Blog

  • Narendra Modi Podcast: “অ্যাম্বিশন নয়, মিশন নিয়ে রাজনীতিতে আসতে হবে”, প্রথম পডকাস্টেই স্বমহিমায় মোদি

    Narendra Modi Podcast: “অ্যাম্বিশন নয়, মিশন নিয়ে রাজনীতিতে আসতে হবে”, প্রথম পডকাস্টেই স্বমহিমায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সবাই ভুল করে। আমিও করি। আমিও তো মানুষ। দেবতা নই।” প্রথম পডকাস্টে এমনই মন্তব্য নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi Podcast)। আর ট্রেলারেই চমকে নমো। ২ মিনিট ১৩ সেকেন্ড পডকাস্টের ট্রেলার রয়েছে। প্রথম পডকাস্টে আসার কথা নিজেই বলেছেন মোদি। শনিবার রাতে ট্রেলার নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট করেন পডকাস্টের হোস্ট বা সঞ্চালক জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাথ (Nikhil Kamath Show)। পরে নিজের এক্স হ্যান্ডেল শেয়ার করেন নমো। পডকাস্টে যে সব বিযয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা দেশজুড়ে সাড়া ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    “রাজনীতিতে নিয়মিত ভালো লোক আসা দরকার”(Narendra Modi)

    ট্রেলারে দেখা যায়, নিখিল জানান, মোদির মতো একজন ব্যক্তিত্বের সামনে তিনি নার্ভাস প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি, সাবলীলভাবে হিন্দি বলতে না পারায় ভুলের জন্য মোদির কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। ট্রেলারে অনেক বেশি সহজ-সরল, স্বমেজাজে দেখা যায় মোদিজিকে (Narendra Modi Podcast)। মোদিকে নিখিল (Nikhil Kamath Show) প্রশ্ন করেন, রাজনীতিতে যুবক-যুবতীরা আসতে চাইলে তাদের জন্য কী বার্তা দেবেন? নাগরিকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, “রাজনীতিতে নিয়মিত ভালো লোক আসা দরকার।” সেইসঙ্গে নমো এও বলেন, “রাজনীতিতে আসতে হলে মিশন নিয়ে আসতে হবে, অ্যাম্বিশন নিয়ে নয়।”

    ট্রেলারের শেষদিকে নিখিলকে (Nikhil Kamath Show) বলতে শোনা যায়, “দক্ষিণ ভারতে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের বলা হয়, রাজনীতি নোংরা লোকেদের জায়গা। সেখানে গিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না।” এই প্রসঙ্গে মোদির (Narendra Modi Podcast) মতামত জানতে চান তিনি। মোদি তাঁর উদ্দেশে বলেন, “এই ভাবনা সত্যি হলে এখানে আমরা আসতাম না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির মহিলা নাগা সাধুরাও, জানুন তাঁদের জীবনের ৭টি দিক

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির মহিলা নাগা সাধুরাও, জানুন তাঁদের জীবনের ৭টি দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পুণ্যলাভের আশায় এখন থেকেই ভিড় শুরু হয়েছে প্রয়াগরাজে। হাজির অসংখ্য নাগা সন্ন্যাসী। নাগা সাধুসন্তদের জীবনযাত্রা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। পুরুষ সাধুদের পাশাপাশি সন্ন্যাসিনীরাও আসেন মহাকুম্ভে। মহিলা নাগা সাধুদের বা নাগা সাধ্বীদের জীবনও কৃচ্ছসাধনের। নাগা সাধুরা অন্যান্য সন্ন্যাসীদের থেকে কিছুটা আলাদা। জানা যায়, আদিগুরু শঙ্করাচার্যই নাগা সাধুদের শিক্ষা দিতেন হিন্দুধর্মকে রক্ষা করার। অন্যান্য বারের মতো, ২০২৫ সালের প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভেও বড় সংখ্যায় যোগ দিচ্ছেন মহিলা নাগা সন্ন্যাসীরা (Female Naga Sadhus)। তাঁদের সম্পর্কে সাতটি বিষয় আমরা জেনে নেব।

    সম্পূর্ণভাবে কঠোর ব্রত পালন করেন মহিলা নাগা সন্ন্যাসীরা (Maha Kumbh 2025)

    আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে মহিলা নাগা সাধুরাও (Maha Kumbh 2025), পার্থিব জগতের সমস্ত বস্তুগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে, নিজেদের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন সন্ন্যাস ধর্ম বেছে নেন। যোগব্যায়াম, ধ্যান, জপের অনুশীলন করেই তাঁরা দিন চর্চা করেন। তবে, মহিলা নাগা সাধুরা বস্ত্রহীনা হন না, তাঁরা পোশাক সেলাইবিহীন পোশাক পরেন এবং কপালে তিলক লাগান।

    কঠোর জীবনযাপন (Maha Kumbh 2025)

    মহিলা নাগা সন্ন্যাসী (Female Naga Sadhus) হতে কঠোর জীবনযাপনের অনুশীলন করতে হয়। বছরের পর বছর ধরে তাঁদেরকে ব্রহ্মচর্য, ধ্যান- এই সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

    সমতার প্রচার (Maha Kumbh 2025)

    মহিলা নাগা সন্ন্যাসীরা নারী শক্তি এবং আধ্যাত্মিক স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে কাজ করেন। পুরুষদের মতো মহিলারাও যে একইভাবে, একই পদ্ধতিতে আধ্যাত্মিক অনুশীলনের দাবিদার, সেটা মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের দেখলেই বোঝা যায়।

    প্রতিনিয়ত তপস্যা ও শৃঙ্খলা পরায়ণজীবন

    দীক্ষা গ্রহণের পরে মহিলা নাগা সাধুদের অত্যন্ত কঠোর জীবন যাপন করতে হয়। তাঁরা গুহা, জঙ্গল বা নদীর ধারে কোনও আশ্রমে বাস করেন। সাধারণভাবে তাঁরা ভগবান শিবের উপাসনা করেন।

    মহিলা নাগা সাধুদের আখড়া

    অনেক ক্ষেত্রে মহিলা নাগা সাধুরা আখড়াতেও থাকেন এবং সেখানে তাঁরা অধ্যয়ন করেন। আখড়াগুলি অনেক ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে।

    কুম্ভ মেলায় ব্যাপক ভিড় দেখা যায় মহিলা নাগা সাধুদের

    প্রায় প্রতিটি কুম্ভ মেলাতেই মহিলা নাগা সাধুদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তাঁরা বিভিন্ন শোভাযাত্রা পরিচালনা করেন এবং শাহি স্নানে অংশগ্রহণ করেন।

    নারী ক্ষমতায়ন

    মহিলা নাগা সাধুরা আজ নারী ক্ষমতায়নের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরাই প্রমাণ করেছেন যে আধ্যাত্মিকতার পথে কোনও লিঙ্গ বৈষম্য নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আগের রায়ে ‘কোনও ভুল নেই’, রিভিউ পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আগের রায়ে ‘কোনও ভুল নেই’, রিভিউ পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার একগুচ্ছ আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সমলিঙ্গে বিবাহকে যে আইনি স্বীকৃতি দেয়নি শীর্ষ আদালত, তা নিয়ে একগুচ্ছ রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। যদিও সেগুলি খারিজ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছিল, তাতে কোনও ত্রুটি মেলেনি। যে মতামত প্রকাশ করা হয়েছিল, তা আইন মেনেই ছিল। তাই কোনও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। 

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় এবারও বহাল রেখে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। আগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিভি নাগরত্ন, বিচারপতি পিএস নরসিং এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত পূর্বের রায়ে কোনও ভুল নেই। যে পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চ রিভিউ পিটিশনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে মাত্র একজনই পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন, যে বেঞ্চ সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেয়নি। মূল বেঞ্চের চার সদস্য (তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল, বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি হিমা কোমলি) অবসরগ্রহণ করেছেন। ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে রায় দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, একমাত্র সংসদ বা বিধানসভাই সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিতে পারে। আদালত আইন তৈরি করতে পারে না, ব্যাখ্যা করতে পারে মাত্র।

    সংসদের অধিকার

    সমলিঙ্গে বিবাহকে (Same Sex Marriage) আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে যে একগুচ্ছ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেটার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে সেই পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ চারটি আলাদা রায় দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ‘স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট’-র আওতায় সমলিঙ্গে বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সংসদের অধিকারের মধ্যে পড়ছে। আর যে সব রিভিউ পিটিশন দাখিল হয়েছিল, তাতে সওয়াল করা হয়েছিল যে সাংবিধানিক মূল্যবোধের সঙ্গে ২০২৩ সালের রায় ‘স্পষ্টতই অন্যায্য’ ছিল। মূল মামলার অন্যতম পিটিশনার সোনু সুদ প্রথম রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিলেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে দাখিল করেছিলেন সেই রিভিউ পিটিশন।

    কী বলেছিল শীর্ষ আদালত

    ২০২৩ সালের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সমলিঙ্গ যুগলকে (Same Sex Marriage) কোনও রকম ভাবে হেনস্থা করা যাবে না। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষিত করার বিষয়টিতেও বিচারপতিরা সকলেই একমত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, সমকামিতা অথবা ছকভাঙা যৌন রুচি একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। সেই অনুসারে কোনও সম্পর্কের অধিকারের কোনও তারতম্য হতে পারে না। তবে সমলিঙ্গ বিয়েতে আইনি সম্মতি দেওয়ার বিষয়টি আইনসভার উপরে ছেড়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, দ্রুত একটি কমিটি তৈরি হবে সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষজন এই রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান আদালতে। 

    আরও পড়ুন: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    কেন্দ্রের যুক্তিকে মান্যতা

    সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পাশাপাশি, সাতটি রাজ্যের সরকার তাদের মতামত জানিয়েছিল। কেন্দ্রের পাশাপাশি, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকার সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি বৈধতার দাবির বিরোধিতা করে। কেন্দ্রের তরফে সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করে জানানো হয়, এটা নেহাতই ‘শহুরে অভিজাত সমাজের ভাবনা’। পাশাপাশি, এমন ‘স্পর্শকাতর বিষয়ে’ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার সংসদের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মোদি সরকারের সেই যুক্তিই কিয়দাংশে মেনে নিয়েছিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: মকর সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত নয়, জানাল আলিপুর, বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    Weather Update: মকর সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত নয়, জানাল আলিপুর, বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ঠান্ডার আমেজ থাকবে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হল ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৪ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ১৩.২ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবারও তাপমাত্রার হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, রবিবার থেকে পারদ চড়তে পারে। সোমবারও আরও তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

    মকর সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত নয় (Weather Update)

    রবিবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) যথাক্রমে ২৬ ডিগ্রি ও ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এরপর সোমবার ১৩ জানুয়ারি আরও একটু বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সোমবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৭ ডিগ্রি ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তারপর ফের মঙ্গল থেকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। তবে, কনকনে শীত এখনই ফিরে আসবে না বলেই পূর্বাভাস। রবিবার থেকে উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। নতুন করে রাজ্যে প্রবেশ করছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ ও অসম সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরের উপর এবং উত্তর তামিলনাড়ু সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে দুটি ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে পৌষ সংক্রান্তিতে শীতের পথে রয়েছে একাধিক বাধা। মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) (১৪ জানুয়ারি) জাঁকিয়ে শীত থাকবে না।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    পৌষ সংক্রান্তিতে (Weather Update) হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি দার্জিলিং ও কালিম্পঙের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিঙেও। উত্তরবঙ্গেও আগামী ২ দিন তাপমাত্রা একই থাকবে। তারপর বাড়তে পারে তাপমাত্রা। আপাতত শুষ্ক আবহাওয়াই বিরাজ করবে রাজ্যজুড়ে। ভোরের দিকে কুয়াশার দাপটও বজায় থাকবে আপাতত। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার দাপট কমে যাবে। উত্তরবঙ্গে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর জেলায়। মাঝারি কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে বাকি জেলাগুলিতেও। আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। এদিকে উত্তর ভারতজুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে রাজধানী দিল্লি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ও সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রির কাছে থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বাম আমলে শিক্ষা-দুর্নীতি! ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বাম আমলে শিক্ষা-দুর্নীতি! ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বাম আমলে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের কী পর্যবেক্ষণ? (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড (Calcutta High Court) ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি (Primary Recruitment) পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২০০৯ সালের প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া সব শিক্ষকের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাই করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ, পরবর্তী শুনানির দিন ওই বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কার্ড জালিয়াতি করে চাকরি মামলায় আগামী ২৭ জানুয়ারি সব কার্ড যাচাই করে রিপোর্ট দিতে হবে শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    সিট গঠনের ইঙ্গিত!

    প্রসঙ্গত, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ (Calcutta High Court) কার্ড ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। উত্তর ২৪ পরগনায় ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬ জনের চাকরি বাতিল হয়। অন্য জেলাগুলিতে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ। বৃহস্পতিবার সব জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলকে ২০০৯ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের এক্সচেঞ্জ কার্ড খতিয়ে দেখতে বলল হাইকোর্ট। বৃহত্তর জালিয়াতির ইঙ্গিত পেলে সিট গঠন করা হতে পারে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Schools Dropouts: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    Schools Dropouts: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাতেই (Schools Dropouts)। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সারা দেশের স্কুল-ছুটদের সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। পশ্চিমবঙ্গে গত শিক্ষাবর্ষে তিন হাজারেরও বেশি স্কুল রয়েছে যেখানে কোনও পড়ুয়াই ভর্তি হয়নি। সম্পূর্ণ ছাত্রশূন্য। রাজ্যের (West Bengal) স্কুলগুলির এই পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ভাতা বা বই খাতা ট্যাব পাইয়ে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা যায় না। তার জন্য দরকার বুনিয়াদি কাঠামোর উন্নয়ন, এমনই দাবি শিক্ষামহলের।

    কেন্দ্রের রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলগুলিতে (Schools Dropouts) পড়ুয়া ভর্তির হার কেমন, তা নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের হিসেবে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী বাংলায় স্কুলছুটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যে ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা ৩২৫৪। অথচ কোনও পড়ুয়া না থাকা এই স্কুলগুলিতে ১৪ হাজার ৬২৭ জন শিক্ষক ছিলেন। আবার এমন অনেক স্কুলও রয়েছে যেখানে পড়ুয়া ভর্তি হলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র এক জন। কেন্দ্রের রিপোর্টে গত শিক্ষাবর্ষে রাজ্যে এক জন শিক্ষক থাকা স্কুল রয়েছে ৬ হাজার ৩৬৬টি।

    অন্য রাজ্যের অবস্থান

    কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত ২০০ পাতার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা দেশের নিরিখে প্রায় ১৩ হাজার (১২৯৫৪টি) স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি গত শিক্ষাবর্ষে। সেই স্কুলগুলিতে শিক্ষক ছিলেন ৩১ হাজার ৯৮১ জন। আবার প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার স্কুলে পড়ুয়া ভর্তি হলেও সেখানে মাত্র এক জন করে শিক্ষক নিযুক্ত থেকেছেন। কোনও পড়ুয়া ভর্তি না হওয়া স্কুলের সংখ্যার নিরিখে বাংলার পরেই রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ২১৬৭টি স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। তালিকায় তৃতীয় তেলঙ্গানা। দক্ষিণের এই রাজ্যে ২০৯৭টি স্কুলে গত শিক্ষাবর্ষে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি।

    রাজ্যের দেওয়া তথ্য থেকেই রিপোর্ট

    কোন রাজ্যে কেমন পরিস্থিতি সে বিষয়ে প্রতি বছরই একটি রিপোর্ট (Schools Dropouts) প্রকাশ করে কেন্দ্র। শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস’ থেকে এই রিপোর্টটি দেওয়া হয়। বস্তুত, রাজ্যগুলি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রক। রাজ্যের কোন স্কুলে কী পরিস্থিতি সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফেই একটি অনলাইন ব্যবস্থায় তথ্য আপলোড করা হয়। সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেই তা করতে হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য এবং পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করে কেন্দ্র। 

    বিরোধীদের নিশানায় রাজ্য সরকার

    কেন্দ্রের এই রিপোর্ট (Schools Dropouts) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্যের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী ও শিক্ষক সংগঠনগুলি। বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে দেশের সবচেয়ে বেশি স্কুল ড্রপআউট রয়েছে, যা লজ্জার। তিনি বলেন, “বীরভূমে স্কুল ড্রপআউটের হার ১৭.২ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ১৬.৯ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৬.১ শতাংশ। তাঁর মতে, রাজ্যের সকল জেলা গুলিতেই স্কুল ড্রপআউটের হার ১২ শতাংশের বেশি। কেউ জানে না স্কুল ড্রপআউটদের কী হচ্ছে। আমাদের রাজ্য থেকে ৭০ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। সারা রাজ্যে বেকারত্ব চরমে। এমন পরিস্থিতি, কেউ জানে না এই স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাচ্ছে।” শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীও বলেন, “রিপোর্ট অনুসারে সারা দেশের নিরিখে এ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ছাত্রশূন্য স্কুল। বহু স্কুলে এক জন করে শিক্ষক। এটি আমাদের লজ্জা। গত ১৩ বছর ধরে তৃণমূল সরকার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে একেবারে ভেঙে দিয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন! জানেন হিন্দু ধর্মে এই রীতির মাহাত্ম্য?

    তৃণমূল সরকারের অবহেলা

    রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, মুখে সংখ্যালঘু উন্নয়নের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেটা শুধু ভোটের রাজনীতি, বাস্তব ছবিটা অন্য। রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Schools Dropouts) উন্নতির জন্য কোনও কাজ হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদে বড় একটি সংখ্যালঘু জনগণ রয়েছে, প্রায় ১৭ শতাংশ। সেখানে স্কুলছুটের সংখ্যা বেশি। এরা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে তা জানতে আগ্রহী নয় সরকার।  রাজ্যের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রাইভেট এবং সেগুলিতে সিট খালি রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল সরকার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে আগ্রহী নয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক স্তরের ড্রপআউটের হার ১৮.৭৫ শতাংশ। রাজ্য প্রশাসন এবং শিক্ষা বিভাগকে এই বিষয়টি নজর দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Undivided India: আইএমডি-র দেড়শো বছর, দিল্লিতে ‘অখণ্ড ভারত’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পাকিস্তান-বাংলাদেশ

    Undivided India: আইএমডি-র দেড়শো বছর, দিল্লিতে ‘অখণ্ড ভারত’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পাকিস্তান-বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেড়শ বছর পূর্তি, এই উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘অখণ্ড ভারত’ (Undivided India) অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকেও। প্রসঙ্গত, হাল আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বলতে গেলে তলানিতেই ঠেকেছে। অন্যদিকে, সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই খারাপ ভারতের। এই আবহে আবহাওয়া দফতরের ‘অখণ্ড ভারত’ (Undivided India)  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের তরফ থেকে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবার বাংলাদেশের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী দিল্লি, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। 

    উপমহাদেশের অন্যান্য দেশও আমন্ত্রিত (Undivided India) 

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান (Pakistan) ও বাংলাদেশ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকছে আফগানিস্তান, মায়ানমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। উপমহাদেশের এই দেশগুলি ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে আবহাওয়া দফতরের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম যে ভারতের আবহাওয়া দফতরের প্রতিষ্ঠার সময় অখণ্ড ভারতের অংশ থাকা সমস্ত দেশই এই অনুষ্ঠানে সামিল হোক (Undivided India)।’’

    কেন্দ্রের সমস্ত মন্ত্রক মাঠে নেমেছে অনুষ্ঠানকে সফল করতে

    ইতিমধ্যে ‘অখণ্ড ভারত’-এর (Undivided India) এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে মোদি সরকারের একাধিক মন্ত্রক মাঠে নেমেছে। অর্থমন্ত্রক এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে ইতিমধ্যে দেড়শো টাকার একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্র দিবসে একটি ট্যাবলো প্রকাশ করার অনুমোদন দিয়েছে।

    ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আইএমডি

    প্রসঙ্গত ভারতের আবহাওয়া দফতর, যা পরিচিত ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট নামে, এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি। তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। তার আগে অবশ্য দেশের একাধিক প্রান্তে ছিল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এই আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ১৭৮৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতাতে প্রতিষ্ঠা করে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ১৭৯৬ সালে (তৎকালীন) মাদ্রাজে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। ১৮২৬ সালে গড়ে ওঠে বম্বে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এরপরে উনিশ শতকের প্রথম প্রথমদিকে ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে প্রতিষ্ঠিত করা হতে থাকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।

    কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হল আইএমডি

    ১৮৬৪ সালে কলকাতায় ব্যাপক ঘূর্ণিঝড় হয়। ১৮৬৬ এবং ১৮৭১ সালে ব্যাপক বন্যার কারণে বাংলাজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখনই নড়েচড়ে বসে ব্রিটিশ সরকার। এধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলিকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলির ব্যর্থতা বলে মনে করে ব্রিটিশ সরকার। এরপরে ১৮৭৫ সালে ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ সরকার তখন সিদ্ধান্ত নেয় যে আবহাওয়ার খুঁটিনাটি রেকর্ড সংরক্ষণ এবং সেই অনুযায়ী তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করবে এই সংস্থা। আবহাওয়া সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করার কাজে স্থাপিত হয় ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। জানা যায়, ১৮৭৫ সালে  ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর সদর দফতর ছিল কলকাতায়। পরবর্তীকালে ১৯০৫ সালে আইএমডির দফতর স্থানান্তরিত হয় সিমলায়। ১৯২৮ সালে আইএমডি-এর দফতর চলে যায় পুণেতে। ব্রিটিশ শাসনের একদম শেষের দিকে ১৯৪৪ সালে নতুন দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয় আইএমডির দফতর এবং তখন থেকে এটা দিল্লিতে রয়েছে।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে আইএমডি

    বছরের পর বছর ধরে আইএমডি-এর বিবর্তন হয়েছে এবং বর্তমান দিনে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি আবহাওয়া পূর্বাভাস দফতরে তা পরিণত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবহাওয়া বিজ্ঞান সমেত নানা গবেষণার কাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে আইএমডি। জানা যায়, প্রথমদিকে টেলিগ্রামের যুগে, আইএমডি টেলিগ্রামের মাধ্যমে আবহাওয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি আপডেট এবং সতর্কতা পাঠাত। পরবর্তীকালে যখন কম্পিউটার আসে, তখন এর মাধ্যমে কাজ চলতে থাকে। স্বাধীন ভারতে ইসরো স্থাপিত হওয়ার পরে, ওই সংস্থাকেও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে থাকে আবহাওয়া দফতর। বর্তমানে আবহাওয়া দফতরের নিজস্ব উপগ্রহ রয়েছে যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি না বদল করতে পারলে ২০৩১ সালের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালানোর পথ খুঁজতে হবে হিন্দুদের। তখন আবাস যোজনায় তৈরি বাড়িগুলি দখল করে নেবে ‘ওরা’। বৃহস্পতিবার হাওড়ার রামরাজাতলায় মন্দির উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে একথা বলতে শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে হিন্দুশূন্য করা হয়েছে একই পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।’’

    ভাষণে উঠে আসে নিজের মায়ের কথাও বলেন বিরোধী দলনেতা 

    এদিনের বক্তব্যে নিজের মায়ের প্রসঙ্গও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জীবন বাঁচাতে তাঁকেও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মা গায়ত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা মাখনলাল ভট্টাচার্যের হাত ধরে বরিশাল থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছিল হিন্দু হওয়ার কারণে। আর এখানে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, ২০৩১ সালের পরে আমাদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে। জায়গা খুঁজতে হবে। ভাতা আসবে যাবে। আবাস হবে, আবাস ভাঙবে-গড়বে। কিন্তু এই যে বাড়িগুলি তৈরি করে রেখে যাচ্ছেন না, সব দখল করবে ওরা।’’

    বাংলাদেশে চলছে হিন্দু শূন্য করার কাজ (Suvendu Adhikari) 

    এর পরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘দখল করেছে আফগানিস্তানে। সেখানে হিন্দু, শিখ ও জৈন পার্শিদের হাতে সব থেকে বেশি সম্পদ ছিল। একদম শূন্য করে দিয়েছে। পাকিস্তানে ১ শতাংশেরও কমে নামিয়ে দিয়েছে। লাহোর, ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে সব বড় শহরে শিক্ষা, ব্যবসা, সম্পদ, অর্থ সব ছিল হিন্দু, শিখ, পার্শিদের হাতে। সেই একই ভাবে বাংলাদেশে শূন্য করার কাজ চলছে।’’

    মমতা (Mamata Banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ

    হাওড়ার সভা থেকে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতিরও অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে সীমাহীন তোষণ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে এবং ডেমোগ্রাফি বদলে দিচ্ছে। সীমান্ত খোলা, রোহিঙ্গা মুসলমান ছেয়ে যাচ্ছে।’’ এরপরেই বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘একদিকে যখন বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিল্লি, অসম, ত্রিপুরা পুলিশ তৎপরতা দেখাচ্ছে, তখন বাংলায় তাদের অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা’’ এদিনের সভায় শুভেন্দু ছাড়াও হাজির ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজ। সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: ব্রিটেনে পাকিস্তানি ‘গ্রুমিং গ্যাং’ ইস্যুতে, ভারতীয় সাংসদের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন ইলন মাস্ক

    Elon Musk: ব্রিটেনে পাকিস্তানি ‘গ্রুমিং গ্যাং’ ইস্যুতে, ভারতীয় সাংসদের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন ইলন মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই এক্স হ্যান্ডেলের মালিক ইলন মাস্ক ব্রিটেনে গ্রুমিং গ্যাং কেলেঙ্কারির জন্য ষ্টারমারের নেতৃত্বাধীন দিন ব্রিটিশ সরকারকে তোপ দেগেছিলেন। সেসময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, যখন তিনি ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন, তখনই তিনি এশিয়ান গ্রুমিং গ্যাংয়ের প্রথম মামলা দায়ের করেছিলেন। এখানেই আপত্তি তোলেন ভারতের রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং তিনি বলেন এশিয়ান গ্রুমিং গ্যাং নয়, বরং বলা উচিত পাকিস্তানি গ্রুমিং গ্যাং (Pakistani Grooming Gang)। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর এই মন্তব্যে সহমত পোষণ করেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে মন্তব্য করেন ইলন মাস্ক।

    গ্রুমিং গ্যাং আসলে কী 

    দেখা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদির এই পোস্ট এখনও পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি ইউজার দেখেছেন এবং ৩৭ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী লাইক করেছেন। ১,৭০০ জন এখানে মন্তব্য করেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন খোদ এক্স হ্যান্ডলের মালিকও। ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন বেড়ে চলার জন্য সম্পূর্ণ এশিয়াকে দায়ী করা যাবে না। এর জন্য দায়ী একটি দেশ এবং সেটি পাকিস্তান। এক্স হ্যান্ডেলে সাংসদের এই মন্তব্যের পরেই সেখানে কমেন্ট করতে দেখা যায় ইলন মাস্ককে (Elon Musk)। সম্প্রতি ব্রিটেনের উত্তরভাগের বিভিন্ন শহরে মহিলাদের ওপরে ব্যাপক পরিমাণে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। এর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে অভিযুক্তরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পুরুষ। ব্রিটিশ মেয়েদের ওপর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পুরুষদের এমন অত্যাচার গ্রুমিং গ্যাং নামে পরিচিত।

    সাম্প্রতিক উদাহরণ (Elon Musk)

    ইতিমধ্যে এমন অসংখ্য উদাহরণ সামনে এসেছে। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে লন্ডনের বাইরে একটি জায়গা থেকে ১০ বছর বয়সি একজন মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মেয়েটির নাম ছিল সারা। যখন তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, দেখা যায় তার হাড় ভাঙ্গা, তাকে পোড়ানো হয়, শরীরে কামড়ের দাগও দেখা যায়।  এই ঘটনার পরেই অভিযোগ দায়ের হয় তার বাবা উরফান শরীফ এবং তার সৎ মা বাইনাস বাতুলের বিরুদ্ধে। গত মাসেই লন্ডনের আদালত উরফান শরীফ এবং বাইনাস বাতুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে তাদেরকে দণ্ডিত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case Verdict: আরজি করকাণ্ডে শেষ হল বিচার প্রক্রিয়া, শিয়ালদা কোর্টে ১৮ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা

    RG Kar Case Verdict: আরজি করকাণ্ডে শেষ হল বিচার প্রক্রিয়া, শিয়ালদা কোর্টে ১৮ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Case Verdict) বিচারপর্বের চূড়ান্ত রায়দানের দিনও জানিয়ে দিল আদালত। গত ১১ নভেম্বর আরজি করের ঘটনায় বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। টানা দু’মাস ধরে তা চলল। এই মামলায় আগেই চার্জশিট দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেখানে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নভেম্বর থেকে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শিয়ালদা ফার্স্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ (ফার্স্ট এডিজে) অনিবার্ণ দাসের এজলাসে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে।

    ১৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণা (RG Kar Case Verdict)

    আদালত (RG Kar Case Verdict) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর দুটো থেকে আড়াইটের মধ্যে এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। এই বিষয়ে এক আইনজীবী বলেন, “আমাদের দাবি বা যারা এই ঘটনায় যুক্ত তারা যে সাজা পায়। এক চার্জশিট জমা হয়েছে। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হতে পারে। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।” গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরের দিনই কলকাতা পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় বাংলা। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতিবাদে উত্তাল হয় দেশ থেকে বিদেশ। পরে এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সুপ্রিম কোর্টেও ওঠে মামলা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ প্রথমে আর্থিক বেনিয়ম ও দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে, ধর্ষণ মামলাও যুক্ত করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর তথ্য প্রমাণ লোপাটের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। সে কারণেই সন্দীপ-অভিজিৎকে ধর্ষণ মামলায় জামিন দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। তবে, আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জেলেই রয়েছেন সন্দীপ।

    সঞ্জয়ের আইনজীবী কী বললেন?

    শুনানিতে সঞ্জয়কে নির্দোষ বলে দাবি করে তার আইনজীবী (RG Kar Case Verdict) সৌরভ বন্দ্যোপাধয়ায়। এই বিষয়ে ধৃতের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, “এই ঘটনার স্বপক্ষে সিবিআই যে প্রমাণ দিচ্ছে, তা অপর্যাপ্ত। সঞ্জয় এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। এছাড়াও নির্যাতিতার শরীরে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনা সাজানো হতে পারে। ধৃতকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযুক্ত কিছুই করেনি। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপও মেলেনি। হতে পারে পুরোটাই পরে সাজানো হয়েছে।”

    ফাঁসির দাবি করেছে সিবিআই

    আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে আদালতে এর আগেও সিবিআই নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে। ধৃতের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বিরলতম ঘটনা বলে মন্তব্য করে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share