দিল্লিতে তলব করা হল বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরাল ইসলামকে। সোমবার দুপুরে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকে বের হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

    জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা (India Bangladesh Relation)

    রবিবারই বাংলাদেশের বিদেশসচিব জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন প্রণয়। পরে তিনি জানান, কাঁটাতারের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। সীমান্তে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রেও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। প্রণয় বলেছিলেন, “নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সেই বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে।” প্রণয় জানান, অপরাধমুক্ত (India Bangladesh Relation) সীমান্ত নিশ্চিত করতে ভারতের যে লক্ষ্য রয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশসচিবের সঙ্গে। চোরাচালান, অপরাধীদের আসা-যাওয়া এবং পাচারের চেষ্টা রোখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

    ঢাকার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ঢাকার অভিযোগ, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অন্তত পাঁচ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। ঢাকার অভিযোগ, এই কাজ করে ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভাঙছে এবং ওই এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এই বিষয়ে প্রণয় জানিয়েছিলেন, এই বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে কথা চলছে। আমরা আশা করছি, সমস্যা মিটে যাবে। সীমান্তে অপরাধ কমানো নিয়ে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করা যাবে।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ব্যবসা হবে ২ লাখ কোটি টাকার, বিরোধীদের জবাব যোগীর

    সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। মালদায় শুকদেবপুর, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে। সেই আবহেই (India) এবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব (India Bangladesh Relation) করল বিদেশমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share