Blog

  • Mahakumbh 2025: ‘ভগবানই জ্যাকেট’! প্রবল শীত উপেক্ষা করে বিবস্ত্র মহাকুম্ভের সর্বকনিষ্ঠ ৮ বছরের নাগা সাধু

    Mahakumbh 2025: ‘ভগবানই জ্যাকেট’! প্রবল শীত উপেক্ষা করে বিবস্ত্র মহাকুম্ভের সর্বকনিষ্ঠ ৮ বছরের নাগা সাধু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025)। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সন্তরা ইতিমধ্যে প্রয়াগরাজে হাজির হতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে বড় সংখ্যায় নাগা সাধুদের উপস্থিতিও দেখা যাচ্ছে। তবে সবার দৃষ্টি রয়েছে ছোট্ট সাধু গোপাল গিরির ওপর। তিনি নাগা সম্প্রদায়ের। বর্তমানে গোপাল গিরির (Gopal Giri) বয়স ৮ বছর। ইতিমধ্যে ৮ বছর বয়সি এই সাধুর দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে।

    আদতে হিমাচলের বাসিন্দা গোপাল গিরি (Gopal Giri) 

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) সর্বকনিষ্ঠ সাধু গোপাল গিরি মূলত হিমাচল প্রদেশের চম্পার বাসিন্দা। একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোপাল গিরি জানিয়েছেন নানা কথা। তাঁর সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে ছোটবেলায় তিনি কিভাবে ঘর ছাড়েন এবং আধ্যাত্মিকতার পথে আসেন। প্রসঙ্গত, নাগা সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীরা পার্থিব জগতের সব কিছুই ত্যাগ করেন। সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় থাকেন তাঁরা। এত ঠান্ডাতেও গোপাল গিরি জানিয়েছেন যে তাঁর কোনও অস্বস্তি হয় না। ভগবানই তাঁর জ্যাকেট। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভগবানের প্রতি সর্বদা সমর্পিত থাকাই, তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য।

     ভুল বুঝিয়ে সন্ন্যাসী বানানো হয়নি আমাকে

    গোপাল গিরি বলেন, ‘‘আমাকে কোনও মহল থেকে ভুল বুঝিয়ে সন্ন্যাসী বানানো হয়নি, একজন সাধুকে কেউ কখনও ভুল বোঝাতে পারেন না। আমি নিজের ইচ্ছায় সন্ন্যাস জীবন বেছে নিয়েছি। সাধু হওয়া আমার জীবনের ইচ্ছা ছিল। শুধুমাত্র ভগবানের ভজন-কীর্তন করব বলেই আমি সন্ন্যাসী হয়েছি।’’ আট বছর বয়সি এই সাধু আরও বলেন, ‘‘খেলা করা, ঘুরে ঘুরে বেড়ানো বাচ্চাদের স্বভাব কিন্তু আমার ভালো লাগে ঈশ্বরের ভজনে সর্বদাই মগ্ন থাকতে। আমি ভগবান শিব ও সূর্যদেবের উপাসনা করি। আমার তিন গুরুই বিভূতি লাগিয়ে সমাধিস্ত হয়েছেন। আমি বিদ্যালয়ে ভর্তিও হয়েছিলাম। কিন্তু আমি গুরুকুল ব্যবস্থার শিক্ষা নিতে চেয়েছিলাম। তাই আমি সাধু হয়েছি। আমি কখনও স্কুল-কলেজে পড়ার ভয়ে ঘর ছাড়েনি, গুরুকুলে বাচ্চাদেরকে জোর জবরদস্তি নয় বরং তাদেরকে ভালোবেসে শিক্ষা প্রদান করা হয়।’’

    পিতা-মাতার আজ্ঞাতেই সন্ন্যাসী হওয়া

    তাঁর পিতামাতার বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস (Mahakumbh 2025) করা হলে গোপাল গিরি বলেন, ‘‘বাবা মায়ের ব্যাপারে কেন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছেন! ওনাদের আজ্ঞা নিয়েই আমি সন্ন্যাসী হয়েছি। যে কোনও বাচ্চা যদি সন্ন্যাসী হতে চায়, তাহলে তাদেরকেও পিতামাতার নির্দেশ নিতে হবে। আমি আরও ছোট বয়সে নিজের বাবাকে বলেছিলাম যে আমি সন্ন্যাসী হব। পিতা ও মাতা দুজনের আজ্ঞা নিয়েই আমি সন্ন্যাসী হয়েছি।’’ জানা গিয়েছে,  তিন বছর আগে গোপাল গিরির বাবা-মা গুরুদক্ষিণা স্বরূপ তাঁদের পুত্রকে সঁপে দেন গুরুর কাছে। সেই সময়ে বিধি-বিধান অনুসারে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত করা হয় গোপাল গিরিকে। পৃথিবীর অন্যতম বড় ইভেন্টের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এখন গোপাল গিরি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Human Metapneumovirus: চিনের নতুন ভাইরাসে আতঙ্ক! ভারতে সংক্রমণের ভয় কতটা, কী বলল কেন্দ্র?

    Human Metapneumovirus: চিনের নতুন ভাইরাসে আতঙ্ক! ভারতে সংক্রমণের ভয় কতটা, কী বলল কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে ক্রমশ বাড়ছে নয়া ভাইরাসের দাপট। চিনের একাধিক হাসপাতালে থিক থিকে ভিড়। করোনার পর হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এইচএমপি ভাইরাসে। চিনের এই ভাইরাসে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতে। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও কেস রিপোর্ট হয়নি বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

    কী বলল কেন্দ্র

    হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল অতুল গোয়েল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়নি। এটি সাধারণ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগের মতোই। সাধারণ, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। এই ভাইরাস নিয়ে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সতর্কবার্তাও নেই। তবে শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন হেলথ সার্ভিসেসের ডিরেক্টর। অতুলের কথায়, ‘‘চিনে মেটানিউমোভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে খবর ঘুরছে। একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই। সর্দি-জ্বর ঘটায় এমন যে কোনও শ্বাসযন্ত্র আক্রমণকারী ভাইরাসের মতোই কাজ করে এইচএমপিভি। ছোট থেকে বয়স্ক, যে কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে জ্বরে ভুগতে পারেন।’’

    শ্বাসনালীর সংক্রমণের নিয়ে সাবধানতা

    অতুল শ্বাসনালীর সব ধরনের সংক্রমণের নিয়েই সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এমনিতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’ অতুল এ-ও জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর মাসে এ দেশের মানুষ জনের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়নি। অন্তত পরিসংখ্যানে তেমনটা ধরা পড়েনি। দেশের কোনও হাসপাতালেই শ্বাসকষ্টের রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কোনও খবর মেলেনি। যদিও শীতকালে এই সমস্যা এমনিতেই বৃদ্ধি পায়। হাসপাতালগুলিও সেই মতো প্রস্তুত থাকে। তার পরেও বার বার মানুষজনকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অতুল। তিনি বলেন, ‘‘একটাই কথা সকলকে বলতে চাই যে, শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও সংক্রমণ নিয়ে যে ভাবে সতর্ক হই, এ ক্ষেত্রেও তা-ই হতে হবে। তার অর্থ, কারও সর্দি বা কাশি হলে বহু মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত নয়। এতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।’’ হাঁচি, কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন অতুল।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর 

    মেটানিউমো ভাইরাস নতুন নয়

    মেটানিউমো ভাইরাস নতুন নয়, ২০০১ সালেও এর সন্ধান মিলেছিল। কিন্তু যেটা নতুন, তা হল সংক্রমণের হার। ১৪ বছরের নীচে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে, একইসঙ্গে বয়স্করাও। তবে তা হচ্ছে চিনে। এই ভাইরাসের হদিশও পাওয়া গিয়েছে চিনে। এই ভাইরাসের উপসর্গ অনেকটাই কোভিডের মতো। তবে ওতটা মারাত্মক না হলেও, চিকিৎসকরা সতর্ক থাকতে চাইছেন। এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসকদের কাছে সেটাই উদ্বেগের কারণ। এর উপসর্গ সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে লাগাতর জল পড়া, অসম্ভব গলা ব্যথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর

    PM Modi: মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মসংস্থান ইস্যুতে বিরোধীদের একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। বৃহস্পতিবার তিনি এই ইস্যুতে একহাত নিলেন পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে। নিজের বিবৃতিতে মন্ত্রী জানিয়েছেন, মনমোহন জমানায় মাত্র ২.৯ কোটি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল ১০ বছরে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে ছিল ইউপিএ সরকার। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ১৭.১৯ কোটি।

    মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য, ইউপিএ জমানার থেকে এগিয়ে মোদি জমানা (PM Modi)

    কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০১৪-১৫ সালে সারাদেশে কর্মসংস্থানের যে অবস্থা ছিল তা বর্তমানে ৩৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তিনি রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে কর্মসংস্থান ছিল ৪৭.১৫ কোটি,  কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে এই কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩৩ কোটি। অন্যদিকে, ২০০৩-০৪ সালে ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশের কর্মসংস্থান ছিল ৪৪.২৩ কোটি, কিন্তু ইউপিএ সরকারের একেবারে শেষের বছরে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে কর্মসংস্থান হয় ৪৭.১৫ কোটি। অর্থাৎ মাত্র ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল কর্মসংস্থান।

    কমেছে বেকারত্ব

    একই সঙ্গে ইউপিএ জমানায় উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছিল মাত্র ৬ শতাংশ। কিন্তু মোদি জমানায় ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ শতাংশ, এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী। অন্যদিকে, পরিষেবা ক্ষেত্রে ইউপিএ আমলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ কিন্তু মোদি জমানায় এই হার ৩৬ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনসুখ মান্ডব্য। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ২০১৭-১৮ সালে মোদি জমানায় (PM Modi) ছিল ৩১.৪ শতাংশ, ২০২৩-২৪ সালে তা অনেকটাই বেড়ে হয়েছে ৪১.৭ শতাংশ। যেখানে যুবকদের বেকারত্বের হার ২০১৭-১৮ তে ছিল ১৭.৪ শতাংশ এবং তা বর্তমানে ১০.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছেন, বিগত সাত বছরে অর্থাৎ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪.৭ কোটি যুবক ইপিএফও-র আওতায় এসেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 04 January 2025: অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 January 2025: অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন খুব ভালো কাটতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    বৃষ

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভালো লাভের সময়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।

    কর্কট

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    সিংহ

    ১) কোনও ভালো কাজ না হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির চেষ্টা করতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য্য রেখে কাজ করুন।

    কন্যা

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে।

    ৩) কোনও বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়বেন না আজ।

    তুলা

    ১) কাজ নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) পাওনা আদায় নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয় কমানোর আলোচনা।

    ৩) নিজের বাণীতে সংযম রাখুন।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    মকর

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা।

    কুম্ভ

    ১) অতিরিক্ত কথায় বাড়িতে বিবাদের যোগ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) শরীরে যন্ত্রণা হতে পারে।

    ২) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে খুশিতে কাটান দিনটি।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: চন্দন গুপ্তা হত্যা মামলা, ২৮জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন দিল এনআইয়ের বিশেষ আদালত

    NIA: চন্দন গুপ্তা হত্যা মামলা, ২৮জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন দিল এনআইয়ের বিশেষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্ণৌ-এর বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত ২৮ জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল, চন্দন গুপ্তা হত্যা কেসে। প্রসঙ্গত, চন্দন গুপ্তা (Chandan Gupta), যাঁর অপর নাম ছিল অভিষেক গুপ্তা, তাঁকে ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে তেরঙ্গা যাত্রা সময় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এনআইএ-র বিশেষ আদালতের এই রায়দান সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি। সেখানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে আজিজউদ্দিন, মুনাজির, আসিফ, সাবিব ছাড়া আরও ২৪ জনকে। কুখ্যাত এই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে চন্দন গুপ্তার হত্যা সমেত জাতীয় পতাকা অবমাননা, সাম্প্রদায়িক হিংসারও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এই কারণে অতিরিক্ত জরিমানাও করা হয়েছে ওই মৌলবাদীদের।

    তিরঙ্গাযাত্রায় অতর্কিতে চালানো হয় হামলা

    প্রসঙ্গত, চন্দন গুপ্তার হত্যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয় ২০১৮ সালে। উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে তেরঙ্গা যাত্রার মিছিলে (NIA) অতর্কিতে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয় চন্দনকে। তাঁর ভাই বিবেক গুপ্তাকেও ব্যাপক মারধর করে জেহাদিরা। ওই শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার অভিযোগও ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। জোর করে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে দিতে হুমকি দিতে থাকে মৌলবাদীরা। এরপরেই চন্দন গুপ্তাকে গুলি করা হয়। প্রথমে আহত চন্দনকে কাশগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়, পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চন্দনের বাবা সুশীল গুপ্তা এবং তাঁর ভাই বিবেক পরবর্তীকালে কোর্টের দ্বারস্থ হন বিচারের আশায়। প্রায় সাত বছর পরে সামনে এল রায়।

    ১২ জন সাক্ষ্য দেন এই মামলায় 

    এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এনআইএ (NIA)। তার মধ্যে অন্যতম ছিল চন্দনের পরিবারও। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলা হস্তান্তর করা হয় এনআইএ-কে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম চার্জশিট জমা করে এনআইএ। পরবর্তীকালে পেশ করা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট, যেখানে ছিল ৩০ জনের নাম। তবে দুজনকে প্রমাণের অভাবে খালাস করে দেয় এনআইএ-এর (NIA) বিশেষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: মাস্টারদার পুরো নাম ‘পুসপারাজ’ লিখল পড়ুয়া, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    West Bengal: মাস্টারদার পুরো নাম ‘পুসপারাজ’ লিখল পড়ুয়া, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা সংলগ্ন স্কুলের (West Bengal) ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল ‘মাস্টারদার পুরো নাম কী?’ উত্তর দেখে চক্ষু চরকগাছ। মাস্টারদা সূর্য সেনের বদলে উত্তর লেখা রয়েছে ‘পুসপারাজ’। ‘পুষ্পা’ বানানটিও ঠিকমতো জানে না ওই পড়ুয়া। নিয়োগ দুর্নীতির ফল একেবারে হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে, এমনটাই বলছেন কেউ কেউ। মমতা জমানায় কীভাবে তৈরি হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড? তার প্রমাণ মিলেছে এমন খাতাতে। এমনটাও বলছেন কেউ কেউ। 

    তোপ সুকান্ত মজুমদারের (West Bengal)

    এনিয়ে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কটাক্ষ (West Bengal) করে তিনি বলেন, “শিক্ষকরা যদি রাস্তায় থাকেন, আন্দোলন করতে বাধ্য হন, তাহলে এরকমই হবে। কোনও দিন পড়ুয়ারা মাস্টারদাকে ‘কেষ্টদা’ না ডেকে বসে।” প্রসঙ্গত, ক্লাসরুমের বেহাল দশা, শিক্ষকের অভাবের অভিযোগও সামনে আসে। এমন উত্তরপত্র সামনে আসতেই বোঝা গেল পড়ুয়াদের অবস্থা ঠিক কেমন? আদৌ কতটা পড়াশোনা হচ্ছে তাদের? এমন প্রশ্নও উঠছে।

    এক পড়ুয়া আবার বাবা-মায়ের ঝগড়া লিখেছে 

    তবে এখানেই শেষ নয়। নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে এক পড়ুয়া বাবা-মায়ের মধ্যে কবে ঝগড়া হিয়েছিল, সেই গল্প লিখে দিয়েছে। এধরনের ঘটনা আসলে সামনে আনছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার (West Bengal) বেহাল দশাকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহানন্দা কাঞ্জিলালের দাবি, ট্যাব দিয়ে শিক্ষার মান উন্নত করা যায় না। তিনি বলেন, ‘‘একজন শিক্ষিকা হিসেবে এগুলো দেখতে কষ্ট হয়। পরিকাঠামো উন্নয়ন দরকার। মিড ডে মিলেরও টাকা বাড়াতে হবে। তবেই সব ঠিক হবে।’’ অন্য এক শিক্ষাবিদের মতে, ‘‘এটা সামগ্রিক অবক্ষয়ের একটা চেহারা। গত এক দশকে শিক্ষক নিয়োগ সহ সব ক্ষেত্রেই খামতি রয়েছে। আর সেটা ধরা পড়ছে পড়াশোনার উপর। দিনের পর দিন যোগ্য শিক্ষকরা রাস্তায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছেন, সেই কারণেই যা হওয়ার তাই হচ্ছে। পড়াশোনার ওপর প্রভাব পড়ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ‘‘একে নিতেই হবে’’, অযোগ্যদের ঢোকাতে নোট পার্থর! নিয়োগ মামলার চার্জশিটে সিবিআই

    Partha Chatterjee: ‘‘একে নিতেই হবে’’, অযোগ্যদের ঢোকাতে নোট পার্থর! নিয়োগ মামলার চার্জশিটে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য়ে কাদের নিতে হবে সেটা কার্যত ঠিক করে দিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই। প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ। চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ

    প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় সংস্থা যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা চার্জশিট আকারে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানেই পার্থর (Partha Chatterjee) হাতের লেখার উল্লেখ রয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নামের তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানেই পার্থের হাতের লেখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও সেই লেখা সিবিআই বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পার্থর ‘হাতে লেখা’ নির্দেশের ‘অনুলিখন’। সিবিআই জানিয়েছে, এক এক জন প্রার্থীর নামের ক্ষেত্রে এক এক রকম মন্তব্য লিখে দিতেন পার্থ। কোনও নামের উপরে লিখতেন ‘একে নিতেই হবে’ (মাস্ট বি টেক্‌ন), কোনও নামের উপরে লিখতেন ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে নিতে হবে’ (ওনলি ট্রেন্‌ড টু বি টেকেন)। প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জেলার নামও উল্লেখ করে দিতেন তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ। কোথাও লিখতেন ‘পুরুলিয়া’, কোথাও ‘বাঁকুড়া’। 

    আরও পড়ুন: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পথের সন্ধান দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর, কেমন সেই পদ্ধতি?

    কীভাবে নিয়োগ

    ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রাথমিক মামলার তদন্তে বিকাশ ভবনে হানা দেয় সিবিআই। সেখানকার গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয় চাকরিপ্রার্থীদের নামের একটি তালিকা। ১৯ পাতার চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকায় ৩২৪ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর নাম ছিল। পরে তালিকা খতিয়ে দেখা যায়, আসলে সেখানে প্রার্থীসংখ্যা ৩২১। এঁদের প্রত্যেকের নাম প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য রাজনৈতিক প্রভাবশালী কোনও না কোনও ব্যক্তি সুপারিশ করেছিলেন। তালিকায় প্রার্থীদের নাম এবং রোল নম্বরের পাশাপাশি সেই প্রভাবশালী ব্যক্তির নামও উল্লেখ করা ছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। পার্থ (Partha Chatterjee) সেই তালিকায় নিজের মতদান করলে, পার্থর হাতের লেখা অনুসারে এক মহিলা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সেই তালিকা আবার নকল করতেন। এরপর সেই অনুলিখন পাঠিয়ে দেওয়া হত অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর কাছে। সে সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন মানিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 239: “ওরে চোরা, তুই বাড়ি থেকে কেবল পালিয়ে পালিয়ে আসিস, আর চুরি করে প্রেম আস্বাদন করিস”

    Ramakrishna 239: “ওরে চোরা, তুই বাড়ি থেকে কেবল পালিয়ে পালিয়ে আসিস, আর চুরি করে প্রেম আস্বাদন করিস”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পেনেটীর মহোৎসবক্ষেত্রে রাখাল, রাম, মাস্টার,

    ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই জুন

    ঠাকুর সংকীর্তনানন্দে— ঠাকুর কি শ্রীগৌরাঙ্গ?

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পেনেটীর মহোৎসবক্ষেত্রে বহুলোকসমাকীর্ণ রাজপথে সংকীর্তনের দলের মধ্যে নৃত্য করিতেছেন। বেলা একটা হইয়াছে। আজ সোমবার, জ্যৈষ্ঠ শুক্লা ত্রয়োদশী তিথী, ১৮ই জুন, ১৮৮৩।

    সংকীর্তনমধ্যে ঠাকুরকে দর্শন করিবার জন্য চতুর্দিকে লোক কাতার দিয়া দাঁড়াইতেছে। ঠাকুর প্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নাচিতেছেন, কেহ কেহ ভাবিতেছে, শ্রীগৌরাঙ্গ কি আবার প্রকট হইলেন! চতুর্দিকে হরিধ্বনি সমুদ্রকল্লোলের ন্যায় বাড়িতেছে। চতুর্দিকে হইতে পুষ্পবৃষ্টি ও হরির লুট পড়িতেছে।

    নবদ্বীপ গোস্বামী প্রভু সংকীর্তন করিতে করিতে রাঘবমন্দিরাভিমুখে যাইতেছিলেন। এমন সময়ে ঠাকুর কোথা হইতে তীর বেগে আসিয়া সংকীর্তন দলের মধ্যে নৃত্য করিতেছেন (Kathamrita)।

    এটি রাঘব পণ্ডিতের চিঁড়ার মহোৎসব। শুক্লাপক্ষের ত্রয়োদশী তিথীতে প্রতিবর্ষে হইয়া থাকে। দাস রঘুনাথ প্রথমে এই মহোৎসব করেন। রাঘব পণ্ডিত তাহার পরে বর্ষে বর্ষে করিয়াছিলেন। দাস রঘুনাথকে নিত্যানন্দ বলিয়াছিলেন, ‘ওরে চোরা, তুই বাড়ি থেকে কেবল পালিয়ে পালিয়ে আসিস, আর চুরি করে প্রেম আস্বাদন করিস — আমরা কেউ জানতে পারি না! আজ তোকে দণ্ড দিব, তুই চিঁড়ার মহোৎসব করে ভক্তদের সেবা কর।’

    ঠাকুর (Ramakrishna)  প্রতি বৎসরই প্রায় আসেন, আজও এখানে রাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে আসিবার কথা ছিল। রাম সকালে কলিকাতা হইতে মাস্টারের সহিত দক্ষিণেশ্বরে আসিয়াছিলেন। সেইখানে আসিয়া ঠাকুরকে দর্শন ও প্রণামান্তর উত্তরের বারান্দায় আসিয়া প্রসাদ পাইলেন। রাম কলিকাতা হইতে যে গাড়িতে আসিয়াছিলেন, সেই গাড়ি করিয়া ঠাকুরকে পেনেটীতে আনা হইল। সেই গাড়িতে রাখাল, মাস্টার, রাম, ভবনাথ, আরো দু-একটি ভক্ত — তাহার মধ্যে একজন ছাদে বসিয়াছিলেন।

    গাড়ি ম্যাগাজিন রোড দিয়া চানকের বড় রাস্তায় (ট্রাঙ্ক রোড) গিয়া পড়িল। যাইতে যাইতে ঠাকুর ছোকরা ভক্তদের সঙ্গে অনেক ফষ্টিনাষ্টি (Kathamrita) করিতে লাগিলেন।

     আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডে শেষ হল সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব, সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির আর্জি সিবিআই-এর

    RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডে শেষ হল সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব, সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির আর্জি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্ন আদালতে এতদিন ধরে চলছিল আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালের তরুণী শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। সেই সাক্ষ্যদান পর্ব শেষ হেতেই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই। এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির (Maximum Punishment) দাবি করা হয়েছে।

    ২ মাস ধরে মোট ৫০ জনের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে (RG Kar Case)

    আইনজীবীর মতে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে ফাঁসি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করে খুনের (RG Kar Case) সাপেক্ষে যে সব তথ্য, প্রমাণ এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ যা রয়েছে তাতে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত বলেই আদালতে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এদিন সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ, জৈবিক নমুনার ফলাফল এবং সাক্ষীদের বয়ান পেশ করা হয়। গত ২ মাস ধরে মোট ৫০ জনের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাই শুক্রবারই শেষ হয়েছে এই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। তারপরই শিয়ালদা আদলাতে বিশেষ সিবিআই বিচারকের কাছে এই বিশেষ শাস্তির (Maximum Punishment) আবেদন জানায় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী সপ্তাহে সাজা ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে ৪ তারিখে সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীদের ক্লোজিং দিতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ছাব্বিশে হবে হিন্দু সরকার’’, নন্দীগ্রামে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    রাজ্যে ধর্ষণ থেমে নেই

    উল্লেখ্য গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। লাগাতার একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন, সামজিক সংগঠন রাজপথ দখল করে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় নির্ভয়া আইন তৈরি করেছিলেন তারপরও রাজ্যে ধর্ষণ থেমে নেই! কালিয়াগঞ্জ থেকে জয়নগর, কুলতলি থেকে মুর্শিদাবাদ সর্বত্র রাজ্যের নারীরা অসুরক্ষিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাবালিকাকে জোর করে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীকে ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির শাস্তি (Maximum Punishment) দিয়েছেন বারুইপুর আদলাতের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। অপর দিকে মুর্শিদাবাদের আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় দোষীকে যাবজ্জীবন কারবাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আরজি কর-কাণ্ডে দোষীর বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবি প্রথম থেকেই প্রতিবাদীরা করে আসছেন। শাস্তি ঘোষণা এখন কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Breast Cancer Treatment: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পথের সন্ধান দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর, কেমন সেই পদ্ধতি?

    Breast Cancer Treatment: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পথের সন্ধান দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর, কেমন সেই পদ্ধতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer Treatment) চিকিৎসায় ‘সুপ্রামলিকিউলার হাইড্রোজেল থেরাপি’ নিয়ে নতুন রকম গবেষণার পথে আইআইটি গুয়াহাটি ও কলকাতার বোস ইনস্টিটিউট। এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে লন্ডনের ‘রয়াল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রি’-র বিজ্ঞান পত্রিকা ‘মেটেরিয়াল্স হরাইজনস’-এ। গবেষণাটি দু’টি ভাগে হচ্ছে। ‘হাইড্রোজেল’ তৈরি করা এবং সেটির কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণায় রয়েছেন আইআইটি গুয়াহাটির রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক দেবপ্রতিম দাস ও তাঁরই দুই ছাত্রী তনুশ্রী দাস ও ঋত্বিকা কুশওয়াহা। অন্যদিকে, ‘হাইড্রোজেল’ পদ্ধতিটির বাস্তব প্রয়োগ করে কী ফল পাওয়া যাচ্ছে, সে নিয়ে পরীক্ষা করছেন কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের গবেষক কুলদীপ জানা ও তাঁর ছাত্র সত্যজিৎ হালদার এবং অনুপকুমার মিশ্র।

    নয়া গবেষণায় সাফল্য

    স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer Treatment) দুই রকম চিকিৎসা পদ্ধতি আছে— অস্ত্রোপচার ও কেমোথেরাপি। অস্ত্রোপচার করলেই যে ক্যান্সার কোষ নির্মূল হবে, তা নয়। এর পরেও কেমোথেরাপি বা রেডিয়োথেরাপি দিতে হয়, যা যথেষ্টই যন্ত্রণাদায়ক ও খরচসাপেক্ষও। বস্তুত শরীরে বিষ প্রয়োগ করেই বিষক্ষয়ের চেষ্টা হয়। এতে যেমন শরীরের উপর অত্যাচার হয়, তেমনই মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েন রোগী। কাজেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেবল শরীরে নয়, মনেও হয়। নয়া গবেষণা প্রসঙ্গে আইআইটি গুয়াহাটির অধ্যাপক দেবপ্রতিম দাস বলেন, “ক্যান্সারের চিকিৎসায় সুপ্রামলিউকিউলার জেল নিয়ে গবেষণা করে আমরা যা ফল পেয়েছি, তা আগে কখনও হয়নি বলেই আমার ধারণা। পলিমার জেল নানা রকম গবেষণার কাজেই ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু ক্যান্সার সংক্রান্ত গবেষণায় এর প্রয়োগ করে আশানুরূপ ফল পাওয়া গিয়েছে।”

    ‘হাইড্রোজেল’-এর বিশেষত্ব

    আর পাঁচটি জেলের মতো নয়। এক ধরনের ত্রিমাত্রিক পলিমার, যা ছোট ছোট পেপটাইড দিয়ে তৈরি। প্রোটিনের ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ হল পেপটাইড। সেই পেপটাইড দিয়েই তৈরি হয়েছে হাইড্রোজেল। এর মধ্যে জলীয় ভাবই বেশি। সহজ করে বললে থকথকে জেলির মতো। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। বোস ইনস্টিটিউটের গবেষক কুলদীপ জানা বলেন, “হাইড্রোজেল খুব নরম বস্তু, তরলও নয় আবার শক্তও নয়। এর ভিতরে পলিমারের নেটওয়ার্ক আছে। জেলের ভিতর ওষুধ ভরে দিলে ওই নেটওয়ার্কের জালিতে গিয়ে ওষুধটি সেঁটে যাবে। শক্ত করে আটকে বসবে, বাইরে বেরোবে না। এ বার জেলিটা শরীরে ইনজেক্ট করলে সেটি ওষুধটিকে নিয়ে সোজা চলে যাবে ক্যান্সার কোষের কাছে। সেখানে গিয়ে ফেটে যাবে এবং ওষুধটি ছিটকে বার করে একেবারে টিউমারের উপর ফেলবে।”

    কীভাবে ধ্বংস হবে ক্যান্সার কোষ

    গবেষণাগারে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে সুপ্রামলিকিউলার হাইড্রোজেল। এটি যত ক্ষণ বাইরে রাখা হবে, তত ক্ষণ জেলির মতো জমে থাকবে। সিরিঞ্জে ভরার পরেই সেটি তরল হবে এবং সহজে ইনজেক্ট করা যাবে। আবার সুচের ডগা দিয়ে বেরোনো মাত্রই ফের জমে গিয়ে জেলি হয়ে যাবে। এই জেলি এমন এক আধার, যা তার পেটের ভিতর ওষুধ পুরে নিয়ে দৌড়বে ক্যান্সার কোষের দিকে। সরাসরি আঘাত করে ধ্বংস করবে টিউমার কোষকে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সার কোষ একটি সঙ্কেত ছাড়ে, যেটি বুঝতে পারবে হাইড্রোজেল। সেই সঙ্কেতটির নাম হল ‘গ্লুটাথায়োন’। এক রকম ট্রাইপেপটাইড, যা শরীরেই তৈরি হয়। ক্যান্সার কোষে এর মাত্রা খুব বেড়ে যায়। হাইড্রোজেল দেখবে যে কোষে গ্লুটাথায়োনের মাত্রা অস্বাভাবিক রকম বেশি, সেখানে গিয়েই সেটি ফেটে যাবে আর ওষুধও বেরিয়ে আসবে ভিতর থেকে।

    ইঁদুরের উপর পরীক্ষা

    হাইড্রোজেলটি কী ভাবে কাজ করছে, সে গবেষণা করছেন কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের গবেষক কুলদীপ জানা। তিনি বললেন, “ইঁদুরের উপর পরীক্ষা হয়েছে। ওষুধটির একটিমাত্র ডোজ ইনজেক্ট করে দেখা গিয়েছে, ১৮ দিনের মাথায় টিউমার কোষের ৭৫ শতাংশ নির্মূল হয়েছে। ইনভিট্রো সেল কালচার মডেলে পরীক্ষাটি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখেছি আমরা। এর পরে মানুষের উপর পরীক্ষাও হবে।”

    আরও পড়ুন: ঝঞ্ঝায় দক্ষিণে বাড়তে পারে পারদ, বৃষ্টি-বরফের সম্ভাবনা উত্তরে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    মানুষের উপর প্রয়োগ

    হাইড্রোজেল থেরাপি নিয়ে গবেষণা ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়। এখনও গবেষণাটি চলছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, আরও অনেকগুলি স্তরেই গবেষণা হবে। হাইড্রোজেলের ‘পেটেন্ট’ পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার কাছে তা পাঠানোও হয়েছে। আইআইটি গুয়াহাটি ও বোস ইনস্টিটিউটের অনুমতিসাপেক্ষে বাণিজ্যিক ভাবে তাঁরা এই নিয়ে কাজও করতে পারেন। এর পরের ধাপ হল মানুষের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা। তার জন্য নানা জায়গায় আবেদন করতে হয়। সে কাজ চলছে। যদিও তা সময়সাপেক্ষ, তবুও আশাবাদী গবেষকেরা। আগামী দিনে ক্যান্সারের ওষুধটি সাধারণের নাগালে এলে, তা কম খরচে বহু জনের প্রাণ বাঁচাতে পারে বলে বিশ্বাস গবেষকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share