Blog

  • BSF: সীমান্তে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএসএফের ওপর চোরাচালাকারীদের হামলা, পাল্টা চলল গুলি

    BSF: সীমান্তে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএসএফের ওপর চোরাচালাকারীদের হামলা, পাল্টা চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে ফের উত্তপ্ত মালদার বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুর সীমান্ত। এরই মধ্যে মালদার নওদায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালানকারীদের আটকাতে গুলি চালাল বিএসএফ। অভিযোগ, প্রথমে বিএসএফ (BSF) জওয়ানরা বাধা দেওয়ায় তাঁদের ওপরে প্রাণঘাতী হামলা চালায় চোরাচালানকারীরা। তখন আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরাও। এর পরই বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ফের একবার মালদার ভারত-বাংলাদেশ (BSF) সীমান্তে চোরাচালানকারীদের আটকাতে গিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। জওয়ানদের বিভ্রান্ত করতে তাঁদের চোখে হাই বিম টর্চের আলো ফেলতে থাকে বাংলাদেশি চোরাচালানকারীরা। দুষ্কৃতীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে শূন্যে গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। এরই মধ্যে জওয়ানদের ওপরে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীদের দল। শেষ পর্যন্ত আত্মরক্ষার জন্য পাচারকারীদের দিকে পর পর দুরাউন্ড গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। সীমান্ত রক্ষীদের দিকে তেড়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বাঁশ, লাঠি নিয়ে চলে আক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বেশ ভিড় জমতে দেখেই সন্দেহ জাগে সীমান্ত রক্ষীদের। কৌতূহলের বশেই সেই ভিড়ের দিকে এগিয়ে যান প্রহরারত দুই রক্ষী। তারপরই তাদের ওপর ঘন কুয়াশার আড়াল থেকে চলে আক্রমণ। রক্ষীদের বন্দুক কেড়ে নেওয়া চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, ওই দুই জওয়ানকে বাগে পেলেও নিজেদের কার্য সিদ্ধি করতে পারেননি তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় দুই জওয়ান। গুলির ভয়ে কাঁটাতার পার করা ভুলে, প্রাণ হাতে নিয়ে পালায় ওই বাংলাদেশিরা। 

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    বাজেয়াপ্ত ধারালো অস্ত্র, নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ

    পাচার কাজেই বাংলাদেশ (BSF) থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। এপারে আসার পরেই তাদের মদত দিতে সেখানেই দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশি চোরাচালানকারীদের ভারতীয় সঙ্গীরা। তাদের ফিসফিসে গলার শব্দ পেয়ে সেদিকে ছুটে যান দুই জওয়ান, তাঁদের দিকে হামলা চালালেও, রক্ষীদের রুখতে ব্যর্থ হয় তারা। বাজেয়াপ্ত হয় কয়েকটি ধারালো অস্ত্র, নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের নন্দনপুর, ফর্জিপাড়া এবং মালদা জেলার হরিনাথপুর ও চুরিয়ন্তপুর সীমান্ত দিয়েও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ। উদ্ধার করা হয় মাদক, ৫টি গরু এবং অন্যান্য বেআইনি সামগ্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Station Collapsed: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কনৌজ রেলস্টেশনের একাংশ, আটকে শ্রমিক

    Railway Station Collapsed: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কনৌজ রেলস্টেশনের একাংশ, আটকে শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনা কনৌজ রেলস্টেশনে (Railway Station Collapsed)। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্টেশনের একটা অংশ। স্টেশনটি (Uttar Pradesh) যখন ভেঙে পড়ে, তখন সেখানে কাজ করছিলেন ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনেক শ্রমিকের আটকে থাকার শঙ্কা।

    যুদ্ধকালীন তৎপরতা (Railway Station Collapsed)

    যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। রেলের উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি হাত লাগিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ বিপর্যয় বাহিনীও। একযোগে চলছে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ। সংবাদ মাধ্যমের একাংশের দাবি, ধ্বংসস্তূপ থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকজন শ্রমিককে। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। বাকি কোনও শ্রমিক আটকে রয়েছেন কিনা, তা জানতে কাজে লাগানো হয়েছে পুলিশ কুকুর। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন রেলের পদস্থ কর্তারা। চলে আসেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরাও। কীভাবে স্টেশনের নির্মীয়মান অংশ ভাঙল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক অনুমান, যে সংস্থা কাজ করছিল, তারা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছিল। দুর্ঘটনার কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    অমৃত ভারত প্রকল্পে চলছিল কাজ

    অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় দেশের একাধিক স্টেশনের মানোন্নয়নের কাজ চলছে। এই প্রকল্পেই কাজ হচ্ছিল কনৌজ স্টেশনের। দিন তিনেক আগেই একটি পিলার বসানো হয়েছিল। শনিবার বিকেলে (Railway Station Collapsed) আচমকাই লোহার শাটারিং-সহ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পিলারটি। রাজ্যের মন্ত্রী অসীম অরুণ বলেন, “কনৌজ রেল স্টেশনের নিউ টার্মিনালের কাজ চলছিল। সেই সময় নির্মীয়মান একটি অংশ ভেঙে পড়ে। ২০ জনের হালকা আঘাত লেগেছে। তিনিজনের আঘাত (Uttar Pradesh) গুরুতর। তাঁদের লখনউয়ে পাঠানো হয়েছে (Railway Station Collapsed)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbha 2025: কুম্ভমেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, কত খরচ জেনে নিন

    Mahakumbha 2025: কুম্ভমেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, কত খরচ জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। তার পরই প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ। সারা দেশ থেকে সাধু সন্তদের আগমণ হচ্ছে পূণ্যতীর্থ প্রয়াগে। ভারতীয় রেলওয়ে মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) সময় প্রায় ৩০০০ বিশেষ ট্রেন চালাবে। সঙ্গে ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রীদের থাকার জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে। মহাকুম্ভ উপলক্ষে ভক্তদের জন্য রাজকীয় বন্দোবস্ত করল আইআরসিটিসি। পাশাপাশি সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় রেল এবং পর্যটন বিভাগ যৌথভাবে প্রয়াগরাজে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। এবার আইআরসিটিসি ত্রিবেণী সঙ্গমের কাছে আরাইল উপকূলে একটি বিলাসবহুল তাঁবুর শহর ‘মহাকুম্ভ গ্রাম’ তৈরি করেছে।

    মহাকুম্ভ গ্রামে কী রয়েছে? (Mahakumbh 2025)

    ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে সেক্টর ২৫ এর আড়াইল রোডে তৈরি হয়েছে এই গ্রাম। এখান থেকে ঘাটে যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। পর্যটকদের জন্য সবরকম সুবিধা রয়েছে এই গ্রামে। রয়েছে আধুনিক সব ব্যবস্থা। বিশেষত ত্রিবেণী ঘাট খুবই কাছে, ফলে পুন্যর্থীদের বিশেষ সুবিধা (Mahakumbh 2025) হবে। কুম্ভ গ্রাম হল একটি অত্যাধুনিক আবাসন। সেখানে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এবং সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। ত্রিবেণী ঘাটের সঙ্গে তাঁবুর শহরের স্নান করতে ইচ্ছুক অতিথিদের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা থাকবে এখানে। সুপার ডিলাক্স তাঁবু ও ভিলা তাঁবু তৈরি করা হয়েছে। এগুলো আধুনিক সুযোগ- সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। সহজেই এই তাঁবু বুকিং করা যাবে। এখানে সিসিটিভি নজরদারি থাকবে অতিথিদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। মহাকুম্ভ গ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা এবং সর্বক্ষণ জরুরি সহায়তাও থাকবে। IRCTC -র তরফে মহাকুম্ভ গ্রামে পুন্যর্থীদের আহ্বান জানানোর জন্য সব প্রস্তুতি শেষ।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    কীভাবে IRCTC মহাকুম্ভ গ্রামে তাঁবু বুকিং করবেন?

    ১। প্রথমে আপনাকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.irctctourism.com/mahakumbhgram এ যেতে হবে।

    ২। সেখানে আপনাকে লগ ইন করতে হবে।

    ৩। আপনার যদি ইতিমধ্যে একটি অ্যাকাউন্ট না থাকে, আপনি আপনার ইমেল ঠিকানা এবং ফোন নম্বর প্রদান করে “অতিথি ব্যবহারকারী” হিসাবে লগইন করতে পারেন।

    ৪। এরপর বুক নাও তে ক্লিক করুন। মহাকুম্ভ গ্রাম পৃষ্ঠার হোমপেজে, “এখনই বুক করুন” বোতামটি সন্ধান করুন এবং বুকিং ফর্মটি পূরণ করুন। আপনার যাবতীয় তথ্য দিন এবং লগ ইন (প্রবেশ) এবং লগ আউটের (প্রস্থান) দিনক্ষণ লিখুন।

    ৫। আপনার পছন্দ এবং বাজেটের উপর ভিত্তি করে তাঁবুর দুটি বিভাগ থেকে নির্বাচন করুন- সুপার ডিলাক্স তাঁবু এবং ভিলা তাঁবু। আপনার পুরো নাম, যোগাযোগের নম্বর, ইমেল ঠিকানা এবং আপনার যে কোনো বিশেষ প্রয়োজনীয়তা সহ প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য লিখুন।

    ৬। ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, নেট ব্যাঙ্কিং, UPI, বা ডিজিটাল ওয়ালেটের মতো নিরাপদ বিকল্পগুলির থেকে বেছে নিয়ে অর্থ প্রদান করুন। এরপরই আপনার বুকিং নিশ্চিত হয়ে যাবে। মহাকুম্ভ গ্রাম সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য www.irctctourism.com/mahakumbhgram এই পেজটিতে যান। IRCTC মহাকুম্ভ গ্রাম তাঁবু গুলিকে অনন্যভাবে সজ্জিত করে তুলেছে। এখানে তাঁবু বুকিং করা যাবে। বুকিংয়ের পাশাপাশি IRCTC-এর রেল ট্যুর প্যাকেজ এবং ভারত গৌরব ট্রেনের মাধ্যমে, পরিষেবা প্রদান এবং সুবিধা নিশ্চিত করবে। মহাকুম্ভ গ্রামে, পর্যটকদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সুবিধা সহ বিশ্বমানের আবাসন ও খাবারের সুবিধা দেওয়া হবে। চারটি ক্যাটাগরির আলাদা আলাদা তাঁবুর দাম রয়েছে। ডিলাক্স, প্রিমিয়াম, ডিলাক্স অন রয়‍্যাল বাথ, প্রিমিয়াম অন রয়‍্যাল বাথ। আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে এগুলি বুক করা যাবে।

    কোনটির কত খরচ?

    জানা গিয়েছে, ডিলাক্স রুমের (Mahakumbh 2025) জন্য একজনের জন্য ভাড়া ১০,৫০০ টাকা, দুজনের জন্য ভাড়া ১২ হাজার টাকা (ব্রেকফাস্ট সহ)। আর প্রিমিয়াম রুমের জন্য একজনের জন্য ভাড়া ১৫,৫২৫ টাকা, দুজনের জন্য ভাড়া ১৮ হাজার টাকা (ব্রেকফাস্ট সহ)। আর ডিলাক্স রুম অন রয়‍্যাল বাথে একজনের জন্য ভাড়া ১৬,১০০ টাকা, দুজনের জন্য ভাড়া ২০ হাজার টাকা (ব্রেকফাস্ট সহ)। প্রিমিয়াম রুম অন রয়‍্যাল বাথে একজনের জন্য ভাড়া ২১,৭৩৫ টাকা, দুজনের জন্য ভাড়া ৩০ হাজার টাকা (ব্রেকফাস্ট সহ)। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত বেডের জন্য ডিলাক্স রুমে লাগবে ৪২০০ টাকা এবং প্রিমিয়াম রুমের জন্য লাগবে ৬৩০০ টাকা ভাড়া। আর রাজকীয় স্নানের দিনে ডিলাক্স রুমে আপনাকে বেডের জন্য ৭০০০ টাকা এবং প্রিমিয়াম রুমে আপনাকে ১০,৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।

    কম খরচের ঘরও রয়েছে

     মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট mahakumbh.in-এ গিয়ে থাকার জন্য জায়গা বুকিং করতে পারেন আগে থেকে। এক্ষেত্রে নিজের জন্য ট্যুরও বুক করতে পারবেন আপনি। এক্ষেত্রে নিজের জন্য ট্যুরও বুক করতে পারবেন আপনি। এমনকী kumbh.gov.in ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করলে আপনি অনেক কম খরচে ১৫০০ টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় ঘর বুক করতে পারেন।

    ৪৪টি বিলাসবহুল তাঁবু

    এছাড়া কুম্ভমেলায় থাকার জায়গা হিসেবে প্রথমেই (Mahakumbh 2025) আসে দ্য আল্টিমেট ট্রাভেলিং ক্যাম্প। এই ক্যাম্পসাইটে ৪৪টি বিলাসবহুল তাঁবু রয়েছে যেখানে দুজনের থাকার ভাড়া প্রতিদিনের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে। বাটলার, রুম হিটার, গিজার সহ আরও অনেক সুবিধে রয়েছে। এই তাঁবুগুলির বেশিরভাগই ১৪ জানুয়ারি, ২৯ জানুয়ারি এবং ৩ ফেব্রুয়ারি জন্য বুকিং হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 247: “বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই”

    Ramakrishna 247: “বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা রাজপথে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গাড়ি করিয়া দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়ি হইতে বাহির হইয়া কলিকাতা অভিমুখে আসিতেছেন। সঙ্গে রামলাল ও দু-একটি ভক্ত। ফটক হইতে বহির্গত হইয়া দেখিলেন চারিটি ফজলি আম হাতে করিয়া মণি পদব্রজে আসিতেছেন। মণিকে দেখিয়া গাড়ি থামাইতে বলিলেন। মণি গাড়ির উপর মাথা রাখিয়া প্রণাম করিলেন।

    শনিবার, ২১শে জুলাই, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, (৬ই শ্রাবণ), আষাঢ় কৃষ্ণা প্রতিপদ, বেলা চারিটা। ঠাকুর অধরের বাড়ি যাইবেন, তৎপরে শ্রীযুক্ত যদু মল্লিকের বাটী, সর্বশেষে ৺খেলাৎ ঘোষের বাটী যাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণির প্রতি, সহাস্যে)—তুমিও এস না—আমরা অধরের বাড়ি যাচ্ছি।

    মণি যে আজ্ঞা বলিয়া গাড়িতে উঠিলেন।

    মণি ইংরেজী পড়িয়াছেন, তাই সংস্কার মানিতেন না, কিন্তু কয়েকদিন হইল ঠাকুরের নিকটে স্বীকার করিয়া গিয়াছিলেন যে, অধরের সংস্কার ছিল তাই তিনি অত তাঁহাকে ভক্তি করেন। বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই। তাই ওই কথা বলিবার জন্যই আজ ঠাকুরকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আচ্ছা, অধরকে তোমার কিরূপ মনে হয়?

    মণি—আজ্ঞে, তাঁর খুব অনুরাগ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অধরও তোমার খুব সুখ্যাতি করে।

    মণি কিয়ৎক্ষণ চুপ (Kathamrita) করিয়া আছেন; এইবার পূর্বজন্মের কথা উত্থাপন করিতেছেন।

    কিছু বুঝা যায় না—অতি গুহ্যকথা 

    মণি—আমার ‘পূর্বজন্ম’ ও ‘সংস্কার’ এ-সব তাতে তেমন বিশ্বাস নাই; এতে কি আমার ভক্তির কিছু হানি হবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর সৃষ্টিতে সবই হতে পারে এই বিশ্বাস থাকলেই হল; আমি যা ভাবছি — তাই সত্য; আর সকলের মত মিথ্যা; এরূপ ভাব আসতে দিও না। তারপর তিনিই বুঝিয়ে দিবেন।

    “তাঁর কাণ্ড মানুষে কি বুঝবে? অনন্ত কাণ্ড! তাই আমি ও-সব বুঝতে আদপে চেষ্টা করি না। শুনে রেখেছি তাঁর সৃষ্টিতে সবই হতে পারে। তাই ও-সব চিন্তা না করে কেবল তাঁরই চিন্তা করি। হনুমানকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আজ কি তিথি, হনুমান বলেছিল (Kathamrita), ‘আমি তিথি নক্ষত্র জানি না, কেবল এক রাম চিন্তা করি।’

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Kolkata Derby: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, দ্রুততম গোলে লিগ টেবিলে শীর্ষেই মোহনবাগান

    ISL Kolkata Derby: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, দ্রুততম গোলে লিগ টেবিলে শীর্ষেই মোহনবাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে অপরাজিতই রইল মোহনবাগান। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তার মধ্যে ৯ বারই জিতল মোহনবাগান। শনিবার ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। ম্যাচের ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের মাথায় একমাত্র গোলটি করেন জেমি ম্যাকলারেন। থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন মোহনবাগানের আশিস রাই (Asish Rai)। সেই পাস ধরে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ফাঁক দিয়ে গোল জেমি ম্যাকলারেনের (Jamie Maclaren)। আইএসএল ডার্বির ইতিহাসে এটাই দ্রুততম গোল। গোটা ম্যাচে বারবার সুযোগ পেলেও সেই গোল আর পরিশোধ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে। ম্যাচে ২টি হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের শৌভিক চক্রবর্তী।

    মোহনবাগানের দাপট 

    আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয় ডার্বি জিতে মোহনবাগান ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল। ইস্টবেঙ্গল যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে সবুজ-মেরুনের ব্যবধান শনিবারের পর আট পয়েন্টের। বাকিদের পক্ষে মোহনবাগানকে ধরা কার্যত অসম্ভব। বেশ কয়েক বছর ধরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারটাই দস্তুর হয়ে গিয়েছে লাল হলুদ শিবিরের। আইএসএলে টপ সিক্সে যাওয়ার আশা ইস্টবেঙ্গলের ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। এদিন হারের পরে সেই রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল। ধারে ও ভারে এই মোহনবাগান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেকটাই শক্তিশালী। মাঠেও তা প্রমাণিত হয়েছে বাংরবার। 

    ছোটদের ডার্বিতেও জয়ী মোহনবাগান 

    শনিবার, বড়দের আগে ছোটদের ডার্বি জেতে মোহনবাগান। ২-১ গোলে জেতে সবুজ-মেরুন। কল্যাণীর মাঠে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলারেরা নেমেছিল। প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের অনেকটা সময় পর্যন্ত এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ। মোহনবাগানের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে রাজদীপ পাল। নির্ধারিত সময়ের খেলায় সমতা ফেরায় সে। পরে সংযুক্তি সময়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে রাজদীপ। মোহনবাগান সমতা ফেরানোর পরে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু গোল করতে পারেনি লাল-হলুদ ফুটবলার। তার খেসারত দিতে হয় দলকে। রাজদীপ দ্বিতীয় গোল করার পরে আর ফেরার সম্ভাবনা ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Liquor Policy Case: আবগারি দুর্নীতিতে ক্ষতি ২০২৬ কোটি! ভোটের মুখে সিএজি রিপোর্টে আরও বিপাকে কেজরি

    Delhi Liquor Policy Case: আবগারি দুর্নীতিতে ক্ষতি ২০২৬ কোটি! ভোটের মুখে সিএজি রিপোর্টে আরও বিপাকে কেজরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে বিপাকে দিল্লির আপ সরকার (Delhi Liquor Policy Case)। দিল্লিতে আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারের জমানায় আবগারি লাইসেন্স বণ্টন সংক্রান্ত নীতিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠে এল ‘ফাঁস’ হওয়া সিএজি রিপোর্টে (CAG Report)। সেই রিপোর্টে দাবি, এর ফলে দিল্লি সরকারের অন্তত ২০২৬ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে আপ সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি।

    নতুন আবগারি নীতি কার্যকরের ক্ষেত্রে অনিয়ম

    ২০২১-২২ সালে দিল্লির আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy Case) বদল করেছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। ২০২১ সালের নভেম্বরে তা কার্যকর হয়েছিল। ‘ফাঁস’ হওয়ায় সিএজি রিপোর্ট (CAG Report) বলছে, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে নতুন আবগারি নীতি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, দিল্লির উপরাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) ভিকে সাক্সেনা ২০২২ সালের জুলাই মাসেই অভিযোগ করেছিলেন, নতুন আবগারি নীতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে। নতুন আবগারি নীতি কার্যকরের ক্ষেত্রে অসম্মতি জানানোর পাশাপাশি তিনি এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন।

    ক্যাগ রিপোর্টে দাবি

    সিএজি রিপোর্ট (CAG Report) বলছে, দিল্লিতে (Delhi Liquor Policy Case) আপ যে আবগারি নীতি চালু করেছিল তা রাজধানীর কোষাগারে বড় ধাক্কা দিয়েছে। অন্তত ২ হাজার ২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দিল্লি সরকারের। যদিও সিএজির এই রিপোর্ট এখনও দিল্লি বিধানসভায় পেশ হয়নি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আপ সরকারের আমলে ঘোষিত ওই আবগারি নীতিতে প্রচুর ত্রুটি ছিল এবং সেটা প্রকশ্যে আসার পরও ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি সরকার। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার নেতৃত্বের মন্ত্রীদের কমিটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অগ্রাহ্য করে। যথেচ্ছাচারে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। দিল্লির ক্যাবিনেট ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদন উপেক্ষা করা হয়েছে। লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের সমস্যা, জরিমানা না করা, নিয়ম লঙ্ঘন, দিল্লি বিধানসভাতেও প্রয়োজনীয় অনুমোদন মানা হয়নি। যেসব লাইসেন্স সারেন্ডার করা হয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে রিটেন্ডার করা হয়নি। যার জেরে ৮৯০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ।  

    আরও পড়ুন: ব্রহ্মস থেকে পিনাকা, রোবট কুকুর! প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে থাকবে আর কোন চমক?

    ইতিমধ্যেই আবগারি দুর্নীতি (Delhi Liquor Policy Case) মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে আম আদমি পার্টিকে। যা ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।  এই মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ কয়েকজন হেভিওয়েটকে জেল খাটতে হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবগারিকাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে আপ সরকার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swami Vivekananda: আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী, ফিরে দেখা স্বামীজির অমর বাণী

    Swami Vivekananda: আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী, ফিরে দেখা স্বামীজির অমর বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekand) জন্মজয়ন্তীতে (National Youth Day 2025) পালিত হয় ‘জাতীয় যুব দিবস’। ভারতবর্ষে সমগ্র যুব সমাজের কাছে আদর্শের প্রাণ কেন্দ্র হল স্বামীজি। তিনি হলেন ‘আইকন’। তাঁর উজ্জ্বলদীপ্ত দৃষ্টিকোণ, অগ্নিপ্রজ্বলিত লেখা এবং প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত কর্মনিষ্ঠা, এক কথায় ভারতবর্ষের পুনঃজাগরণের অনুপ্রেরণস্থল হলেন তিনি। তিনি ভারতীয় সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হয়ে আমেরিকার শিকাগো শহরে ভাষণ দিয়ে গোটা বিশ্বের কাছে হিন্দু ধর্মের জয়জয় করেছেন। ভারত পৃথিবীকে যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দিয়েছেন তা সভ্যতা ধ্বংসের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত চির শাশ্বত, অক্ষয় ও অমর-অজয় হয়ে থাকবে। আজ বিবেকানন্দের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী। দেশজুড়ে পালিত হবে বিবেক উৎসব, মেলা, আলোচনা চক্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলা-সহ নানা কর্মকাণ্ড।

    আধ্যাত্মিক জাগরণেরই স্বাধীনতার ‘স্ব’(National Youth Day 2025)

    বিবেকানন্দ (Swami Vivekand) উনিশতকের একজন আধ্যাত্মিক এবং সমাজ সংস্কারক। তাঁর গুরু ছিলেন ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ। শাক্ত মায়ের সাধনা এবং মূর্তিপুজোর অন্যতম পুরধা ছিলেন তিনি। নিজের জীবনের জ্ঞান-বিদ্যাবুদ্ধি দিয়ে নরেন্দ্রনাথকে বিবেকানন্দ গড়তে বিশেষ ভাবে সচেষ্ট হয়েছিলেন। একই ভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং ঔপনিবেশিকবাদের বিরুদ্ধে প্রবল ভাবে সরব হয়েছিলেন বিবেকানন্দ। দেশের বৃহত্তর মানুষের জাগরণের জন্য কাজ করেছেন। কীভাবে পাঠান-মুঘল-ইংরেজরা দেশের সম্পদ লুট করে দেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছিল সেই কথাই সমাজের সামনে তুলে ধরেছিলেন। তাই পরাধীন ভারতকে পুনরায় স্বমহিমায় নিয়ে যেতে ব্রাহ্মণ, চর্মকার, চণ্ডাল এবং শূদ্রের একসঙ্গে জাগরণের কথা বলেছিলেন। সকলকে একত্রিত হতে হবে। ভারতের আধ্যাত্মিক জাগরণের মধ্যেই স্বাধীনতার ‘স্ব’-কে দেখেছিলেন বিবেকানন্দ (National Youth Day 2025)।

    আরও পড়ুনঃ মহাকুম্ভে হাজির মহিলা নাগা সাধুরাও, জানুন তাঁদের জীবনের ৭টি দিক

    শিকাগোতে বিশ্বজয়

    ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে স্বামীজি (National Youth Day 2025) ভারতের হয়ে বিশ্ববাসীকে হিন্দুধর্মের গূঢ়অর্থকে তুলে ধরেছিলেন। ধর্মসভায় তাঁকে সকলের শেষে মাত্র সামান্য কয়েক মিনিটের জন্য বলতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর সেই সময়ের বক্তৃতায় প্রিয় ‘ভাই ও বোনেরা’ সম্বোধনে গোটা আমেরিকাবাসী চমকে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি সেই দেশ থেকে এসেছি যে দেশে হাজার হাজার বছরের পুরাতন সন্ন্যাসীরা বসবাস করছেন। তাঁদের আবহমান কালের ধর্ম পরম্পরার পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীকে আমি শ্রদ্ধা এবং অভিনন্দন জানাই। ভারতীয় ব্রাহ্মণের মহাজ্ঞান, পাণ্ডিত্য এবং বুদ্ধের বিনয় বিশ্বকে শান্তির বাণী উপহার দিয়েছে। পাশ্চাত্য এবং মধ্য-প্রাচ্য থেকে কেবল হিংসা এবং ধ্বংসের কথাই বার বার বার এসেছে। এরপর গোটা ইউরোপ, আমেরিকা সহ একাধিক দেশে ভারতীয় ধর্ম কথাকে প্রচার করে বিশ্বকে জয় করেছেন স্বামীজি। তাঁর দ্বারা আরও প্রভাবিত হয়েছিল আইরিশ বিদেশী নারী ভগ্নী নিবেদিতা। তিনি বিবেকানন্দর (Swami Vivekand) শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনিও অনুপ্রাণিত হয়ে ভারত মুক্তির লড়াইতে বিপ্লবীদের সঙ্গে ব্রিটিশ বিরোধী কাজে যোগদান করেছিলেন।

    স্বামীজির বাণী

    তাঁর লেখা উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে হল, ‘সঙ্গীতকল্পতরু’ ১৮৮৭, ‘কর্মযোগ’ ১৮৯৬, ‘রাজযোগ’ ১৮৯৬, ‘বেদনান্ত ফিলোজফি’ ১৮৯৬, ‘বর্তমান ভারত’ ১৮৯৯, ‘মাই মাস্টার’ ১৯০১, ‘পরিব্রাজক’। ১৮৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন। তাঁর বাণী রামকৃষ্ণ মিশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। স্বামীজি (National Youth Day 2025) বলতেন—

    ১> “জেগে ওঠো, সর্বদা সচেতন থাকো, যতক্ষণ না লক্ষ্যে পৌঁছাবে ততক্ষণ পর্যন্ত থেমে যেও না।”

    ২> “যাঁরা তোমাকে সাহায্য করেন, তাঁদের কখনও ভুলেও যেও না। যাঁরা তোমাকে ভালোবাসেন, তাঁদের কখনও ঘৃণা করো না। আর যাঁরা তোমাকে সব সময় বিশ্বাস করেন, তাঁদের কখনও ঠকিও না।”

    ৩> “প্রতিদিন একবার হলেও নিজের সঙ্গে কথা বলো। নাহলে পৃথিবীতে বুদ্ধিমান ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হবে না তোমার।”

    ৪> “যতক্ষণ না আপনি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারবেন, ততক্ষণ আপনি ভগবানকেও বিশ্বাস করতে পারবেন না।”

    ৫> “নিত্যদিনের চলার পথে যদি আপনি কোনও সমস্যায় না পড়েন, তাহলে বুঝবেন আপনি ভুল পথে যাচ্ছেন।”

    ৬> “সবচেয়ে পাপ হল নিজেকে দুর্বল ভাবা’। তাই নিজেকে দুর্বল ভাববেন না।… নিজের দোষ থাকা সত্ত্বেও যদি আমরা নিজেকে ভালোবাসি। তবে অন্যদের দোষের কারণে কীভাবে তাঁদের ঘৃণা করব, কি করে?”

    ৭> “প্রতিটি মানুষের ধর্ম হল, নিজেকে সৎ রাখা, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন’। তাহলে জীবনে এগিয়ে যেতে পারবেন। মহাবিশ্বের সমস্ত শক্তি সকলের মধ্যে রয়েছে। আমরাই চোখের সামনে হাত রেখে কেঁদেছি, যে কি অন্ধকার! যে কাজের জন্য আপনি প্রতিশ্রুতি দেন, তা সঠিক সময়ে করা উচিত, অন্যথায় মানুষ তাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। নিজের মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান। কোনও কাজকেই আপনি ছোট মনে করবেন না।”

    ৮> “ধ্যান মূর্খদের ঋষিতে পরিণত করতে পারে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বোকারা কখনই ধ্যান করে না।”

    ৯> “অন্যদের কাছ থেকে যা ভালো তা শিখুন, ভুল জিনিস জীবন থেকে সরিয়ে ফেলুন। তবেই জীবনে এগোতে পারবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: ১৯৭৮ সালের সম্ভল হিংসা মামলা পুনরায় খোলার নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: ১৯৭৮ সালের সম্ভল হিংসা মামলা পুনরায় খোলার নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৪৭ বছরের পুরানো একটি হিংসার (Sambhal Riot) রিপোর্ট চাইল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। উত্তরপ্রদেশেরই সম্ভল এলাকায় সেই হিংসার ঘটনা শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ। দুই গোষ্ঠীর হিংসার জেরে প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের।

    মৃত্যুর দীর্ঘ তালিকা

    সরকারি রিপোর্ট বলছে, হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জনের। যদিও সেই হিংসার হাত থেকে যাঁরা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের বিবৃতি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, ১৮৪ জন হিন্দুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। দখল করে নেওয়া হয়েছিল ঘরবাড়ি, দোকানদানি। হিংসার জেরে গৃহহীন হয়েছিলেন বহু মানুষ। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে নামে প্রশাসন। দু’মাসের জন্য জারি করা হয়েছিল কারফিউ। দায়ের হয়েছিল ১৬৯টি মামলা। যদিও সিংহভাগ অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা যায়নি।   

    আরও পড়ুন: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    নথি হস্তান্তরের নির্দেশ

    ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি মোরাদাবাদ কমিশনার অঞ্জনেয় সিং সম্ভলের জেলাশাসক রাজেন্দ্র পেনসিয়াকে ওই হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ দেওয়া হয় ৭ জানুয়ারি সম্ভল পুলিশ সুপার (এসপি) কেকে বিষ্ণোইয়ের একটি চিঠির প্রেক্ষিতে। এই চিঠিতে তিনি উত্তরপ্রদেশের আইন পরিষদের সদস্য শ্রীচন্দ্র শর্মার পুনঃতদন্তের দাবির কথা জানান। শর্মার চিঠিতে হিংসায় হতাহতের সংখ্যা এবং এর পরিণতি নিয়ে বিশদ তদন্ত দাবি করা হয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এই বিষয়টি নিয়ে সম্ভল পুলিশের কাছে দুটি চিঠি এসেছে। এর একটি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের সহ-সচিবের কার্যালয়ের তরফে। অন্য চিঠিটি পাঠানো হয়েছে পুলিশ সুপার (মানবাধিকার) এর পক্ষ থেকে। এর পরেই পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের মধ্যে এ নিয়ে চিঠি চালাচালি হয়। পরে স্থির করা হয়, একটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। পুলিশের দাবি, আঠাত্তরের হিংসা নিয়ে আরও গভীর তদন্ত করতেই এই রিপোর্ট (Sambhal Riot) চাওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা জমা করা হবে।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সম্ভলের সাম্প্রদায়িক হিংসার একটি ঐতিহাসিক ধারার কথা তুলে ধরেন। যা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৪৭ সালে, স্বাধীনতার সময়। তিনি জানান, সম্ভলে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৪৭, ১৯৪৮ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে। ১৯৭৮ সালের হিংসা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৮ সালে ১৮৪ জন হিন্দুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে কারফিউ জারি ছিল। এরপর ১৯৮০-১৯৮২, ১৯৮৬ এবং ১৯৯০ সালেও আবারও হিংসার ঘটনা ঘটে। যেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছিলেন বহু মানুষ।”

    বিরোধীদের তুলোধনা

    বছরের পর বছর নীরব থাকায় এদিন বিরোধীদের তুলোধনা করেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “সম্ভলের বজরংবলী মন্দির, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে সেই ১৯৭৮ সাল থেকে।” ১৯৭৮ সালের ওই মর্মান্তিক ঘটনা অসংখ্য বেঁচে থাকা মানুষকে ঠেলে দিয়েছিল এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। অনেকের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক ওই হিংসার সময় তাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল (Sambhal Riot)। তাদের প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষাও দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ভিটেছাড়া হওয়ার মানসিক যন্ত্রণা এবং তাদের ক্ষতির প্রতি উপেক্ষার অভিযোগও করেছেন।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয় (Yogi Adityanath) বাসিন্দারা জানান, আনুষ্ঠানিক মৃত্যুর সংখ্যা প্রকৃত ট্র্যাজেডির মাত্রার চেয়ে যথেষ্ট কম করে দেখানো হয়েছে। বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা দাবি করেছেন যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপরাধীদের রক্ষা করা হয়েছিল এবং প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল, তার ফলে কয়েক দশক ধরে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি আবারও সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীলতাকে উদ্দীপিত করেছে। গত ডিসেম্বর মাসে প্রশাসন শহরের একটি “প্রাচীন মন্দিরের দ্বার ফের খুলে দেয় পুণ্যার্থীদের জন্য। তা নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শাহী জামা মসজিদের একটি আদালত নির্দেশিত সমীক্ষায় বাধা দেওয়া হয়। সেখানে মুসলিম জনতার বিরোধিতার মুখে পড়েন কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ এই ঘটনাগুলিকে সম্ভলের শান্তি বিঘ্নিত করার এবং ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা নষ্ট করার চেষ্টার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    এসপি কেকে বিষ্ণোই বলেন, “একটি সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা আদালত ও পুলিশের রেকর্ড থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি, যাতে মামলাগুলি এবং মৃত্যুর কারণ পুনর্মূল্যায়ন করা যায়।” কমিশনার বলেন, “বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উত্থাপিত জমিজমা-সম্পর্কিত যে কোনও বিরোধ আইনি উপায়ে সমাধান করা হবে। যদি সম্পত্তি অন্যায়ভাবে অধিগ্রহণ করা (Sambhal Riot) হয়, তাহলে সেগুলি প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Yogi Adityanath)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Youth Day 2025: যুব সমাজের প্রতি স্বামীজির বার্তা আজও প্রাসঙ্গিক, তাঁর জন্মদিনেই পালিত হয় জাতীয় যুব দিবস

    National Youth Day 2025: যুব সমাজের প্রতি স্বামীজির বার্তা আজও প্রাসঙ্গিক, তাঁর জন্মদিনেই পালিত হয় জাতীয় যুব দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরাধীন ভারতের বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ (National Youth Day 2025) উন্নত স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখতেন। পরাধীনতার অন্ধকারে নিমজ্জিত গোটা জাতির বিবেক চেতনা জাগ্রত হবে, এই আকাঙ্খা ছিল স্বামী বিবেকানন্দের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। তাঁর লক্ষ্য ছিল দেশবাসীর মধ্যে জাত্যাভিমান বাড়ানো, দেশপ্রেম জাগানো। নিদ্রিত দেশের চেতনার উদয় না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন স্বামীজি। দেশের যুবশক্তির প্রতি স্বামীজির অমর বাণী, “উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত।” অর্থাৎ “ওঠো! জাগো! এবং লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত থেমো না।” তাঁর বাণী এখনও দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে সমান প্রাসঙ্গিক। তাই সারা দেশে প্রতি বছর স্বামীজির জন্মদিন ১২ জানুয়ারি জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। রাষ্ট্রসংঘ ১৯৮৪ সালে ‘আন্তর্জাতিক যুব বর্ষ’ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই ভারত সরকার প্রতি বছর স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    যুব দিবসের ইতিহাস

    বিখ্যাত দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক নেতা স্বামী বিবেকানন্দের (National Youth Day 2025) জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথমবার জাতীয় যুব দিবস উদযাপিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন যে, তরুণরা হল জাতির মেরুদণ্ড। দেশের যুব সম্প্রদায় সামাজিক, রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। সমাজ সংস্কারক, আধ্যাত্মিক নেতা, দার্শনিক এবং প্রেরণাদায়ক বক্তা স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারা আজও তরুণদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে। এই দিন সারা দেশে যুবকদের উদ্দেশে বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) জীবন, কাজ এবং তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির স্মৃতিচারণ করা হয়।

    জাতীয় যুব দিবসের গুরুত্ব

    ১২ জানুয়ারি সারা দেশে জাতীয় যুব দিবস (National Youth Day 2025) পালিত হয়। এ উপলক্ষে তরুণদের কেন্দ্র করে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় যুব দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল ভারতের যুব সমাজকে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ ও মহান চিন্তা সম্পর্কে সচেতন করা। প্রতি বছর একটি বিশেষ প্রতিপাদ্য নিয়ে যুব দিবস পালিত হয়। 

    জাতীয় যুব দিবস ২০২৫ থিম 

    জাতীয় যুব দিবস ২০২৫ এর থিম (National Youth Day 2025) হল “জাতি গঠনের জন্য যুব ক্ষমতায়ন”। এবার যুব দিবসে যে কর্মসূচিই থাকুক না কেন, জাতি গঠনে তরুণদের তাদের সামর্থ্য ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হবে। যুব দিবস পালনের জন্য স্থানীয়ভাবে কোনও ইভেন্টে অংশগ্রহণ করুন। যেখানে দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সচেতনতা এবং সামাজিক কল্যাণের উপর জোর দেওয়া হবে। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপ্রেরণামূলক উদ্ধৃতি, গল্প এবং বার্তা শেয়ার করুন। স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষার উপর কিছু সময় চিন্তা করুন এবং কীভাবে সেগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করা যায়, তা নির্ধারণ করুন। জাতীয় যুব দিবস যুবসমাজকে দেশের উন্নতি ও সমাজের কল্যাণে আরও অনেক বড় ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করে।

    জাতীয় যুব দিবসের কর্মসূচি

    এবছর নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে বিকশিত ভারত ইয়ং লিডার্স ডায়ালগ ২০২৫ (Viksit Bharat Young Leaders Dialogue 2025)-এ অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে সারা দেশের তিন হাজার গতিশীল তরুণ নেতার সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী দশটি বিষয়ের উপর অংশগ্রহণকারীদের লেখা সেরা প্রবন্ধের একটি সংকলনও প্রকাশ করবেন। প্রবন্ধের অন্তর্গত মূল থিমগুলি হল প্রযুক্তি, স্থায়িত্ব, নারীর ক্ষমতায়ন, উৎপাদন এবং কৃষির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র। দেশের যুব সমাজকে বারবার দেশ গঠনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। স্বামীজির আদর্শে দেশের তরুণ সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    স্বামীজির বার্তা

    যুব সমাজের প্রতি স্বামীজির বার্তা (Swami Vivekananda) ছিল “ওঠো , জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।” কাজ সম্পর্কে বিবেকানন্দের বার্তা, “সারাদিন চলার পথে যদি কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।” শিকাগোর বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বিবেকানন্দ শুরু করেছিলেন, ‘ভাই ও বোন’ বলে সম্বোধন করে। তাঁরই বক্তব্য, “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।” চরিত্র গঠন সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য ছিল, “নিজের উপর বিশ্বাস না এলে, ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।’ তাঁর কথায়, “যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই। আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরি করি, তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই, কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই।” সঙ্গে ভয়ডরহীন হয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন,  “ভয়ই মৃত্যু, ভয়ই পাপ, ভয়ই নরক, ভয়ই অসাধুতা, ভয়ই ভুল জীবন। এই বিশ্বের সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা ও ধারণা এই ভয়ের অসৎ শক্তি থেকেই সৃষ্টি হয়েছে।” স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিটি বাণী এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁর আদর্শ দেশের যুব সমাজকে তৈরি করতে পারে। তাঁর আদর্শে চলে উন্নত-আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলাই যুব-দিবস ২০২৫ এর লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 12 January 2025: ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 12 January 2025: ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভাল কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে অর্থক্ষতি। 

    ২) মধুর কথাবার্তা দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে কাজের ব্যাপারে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ।

    ২) স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভালো হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত বিশ্বাসের খেসারত দিতে হতে পারে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share