Blog

  • Dilip Ghosh: “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা”, গঙ্গাসাগরে নদী ভাঙন প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা”, গঙ্গাসাগরে নদী ভাঙন প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নদী ভাঙন, জলপথ এবং সেতু নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা।” এদিন গঙ্গাসাগর (Gangasagar mela) পরিদর্শন করে এইভাবেই মন্তব্য করেন তিনি।

    গত ১২-১৪ বছরে কোন কাজ হয়েছে (Dilip Ghosh)?

    পৌষ সংক্রান্তিতেই সাগরদ্বীপে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar mela) বসে। এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা স্নান করতে আসেন। সূর্যের উত্তরায়ণ যাত্রা শুরু হয় এই সময় থেকেই। বাংলার এই গঙ্গার সমুদ্র সঙ্গমে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। অথচ এইরকম একটি তীর্থ ক্ষেত্রের পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ। ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের রাজনৈতিক শাসকের বদল ঘটলেও কপিলমুনির আশ্রম, মেলা এবং পরিকাঠামোর কোনও উন্নয়ন হয়নি। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এই নদীভাঙন নিয়ে বলেন, “আয়লার সময় ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। রাজ্যের পক্ষ থেকে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও আর তা পরে করা হয়নি। কাজ করতে না পারায় টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলে বলবেন বঞ্চনা করছে। আবার টাকা দিলে আপনারা চুরিও করবেন। আপনারা নিজেরা কাজ করে দেখান। সকলে সহযোগিতা করবে। গত ১২-১৪ বছরে কোন কাজটা হয়েছে? আপনারা বলুন, কোনও কাজ করলে কি আদৌ টিকছে? এই ভাবে কাজ না করে বন্ধ করে দিন। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতির মর্যাদা দিতে সঠিক ভাবে আবেদন জানান। তাহলেই কাজ হবে।”

    আরও পড়ুনঃ সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    কাজে নয়, মুখ্যমন্ত্রী শুধু কথা বলতে ভালোবাসেন

    একইভাবে মমতাকে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আরও বলেন, “মমতা একবার বলছেন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে শঙ্করপুরে জেটি নির্মাণ করবেন, আবার কখনও বলছেন নিজেরাই করব। অপর দিকে আদানির সঙ্গেও কথা বলছেন। কাজে নয়, মুখ্যমন্ত্রী শুধু কথা বলতে ভালোবাসেন। ইতিমধ্যে তীর্থযাত্রীরা মেলায় আগমন শুরু করে দিয়েছেন। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ এবং গঙ্গাসাগর মেলা একই তিথিতে পড়ে ভক্তদের ভিড় কিছুটা কম হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই রাজ্যের পক্ষ থেকে পরিকাঠামো এবং পরিষেবার বিষয়ে আরও গুরুত্বদিয়ে ভাবতে হবে।” উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরে (Gangasagar mela) এসে বলেছিলেন, “রাজ্যের টাকায় মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হবে।” ফলে বছর বছর প্রতশ্রুতি দিলেও পূরণ হয় না কিছুই, একথা এলাকার মানুষরাও এখন মনে করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maha Kumbh 2025: ১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের জন্য ঢালাও ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    Maha Kumbh 2025: ১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের জন্য ঢালাও ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। চলবে দেড় মাস (১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি)। প্রশাসনের অনুমান, ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত ভিড় করতে করতে পারেন মেলাকে কেন্দ্র করে। মহাকুম্ভকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে তাঁবু থেকে অস্থায়ী শৌচালয় এমনকী, মহিলাকে পোশাক পরিবর্তনের জন্য চেঞ্জিং রুমও তৈরি করা হয়েছে।

    দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা (Maha Kumbh 2025) 

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ১২ কিলোমিটার অস্থায়ী ঘাট। সেখানেই পবিত্র ডুব দেবেন ভক্তরা। ৪০০ কিলোমিটার অস্থায়ী পায়ে চলার রাস্তাও নির্মাণ করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মহাকুম্ভের ২ লাখ ৬৯ হাজার বর্গমিটার এলাকা এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে মানুষের চলার ক্ষেত্রে (Prayagraj) কোনওরকম সমস্যা না হয়।

    ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি (Maha Kumbh 2025)

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভকে (Maha Kumbh 2025) সর্বাঙ্গসুন্দর করতে থাকছে আরও ব্যবস্থাপনা। ইতিমধ্যে ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়েছে। ২০১টি রাস্তা, অলি-গলিগুলিকেও সংস্কার করা হয়েছে। ১৮০০ হেক্টর জমির ওপর পার্কিং তৈরি করা হয়েছে।

    দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয়

    মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) আসা ভক্তদের জন্য ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৪৪টি চেঞ্জিং রুম। এরসঙ্গে থাকছে ২৫ হাজার ডাস্টবিনের ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার সাফাই কর্মী টানা ৪৫ দিন ধরেই কাজ করবেন। মেলা প্রাঙ্গণকে আলোকিত করতে ৬৯ হাজার এলইডি সোলার লাইট লাগানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীদের প্রয়াগরাজে পৌঁছতে কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, সেজন্য ৩ হাজার স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল।

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025)  নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও

    অন্যদিকে, ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও। মেলা এলাকায় ২,৭৫১টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলছে সর্বক্ষণ। প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তা আধিকারিকরা নজর রাখছেন। এরমধ্যে ৩২৮টি ক্যামেরা এআই বৈশিষ্ট্যযুক্ত। প্রয়াগরাজ জোনের অতিরিক্ত মহানির্দেশক ভানু ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুম্ভ মেলা এলাকায় শক্তিশালী সাত স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সন্দেহজনক কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে সদা তৎপর গোয়েন্দা বাহিনী। নজরদারি জোরদার করার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম এবং টেথার্ড ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা এলাকা এবং তার আশেপাশে প্রায় ৪০,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoists in Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে দুই মহিলা সহ ৫ মাওবাদী নিকেশ, জখম ২ পুলিশকর্মী

    Maoists in Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে দুই মহিলা সহ ৫ মাওবাদী নিকেশ, জখম ২ পুলিশকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Maoists in Chhattisgarh) বিজাপুরে মাওবাদী দমন অভিযানে সাফল্য পেল বাহিনী। খতম হয়েছে ২ মহিলা সহ ৫ মাওবাদী। এদিকে, মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে দুজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। কুক্র থানা এবং জেলা রিজার্ভ গার্ডের একটি দল এলাকায় টহল দেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। আহতদের বিজাপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম জওয়ানরা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন? (Maoists in Chhattisgarh)

    জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের (Maoists in Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় রবিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে পাঁচ মাওবাদী খতম হয়েছে। বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদবের মতে, “নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে ৫ মাওবাদী নিহত হয়েছে। ২ জন মহিলা মাওবাদী এবং ৩ জন পুরুষ মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাওবাদীদের কাছে থেকে কী কী উদ্ধার হল?

    এনকাউন্টারের বিবরণ শেয়ার করে এসপি জিতেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘১১ জানুয়ারি বিজাপুর জেলার জাতীয় উদ্যান এলাকার মাদদেদ থানার অধীন বন্দেপাড়া- কোরেনজেদ জঙ্গলে মাওবাদীদের (Maoists in Chhattisgarh) উপস্থিতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, একটি নিরাপত্তা বাহিনীর দল গিয়েছিল। মাওবাদী বিরোধী অভিযানে। অপারেশন চলাকালীন রবিবার সকালে বান্দেপাড়া-কোরেঙ্গেড় জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়, যা বিকাল ৩-৪ টা পর্যন্ত চলে।’’ জানা গিয়েছে, এনকাউন্টারের পর তল্লাশি অভিযানের সময় দুই মহিলা সহ নিহত মাওবাদীদের পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সকলেই ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় ছিলেন। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলির মধ্যে একটি এসএলআর রাইফেল, একটি ১২ বোরের রাইফেল, দুটি ওয়ান শটার রাইফেল, একটি বিজিএল লঞ্চার এবং একটি স্থানীয়ভাবে তৈরি ভারমার বন্দুক, বিস্ফোরক, মাওবাদী সাহিত্য এবং অন্যান্য মাওবাদী উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে নিরাপত্তাবাহিনীর আট জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। এ বার জানা গেল, নিহত আট জনের মধ্যে পাঁচ জনই ছিলেন প্রাক্তন মাওবাদী নেতা! আত্মসমর্পণের পর বছর দুয়েক আগে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: ২৫ হাজার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে পারে অসম, রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টের

    Assam: ২৫ হাজার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে পারে অসম, রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে অসমে (Assam) অবৈধভাবে বসবাস করছেন প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি (Bangladeshi Intruders)। এঁদের অনেকেই অসমে চলে এসেছেন ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে। কিন্তু, তাঁরা ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করেননি। তাই তাঁদের পরিচয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। সম্প্রতি, এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে গুয়াহাটি হাইকোর্ট।

    বেগম জান (Assam)

    সম্প্রতি বেগম জান নামে এক মহিলা ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করার তারিখ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। ২০২০ সালের ২৯ জুন বারপেটা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল তাঁকে বাংলাদেশি বিদেশি ঘোষণা করেছিল। তার পরেও তিনি সময় মতো নাম নথিভুক্ত করেননি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। গুয়াহাটি হাইকোর্টের ৯ ডিসেম্বরের ওই রায়ের ফলে অসমে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বহিষ্কার করতে পারে।

    হাইকোর্টের রায়

    গুয়াহাটি হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনুপ্রবেশকারীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। কারণ প্রায় ৫ হাজার অনুপ্রবেশকারী ও তাঁদের পরিবার নাম নথিভুক্তকরণের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, নাম নথিভুক্ত করেননি (Assam)। হাইকোর্টের বিচারপতিরা সাফ জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত দ্বারা বাধ্য এবং জান-এর মামলায় সময়সীমা বাড়ানোর জন্য তারা অক্ষম। আদালতের রায়ে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের ২০২৪ সালের অক্টোবরের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এটি নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-এর বৈধতা বজায় রেখেছে।

    আরও পড়ুন: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    জান-এর এই মামলা অসমে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি গুরুতর সমস্যাকে তুলে ধরে। এই মামলার রায়ে বাংলাদেশ থেকে অসমে অনুপ্রবেশকারীদের অবস্থান বিশেষভাবে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা দ্বারা সমাধান করা হয়েছে। ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে কার্যকর করা হয়েছিল এই আইনটি। প্রসঙ্গত, ৬এ (২) ধারা অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি আগে অসমে আসা বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। ৬এ (৩) অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১-এর ২৪ মার্চের মধ্যে আসা ব্যক্তিদের (Bangladeshi Intruders) নাগরিকত্ব দেওয়া হয় (Assam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 249: “হে ঈশ্বর! আমি তোমায় চাই, দেখো যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো না”

    Ramakrishna 249: “হে ঈশ্বর! আমি তোমায় চাই, দেখো যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা রাজপথে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—মাইরি বলছি, আমার যদি একটুও অভিমান হয়।

    মণি—গ্রীস দেশে একটি লোক ছিলেন, তাঁহার নাম সক্রেটিস। দৈববাণী হয়েছিল যে, সকল লোকের মধ্যে তিনি জ্ঞানী। সে ব্যক্তি অবাক্‌ হয়ে গেল। তখন নির্জনে অনেকক্ষণ চিন্তা করে বুঝতে পারলে। তখন সে বন্ধুদের বললে, আমিই কেবল বুঝেছি যে, আমি কিছুই জানি না। কিন্তু অন্যান্য সকল লোকে বলছে, “আমাদের বেশ জ্ঞান হয়েছে।” কিন্তু বস্তুতঃ সকলেই অজ্ঞান।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমি এক-একবার ভাবি যে, আমি কি জানি যে এত লোকে আসে! বৈষ্ণবচরণ খুব পণ্ডিত ছিল। সে বলত, তুমি যে-সব কথা বল সব শাস্ত্রে পাওয়া যায়, তবে তোমার কাছে কেন আসি জানো? তোমার মুখে সেইগুলি শুনতে আসি।

    মণি—সব কথা শাস্ত্রের সঙ্গে মেলে। নবদ্বীপ গোস্বামীও সেদিন পেনেটীতে সেই কথা বলছিলেন। আপনি বললেন যে, “গীতা গীতা” বলতে বলতে “ত্যাগী ত্যাগী” হয়ে যায়। বস্তুতঃ তাগী হয়, কিন্তু নবদ্বীপ গোস্বামী বললেন, ‘তাগী’ মানেও যা ‘ত্যাগী’ মানেও তা, তগ্‌ ধাতু একটা আছে তাই থেকে ‘তাগী’ হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমার সঙ্গে কি আর কারু মেলে? কোন পণ্ডিত, কি সাধুর সঙ্গে?

    মণি—আপনাকে ঈশ্বর স্বয়ং হাতে গড়েছেন। অন্য লোকদের কলে ফেলে তয়ের করেছেন — যেমন আইন অনুসারে সব সৃষ্টি হচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—(সহাস্যে রামলালাদিকে)—ওরে, বলে কিরে!

    ঠাকুরের হাস্য আর থামে না। অবশেষে বলিতেছেন, মাইরি বলছি, আমার যদি একটুও অভিমান হয়।

    মণি—বিদ্যাতে একটা উপকার হয়, এইটি বোধ হয় যে, আমি কিছু জানি না, আর আমি কিছুই নই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঠিক ঠিক। আমি কিছুই নই!—আমি কিছুই নই!—আচ্ছা, তোমার ইংরেজী জ্যোতিষে বিশ্বাস আছে (Kathamrita)?

    মণি—ওদের নিয়ম অনুসারে নূতন আবিষ্ক্রিয়া (Discovery) হতে পারে, ইউরেনাস (Uranus) গ্রহের এলোমেলো চলন দেখে দূরবীন দিয়ে সন্ধান করে দেখলে যে, নূতন একটি গ্রহ (Neptune) জ্বলজ্বল করছে। আবার গ্রহণ গণনা হতে পারে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তা হয়ে বটে।

    গাড়ি চলিতেছে,—প্রায় অধরের বাড়ির নিকট আসিল। ঠাকুর মণিকে বলিতেছেন:

    “সত্যেতে থাকবে, তাহলেই ইশ্বরলাভ হবে।”

    মণি—আর-একটি কথা আপনি নবদ্বীপ গোস্বামীকে বলেছিলেন (Kathamrita), “হে ঈশ্বর! আমি তোমায় চাই। দেখো, যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো না!—আমি তোমায় চাই।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাঁ, ওইটি আন্তরিক বলতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    India Bangladesh Relation: সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) মধ্যে যে সমঝোতার বিষয়টা রয়েছে, সেটা মেনে চলতে হবে (Indian High Commissioner)। পড়শি দেশকে সাফ জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সীমান্তে অপরাধ কমাতে দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন বলেও জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেখানেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

    জসিমউদ্দিন-প্রণয়ের বৈঠক (India Bangladesh Relation)

    জসিমউদ্দিন-প্রণয়ের বৈঠক হয় ৪৫ মিনিট ধরে। পরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, “আমরা আশা করছি, পারস্পরিক বোঝাপড়া লাগু হবে। অপরাধ দমন করতে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকবে।” ভার্মা জানান, অপরাধমুক্ত সীমান্ত তৈরি করতে ভারত কতটা বদ্ধপরিকর, সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ সচিবকে। সীমান্তে চোরাচালান, পাচার, দুষ্কৃতীদের আনাগোনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

    সুরক্ষার স্বার্থে বেড়া সীমান্তে

    সুরক্ষার স্বার্থে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা রয়েছে। বিএসএফ এবং বিজিবি এনিয়ে পারস্পরিক সংযোগ রক্ষা করবে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশছাড়া হওয়ার পর সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিনের বৈঠকে (India Bangladesh Relation) সে প্রসঙ্গও উঠেছে।

    এদিকে, সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করায় বেজায় চটেছে বাংলাদেশ। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গটিও উত্থাপন করেছে ভারত। বিএসএফের কাজকর্মে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জসিমউদ্দিন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার মতো অবৈধ কাজ করা হচ্ছে। উত্তেজনা ছড়ায় এমন বিষয় থেকে দূরে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জসিমউদ্দিনের দাবি, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার মতো কাজ পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

    আরও পড়ুন: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় ভারত নিজেদের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলেও, বাধা দেয় বিজিবি। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই বলে যে, ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বাধা দেওয়া হবে। এহেন (Indian High Commissioner) আবহেই হল দুই দেশের বৈঠক (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Kolkata Metro: চলবে সিগন্যালের কাজ, আগামী দেড় মাস বন্ধ থাকবে কলকাতা মেট্রোর এই রুটের পরিষেবা

    Kolkata Metro: চলবে সিগন্যালের কাজ, আগামী দেড় মাস বন্ধ থাকবে কলকাতা মেট্রোর এই রুটের পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) দেড়মাস বন্ধ থাকবে। মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বউবাজারে মেট্রোর কাজ শেষ হওয়ার পর এবার হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে। এই লাইনে সম্পূর্ণ সিগন্যাল ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য কাজ করা হবে। ফ্রান্সের একসংস্থা এই কাজ করবে। এই কাজের জন্য প্রায় এক মাসের বেশি সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে সাময়িক ভাবে যাত্রীদের কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য আগেও মেট্রোরও তরফে জানানো হয়েছে যে চলতি মাসের ১২ এবং ১৯ জানুয়ারি রবিবার গ্রিন লাইনের মেট্রো বন্ধ থাকবে। পরপর দুটি রবিবার সিগন্যালিংয়ের কাজের জন্য বন্ধ রাখা হবে পরিষেবা।

    ফরাসি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাজের দায়িত্ব (Kolkata Metro)

    কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) জানিয়েছে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে সমগ্র গ্রিন লাইনে। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডগামী এবং শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ফলে এই দুই রুটের নিত্যযাত্রীদের কিছু সময়ের জন্য সমস্যায় পড়তে হবে। কাজ করতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তাই ওই সংস্থার পক্ষ থেকে মেট্রো চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর তাই মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই পরিষেবা বন্ধ রাখার পদক্ষেপ করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    সিগন্যাল এবং লাইনের বাকি কাজ চলবে

    উল্লেখ্য, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (Kolkata Metro) প্রকল্পের অধীনে বউবাজার অংশের কাজ করতে গিয়ে নানা রকম বাধা এবং সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। কাজ আদৌ করা যাবে কিনা, করলে কবে করা যাবে এই নিয়ে একটা বিরাট সঙ্কটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তিন-চারবার বিপর্যয় ঘটায় বার বার থমকে গিয়েছিল কাজ। এরপর কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হয়েছিল মেট্রো। ফলে বিলম্ব হওয়ায় সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এবার বাকি কাজ শেষ হলে সেক্টর ফাইভ থেকে সরাসরি হাওড়া ময়দান পর্যন্ত চলে যাওয়া যাবে। তাই সিগন্যাল এবং লাইনের বাকি কাজ দেড় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cauliflower: শীতের বাজারে দেদার মিলছে ফুলকপি, নিয়মিত এই সবজি খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    Cauliflower: শীতের বাজারে দেদার মিলছে ফুলকপি, নিয়মিত এই সবজি খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত বসেছে জাঁকিয়ে! আর এই মরশুমের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি ফুলকপি (Cauliflower)। বিয়েবাড়ির নিরামিষ মেনুতে হোক, কিংবা বাড়ির খাবারের তালিকায়, এই সবজির হরেক পদের রান্না চলছে। দিন কয়েক ধরে বাজারে ফুলকপি দেদার মিলছে। সহজলভ্য এই ফুলকপি এখন নেট দুনিয়ারও রসিকতার বস্তু! তবে নিয়মিত ফুলকপি খেলে শরীরে গভীর প্রভাব পড়ে, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এখন দেখে নেওয়া যাক, কতখানি উপকারী এই ফুলকপি?

    হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বাড়ছে। তাই হাড়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাড় সুস্থ ও মজবুত রাখতে খাবারের উপরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আর যে সব খাবার হাড় মজবুত রাখে, তার মধ্যে অন্যতম হল ফুলকপি (Vegetable)। হাড়ের ক্ষয় রুখতে এবং হাড়কে মজবুত করতে ফুলকপি খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে থাকে‌ ভিটামিন কে। তাই এই এই সবজি হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী।

    স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়ে (Cauliflower)

    জীবনযাপন সম্পর্কিত রোগে এখন অধিকাংশ তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ভুগছেন। আর স্থূলতা সেই তালিকায় অন্যতম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস কিংবা বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যার কারণ লুকিয়ে থাকে অতিরিক্ত ওজনে। ফুলকপি ওজন কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে ক্যালরি খুবই কম থাকে। ফলে ফুলকপি খেলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ফুলকপি (Cauliflower) সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে থাকে গ্লুকোরোফেনিন। এই উপাদান হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।

    কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায়

    ফুলকপিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। এই দুই উপাদান শরীরে কোলেস্টেরলের ঝুঁকিও কমায়। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

    পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী (Cauliflower)

    শীতে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দেয়। ফুলকপি এই দুই সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুলকপি নিয়মিত খেলে পাচনতন্ত্র ভালো থাকে। ফুলকপিতে (Vegetable) থাকে ফাইবার। তাই এই উপাদান পাচনতন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। 

    তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড থাকলে ফুলকপি নিয়মিত না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: পুজো দিলেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে, মহাকুম্ভে স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন এখন কমলা

    Maha Kumbh Mela 2025: পুজো দিলেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে, মহাকুম্ভে স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন এখন কমলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় (Maha Kumbh Mela 2025) পূণ্যস্নান করতে চলেছেন অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল। ইতিমধ্যেই লরেন প্রয়াগরাজে পৌঁছে গিয়েছেন। তার আগে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেন লরেন। নিজের গুরু স্বামী কৈলাসনন্দের শিবিরে আছেন তিনি। গুরু কৈলাসনন্দ তাঁর নাম দিয়েছেন কমলা। ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির দিন মহাকুম্ভে পূণ্যস্নান সেরে ১৫ জানুয়ারি আমেরিকা ফিরে যাবেন লরেন। সেখানে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে লরেন

    প্রবল ধুমাধামে উত্তরপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ (Laurene Jobs in Maha Kumbh)। সেখানে যোগ দিতে আমেরিকা থেকে ৪০ জনের দল নিয়ে ভারতে এসেছেন লরেন। উত্তরপ্রদেশে পৌঁছেই তিনি পুজো দেন বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। পাওয়েলকে মন্দিরে আনেন নিরঞ্জন আখাড়ার সন্ন্য়াসী স্বামী কৈলাসানন্দ। মন্দিরে পুজো দিতে আসা লরেনের পরেছিলেন ভারতীয় পোশাক। তিনি একটি গোলাপী রঙের কুর্তি পরেছিলেন এবং মাথা ঢাকা ছিল সাদা ওড়নায়। লরেনের কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়া প্রসঙ্গে কৈলাসনন্দ গিরি বলেন, ‘তিনি (লরেন পাওয়েল জোবস) মন্দিরের সমস্ত নিয়ম মেনে, ভারতীয় ঐতিহ্য মেনে পুজো দিয়েছেন। হিন্দু ছাড়া অন্য়ান্য ধর্মের মানুষের শিবলিঙ্গ স্পর্শ করার অনুমতি নেই। সেই কারণেই গর্ভগৃহের বাইরে দাঁড়িয়ে পুজো দেন তিনি। মহাকুম্ভ যাতে নির্বিঘ্নে শেষ হয় তার জন্য প্রার্থনা করেন।

    মহাকুম্ভের ক্যাম্পে লরেন

    রবিবার মহাকুম্ভের শিবিরে (Maha Kumbh Mela 2025) এসে পৌঁছান লরেন। সেই সময় তিনি পরেছিলেন একটি হলুদ সালোয়ার। তাঁর ডান হাতে বাঁধা ছিল ‘রক্ষাসূত্র’, গলায় ছিল রুদ্রাক্ষের মালা। তাঁকে সেখানে ফুলের মালা পরিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি সেখানে মাটির ভাঁড়ে মসলা চা খান। ভারতীয় খাবার দিয়ে লাঞ্চ করেন। কৈলাসনন্দ জানান, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার তাঁর হরিদ্বারের আশ্রমে এসেছিলে লরেন। কৈলাসনন্দ গিরি বলেন, ‘‘১৪ জানুয়ারির অমৃত স্নানে কমলা (লরেনকে দেওয়া কৈলাসনন্দের নাম) আমার রথে করে যাবেন। সেই সময় স্বামী ব্যসানন্দ গিরিও (মার্কিন শিষ্য) আমার সঙ্গে থাকবেন। প্রয়াগরাজে সঙ্গমে সেটাই হবে কমলার প্রথম পূণ্যস্নান।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: কাঁটাতার দিতে বাধা বিজিবি-র! সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক ২ বিজেপি বিধায়কের

    BSF: কাঁটাতার দিতে বাধা বিজিবি-র! সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক ২ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার বৈষ্ণবনগর থেকে শুরু করে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ কিংবা দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সংক্ষেপে বিজিবির বিরুদ্ধে বারবার সীমা কাঁটাতার বসাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এবার, সীমান্ত পরিদর্শনে গেলেন দুই বিজেপি বিধায়ক। মালদার হবিবপুরে সীমান্ত পরিদর্শনে যান বিজেপি (BJP) বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। চৌকিতে গিয়ে বিএসএফ (BSF) আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। অন্যদিকে, বালুরঘাটে সীমান্ত এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি।

    বৈঠকের পর কী বললেন বিজেপি বিধায়করা? (BJP)

    হবিবপুরের কেদারিপাড়া সীমান্ত চৌকিতে গিয়ে বিএসএফ (BSF) আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে হবিবপুরের বিধায়ক বলেন, “এখানে কোনও ফেন্সিং নেই। কেদারিপাড়া থেকে বেলডাঙা এখানে ২৫ কিমি ফেন্সিং নেই। এটা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা। রাজ্য যদি আগে ব্যবস্থা নিত, বিএসএফ-কে বা কেন্দ্রকে জায়গা দিত, তাহলে অনেক দিন আগে ফেন্সিং হয়ে যেত।” অন্যদিকে, গত বুধবার কাঁটাতার ইস্যুতেই উত্তপ্ত হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানা এলাকার শিবরামপুর গ্রাম। এখানে প্রায় ৬০০ মিটার এলাকা কাঁটাতার হীন। সেখানে ফেন্সিংয়ের কাজ চলাকালীন, বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে বিএসএফ (BSF)। অশান্তির জেরে বন্ধ হয়ে যায় ফেন্সিংয়ের কাজ। রবিবার, সীমান্ত এলাকায় যান বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক। কথা বলেন বিএসএফের সঙ্গে। বিধায়ককে সমস্যার কথা জানান স্থানীয় মানুষরা। বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি বলেন, “গ্রামটাকে যদি কাঁটাতারের মধ্যে নিতে হয় তাহলে ওর দূরত্ব বেড়ে যায় ৯০০ মিটার। ইন্টারন্যাশনাল বর্ডারের ১৫০ মিটারের মধ্যে কোনও কন্সট্রাকশন করা যায় না। আমি কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বললাম। বিএসএফ (BSF) আশা করি সুরাহা করবে।”

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    সরব শুভেন্দুও

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “যদি ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে, গোটা ৫-৭ ড্রোন পাঠিয়ে দিলেই ওদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। ওসামা বিন লাদেনের থেকেও খারাপ অবস্থা হবে।” অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বাধা ঘিরে গন্ডগোলের পর থেকে, মালদার বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুরে অরক্ষিত সীমান্তে এখনও কাঁটাতার দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে। বিএসএফ-বিজিবি (BSF-BGB) ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পরেও মেলেনি সুরাহা।

    ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে বাংলাদেশিরা

    বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুরে সীমান্তের (BSF) ওপারে দেড়শো গজ এলাকা বরাবর প্রায় হাজার বিঘা চাষের জমি রয়েছে এদেশের কৃষকদের। নিরাপত্তার কারণে কয়েকদিন কৃষকদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। শনিবার ভারতীয় কৃষকরা জমিতে গিয়ে দেখেন ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, “এখানে কাঁটাতার লাগাতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড। ওরা করতে দিচ্ছে না। জঙ্গি, জাল টাকা সব ভারতে প্রবেশ করাবে, ওই জন্য ওরা বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা আতঙ্কে আছি। কাঁটাতার থেকে ১৫০ গজ ভিতরে জমি আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share