Blog

  • Tripura: দেশের প্রথম জৈব গ্রাম ত্রিপুরার দাসপাড়া, বায়োগ্যাসে রান্না, সৌরচালিত সরঞ্জাম

    Tripura: দেশের প্রথম জৈব গ্রাম ত্রিপুরার দাসপাড়া, বায়োগ্যাসে রান্না, সৌরচালিত সরঞ্জাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার (Tripura) সিপাহিজলা জেলার ৬৪টি পরিবারের একটি ছোট্ট গ্রাম নয়া নজির তৈরি করেছে। এই জনপদ দেখিয়েছে উদ্যোগ নিলে কীভাবে পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে কোনও গ্রাম। ভারতের প্রথম স্বনির্ভর জৈব গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ত্রিপুরার দাসপাড়া (Indias First Bio Village)। পুনর্নবীকরণ শক্তির উৎস, পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির মেলবন্ধনে দাসপাড়া হয়ে উঠতে পেরেছে দেশের প্রথম স্বনির্ভর জৈব গ্রাম।

    বায়ো ভিলেজ- ২.০ কর্মসূচি প্রথম চালু করা হয়েছিল ২০১৮ সালে (Tripura)

    প্রসঙ্গত, বায়ো ভিলেজ- ২.০ কর্মসূচি প্রথম চালু করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ত্রিপুরা সরকারের এমন কর্মসূচি নেওয়ার পিছনে উদ্দেশ্য ছিল জৈব চাষের প্রচার করা। প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল উন্নত প্রজাতির গবাদি পশুর চাষ, সৌর চালিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং শক্তি সংরক্ষণ করতে পারে এমন বৈদ্যুতিক ডিভাইস। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা রাজ্যের (Tripura) ছোট্ট গ্রাম হল দাসপাড়া। এখানকার ৭৫ শতাংশ মানুষই কৃষি ও মৎস্য চাষের ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা বিভিন্ন জৈব পদ্ধতিকে এখানে গ্রহণ করেছেন। ফলে সেখানকার গ্রামবাসীরা দূষণবিহীন একটি পরিবেশ উপভোগ করতে পারছেন। মাটি থেকে জল, হাওয়া সবকিছুই এখানে বিশুদ্ধ।

    বাড়িগুলিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন সৌর চালিত সরঞ্জাম

    কৃষির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে দাসপাড়ার বাড়ি এবং মাঠগুলিও পরিবেশ বান্ধব ও শক্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বাড়িগুলিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন সৌর চালিত সরঞ্জাম। গৃহস্থরা ব্যবহার করেন বায়োগ্যাস সিস্টেম। দাসপাড়ার মানুষজন বায়োগ্যাসকে ব্যবহার করেন তাড়াতাড়ি এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য বানানোর জন্য। এরই মাধ্যমে কার্বনের ব্যবহারও অনেকাংশ কমে গিয়েছে সেখানে এবং একটি বিকল্প রান্না পদ্ধতিরও (Indias First Bio Village) সন্ধান দিতে পেরেছে দাসপাড়া।

    বেড়েছে রোজগার

    জৈব গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া দাসপাড়া (Tripura) অর্থনৈতিকভাবেও উন্নত হয়েছে। পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার, জৈব পদ্ধতিতে চাষ-আবাদের ফলে দাসপাড়ার প্রত্যেকটি বাড়ির রোজগার ৫ থেকে ১৫  হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইসঙ্গে জৈব পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে দাস পাড়ার মানুষজনের খাদ্য নিরাপত্তাও এসেছে। নতুন পদ্ধতিতে, কৃষকদের চাষের দক্ষতাও বেড়েছে। মৌমাছি প্রতিপালন, মাশরুম চাষ ইত্যাদিও করেন দাসপাড়ার মানুষজন।

    ১০০টি জৈব গ্রাম তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার

    জৈবগ্রাম হিসেবে দাসপাড়া নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনেরও। লন্ডনের ক্লাইমেট গ্রুপ নামের একটি এনজিও, দাসপাড়ার পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিগুলিকে বিশ্বের ১০টি সবথেকে বেস্ট প্র্যাকটিসের মধ্যে অন্যতম বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। দাসপাড়ার এমন সাফল্য, ত্রিপুরায় অন্যান্য জৈবগ্রাম গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, ত্রিপুরা সরকার ১০০টির মতো জৈবগ্রাম তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। বর্তমানে সেখানে জৈবগ্রাম রয়েছে দশটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Farmers Day: কৃষকদের পাশে মোদি সরকার, জাতীয় কৃষক দিবসে অন্নদাতাদের প্রতি শ্রদ্ধা

    National Farmers Day: কৃষকদের পাশে মোদি সরকার, জাতীয় কৃষক দিবসে অন্নদাতাদের প্রতি শ্রদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের কৃষকদের (National Farmers Day) শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর ২৩ ডিসেম্বর ভারতে জাতীয় কৃষক দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের জন্মবার্ষিকী, যিনি কৃষক সম্প্রদায়ের অধিকার ও কল্যাণের পক্ষে সবসময় ছিলেন। একটি কৃষিনির্ভর অর্থনীতি হিসেবে ভারত তার কৃষকদের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে।

    কৃষকদের পাশে মোদি সরকার (National Farmers Day)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কৃষির ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ পরিবর্তন ঘটেছে। জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে কৃষকদের (National Farmers Day) গুরুত্ব স্বীকার করে মোদি সরকার প্রগতিশীল নীতিগুলি বাস্তবায়ন করেছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-KISAN) এবং প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা (PMFBY) -র মতো প্রকল্পগুলির প্রবর্তন কৃষকদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা করেছে। কৃষক কল্যাণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিশ্রুতি ভারতের উন্নয়নের মূলে রয়েছে। কৃষিকে দেশের সমৃদ্ধির একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ বলে নিশ্চিত করা হয়।

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    জাতীয় কৃষক দিবসের ইতিহাস

    ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের জীবন ও কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে জাতীয় কৃষক (National Farmers Day) দিবস বা কিষাণ দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর মেয়াদে তিনি কৃষকদের জীবনযাত্রার উন্নতির লক্ষ্যে নীতিগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে ভূমি সংস্কার এবং কৃষিকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ। কৃষক সম্প্রদায়ের কল্যাণে তাঁর উত্সর্গের কারণে, তাঁর জন্মদিন ২৩ ডিসেম্বরকে জাতীয় কৃষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

    জাতীয় কৃষক দিবসের তাৎপর্য

    দেশের ৩২৮.৭ মিলিয়ন হেক্টরের মধ্যে ৫৪.৮ শতাংশ কৃষি জমি। কৃষকরা তাদের অবিরাম প্রচেষ্টার মাধ্যমে জিডিপি এবং কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভরণপোষণ নিশ্চিত করেন। ২০২৩-২৪ সালে ৩৩২.২ মিলিয়ন টন রেকর্ড-ব্রেকিং খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে।খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৃষকদের অপরিহার্য ভূমিকার ওপর জোর দেয়। কৃষি গ্রামীণ উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। কৃষকদের (National Farmers Day) প্রচেষ্টার একটি প্রবল প্রভাব রয়েছে। 

    কৃষকদের উদ্যোগ

    আধুনিক ভারতীয় কৃষকরা (National Farmers Day) শুধু চাষিই নয়, উদ্ভাবকও। ফসলের ঘূর্ণন, জৈব চাষ এবং দক্ষ জল ব্যবস্থাপনার মতো টেকসই কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করে, তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবনতির মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে। তাদের উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিকে একীভূত করার জন্য উন্মুক্ততা, যেমন নির্ভুল চাষ এবং ড্রোন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ, সম্পদ সংরক্ষণের সময় উৎপাদনশীলতা বাড়ায়। এই প্রচেষ্টাগুলি নিশ্চিত করে যে ভারতীয় কৃষি ভবিষ্যতের সঙ্গে আপোস না করেই বর্তমান চাহিদা মেটাতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    অন্নদাতা

    কৃষকদের (National Farmers Day) প্রায়ই ‘অন্নদাতা’ বা খাদ্য সরবরাহকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তারা দেশের খাদ্য সরবরাহ বজায় রাখার জন্য অনিশ্চিত আবহাওয়া, বাজারের ওঠানামা এবং আর্থিক অস্থিতিশীলতার মতো চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে কাজ করে। কিষাণ দিবস ভারতের অর্থনীতি, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে। একইসঙ্গে এই দিনটি ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন, টেকসই চাষাবাদ অনুশীলন এবং আধুনিক প্রযুক্তির অ্যাক্সেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ হিসেবে কাজ করে। কৃষকদের জীবন উন্নত করার জন্য সরকারি স্কিম এবং সংস্কার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

     কৃষক হল সমাজের মেরুদণ্ড

    ভারত কৃষি ভিত্তিক দেশ। এর গ্রামীণ জনসংখ্যার অধিকাংশই কৃষি বা কৃষি-সম্পর্কিত কাজের ওপর নির্ভরশীল। কৃষকরা হলেন সমাজের মেরুদণ্ড। জাতি যাতে পুষ্ট থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন কৃষকরা। কিষাণ দিবস হল দেশের জন্য কৃষকদের অমূল্য অবদানকে আরও ভালোভাবে বোঝার এবং উপলব্ধি করার একটি দিন। এই দিনে, কৃষিতে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে দেশজুড়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই প্রোগ্রামগুলি কৃষকদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করার এবং তাদের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষাগুলি অন্বেষণ করার জন্য কাজ করে। তাই, জাতীয় কৃষক দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় কৃষির নিরন্তর মূল্য এবং এটি সংরক্ষণের সম্মিলিত দায়িত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tania Sachdev: সোনা জিতেও মেলেনি সম্মান! দিল্লি সরকারের ভূমিকায় হতাশ ভারতীয় দাবাড়ু

    Tania Sachdev: সোনা জিতেও মেলেনি সম্মান! দিল্লি সরকারের ভূমিকায় হতাশ ভারতীয় দাবাড়ু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের দরবারে ভারতীয় দাবাড়ুদের এখন আধিপত্য। একের পর এক খেতাব অর্জন করে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করছেন গুকেশ ডোম্মারাজু,প্রজ্ঞানন্দ রমেশবাবু, বৈশালী, তানিয়ারা। কিন্তু দিল্লি সরকার এই সমস্ত ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করছে না বলে এবার অভিযোগ করলেন ভারতের মহিলা দাবাড়ু তানিয়া সচদেব (Tania Sachdev)। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের (Delhi) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।

    তানিয়ার ক্ষোভ

    ভারতীয় দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বাধিক সাফল্য পেয়েছেন তামিলনাড়ুর দাবাড়ুরা। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য থেকে একাধিক দাবাড়ু উঠে এলেও দিল্লি থেকে তেমন ভাবে দাবাড়ুরা উঠে আসছেন না। যার জন্য অবশ্য দিল্লি সরকারকেই দুষছেন তানিয়া সচদেব (Tania Sachdev)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তানিয়া লেখেন, “২০০৮ সাল থেকে ভারতের হয়ে দাবা খেলছি। দাবাতে কৃতিত্বের জন্য দিল্লি সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতির অভাব দেখে আমি হতাশ। যে রাজ্যগুলি তাদের চ্যাম্পিয়নদের সমর্থন করে এবং তাদের জয় উদযাপন করে ওই রাজ্যগুলিই সরাসরি শ্রেষ্ঠত্বকে অনুপ্রাণিত করে এবং প্রতিভাকে তুলে ধরতে সক্ষম। দুঃখের বিষয়, দিল্লি এখনও এই পদক্ষেপ নিতে পারেনি।”

    তিনি আরও লেখেন, “২০২২ সালে চেস অলিম্পিয়াডে আমি ব্যক্তিগত এবং দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম। তারপর ২০২৪ সালের দাবা অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলাম। ওই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সম্মান জানানো হয়নি। দিল্লি এবং ভারতকে গর্বের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করে এমন একজন হিসেবে আমি আশা করি আম আদমি পার্টি, অতিশী ম্যাম এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্যার তাঁদের দাবাড়ুদের গুরুত্ব দেবেন এবং সমর্থন করবেন”। উল্লেখ্য, অতিশী বর্তমানে দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Uttarakhand: ১০ বছরে তিনটে বিয়ে করে ১.২৫ কোটি আয়, ‘লুটেরা স্ত্রী’ গ্রেফতার

    Uttarakhand: ১০ বছরে তিনটে বিয়ে করে ১.২৫ কোটি আয়, ‘লুটেরা স্ত্রী’ গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ পুলিশের জালে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) কুখ্যাত ‘লুটেরা স্ত্রী’ (Robber Wife)। গত ১০ বছরে তিনটে বিয়ে করেছেন তিনি। রোজগার করেছেন ১.২৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ বছর ধরে এই ধরনের জালিয়াতির কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। রীতি মতো যুবকদের টার্গেট করে প্রথমে বিয়ে, এরপর বিচ্ছেদের মামলা করে খোরপোশের নামে টাকা হাতানোই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।

    প্রথম বিয়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিলেন (Uttarakhand)

    উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বাসিন্দা সীমা ওরফে নিক্কি। ২০১৩ সালে প্রথমে তিনি আগ্রার এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন। পরে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৫ লক্ষ টাকা পান। এখান থেকেই শুরু তাঁর যাত্রা। এরপর আরও একাধিক বিয়ে করেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন সীমা। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি চালিয়েছেন এই দুষ্কর্ম। এরপর এবার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তবে তাঁকে অলিখিতভাবে ‘লুটেরা স্ত্রী’ (Robber Wife) নামেও জানা যায়।

    আরও পড়ুনঃ ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ডেমোগ্রাফিক ডেটা তৈরির আহ্বান অমিত শাহের

    দ্বিতীয় বিবাহে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন

    পুলিশ (Uttarakhand) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের পর ২০১৭ সালে গুরুগ্রামের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়রকে বিয়ে করেছিলেন সীমা। একই ভাবে স্বামীর বিরুদ্ধে বিচ্ছেদ মামলায় খোরপোশ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন। সম্প্রতি আবার তিনি জয়পুরের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন। তবে এবার আর কোনও মামলা করেননি। তিনি বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চুরি করেছেন। বিয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহবাদেই সোনার গয়না এবং নগদ মিলিয়ে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। থানায় তাঁর (Robber Wife) বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্তে নামে এবং এরপরই গ্রেফতার হন নিক্কি।

    ছলে বলে কৌশলে ফাঁসিয়ে টাকা হাতাতেন

    পুলিশের (Uttarakhand) জেরায় সীমা জানিয়েছেন, একাধিক বিয়ের অ্যাপে নিজের বিয়ের বিজ্ঞাপন দিতেন সীমা। এরপর নিজের টার্গেট অনুযায়ী পাত্র বাছাই করতেন। ডিভোর্স হয়েছে বা স্ত্রী মারা গিয়েছে, এমন পাত্রদের শিকার করতেন। প্রথমে কথা, পরে ছলেবলে কৌশলে ফাঁসিয়ে টাকা হাতাতেন। বিয়ে করে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে টাকা হাতানোর কাজও করতেন। শেষমেশ এই কাজ করে ১.২৫ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে স্বীকার করেছেন সীমা ওরফে ‘লুটেরা স্ত্রী’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: সম্প্রীতি বজায় রাখুন, বাংলাদেশিদের খোলা চিঠি লিখলেন বিশিষ্ট ভারতীয়রা

    Bangladesh Crisis: সম্প্রীতি বজায় রাখুন, বাংলাদেশিদের খোলা চিঠি লিখলেন বিশিষ্ট ভারতীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়। তাঁরা যে চিঠি লিখেছেন, সে খবর প্রকাশ করে মাধ্যম। আজ, সোমবার সকালে বাংলাদেশের হাইকমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই চিঠি।

    সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন (Bangladesh Crisis)

    চিঠিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের শান্তি ও বন্ধুত্বের পথে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, তাঁদের সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং তাঁদের দেশ ছেড়ে (Bangladesh) চলে যেতে বাধ্য করার জন্য অবিলম্বে জবরদস্তি বন্ধ করার আহ্বানও জানানো হয়েছে। চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ১৩৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা (এর মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন রাষ্ট্রদূত), ৩০০ জন উপাচার্য, ১৯২ জন প্রাক্তন সামরিক অফিসার এবং নাগরিক সমাজের ৩৫ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি।

    চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ

    চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের জনগণ বাংলাদেশের অবনতিশীল পরিস্থিতিকে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার সঙ্গে দেখেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে একটি নৈরাজ্যের পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে দেশ জুড়ে জোরপূর্বক পদত্যাগের একটি প্যাটার্ন অনুসরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ (পুলিশ সহ), শিক্ষা জগৎ এমনকি সংবাদমাধ্যমও। পুলিশ বাহিনী এখনও পূর্ণ শক্তিতে দায়িত্বে ফিরে আসেনি এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি এবং পুলিশের ক্ষমতা দেওয়া সত্ত্বেও, স্বাভাবিকতা এখনও ফিরে আসেনি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ভারতে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ডেমোগ্রাফিক ডেটা তৈরির আহ্বান অমিত শাহের

    বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এর (Bangladesh Crisis) মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের পাশাপাশি রয়েছে শিয়া, আহমদিয়া এবং অন্যান্যরাও। চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এই বলে যে, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি সীমান্তের ওপারে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভারতে গুরুতর আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, আমরা আশা করি যে এটি বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জনগণকে শান্তি, বন্ধুত্ব এবং বোঝাপড়ার পথে এক সঙ্গে চলতে সাহায্য করবে (Bangladesh), যা বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের টিকিয়ে রেখেছে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 12: ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল ঢাকায়, সরব ভারত, প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে

    Bangladesh Crisis 12: ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল ঢাকায়, সরব ভারত, প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ দ্বাদশ তথা শেষ পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 12) রাজনৈতিক দল জামাত-ই-ইসলাম, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করে। এর পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠন ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় সরকারকে, তারা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করে। অন্যদিকে জন অধিকার মঞ্চ নামের একটি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকাতে মিছিলও করে।

    বিক্ষোভ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও (Bangladesh Crisis 12)

    আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চলতে থাকে। ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি জায়গায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 12) বেশ কিছু সংগঠন যেমন ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ, নিজেদের মতো করে আন্দোলন শুরু করে। এই সময় বাংলাদেশের ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লা, যিনি ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কনভেনার, তিনি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের শেষ কৃত্যে অংশগ্রহণ করেন।

    বিক্ষোভ কলকাতায়, নিন্দা ভারতের, প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে 

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই ইস্যুতে নিজেদের বিবৃতি জানায় এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর বেড়ে চলা হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভারতকে। একইসঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তিরও দাবি জানায় ভারত। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিভিন্ন সংগঠন। এই সময়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 12) অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের বিবৃতির কড়া সমালোচনা করে এবং তারা জানায় যে সরাসরি বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে ভারত। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরেই এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর বেড়ে চলা আক্রমণের ঘটনায় নিন্দা জানাতে থাকে বিশ্বের সব দেশই। যে সমস্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুরা ব্রিটেন থাকতেন, তাঁরাও রাস্তায় নামেন। অন্যদিকে ফিনল্যান্ডেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। বাংলাদেশ ইস্যুতে এই সময়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা ব্যক্তিরাও বিবৃতি জারি করেন। একইসঙ্গে ব্রিটেনের সাংসদরাও এই ইস্যুতে সংসদে সরব হন এবং বাংলাদেশে বেড়ে চলা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্রিটেনের সরকারকে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানান তাঁরা।

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় প্রতিবাদ 

    বাংলাদেশ ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপকভাবে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতে একের পর এক পোস্ট আসতে থাকে এবং সেখানে দাবি জানানো হয় যে বিএনপি এবং জামাত ইসলামের ক্যাডাররা সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায়। একাধিক সমাজ মাধ্যমের পাতায় দাবি জানানো হয় যে পিনাকী ভট্টাচার্য, জাহেদুল রহমান আমিনুল মুমিনরা বিদেশি শক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে চাইছে।

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বর্বরোচিত হামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা (Targeting Minority)

    বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠনগুলি হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চলায় এবং পাথর ছোড়ে। ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামে ২৯ নভেম্বর। শুক্রবারে জুম্মার নামাজের পরেই পাথর ছোড়া হয়।

    বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি চট্টগ্রামের হিন্দু বিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করে।

    বাংলাদেশের পাথরঘাটার রাধাগোবিন্দ মন্দিরে হামলা চালানো হয়। 

    হাবিবগঞ্জের ইসলামিক মৌলবাদীরা হামলা চালায় জয় দাস নামের এক হিন্দুর বাড়িতে। মৌলবাদীরা সন্দেহ করেছিল যে জয় দাস ছিলেন একজন ইসকনের সদস্য।

    উগ্র মৌলবাদীরা ইসকনের মন্দির ভাঙচুর করে চট্টগ্রামের পাতিয়াতে।

    উগ্র মৌলবাদীরা হামলা চালায় মৌলভীবাজারে অবস্থিত মদনমোহন মন্দিরে।

    উগ্র মৌলবাদীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি ফিরিঙ্গি বাজারে অবস্থিত লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির। হাজারি গালিতে অবস্থিত কালী মন্দির এবং সেবক কলোনিতে অবস্থিত একাধিক মন্দির ভাঙচুর করে তারা।

    সমাজ মাধ্যমে এক ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় ইসলামিক মৌলবাদীরা ঠাকুরগাঁয়ে একজন হিন্দুকে মারধর করছে।

    বাংলাদেশের শিবচরে মৌলবাদীরা ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেয় ইসকনের মন্দির বন্ধ করার জন্য।

    গ্রেফতার হওয়া হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীকে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়। 

    বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের ভৈরব এরিয়াতে ইসকনের মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়।

    পুলিশি হয়রানি

    একই সঙ্গে পুলিশি হয়রানির শিকারও হন অসংখ্য হিন্দু সন্ন্যাসী। ইসকন সন্ন্যাসী শ্যামদাস প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রামের সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা ৭৬ জন হিন্দু বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় বাবলা ধর, সজল শীল, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমন দাস প্রভৃতি হিন্দুকে। সে দেশের সাংবাদিক মুন্নি সাহাকেও গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 229: “‘সন্তানের উপর মায়ের টান, সতী স্ত্রীর স্বামীর উপর টান, আর বিষয়ীর বিষয়ের উপর টান”

    Ramakrishna 229: “‘সন্তানের উপর মায়ের টান, সতী স্ত্রীর স্বামীর উপর টান, আর বিষয়ীর বিষয়ের উপর টান”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তকে শিক্ষা—ব্যাকুল হয়ে আর্জি কর—ঠিক ভক্তের লক্ষণ

    বেলঘরের ভক্ত—আপনি আমাদের কৃপা করুন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সকলের ভিতরই তিনি রয়েছেন। তবে গ্যাস কোম্পানিকে আর্জি কর। তোমার ঘরের সঙ্গে যোগ হয়ে যাবে।

    “তবে ব্যাকুল হয়ে আর্জি (Prayer) করতে হয়। এমনি আছে, তিন টান একসঙ্গে হলে ঈশ্বরদর্শন হয়। ‘সন্তানের উপর মায়ের টান, সতী স্ত্রীর স্বামীর উপর টান, আর বিষয়ীর বিষয়ের (Kathamrita) উপর টান।’

    “ঠিক ভক্তের (Ramakrishna) লক্ষণ আছে। গুরুর উপদেশ শুনে স্থির হয়ে থাকে। বেহুলার কাছে জাতসাপ স্থির হয়ে শুনে, কিন্তু কেউটে নয়। আর-একটি লক্ষণ—ঠিক ভক্তের ধারণা শক্তি হয়। শুধু কাচের উপর ছবির দাগ পড়ে না, কিন্তু কালি মাখানো কাচের উপর ছবি উঠে, যেমন ফটোগ্রাফ; ভক্তিরূপ কালি।

    “আর-একটি লক্ষণ। ঠিক ভক্ত জিতেন্দ্রিয় হয়, কামজয়ী হয়। গোপীদের কাম হত না।

    “তা তোমরা সংসারে আছ তাহলেই বা; এতে সাধনের আরও সুবিধা, যেমন কেল্লা থেকে যুদ্ধ করা। যখন শবসাধন করে, মাঝে মাঝে শবটা হাঁ করে ভয় দেখায়। তাই চাল, ছোলাভাজা রাখতে হয়। তার মুখে মাঝে মাঝে দিতে হয়। শবটা ঠাণ্ডা হলে, তবে নিশ্চিন্ত হয়ে জপ করতে পারবে। তাই পরিবারদের ঠাণ্ডা রাখতে হয়। তাদের খাওয়া-দাওয়ার যোগাড় করে দিতে হয়, তবে সাধন-ভজনের (Kathamrita) সুবিধা হয়।

    “যাদের ভোগ একটু বাকী আছে, তারা সংসারে থেকেই তাঁকে ডাকবে। নিতাই-এর ব্যবস্থা ছিল, মাগুর মাছের ঝোল, ঘোর যুবতীর কোল, বোল হরি বোল।

    “ঠিক ঠিক ত্যাগীর আলাদা কথা; মৌমাছি ফুল বই আর কিছুতেই বসবে না। চাতকের কাছে ‘সব জল ধুর’; কোন জল খাবে না কেবল স্বাতী-নক্ষত্রের বৃষ্টির জন্য হাঁ করে আছে। ঠিক ঠিক ত্যাগী অন্য কোন আনন্দ নেবে না, কেবল ঈশ্বরের আনন্দ। মৌমাছি কেবল ফুলে বসে। ঠিক ঠিক ত্যাগী সাধু যেন মৌমাছি। গৃহীভক্ত (Ramakrishna) যেন এই সব মাছি—সন্দেশেও বসে, আবার পচা ঘায়েও বসে।

    আরও পড়ুনঃ “লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতি, কুল, শীল, শোক, জুগুপ্সা, ওই অষ্টপাশ-গুরু না খুলে দিলে হয় না”

    আরও পড়ুনঃ “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    আরও পড়ুনঃ “গোপীদের কি ভালবাসা, কি প্রেম, শ্রীমতী স্বহস্তে শ্রীকৃষ্ণের চিত্র এঁকেছেন”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 1999 Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের প্রথম তথ্যদাতাকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাল ভারতীয় সেনা

    1999 Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের প্রথম তথ্যদাতাকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের (1999 Kargil War) প্রথম তথ্যদাতা তাশি নামগিয়ালকে (Totashi Namgyal) শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে। তিনিই প্রথম ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান সৈন্যের অনুপ্রবেশের কথা জানিয়েছিলেন। আগাম তথ্য দিয়ে সতর্ক না করলে সমস্যায় পড়ত ভারত। ভারত এই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করেছিল। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। বলা হয়েছে, তাঁর অবদান ভারতের জন্য অবিস্মরণীয়। তাশি নামগিয়াল স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে রেখে গিয়েছেন।

    একজন দেশপ্রেমী বীরের শেষ বিদায় (1999 Kargil War)

    জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যরাতে মধ্য লাদাখের আরিয়ান উপত্যকায় মৃত্য হয়েছে তাঁর। তাশি নামগিয়ালের (Totashi Namgyal) মৃত্যুতে পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। এক্স হ্যান্ডেলে ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস আধিকারিক লিখেছেন, “ভারতীয় সেনা বাহিনী দেশের জন্য তাঁর কৃতিত্বকে অবিস্মরণীয় করে রাখবে। তিনি নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। একজন দেশপ্রেমী বীরের শেষ বিদায় হয়েছে। শোকতপ্ত পরিবারের পাশে ভারতীয় সেনা রয়েছে। পরিবারকে সব রকম সহযোগিতা করা হবে। দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

    আরও পড়ুনঃ যোগীরাজ্যে এনকাউন্টারে খতম ৩ খালিস্তানি জঙ্গি

    প্রায় ৬০ দিন ধরে চলেছিল যুদ্ধ!

    ভারতে স্বাধীনতা-উত্তর যুগে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ছিল লাদাখের কার্গিল যুদ্ধ (1999 Kargil War)। ৬০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এই লড়াই চলেছিল। এই যুদ্ধে সিয়াচেন গ্লেসিয়ার রক্ষা করাই ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই উঁচু জায়গাটা থেকে একদিকে পাকিস্তান, অন্য দিকে চিনা সেনার গতিবিধি নজরে রাখা যায়। ২৬ জুলাই, ১৯৯৯ সালে একটি ঐতিহাসিক জয় সুনিশ্চিত করেছিল ভারত। প্রচণ্ড ঠান্ডা এই এলাকায়। সেই ঠান্ডা উপেক্ষা করে এদিনই ভারতীয় বাঙ্কারগুলি পাকসেনার দখল মুক্ত করেছিলেন সেনা-জওয়ানরা। যদি ঠিক সময়ে পাকিস্তানের অনুপ্রবেশের খবর ভারতীয় সেনার কাছে পৌঁছে দেওয়া না যেতো, তাহলে আরও বড়সড় সমস্যায় পড়তে হতো ভারতকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Srirampur:  নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    Srirampur: নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুবছর হলেই হয়তো সেঞ্চুরির সেলিব্রেশন করতে পারতেন বাসরুটের কর্মীরা। অনেক প্রবীণ মানুষের কাছে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শ্রীরামপুর (Srirampur) -কলকাতা বাসরুট। কিন্তু, সেঞ্চুরির দরজায় দাঁড়িয়েও সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন আর পূরণ হল না এই বাসরুটের। ৯৮ বছর ধরে চলা এই বাসরুটে বন্ধ হয়ে গেল বাস চলাচল।

    কবে শুরু হয়েছিল এই বাসরুট?(Srirampur)

    জানা গিয়েছে, ১৯২৬ সালে হুগলির শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার পর্যন্ত লম্বা রুটে প্রথম পরিষেবা চালু হয়েছিল ৩ নম্বর রুটের। গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য এই রুটে বাসের সংখ্যা নিয়মিত ভাবে কমতে শুরু করেছিল। রুটে যাঁদের বাস চলত, সেই বাসের (Bus) মালিকরা নতুন করে আর এই রুটে বাস নামিয়ে ব্যবসা চালাতে রাজি হননি। সে জন্যই কয়েক বছর আগেও যাত্রীদের যে বাস পাওয়ার জন্য মাত্র তিন-চার মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হত না, পরে সেই বাসের দেখা পাওয়াই কঠিন হত। বাসের বয়স ১৫ হলে তা আর রাস্তায় নামানো যাবে না – প্রশাসনের এমন নির্দেশের পর বন্ধ হল ৩ নম্বর রুটের একমাত্র বাসটি। ১০০ বছর পূর্ণ হতে যখন আর মাত্র দু’বছর বাকি, তখনই বন্ধ হয়ে গেল এই রুটে চলা শেষ বাসটির চাকা। কলকাতা, শহরতলি এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার বাস পরিষেবা নিয়ে কাজ করে কলকাতা বাস-ও-পিডিয়া নামে একটি সংগঠন। প্রধানত বাসপ্রেমীরা মিলেই এই সংগঠন তৈরি করেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০৮-এও ওই রুটে ৬৯টি বাস চলত। সেই সংখ্যা কমতে শুরু করে ২০১৮ সালে ২২-এ এসে দাঁড়ায়। শেষ কয়েক বছর একটি মাত্র বাস চলত। সেই বাসটিও এ বার স্ক্র্যাপ হয়ে যাবে – এত লম্বা একটা রুট পুরো বন্ধ হয়ে গেল।”

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    বাস মালিকরা কী বললেন?

    ৩ নম্বর রুটের শেষ বাসটির মালিক ছিলেন সুদীপ গোস্বামী। তিনি বলেন, “রুট ছিল শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার। এত লম্বা রুটে কেউ যেতেন না। আমাদের প্রায় সব যাত্রীই ছিলেন শর্ট রুটের। কিন্তু, গত কয়েক বছরে অটো এবং টোটোর সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শ্রীরামপুর থেকে বালি পর্যন্ত অংশে জিটি রোড মাঝে মধ্যে এতটাই সরু যে বাস চালানো অত্যন্ত কঠিন। ফলে দীর্ঘ সময়ে যানজটে আটকে থাকতে হত।” বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গত চার বছরে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ৪০টির কাছাকাছি বাসরুট বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে আমরা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রুট বাঁচানোর জন্য কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে দেখিনি।’ বাসমালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, “অটো বা টোটোর হওয়া উচিত ছিল ‘লাস্ট পয়েন্ট অফ কানেকটিভিটি’ অর্থাৎ, অটো-টোটোর বাড়ি থেকে বাস চলার পথ পর্যন্ত চলবে। তবে এখন অটো-টোটোও বাসের প্রতিযোগী হয়ে পড়েছে। তারই প্রভাবে পর পর বাসরুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bashar Al Asad: লন্ডনে যেতে চান আসমা! রুশ আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বাশারের স্ত্রীয়ের

    Bashar Al Asad: লন্ডনে যেতে চান আসমা! রুশ আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বাশারের স্ত্রীয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ার (Syria) পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের (Bashar Al Asad) পরিবারেও ভাঙন ধরল। আসাদের কাছ থেকে বিচ্ছেদ চাইলেন স্ত্রী আসমা আল-আসাদ। মস্কোয় যেভাবে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকতে হচ্ছে, তাতে একেবারেই খুশি নন আসমা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করেছেন আসমা। দ্রুত দাম্পত্যের পাট চুকিয়ে লন্ডনে ফিরে যেতে চান তিনি।

    কেন বিচ্ছেদ চাইছেন আসমা

    চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে গদিচ্যুত হন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ (Bashar Al Asad)। প্রাণ বাঁচাতে পরিবার সহ সিরিয়া ছেড়ে আশ্রয় নেন মস্কোয়। সেখানে যাওয়ার পরই এবার বিচ্ছেদ চাইছেন আসাদের স্ত্রী। মস্কোর একটি আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা দায়ের করেছেন। সিরিয়া থেকে মস্কোয় গিয়ে তাঁর জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট তিনি। আসমা তাঁর পরিবারকে নিয়ে নিজের শহর লন্ডনে ফিরতে চান। সিরিয়ান বংশোদ্ভূত আসমার জন্মও হয়েছিল লন্ডনে। তাঁর বাবা-মা দু’জনই সিরিয়ান। আসমা নিজে একজন ব্রিটিশ-সিরিয়ান নাগরিক। ২০০০ সালে ২৫ বছর বয়সে লন্ডনে ডাক্তারি পড়তে আসা বাশার আল-আসাদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তারপরই স্বামীর সঙ্গে থাকতে সিরিয়া চলে আসেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    লন্ডনে যেতে চান বাসার-পত্নী

    জানা গিয়েছে, রাশিয়ায় আশ্রয় দিলেও, সেখানে বাশার আল আসাদের (Bashar Al Asad) উপরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিনা অনুমতিতে রাশিয়া তো দূর, মস্কোও ছাড়তে পারবেন না আসাদ। কোনও দলীয় কাজেও যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি। সূত্রের খবর, আসাদের যাবতীয় টাকাপয়সা, ধনসম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে রাশিয়া। সিরিয়া থেকে পালানোর সময় ২৭০ কেজি সোনা, ২ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এসেছিলেন আসাদ। সেই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া মস্কোয় তাঁর ১৮টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। সবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, রাশিয়ার একটি আদালতেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ঠুকেছেন আসমা আল-আসাদ। এবং তিনি যাতে মস্কো ছেড়ে লন্ডন পাড়ি দিতে পারেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বিশেষ অনুমতিও চেয়েছেন। দ্যা জেরুজালেম পোস্ট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আসমা আল-আসাদের আবেদন খতিয়ে এবং বিবেচনা করে দেখছে রুশ প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share