Blog

  • Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার থেকে ৫০০ এবং কাওয়ার্ধা থেকে ৩৫০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Infiltrators) ফেরত পাঠানো হয়েছে। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা। অবৈধ জবরদখল প্রবণতার জন্য বাংলাদেশি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরে তোলপাড় চলছে ছত্তিশগড়ে। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় অবৈধ বাংলাদেশি অনিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশের কারণে বন্‌ধ পালিত হয়েছিল। যা বিরাট প্রভাব ফেলেছিল এই রাজ্যের রাজনীতিতে।

    সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না (Chhattisgarh)

    ৯ ডিসেম্বর ভিলাইতে একটি বিশেষ জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, “রাজ্য থেকে প্রায় ৮৫০ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltrators) বিতাড়িত করেছি। কোন্ডাগাঁও থেকে ৪৬ জন অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। আরও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে সরকার ব্যাপক ভাবে কাজ করছে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলগুলির সঙ্গে কোনও রকম সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না।”

    আদিবাসী সামজের বন্‌ধ

    ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বেশ কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশি মুসলমানদের অবৈধ অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltrators) এবং এলাকা দখলের বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে সরব হয়েছে স্থানীয় জনজাতিরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বন্‌ধ ডেকেছিল স্থানীয় আদিবাসীরা। সেখানে দোকান, বাজার, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছিল। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হয়েছিল। এখানকার আদিবাসী সমাজের বক্তব্য হল, “বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে চোরা পথে ভারতে ঢুকে ওরা (বাংলাদেশি) এখানকার জায়গা দখল করছে। শহর, গ্রামের সর্বত্র তারা নিজেদের বসতি গড়ে আমাদের জামি জায়গা দখল করে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের ভারত থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও জনবিন্যাসকে বদলে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

    অপর দিকে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ছত্তিশগড়ে ব্যাপক অভিযান চলছে। বস্তার আইজি সুন্দর রাজ পি-এর মতে, বস্তার এবং কোন্ডাগাঁও উভয় জেলাকেই কয়েক দশকের বিদ্রোহের পর মাওবাদীমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, “রাজ্যের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন প্রচেষ্টা, তীব্র নিরাপত্তা অভিযান এক সঙ্গে চলছে। এই অঞ্চলে মাওবাদীদের কার্যকলাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিক দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Malhotra: শক্তিকান্ত দাসের পর আরবিআইয়ের নয়া গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা, চেনেন তাঁকে?

    Sanjay Malhotra: শক্তিকান্ত দাসের পর আরবিআইয়ের নয়া গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নয়া গভর্নর নিযুক্ত হলেন সঞ্জয় মালহোত্রা (Sanjay Malhotra)। শক্তিকান্ত দাসের (Shaktikanta Das) স্থলাভিষিক্ত হলেন সঞ্জয়। তিনি হলেন আরবিআইয়ের ২৬তম গভর্নর (RBI Governor)। আজ, মঙ্গলবার শেষ হবে শক্তিকান্তের কার্যকালের মেয়াদ। তার পর, বুধবার থেকে আরবিআইয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব সচিব মালহোত্রা। ১৯৯০ ব্যাচের রাজস্থান ক্যাডারের আইএএস অফিসার তিনি।

    শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)

    কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের হয়েই অর্থ দফতরে কাজ করেছেন সঞ্জয় (Sanjay Malhotra)। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর নীতি তৈরিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ২০১৮ সালে উর্জিত পটেল আরবিআইয়ের গভর্নর পদে ইস্তফা দিলে নিয়োগ করা হয় শক্তিকান্তকে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তিন বছর তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করে মোদি সরকার। এদিনই শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদও। আরবিআইয়ের ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদি গভর্নর (RBI Governor) হলেন শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। এর আগে, সাড়ে সাত বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে ছিলেন বেনুগোপাল রামা রাও। শক্তিকান্তের ঝুলি অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। তিনি কাজ করেছেন বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কে। আটটি কেন্দ্রীয় বাজেটের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন তিনি। ১৫তম অর্থ কমিশনের সদস্যও ছিলেন শক্তিকান্ত। ভারতের জি২০ শেরপা হিসেবেও কাজ করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    চিনুন সঞ্জয় মালহোত্রাকে (Sanjay Malhotra)

    এই শক্তিকান্তেরই জায়গায় বসানো হল সঞ্জয়কে। তিনি আইআইটি কানপুরের প্রাক্তনী। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক ডিগ্রি। আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও লাভ করেছেন তিনি। অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব সচিব হওয়ার আগে আর্থিক পরিষেবা বিভাগের সচিবের দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে প্রশাসনিক কাজের দীর্ঘ ৩৩ বছরের অভিজ্ঞতা। বিদ্যুৎ, কর, তথ্যপ্রযুক্তি ও খনির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন  সঞ্জয় (Sanjay Malhotra)। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে (RBI Governor) তাঁর মেয়াদ হবে তিন বছর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আবাস নিয়ে তৃণমূলের ব্যাপক দুর্নীতি! পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত অফিসে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    BJP: আবাস নিয়ে তৃণমূলের ব্যাপক দুর্নীতি! পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত অফিসে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার (Awas Yojana) তালিকা তৈরি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। তার জেরে এর আগে বাতিল হয়েছিল গ্রামসভা। এ বারে সেই আবাসের তালিকা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে চলল বিক্ষোভ। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা পঞ্চায়েতের ঘটনা। মূলত বিজেপির (BJP) স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে আয়োজিত ওই বিক্ষোভে শামিল হন এলাকার শতাধিক মহিলা।

    ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ (BJP)

    বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাধারণ মহিলারা ঝাঁটা হাতে পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের মধ্যে বাঘাডাবর গ্রামের চিন্তা মাহালি, বারমেস্যা গ্রামের বিজলা হেমব্রমরা বলেন, “আমাদের কাঁচা বাড়ি আছে। দিনমজুরি করে সংসার চলে। প্রথমে তালিকায় নাম থাকলেও পরে বাদ গিয়েছে। কেন আমাদের নাম বাদ গিয়েছে, তার উত্তর নিতেই পঞ্চায়েতে এসেছি।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, প্রথমে ১৭১৯ জন উপভোক্তার নাম ছিল আবাসের তালিকায়। শেষমেশ তা ঠেকেছে ৮১৭ জনে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ও বিজেপির অভিযোগ, দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা যথাযথভাবে হয়নি। যাঁরা দুঃস্থ, কাঁচা ভাঙা বাড়িতে বসবাস করে, তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। পরিবর্তে এমন অনেকের নাম রয়েছে, যাঁরা যথেষ্ট সচ্ছল।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির (BJP) স্থানীয় নেতা সন্তু তেওয়ারি বলেন, ‘‘প্রথম বার সমীক্ষা শেষে আবাস তালিকা প্রকাশের পরে তাতে গোলমাল নজরে এসেছিল। আমাদের তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান গোটা রাত ব্লক অফিস চত্বরে বসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এ বারে ফের সমীক্ষার পরে দেখা যাচ্ছে, যোগ্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপির প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে কর্মীদের অনেকে ভাঙা বাড়িতে থাকলেও তাঁদের নাম তৃণমূলের চাপে প্রশাসন বাদ দিয়েছে। অভিযোগ মানতে নারাজ পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধা তৃণমূলের সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দ্বিতীয় দফ সমীক্ষা তথা সুপার সার্ভে সবটাই ব্লক প্রশাসন করেছে। পঞ্চায়েতের কোনও ভূমিকাই ছিল না।’’ ব্লকের সমাজকল্যাণ দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আধিকারিক কল্যাণপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তালিকা প্রকাশের পরে যাঁরা নাম নথিভুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদের কয়েক জনের নাম তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু গ্রামসভার দিনে গ্রামবাসী তা ব্যাখ্যা করার সুযোগটাই দেননি।’’  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Meditation Day: ২১ ডিসেম্বর বিশ্ব ধ্যান দিবস, ভারতের প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের

    World Meditation Day: ২১ ডিসেম্বর বিশ্ব ধ্যান দিবস, ভারতের প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রচীন জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য এখন বিশ্বব্যাপী আলোচ্য এবং চর্চিত বিষয়। তাকে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) তরফে ২১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব ধ্যান দিবস (World Meditation Day) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই ভারত কতটা জ্ঞান সমৃদ্ধ ছিল এই ঘোষণা তারই প্রমাণ। বিশ্বব্যাপী সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে ধ্যানের প্রয়োজনীয়তা একান্ত আবশ্যক। প্রাচীন মুনি-ঋষিদের দীর্ঘায়ুর প্রধান কারণ ছিল এই ধ্যান এবং যোগ সাধনা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষণায় বিশ্বের দরবারে ভারতের প্রচীন জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের গৌরব যে আরও বৃদ্ধি পেল তা প্রত্যেক ভারতীয় এখন আরও বেশি মনে প্রাণে বিশ্বাস করছেন।

    যুদ্ধ-অস্থিরতার বিরুদ্ধে শান্তি আনবে ধ্যান (World Meditation Day)

    সংযুক্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) সাধারণ সভায় ২১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব ধ্যান দিবস (World Meditation Day) হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব পেশ করে লিচেনস্টাইন। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মেক্সিকো, অ্যান্ডোরা এবং ভারত। একই ভাবে পূর্ণ সমর্থন দেয় বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া, মরিশাস, মোনাকো এবং আইসল্যান্ড-এর মতো দেশগুলি। তাতে বলা হয়, এই ধ্যান হল এমন এক বিষয় যা গোটা বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান, যুদ্ধ, অস্থিরতার বিরুদ্ধে শান্তি এনে দিতে পারে। ধ্যানের গুরুত্ব মানব জীবনে অতুলনীয়। এর পরই প্রস্তাব গৃহীত হয় ওই সভায়।

    বিশ্ব একটি পরিবার

    রাষ্ট্রসঙ্ঘ (United Nations) ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাারভাথানেনি হরিশ এই প্রস্তাবের জন্য বিশেষ ভাবে গর্ব অনুভব করেন। একই সঙ্গে বিশ্বের দরবারে এই ধ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “মানব সমাজের সুস্থতার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ (World Meditation Day) ভারতের জন্য বসুধৈব কুটুম্বকম অর্থাৎ বিশ্ব একটি পরিবার এই ভাবনার প্রকাশ দেখা গিয়েছে। বিশ্ব জুড়ে শান্তি এবং সম্প্রীতির জন্য এই ভাবনা একান্ত ভাবে আবশ্যক। সকলের জন্য মঙ্গল কামনা হল এর প্রধান উদ্দেশ্য।”

    আরও পড়ুনঃ উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    যোগদিবসের পরিপূরক

    এই শীতকালের ২১ ডিসেম্বরকে দিন ঠিক করার কারণ হল, এই সময় শীতকালীন অয়নকালের (Winter Solstice) সঙ্গে মিলে যায়, সূর্যের উত্তরায়ণের সূচনাকে চিহ্নিত করা যায়। সেই সঙ্গে মানুষের অভ্যন্তরীণ স্তরে আধ্যাত্মিক ভাবে শারীরিক, মানসিক ভাবনার রূপান্তরকে প্রভাবিত করবে বলে জানানো হয়। ২১ জুন, গ্রীষ্মকালীন অয়নকালের (Summer Solstice) সময় পালিত হয় বিশ্ব যোগ দিবস। ফলে তাকে মাথায় রেখে পরিপূরক হিসেবে ২১ ডিসেম্বর (World Meditation Day) ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতের প্রাচীন যোগ, ধ্যান, বিজ্ঞান চর্চা, শিল্প স্থাপাত্য, ভাস্কর্য, চারুকলা-সহ নানা প্রাচীন জ্ঞান পরম্পরায় যে মানব জীবনের মোক্ষের ধারণা লুকিয়ে রয়েছে তা বিশ্ববাসীর কাছে ক্রমে ক্রমেই প্রকট হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    One Nation One Election: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ হতে পারে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিল। সরকারি সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসেই ইঙ্গিত মিলেছিল, বিলটি পেশ হতে পারে শীতকালীন অধিবেশনে। সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Parliament Session)।

    পেশ হতে পারে বিল (One Nation One Election)

    জানা গিয়েছে, সরকার এই বিলটি পেশ করবে। পরে সেটি পাঠানো হবে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। সূত্রের খবর, জেপিসি সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। সরকার আলোচনায় বিভিন্ন স্তরের অংশীদারদেরও যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। সমস্ত রাজ্য বিধানসভার স্পিকারদের মতামত নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদেরও যুক্ত করা হবে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, যদি শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ করা নাও হয়, তাহলে বিলটি পেশ হবে বাজেট অধিবেশনে।

    এক দেশ, এক নির্বাচন

    এক দেশ, এক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা কতটা বাস্তবসম্মত, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করেছিল মোদি সরকার। এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। চলতি বছরের মার্চ মাসেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তার পরেই কোবিন্দ কমিটির প্রস্তাব পাশ হয় মোদির মন্ত্রিসভায়। এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) ব্যবস্থা চালু করতে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোগী বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। এই ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। বিলটি পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলে সারা দেশে এক সঙ্গে হবে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হিন্দুরা, ঢাকার সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট জানাল ভারত

    এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। মোদি সরকারের যুক্তি, এই ব্যবস্থা চালু হলে নির্বাচন করতে যে বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়, তা কমে যাব। তাছাড়া, আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ায় বারবার থমকে যাবে না উন্নয়নমূলক কাজ। সরকারি কর্মীদেরও চাপ কমে যাবে। নির্বাচন হলে ভোটার তালিকা প্রস্তুত থেকে নানা কাজে যুক্ত হন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের ওপর চাপ পড়ার পাশাপাশি, ব্যাহত হয় (Parliament Session) সরকারি কাজকর্মও। দেশজুড়ে এক সঙ্গে নির্বাচন (One Nation One Election) হলে, বন্ধ হবে এসবই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: অস্ত্র ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা বাসিন্দাদের দেখাল বিএসএফ

    BSF: অস্ত্র ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা বাসিন্দাদের দেখাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত হামলার ঘটনা ঘটছে। কলকাতা দখলের হুমকি দিয়েছে তারা। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দফতরও সক্রিয়। এই আবহের মধ্যে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়, তা সীমান্ত এলাকার আমজনতাকে দেখাল বিএসএফ।

    বিএসএফের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়? (BSF)

    সীমান্তে শত্রু পক্ষের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বিএসএফের (BSF) ব্যবহৃত অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রদর্শনী-সহ সীমান্তে অপরাধমূলক কাজ রুখতে ডগ স্কোয়াডের প্রদর্শনীও হয়। বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলার গ্রাম এবং শহরগুলিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার জলপাইগুড়ি শহরে অস্ত্র প্রদর্শনী, কেরিয়ার কাউন্সিলিং-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়র রাজীব গৌতম সহ ৯৮/১৫১/০৬/৪০ নম্বর কোম্পানির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, “সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্তের জন্য ব্যাপক বড় পরিকল্পনা আনছি। নিরাপত্তা বলয়ে কমপ্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আনছি।” এই পরিস্থিতি বিএসএফের এই উদ্যোগ অভিনব।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সীমান্তে কড়া নজরদারি বিএসএফের

    বাংলাদেশ জুড়ে অশান্ত পরিবেশ। এই অবস্থায় বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তারা। কারণ, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তের (BSF) ৯০০ কিলোমিটারের বেশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে আবার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি বর্ডারে কাঁটাতার নেই। এইসব কাঁটাতারহীন সীমান্ত দিয়ে অবাধ অনুপ্রবেশ করতে পারে বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলার বর্ডারকেই টার্গেট করে। কারণ, এই তিন জেলা থেকে ভারতে প্রবেশ করলে খুব সহজেই শহর কলকাতার ভিড়ে মিশে যাওয়া যায়। কিছুদিন আগেই কলকাতার একটি হোটেল থেকে সেলিম মাতব্বর নামে একজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বাংলাদেশের বিএনপি দলের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তিনি ২০২৩ সালে নদিয়া জেলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সেই কারণে বর্ডার এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিএসএফ।

    দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিএসএফের (BSF) দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি নীলোৎপল কুমার পাণ্ডে বলেন, “বিএসএফ সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান রুখতে কড়া নজরদারি চালায়। বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে অনুপ্রবেশ রুখতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। জওয়ানদের সব সময়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, জওয়ানদের সাইকেল, সার্চ লাইট, দূরবীন সহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: চাপে বাংলাদেশ! ভারতের একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, জানালেন ঢাকার উপদেষ্টা

    India Bangladesh Relation: চাপে বাংলাদেশ! ভারতের একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, জানালেন ঢাকার উপদেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার প্রসঙ্গে চাপে ঢাকা। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সংযোগ আরও বাড়ানোর কথা বলেছে বাংলাদেশ। তবে, ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হল মানুষ। দুই দেশের মানুষের স্বার্থকেই সামনে রেখে এগোনোর কথা বলেছে দিল্লি। সেক্ষেত্রে পদ্মা পাড়ে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের চাপ

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) গিয়ে বৈঠক করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বর্তমান একাধিক ইস্যু নিয়ে ভারতের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্তমান পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক তা স্পষ্ট ভাবেই ঢাকায় বলে এসেছেন বিদেশ সচিব। তবে বিক্রম মিস্রি ফিরে আসার পর, বাংলাদেশের তরফে ভারতের বিদেশ সচিবের সফরের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করতে গিয়ে সরকারের উপদেষ্টা জানান, ভারতের তরফে একাধিক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিষয় তাঁরা জবাব দিয়েছেন। উপদেষ্টার বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে বৈঠকে ভারতের তরফে চাপ কতটা ছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    মানুষের স্বার্থেই সু-সম্পর্ক

    গত ৫ অগাস্ট কোটা আন্দোলনের জেরে মসনদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে চলে আসেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার ভারতে আসার পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় বিদেশ সচিব গেলেন ঢাকায়। সোমবার ঝটিকা সফরে ঢাকায় পৌঁছন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে তিনি বিদেশ সচিব স্তরের বৈঠকের পর বিকেলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন ‘যমুনা’য় মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে পেশ করা নথিতে বলা হয়েছে, বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘আমি (বাংলাদেশে) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং কূটনৈতিক সম্পত্তির উপর হামলার কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছি আমরা।’’ ভারতের তরফে সাফ বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই সমস্ত বিষয়ে একটি গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি আশা করি এবং আমরা সম্পর্কটিকে ইতিবাচক, দূরদর্শী এবং গঠনমূলক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করি।’’ অন্যদিকে, ভারতে শেখ হাসিনার উপস্থিতির কথা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OBC Certificate Case: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    OBC Certificate Case: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়। ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate Case) বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের দেওয়া কয়েক লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশে এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, সোমবার মামলা গ্রহণ করে এই মৌখিক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। কীভাবে ৭৭টি সম্প্রদায়, যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত, তাঁদের ওবিসি বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে? এই মর্মে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল শীর্ষ আদালত। 

    ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ কেন

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ওবিসি শংসাপত্র বাতিল (OBC Certificate Case) মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। এই রাজ্যে মোট বাসিন্দার ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু। তার মধ্যে ২৭ শতাংশ মুসলিম। রঙ্গনাথ কমিশন মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশের একটি রায়কে সামনে রেখে ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। অথচ অন্ধ্রে ওই রায় স্থগিত রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    রাজ্যকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    গত ২২ মে হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল (OBC Certificate Case) করে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে এদিন বিচারপতি বিআর গাভাই ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলার শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী জানায়, পিছিয়ে পড়া অংশকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম ছাড়াও অন্য সম্প্রদায় রয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাজ্যের তৈরি সংরক্ষণের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের পর্যবেক্ষণ, কমিশন গঠন না-করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করতে পারে। বিচারপতি গাভাই জানিয়েছেন, হাইকোর্ট বলেছে শ্রেণিবিন্যাস করে রাজ্য বিধানসভায় পেশ করুক। রাজ্য কেন নিজের ক্ষমতায় তা করতে পারবে না? রাজ্য পাল্টা দাবি করে, হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তারা এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না। আগামী জানুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা দখলের হুমকির পর বাংলা-বিহার-ওড়িশা দখলের ডাক। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন সেনা কর্মী থেকে বিএনপি নেতা, পদ্মাপাড়ে এক শ্রেণির মুখে হুমকির ফুলঝুরি। অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের নেতাদের এই হুমকি মানায় না। তাঁদের ক্ষমতা কতটুকু তা বোঝা উচিত। ভারতের ভূমি দখলের হুমকির পর বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বাংলাদেশকে নিশানা

    বাংলাদেশ ইস্যুতে আগেই হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এবার দখলের প্রসঙ্গে কার্যত ব্যঙ্গ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি খবর পেয়েছি, ঢাকা থেকে তিন লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য। আরে ওদের আছেটা কী ভাই? রাফাল রাখা আছে হাসিমারায়। শুধু আওয়াজ দিতে হবে…। আমি আগেও বলেছি, আজও বলেছি প্যান্টে বাথরুম হবে।” এদিন এই একই ইস্যুতে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বিধানসভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “যাঁরা বলছেন দখল করবেন, তাঁরা ভাববেন না, আমরা বসে ললিপপ খাব।” তিনি আরও বলেন, “আপনার সেই ক্ষমতা নেই। আমরা যথেষ্ট সক্রিয়, কিন্তু ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিই।” 

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    তবে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “উনি ভারত সরকারকে চিঠি দিতে পারেন। বাংলাদেশের ঘটনায় পশ্চিম বাংলায় ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে। মুখরক্ষার জন্য এটা বলছেন উনি। আবার ওনার সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সরাসরি মহম্মদ ইউনূসকে সমর্থন করছেন। নরেন্দ্র মোদিজির নিন্দা করছেন। বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, ফিরহাদ হাকিমকে রাণী রাসমণি রোড ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। আর হিন্দুরা জাতীয় পতাকা নিয়ে, কলকাতার বুকে প্রতিবাদ করতে গেলে, হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হয়। অর্থাৎ একই অঙ্গে বহু রূপ। এই সব কথার কোনও মূল্য আছে বলে আমি মনে করি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ, সাফ জানিয়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা

    Darjeeling: বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ, সাফ জানিয়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জাতীয় পতাকাকে প্রকাশ্যে অপমান। এমনকী ভারতকে নিয়ে নানা কটূ মন্তব্য মেনে নিতে পারছেন না এপারের বাসিন্দারা। আগেই এপার বাংলার বহু চিকিৎসক বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই আবহের মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) হোটেল ব্যবসায়ীরা। দার্জিলিংয়ের কোনও হোটেলে আর বাংলাদেশি (Bangladeshis) পর্যটকদের জায়গা হবে না। সোমবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানাল পাহাড়ের হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন।

    বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট (Darjeeling)

    পাহাড়ের হোটেলে (Darjeeling) বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট করার জল্পনা চলছিল কয়েক দিন ধরে। বিভিন্ন সংগঠন এবং হোটেল ব্যবসায়ী সম্মিলিত ভাবে এই বয়কটের কথা ঘোষণা করলেন। ‘গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে সোমবার বলা হয়, দার্জিলিং পুলিশ জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন হোটেল এবং তার বাইরেও যে সমস্ত হোটেল রয়েছে তাদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছে। সেখানে অধিকাংশ ভোট গিয়ে পড়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের বিরুদ্ধে। তাই এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। শীতের মরসুমে পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছরই এই সময় গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক শৈলশহরে বেড়াতে আসেন। তাঁদের ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত কঠিন বলে মেনে নিয়েও ব্যবসায়ী সংগঠন বলছে, “দেশের থেকে বড় কিছুই নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    আগে দেশ, ব্যবসার ক্ষতি হবে, হোক!

    সাংবাদিক বৈঠকে ‘গ্রেটার শিলিগুড়ি (Darjeeling) হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন সংগঠন স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী ভোটপ্রক্রিয়া হয়েছিল। তাতে প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট বাংলাদেশিদের বিপক্ষে পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “সেই কারণে বাংলাদেশের পর্যটকদের আপাতত হোটেলে জায়গা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত যেন সবাই মেনে চলেন। মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণও করা হবে। এমনকী, ‘স্টুডেন্ট’ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত ভিসা দেখিয়েও দার্জিলিংয়ের কোনও হোটেলে বাংলাদেশের কোনও নাগরিক জায়গা পাবেন না। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের প্রতি কটূক্তির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যত দিন না ওই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ দুঃখপ্রকাশ এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করে বিবৃতি দেবে, তত দিন ওই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।” পাশাপাশি ‘ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর’-এর সদস্য দেবাশিস মৈত্র বলেন, “আমাদের কাছে আগে দেশ। ব্যবসার ক্ষতি হবে, হোক। হোটেল সংগঠন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share