Blog

  • Ramakrishna 206: “কত শবদেহ জ্বলিতেছে, কত ভস্মাবশেষ…সেই অন্ধকার রজনীতে শ্মশান কি ভয়ঙ্কর হইয়াছে”

    Ramakrishna 206: “কত শবদেহ জ্বলিতেছে, কত ভস্মাবশেষ…সেই অন্ধকার রজনীতে শ্মশান কি ভয়ঙ্কর হইয়াছে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita) 

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা (Kathamrita) চলিতে লাগিল। বিশ্বামিত্র বলিলেন, “মহারাজ! আমাকে সসাগরা পৃথিবী দান করিয়াছ, অতএব ইহার ভিতর তোমার স্থান নাই। তবে ৺কাশীধামে তুমি থাকিতে পার। সে মহাদেবের স্থান। চল, তোমাকে, তোমার সহধর্মিণী শৈব্যা ও তোমার পুত্র সহিত সেখানে পৌঁছাইয়া দিই। সেইখানে গিয়া তুমি দক্ষিণা যোগাড় করিয়া দিবে।” এই বলিয়া রাজাকে লইয়া ভগবান (Ramakrishna) বিশ্বামিত্র ৺কাশীধাম অভিমুখে যাত্রা করিলেন। কাশীতে পৌঁছিয়া সকলে ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন করিলেন।

    ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন কথা হইবামাত্র, ঠাকুর একেবারে ভাবাবিষ্ট; ‘শিব’ ‘শিব’ এই কথা অস্পষ্ট উচ্চারণ করিতেছেন।

    রাজা হরিশ্চন্দ্র দক্ষিণা দিতে পারিলেন না—কাজে কাজেই শৈব্যাকে বিক্রয় করিলেন। পুত্র রোহিতাশ্ব শৈব্যার সঙ্গে রহিলেন। কথকঠাকুর শৈব্যার প্রভু ব্রাহ্মণের বাড়ি রোহিতাশ্বের পুষ্পচয়ন কথা ও সর্পদংশন কথাও বলিলেন। সেই তমসাচ্ছন্ন কালরাত্রে সন্তানের মৃত্যু হইল। সৎকার করিবার কেহ নাই। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ প্রভু শয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিলেন না—শৈব্যা একাকী পুত্রের শবদেহ ক্রোড়ে করিয়া শ্মশানাভিমুখে আসিতে (Kathamrita) লাগিলেন। মাঝে মাঝে মেঘগর্জন ও অশনিপাত—নিবিড় অন্ধকার যেন বিদীর্ণ করিয়া এক-একবার বিদ্যুৎ খেলেতেছিল। শৈব্যা ভয়াকুলা শোকাকুলা,—রোদন করিতে করিতে আসিতেছেন।

    হরিশ্চন্দ্র দক্ষিণার টাকা সমস্ত হয় নাই বলিয়া চণ্ডালের কাছে নিজেকে বিক্রয় করিয়াছেন। তিনি শ্মশানে চণ্ডাল হইয়া বসিয়া আছেন। কড়ি লইয়া সৎকার কার্য সম্পাদন করিবেন। কত শবদেহ জ্বলিতেছে, কত ভস্মাবশেষ হইয়াছে। সেই অন্ধকার রজনীতে শ্মশান কি ভয়ঙ্কর হইয়াছে। শৈব্যা সেই স্থানে আসিয়া রোদন করিতেছেন—সে ক্রন্দন-বর্ণনা শুনিলে কাহার না হৃদয় বিদীর্ণ হয়, কোন্‌ দেহধারী জীবের হৃদয় বিগলিত না হয়? সমবেত শ্রোতাগণ হাহাকার করিয়া কাঁদিতেছেন।

    ঠাকুর (Kathamrita) কি করিতেছেন? স্থির হইয়া শুনিতেছেন—একেবারে স্থির—একবার মাত্র চক্ষের কোণে একটি বারিবিন্দু উদ্‌গত হইল, সেইটি মুছিয়া ফেলিলেন। অস্থির হইয়া হাহাকার করিলেন না কেন?

    শেষে বিশ্বামিত্রের আগমন, রোহিতাশ্বের জীবনদান, সকলে ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন ও হরিশ্চন্দ্রের পুনরায় রাজ্যপ্রাপ্তি বর্ণনা করিয়া, কথকঠাকুর কথা সাঙ্গ করিলেন। ঠাকুর বেদীর সম্মুখে বসিয়া অনেকক্ষণ হরিকথা শ্রবণ করিলেন। কথা সাঙ্গ হইলে তিনি বাহিরের ঘরে গিয়া বসিলেন। চতুর্দিকে ভক্তমণ্ডলী, কথকঠাকুরও (Ramakrishna) কাছে আসিয়া বসিলেন। ঠাকুর কথককে বলিতেছেন, “কিছু উদ্ধব-সংবাদ বল।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ওপার বাংলায় তেরঙার অসম্মান, বাংলাদেশের রোগী দেখবে না কলকাতার হাসপাতাল

    Bangladesh Crisis: ওপার বাংলায় তেরঙার অসম্মান, বাংলাদেশের রোগী দেখবে না কলকাতার হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হাত ধরেই স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। পদ্মা-পাড়ের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। সেই বাংলাদেশেই এখন ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়িয়ে চলছে যাতায়াত। তাও আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, পরিকল্পিত ভাবে। দ্বিধাহীনভাবে তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। ছবি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। জনরোষ বাড়ছে এপার বাংলায়। এবার বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা করল কলকাতার একটি হাসপাতাল। একই পথে হেঁটে বাংলাদেশি রোগী দেখা বন্ধ করলেন এক চিকিৎসকও।

    হাসাপাতালে নিষেধাজ্ঞা

    উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার জেএন রায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘‘আপাতত বাংলাদেশি রোগী দেখা বন্ধ। ভারতের চিকিৎসায় সুস্থ থেকে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা, এটা হতে পারে না।’’ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ডিরেক্টর শুভ্রাংশু ভক্তের কথায়, ‘‘কারণটা খুব স্পষ্ট। যারা আমাদের দেশের সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করল, সেখানকার বর্তমান প্রজন্ম ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে। এমনটা মেনে নেওয়া যায় না। তাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা রাখার দরকার নেই বলেই মনে করি। গোটা বিশ্ব দেখছে বাংলাদেশে কী হচ্ছে। ওখানকার মানুষ এর পরও কোন মুখে এখানে আসছে?’’

    ‘ডক্টর্স ওথ’-এর অবমাননা 

    এই মুহূর্তে কোনও বাংলাদেশি রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি নেই। তবে নতুন করে আর ওপার বাংলার কোনও রোগী ভর্তি নিচ্ছে না জেএন রায় হাসপাতাল। কোনও রকম এনকোয়্যারি এলে স্পষ্টভাবে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে কোনওভাবেই ‘ডক্টর্স ওথ’-এর অবমাননা হচ্ছে, বলে মনে করেন না চিকিৎসক শুভ্রাংশু ভক্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সিদ্ধান্ত যদি অমানবিক হয় তাহলে ওখানে যা হচ্ছে তা কি মানবিক? আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ধীরে ধীরে আরও অনেকে এই সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

    ভারত-বিরোধী স্লোগান বাংলাদেশে

    বাংলাদেশ না পাকিস্তান বোঝা দায়! পদ্মা-পাড়ে এখন ভারতবিরোধী স্লোগান উঠছে মুহুর্মুহু। অথচ নীরব ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে দেশে প্রতিদিন লাঞ্ছিত, নিগৃহীত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ হিন্দু। তছনছ করা হচ্ছে একাধিক মঠ, মন্দির। সে দেখে সংখ্যালঘুদের অধিকার চেয়ে আন্দোলন করা সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ জেলবন্দি। এই ঘটনায় প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে ভারতে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে বহু রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগী দেখা বন্ধ রাখলেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা। 

    চিকিৎসকের প্রতিবাদ

    সোশ্যাল মিডিয়ায় চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং অফ টেকনোলজি’র (বিইউইটি) ভারতীয় পতাকায় পা দিয়ে চলে যাওয়ার ছবিটি পোস্ট করেছেন।  দেশের পতাকার অসম্মানের প্রতিবাদে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিইউইটি ইউনিভার্সিটির প্রবেশপথে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বিছিয়ে রাখা! চেম্বারে বাংলাদেশের রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রাখছি ৷ আগে দেশ, পরে রোজগার৷ আশা রাখব, সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া অবধি অন্য চিকিৎসকরাও তাই করবেন৷’’ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকেই। বাংলাদেশ থেকে বিশাল সংখ্যায় মানুষ এদেশে বিশেষত কলকাতায় আসে চিকিৎসা করাতে। কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় থেকে তাঁরা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কিন্তু তাঁরাই ফিরে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। যার প্রতিবাদ এবার ধরা পড়ল শহরের হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chhattisgarh Odisha: ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার ১৩ মাওবাদী, ওড়িশায় আটক কুখ্যাত নেত্রী অ্যান্টি মাদভি

    Chhattisgarh Odisha: ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার ১৩ মাওবাদী, ওড়িশায় আটক কুখ্যাত নেত্রী অ্যান্টি মাদভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh Odisha) কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্যোগে বিশেষ অভিযান। গ্রেফতার ১৩ মাওবাদী (Maoists)। ধৃত এই মাওবাদীদের মধ্যে রয়েছেন কুখ্যাত কোসা পুনমে ওরফে হাডমা। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ২ লাখ টাকা। এদিকে, ওড়িশার মালকানগিরি থেকে কুখ্যাত মাওবাদী ক্যাডার অ্যান্টি মাদভিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর মাথার দামও ঘোষণা করা হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা। দুই রাজ্যের বিজেপি সরকার যে মাওবাদী দমনে আরও কড়া মনোভাব পোষণ করেছে, এই দুটি ঘটনাই তার প্রমাণ। 

    মাও দমনে অভিযান (Chhattisgarh-Odisha)

    গত ২৯ নভেম্বর ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Odisha) বীজাপুর এলাকায় গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনেই লুকিয়ে ছিল নিষিদ্ধ সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (মাওবাদী Maoists) জাগারগুণ্ডা এলাকার নেত্রী হাডমা। গত কয়েক বছর ধরে ফেরার ছিলেন তিনি। অভিযানে বীজাপুরের তারেম থানা থেকে ৩ জন, আওয়াপল্লি থেকে ৫ জন এবং জংলা থানা এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ, কোবরা বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া অধিকাংশ মাওবাদীর বয়স ১৯ থেকে ৪০-এর মধ্যে। তাঁরা প্রত্যেকে সক্রিয় ভাবে নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছ থেকে টিফিন বোমা, বিস্ফোরক যন্ত্র, বিস্ফোরক দড়ি, গুলি, অস্ত্র ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে।

    হাডমা কে?

    হাডমা (Maoists) হলেন বস্তার (Chhattisgarh Odisha) এলাকার একজন ভয়ঙ্কর মাওবাদী নেতা। বেশ কিছু নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। জাগারগুন্ডা এলাকায় তিনিই নেতৃত্ব দিয়ে নাশকতামূলক কাজকর্ম চালাতেন। একাধিকবার নিরাপত্তা বাহিনী এবং সামরিক বাহিনীর উপর হামলার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ‘পরিবারের যত্ন নিন’, ওড়িশায় দলীয় বৈঠকে কর্মীদের ‘পরামর্শ’ প্রধানমন্ত্রীর

    অ্যান্টি মাদভি কে?

    অন্যদিকে, পুলিশ অ্যান্টি মাদভিকে (Maoists) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাতে জানা গিয়েছে, তিনি ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে মাওবাদী কার্যকলাপের নেতৃত্ব দিতেন। তিনি লেকি নামেও পরিচিত। তাঁর বাড়ি পুলহার গ্রামে। ছত্তিগড়ের বীজাপুর জেলা জংলা সীমান্তে সক্রিয় ভাবে কাজ করতেন তিনি। পশ্চিম বাস্তারের ১২ নম্বর প্লাটুনের ডেপুটি কমান্ডার সুক্রমের নেতৃত্বে ২০১৭ সালে মাওবাদী দলে যোগদান করে ছিলেন তিনি।

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Odisha) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেছিলেন, “গত ১১ মাসে ২১০জনেরও বেশি মাওবাদীকে নিকেশ করা গিয়েছে। নাগরিক জীবনকে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করাই বিজেপি সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। ২০২৬ সালের মধ্যেই রাজ্যে লাল সন্ত্রাসকে সমূলে উৎখাত করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: রাস্তায় আইসিসের পতাকা নিয়ে উল্লাস মিছিল! বাংলাদেশ কি ইসলামিক স্টেটে পরিণত হচ্ছে?

    Bangladesh: রাস্তায় আইসিসের পতাকা নিয়ে উল্লাস মিছিল! বাংলাদেশ কি ইসলামিক স্টেটে পরিণত হচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) আক্রমণের মুখে হিন্দুরা। লাগাতার চলছে অত্যাচার। বাড়িঘর, দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, ভাঙা হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এমনটাই অভিযোগ। এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে। এখানেই শেষ নয়। এবার অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি মৌলবাদীদের। ইসকনের নাম নিলে গলা নামিয়ে দেওয়া হবে— এমনটাই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উড়ল আইসিসের (ISIS) পতাকা। যা নিয়ে বাংলার দুই পারে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করছে বাংলাদেশ ক্রমশও ইসলামিক স্টেটে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই ঘটনা তা প্রমাণ করে দিল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    এতদিন ইউনূস সরকারের (Bangladesh) পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছিল জামাতে-ইসলামি মতো মৌলবাদী শক্তিরা। এবার যতদিন দিন যাচ্ছে সরকারের আসল চেহারা সামনে আসতে শুরু করেছে। এতদিন মুখোশের আড়ালে সবকিছু করলেও এখন ধীরে ধীরে দাঁত, নখ বের হতে শুরু করেছে। হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ থাকা জঙ্গি সংগঠনই এখন নতুন করে মাথা চাড়া দেওয়া শুরু করেছে। যা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের কাছে চরম আতঙ্কের। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উড়ল আইসিসের পতাকা। নামাজের পরে এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই মুহূর্তে আইসিস (ISIS)-র পতাকা নিয়ে মিছিল করে মৌলবাদীরা। প্রকাশ্যে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেল তাদের। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হুমকি, রাস্তায় উড়ল ইসলামিক স্টেটের পতাকা। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেল বাংলাদেশি মৌলবাদীদের।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    কারা করল এই মিছিল?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) রাস্তায় কালেমা সহ আইসিসের পতাকা ওড়ানোর ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মিছিল করেছিল নিষিদ্ধ হওয়া জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহেরি। শেখ হাসিনার সরকারের সময়কালে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। হাসিনা সরকারের পতনের পরই ফের সক্রিয় তারা। আইসিসের পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল তাদের। তহবিল জোগাড় করতেও দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পরই, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই নিষিদ্ধ সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এই হিজবুত তাহেরির নেতা মাহফুজ আলম বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের একজন উপদেষ্টাও বটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) কি হিন্দ শূন্য হয়ে যাবে? সম্প্রতি দেশটিতে যেভাবে (ISKCON) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, যেভাবে হিন্দু সন্ন্যাসীদের (ISKCON) মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তার পরে স্বভাবিকভাবেই উঠছে এই প্রশ্ন। দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজকে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ন্যায় বিচারের দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায় সমাবেশ করছে। তবে তারাও নির্মম দমন-পীড়ন ও হামলার মুখোমুখি হচ্ছে।

    চিন্ময় মহারাজ (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্তও চিন্ময় মহারাজকে আটকে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সনাতনী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাঁর আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করতে গিয়েও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির, জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, হরকা তুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলাম (হেই)-এর মতো উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সাজাপ্রাপ্ত জিহাদিরা। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় মহারাজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা সনাতনীদের। চিন্ময় মহারাজ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করেছেন, তিনি বিএনপির নেতা। ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করার পর পরের দিনই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে।

    হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

    চিন্ময় মহারাজ ছিলেন বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁকে গ্রেফতার করে হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিতে চেয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থী ও হিন্দু-বিরোধী এলিমেন্টরা চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। ২৭ নভেম্বর ভোরের দিকে চট্টগ্রাম শহরের মেথরপট্টি এলাকায় মনসা মায়ের মন্দিরে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। হজারিগলিতে কালী মন্দিরেও আগুন লাগিয়ে দেয় ইসলামপন্থী জনতা। হরিজন সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বহু হিন্দু বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, উগ্রপন্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলমানদের “ছুরি ধারালো করার” আহ্বান (ISKCON) জানাচ্ছে। তারা যাতে ইসকনের সদস্যদের হত্যা করতে পারে, তাই ছুরি ধারালো করার আহ্বান। চট্টগ্রাম শহরের হিন্দুরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর (Bangladesh Crisis)। এবারের অত্যাচার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    চরমে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার যদি এই হিংসা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে বহু হিন্দু খুন হতে পারেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন হিন্দু মহিলারা। চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর) বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার তুঙ্গে। নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। হামলা চালনো হচ্ছে হিন্দুদের বাড়িতে। রাতের অন্ধকারে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুনও। স্থানীয় মিডিয়াকে এই ঘটনাগুলো প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বেশিরভাগই কোনও এক অজানা কারণে নৃশংসতার এই ছবি তুলে ধরা থেকে বিরত থেকেছে।

    বিহারিদের অত্যাচার!

    ‘স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ’ কমিউনিটির সদস্যরা, যারা বিহারি নামেও পরিচিত, তারাও হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপরাধগুলো গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলি অদ্ভুতভাবে নীরব রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর কারণ সম্ভবত ইউনূসের প্রভাব এবং বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কানেকশনের কারণে (ISKCON)।

    ক্লিন্টনের কারবার

    দেশে লাগাতার হিন্দু নিধন যজ্ঞ চললেও, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আমেরিকা সফরের সময় ইউনূসকে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে, বিল ক্লিনটন নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী সংগঠন হিজব-উত-তাহরির-এর নেতা মাহফুজ আলমের প্রশংসা করেন। এই সংগঠন খিলাফত প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে। সেই সংগঠনেরই হয়ে সাফাই গাইতে দেখা যায় বিল ক্লিনটনকে। হিন্দুদের (Bangladesh Crisis) পীড়ন করার পাশাপাশি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাও শুরু করে দিয়েছে ইউনূস সরকার। অক্টোবরে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের গায়ে জঙ্গি সংগঠনের তকমা সেঁটে দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, সরকার আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

    এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামি শক্তির আধিপত্য। হিন্দু ও খ্রিষ্টান-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য তেমন কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। তাই সমালোচনাও হবে না। মৌলবাদীদের পাশাপাশি করেকম্মে (ISKCON) খাবে জঙ্গিরাও (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা, সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তি চাইল আরএসএস

    RSS: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা, সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তি চাইল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামে ফের একবার তিনটি মন্দিরে হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। এই আবহে সেদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি, হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ এবং ইসকনের গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি তুলেছেন। আরএসএস-র তরফ থেকে দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সকল সংখ্যালঘুদের উপর মৌলবাদীদের হামলা চলছে। বিশেষ করে মহিলাদের উপরে হামলা, খুন, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং অমানবিক অত্যাচারের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এর তীব্র নিন্দা জানায়।’’

    হিন্দুদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে

    একইসঙ্গে ওই বিবৃতিতে (RSS) আরও বলা হয়েছে, ‘‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেখানকার সরকার এই ধরনের হামলা বন্ধ করতে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারছে না। শুধুমাত্র তাই নয়, এই হামলা নিয়ে একেবারেই নীরব থাকছে অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের প্রশাসন। সরকারের কাছে সহযোগিতা না পেয়ে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা যখন নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে গর্জে উঠছে, নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামছে, তখন তাদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা চলছে।’’ ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানো বাংলাদেশ সরকারের অন্যায়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করা এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করে।’’

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মুখ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলল আরএসএস (RSS)

    দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার সন্ন্যাসী পূজ্যশ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহাপ্রভুকে গ্রেফতার করেছে। যিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অন্যতম মুখ। শান্তি ফেরানোর দাবিতে যিনি আন্দোলন করছিলেন।’’ একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যে ধরনের হামলা হিন্দুদের ওপর চলছে তা যেন অবিলম্বে বন্ধ হয় এবং চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়।

    ভারত সরকারের কাছে সঙ্ঘের (RSS) দাবি 

    একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ভারত সরকারের কাছেও দাবি জানিয়েছে যে, সরকার যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ  করে। আন্তর্জাতিক স্তরে এই ইস্য়ুতে যেন আলোচনা চালায় মোদি সরকার। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মনে করছে বাংলাদেশের এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে সারা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়ানোটা কর্তব্য। সারা বিশ্বে শান্তি এবং সম্প্রীতির স্বার্থে।

    গতকাল শুক্রবারই ইউনূস সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় ইউনূস সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে দিল্লি। একই সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনি অধিকার সুরক্ষিত রাখার আবেদনও জানাল ঢাকার কাছে। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আশা করব চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে। তাঁর আইনি অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে।’’

    এর আগে, বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই বাংলাদেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এনিয়ে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে। ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আমরা লাগাতার বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও বৈঠকের কথা হয়, তাহলে তা জানানো হবে।’’

    শুক্রবারই সংসদে বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী

    শুক্রবারই বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে লিখিত বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নিজের বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রত্যেকটি ঘটনার ওপরেই নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দোকান, ঘর, বাড়ি লুট করা হচ্ছে। মন্দিরগুলির ওপরে হামলা চালানো হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মস্থলগুলিতেও হামলা চলছে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার সরকারের দায়িত্ব।

    শুক্রবারও হামলা চলেছে চট্টগ্রামে

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপরে হামলা চলছেই। শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, মৌলবাদীদের একটি দল হামলা চালায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের তিনটি হিন্দু মন্দিরে। প্রত্যেকটি মন্দিরকেই ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চট্টগ্রামের হরিশচন্দ্র মুন্সি লেনে দুপুর আড়াইটা নাগাদ এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির ও তার নিকটবর্তী একটি শনি মন্দির এবং শান্তনেশ্বরী কালীবাড়িতে হামলা করা হয়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি ভিড় থেকে স্লোগান দিতে দিতে ইট নিয়ে হামলা চালানো হয় মন্দিরগুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: আদালতে ধাক্কা খাওয়া ইউনূস সরকারের নয়া চক্রান্ত, ফ্রিজ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

    ISKCON: আদালতে ধাক্কা খাওয়া ইউনূস সরকারের নয়া চক্রান্ত, ফ্রিজ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসকন (ISKCON) ইস্যুতে বাংলাদেশ কোর্টে জোর ধাক্কা খেয়ছে মৌলবাদীরা। কারণ, অনেক ইসলামপন্থি বাংলাদেশি তাঁদের দেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ‘ইসকন’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিতে সরব হয়েছিল। এই মর্মে বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি পিটিশনও দাখিল করা হয়। তবে আদালতে সেই পিটিশন খারিজ হয়ে যায়। আদালত সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়েছে। আদালতে কাজ হাসিল না হওয়ায় ‘রাগে’ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিল ইউনূস সরকার। অবশ্য ইউনূসকে সামনে রেখে পিছনে ছড়ি ঘোরানো মৌলবাদীরা ইসকনকে চাপে রাখতে সব রকমের কৌশল নেওয়া শুরু করেছে। এবার মূলত ইসকনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের দিকে ইউনূস সরকারের নজর রয়েছে!

    ইসকনের ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ! (ISKCON)

    বাংলাদেশের ইসকনের (ISKCON) ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিল দেশের অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছেন ধৃত সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসও। প্রথম আলো সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এক মাস এই অ্যাকাউন্টগুলিতে কোনও রকম আর্থিক লেনদেন হবে না, কড়া নির্দেশে জানিয়েছে বিএফআইইউ। বিএফআইইউ ইসকনের ১৭ জনের অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য জানাতে বলেছে ওই ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। তিনদিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে বিএফআইইউ-কে।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    চিন্ময় প্রভু গ্রেফতারি নিয়ে সরব অসকন

    প্রসঙ্গত, ২৫ নভেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। এই ঘটনার পরপরই বাংলাদেশের ইসকন (ISKCON) বিবৃতিতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে। বৃহস্পতিবারও এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমরা সবাই হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আর্জি জানাচ্ছি। ফের শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক দেশে। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস হিন্দুদের রক্ষার্থে এবং মন্দিরের সুরক্ষার জন্য লড়াই করছেন। অধিকার আদায় এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের অধিকার তাঁর রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে সমর্থন করা থেকে বিরত হচ্ছি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • England Cricket Board: পাক লিগে নেই বাটলার-সল্টরা, শুধু আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের

    England Cricket Board: পাক লিগে নেই বাটলার-সল্টরা, শুধু আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় ফের ধাক্কা খেল পাকিস্তান। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ECB) জানিয়ে দিয়েছে, কোনও ইংরেজ ক্রিকেটার পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে পারবেন না। এর ফলে বেন স্টোকস, ফিল সল্ট, জস বাটলারদের আর পাকিস্তানের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ  প্রতিযোগিতায় দেখা যাবে না।  তবে এই নিষেধাজ্ঞা শুধু পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য নয়। বিদেশের কোনও টি-টোয়েন্টি লিগেই খেলতে পারবেন না বাটলার-সল্টরা। ব্যতিক্রম শুধু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    আইপিএল ছাড়াও পিসিএল কিংবা শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলতে দেখা যায় ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। আইপিএল খেলায় আপত্তি না জানালেও পিএসএলে দেশের ক্রিকেটারদের খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইসিবি। পিএসএলের সময় হয় ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট। কয়েক বছর ধরে ইংল্যান্ডের বেশ কিছু ক্রিকেটার পাকিস্তানে চলে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। তার প্রভাব পড়ছে টেস্ট ক্রিকেটেও। পরিস্থিতি সামলাতে ক্রিকেটারদের পিএসএলে খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইসিবি। ফলে কিছুটা হলেও জৌলুস হারাতে পারে পাকিস্তানের প্রতিযোগিতা।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! পিসিবিকে কড়া সতর্কতা আইসিসির

    ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব

    লাল বলের ক্রিকেটকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট কর্তারা। তাই দেশের সেরা ক্রিকেটারদের টেস্টের জন্য তৈরি রাখতে চাইছেন তাঁরা। ইসিবি জানিয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলে বিদেশে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে যেতে পারবেন না ক্রিকেটারেরা। ঘরোয়া ক্রিকেটের সময় কোনও ক্রিকেটারকে বিদেশে খেলতে যাওয়ার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। ইসিবির চিফ এক্সিকিউটিভ রিচার্ড গোল্ড বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের ক্রিকেটের স্বার্থ রক্ষা করতে চাই। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ক্রিকেটের স্বার্থই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সব কিছু খতিয়ে দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটারদের আয়ে প্রভাব ফেলবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে স্নানের ঘাটে ভক্তদের জন্য ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকবে, জানালো যোগী সরকার

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে স্নানের ঘাটে ভক্তদের জন্য ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকবে, জানালো যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে হিন্দু সংস্কৃতির মহামিলন ক্ষেত্র হল মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025)। দেশের সব প্রান্তের সাধুসন্তরা এই আনন্দধামে যোগদান করেন। এইবারের মেলা অনুষ্ঠিত হবে উত্তর প্রদেশের (UP Government) প্রয়াগরাজের গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমে। পুরাণে কথিত রয়েছে, এখানেই সমুদ্র মন্থনে নিঃসৃত অমৃতের ফোঁটা পড়েছিল। তাই স্নান করলে মোক্ষ প্রাপ্তি হয়। এইবারের এই মেলায় যোগী সরকার ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার (3 Tier Security) প্রস্তুতি নিচ্ছে। সুষ্ঠ ভাবে পুণ্য স্নানের দিকে নজর রেখেছে প্রশাসন। এতে ব্যাপক ভাবে তীর্থযাত্রীদের সুবিধা দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    সরস্বতী ঘাট থেকে সঙ্গম ঘাট পর্যন্ত উন্নত নিরাপত্তা (Mahakumbh 2025)

    মহাকুম্ভ ২০২৫-এ আনুমানিক ৪৫ কোটি ভক্তের সমাগম হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (UP Government) নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশ সরকার, এই মহাকুম্ভের মিলন সঙ্গমে তীর্থযাত্রীদের জন্য মসৃণ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা তৈরি করেছে। আর তাই তাকে কার্যকর করতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি শক্তিশালী ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা (3 Tier Security) ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। ভিআইপি চলাচলের জন্য ঠিক করা হয়েছে কিলা ঘাট। সেখানে বিশেষ বাহিনী (Mahakumbh 2025) মোতায়েন করা হয়েছে, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক— উভয় ভক্তদের জন্য এখানে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। আবার সরস্বতী ঘাট থেকে সঙ্গম ঘাট পর্যন্ত উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে, যার মধ্যে গভীর ব্যারিকেডিং এবং ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে, যা প্রায় শেষের দিকে।

    নৌকায় বিশেষ নজরদারি

    পুলিশ ওয়াটার ইউনিটের ইনচার্জ জনার্দন প্রসাদ সাহনি (UP Government) বলেছেন, “মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) আগে প্রতিটি নৌকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করা হচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে একটি পরীক্ষক নৌকা ব্যবস্থা করা হয়েছে, এবং প্রতিটি নৌকা পরীক্ষা করার জন্য এটি ব্যবহার করা হবে। পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিদর্শন ও অনুমোদনের পরই যে কোনও নৌকাকে জলে নামতে দেওয়া হবে। সঙ্গম নোজ ​​থেকে কিলা ঘাট পর্যন্ত ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিএসি (PAC), এডডিআরএফ (SDRF) এবং এনডিআরএফ (NDRF)-এর কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করবেন। একই ভাবে তীর্থযাত্রীদের ডুব দেওয়ার পরে ফেরার সময় সময় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা (3 Tier Security) চালু করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সতর্ক করার জন্য নৌকাগুলিতে একটি বিশেষ লাল স্ট্রিপ বসানো হবে।”

    আগত ভক্তদের (Mahakumbh 2025) স্নানের জন্য আড়াইল, ঘুসি, ফাফামাউ এবং সোমেশ্বর ঘাটেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর কাজ জোর কদমে চলছে। রসুলাবাদ থেকে কিলা ঘাট ও কাখেরা ঘাট পর্যন্ত স্নানের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মেলাকে সুশৃঙ্খল করতে প্রশাসন এখন থেকেই অত্যন্ত তৎপর হয়ে কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে ইসকন, সুরক্ষার দবিতে রবিবার বিশ্বজুড়ে প্রার্থনাসভার ডাক

    ঘাটে মোতায়েন থাকবে নৌ পুলিশ

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) বলেছেন, “মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) উপস্থিত কোনও ভক্তকে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না।” তাই ত্রিস্তরের নিরাপত্তা (3 Tier Security) ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে উত্তর প্রদেশের নৌ পুলিশ। প্রথম দলটি ঘাটের বাইরে ভিড় পরিচালনা করবে এবং অতিরিক্ত ভিড়ের ক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীদের বিকল্প রাস্তায় সরিয়ে দেবে। সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদানের জন্য স্নান প্রক্রিয়া চলাকালীন দ্বিতীয় স্তরটি নৌকায় স্থাপন করা হবে (UP Government)। আর শেষ বা তৃতীয় স্তরে তীর্থযাত্রীদের স্নানের পরে নিরাপদ বেরিয়ে যেতে সুবিধা করে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madras HC: ‘‘মন্দির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র হিন্দু কর্মী নিয়োগ হতে পারে’’, বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    Madras HC: ‘‘মন্দির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র হিন্দু কর্মী নিয়োগ হতে পারে’’, বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে মন্দির নিয়ন্ত্রিত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী হিসেবে হিন্দুই নিয়োগ করা যেতে পারে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই রায়। মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras HC) বিচারপতি বিবেক কুমার সিং এমন রায় দিয়েছেন। সংবিধানের মৌলিক অধিকারের কথাও এদিন উল্লেখ করেন বিচারপতি।

    রিট পিটিশন জমা পড়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras HC) 

    প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত একটি রিট পিটিশন জমা পড়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras HC)। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন মন্দির নিয়ন্ত্রিত স্কুলে শুধুমাত্র হিন্দুদেরই শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে! এই রিট পিটিশন বাতিল করেন বিচারপতি বিবেক কুমার সিং। তিনি জানান যে, মন্দির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু ধর্মে (Hindus) যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তাঁদেরই নিয়োগ করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুহেল নামের একজন মুসলিম। চেন্নাইয়ের কোলাথুরের মন্দির (Madras HC) নিয়ন্ত্রিত একটি কলেজে পড়ানোর জন্য আবেদন করেন সুহেল। কিন্তু সুহেলের আবেদন বাতিল করা হয় এবং জানানো হয় যে শুধুমাত্র হিন্দুরাই সেখানে পড়ানোর সুযোগ পাবেন।

    সংবিধানের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ করেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, সুহেলের রিট পিটিশনে (Madras HC) ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ১৬(১) এবং ১৬(২) ধারাকে উল্লেখ করা হয় এবং সেখানে জানানো হয় যে নিয়োগের ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু আদালত এক্ষেত্রে সংবিধানের ১৬(৫) ধারাকে উল্লেখ করে জানায়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অধিকার রয়েছে তাদের নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কর্মী নিয়োগের। প্রসঙ্গত ওই কলেজ হচ্ছে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরিচালনা করে মন্দির কমিটি। কোনও রকমের সাহায্য রাজ্যের কাছ থেকে তারা নেয় না। পড়ুয়াদের কাছ থেকে আসা ফি থেকেই শিক্ষকদের বেতন হয়। এক্ষেত্রে আদালত উল্লেখ করে যে সংবিধানের ১৬(১) এবং ১৬(২) ধারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, কারণ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার শুধুমাত্র সরকারে কোনও পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই অধিকার দেয়, কোনও বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share