Blog

  • Bangladesh: “জীবিত থাকলে জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন”, বিস্ফোরক কবি নজরুলের ভ্রাতুষ্পুত্র

    Bangladesh: “জীবিত থাকলে জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন”, বিস্ফোরক কবি নজরুলের ভ্রাতুষ্পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তিনি জীবিত থাকলে জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন”, বাংলাদেশে (Bangladesh) গত চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বিস্ফোরক কবি নজরুল ইসলামের (Kazi Nazrul Islam) ভ্রাতুষ্পুত্র রেজাউল করিম। শান্তির জন্য নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস হলেন এখন অনেকের কাছেই ত্রাস। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর খুন, ধর্ষণ, হত্যা, লুট, মন্দির ভাঙচুর, মূর্তি ভাঙচুর-সহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এর শেষ কোথায় কেউ জানে না। তাই তো বাংলাদেশের জাতীয় কবির উত্তরসূরীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

    আজীবন মানব ধর্মের কথা বলে গিয়েছেন নজরুল (Bangladesh)!

    পশ্চিম বর্ধমানের চুরুলিয়ার বাসিন্দা তথা নজরুলের (Kazi Nazrul Islam) বংশধর কাজী রেজাউল করিম বলেন, “বাংলায় নজরুল ইসলাম আজীবন মানব ধর্মের কথা বলে গিয়েছেন। সম্প্রীতি এবং ঐক্যের কথা বলে গিয়েছেন। অথচ আজ বাংলাদেশ (Bangladesh), যেখানকার জাতীয় কবি এবং সেই জায়গার মাটিতেই হিন্দু নিধন হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক ভাবে অত্যাচার হচ্ছে। আজ যদি কবি বেঁচে থাকতেন, তাহলে জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন।”

    আরও পড়ুনঃ ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ’! রাজ্যকে তোপ হাইকোর্টের, চিকিৎসকদের ধর্নাকে অনুমতি

    এমন বাংলাদেশ কোনও সময়েই দেখতে চাননি!

    রেজাউল করিম বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদী কট্টর মুসলিমদের দাপাদাপির ব্যাপারে তোপ দেগে আরও বলেন, “শেখ হাসিনা আমাদের সম্মান দিয়েছেন। তাছাড়া নজরুলের (Kazi Nazrul Islam) আরও আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে থাকেন। এখন আর ওই দেশে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। যে দেশে মানুষের মনে ধর্মীয় ভাবে এত বিদ্বেষ, মারামারি, হানাহানি, অত্যচার, লুটপাট, খুন, সেই দেশে আর যাওয়ার ইচ্ছে নেই। তবে এই ক্রমবর্ধমান অন্যায় এবং প্রতিবাদের বিরুদ্ধে যদি কোনও ডাক আসে, অবশ্যই সেখানে আমি যাব। আমার শরীর যদিও অসুস্থ তবুও আমি মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামব। অনেক নজরুল গবেষক এই দেশে আসতেন, এখন তাঁরাও আর আসেন না। এমনভাবে রাজনৈতিক পালা পরিবর্তনে আমরা ভীষণ অখুশি।” সেই সঙ্গে কবির নাতনি সোনালি কাজীর মুখেও বাংলাদেশ নিয়ে তীব্র অসন্তোষজনক বক্তব্য শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, “বিদ্রোহী নজরুল কি এই ধরনের বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন? এটাই এখন আমাদের বড় প্রশ্ন। এমন বাংলাদেশ কোনও সময়েই দেখতে চাননি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: এবার ভারতে ঢুকে অত্যাচার বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের, মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত দুই চাষি!

    Murshidabad: এবার ভারতে ঢুকে অত্যাচার বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের, মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত দুই চাষি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। এবার সেটাই বাস্তবে ঘটল। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা সীমান্ত এলাকায় হামলা চালাতে শুরু করল। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিতলার নির্মল চরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আক্রান্ত হয়েছেন ২ ভারতীয় চাষি। মাঠে কাজ করার সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর আগে নদিয়া জেলায় গেদে সীমান্ত এলাকায় তারকাঁটার ভিতরে থাকা জমিতে চাষ করতে গিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হুমকির মুখে পড়েন ভারতীয়রা। এমনকী জমি থেকে ফসলও কেটে নেওয়া হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Murshidabad)

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি যতই অশান্ত হচ্ছে, মৌলবাদী-কট্টরপন্থীদের দাপট যত বাড়ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। বাংলাদেশের জেল থেকে জঙ্গি পালানো, একাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে বাংলাদেশ প্রশাসনের মুক্তি দেওয়া, পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো নথি দিয়ে তৈরি পাসপোর্ট বাংলাদেশিদের হাতে যাওয়া, বাংলাদেশি জঙ্গির ধরা পড়া, পরপর এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ-আতঙ্ক চরমে উঠছে। এই আবহের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রানিতলা (Murshidabad) থানার নির্মলচরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে ২ ভারতীয় চাষিকে বেধড়ক মারধর করে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, একাধিক ব্যক্তি সীমান্তবর্তী এলাকায় জমি দেখাশোনার কাজ করছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা এসে তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে বিএসএফ। চাষিরা বলেন, এই এলাকায় সীমান্তে কোনও কাঁটাতার নেই। ফলে ওপারের দুষকৃতীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    গ্রামবাসীদের কী বক্তব্য?

    গ্রামবাসীদের (Murshidabad) অভিযোগ, “বেশ কিছু জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। কারণ এই সীমান্তে কিছু কিছু এলাকা অবহেলিতভাবে পড়ে রয়েছে। কাঁটাতারের বেড়াও নেই। বাংলাদেশিরা সেই জায়গা দিয়ে ঢুকে ভারতীয় কৃষকদের ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। গরু দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ’! রাজ্যকে তোপ হাইকোর্টের, চিকিৎসকদের ধর্নাকে অনুমতি

    Calcutta High Court: ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ’! রাজ্যকে তোপ হাইকোর্টের, চিকিৎসকদের ধর্নাকে অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাউকে হ্যাঁ বলবেন, কাউকে না বলবেন… ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ, কেন?” মমতা (Mamata Banerjee) প্রশাসনকে কড়া ভাবে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিন একটি মামলার শুনানিতে ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়েছেন তিনি। আগামী ২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলা ডোরিনা ক্রসিং-এর ৫৫ ফুট জায়গা ছেড়ে চিকিৎসকদের ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেন মানতে হবে একাধিক শর্ত।

    জায়গা কারও জন্য নয় বিজ্ঞপ্তি জারি করুন (Calcutta High Court)

    রাজ্যের যে কোনও বিরোধী দল বা সামজিক সংগঠন হোক না কেন, শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করতে গেলে পুলিশ প্রশাসন অনুমতি যে দেয় না তা এই রাজ্যের এখন অলিখিত নিয়ম। একই ভাবে অনুমোদনের জন্য বিচার ব্যবস্থার কাছে দ্বারস্থ হতে হবে এটাও জেনে গিয়ে বিরোধী দল বা সংগঠনগুলি। ন্যায় বিচার সহ একাধিক দাবিতে জয়েন্ট ডক্টর্স প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সভা করতে চেয়েছিলেন প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি না দিলে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এরপর রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বলেন, “কারও জন্য একরকম মনোভাব আর অন্যজনের জন্য আলাদা মনোভাব, এটা চলবে না। আপনি একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করুন, জানিয়ে দিন এই জায়গা কারও জন্য নয়। আপনারা কারও জন্য ‘হ্যাঁ’ বলবেন, কারও জন্য ‘না’ বলবেন, এটা হয় না। এভাবে ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ করলে হবে না। আমি যদি ২০ ফুট জায়গা দিই তাও ট্রাফিকের সমস্যা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জঙ্গি

    লাগাতার ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন

    সেই সঙ্গে বিচারপতির (Calcutta High Court) নির্দেশে বলা হয়, ডোরিনা ক্রসিং-এর ৪০ ফুটের বেশি উঁচু স্টেজ তৈরি করা যাবে না। স্টেজের পিছনে গার্ডরেল থাকবে এবং ২০০ থেকে ২৫০ জনের বেশি লোক একসময়ে থাকতে পারবে না ধর্নাস্থলে। পুলিশ যদি মনে করে বেশি লোক হচ্ছে তাহলে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী পিজিটি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। প্রতিবাদের উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। মমতা (Mamata Banerjee) পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং তথ্য লোপাটের ঘটনা সম্পর্কে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়েছে। একই ভাবে রাজ্যের বিধানসভায় ‘নির্ভয়া বিল’ পাশ হলেও লাগাতার ধর্ষণের ঘটনা অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে ন্যায় বিচার এবং ডাক্তারদের সুরক্ষার দাবিতে ফের পথে নামতে চলেছেন ডাক্তার সমাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ দাঁড়ি পড়তে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) অন্তত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সম্প্রতি পুতিন (Putin) বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আপস করার জন্য উন্মুক্ত।

    কোনও পূর্বশর্ত নেই (Ukraine Russia War)

    তিনি বলেন, আলোচনার জন্য কোনও পূর্বশর্ত নেই। তবে যে কোনও চুক্তিতে অবশ্যই বৈধ ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে, এমনকি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করতে প্রস্তুত। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে কথা বলেননি। তবে তিনি সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। রাশিয়া দুর্বল জায়গায় রয়েছে, একথা মানতে রাজি নন পুতিন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর দেশটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এর পরেই পুতিন বলেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। তিনি বলেন, কিভকেও আপসের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

    স্থায়ী শান্তি চুক্তি

    সাময়িক যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন পুতিন। তিনি স্থায়ী শান্তি চুক্তির পক্ষে (Ukraine Russia War) মত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ইস্তানবুলের বৈঠকে বাস্তবায়িত না হওয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের আলোচনা হওয়া উচিত। তবে, এই খসড়া চুক্তিকে কিছু ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ আত্মসমর্পণ হিসেবেই বিবেচিনা করেছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের হাতে অনায়াসে কি চলে যাচ্ছে পাসপোর্ট? বিরাট আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

    যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত লক্ষ লক্ষ মানুষ। এসবের জেরে রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলোর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পুতিন এই আক্রমণকে নেটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক অভিযান হিসেবে সমর্থন করেছেন। যদিও রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় পাঁচভাগের একভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি যদি অন্য রকম কিছু ভাবতাম, তাহলে ২০২২ সালের আগেই ইউক্রেনে সেনা পাঠানো উচিত ছিল। একইসঙ্গে পুতিন (Putin) স্বীকার করেন, যুদ্ধের (Ukraine Russia War) জন্য রাশিয়ার আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: পেটে খিদে, ভাত দিন! ভারতের কাছে হাত পাতলেন ইউনূস, যাচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল

    Bangladesh: পেটে খিদে, ভাত দিন! ভারতের কাছে হাত পাতলেন ইউনূস, যাচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। ৫২টি জেলায় হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অন্তত ২ হাজারটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার মধ্যে মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং শারীরিক আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। অত্যাচারের ঘটনায় বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। তাতে জ্বলন ধরে ইউনূসের। এমনকী অন্যান্য উপদেষ্টারাও লাগাতার ভারতকে আক্রমণ করতে শুরু করে। কার্যত এক পা এগিয়ে ভারতের সমস্ত জিনিস বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। কেউ কেউ তো আবার কলকাতা, এমনকী দিল্লি দখল করার দিবাস্বপ্ন দেখছিলেন। হুমকি দিচ্ছিলেন পরমাণু বোমার! বাস্তবে কাজে আসল না কোনও হুঁশিয়ারি! এবার সত্যি সত্যিই ভারতের কাছে হাত পাতল ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশে সব্জি, আনাজের হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে ভারতের থেকে চাল চাইল বাংলাদেশ।

     ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি!(Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ইউনূস সরকার (Bangladesh) প্রথমে ভারতকে ততটা গুরুত্ব দিতে চায়নি। তাই, দেশবাসীর মুখে অন্ন তুলে দিতে চাল, ডাল কিংবা অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ভারতের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে। চিন, পাকিস্তান কিংবা তুরস্ক থেকে চাল কিংবা পেঁয়াজ কেনা হবে বলে চিন্তাভাবনা শুরু করে ইউনূস। কিন্তু তা যে সম্ভব নয় তা কয়েকদিনের মধ্যে তারা বুঝে যায়। অবশেষে, দিনরাত গালাগালি দেওয়া ভারতের কাছে হাত পাততে হল ইউনূসকে। কলকাতা দখল তো দূরের কথা, ভারতের ওপর নির্ভর করতে হল ইউনূস সরকারকে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘বাংলা ট্রিবিউনে’-এর খবর অনুযায়ী, দেশের মানুষের জন্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় ইউনূসের সরকার। আর তাই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা, এমনটাই দাবি বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?

    বাংলা ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। যেখানে খাদ্য মন্ত্রকের (Bangladesh) শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ বৈঠকে এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এবং তা গৃহীত হয়। লজ্জার মাথা খেয়ে সমস্ত কিছু ভুলে দেশবাসীর ভাত জোগাড় করার জন্য কার্যত ভারত থেকেই চাল কেনার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে পরবর্তী কাজ শুরু হবে বলেও প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, সে দেশের বাজারে সমস্ত জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমশিম হতে হচ্ছে আমজনতাকে।

    চাল ছাড়াও ভারতের কাছে হাত পেতে আর কী নিয়েছে ইউনূস?

    এই বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে (Bangladesh) ভয়াবহ বন্যার কারণে চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ, বন্যায় আনুমানিক ১.১ মিলিয়ন টন চাল ধ্বংস হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। আর এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য ইউনূস সরকারকে বিদেশের দিকে হাত বাড়াতে বাধ্য করেছে। জানা গিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মজুতের পরিমাণ ১১.৪৮ লক্ষ টন থেকে নেমে হয়েছে ৭.৪২ লক্ষ টন। প্রধান খাদ্য হিসেবে ভাতের ওপর বেশি নির্ভর করে এমন একটি জাতির জন্য এটি উদ্বেগজনকভাবে কম। এই পরিস্থিতি সরকারকে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমদানি এবং দেশীয় ক্রয় উভয়ই জোরদার করতে বাধ্য করেছে। স্থানীয় মজুত বাড়ানোর জন্য সরকার চলতি মরশুমে ৮ লক্ষ টন আমন চাল সংগ্রহ করার এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকে বোরো ধান মজুত করার পরিকল্পনা করেছে। যাই হোক, এই প্রচেষ্টা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ ক্ষতিপূরণের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় গত দু’দিন আগেই ভারত থেকে আরও একবার আলু পাঠানো হয় বাংলাদেশে। কার্যত সে দেশের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনতে যশোরের শার্শার বেনাপোল বন্দর দিয়ে আলু পাঠানো হয়। প্রায় এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু গিয়েছে। এমনকী গিয়েছে পেঁয়াজ ও ডিমও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: প্লাস্টিকমুক্ত মহাকুম্ভ! সাড়ে ১৪ হাজার স্টিলের প্লেট ও কাপড়ের ব্যাগ গেল রাজস্থান থেকে

    Mahakumbh 2025: প্লাস্টিকমুক্ত মহাকুম্ভ! সাড়ে ১৪ হাজার স্টিলের প্লেট ও কাপড়ের ব্যাগ গেল রাজস্থান থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা! জানুয়ারিতেই বসছে মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025)। তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এই মহাকুম্ভ মেলাকে পরিবেশবান্ধব (Plastic Free Event) হিসেবে গড়ে তুলতে একাধিক উদ্যোগ আগেই নিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। এবার আরও একটি বড় পদক্ষেপ করল ‘পরিবেশ সংরক্ষণ গতিবিধি’ নামের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভাবিত একটি সংগঠন। মহাকুম্ভকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে ১৪,৫০০ স্টিলের প্লেট অর্থাৎ থালি এবং আরও অসংখ্য কাপড়ের তৈরি ব্যাগ রাজস্থানের উদয়পুর থেকে রওনা দিল প্রয়াগরাজের উদ্দেশে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ান থালি ওয়ান থলিয়া’।

    ৪০ কোটি ভক্ত হাজির হবেন (Mahakumbh 2025)

    পরিবেশের ভারসাম্য বজায় (Mahakumbh 2025) রাখতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সংগঠনের সদস্যরা। প্রসঙ্গত মহাকুম্ভ শুরু হচ্ছে আগামী ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে। সমস্ত ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য ও পলিথিনকে বাদ রাখা হয়েছে মহাকুম্ভ থেকে। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ  হল সারা পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বড় ধর্মীয় সমাবেশ বা ধর্মীয় মেলা। তাই এই উৎসবকে প্লাস্টিক মুক্ত করে, পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলে একটি বড় বার্তা বিশ্বকে দিতে চাইছে ভারত, এমন টাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। জানা যাচ্ছে, মহাকুম্ভ মেলাতে চল্লিশ কোটি ভক্তের আগমন ঘটতে পারে।

    চল্লিশ হাজার টন বর্জ্য মহাকুম্ভ মেলা প্রাঙ্গণে তৈরি হতে পারে

    এখনও পর্যন্ত অনুমান করা হচ্ছে (Mahakumbh 2025) চল্লিশ হাজার টন বর্জ্য মহাকুম্ভ মেলা প্রাঙ্গণে তৈরি হবে। তাই স্বাভাবিকভাবে সেভাবেই পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার নানা পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। উদয়পুর থেকে যাওয়া এই ১৪,৫০০ স্টিলের প্লেটের গাড়িটিকে রওনা করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বর্ষীয়ান প্রচারক মনফুল সিং। পতাকা নাড়িয়ে এবং ওম মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে রওনা করা হয় গাড়িটিকে। প্রসঙ্গত, এই ১৪,৫০০ স্টিলের প্লেট এবং কাপড়ের ব্যাগগুলি তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে। যার ফলে একটা বিষয় স্পষ্ট যে শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধবই নয়, মহাকুম্ভকে সার্থক করে তুলতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভক্তরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাঁরাও হাত লাগিয়েছেন নানা কাজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: “দেশের ঐতিহ্য হল সবাই নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন”, বার্তা মোহন ভাগবতের

    RSS: “দেশের ঐতিহ্য হল সবাই নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন”, বার্তা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নানা প্রান্তে রাম মন্দিরের মতো মন্দির উদ্ধারের ভাবনা পোষণ নিয়ে সতর্ক করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। অতি উৎসাহীর বশে এই ধরনের কাজ সমাজের কাছে খারাপ বার্তা দেবে বলে মনে করেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় এদিন পুণের ‘ইন্ডিয়া-দ্য বিশ্বগুরু’-এর একটি আলোচনা চক্রে যোগদান করে বলেন, ‘‘সব কিছুর মধ্যে মন্দির খোঁজার কর্মকাণ্ডগুলি গ্রহণযোগ্য নয়, অনেকই নেতা হইতে চাইছেন। সকলে নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন, এটাই দেশের ঐতিহ্য।’’ তিনি এদিন ভারতকে বিশ্ব গুরু হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেন।

    রামকৃষ্ণ মিশনে ক্রিসমাস উদযাপন হয় (RSS)

    ভারতবর্ষের নাগরিকদের উচিত বিশ্বের সামনে সবসময় ভারতকে সম্প্রীতির মহামিলন কেন্দ্র হিসেবে মেলে ধরা। এই জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী হিন্দুদের সংযত হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। সমাজতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) একটি দায়িত্বশীল সামাজিক সংগঠন। হিন্দুত্বের বিষয়কে সবচেয়ে বেশি প্রাথমিকতা দেওয়া হয় আর তাই সমাজে ধ্বংসাত্মক ভাবনাকে কখনই গ্রহণ করা হয় না। তাই সঙ্ঘের সর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “ভারত বহুত্ববাদী দেশ। আমরা শুধু দিয়েই থাকি না, সাদরে গ্রহণও করি, কারণ আমরা হিন্দু। স্বামী বিবেকানন্দের রামকৃষ্ণ মিশনে ক্রিসমাস উদযাপন হয়। এটা আমাদের জোরের জায়গা, কারণ আমরা হিন্দু বলেই পারি।”

    বৃহৎ আন্দোলনের পরিণাম ছিল অযোধ্যা

    আরএসএস (RSS)-এর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) রামজন্মভূমি আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “এই ভারতের মধ্যে আমরা একটি দীর্ঘ সময় ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছি। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে একটা ঐক্যভাব রয়েছে। আমরা যদি বিশ্বে একটি বিশেষ মডেল নির্মাণ করতে চাই তাহলে আমাদের আরও সংযত এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। রাম মন্দির নির্মাণের পর থেকেই অনেকে মনে করছেন দেশের নানা জায়গায় মন্দির উদ্ধার করে একই ধরনের ইস্যু তুলে ধরলেই হিন্দুদের নেতা হওয়া যাবে, কিন্তু এই কর্মের মধ্যে তলে তলে একটি বিরূপ ভাবনাকেও প্রচার করা হচ্ছে। এই মত একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রীরামের জন্মস্থান এবং মন্দির, একটি সামজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ভাবে আস্থা-বিশ্বাস-অস্তিত্বের প্রমাণ নিয়ে বৃহৎ আন্দোলন ছিল। দেশব্যাপী মানুষের চাহিদাও ছিল। সেই সঙ্গে জনমতও ছিল। সামাজিক ভাবে একটি বৃহৎ আন্দোলনের পরিণাম ছিল অযোধ্যার রামমন্দির।”

    সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলছে

    এই প্রেক্ষিতে নতুন নতুন মন্দির পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে আরএসএস (RSS) প্রধান ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “সংবাদপত্রে প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে একটা একটা করে বিবাদ হচ্ছে। এই ভাবনাকে বা উদ্দেশ্যকে কোনও ভাবেই অনুমোদন দেওয়া যাবে না। ভারতকে আগের ভুলগুলি থেকে বেরিয়ে নতুন ভাবে ভাবতে হবে। দেশকে কীভাবে বিশ্বের কাছে বিশ্বগুরু করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। দেশে বহিরাগতরা আক্রমণ করেছে, এরপর মূল সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যেতে পারিনি তারা, জোর পূর্বক ধর্মান্তরণ করেছে তারা। তাই এখন আধিপত্যের সময় চলে গিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলছে। তাই তাকে গুরুত্ব দিয়ে সেই রূপ কাজ করতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ নতুন বছরের গোড়াতেই উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি আইন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির

    ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র ছিল

    ভাগবত (RSS) ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কথা বলে বলেন, “মুঘল আমলে ১৮৫৭ সালে বাহাদুর শাহ গোহত্যা নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু ঔরঙ্গজেব তা মানেননি। হিন্দুদের মনে দাগ কাটতে অকাতরে উল্টোকাজই করে গিয়েছেন এই মুসলমান শাসক। অযোধ্যায় রামমন্দির আগেই হিন্দুদের হাতে দেওয়ার কথা হয়েছিল, কিন্ত ব্রিটিশরা আরও বেশিদিন শাসন করার জন্য হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভেদের দেওয়ালকে আরও শক্তপোক্ত করেছিল। এতে সেই সময় থেকে আরও বিরাট ফাটল তৈরি হয়েছিল দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে। এখান থেকেই বিছিন্নতাবাদ এবং পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান নির্মাণ হয়। সবটাই ছিল গভীর ষড়যন্ত্র। কে সংখ্যাগরিষ্ঠ আর কে সংখ্যালঘু সবাই সমান। দেশের ঐতিহ্য হল সকলে নিজ নিজ উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবেন। এটাই ভারতীয়দের আসল পরিচয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 9: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা! দেশ ছাড়তে নদীতে  ঝাঁপ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা

    Bangladesh Crisis 9: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা! দেশ ছাড়তে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ নবম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসে বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রে পদত্যাগ করতে হয় বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 9) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন নেমে আসে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা দলে দলে দেশ ছাড়তে সীমান্ত জড়ো হন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম সমাজ-সংস্কৃতি, ইত্তেফাক প্রভৃতি খবরের কাগজগুলি তাদের প্রথম পাতার শিরোনামে লেখে সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়ার কথা। অগাস্ট মাসে সমাজ-সংস্কৃতি নামের বাংলাদেশের ওই পত্রিকা নিজেদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং যার শিরোনাম ছিল, ‘‘ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে কয়েকশো বাংলাদেশি’’। অন্যদিকে ইত্তেফাক পত্রিকার খবর প্রকাশিত হয়, ‘‘দেশত্যাগ করতে ভারত সীমান্তে জড়ো হয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।’’

    দেশ ছাড়তে নদীতে ঝাঁপ হিন্দুদের (Bangladesh Crisis 9) 

    সংখ্যালঘু হিন্দুদের দোকানঘরগুলিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় মৌলবাদী জেহাদিরা। তাদের সম্পত্তিকেও দখল করে নেয় জেহাদী সংগঠনগুলি। প্রাণ বাঁচাতে হাতিবন্ধ, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, কালিয়াগঞ্জ, পঞ্চগড় প্রভৃতি সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন শয়ে শয়ে বাংলাদেশি হিন্দুরা। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশি সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো চলতি বছরের ২৯ অগাস্ট তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করে যে ৮ বাংলাদেশি হিন্দুকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ বা বিজিবি। তেতুলিয়া বর্ডারে এই হিন্দুদের গ্রেফতার করা হয়।

    হামলা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে (Targeting Minority)

    অন্যদিকে, একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে (Bangladesh Crisis 9) হামলার ঘটনাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে এই সময়ে। বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হিংসা সবথেকে বেশি ছড়ায় যশোর, সাতক্ষীরা, হাবিবগঞ্জ, বগুড়া, চট্টগ্রাম শেরপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, জয়পুরহাট, ফিরোজপুর, ঢাকা প্রভৃতি জেলায়। এখানে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্যাতন চলতে থাকে।

    আশ্রমের পুকুর জোর করে দখল করে নেয় মৌলবাদীরা 

    একইভাবে জোর করে হিন্দুদের জমি দখল করার অভিযোগ ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ সরব হন। অন্যদিকে, এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সামান্য এক হিন্দু ভ্যান চালকের জমি দখল ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার। দিনাজপুর জেলার ফুলতলা শ্মশান মাঠের কাছে জোর করে হিন্দুদের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পাইকপাড়া এলাকাতে কৈবল্যধাম আশ্রমের ওপর হামলা চালায় উগ্র মৌলবাদীরা এবং ওই আশ্রমের পুকুর জোর করে দখল করে নেয় তারা। পটুয়াখালিতে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ২১টি হিন্দু পরিবারের জমি দখলের। ওই পরিবারগুলিকে হুমকি দিয়ে দেশ ছাড়ার (Bangladesh Crisis 9) কথা বলে ওই বিএনপি নেতা।

    সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতিরোধ

    তবে এসব কিছুর মাঝেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে যে ঐক্য দেখা যায় তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়োয়। সংখ্যালঘু অধিকারের কথা বলে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকে হিন্দুরা। এ ক্ষেত্রে অন্য দুই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরাও যোগ দেয় হিন্দুদের সঙ্গে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এধরনের সংখ্যালঘু বিক্ষোভ খুবই কম দেখা গিয়েছে। অত্যাচার এবং নির্যাতনে দেয়ালে পিঠ ঠেকতে ঠেকতে লাখ লাখ হিন্দু সমাবেশ করতে শুরু করেন। ৯ আগস্ট ২০২৪ থেকেই শুরু হয় এই সমাবেশ। হিন্দুরা গর্জে ওঠেন হিংসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ এবং সমাজমাধ্যমে চলা হিন্দু ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে।

    ৯ অগাস্ট থেকে শুরু প্রতিবাদ

    চলতি বছরের ৯ অগাস্ট বাংলাদেশ সচেতন সনাতনী নাগরিক নামের একটি সংগঠন বিক্ষোভ শুরু করে। এই আঁচ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশজুড়ে। ২০ অগাস্ট বৃহৎ হিন্দু সমাবেশ দেখা যায় বাংলাদেশের শরিয়তপুর, দিনাজপুর, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, ফরিদপুর নীলফামারী, দিনাজপুর প্রভৃতি জেলায়। হাজার হাজার হিন্দু রাস্তায় নামেন অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে। ময়মনসিংহ জেলাতে হিন্দু মহাজোট নামের একটি সংগঠন একটি বড় সমাবেশের আয়োজন করে। ৪ দফা দাবিও জানান সেখানে হিন্দুরা। অন্যদিকে নাটোরে হিন্দুরা রাস্তায় নামে ইসকনের নেতৃত্বে।

    ১১ অগাস্ট চট্টগ্রামে ব্যাপক বিক্ষোভ 

    ১১ অগাস্ট চট্টগ্রামে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় হিন্দুরা। এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনের দায়িত্ব ছিল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ওপর। বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদ, সনাতনী ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা পরিষদ প্রভৃতি সংগঠন এই বিক্ষোভগুলি দেখাতে শুরু করে। অগাস্ট মাসের ১২ তারিখে হিন্দু সমাজের সদস্যরা গাইবান্ধা, চাওডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, মাদারিপুর, নেত্রকোনা, পাবনা প্রভৃতি জায়গাতে বিক্ষোভ দেখায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশের পর সামরিক সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (India China Relation)। সেই সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ভারত ও চিন ঐক্যমত্যে পৌঁছতে বুধবার ছ’দফা চুক্তি করেছে। সীমান্ত পেরিয়ে নদীর সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং নাথুলা সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য ফের চালু করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বেজিংয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করা হয়।

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। হিন্দু, জৈন এবং বৌদ্ধরাও কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা করেন। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত কৈলাস পর্বত দর্শন করে আনন্দ লাভ করেন পুণ্যার্থীরা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই কৈলাসই মহাদেবের বাসস্থান। ২০২০ সালের আগে ফি বছর কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রায় যেতেন পুণ্যার্থীরা। ২০২০ সালে করোনা অতিমারির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় তীর্থযাত্রা। পরে করোনা-পর্ব চুকে গেলেও, চিনের টালবাহানায় আর শুরু হয়নি যাত্রা। সম্প্রতি সেই যাত্রাই ফের চালু হতে চলেছে বলে খবর। তবে কবে থেকে যাত্রা শুরু হবে, তা জানানো হয়নি (Kailash Mansarovar Yatra) চিন কিংবা ভারতের বিবৃতিতে (India China Relation)।

    আরও পড়ুন: অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জঙ্গি

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    তবে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ প্রতিনিধিরা সীমান্ত পেরিয়ে সহযোগিতা ও বিনিময়ের জন্য ইতিবাচক নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালু করা, সীমান্ত পেরিয়ে নদীর তথ্য শেয়ারিং এবং সীমান্ত বাণিজ্য। ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধি (ডোভাল এবং ওয়াং) সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতেই এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জোর দিয়েছেন যে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিক উন্নয়নে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: নতুন বছরের গোড়াতেই উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি আইন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির

    Uniform Civil Code: নতুন বছরের গোড়াতেই উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি আইন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকেই অভিন্ন দেওয়ানি আইন (Uniform Civil Code) কার্যকর হবে। ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ইউসিসি অর্থাৎ ইউনিফর্ম সিভিল কোড আইন বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তেমনটা হলে, এই রাজ্য হতে চলেছে ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকর হতে চলেছে।

    নারী এবং শিশুদের ক্ষমতায়ণের দিকে নিয়ে যাবে (Uniform Civil Code)

    রাজ্যের সচিবালয়ের অনুষ্ঠিত উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) বিনিয়োগ এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন বোর্ডের একটি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেন, “রাজ্য সরকার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে পূরণ করতে ইউসিসিকে (Uniform Civil Code) কার্যকর করতে চলেছে। এই আইন রাজ্যের সকল মানুষের জন্য একান্ত ভাবে প্রযোজ্য। ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস’-এর ভাবনা নিয়ে কাজ করবে। এই আইন দেবভূমির নারী এবং শিশুদের ক্ষমতায়ণকে আরও বিস্তৃত করবে। আইনের সুবিধা পেতে একটি পোর্টাল এবং মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। জনসাধারণের সুবিধার জন্য এই আইনকে আরও সহজ করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ জঙ্গিদের হাতে অনায়াসে কি চলে যাচ্ছে পাসপোর্ট? বিরাট আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

    প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে

    উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার ২০২২ সালের মার্চ মাসে নবগঠিত সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইউসিসি (Uniform Civil Code) বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। এরপর অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বিল ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভায় পাশ হয়। এর পর বিলটি রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে। ২০২৪-এর ১২ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইউসিসি আইনকে বাস্তবায়িত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকারিকদের সমস্ত প্রয়োজনীয় সুবিধার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, কার্যকর কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share