Blog

  • Pravasi Bharatiya Divas: ৮-১০ জানুয়ারি ওড়িশায় আয়োজিত হতে চলেছে ‘প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন’

    Pravasi Bharatiya Divas: ৮-১০ জানুয়ারি ওড়িশায় আয়োজিত হতে চলেছে ‘প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন সাড়ম্বরে পালিত হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ওড়িশার (Odisha) ভুবনেশ্বরে এই অনুষ্ঠান হবে। ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা এবং প্রবাসী ভারতীয়রা সমস্ত দেশ থেকে হাজির হবেন এই সম্মেলনে (Pravasi Bharatiya Divas)। প্রবাসী ভারতীয়দের এই সম্মেলনের আয়োজনে ওড়িশা সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মোদি সরকার পূর্বোদয় নীতি গ্রহণ করেছে এবং সেখানে অন্যতম রাজ্য হল ওড়িশা। প্রবাসী ভারতীয় দিবস ওড়িশায় আয়োজনের মাধ্যমে মোদি সরকার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে সেরাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন।

    কেন ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস (Pravasi Bharatiya Divas)

    প্রতিবছর ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালন করা হয়। ঐতিহাসিকভাবে ১৯১৫ সালের ৯ জানুয়ারি, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সেই ঘটনার স্মৃতিতেই প্রতিবছর ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালিত হয়। চলতি বছরে এটা আয়োজিত হতে চলেছে ওড়িশায় এবং প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে উঠে আসবে সেরাজ্যের উন্নয়নের নানা বিষয়। বিদেশ থেকে আগত প্রবাসী ভারতীয়রা দেখবেন ওড়িশা সরকারের উন্নয়নমূলক নানা কর্মসূচি (Pravasi Bharatiya Divas)। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের যে অর্থনৈতিক উন্নতি এবং পূর্বাঞ্চলের প্রতি সরকারের যে নীতি সেটাও পর্যবেক্ষণ করবেন প্রবাসী ভারতীয়রা।

    খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ ওড়িশা (Pravasi Bharatiya Divas)

    ওড়িশার ভুবনেশ্বরকে (Pravasi Bharatiya Divas) বলা হয় মন্দিরের শহর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং শিল্প – এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে কীভাবে এগিয়ে চলেছে ওড়িশা, সেটাই প্রচার করা হবে প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে। ওড়িশা খনিজ সম্পদেও পরিপূর্ণ। কয়লা থেকে লোহা, বক্সাইট প্রভৃতি মাটির নিচে প্রচুর পরিমাণে মজুদ রয়েছে এখানে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারা দেশের ২৫ শতাংশ লোহাই রয়েছে ওড়িশাতে। সারাদেশে যত পরিমাণে স্টিল উৎপাদন হয়, তার দশ শতাংশই আসে ওড়িশা থেকে। লোহার পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে ওড়িশা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maulana Masood Azhar: হৃদরোগে আক্রান্ত জঙ্গি মাসুদ আজহার, ভর্তি হাসপাতালে

    Maulana Masood Azhar: হৃদরোগে আক্রান্ত জঙ্গি মাসুদ আজহার, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহার (Maulana Masood Azhar) হৃদরোগে আক্রান্ত। বর্তমানে এই জঙ্গি নেতা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন মাসুদ আজহার (Maulana Masood Azhar)। আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে সূত্রের খবর। এরপরে তাঁকে তড়িঘড়ি পাকিস্তানের হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    করাচির কম্বাইনড মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে লুকিয়ে থাকার সময়েই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সেখানে থেকেই সড়কপথে তাঁকে দ্রুত পাকিস্তানে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাঁকে করাচির কম্বাইনড মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইসলামাবাদ থেকে কার্ডিওলজিস্টরা গিয়েছেন মাসুদকে দেখতে। সূত্রের খবর, মাসুদকে (Maulana Masood Azhar) রাওয়ালপিন্ডির সবথেকে বড় সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

    ২০১৯ সালে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে দেশের সংসদে ভয়াবহ জঙ্গি (Jaish E Mohammed) হামলা হয়। এই হামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন মাসুদ (Maulana Masood Azhar)। বছর পাঁচেক আগে ২০১৯ সালে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বের বহু দেশে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ভারতেও একাধিক মামলায় মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে এই জয়েশ প্রধান। প্রসঙ্গত মাসুদ আজহারের জন্ম পাকিস্তানে, ১৯৬৮ সালে। শুধু সংসদ হামলা নয়, ভারতে অন্যান্য জঙ্গি হামলার সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িত রয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাশাপাশি ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ব্রিটেনে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন মাসুদ আজহার। ২০১৬ সালে পাঠানকোট হামলা, পরবর্তীকালে ২০১৯ সালে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলাতেও মাসুদ আজহারের নাম উঠে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Boxing Day Test: কোহলি-কনস্টাস বিতর্ক, মেলবোর্নে প্রথম দিনে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

    Boxing Day Test: কোহলি-কনস্টাস বিতর্ক, মেলবোর্নে প্রথম দিনে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বক্সিং ডে টেস্টে লাল বলের ক্রিকেট দেখতে ঐতিহাসিক মেলবোর্নে ভিড় জমাল ৯০ হাজার দর্শক। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টানটান লড়াইয়ে অন্য মাত্রা দিল কোহলি-কনস্টাসের ‘ধাক্কা’ বিতর্ক। তবে বর্ডার গাওস্কর সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনে আগ্রাসী ব্যাটিং করে অ্য়াডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনের শেষে অজিদের স্কোর ৩১১ রানে ৬ উইকেট। দিনের শেষে ক্রিজে আছেন স্টিভ স্মিথ (৬৮) ও প্যাট কামিন্স (৮)।

    আগ্রাসী ব্যাটিং অস্ট্রেলিয়ার

    মেলবোর্নে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। পিচে ঘাস থাকায় অস্ট্রেলিয়া তার ফায়দা নিতে চেয়েছিল। সেই লক্ষ্যে সফলও হয় তাঁরা। ওপেনিং জুটিতে দুরন্ত শুরু করেন উসমান খোয়াজা ও অভিষেককারী স্যাম কনস্টাস। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করেন কনস্টাস। জসপ্রীত বুমরাকে এক ওভারে ৩টি স্কুপ মেরে নজরও কাড়েন। অভিষেক টেস্টে অর্ধশতরান করেন কনস্টাস। এরপর দলের হয়ে ভালো ব্যাট করেন উসমান খোয়াজা ও মার্নাস লাবুশেন। প্রথম উইকেটে ৮৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় উইকেটে ওঠে ৬৫ রান। এই সময় যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ভারত (India)। সেই সময়েই ভারতকে অক্সিজেন দেন জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। তিনিই ৫৭ রানে আউট করেন খোয়াজাকে। এরপর লাবুশেনকে আউট করে ওয়াশিংটন সুন্দর। ৭২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর ভারতকে স্বস্তি দিয়ে বিপজ্জনক ট্রাভিস হেডকে ফেরান বুমরা। ৭ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন তিনি। আকাশদীপের বলে ৩১ রানে আউট হন অ্যালেক্স ক্যারি। পরপর বেশকিছু উইকেট পড়ে যাওয়ায় ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। আগামীকাল বড় রান করতে স্মিথের ব্যাটের উপর ভরসা করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষে ভারতীয় দলের সফল বোলার বুমরা। তিনি ৩ টি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছে রবীন্দ্র জাদেজা, আকাশ দীপ ও ওয়াশিংটন সুন্দর।


    কোহলি-কনস্টাস ধাক্কা বিতর্ক

    ম্যাচের দশম ওভার শেষে দিক পরিবর্তনের সময় স্যাম কনস্টাস ও বিরাট কোহলির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ধাক্কা লাগার পরই কনস্টাস গিয়ে কোহলিকে কিছু উত্তপ্ত কথা বলেন। পাল্টা দিতে দেরি করেননি বিরাট কোহলি। সেই সয়ম অস্ট্রেলিয়ার অপর ওপেনার উসমান খোয়াজা ও আম্পায়ার এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করে। তবে কোহলি-কনস্টাসের মধ্যে বেশ কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এই ঘটনার জন্য দিনের খেলা শেষ হতে না হতেই শাস্তিও পান ভারতীয় তারকা। কোহলির ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত বেতনের ২০ শতাংশ কাটা যায়, পাশাপাশি তাঁকে এক ডিমেরিট পয়েন্টও দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি, এমনটাই একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Syria Conflict: সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর প্রত্যাঘাত! নিহত অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ নিরাপত্তা আধিকারিক

    Syria Conflict: সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর প্রত্যাঘাত! নিহত অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ নিরাপত্তা আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতা হারানোর আড়াই সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যাঘাত। সিরিয়ায় (Syria Conflict) আসাদ বাহিনীর অতর্কিত হামলায় মৃত্যু হল ১৪ জন নিরাপত্তা আধিকারিকের। জখম আরও ১০ জন। সে দেশের বিদ্রোহী জোট সরকারের তরফে আজ, বৃহস্পতিবার একথা জানানো হয়েছে। সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সেনারা ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর টার্তুসের কাছে ওই প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

    সিরিয়ায় ফের সংঘাত

    সূত্রের খবর, তৎকালীন আসাদ সরকারের (Syria Conflict) এক আধিকারিককে গ্রেফতারের জন্যই ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর টার্তুস এলাকায় অভিযান চালায় জোট সরকার। সেই সময় তাঁদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সেদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগামীরা। দু’পক্ষের মধ্যে আচমকাই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আসাদ বাহিনীর তিনজনের। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী বিদ্রোহী জোট সরকারের ১৪ জন নিরাপত্তারক্ষীরও মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরই সিরিয়ার একাধিক স্থানে কার্ফু জারি করা হয়েছে। সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, দামাস্কাসের কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে বন্দি নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত আসাদ সরকারের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে টার্তুসে অভিযান চালানো হয়েছিল। তখনই দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    এখনও সক্রিয় আসাদ অনুগতেরা

    গত ৮ ডিসেম্বর আসাদ সরকারকে উৎখাত করে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস (Syria Conflict) দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট প্রাণ বাঁচাতে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় চলে যান। তবে এখনও পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী এলাকার কিছু অংশ প্রাক্তন সরকারের অনুগত সেনা ও মিলিশিয়া বাহিনীর দখলে রয়েছে। তারাই এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০০০ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেন আসাদ আল বাশার। বাবা হাফেজ আল আসাদের পর উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা পান তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    Indian Railway: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ আঞ্জি খাদ (Anji Khad Bridge) সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন করল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। প্রথম ট্রায়াল রানের ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘জম্মু কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন ডানার সংযোগ করা হল। ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল ভারতের প্রথম কেবল ব্রিজে।’’ প্রসঙ্গত, আঞ্জি খাদ সেতুর দৈর্ঘ্য হল ৪৭৩.২৫ মিটার। এই সেতুটি নদী থেকে ৩৩১ মিটার উচ্চে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেল সেতু হল আঞ্জি খাদ।

    ছুটতে পারে বন্দে ভারত (Indian Railway)

    প্রসঙ্গত, উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি হল এই আঞ্জি খাদ রেল সেতু। মনে করা হচ্ছে, এই রুটে বন্দে ভারত পর্যন্ত ছুটতে পারে। এনিয়ে আগেই আভাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যদি এমনটা হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন ব্রিজের ওপর দিয়ে বন্দে ভারতে করে শ্রীনগর পৌঁছে যাওয়া যাবে।

    মাত্র ১১ মাসে দেশের প্রথম কেবল রেল সেতু তৈরি হয়

    জানা গিয়েছে, একটি মাত্র স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই আঞ্জি খাদ সেতু। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এই সেতুটি রয়েছে। এর উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে ট্রেন (Indian Railway)। উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অধীনে এই রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেল প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসেই একটি ট্যুইট বার্তায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, আঞ্জি খাদ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে, মাত্র ১১ মাসে দেশের প্রথম কেবল রেল সেতু তৈরি হয়। এই সেতুর ৯৬টি কেবলের সবকটি জোড়া হেয়েছে। এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ক্রিসমাস ইভে পুড়ল ঘর, গৃহহীন অন্তত ১৭ খ্রিস্টান পরিবার, কাঠগড়ায় মুসলিমরা

    Bangladesh Crisis: ক্রিসমাস ইভে পুড়ল ঘর, গৃহহীন অন্তত ১৭ খ্রিস্টান পরিবার, কাঠগড়ায় মুসলিমরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা গিয়েছিলেন ক্রিসমাসের প্রার্থনায় যোগ দিতে। সেই সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তত ১৭টি বাড়িতে (Christian Homes) আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের বান্দরবান এলাকার ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় মুসলমানরা। অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ওই খ্রিস্টান পরিবারগুলি।

    ইউনূসের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন

    গৃহহীনদের দাবি, অগ্নিকান্ডের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লাখ বাংলাদেশি টাকারও বেশি। বড়দিনের সকালে দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেই সময় তিনি দিয়েছিলেন শান্তির বার্তা। তার ঠিক আগের দিন রাতের ঘটনায় ইউনূসের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একাংশ। জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তারা বান্দরবানের লামা সারাই অঞ্চলের একটি এলাকায়, যা এসপি গার্ডেন নামে পরিচিত, বসবাস করছিল। আগে এই জমিটি টংঝিরি পাড়া নামে পরিচিত ছিল, যা হাসিনা সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্তা বেনজির আহমেদ দখল করেছিলেন। আহমেদের পরিবার এই জমির নাম পরিবর্তন করে রাখে এসপি গার্ডেন।

    ক্রিসমাস ইভে বাড়িতে আগুন

    ৫ আগস্টের পর বেনজির আহমেদ এবং তার পরিবার ওই এলাকা ছেড়ে চলে গেলে, ত্রিপুরা পরিবারগুলো বসতিতে ফিরে আসে। অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে ক্রিসমাস ইভে, যখন ওই পরিবারগুলির সদস্যরা চার্চে গিয়েছিলেন প্রার্থনা করতে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের দাবি জমিটি তাদের ন্যায্য অধিকারভুক্ত। তাদের অভিযোগ, এই জমিতে তাঁদের বসতি ছিল, যা আহমেদের লোকজন দখল করেছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন গঙ্গামণি ত্রিপুরা (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: বাজয়েপীর জন্মবার্ষিকীতে গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    তিনি জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। তিনি বলেন, “কয়েকজন লোক আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল। আমরা বারবার এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি পেয়েছি, কিন্তু যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। আমাদের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, আমরা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের যা কিছু ছিল, সব হারিয়েছি।” লামা থানায় স্টিফেন ত্রিপুরা-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও, কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা চরমে উঠেছে। হিন্দুদের পাশাপাশি অত্যাচার চালানো হচ্ছে খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের ওপরও (Christian Homes)। তার পরেও ইউনূস প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • INDI: ইন্ডি জোটে বড়সড় ফাটল! কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলতে চায় আম আদমি পার্টি

    INDI: ইন্ডি জোটে বড়সড় ফাটল! কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলতে চায় আম আদমি পার্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটে (INDI) বড়সড় ফাটল! প্রশ্নের মুখে কংগ্রেসের নেতৃত্ব। আম আদমি পার্টি (AAP) কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে ইন্ডি জোট থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানাল। এই ঘটনা বিরোধী জোটের অনৈক্যকে ফের একবার সামনে আনল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সামনেই রয়েছে দিল্লির নির্বাচন, সেই আবহে এমন অনৈক্য বিজেপিকে মাইলেজ দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জানা গিয়েছে, এই ইস্যুতে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

    আম আদমি পার্টিকে তোপ কংগ্রেসের  (INDI)

    জানা যাচ্ছে, ইন্ডি জোটের (INDI) সবচেয়ে বড় শরিক কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলতে চায় দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি। এ নিয়ে জোটের অন্যান্য আঞ্চলিক শরিক, যেমন সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে আপ, এমনটাই দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই দিল্লির কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, কেজরিওয়ালকে যতবার ‘মউকা’ দেওয়া হয়েছে, ততবারই তিনি ‘ধোঁকা’ দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে মাকেন দাবি করেন, ‘‘২০১৩ সালে কেজরিওয়ালকে সমর্থন করা কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। সেটাই দিল্লিতে কংগ্রেসের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ।’’ শুধু তাই নয়, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে খোদ শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে প্রার্থী করা হয়েছে।

    ইন্ডি জোটে  (INDI) কংগ্রেসের চাপ বাড়ল

    এভাবে ইন্ডি জোটের বড় শরিক কংগ্রেস সরাসরি কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করছে, সেটা মেনে নিতে নারাজ আপ। জানা গিয়েছে, ক্ষুব্ধ আপ এবার ইন্ডি জোট থেকে পুরোপুরি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে একটি জোট গঠন করতে উদ্যোগী হয়েছে। যা নিয়ে অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসও ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচন ঘিরে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব বেড়েছে। মহারাষ্ট্রেও একই অবস্থা। মহাবিকাশ আগাড়ির মধ্যে সুসম্পর্ক আগের মতো নেই। আম আদমি পার্টির বিদ্রোহে ইন্ডি জোটে কংগ্রেসের চাপ আরও খানিকটা বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার যে আগুন (Bangladesh Secretariat Fire) লেগেছিল, তা কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ না কি অন্তর্ঘাত, তা খুব তাড়াতাড়িই জানা যাবে। এমনই জানাল সে দেশের মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

    ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Bangladesh Secretariat Fire)

    বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছ’ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। জানা গিয়েছে, আগুনের বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে রাত ১টা ৫২ মিনিটে জানানো হয়। ১টা ৫৪ মিনিটেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে পঞ্চম তলায় প্রথমে আগুন দেখা যায়।

    আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত

    পরে ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওপরতলায়। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই দমকলের প্রায় আটটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে আরও ১১টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন সোহানুজ্জামান নয়ন নামে এক দমকলকর্মী। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর। যে বিল্ডিংটিতে আগুন লাগে, সেখানেই রয়েছে অর্থমন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রকের অফিস, যুব ও ক্রীড়া, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়, শ্রম ও কর্মসংস্থানের অফিস। দমকল সূত্রে খবর, সচিবালয়ের ওই ভবনে আগুন লাগায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা। সেখানে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    স্থানীয় সরকার (Bangladesh Secretariat Fire), পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভুঁইয়ার অভিযোগ, ঘটনাটি নাশকতার। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি আরও লিখেছেন, “স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থ লোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমা্ণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে (Md Yunus), তা এখনও জানা যায়নি (Bangladesh Secretariat Fire)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela: নিউ ইয়ারের উপহারেও মহাকুম্ভের স্পর্শ! ব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ ২০২৫-এর এই মেলা

    Mahakumbh Mela: নিউ ইয়ারের উপহারেও মহাকুম্ভের স্পর্শ! ব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ ২০২৫-এর এই মেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh Mela)। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ত্রিবেণী তীরে শুধুই আধ্যাত্মিক জাগরণের সন্ধানে আসে এমনটা নয়। আধ্যাত্মিক চেতনা বৃদ্ধি, পুণ্য স্নান ছাড়াও মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) এক সাংস্কৃতিক তীর্থ ও বাণিজ্য ক্ষেত্র। ত্রিবেণী তীরের কোলাহল আধ্যাত্মিক জাগরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উত্থানও নিয়ে আসে। বর্তমান বাজারে যে কোনও জায়গার লোগো সম্বলিত পণ্যের এক বিশেষ জনপ্রিয়তা থাকে। পুরীর জগন্নাথ ধামে ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার টি-শার্ট, চাদর, ওড়না কেনার হিড়িক বরাবর চোখে পড়ে। আসন্ন মহাকুম্ভের বাজারেও দেখা যাচ্ছে মহাকুম্ভের লোগো এবং প্রতীক সম্বলিত পণ্যের চাহিদা রয়েছে।

    উপহারে মহাকুম্ভের স্পর্শ

    উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে, রাজ্য সরকার মহাকুম্ভ ২০২৫-কে (Mahakumbh 2025) সফল করতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না। রাজ্য সরকারের ব্র্যান্ডিং এবং প্রচারমূলক প্রচেষ্টার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ট্রেডারদের মধ্যে উৎসাহের ঝড় বইছে। সামনেই ইংরেজি নববর্ষ, এবার, নিউ ইয়ার-এর উপহারেও রয়েছে মহাকুম্ভের ছোঁয়া। প্রয়াগরাজে ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের উপহার বিনিময়ে এই বিষয়টি চোখে পড়েছে। বেশ কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী মহাকুম্ভ-থিমযুক্ত পণ্য নিয়ে এসেছেন। যা দ্রুত স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    নয়া পণ্যের সম্ভার

    প্রয়াগরাজের শূন্য রোড এলাকার ভাগবতী পেপার্স ট্রেডিং-এর মালিক অর্জুন কুমার আগরওয়াল একজন এমন উদ্যোক্তা যিনি এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন। আগরওয়াল মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela) লোগোযুক্ত ১৪টি স্টেশনারি পণ্য বাজারে এনেছেন। এর মধ্যে ডায়েরি, ফাইল বক্স, ক্যালেন্ডার, কলম, কলমের স্ট্যান্ড, এবং কি-রিং রয়েছে। তাঁর এই জিনিসের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে নয়, বরং বাইরের শহর থেকেও অর্ডার আসছে। আগরওয়াল বলেন, “মহাকুম্ভ-থিমযুক্ত স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা আমাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই মহাযজ্ঞকে ঘিরে মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনা রয়েছে।”

    পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ

    মহাকুম্ভ ২০২৫ (Mahakumbh Mela) কেবল আধ্যাত্মিক একটি ঘটনা নয়, বরং একটি পরিবেশবান্ধব উদ্যোগও। রাজ্য সরকার মহাকুম্ভের সময় প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের কারণে, জুট এবং কটন ব্যাগের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শিবা ইন্টারন্যাশনালের মালিক গোপাল পাণ্ডে, যিনি জুট এবং কটন ব্যাগের ব্যবসা করেন, জানান যে তিনি ইতোমধ্যেই ২৫,০০০টি ব্যাগের অর্ডার পেয়েছেন, এবং চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। পাণ্ডে বলেন, “রাজ্য সরকারের প্লাস্টিকমুক্ত মহাকুম্ভ উদ্যোগই এই বৃদ্ধির মূল কারণ। মহাকুম্ভের লোগো সহ আমাদের জুট এবং কটন ব্যাগগুলি উৎসবের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।” 

    পণ্যের চাহিদা আরও বাড়বে

    উত্তর প্রদেশের কনফেডারেশন অফ অল ট্রেডার্স-এর সভাপতি মহেন্দ্র গোয়াল মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela) বাণিজ্যিক সাফল্যকে আয়োধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় বাণিজ্যিক বৃদ্ধির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব এবং কৌশলগত ব্র্যান্ডিংয়ের মিশ্রণ ব্যবসায়িক উন্নতি নিয়ে এসেছে। মহাকুম্ভ শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক নয়, অর্থনৈতিক দিক দিয়েও একটি মাইলফলক।” অর্থনীতির এই উত্থানকে ব্যবহার করতে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মহাকুম্ভ ২০২৫-এর সময় এই ধরনের পণ্যের চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সাংস্কৃতিক অনুভূতি এবং কৌশলগত বিপণনের এই মিশ্রণ মহাকুম্ভ ২০২৫-কে একটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উৎসে পরিণত করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মহাকুম্ভের মহিমা এবং ঐশ্বরিক অনুভূতি ধারণ করা পণ্য সরবরাহ করছেন, স্টেশনারি থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ পর্যন্ত, সবকিছু।

    আরও পড়ুন: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    গুগলের উদ্যোগ

    মেলায় (Mahakumbh Mela) আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে প্রয়াগরাজ মেলা কর্তৃপক্ষর অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের ডিজিটাল নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে গুগল। প্রয়াগরাজ মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তিতেও আবদ্ধ হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল জায়ান্ট। আগামী বছর প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ কোটি মানুষ কুম্ভ মেলায় আসতে পারেন বলে মনে করছে মেলা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে এতদিন নির্দিষ্ট গন্তব্য খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার মধ্যে পড়তে হত পুণ্যার্থীদের। অনেকে হারিয়েও যান। এবার এ সব সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, এতদিন শুধুমাত্র স্থায়ী জায়গাগুলির নাম গুগল তার ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করে রাখত। সেদিক থেকে কুম্ভ মেলা বছরে মাত্র কয়েকটি দিনের জন্য হয়। তাই গুগলের পরিভাষায়, এটি অস্থায়ীভাবে গড়়ে ওঠা বসতি। অর্থাৎ গুগলের নীতি অনুযায়ী এই ধরনের কোনও স্থানের পুঙ্খানপুঙ্খ তথ্য ম্যাপে থাকার কথা নয়। তবে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলার ভিড়ের কথা মাথায় রেখে মেলার প্রতিটি মঠ, প্রতিটি স্থানের পুঙ্খানপুঙ্খ তথ্য গুগল ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে, সহজেই কুম্ভমেলায় নিজের পছন্দের জায়গায় পৌঁছে যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে সেজেছে শহর থেকে জেলা! বছর শেষের উদযাপনে মেতেছেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ! কিন্তু তার মধ্যেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নানান রোগ। সর্দি-কাশি কিংবা নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বরের পাশপাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিসের (Conjunctivitis) মতো সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ এক সপ্তাহে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কনজাংটিভাইটিস কী? শীতে কেন এই রোগ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কনজাংটিভাইটিস হল এক ধরনের চোখের সংক্রমণ (Eye infections)। এর ফলে চোখ ফুলে যায়। লাল হয়ে যায়। আবার চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ে। অনেক সময় দেখতেও কষ্ট‌ হয়। চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার অন্যতম কারণ, এই আবহাওয়ায় বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে, চোখের সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তাছাড়া এই আবহাওয়ায় বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। তার ফলেও সংক্রমণের ঝুঁকি এই সময়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এখন জেনে নিন, কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবেন?

    নিয়মিত রোদচশমার ব্যবহার জরুরি (Conjunctivitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোদচশমার ব্যবহার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে গেলেই রোদচশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। এমন সানগ্লাস পরতে হবে, যাতে চোখ ভালোভাবে ঢেকে থাকে। ধূলো না লাগে। হাওয়া লাগার ঝুঁকিও কম হয়। তবেই চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

    বাইরে থেকে ফিরেই চোখ ধুয়ে ফেলুন

    চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চোখ নিয়মিত পরিশ্রুত জলে পরিষ্কার করা দরকার। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার করলে যে কোনও জীবাণু সংক্রমণের (Conjunctivitis) ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরার পরে চোখ পরিষ্কার করা জরুরি।

    চোখে হাত একদম নয় (Conjunctivitis)

    চোখে হাত দিয়ে চুলকানো একদম অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাত থেকে নানান সংক্রমণ ছড়ায়। তাই হাত দিয়ে চোখ চুলকানো একেবারেই উচিত নয়। চোখে অস্বস্তি হলে বারবার জল দিয়ে পরিষ্কার করা দরকার। এছাড়া পরিষ্কার তুলো এবং গরম জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা দরকার। এতে সংক্রমণ হলেও প্রকোপ বেশি হবে না।

    ভিড় এড়িয়ে চলুন

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ভিড় এড়িয়ে চলুন। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সংক্রামক রোগ (Conjunctivitis) ভিড়ে বেশি ছড়ায়। কনজাংটিভাইটিস একটি সংক্রামক রোগ। এই জীবাণু ভিড়ে আরও নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সংক্রমণ বাড়ায়‌। তাই চোখ লাল হয়ে গেলে, বারবার অস্বস্তি হলে কিংবা চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে নিজের ভোগান্তি কমবে। আবার অন্যের সংক্রমণের (Eye infections) ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share