Blog

  • IPL 2025: শীতের শেষে কলকাতা কাঁপবে ক্রিকেট জ্বরে! ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ও ফাইনাল-সহ ৯টি ম্যাচ 

    IPL 2025: শীতের শেষে কলকাতা কাঁপবে ক্রিকেট জ্বরে! ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ও ফাইনাল-সহ ৯টি ম্যাচ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র দুই মাস, শুরু হতে চলেছে আইপিএল ২০২৫ (IPL 2025)। রবিবারই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পরবর্তী সংস্করণ শুরুর দিন জানিয়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বাংলার আইপিএল প্রেমীদের জন্য এবার সুখবর। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাতটি হোম ম্যাচ তো বটেই, দুটি বাড়তি ম্যাচ পাচ্ছে ক্রিকেটের নন্দনকানন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের ২০২৫ সংস্করণের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। আইপিএল ফাইনালও হবে ইডেনেই (Eden Gardens)। আইপিএল শুরু ২১ মার্চ। ফাইনাল হতে চলেছে ২৫ মে। 

    বিসিসিআই-এর নয়া সচিব দেবজিৎ

    রবিবার, ১২ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভা (BCCI SGM)। সেখানে নির্বাচিত হলেন বোর্ডের নতুন সচিব ও কোষাধ্যক্ষ। বোর্ড সচিব হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দায়িত্ব নিলেন অসম ক্রিকেট সংস্থার দেবজিৎ সাইকিয়া। যিনি বোর্ডের যুগ্মসচিব ছিলেন। জয় শাহর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। পাশাপাশি কোষাধ্যক্ষ হিসাবে বিনা লড়াইয়ে নির্বাচিত হলেন ছত্তিশগড় ক্রিকেট সংস্থার প্রভতেজ সিং ভাটিয়া। পাশাপাশি রবিবারের বৈঠকে আলোচনা হয় আইপিএল নিয়েও। বৈঠকে হাজির ছিলেন অভিষেক ডালমিয়া সহ আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরাও।

    আইপিএল-এর সম্ভাব্য সূচি

    বোর্ডের বৈঠকে আইপিএলের (IPL 2025) সূচি প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। জানা গিয়েছে, পরের আইপিএল শুরু হচ্ছে ২১ মার্চ, শুক্রবার। উদ্বোধনী ম্যাচ হবে ইডেন গার্ডেন্সে। বাড়তি ম্যাচ বলতে, প্লে অফ পর্বে ২৩ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি হবে ইডেনে (Eden Gardens)। সেই সঙ্গে প্রথা মেনে ফাইনালও হবে ইডেনেই। কেকেআর গতবার ট্রফি জিতেছিল বলেই উদ্বোধন ও ফাইনাল হবে নাইটদের ডেরায়। এদিন উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেরও দিন ঘোষণা করে বোর্ড। ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে যাচ্ছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের পরবর্তী সংস্করণ। ফাইনাল ২ মার্চ। চলতি মাসের শেষেই আইপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত সূচি ঘোষিত হলেই শীতের শেষে কলকাতা কাঁপবে ক্রিকেট জ্বরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Case: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Saline Case: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Case) তোলপাড় রাজ্য। প্রসূতি মামনি রুইদাসের মৃত্যুর খবরে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সাধারণ রোগীর পরিবার-পরিজনদের মধ্যে জমেছে ব্যাপক ক্ষোভ। বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেক রোগীর পরিবারই। এনিয়ে রাস্তায় নেমেছে বিজেপিও। বুধবার জন্ম নিয়ে শুক্রবারই মাতৃহারা হয়ে পড়ে সদ্যোজাত। জানা গিয়েছে, আরও চারজন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মেদিনীপুরে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রবিবার রাতে, তাঁদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর।

    এই আবহে মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তিনি এনেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির তো কেউ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না, এমন কটাক্ষও করেন শুভেন্দু। এপ্রসঙ্গে তাঁর নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জাল ওষুধ কারবারীদের টাকার মোটা অংশ কালীঘাটে পৌঁছে যায় বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। এই কাণ্ডে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অফেন্সের এফআইআর হওয়া উচিত বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।

    স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Case)  ইডি তদন্ত চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা  

    স্যালাইনকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কেউ সরকারি হাসপাতালে যায় না, বেসরকারি হাসপাতালে যায়। (চিকিৎসা করাতে) সিঙ্গাপুরে যায়, আমেরিকায় যায়। এক কোটি টাকা ডিপোজিট রাখতে হয় এমন জায়গায় যায় চিকিৎসা করতে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতির ওখানে চিকিৎসা হয়। আমাদের সাধারণ মানুষকে মারছে।’’ একইসঙ্গে তিনি স্যালাইনকাণ্ড নিয়ে ইডির তদন্তের দাবিও তুলেছেন। অতীতে একাধিকবার নিজের চিকিৎসা করাতে বিদেশে যেতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন শুভেন্দু তাঁকেই তোপ দাগলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

    রাজ্যের স্যালাইনকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কাস্টডিতে নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি ট্যুইট (বর্তমানে এক্স মাধ্যম) করার পরে নির্দেশিকা (Saline Case) দিয়েছে। ১৩ জনের কমিটি যেটা গিয়েছিল তারা রিপোর্ট দিয়েছে সন্ধ্যার পরে। অনেক কিছু হবে। ইডি যাতে এই তদন্তটা নেয়, সেটা আমরা দাবি করেছি। আমি নাড্ডাজিকে বলেছি, ডাইরেক্টরেট অফ ড্রাগ কন্ট্রোল (DCGI) আছে। তারা এসে ব্যবস্থা নিক। নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কাস্টডিতে নিতে হবে। ব্ল্যাকলিস্টেড কোম্পানিকে দিয়ে টেন্ডার করিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, গত শনিবারই নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    কালীঘাটের সঙ্গে টাকার লেনদেনের অভিযোগ বিরোধী দলনেতার  

    কালীঘাটের সঙ্গে টাকার লেনদেন (Saline Case) হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর হলেন বহরমপুরের মুকুল ঘোষ।  এই মুকুল ঘোষের সঙ্গে সরাসরি কালীঘাটের যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সাপ্লাই করে।’’

    কয়েকশো ভুয়ো ওষুধ কোম্পানি আছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর

    নিজের এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আমার কাছে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর আছে যে, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামক কোম্পানিটির ডিরেক্টরদের নামে কয়েকশো ভুয়ো কোম্পানি রয়েছে। তাদের ফার্মের ওপর এত গুরুতর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে (Saline Case)  নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করার অনুমতি পায়?’’

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের উচিত বলে মনে করেন বিরোধী দলনেতা 

    শুভেন্দু অধিকারীর মতে, এই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে বড় মাথার যোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার তো মনে হয় স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অফেন্সের এফআইআর হওয়া উচিত। কারণ, ২০২২ সালে যে কোম্পানির মেয়াদ শেষ, নারায়ণ স্বরূপ নিগম কী করে ৬ মাসের এক্সটেনশন দিয়েছেন এই কোম্পানিকে? এক্সচেঞ্জ অফ মানি। সিঙ্গল অ্যাজেন্ডা টু আর্ন মানি, টু কালেক্ট মানি। অনলি থিং ইজ মানি। টিএমসি মিনস মানি মানি মানি। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাজিকে অনুরোধ করেছি যাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার কমিশনার এই বিষয়ে অ্যাকশন নেন। আমি মনে করি, ইডির এই কেসটা নিয়ে নেওয়া উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: আতঙ্কে পুণ্যার্থীরা! মহারাষ্ট্রে কুম্ভমেলামুখী ট্রেনে উড়ে এল পাথর, ভাঙল জানলার কাচ

    Maha Kumbh Mela 2025: আতঙ্কে পুণ্যার্থীরা! মহারাষ্ট্রে কুম্ভমেলামুখী ট্রেনে উড়ে এল পাথর, ভাঙল জানলার কাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুম্ভ স্পেশাল ট্রেনে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। ভাঙল এসি কামরার জানালার কাচ। সোমবার থেকে প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। মহাকুম্ভ উপলক্ষে পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। উত্তরপ্রদেশের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এবার মেলায় যোগ দিতে পারেন প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ। সেজন্য একাধিক ট্রেন, বাস-সহ অন্যান্য পরিবহণের ব্য়বস্থাও করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে সেরকমই এক ট্রেনে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

    ভাঙল একাধিক জানলার কাচ

    কুম্ভস্নান করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। পুণ্যার্থীদের কথা ভেবেই ভারতীয় রেলের তরফেও অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হচ্ছে। প্রয়াগরাজগামী এমনই এক ট্রেন লক্ষ্য করে ছোড়া হল ইট-পাথর। একাধিক জানালার কাচ ভাঙতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, গুজরাটের সুরাট থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ যাচ্ছিল তাপ্তি গঙ্গা এক্সপ্রেস। মহারাষ্ট্রের জলগাঁও দিয়ে যাওয়ার সময়ই ট্রেনের উপরে হামলা হয়। লাগাতার ইট-পাথর ছোড়ে কিছু দুষ্কৃতীরা। ইটের আঘাতে ট্রেনের বি৬ কামরার জানালার কাচ ভেঙে যায়।

    ভাইরাল ভিডিও

    ইতিমধ্যে সোশ্যাল মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জানালার একটি কাচ ভাঙা। পাথরের আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। ভিডিওয় এক যাত্রীকে আতঙ্কিত কণ্ঠে বলতে শোনা যাচ্ছে, জলগাঁওয়ের কাছে ট্রেন লক্ষ্য করে প্রচুর পাথর ছোড়া হয়েছে। ভিডিও বার্তায় রেলের কাছে সুরক্ষার আবেদনও জানিয়েছেন পুণ্য়ার্থীরা। রেলের তরফেও জানানো হয়েছে, ওই ট্রেনের প্রায় ৪৫ শতাংশ যাত্রীই মহাকুম্ভের জন্য প্রয়াগরাজ যাচ্ছিলেন। সেন্ট্রাল রেলওয়ে ও পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হচ্ছে ওইদিকের এলাকার। হামলার পরই ট্রেনে সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফের চারটি টিম পাঠানো হয়।

    তদন্তে রেল পুলিশ

    এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে মধ্যরেল। পাথর ছোড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে মধ্যরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক স্বপ্নীল নীলা বলেন, ‘‘সুরাট উধনা থেকে আসা এই ট্রেনে একটি পাথর ছোড়া হয় জলগাঁওয়ের কাছে। এ ক্ষেত্রে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় এবং ট্রেনে আরপিএফের চারটি দল মোতায়েন করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।’’ এই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে রেল পুলিশ। কুম্ভমেলায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির জন্যই এই হামলা নাকি এর থেকেও বড় কোনও ছক রয়েছে দুষ্কৃতীদের তা নিয়েই অনুসন্ধান চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: প্রয়াগরাজে শুরু হল মহাকুম্ভ, পৌষ পূর্ণিমায় ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব ভক্তদের

    Maha Kumbh 2025: প্রয়াগরাজে শুরু হল মহাকুম্ভ, পৌষ পূর্ণিমায় ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল মহাকুম্ভ। প্রয়াগরাজে প্রথম শাহি স্নান (Shahi Snan) সম্পন্ন হল সোমবার। এদিন ব্রাহ্মমুহূর্তে ভোর ৩টে ২০ নাগাদ পুণ্যার্থীরা ডুব দেন ত্রিবেণী সঙ্গমে- গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর (পৌরাণিক) মিলনস্থলে। পবিত্র উৎসবে মেতে ওঠেন ভক্তরা। ২০২৫ সালের এই কুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025) ৪০ কোটি ভক্তের সমাবেশ হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। যার শুরুটা হল সোমবার থেকেই।

    চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (Maha Kumbh 2025)

    প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ উৎসব (Maha Kumbh 2025) শুরু হল ১৩ জানুয়ারি থেকে, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উল্লেখ্য, কুম্ভমেলা প্রতি ৪ বছর অন্তর হয়। প্রতি ৬ বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভমেলা। প্রতি ১২ বছরে একবার হয় পূর্ণকুম্ভ মেলা। আর প্রতি ১২টি পূর্ণকুম্ভ অর্থাৎ ১৪৪ বছর পর আসে একটি মহাকুম্ভ মেলা। এবার পূর্ণ কুম্ভের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে মহাকুম্ভও। ভারতবর্ষের প্রাচীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, পরম্পরা, আধ্যাত্মিকতা প্রতিফলিত হয় এই মহাকুম্ভের সমাবেশে। মহাকুম্ভের যে ভিড়ের অনুমান প্রশাসনের তরফ থেকে করা হয়েছে, তাতে পরিষ্কার যে সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্ট হতে চলেছে এটি।

    আঁটসাঁট নিরাপত্তা

    এই কুম্ভ মেলাকে (Maha Kumbh 2025) কেন্দ্র করে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বক্ষণের জন্য মোতায়ন রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী সর্বদা বোট নিয়েও টহল দিচ্ছে, যাতে শাহি স্নানে কোনও রকমের বিপত্তি না ঘটে। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশও নিজেদের কাজ করছে, যাতে মহাকুম্ভে আসার পথে ভক্তদের কোনও অসুবিধা না হয়। মহাকুম্ভের যে জায়গাগুলিতে শাহি স্নান হবে সেখানে জলের ভিতরে চলতে পারে এমন ড্রোনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রক। অন্যদিকে, ১২০ মিটার ওপরে উড়তে পারে এমন ড্রোনও মহাকুম্ভ মেলাকে সর্বক্ষণ পাখির চোখে দেখছে। এর পাশাপাশি কোনও ভক্ত অসুস্থ হয়ে গেলে সেখানকার জন্য একাধিক স্বাস্থ্য শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। ড্রোন ছাড়াও আড়াই হাজারের বেশি ক্যামেরা সর্বক্ষণ তদারকি করছে গোটা কুম্ভ মেলাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু।” স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) ১৬৩তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁর পৈত্রিক ভিটে শিমলা স্ট্রিটে গিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি এখানে প্রায় ৩০ বছর আসছি। গোটা দেশ, বিশেষত বাংলা তাঁর জন্মবার্ষিকী পালন করেন। এদিন যখন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি, তখন আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু। সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে জীব সেবা করার মাধ্যমে আমরা শিবের সেবা করি। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার সেবা করার শিক্ষা আমাদের দিয়েছেন স্বামীজি।” স্বামীজির পৈত্রিক ভিটেয় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে ভারত এগিয়ে চলেছে (Suvendu Adhikari)।”

    ভারতীয়দের ধমনীতে রয়েছে স্বামীজির আদর্শ

    এদিন সকালে মিছিল করে শিমলা স্ট্রিটে যান শুভেন্দু, ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা-কর্মী। শুভেন্দু প্রথমে স্বামীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে করেন। তিনি বলেন, “ছাত্রাবস্থা থেকে আমি এখানে এসেছি। কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ হিসেবে এখানে এসেছি। বাড়িটির (স্বামীজির পৈত্রিক ভিটের) অন্দরের সংস্কারের কাজে ও কিছু নির্মাণের কাজে আমি কিছু অনুদানও দিয়েছি।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, স্বামীজিরা তাঁকে এই অনুমতি দেওয়ায় তিনি খুশি। শুভেন্দু বলেন, “ভারতীয়দের ধমনীতে রয়েছে হিন্দু ও স্বামীজির আদর্শবাদ।” তিনি বলেন, “আমার শিমলা স্ট্রিটে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। ফলে এটি নিয়ে রাজনৈতিক খোঁচা দেওয়ার কারণ নেই।”

    আরও পড়ুন: নানা অছিলায় কুম্ভমেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশরা, জানুন অজানা কাহিনি

    এদিকে, এদিন স্বামীজিকে ‘ক্যাশ’ করার সুযোগ ছাড়েনি তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল। গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মিছিলে ভিড় জমাতে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায় দলীয় স্তরে বার্তা পাঠিয়েছিল তৃণমূল। ওই বার্তায় বলা হয়েছিল, ১২ জানুয়ারির মিছিলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক (Suvendu Adhikari)। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের গায়ে লেগেছে মুসলমান তোষণের অভিযোগের কালি। সেই কলঙ্ক মুছতেই যাবতীয় আয়োজন তৃণমূল নেতৃত্বের (Swami Vivekananda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 248: “তাঁর চৈতন্যে জগতের চৈতন্য। এক-একবার দেখি, ছোট ছোট মাছের ভিতর সেই চৈতন্য কিলবিল করছে!”

    Ramakrishna 248: “তাঁর চৈতন্যে জগতের চৈতন্য। এক-একবার দেখি, ছোট ছোট মাছের ভিতর সেই চৈতন্য কিলবিল করছে!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা রাজপথে ভক্তসঙ্গে

    “তাঁর কাণ্ড কি কিছু বুঝা যায় গা! কাছে তিনি — অথচ বোঝবার জো নাই, বলরাম কৃষ্ণকে ভগবান বলে জানতেন না।”

    মণি—আজ্ঞা হাঁ! আপনি ভীষ্মদেবের কথা যেমন বলেছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, হাঁ, কি বলেছিলাম বল দেখি।

    মণি—ভীষ্মদেব শরশয্যায় কাঁদছিলেন, পাণ্ডবেরা শ্রীকৃষ্ণকে বললেন, ভাই, একি আশ্চর্য! পিতামহ এত জ্ঞানী, অথচ মৃত্যু ভেবে কাঁদছেন! শ্রীকৃষ্ণ বললেন, ওঁকে জিজ্ঞাসা কর না, কেন কাঁদছেন! ভীষ্মদেব বললেন, এই ভেবে কাঁদছি যে, ভগবানের কার্য কিছুই বুঝতে পারলাম না! হে কৃষ্ণ, তুমি এই পাণ্ডবদের সঙ্গে সঙ্গে ফিরছ, পদে পদে রক্ষা করছ, তবু এদের বিপদের শেষ নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর মায়াতে সব ঢেকে রেখেছেন — কিছু জানতে দেন না। কামিনী-কাঞ্চন মায়া। এই মায়াকে সরিয়ে যে তাঁকে দর্শন করে সেই তাঁকে দেখতে পায়। একজনকে বোঝাতে বোঝাতে (ঈশ্বর একটি আশ্চর্য ব্যাপার) দেখালেন, হঠাৎ সামনে দেখলাম, দেশের (কামারপুকুরের) একটি পুকুর, আর-একজন লোক পানা সরিয়ে যেন জলপান করলে। জলটি স্ফটিকের মতো। দেখালে যে, সেই সচ্চিদানন্দ মায়ারূপ পানাতে ঢাকা,—যে সরিয়ে জল খায় সেই পায়।

    “শুন, তোমায় অতি গুহ্য কথা বলছি! ঝাউতলার দিকে বাহ্যে করতে করতে দেখলাম—চোর কুঠরির দরজার মতো একটা সামনে, কুঠরির ভিতর কি আছে দেখতে পাচ্ছি না। আমি নরুন দিয়ে ছেঁদা করতে লাগলাম, কিন্তু পারলুম না। ছেঁদা করি কিন্তু আবার পুরে আসে! তারপর একবার এতখানি ছেঁদা হল!”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এই কথা বলিয়া মৌনাবলম্বন করিলেন। এইবার আবার কথা কহিতেছেন, “এ-সব বড় উঁচু কথা—ওই দেখ আমার মুখ কে যেন চেপে চেপে ধরছে!

    “যোনিতে বাস স্বচক্ষে দেখলাম (Kathamrita)!—কুকুর-কুক্কুরীর মৈথুন সময়ে দেখেছিলাম।

    “তাঁর চৈতন্যে জগতের চৈতন্য। এক-একবার দেখি, ছোট ছোট মাছের ভিতর সেই চৈতন্য কিলবিল করছে!”

    গাড়ি শোভাববাজারের চৌমাথায় দরমাহাটার নিকট উপস্থিত হইল। ঠাকুর আবার বলিতেছেন:

    “এক-একবার দেখি বরষায় যেরূপ পৃথিবী জরে থাকে,—সেইরূপ এই চৈতন্যতে (Kathamrita) জগৎ জরে রয়েছে।

    “কিন্তু এত তো দেখা হচ্ছে, আমার কিন্তু অভিমান হয় না।”

    মণি (সহাস্যে)—আপনার আবার অভিমান!

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CM Yogi Adityanath: যোগী আদিত্যনাথের শিরশ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    CM Yogi Adityanath: যোগী আদিত্যনাথের শিরশ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (CM Yogi Adityanath) শিরশ্চেদ করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এক মুসলিম যুবক (Muslim Youth)। এবার বেরিলি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য অভিযুক্ত এই যুবক আগেও একাধিকবার হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে নাশকতার হুমকি দিয়েছিল। সে রামমন্দিরকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।

    মুসলিমরা এই বছর মহাকুম্ভ মেলা হতে দেবে না (CM Yogi Adityanath)!

    জানা গিয়েছে, প্রেমনগর থানায় এই মুসলিম যুবকের (Muslim Youth) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। নাম মাইজান রাজা। তার বয়স মাত্র ৩০। সামাজিক মাধ্যমে হিন্দুদের উদ্দেশ্যে উস্কানি মূলক মন্তব্য করে প্ররোচনা দেওয়ার কাজ করে। রামমন্দির যেমন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল, একই ভাবে আবার কুম্ভমেলায় আক্রমণ করার কথাও ঘোষণা করেছিল। হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে বলে, “মুসলিমরা এই বছর মহাকুম্ভ মেলা হতে দেবে না। প্রত্যেক মুসলিমের উচিত প্রত্যেক হিন্দুর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা। এই বছর ২০২৫ সাল হবে রাম মন্দিরের শেষ বছর।” মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে (CM Yogi Adityanath) প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় তার পোস্ট।

    আরও পড়ুনঃ অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    সামাজিক মাধ্যমে উস্কানি এবং নাশকতার ছক

    অপর দিকে, রাজ্যের বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা কেকে শঙ্খধর, এডিজি বেরেলি এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে অবিলম্বে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের (Muslim Youth) সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র (CM Yogi Adityanath) এবং নাশকতার চক্রান্তের অভিযোগে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের মুসলিম সমাজের একাংশ যে হিন্দু সমাজের প্রতি ব্যাপক হিংসার মনোভাব পোষণ এবং ধারণ করে, তা এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। একই ভাবে মহাকুম্ভ মেলায় মেলার জায়গা নিয়ে বড় দাবি করেছেন সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেলভি। তিনি বলেন, “৫ বিঘা ওয়াকফ জমি হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। মহাকুম্ভে শুধুমাত্র হিন্দুদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। কেন শুধু হিন্দু সাধুদের আহ্বান করা হয়েছে? প্রয়াগরাজের স্থানীয় মুসলমানরা মহাকুম্ভ মেলায় দোকান দিতে চায়। এত বিশাল জনসমাগমে ভালো বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে। তাদের বসতে না দিয়ে বঞ্চনা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 13 January 2025: আধ্যাত্মিক কাজে কিছু দান করতে হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 13 January 2025: আধ্যাত্মিক কাজে কিছু দান করতে হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদ অনেক দূর গড়াতে পারে।

    ২) প্রবাসী কারও আসার খবরে আনন্দ লাভ।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    বৃষ

    ১) মেরুদণ্ডের রোগের জন্য কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে হঠাৎ করে প্রচুর অতিথির আগমনে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) ধর্ম বিষয়ক আলোচনা থেকে মানসিক পরিবর্তন হতে পারে।

    ২) অযথা ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) নতুন সম্পর্ক গড়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।

    ২) সারা দিন বহু দিক থেকে আয়ের সুযোগ আসতে পারে। 

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) কর্মস্থানে একটু সাবধানে কাজ করুন, আঘাত লাগতে পারে।

    ২) আধ্যাত্মিক কাজে কিছু দান করতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) অপরের কথায় চললে অশান্তি বাধতে পারে।

    ২) পুরনো কোনও আশা পূরণের চেষ্টা।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের কথায় চললে আপনার খুব ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ায় উপকার পাবেন।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) চাকরিজীবীদের জন্য খুব খরচের সময়।

    ২) কাউকে বেশি আপন ভাবলে কষ্ট পেতে হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) সকালের দিকে অতিরিক্ত রাগের কারণে কারও সঙ্গে হাতাহাতি ও রক্তপাতের সম্ভাবনা।

    ২) ব্যবসায় সুখবর প্রাপ্তিতে আনন্দ লাভ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুখবর আসার পথে বাধা পড়তে পারে।

    ২) শত্রুর চক্রান্তে একটু বিভ্রান্ত হবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) বাড়িতে কোনও দামি জিনিস নষ্ট হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) অসৎ সঙ্গ ত্যাগ না করলে সম্মানহানির যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbha: নানা অছিলায় কুম্ভমেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশরা, জানুন অজানা কাহিনি

    Maha Kumbha: নানা অছিলায় কুম্ভমেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশরা, জানুন অজানা কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbha)। ১৪৪ বছর পরে এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ। প্রতি ১২ বছর অন্তর এখানে হয় কুম্ভমেলা। আর ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ। সনাতনীদের এই অনুষ্ঠানের ওপর দিয়ে একাধিকবার বয়ে গিয়েছে ঝড় (British Suppression)। তা সত্ত্বেও কুম্ভের আকর্ষণ কমেনি একটুও। এখনও অমৃত কুম্ভের সন্ধানে এক যুগ অন্তর এখানে ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে স্নান করে আত্মশুদ্ধি করেন তাঁরা।

    কুম্ভ বন্ধের চেষ্টা! (Maha Kumbha) 

    এহেন কুম্ভই বন্ধ করতে চেষ্টার কসুর করেনি ব্রিটিশরা। কুম্ভমেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তারা। ১৯৪২ সালে ব্রিটিশরা কুম্ভমেলায় অংশগ্রহণকারী ভক্তদের ওপর জারি করেছিল নিষেধাজ্ঞা। ঔপনিবেশিক এই শক্তি ১৯ শতকেও কুম্ভমেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সেটা হয়েছিল ৮৫ বছর আগে। তবে এই দুবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ ছিল ভিন্ন। ১৯৪২ সালে ধর্মীয় সমাবেশে ভিড় প্রতিরোধের জন্য একটি যুক্তি দিয়েছিল ব্রিটিশরা। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। গুজব রটেছিল যে জাপান হয়তো এই পবিত্র সমাবেশে বোমা ফেলতে পারে। এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ব্রিটিশ সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করেছিল। এলাহাবাদ (বর্তমান প্রয়াগরাজ) যাওয়ার ট্রেন এবং অন্যান্য পরিবহণ মাধ্যম ভালোভাবে তল্লাশি করা হত। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যাত্রী ও যানবাহন ফেরতও পাঠানো হত।

    কুম্ভমেলা নিষিদ্ধ করেছিল ব্রিটিশ সরকার!

    প্রয়াগরাজের (Maha Kumbha) ধর্মীয় মেলা যে এলাকায় হয়, সেই যমুনা নদীর তীরে ছিল আকবরের দুর্গ। এটি ছিল একটি সামরিক ঘাঁটি। জাপানের সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কায় সেবার কুম্ভমেলা নিষিদ্ধ করেছিল ব্রিটিশ সরকার। ব্যাপক প্রাণহানির ঝুঁকি কমাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এলাহাবাদগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রিও সীমিত করা হয়েছিল। ভক্তদের বৃহৎ সংখ্যায় সমবেত না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। বোমা হামলা হলেও যাতে প্রাণহানি এড়ানো যায়, তাই এই ব্যবস্থা। যদিও জাপানের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার গুজব মিথ্যা প্রমাণিত হলেও, ব্রিটিশ সরকার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি। এই সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার ভক্ত সেবার কুম্ভমেলার সময় প্রয়াগের সঙ্গমে পবিত্র স্নান করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন (British Suppression)।

    ব্রিটিশদের অজুহাত

    কুম্ভমেলা উপলক্ষে হিন্দুদের জন্য ব্রিটিশরা কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করত না। বরং বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে আখড়া এবং তীর্থযাত্রীদের কুম্ভস্নানে আসতে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিল। তাদের অজুহাত ছিল, যে কোনও দিন জাপান পূর্ব সীমান্ত দিয়ে আক্রমণ করতে পারে। এই আক্রমণ প্রতিহত করতে ব্রিটিশরা কোনও ব্যবস্থাও নেয়নি। কুম্ভ সম্পর্কিত কোনও নথির অনুপস্থিতি এই তত্ত্বকে সমর্থন করে বলে জানান আঞ্চলিক আর্কাইভ অফিসার (RAO) অমিত অগ্নিহোত্রি। জাপানি বোমার সেই ভয় উপেক্ষা করেও, বেশ কয়েকটি সম্প্রদায় পবিত্র এই উৎসবে অংশ নিয়েছিল সেবার।

    আরও পড়ুন: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    ইতিহাসবিদদের বক্তব্য

    ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে আর একটি কারণ ছিল। ব্রিটিশরা আশঙ্কা করেছিল যে মেলায় বিপুল সংখ্যক জনসমাগম স্বাধীনতা আন্দোলনকে উজ্জীবিত করতে পারে। তাদের মতে, কুম্ভমেলার সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা একত্রিত হতেন। ১৯৪২ সালে, ভারত ছাড়ো আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন কুম্ভমেলার মতো একটি বড় জমায়েত ব্রিটিশ সরকারের বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ভয় পেয়েছিল যে, কুম্ভে উপস্থিত জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত হতে পারে। তাঁদের মতে, ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এই উদ্বেগ সত্ত্বেও, ওই বছরের কুম্ভমেলা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। অবশ্য সীমিত সংখ্যক পুণ্যার্থীই এতে অংশ নিতে পেরেছিলেন।

    সিপাহি বিদ্রোহ

    ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশরা কেবল কুম্ভমেলার (Maha Kumbha) নির্ধারিত স্থানে গোলাবর্ষণ করেনি, সেই এলাকাটিকে একটি সেনাছাউনিতেও রূপান্তরিত করেছিল। স্বাধীনতা আন্দোলন দমন করা এবং পবিত্র সমাবেশ ঘটতে না দেওয়ার অজুহাত খাড়া করেছিল। ঔপনিবেশিক নথি অনুযায়ী, কুম্ভের সঙ্গে জড়িত প্রয়াগওয়াল সম্প্রদায় (যাত্রী পুরোহিতগণ) ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তাঁরা ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে সমর্থন ও সাহায্য করেছিলেন। ঔপনিবেশিক সরকারের বিরোধিতা করে সক্রিয় প্রচারও চালিয়েছিলেন তাঁরা। কারণ, ব্রিটিশ সরকার খ্রিস্টান মিশনারিদের সমর্থন করেছিল। এরা প্রয়াগওয়াল ও তীর্থযাত্রীদের “অজ্ঞ সহধর্মী” বলে গণ্য করত। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার আগ্রাসী প্রচেষ্টাও চালিয়েছিল তারা (British Suppression)। ব্রিটিশ সরকার প্রয়াগওয়ালদের ওপর এলাহাবাদে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তোলে। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার জন্য আংশিকভাবে তাদের দায়ী করে। কর্নেল নীল কুম্ভ এলাকা লক্ষ্য করে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করে প্রয়াগওয়ালদের বসতি ধ্বংস করে দেন। প্রয়াগওয়ালরা পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এলাহাবাদে মিশনারি প্রেস এবং গির্জাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

    প্রয়াগওয়ালদের তীব্র নির্যাতন

    ১৮৫৭ সালের জুন মাসে কুম্ভমেলার আগে আগে এলাহাবাদের মিশন কম্পাউন্ডে আগুন লাগানো হয়েছিল। আগুনে পুড়ে গিয়েছিল আমেরিকান প্রেসবাইটেরিয়ান চার্চ মিশনও। লেখক রেভারেন্ড এম.এ. শেরিংয়ের মতে, এই ঘটনাটি (Maha Kumbha) মিশনারি কার্যকলাপকে স্থগিত করে দিয়েছিল। ব্রিটিশরা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার পর, প্রয়াগওয়ালদের তীব্র নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। অনেককে ফাঁসিতে ঝোলানোও হয়েছ। গঙ্গা ও যমুনা নদীর সঙ্গমস্থলের আশেপাশের বেশিরভাগ জমি দখল করে তা সরকারি সেনাছাউনির অঙ্গীভূতও করা হয়েছিল।

    স্বাধীনতা আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রয়াগরাজের এই কুম্ভমেলা। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এটি স্থানীয় মানুষ এবং রাজনীতিবিদদের বৃহৎ সংখ্যায় একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দিত। ১৯০৬ সালে প্রয়াগ কুম্ভমেলায় সনাতন ধর্ম সভা আয়োজন করে বৈঠকের। ভারতরত্ন প্রয়াত মদন মোহন মালব্যের নেতৃত্বে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বৈঠকেই। কুম্ভমেলা হিন্দুত্ব আন্দোলন এবং এর রাজনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ১৯৬৪ সালে হরিদ্বার কুম্ভে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি দেখিয়ে দিয়েছে যে কুম্ভের (Maha Kumbha) মতো সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উৎসবের শুধু আধ্যাত্মিক গুরুত্বই নয়, রাজনৈতিক (British Suppression) এবং সামাজিক গুরুত্বও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur Violence) ফের নিশানা করা হল অসম রাইফেলসকে। শনিবারই মণিপুরের কামজং জেলায় অসম রাইফেলসের একটি ঘাঁটিতে ভাঙচুরের পর আগুন লাগিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। জানা গিয়েছে, শনিবার হংবেং এলাকার নাগা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন। সেই সময় কাঠবোঝাই গাড়িটি আটকে দেন অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) জওয়ানরা। তখন থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ।

    গেলজাং মহকুমার একাংশে শনিবার থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু

    ঘটনার জেরে মণিপুরের (Manipur Violence) কাংপোকপি জেলার গেলজাং মহকুমার একাংশে শনিবার থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু। জেলা প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত কার্ফু বলবৎ থাকবে। দিন কয়েক আগেই কাংকোপকি জেলায় পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনারের দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, তারপরে ফের সামনে এল এমন ঘটনা। এই ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবারই বৈঠকে বসেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লা এবং সিআরপিএফ আধিকারিকেরা।

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর 

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার জেরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। মাঝে অবশ্য বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল অশান্তি। পরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের জেলায় জেলায়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও চালানো হয় হামলা (Manipur Violence)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share