Blog

  • Sabarimala Temple: ৯ দিনে শবরীমালা দর্শন ছয় লাখের বেশি ভক্তের, মন্দিরের রাজস্ব ছুঁয়েছে ৪১ কোটি টাকা!

    Sabarimala Temple: ৯ দিনে শবরীমালা দর্শন ছয় লাখের বেশি ভক্তের, মন্দিরের রাজস্ব ছুঁয়েছে ৪১ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয় দিনে ছয় লাখের বেশি ভক্ত শবরীমালা (Sabarimala Temple) দর্শন করেছেন। মন্দিরের রাজস্ব ছুঁয়েছে ৪১ কোটি টাকা। দেশব্যাপী দর্শনার্থীদের (Devotees) জন্য ভান্দিপেরিয়ার সাথরাম, ইরুমেলি এবং পাম্বাতে তিনটি স্পট অনলাইন বুকিং কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুণ্যার্থীদের মধ্যে আয়াপ্পান দর্শনকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। উল্লেখ্য কেরলের এই মন্দিরের দেবতা হলেন কুমার কার্তিক ঠাকুর। তাঁকে ঘিরে ২ মাস ধরে চলে মণ্ডলম-মাকারাভিলাক্কু তীর্থযাত্রা। এই সময়ে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় মন্দির-চত্বরে।

    বোর্ড সভাপতির বক্তব্য(Sabarimala Temple)

    ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি) সভাপতি (Sabarimala Temple) পিএস প্রশান্ত বলেন, “মন্দিরের দরজা ১৬ নভেম্বর (বৃশ্চিকম ১) খোলা হয়েছিল, বর্তমান সময়ের মধ্যে ৬,১২,২৯০ জন তীর্থযাত্রী মন্দির দর্শন করেছেন। গত বছরের একই সময়সীমায় আগত ভক্তের (Devotees) সংখ্যা ছিল ৩০৩৫০১ জন। ফলে এই বছর ভক্তদের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সংগৃহীত রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১.৬৪ কোটি টাকায়, যা গতবারের তুলনায় ১৩.৩৩ কোটি বেশি। তবে সবটাই হয়েছে আগত দর্শনার্থীদের নানা সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবার ব্যবস্থা করার ফলে। ভক্তদের ক্রমবর্ধমান চাপ সামলানোর জন্য পাম্বার মনাপুরাম অনলাইন বুকিং কেন্দ্রে নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘দায়ী প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়’! মহারাষ্ট্রে উদ্ধবদের বিপর্যয় নিয়ে মন্তব্য সঞ্জয় রাউতের

    আগত ভক্তদের সকলেই দর্শন করতে পারবেন

    মন্দির (Sabarimala Temple) কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, এমন আর এমন কোনও পরিস্থিতি নেই যাতে আগত দর্শনার্থীদের মন্দির দর্শন না করেই ফিরে যেতে হবে। অনলাইন বুকিং বিশেষ ভাবে কার্যকর হয়েছে। তবে যাঁরা অনলাইনে বুকিং করে আসবেন, তাঁদের স্পট বুকিংয়ের জন্য আধার কার্ডের নকল কপি রাখতে হবে। সকল দর্শনার্থীদের প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য বর্জনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পিএস প্রশান্ত আরও বলেন, “মন্দিরের পাশে অবস্থিত পাম্বা নদীতে কাপড় ফেলে যাওয়ার সঙ্গে পুজোর রীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তা নদীকে অনেকটাই দূষিত করে। তাই ভক্তদের (Devotees) অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ করতে হবে।” মন্দিরের ট্রাস্টের সঙ্গে আরও ২০টি সরকারি বিভাগের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মন্দির দর্শনে বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: ‘দায়ী প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়’! মহারাষ্ট্রে উদ্ধবদের বিপর্যয় নিয়ে মন্তব্য সঞ্জয় রাউতের

    Maharashtra: ‘দায়ী প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়’! মহারাষ্ট্রে উদ্ধবদের বিপর্যয় নিয়ে মন্তব্য সঞ্জয় রাউতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এই নির্বাচলের ফলের পরিপ্রেক্ষিতে শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি মহা বিকাশ অঘাড়ীর (এমভিএ) পরাজয়ের জন্য ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে দায়ী করেছেন। ভোটে হেরে যাওয়ার পর বিরোধী দলের নেতাদের ‘মাথা খারাপ হয়েছে’ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির এই সাফল্য বিরোধী দলের নেতারা মেনে নিতে পারছে না। তাই, ফল বের হওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য প্রকাশ্যে রাখছেন। যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

    ঠিক কী বলেছেন শিবসেনা নেতা?(Maharashtra)

    জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, শিন্ডেসেনা ও ইজিত পওয়ারের এনসিপির ‘মহাযুতি’ জোট। তারা ২৩৫টি আসন পেয়েছে। আর বিরোধী শক্তি এমভিএ মাত্র ৪৯টি আসনে জয়ী হয়েছে। ফলাফলের পর সঞ্জয় রাউত সাংবাদ মাধ্যমের সামনে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে কাগজের ব্যালটের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে আবার নির্বাচনের দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই নির্বাচনে ইভিএম একটি বড় সমস্যা হয়েছে। এই ফলাফলটি থাকুক। কিন্তু কাগজের ব্যালট দিয়ে আবার নির্বাচন পরিচালনা করুন এবং তারপরে আমাদের একই ফলাফল দেখান, তাহলে বুঝব মানুষের রায়ে ক্ষমতায় এসেছেন।’’ সেখানেই থামেননি সেনা ইউবিটি নেতা। তিনি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির দিকে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘‘এই ফলাফলের জন্য প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় দায়ী।’’

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    কারচুপির অভিযোগ করছে বিরোধীরা!

    উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (উদ্ধব) গোষ্ঠী মাত্র ২০টি আসন পেয়েছে। আর একনাথ শিন্ডের (Maharashtra) নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (শিন্ডে) ৫৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। এনডিএ-র ঐতিহাসিক এই জয় এমভিএ-র মধ্যে দোষারোপের খেলাকে আরও তীব্র করেছে। হেরে যাওয়ার পর বিরোধী দলের নেতারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া, দলীয় কৌশল এবং বিচার বিভাগীয় পরিসংখ্যান সহ একাধিক কারণের দিকে আঙুল তুলছেন। অনেকে আবার মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য এনডিএকে ইভিএম কারচুপি করার জন্য দায়ী করেছেন। আদিত্য ঠাকরে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ-এর জয়কে “আশ্চর্যজনক” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে জনগনের রায়ে হয়েছে, না ইভিএমে কারচুপির কারণে হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: কর্মীদের পোশাকে বসবে ক্যামেরা! ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে বড় পদক্ষেপ পূর্ব রেলের

    Indian Railways: কর্মীদের পোশাকে বসবে ক্যামেরা! ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে বড় পদক্ষেপ পূর্ব রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলের (Indian Railways) দুর্ঘটনায় রেল কর্মীদের গাফিলতি রয়েছে কিনা, তা জানতে এবার নিরাপত্তায় নতুন প্রযুক্তি আনছে পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশন। দুর্ঘটনা কমাতে এবং ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার আসল কারণ জানতে ইন্টারঅ্যাকটিভ রিমোট মনিটারিংয়ের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুমে বসেই শান্টিং-এর কাজ দেখা যাবে। কেমন ভাবে হবে এই কাজ? অনেক জায়গায় ম্যানুয়াল পয়েন্ট রয়েছে, সেখানে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র নয় কার্যত কর্মীদের হাতে ঘুরিয়ে পয়েন্ট বদল করে এক ট্র্যাক থেকে অন্য ট্র্যাকে ট্রেনকে তুলতে হয়। ফলে নজরদারি বাড়ালে দুর্ঘটনার (Rail Accident) আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।

    ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা (Indian Railways)

    ট্রেন দুর্ঘটনা (Rail Accident) সব সময় যে তীব্র গতিতে চলার সময়ই ঘটবে তা নয়। গতি কম থাকলে ট্রেন অনেক সময় পরিস্থিতির বিচারে বেলাইনও হতে পারে। আবার ট্রেনকে এক লাইন থেকে অন্য লাইনে তোলার সময় শান্টিং-এর দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীদের (Indian Railways) পোশাকে এবার থেকে রাখা হবে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। কিন্তু একটা চিন্তা থাকে যদি ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যায়! তাহলে সেই ক্ষেত্রে ক্যামেরার সঙ্গে থাকবে পাওয়ার ব্যাঙ্ক। তাই এখন থেকে সরাসরি লাইন বদলের সময় কী ঘটছে তা এখন থেকে কন্ট্রোল রুমে বেসেই দেখা যাবে।

    আরও পড়ুনঃ আরও নামল পারদ, কলকাতায় তাপমাত্রা কত? দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

    ইন্টার অ্যাক্টিভ রিমোট মনিটরিং

    নজরদারিতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তাই একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। রেলের (Indian Railways) ট্র্যাফিক ইনস্পেকটর এবং সুপারভাইজাররা মোবাইল এই অ্যাপ ডাউনলোড করে সরাসরি দেখতে পাবেন শান্টিং-এর কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। পূর্ব রেল জানিয়েছে, এই পদ্ধতিতে ২৪ ঘণ্টাই শান্টিংয়ে নজর রাখা যাবে। এতে দুর্ঘটনার (Rail Accident) আশঙ্কা কমবে। শিয়ালদা ডিভিশনের বেশ কয়েকটি জায়গায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু হয়েছে এই ইন্টারঅ্যাক্টিভ রিমোট মনিটরিং। এই তালিকায় রয়েছে, চিৎপুর ইয়ার্ড, শিয়ালদা গুডস ইয়ার্ডের পাশাপাশি রয়েছে কলকাতা টার্মিনাল, নৈহাটি, রানাঘাট, কোমাগাতা মারু বজবজ, নিউ আলিপুর, কল্যাণী, কৃষ্ণনগর এবং টিটাগড় স্টেশন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Perth Test: পারথ-জয় করতেই ফের টেস্ট বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ভারত

    Perth Test: পারথ-জয় করতেই ফের টেস্ট বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। শীর্ষস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম ম্যাচে অসামান্য জয়ের পরেই চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে উঠে এল ভারত। অস্ট্রেলিয়া নেমে গেল দ্বিতীয় স্থানে। পারথ টেস্ট (Perth Test) ভারত জিততেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) পয়েন্ট টেবলেও হল বড় বদল হল।

    পয়েন্ট তালিকায় কে কোথায়?

    প্রসঙ্গত, বিগত ১৫টি টেস্টের মধ্যে (Perth Test) নটি টেস্ট জিতেছে ভারত। পাঁচটিতে হেরেছে, একটি হয়েছে ড্র। এই মুহূর্তে ভারতের পয়েন্ট ১১০। অন্যদিকে পয়েন্টের শতাংশ হল ৬১.১১। প্রসঙ্গত, পয়েন্ট শতাংশের ওপর নির্ভর করেই স্থির হয় কোন দুটি দল ফাইনাল খেলবে। নিয়ম অনুযায়ী, শীর্ষে যে দুই দল থাকবে, তারাই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে। বিগত দুইবারই ফাইনাল খেলেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ১৩টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে আটটি জিতেছে ও চারটিতে হেরেছে। একটি টেস্ট ড্র হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট এই মুহূর্তে ৯০ এবং পয়েন্টের শতাংশ ৫৭.৬৯। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় স্থানে (Perth Test) থাকা অস্ট্রেলিয়ার ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে আরও তিনটি দল। তিন নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার পয়েন্টের শতাংশ হল ৫৫.৫৬। চার নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারতকে হারিয়ে তাদের পয়েন্টের শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৪.৫৫। পাঁচ নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্টের শতাংশ ৫৪.১৭।

    সিরিজ যে দল জিতবে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল তারা নিশ্চিত ভাবে খেলবে

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম দুই স্থানে থাকলেও ফাইনাল খেলবে নাকি এই দুই দল, সে নিয়ে নিশ্চিতভাবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তার কারণ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ভারতের পয়েন্ট শতাংশ সত্তরেরও বেশি ছিল। পরপর তিনটি টেস্টে হারে ভারত। এরপর টিম ইন্ডিয়ার পয়েন্টের শতাংশ ৬০ শতাংশের নিচে নেমে যায়। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে এখনও চার টেস্ট বাকি (Perth Test) রয়েছে। এই সিরিজ যে দল জিতবে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল তারা নিশ্চিত ভাবে খেলবে।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মহাকাশ গবেষণায় বড় আবিষ্কার, আমেরিকায় তাক লাগাল বাঁকুড়ার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অয়ন

    Bankura: মহাকাশ গবেষণায় বড় আবিষ্কার, আমেরিকায় তাক লাগাল বাঁকুড়ার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অয়ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট থেকেই রকেট সায়েন্সের প্রতি আসক্ত বাঁকুড়ার (Bankura) অয়ন দেওঘড়িয়া। বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কিত একাধিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের নজর কাড়ে সে। এবার আমেরিকার আলাবামায় ইউএস স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টারে আয়োজিত একটি প্রোগ্রামে তাক লাগিয়ে দিল অয়নের পদার্থ-তত্ত্ব। 

    কী তত্ত্ব তৈরি করেছে অয়ন? (Bankura)

    বাঁকুড়া (Bankura) জেলার ছাতনা ব্লকের মনতুমড়া গ্রামের বাসিন্দা অয়ন। বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে সে। সেখানে পড়ার সুবাদে সে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া একটি বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকে। সম্প্রতি আমেরিকার আলাবামায় ইউএস স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টারে আয়োজিত পাঁচ দিনের একটি প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছিল সে। আমেরিকা ও মেক্সিকোর একদল ছাত্রের সঙ্গে মিলিতভাবে একটি তত্ত্ব তৈরি করেছে অয়ন। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, বিশেষ একধরনের পদার্থ তৈরি সম্ভব যা মহাকাশে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দিব্যি টিকে থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে মহাকাশ কেন্দ্রে সেই পদার্থ পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তা সফল হলে পরবর্তী চন্দ্র অভিযানে এই পদার্থ ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টারের কর্মকর্তারা।

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    কী বলল অয়ন?

    বেশ কয়েক মাস আগেই আমেরিকায় এই প্রোগ্রামের আমন্ত্রণ পেয়েছিল অয়ন। কিন্তু, প্রাথমিকভাবে পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে ওই প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে অয়নের পক্ষে। পরবর্তীতে ভারতেরই একটি সংস্থা তার পাশে দাঁড়ালে অয়ন পাড়ি দেয় আমেরিকায়। ১১ থেকে ১৫ নভেম্বর আলাবামায় আয়োজিত ওই প্রোগ্রামে একমাত্র ভারতীয় হিসেবে অংশ নিয়েছিল অয়ন। আমেরিকা ও মেক্সিকোর অন্য ছয় গবেষকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অয়ন (Bankura) তৈরি করেছে একটি পদার্থ তৈরির তত্ত্ব। অয়ন ও তার সঙ্গীদের তৈরি এই তত্ত্ব নজর কেড়েছে ওই প্রোগ্রামে উপস্থিত গবেষকদের। ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত তার মা-বাবাও। অয়ন বলেছে, ‘‘আমি ভগবানের কাছে ধন্যবাদ জানাই। ভগবান সাহস না জোগালে এই সাফল্য পেতাম না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ১১ মাসে ২১০ জনের বেশি মাওবাদী নিকেশ, বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিষ্ণু দেও সাই

    Chhattisgarh: ১১ মাসে ২১০ জনের বেশি মাওবাদী নিকেশ, বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিষ্ণু দেও সাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১১ মাসে ২১০ জনের বেশি মাওবাদী নিকেশ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই (Vishnu Deo Sai)। দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা দেশ-বিরোধী শক্তিকে কড়া হাতে দমন করতে সেনাকর্মীদের সাহসিকতাকে বিশেষ ভাবে জোর দিয়েছেন তিনি। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষাকে দৃঢ় করে নাগরিক জীবনকে নিরাপদ করাই যে রাজ্যের বিজেপি সরকারের প্রধান লক্ষ্য, সেই কথাও এদিন নিজের ভাষণে উল্লেখ করলেন এই মুখ্যমন্ত্রী।

    ‘বাহিনীর ক্যাম্পে সময় কাটিয়েছি আমি’ (Chhattisgarh)

    গত ২৪ নভেম্বর, রবিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমনে সেনা জওয়ান এবং স্থানীয় প্রশাসনের কৃতিত্বকে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু (Vishnu Deo Sai)। নাগরিক সমাজের কাছে ভয়ের বাতাবরণকে মুক্ত করার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যে সরকার গঠনের পর থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে লড়াই করে যাচ্ছেন। মাওবাদী এবং নকশালদের নির্মূল করাই আমাদের প্রধান এবং একমাত্র লক্ষ্য। আমি নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। তাঁরা ঠিক কোন পরিস্থিতি এবং কতটা ঝুঁকির মধ্যে অপারেশন করেন, সেই দিকে নজর রাখতে চেয়েছিলাম। এরপর আমি একটি বাহিনীর ক্যাম্পে সময় কাটিয়েছি। সেখানে আমি একটি বৃক্ষের চারা গাছও রোপণ করেছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত অভিনব ছিল। আমি তাঁদের স্যালুট জানাই, গত ১১ মাসে ২১০ জনের বেশি মাওবাদীকে খতম করেছে বাহিনী।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, দেশের স্বার্থ সবার ঊর্ধ্বে’’, বললেন লোকসভার অধ্যক্ষ

    মাওবাদী দমনে জিরো টলারেন্স নীতি

    উল্লেখ্য গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার, সুকমা (Chhattisgarh) জেলায় একটি সেনা অভিযানে কমপক্ষে ১০ জন মাওবাদীকে নির্মূল করা হয়েছে। সেনা কর্মীদের এই কাজেও ব্যাপক ভাবে প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই (Vishnu Deo Sai)। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনীর কাজ অত্যন্ত প্রশংসারযোগ্য। রাজ্য সরকার মাওবাদী দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। বস্তার অঞ্চলের উন্নয়ন, শান্তি এবং সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার।” উল্লেখ্য আবার গত ২০ নভেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদী দমনের অগ্রগতির পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি তারপর আশা প্রকাশ করে বলেন, “আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে রাজ্যজুড়ে চলা লাল সন্ত্রাস মুক্ত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: দুর্দান্ত কামব্যাক টিম ইন্ডিয়ার! পারথ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৫ রানে হারাল ভারত

    India: দুর্দান্ত কামব্যাক টিম ইন্ডিয়ার! পারথ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৫ রানে হারাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে চুনকাম হওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে দূর্দান্ত কামব্যাক করল টিম ইন্ডিয়া (India)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পারথে প্রথম ইনিংসে ব্যাপক ভরাডুবি হয় ভারতের। মাত্র দেড়শো রানে শেষ হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। এরপর ভারতের বোলারদের সামনে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়াও। ১০৪ রানেই শেষ হয় অজিদের ইনিংস। বুমরা সিরাজদের বোলিংয়ে আগুন ঝরে। এরপরে দুর্দান্ত ব্যাটিং দেখা যায় ভারতীয় ব্যাটারদের। যশস্বী-বিরাটরা রানের পাহাড় গড়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার সামনে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রানে ডিক্লেয়ার দেয় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৫৩৪ রানের বিরাট লক্ষ্যমাত্রা রেখে। প্রথম টেস্টে খেলেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। চোটে বাদ পড়েছেন ক্রিকেটার শুভমন গিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পারথের মাঠে নামতে হয় ভারতকে, যেখানে অসিরা কোনও দিন হারেনি। পরিস্থিতি পুরোটাই ছিল ভারতের বিপক্ষে। এই আবহে চাপ বাড়ছিল গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলির ওপরে। তবে চার দিন পরে হাসতে হাসতে মাঠ ছাড়লেন ভারতের ক্রিকেটাররা।

    পারথ টেস্ট ভারত (India) জেতে ২৯৫ রানে

    দ্বিতীয় ইনিংসে ফের একবার বুমরা-সিরাজদের বোলিংয়ের সামনে ম্রিয়মান হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন। চা-পানের বিরতি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেট খুইয়ে তোলে ২২৭ রান। এরপরে ২৩৮ রানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। পারথ টেস্ট ভারত (India) জেতে ২৯৫ রানে। বুমরা-সিরাজ প্রত্যেকেই তিনটি করে উইকেট নেন। অন্যদিকে, ওয়াশিংটন সুন্দর নেন দুটি উইকেট। হর্ষিত রানা ও নীতীশ রেড্ডি একটি করে উইকেট নেন।

    ভরসা হয়ে উঠছেন যশস্বী

    ভারতীয় (India) ব্যাটিং লাইনআপে ইতিমধ্যে ভরসা হয়ে উঠছেন তরুণ ওপেনার যশস্বী। দেশ-বিদেশের সব পিচে সমানভাবে স্বচ্ছন্দ তিনি। পারথের দ্রুতগতির পিচে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) জোরে বোলারদের সামলে নিজের ব্যাটিং প্রতিভার পরিচয় দিলেন যশস্বী। ১৬১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। ২৯৭ বলের ইনিংসে ১৫টি চার এবং ৩টি ছয় রয়েছে। সুইং বলের মোকাবিলা করলেন ব্যাক ফুটে খেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chennai Vladivostok Maritime Corridor: চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর চালু, আরও মজবুত হবে ভারতীয় অর্থনীতি

    Chennai Vladivostok Maritime Corridor: চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর চালু, আরও মজবুত হবে ভারতীয় অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও মজবুত হল ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের (India Russia Relation) গাঁটছড়া। সমুদ্রপথে এবার নয়া করিডর (Chennai Vladivostok Maritime Corridor) ব্যবহার শুরু করল দুই দেশ। এতদিন রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করতে বা সেদেশে পণ্য রফতানি করতে হলে ভারতকে পার হতে হত সুয়েজ খাল। এই খাল সদা ব্যস্ত। ‘ট্রাফিক জ্যাম’ এড়াতে নতুন ‘বাইপাস’ ব্যবহার শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। এতে লাভ হচ্ছে দু’দিক থেকে। একদিকে, যেমন এড়ানো যাবে জ্যাম, তেমনি অন্যদিকে ফাঁকায় ফাঁকায় অল্প সময়েই পৌছে যাওয়া যাবে পুতিনের দেশে। তাতে কমবে পরিবহণ খরচ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়া এই বাইপাস চালু হওয়ায় আরও পোক্ত হবে ভারতীয় অর্থনীতির ভিত। ভারতীয় অর্থনীতিতে এটি হয়ে থাকবে একটি মাইলফলক।

    ‘সাগর মন্থন’ (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)

    গত ১৮ নভেম্বর ‘সাগর মন্থন’ সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌ পরিবহণ এবং জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর পুরোপুরিভাবে চালু হয়েছে। এই বাইপাস ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পণ্য পরিবহণও। সুয়েজ খাল ধরে ইউরোপে বাণিজ্য করতে যেতে জাহাজগুলির সময় লাগে ৪০ দিন। এরই বিকল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল নয়া এই সামুদ্রিক করিডর। এর ফলে রাশিয়া যাতায়াতে কমবে সময়, বাঁচবে খরচ। এতদিন ধরে ভারত ইউরোপের সঙ্গে জলপথে যে বাণিজ্য করত, তা হত সুয়েজ খাল ধরে (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)। এই পথে বাণিজ্য করতে গেলে পাড়ি দিতে হয় ৮ হাজার ৬৭৫ নটিক্যাল মাইল। 

    কমবে সময়, অর্থ খরচ

    সুয়েজ খালের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মিশরের হাতে। তাই এ পথে বাণিজ্য করতে হলে মোটা টাকা ফি দিতে হয় মিশরকে। এর পরিমাণ নেহাত কম নয়, জাহাজপিছু প্রায় ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর ব্যবহার করলে আর এই কড়ি গুণতে হবে না। শুধু তাই নয়, নয়া সামুদ্রিক করিডর ধরে যদি কোনও জাহাজ রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে পৌঁছতে চায়, তার সময় লাগবে ১৬ থেকে ২০ দিন। চেন্নাই থেকে এই বন্দরের দূরত্ব ৫ হাজার ৬৪৭ নটিক্যাল মাইল। তাই স্বাভাবিকভাবেই সময় লাগবে কম। রাশিয়ার শহর (India Russia Relation) ভ্লাদিভস্তকের কৌশলগত গুরুত্ব বিস্তর। এখানেই রয়েছে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দর। এই বন্দর থেকে চিনের দূরত্ব খুব বেশি হলে ৫০ কিলোমিটার। এই পথেই যাতায়াতের কালে পার হতে হবে জাপান সাগর, দক্ষিণ চিন সাগর, মলাক্কা প্রণালী, বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান ও নিকোবরের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক এলাকা (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)।

    অনায়াস যোগাযোগ

    ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার জেরে রাশিয়া থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকাও। সেসব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। এবং সেই জীবাশ্ম জ্বালানি আসছে নয়া আবিষ্কৃত সামুদ্রিক করিডর বেয়ে। রাশিয়া থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও আসছে এই সমুদ্রপথে। আবার ভারত থেকে রাশিয়ায় চলে যাচ্ছে চা, বস্ত্র, ফার্মা, মেশিনের যন্ত্রপাতি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী। এই সামুদ্রিক করিডর চালু হওয়ার সুবিধা অনেক। ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গেও যোগাযোগ হবে অনায়াস। ফলে এই দুই জায়গা থেকেও সিভিএমসির মাধ্যমে অনায়াসেই রফতানি সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া যাবে রাশিয়া-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

    রেয়াত করতে হবে না কাউকেই

    এহ বাহ্য। মিশরের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আবার ভারতের সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্ক অম্লমধুর। তাই অদূর ভবিষ্যতে যদি চিনের কথায় মিশর ভারতের জন্য সুয়েজ খালের পথ বন্ধ করে দেয়, তখন আর বিপাকে পড়তে হবে না ভারতকে। কারণ বিকল্প রুট তার খোলাই রয়েছে। তাই সুয়েজ-নির্ভরতা কমালে আদতে লাভবান হবে ভারত এবং রাশিয়া দুই দেশই। সেক্ষেত্রে আর মিশর কিংবা চিন কাউকেই আর রেয়াত করে চলতে হবে না ভারতকে। নয়া আবিষ্কৃত করিডর দিয়ে ভারত বাণিজ্য করবে নিজের শর্তেই। এসব বিষয় মাথায় রেখেই দীর্ঘদিন ধরে বিকল্প পথের সন্ধান (Chennai Vladivostok Maritime Corridor) করে চলেছিল নয়াদিল্লি। শেষমেশ মিলল বিকল্প রুটের সন্ধান। এই পথে বাণিজ্য করলে আদতে লাভবান হবে ভারত এবং রাশিয়া দুই দেশই। ভারতের পাশাপাশি গতি আসবে রুশ অর্থনীতিতেও।

    আরও পড়ুন: ‘‘এঁরাই সংসদে হাঙ্গামা বাধাচ্ছেন’’, অধিবেশন শুরুর আগে তোপ মোদির, নিশানায় কারা?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোনওয়াল বলেন, “এই সামুদ্রিক করিডরের মাধ্যমে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন করে সংজ্ঞায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে (India Russia Relation) পশ্চিমের আধিপত্য এবং ঐতিহ্যগত সাপ্লাই চেইনের ওপর নির্ভরতা কমাতে পেরেছি আমরা (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Ramakrishna 201: “প্রাণনাথ, হৃদয়বল্লভ তোরা কৃষ্ণ এনে দে…না হয় আমায় নিয়ে চল; তোদের চিরদাসী হব”

    Ramakrishna 201: “প্রাণনাথ, হৃদয়বল্লভ তোরা কৃষ্ণ এনে দে…না হয় আমায় নিয়ে চল; তোদের চিরদাসী হব”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৭শে মে

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    জগন্মাতার পূজা ও আত্মপূজা—‘বিপদনাশিনী’ মন্ত্র ও নৃত্য 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তদের বলিতেছেন, সংসারীদের সম্মুখে কেবল দুঃখের কথা ভাল নয়। আনন্দ চাই। যাদের অন্নাভাব, তারা দুদিন বরং উপোস করতে পারে; আর যাদের খেতে একটু বেলা হলে অসুখ হয়, তাদের কাছে কেবল কান্নার কথা, দুঃখের কথা ভাল নয়।

    “বৈষ্ণবচরণ বলত, কেবল পাপ পাপ—এ-সব কি? আনন্দ কর।”

    ঠাকুর আহারান্তে একটু বিশ্রাম করিতে না করিতে মনোহরসাঁই গোস্বামী আসিয়া উপস্থিত।

    শ্রীরাধার ভাবে মহাভাবময় শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—ঠাকুর কি গৌরাঙ্গ! 

    গোস্বামী পূর্বরাগ কীর্তন গান করিতেছেন। একটু শুনিতে শুনিতেই ঠাকুর রাধার ভাবে ভাববিষ্ট।

    প্রথমেই গৌরচন্দ্রিকা কীর্তন। “করতলে হাত—চিন্তিত গোরা—আজ কেন চিন্তিত?—বুঝি রাধার ভাবে হয়েছে ভাবিত।”

    গোস্বামী আবার গান গাইতেছেন:

    ঘরের বাহিরে, দণ্ডে শতবার তিলে তিলে আসে যায়
    কিবা মন উচাটন, নিশ্বাস সঘন, কদম্ব কাননে চায়।
    (রাই, এমন কেন বা হল গো!)

    গানের এই লাইনটি শুনিয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মহাভাবের অবস্থা হইয়াছে। গায়ের জামা ছিঁড়িয়া ফেলিয়া দিলেন।

    কীর্তনিয়া যখন গাইতেছেন:

    শীতল তছু অঙ্গ।
    তনু পরশে, অমনি অবশ অঙ্গ!
    মহাভাবে ঠাকুরের কম্প হইতেছে!

    (কেদার দৃষ্টে) ঠাকুর কীর্তনের সুরে বলিতেছেন, “প্রাণনাথ, হৃদয়বল্লভ তোরা কৃষ্ণ এনে দে; সুহৃদের তো কাজ বটে; হয় এনে দে, না হয় আমায় নিয়ে চল; তোদের চিরদাসী হব।”

    গোস্বামী কীর্তনিয়া ঠাকুরের মহাভাবের অবস্থা দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছেন। তিনি করজোড়ে বলিতেছেন(Kathamrita), “আমার বিষয়বুদ্ধি ঘুচিয়ে দিন।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—“সাধু বাসা পাকড় লিয়া।” তুমি এত বড় রসিক; তোমার ভিতের থেকে এত মিষ্ট রস বেরুচ্ছে!

    গোস্বামী—প্রভু, আমি চিনির বলদ, চিনির আস্বাদন করতে কই পেলাম?

    আবার কীর্তন চলিতে লাগিল। কীর্তনিয়া শ্রীমতীর দশা বর্ণনা করিতেছেন (Kathamrita)—

    “কোকিল-কুলকুর্বতি কলনাদম্‌”

    কোকিলের কলনাদ শুনে শ্রীমতির বজ্রধ্বনি বলে মনে হচ্ছে। তাই জৈমিনির নাম কচ্ছেন। আর বলছেন, “সখি, কৃষ্ণ বিরহে এ প্রাণ থাকিবে না—রেখো দেহ তমালের ডালে।”

    গোস্বামী রাধাশ্যামের মিলন গান গাহিয়া (Kathamrita) কীর্তন সমাপ্ত করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Speaker Om Birla: ‘‘মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, দেশের স্বার্থ সবার ঊর্ধ্বে’’, বললেন লোকসভার অধ্যক্ষ

    Speaker Om Birla: ‘‘মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, দেশের স্বার্থ সবার ঊর্ধ্বে’’, বললেন লোকসভার অধ্যক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, দেশের স্বার্থ সবার ঊর্ধ্বে’’, এমনই কথা বলতে শোনা গেল লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে (Speaker Om Birla)। প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গৃহীত হয় ভারতের সংবিধান। আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর শুরু হল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এদিন ওম বিড়লা (Speaker Om Birla) বলেন, ‘‘সংবিধান দিবস থেকে আমাদের প্রত্যেককে প্রেরণা নিতে হবে এবং সেভাবেই বিতর্ক এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে।’’ ভাষা, ধর্ম ভেদে যে যে পার্থক্য দেখা যায় সংসদে, সেগুলিই গণতন্ত্রকে মজবুত করে বলে মন্তব্য করেন ওম বিড়লা (Om Birla)।

    দেশের প্রাচীন যে কোনও প্রথা বা রীতি থেকেও আমরা প্রেরণা নিতে পারি

    তিনি (Speaker Om Birla) আরও বলেন, ‘‘দেশের প্রাচীন যে কোনও প্রথা বা রীতি থেকেও আমরা প্রেরণা নিতে পারি। সংসদের উভয় কক্ষে বিতর্ক করার জন্য আমাদের মধ্যে মতামতের পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা সকলে এক হয়েছি দেশের কাজ করার জন্য।’’

    আমরা সর্বদাই সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ

    এদিন ওম বিড়লা (Speaker Om Birla) নিজের পূর্বসূরিদেরও কথা উল্লেখ করেন এবং তিনি জানান, তাঁর পূর্বসূরিরা প্রত্যেকেই সংবিধানের প্রতি অত্যন্ত দায়বদ্ধ ছিলেন এবং সংবিধানের নির্দেশ মেনেই তাঁরা কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সর্বদাই সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ এবং সংবিধানের নির্দেশ মেনেই আমরা কাজ করি। কোনও সরকার অথবা কোনও রাজনৈতিক দলই, গণতন্ত্রের এই মহান আদর্শকে শেষ করতে পারবে না। নানা সময়ে সংবিধানের সংশোধন হয়েছে কিন্তু তারপরেও মজবুত থেকেছে জনগণের অধিকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share