Blog

  • Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবধান মাত্রই ছ’মাসের। এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে যে রাজ্যে পদ্মের হাল (Mahayuti) মলিন হয়ে গিয়েছিল, মাত্র ছ’মাস পরেই সেই রাজ্যই পদ্মময়। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোটকে ধরাশায়ী করে জয়ডঙ্কা বাজাচ্ছে বিজেপি। এ রাজ্যে গেরুয়া শিবির বলে বলে গোল দিয়েছে বিরোধীদের। লোকসভা নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রের কুর্সি দখলের যে স্বপ্ন বিরোধীরা দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নই বিধানসভা নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেল আরব সাগরের জলে। প্রশ্ন হল, কোন মন্ত্রবলে বিজেপির এই ঘুরে দাঁড়ানো আর বিরোধীদের অধঃপতন? আসছি সেই আলোচনায়ই।

    নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল (Maharashtra Assembly Elections)

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর হাতে যে ছ’মাস ছিল, সেই সময় নিজেকে গড়েপিটে নিয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপি। শত্রুর ঘরে (পড়ুন বিরোধী শিবিরে) যখন নিত্য বয়ে গিয়েছে অশান্তির চোরাস্রোত, তখন বিজেপি নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল। যারই সুফল গেরুয়া শিবির কুড়িয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। গত ছ’মাসে একের পর এক সাহসী এবং জনকল্যাণকর পদক্ষেপ নিয়েছেন গৈরিক নেতারা।

    জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ

    নীতিগত সংশোধনের পদক্ষেপের পাশাপাশি কৃষক, নারী ও অনগ্রসর শ্রেণির জন্যও বিভিন্ন জনহিতকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে মহরাষ্ট্র সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, মহাযুতি সরকারের এসব পদক্ষেপই ফলপ্রসূ হয়েছে। মহাযুতি সরকারের তিন শরিক— বিজেপি, শিবসেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে পরিস্থিতি পাল্টাতে সক্ষম হয়েছে এই জোট। মহারাষ্ট্রে লোকসভা আসন রয়েছে ৪৮টি। তার মধ্যে (Maharashtra Assembly Elections) বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৭টি আসন (Mahayuti)। বাকি কেন্দ্রের রাশ গিয়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী (MVA) জোটের ঝুলিতে। শনিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়া শুরু হতেই চওড়া হতে থাকে বিজেপি নেতাদের মুখের হাসি। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১২৪টি আসনে জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আসনে এগিয়ে রয়েছে মহাযুতি সরকারের জোট শরিকরা।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে জয় নিশ্চিত ‘মহাযুতি’ জোটের, ভোটারদের ধন্যবাদ একনাথ শিন্ডের

    দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা

    মহারাষ্ট্রবাসীর দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সুফল যেমন বিজেপি কুড়িয়েছে, তেমনি আরএসএসের প্রচারও গৈরিক শিবিরের ঘরে তুলে দিয়েছে লাভের কড়ি। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিল আরএসএস। বিজেপি এবং রাজ্যের শাসক জোটের হয়ে ব্যাপক প্রচারও করেছে তারা। যার জেরে হতাশা কাটিয়ে উঠে বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ভোটারদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও তাদের কঠোর হিন্দুত্ববাদী অবস্থান জোরালো করে তোলে। বিজেপির স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘এক হো তো সেফ হো’, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ (ভাগ হলেই পতন)-এর মতো ঝাঁঝালো স্লোগান। এগুলোও ভোটারদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। এসবই জুগিয়েছে বিজেপির পালে হাওয়া। বিজেপি এবং আরএসএসের যুগলবন্দির মোকাবিলা করতে পারেনি মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। যার জেরে মহারাষ্ট্রে পানি পায়নি এই মহাজোট।

    ওবিসি সম্প্রদায়

    মারাঠা আন্দোলন (Maharashtra Assembly Elections) ওবিসি সম্প্রদায়গুলিকে মেরুকরণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। বিজেপি তার জনসংযোগ পরিকল্পনার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ৩৫৩টি সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নেমেছিল। মহারাষ্ট্র নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং রাজ্যের শীর্ষ নেতারা অঞ্চলভিত্তিকভাবে ওবিসি সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিজেপির সংযোগ স্থাপনের জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছিলেন। বিজেপি কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় সাতটি জাতি বা উপজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও রেখেছিল ওবিসি কমিশনের কাছে। ওবিসি সম্প্রদায়ের এই সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনা মহাযুতির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮টি। এর মধ্যে ১৭৫টি আসনে নির্ণায়ক শক্তি ওবিসি সম্প্রদায়। তার একটা বড় অংশই এবার গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। যার জেরে আরব সাগরের তীরের লোনা মাটিতেও ফুটেছে পদ্ম।

    ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি’

    মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হওয়ার পর কৃষকদের ভোট পদ্ম-ঝুলিতে টানতে একাধিক পদক্ষেপ করে মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকার। এর মধ্যে ছিল রাজ্য বাজেটে সরকার ৭.৫ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত কৃষি পাম্প ব্যবহারকারী কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা। নির্বাচনী ইশতেহারে, মহাযুতি ফসল ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। ‘ভাবান্তর যোজনা’র মাধ্যমে এমএসপি এবং প্রকৃত ক্রয়মূল্যের পার্থক্য পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। এছাড়াও গুচ্ছ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি হাতে নেয় সরকার। বিধানসভা নির্বাচনে এসবই ডিভিডেন্ট দিয়েছে বিজেপিকে। তার জেরেই আরব সাগরের তীর হয়েছে (Mahayuti) পদ্মময়। মহারাষ্ট্রের কুর্সির রং হয়েছে গেরুয়া (Maharashtra Assembly Elections)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Pilgrims: পাকিস্তানের হজযাত্রীদের দিতে হবে মুচলেকা! ভিক্ষাবৃত্তি রোধে কড়া পদক্ষেপ সৌদির

    Pakistani Pilgrims: পাকিস্তানের হজযাত্রীদের দিতে হবে মুচলেকা! ভিক্ষাবৃত্তি রোধে কড়া পদক্ষেপ সৌদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিক্ষাবৃত্তি রোধ করতে সৌদি আরব (Saudi-Arabia) এবার পাকিস্তানি তীর্থযাত্রীদের (Pakistani Pilgrims) কাছ থেকে মুচলেকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বহিরাগত ভিখারিদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে ইসিএল তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে ভিখারিদের মোট সংখ্যা রয়েছে ৪৩০০। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিতাড়িত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। একই ভাবে ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান প্রশাসন। ইতিমধ্যে অবৈধভাবে ভিসা দেওয়ায় ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ধরপাকড়ের মতো পদক্ষেপও দেখা গিয়েছে। মুসলমান রাষ্ট্রে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে পাকিস্তান। নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে।

    ভিক্ষাবৃত্তির বাণিজ্যিকরণ রুখতে পদক্ষেপ (Pakistani Pilgrims)?

    সৌদি আরবের (Saudi-Arabia) ইসলামিক ধর্মীয় তীর্থস্থানে পাকিস্তানি (Pakistani Pilgrims) ভিখারিদের বিরাট রমরমা! সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে উমরাহ্ তীর্থযাত্রীদের ছদ্মবেশে পবিত্র ধর্মীয় স্থানে এই ভিখারিদের বিরাট আধিপত্য বৃদ্ধি পেয়ছে। স্থানীয় জনবিন্যাস এবং ভিক্ষাবৃত্তির বাণিজ্যিকরণ রুখতে প্রশাসন এবার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও পাক প্রশাসন উমরাহ্ আইন আনার কথা জানিয়েছে। 

    বিরাট পরিমাণে ভিখারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি

    গত সেপ্টেম্বরে সৌদি সরকার (Saudi-Arabia) রিয়াদ উমরাহ্ এবং হজ ভিসার অধীনযুক্ত অঞ্চলে বিরাট পরিমাণে পাকিস্তানি ভিখারিদের (Pakistani Pilgrims সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তথ্য সমানে এসেছে। সেই সময়ের বন্যায় এই ভিখারিরা ব্যাপক ভাবে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তাই এই ভিখারিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক তা জানিয়ে নোটিশ জারি করেছিল সৌদি প্রশাসন। একই ভাবে বলা হয়, এই ধরনের ভিখারিদের ভিক্ষার উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে ভিসা প্রদানকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সৌদির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানি ভিখারিদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। ৪৩০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে।”

    আরও পড়ুনঃ নিজ্জর খুনের ঘটনা জানতেন না মোদি-জয়শঙ্কর-ডোভাল, দিল্লির চাপে ‘ঢোঁক গিলল’ ট্রুডো সরকার

    মুচলেকা দিতে হবে পাক হজ যাত্রীদের

    একই ভাবে সমস্যার কথা মাথায় রেখে, বেশ কিছু নিয়ম জারি করেছে সৌদি প্রশাসন। তাতে বলা হয়েছে—

    এক) সৌদি আরবে আগত হজযাত্রীদের ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ না করার বিশেষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকা দিতে হবে। আর যদি অন্যথা করেন তাহলে তীর্থযাত্রীদের (Pakistani Pilgrims) বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরিমানা সহ পাকিস্তানে বিতাড়িত করা হবে। 

     দুই) তীর্থযাত্রীদের শুধুমাত্র ভ্রমণের জন্য গ্রুপ করে বা দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করতে হবে। দল ছুট হলে ভিক্ষা বৃত্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়, তাই সকল দর্শনার্থীদের একসঙ্গে দলগত ভাবে ভ্রমণ করতে হবে। এই শর্ত অনিবার্য। আর যদি এই ভাবে ভ্রমণ না করে তাহালে তীর্থযাত্রীদের ভিসা বাতিল করা হবে। দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

     তিন) একই ভাবে যে সব ট্যুরিষ্টরা ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণ করতে যাবে, তাদের কাছ থেকেও মুচলেকা নেওয়া হবে। শর্ত না মানলে ট্র্যাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোনও ভাবেই অসৎ উদ্দেশে ধর্মস্থলে ভিক্ষা করা যাবে না। 

    পাকিস্তানে ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের (Pakistani Pilgrims) ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ইতিমধ্যে অবৈধভাবে উমরাহ্ ভিসাকে সহজ করতে গিয়ে নানা বেআইনি কাজ করেছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কাজ শুরু করেছে পাক প্রশাসন। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানে চারটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা নানা সময়ে অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকত। ফলে বিশ্বের কাছে পাকিস্তান আরও অসম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    মোটা টাকা নিয়ে দেশে ফেরে ভিখারিরা

    প্রতিবছর হজের সময় ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশগুলি থেকে বহু তীর্থযাত্রী হজে যায়। তাদের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে এইসব ভিখারিরা। সৌদিতে নেমে হারিয়ে যায় মানুষের ভিড়ে। তারপর তারা ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে দেয়। ফেরার সময় মোটা টাকা ঘরে নিয়ে আসে। এতে সমস্যায় পড়ে সৌদি প্রশাসন। উল্লেখ্য সৌদির বক্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে পাকিস্তানের তরফে বলা হয়েছে, ভিখারিদের সমস্যা মেটাতে একটি উমরাহ আইন নামে একটি আইন আনা হবে দেশে। এতে যেসব উমরাহ এজেন্সিগুলি মানুষজনকে হজে নিয়ে যায় তাদের উপরে নজর রাখা হবে ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Election: মহারাষ্ট্রে ‘মহাযুতি’-র বিপুল জয়ের কাণ্ডারি এই দুই মুখ, তাঁরা কারা জানেন?

    Maharashtra Election: মহারাষ্ট্রে ‘মহাযুতি’-র বিপুল জয়ের কাণ্ডারি এই দুই মুখ, তাঁরা কারা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra Election) সব অনুমান ছাপিয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ফিরছে বিজেপি (BJP) জোট। ধরাশায়ী বিরোধী মহাবিকাশ অঘাড়ী শিবির। মহারাষ্ট্রে ২৮৮টির মধ্যে ২২১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে শিন্ডেসেনা-বিজেপি-এনসিপি (অজিত)-র ‘মহাযুতি’। জোটে বিজেপি একাই ১২৫টি আসনে এগিয়ে। মারাঠাভূমে বিজেপির এই জয়ের নেপথ্য কারিগর হলেন দুই শীর্ষ বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র যাদব এবং আশ্বিনী বৈষ্ণব। গত ১০ নভেম্বর মুম্বইয়ের জনসভায় যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপির নির্বাচনী (Maharashtra Election) প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছিলেন তখন মঞ্চে নয়, দর্শকাসনে বসেছিলেন এই দুই নেতা। রাজ্য নেতাদের আসন ছেড়ে দিয়ে গোপনে পরিকল্পনা করছিলেন মানুষের মন জেতার। সেই কাজে আপাতত ১০০ শতাংশ সফল তাঁরা।

    দুই শীর্ষ নেতার দায়িত্ব

    মহারাষ্ট্র নির্বাচনের (Maharashtra Election) দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির (BJP) দুই শীর্ষ নেতা ভূপেন্দ্র যাদব এবং আশ্বিনী বৈষ্ণব খুব কম কথা বলেন। পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করাই তাঁদের স্বভাব। তাঁরা মুম্বইয়ে সপ্তাহের পর সপ্তাহ কাটিয়েছেন। মাটিতে থেকে কাজ করেছেন তৃণমূল স্তরে। দলের আভ্যন্তরীণ বিবাদ মেটাতে তাঁরা ছিলেন সদা সক্রিয়। লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে বিজেপির খারাপ ফলের পরই শীর্ষ নেতৃত্ব এই দুই নেতাকে রাজ্যে দলের দায়িত্ব দেন। সেখান থেকেই দলকে সাজান তাঁরা। ওবিসি ভোটারদের একত্রিত করা, কৃষকদের জন্য ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি, ‘লাডলি বেহেন’ স্কিম মারাঠাভূমে জনমানসে প্রভাব ফেলে।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, সাগরে নিম্নচাপের পরিস্থিতি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    যাদব এবং বৈষ্ণব জুটির সাফল্য

    এই ‘কৌশলী’ যুগল – যাদব এবং বৈষ্ণব – এর আগে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির (BJP) জয় নিশ্চিত করে। বিগ স্টেট উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জয় নিশ্চিত করার পর থেকেই যাদব দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী কৌশলবিদ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, বৈষ্ণব মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Election) মতো বড় রাজ্যে বিজেপির কৌশল বাস্তবায়ন এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির জয়ের পর সাংগঠনিক কাজে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন। এই একই কৌশলী দলটি মধ্যপ্রদেশে গত বছর নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের যাদুকাঠিতেই ২৩০ আসনের মধ্য থেকে ১৬৩টি আসনে বিজয়ী হয়ে মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠন করে বিজেপি। একই দলটি পরে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে (Maharashtra Election) দায়িত্ব পান। ফের নিজেদের দক্ষতা দেখালেন এই জুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nayab Saini: ২৮ নভেম্বর থেকে কুরুক্ষেত্রের পূণ্যভূমিতে শুরু আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব

    Nayab Saini: ২৮ নভেম্বর থেকে কুরুক্ষেত্রের পূণ্যভূমিতে শুরু আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের ময়দানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে দিয়েছিলেন গীতার উপদেশ। অর্থাৎ, ভগবদ্গীতা রচিত হয়েছিল কুরুক্ষেত্রে। আর সেই কুরুক্ষেত্রের পূণ্যভূমিতেই ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসবের (International Gita Mahotsav) আয়োজন হতে চলেছে। চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। হরিয়ানায় ফের ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নয়াব সাইনি (Nayab Saini)। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে শুক্রবার আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসবের কথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এই অনুষ্ঠান হতে চলেছে আধ্যাত্মিকতা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, চলতি বছরে তানজানিয়া অন্যতম সহযোগী দেশ হিসেবে থাকবে আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসবে। অন্যদিকে, ওড়িশা থাকবে সহযোগী রাজ্য হিসেবে। 

    সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য এবং পরম্পরা প্রতিফলিত হবে 

    দেশের অঙ্গরাজ্য ওড়িশা সম্পর্কে বলতে গিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী (Nayab Saini) বলেন যে প্রচুর ভক্তের গন্তব্য হল পুরীধাম। এছাড়া কোনারকের সূর্য মন্দির, লিঙ্গরাজ মন্দিরও যথেষ্ঠ বিখ্যাত। সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য এবং পরম্পরা প্রতিফলিত হবে গীতা মহোৎসবে, এমনটাই জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী (Nayab Saini) আরও জানিয়েছেন, তানজানিয়াকে আফ্রিকার গেট বলা হয়। ভারতের সঙ্গে গীতা মহোৎসবে তানজানিয়া সামিল হওয়াতে-দুই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই তিনি জানিয়েছেন।

    তানজানিয়ার একাধিক মন্ত্রীরও থাকার কথা রয়েছে গীতা মহোৎসবে 

    প্রসঙ্গত, তানজানিয়ার একাধিক মন্ত্রীরও থাকার কথা রয়েছে গীতা মহোৎসবে। আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল হরিয়ানাতে। সে কথা স্মরণ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, লক্ষাধিক মানুষ ভারত এবং বিদেশ থেকে সেই গীতা মহোৎসবের সামিল হন। এবারের মহোৎসবের ভক্ত সমাগম ৪৫ থেকে ৫০ লাখ হবে। তিনি (Nayab Saini) আরও জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল লন্ডনে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল কানাডাতে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গীতা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতে এবং চলতি বছরের শ্রীলঙ্কা এবং ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গীতা মহোৎসব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Election Results 2024: মহারাষ্ট্রে জয় নিশ্চিত ‘মহাযুতি’ জোটের, ভোটারদের ধন্যবাদ একনাথ শিন্ডের

    Maharashtra Election Results 2024: মহারাষ্ট্রে জয় নিশ্চিত ‘মহাযুতি’ জোটের, ভোটারদের ধন্যবাদ একনাথ শিন্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Election Results 2024) বিজয়ের পথে ‘মহাযুতি’। রাজ্যের ভোটারদের ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। ইতিমধ্যেই বিজেপি, শিবসেনা ও এনসিপির মহাযুতি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। মহাযুতি নেতা থেকে শুরু করে সকল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    ৫৮,৮৭৯ ভোটে এগিয়ে একনাথ (Maharashtra Election Results 2024)

    বিধানসভা নির্বাচনের ফল গণনার শেষ পাওয়া তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) কোপরি-পাচপাখাদি থেকে ৫৮৮৭৯ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি নির্বাচনী ফলকে ঘিরে বলেন, “আমি রাজ্যের সমস্ত ভোটার নাগরিকদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদেরকে বিপুল জয়ের দিকে অগ্রসর করার জন্য সকলকে অভিনন্দন জানাই। আমি আগেই বলেছিলাম আমরা নির্বাচনী ফলাফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবো। ‘লাডলি বেহেন’ (Ladli Bahin) প্রকল্প ব্যাপক ভাবে জনমনকে জয় করেছে। আমাদের প্রত্যাশা এবং অনুমানকে ব্যাপক ভাবে সাফল্যের দিকে নিয়ে গিয়েছে। এই ফলাফল (Maharashtra Election Results 2024) আমাদের গত আড়াই বছর কাজের উন্নয়নের প্রতিফল। আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রকল্প এবং জনমুখী পরিকল্পনাগুলি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসা জয় করতে সক্ষম হয়েছি। সঠিক ভাবে নীতিগুলিভাবে যাতে বাস্তবায়িত হয় সেই উদ্দেশে কাজ করেছি আমরা।”

    জয় মানুষের জয়

    মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের (Maharashtra Election Results 2024) ফলাফলকে সামনে রেখে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) আরও বলেছেন, “আমরা এখন চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছি মাত্র। ফলপ্রকাশের পর আমরা মহাযুতি জোটের পক্ষ থেকে বিজেপি, শিবসেনা, এনসিপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেব।” অপর দিকে জয় (Maharashtra Election Results 2024) সুনিশ্চিত বুঝতে পেরে একনাথ শিন্ডের ছেলে শ্রীকান্ত শিন্ডে দলের কর্মী-সমর্থকদের মিলে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী আসন পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই জয় মানুষের জয়।”

    আরও পড়ুনঃ রাহুল, খাড়্গে-সহ কংগ্রেসের তিন নেতাকে মানহানির নোটিশ পাঠাল বিজেপি

    বিজেপি ১০০ আসন অতিক্রম করবে

    আবার বিজেপি নেতা বিকাশ পাঠক ফলাফল (Maharashtra Election Results 2024) সম্পর্কে বলেছেন, “আমরা মহাযুতির জন্য ১৬০ টিরও বেশি আসন আশা করেছিলাম এবং ঠিক এভাবেই এটি প্রকাশ পাচ্ছে। এটি বিজেপির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বছর হবে। শক্তি বৃদ্ধি করে বিজেপি ১০০ আসনের সংখ্যা অতিক্রম করছে। শীঘ্রই একজন মহাযুতি মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Clash: অশান্ত মণিপুরে আসছে আরও ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, উদ্ধার ৩ হাজার অস্ত্রশস্ত্র

    Manipur Clash: অশান্ত মণিপুরে আসছে আরও ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, উদ্ধার ৩ হাজার অস্ত্রশস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর (Manipur Clash)। উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যে শান্তি ফেরাতে আরও ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে জওয়ান রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার ৮০০ জন। সব মিলিয়ে মণিপুরে মোতায়েন করা হচ্ছে ২৮৮ কোম্পানি জওয়ান। মণিপুর সরকারের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং বলেন, “অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ঝুঁকিপূর্ণ, সংবেদনশীল, সীমান্তবর্তী এবং মিশ্র জনসংখ্যার এলাকাগুলিতে।”

    অশান্ত জিরিবাম (Manipur Clash)

    ৭ নভেম্বর থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। সব চেয়ে বেশি অশান্তি হচ্ছে জিরিবাম জেলায়। এই দফার গোষ্ঠী সংঘর্ষে এই জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪ নভেম্বর ফের লাগু হয়েছে আফস্পা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৮ নভেম্বর সেখানে ৫০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এবার পাঠানো হচ্ছে আরও ৯০ কোম্পানি সেনা (Manipur Clash)।

    কী বলছেন মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা?

    মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং জানান, এই জওয়ানরা এলাকার বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করবেন। প্রত্যেক জেলায় আলাদা করে কন্ট্রোল রুম ও কো-অর্ডিনেশন সেল খোলা হচ্ছে। আধাসেনার তালিকায় রয়েছে সিআরপিএফের পাশাপাশি থাকবে বিএসএফ, সেনা, অসম রাইফেলস, আইটিবিপি এবং সশস্ত্র সীমাবল। জানা গিয়েছে, যেসব অস্ত্রশস্ত্র লুট করা হয়েছিল, তার মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মায়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাবে নিরাপত্তাবাহিনী। কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডে শুরু ভোট গণনা, দুই রাজ্যেই এগিয়ে বিজেপি জোট

    এর আগে প্রবীণ এক পুলিশ কর্তা বলেছিলেন, গত বছরের ৩ মে থেকে মণিপুর অশান্ত হওয়ার পর থেকে সব মিলিয়ে লুঠ হয়েছিল ৫ হাজার ৬৬৯টি উন্নতমানের অস্ত্র এবং লক্ষাধিক রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের (Central Forces) গুলি। প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ তাদের কাছে হস্তান্তরিত সমস্ত মামলার তদন্ত শুরু করেছে (Manipur Clash)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Worlds Tallest Temple: প্রবল ঝড়-ভূকম্পে থাকবে অক্ষত, বিশ্বের উচ্চতম মন্দির নির্মিত হচ্ছে মথুরায়

    Worlds Tallest Temple: প্রবল ঝড়-ভূকম্পে থাকবে অক্ষত, বিশ্বের উচ্চতম মন্দির নির্মিত হচ্ছে মথুরায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। তবে উত্তরপ্রদেশে মন্দির নির্মাণের পর্ব চলছেই। খুব দ্রুতগতিতে কাজ এগোচ্ছে কৃষ্ণ জন্মভূমি বলে পরিচিত মথুরার চন্দ্রোদয় মন্দিরের নির্মাণের কাজ। এই মন্দির পৃথিবীর উচ্চতম মন্দির (Worlds Tallest Temple) হতে চলেছে। দেশ-বিদেশের প্রচুর ভক্ত সারা বছরব্যাপী মথুরায় পা রাখেন। তাঁদের বিশ্বাস ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পবিত্র মথুরা মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মথুরার (Mathura) পাশেই যমজ শহর বৃন্দাবন। সেখানেও অগণিত ভিড় করেন। শ্রী কৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বলে পরিচিতি হল বৃন্দাবন।

    ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন (Worlds Tallest Temple) করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় 

    বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, মন্দির নির্মাণের (Worlds Tallest Temple) পরেই মথুরার আকর্ষণ সারা বিশ্বের কাছে আরও বেড়ে যাবে। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার সঙ্গেও এর তুলনা টানা হচ্ছে। মন্দির নির্মাণ হচ্ছে ইসকনের তত্ত্বাবধানে। জানা গিয়েছে, মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে। তৎকালীন দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন। মথুরার (Mathura) এই মন্দিরে থাকছে মোট ১৬৬ তলা, পৃথিবীতে আর কোনও মন্দিরে এতগুলি তলা নেই। প্রসঙ্গত, চন্দ্রোদয় মন্দিরের উচ্চতা হতে চলেছে ৭০০ ফুট। পৃথিবীর এই উচ্চতম মন্দির দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়ে তিনগুণ তিনগুণ বেশি উচ্চ হতে চলেছে। এমনকী, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার থেকেও উঁচু হবে এই মন্দির।

    ঝড়-ভূমিকম্পে থাকবে অক্ষত

    পুরো মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে একদম পিরামিডের ধাঁচে। মন্দিরের (Worlds Tallest Temple) সর্বোচ্চ তলার নাম দেওয়া হয়েছে ব্রজ মণ্ডল দর্শন। জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৭০০ কোটি টাকা। এই মন্দির রিখটার স্কেলের ৮ মাত্রা পর্যন্ত ভূকম্পন থেকেও নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম। সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে। আবার ১৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইলেও মন্দির অক্ষত থাকবে। মন্দিরটি ৭০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। মন্দির তৈরি হয়েছে ৫১১টি পিলারের মাধ্যমে। সম্পূর্ণ মন্দিরের ওজন পাঁচ লাখ টনেরও বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cash For Vote: রাহুল, খাড়্গে-সহ কংগ্রেসের তিন নেতাকে মানহানির নোটিশ পাঠাল বিজেপি

    Cash For Vote: রাহুল, খাড়্গে-সহ কংগ্রেসের তিন নেতাকে মানহানির নোটিশ পাঠাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের তিন নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকে দেওয়ার (Cash For Vote) হুমকি দিলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেটকে মানহানির নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তাওড়ের বিরুদ্ধে ভোটারদের টাকা বিলি করার অভিযোগ তুলেছেন।

    ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি (Cash For Vote)

    আইনি নোটিশে তাঁদের নিঃশর্তে তাওড়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে দেওয়ানি মানহানির মামলা এবং ফৌজদারি মানহানির মামলা করবেন। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাওড়ে বলেন, “কংগ্রেস নেতারা আমাকে ও আমার দলের মানহানির জন্য নির্বাচনের আগে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।”

    কী বলেছিলেন খাড়্গেরা?

    তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে, ১৯ নভেম্বর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং দলের মুখপাত্র সুপ্রিয়া বলেছিলেন যে বিনোদ তাওড়েকে ভোটারদের মধ্যে ৫ কোটি টাকা বিলি করার সময় হাতে-নাতে ধরা হয়েছে। তাঁরা কেবল (Cash For Vote) আমাকে ও আমার দলের মানহানি করতে চেয়েছিল।”

    বিজেপির এই নেতা বলেন, “আমি অত্যন্ত আঘাত পেয়েছি। আমি একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। গত ৪০ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি। আমি কখনওই এমন কিছু করিনি। কংগ্রেস নেতারা আমাকে, আমার দল ও আমার নেতাদের মানহানি করতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে সংবাদমাধ্যম ও জনগণের কাছে এই মিথ্যা কথা বলেছিলেন। তাই আমি তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতের নোটিশ পাঠিয়েছি যে তারা যেন প্রকাশ্যে ক্ষমা চান, অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: নিজ্জর খুনের ঘটনা জানতেন না মোদি-জয়শঙ্কর-ডোভাল, দিল্লির চাপে ‘ঢোঁক গিলল’ ট্রুডো সরকার

    তাওড়ের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। পদ্ম-সাংসদ সম্বিত পাত্র বলেন, “এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমাদের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে স্পষ্টভাবে রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন যে তিনি এসে (BJP) সিসিটিভির ফুটেজ দেখুন, নিজেই দেখুন এবং বলুন কোথায় অর্থ রয়েছে (Cash For Vote), কে বিতরণ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, সাগরে নিম্নচাপের পরিস্থিতি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, সাগরে নিম্নচাপের পরিস্থিতি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। বেলা বাড়লে পরিষ্কার হচ্ছে আকাশ। উত্তুরে হাওয়া (Weather Update) ঢোকায় এখন কোনও বাধা নেই। তাপমাত্রা আরও নেমে যাওয়াটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এই আবহে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে শনিবারই। তা ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপেও পরিণত হতে পারে। তবে নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে। তেমনটাই জানিয়েছে আলিপুর (Winter in Kolkata) আবহাওয়া দফতর।

    বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ

    বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত থেকে আজ নিম্নচাপ (Weather Update) তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে ‘ফেনজল’ বা ‘ফেঙ্গল’। এই ঝড়ের নামকরণ সৌদি আরবের। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর তার অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে। এর ফলে তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি হতে পারে। আগামী কয়েক দিন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পর্যটকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে মৎস্যজীবীদের জন্যেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

    জেলায় জেলায় হাওয়ার খবর

    পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার (Weather Update) হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা একই থাকবে। তবে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, বাংলার জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে শনিবার। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনাতেও কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

    শহরে ঠান্ডার আমেজ

    কলকাতার (Winter in Kolkata) তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির ঘরেই রয়েছে। আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী দিন তিনেক শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রারও বিশেষ কিছু হেরফের হবে না। মহানগরীতে ঠান্ডার আমেজ থাকবে উইকেন্ডে।  শুক্রবার শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি কম।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ভিড় নিয়ন্ত্রণে এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার খবর

    ইতিমধ্যেই গত ২১ নভেম্বর মরশুমের প্রথম তুষারপাত দেখেছে দার্জিলিং। সান্দাকফুতে (Sandakphu) বরফ পড়েছে গত পরশুদিন। আবারও দার্জিলিঙের সান্দাকফুতে বরফ পড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলা দার্জিলিঙের পাশাপাশি দুই দিনাজপুরে আগামী কয়েক দিন সকালের দিকে কুয়াশার দাপট লক্ষ্য করা যাবে। সেই সঙ্গে কুয়াশার দাপট থাকবে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার কিছু অংশে। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rabi Ghosh: চাকরি ছেড়ে দিয়ে অভিনয়, পড়ুন বডিবিল্ডার রবি ঘোষের কমেডিয়ান হয়ে ওঠার কাহিনি

    Rabi Ghosh: চাকরি ছেড়ে দিয়ে অভিনয়, পড়ুন বডিবিল্ডার রবি ঘোষের কমেডিয়ান হয়ে ওঠার কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা ছবির কিংবদন্তী অভিনেতা (Actor) রবি ঘোষ। শুধু কমেডিয়ান বললে তাঁকে সঠিক সম্মান জানানো হয় না। বুদ্ধিদীপ্ত কমেডি অভিনয়ের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ছিলেন রবি ঘোষ, যাঁর চোখ কথা বলত। সেই চোখের প্রশংসা করেছিলেন সত্যজিৎ রায় থেকে তপন সিন‍্‍হা। ১৯৩১ সালের ২৪ নভেম্বর কোচবিহারে জন্ম হয় রবি ঘোষের (Rabi Ghosh)। তাঁর আসল নাম ছিল রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি। 

    স্কুল-কলেজ জীবন (Rabi Ghosh)

    রবি ঘোষের (Rabi Ghosh) পূর্বপুরুষরা ছিলেন বাংলাদেশের বরিশালের লোক। তাঁর বাবা জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে থাকতেন কলকাতার মহিম হালদার স্ট্রিটে। কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা রবির। তারপর দেশভাগ। ভারতবর্ষ স্বাধীনতা পেল। ১৯৪৭ সালে কলকাতার ‘সাউথ সাবার্বান মেন স্কুল’ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। স্কুলে রবির সহপাঠী ছিলেন উত্তম কুমারের ছোটভাই তরুণ চট্টোপাধ্যায়, অর্থাৎ অভিনেতা তরুণ কুমার। তখন কে জানত পরবর্তীকালে দুই বন্ধু একইসঙ্গে বাংলা ছবির উজ্জ্বল নক্ষত্র হবেন। রবি ঘোষ এবং তরুণ কুমার একসঙ্গে শুধু ফিল্ম নয়, প্রচুর নাটকও করেছেন পেশাদার রঙ্গমঞ্চে। রবি ঘোষ আশুতোষ কলেজ থেকে আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯৪৯ সালে এবং সেই কলেজেরই নৈশ বিভাগ শ্যামাপ্রসাদ কলেজে বি.কম-এ ভর্তি হন। নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু কলেজের ব্যায়ামাগারেই। কারণ রবির দু’চোখে তখন শুধু বডিবিল্ডার হওয়ার স্বপ্ন। অভাব-অনটন-দুর্যোগ কাটিয়ে রবি ঘোষ বডিবিল্ডার হতে পেরেছিলেন। যে কারও চোখ ঝলসে যেত রবির পেশি ফোলানো চেহারা দেখে। কোন বাঙালি ছেলের অমন চেহারা দেখা দুর্লভ তখন। রবি হতে চেয়েছিলেন বডি বিল্ডার, হয়ে গেলেন কমেডিয়ান।

    পুলিশের চাকরি ছেড়ে অভিনয়ে

    ১৯৫৩ সালে কলকাতা পুলিশ-কোর্টে (Rabi Ghosh) চাকরি শুরু করলেও ১৯৬১ সালে সেসব পাট চুকিয়ে পাকাপাকি অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। অভিনয় জীবন শুরু পঞ্চাশের দশকে ‘সাংবাদিক’ নাটক দিয়ে। পরিচালক ছিলেন উৎপল দত্ত। রবি ঘোষের ছবি করা শুরু হয় অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘কিছুক্ষণ’ ছবি দিয়ে। সে ছবি আজ লুপ্ত। সে সময়ে হিরোদের বাহুবলী হওয়ার দরকার পড়ত না। দরকার পড়ত অভিনয়ের, আর খানিকটা সুন্দর মুখেরও। রবি ঘোষের ‘সুন্দর মুখ’ ছিল না, তাই নায়ক হওয়া হয়নি। উত্তম-সৌমিত্র-বসন্ত যুগে পেলেন না রবি নায়কের রোল।  কিন্তু রবি তাঁর প্যাশন বিসর্জন দিলেন না। তবে, ‘গল্প হলেও সত্যি’র ধনঞ্জয় তো নায়কই। হিন্দিতে যখন ‘গল্প হলেও সত্যি’র রিমেকে ‘বাবুর্চি’ হলেন রাজেশ খান্না, সে তো কাকের গায়ে ময়ূরপুচ্ছ লাগানো হল। রাজেশ খান্না সুপারস্টার হিরো। কিন্তু সেই স্টারডমে যেন ধনঞ্জয়ই এগিয়ে রইলেন। এখানেই রবি ঘোষের জয়। যদি হিন্দি রিমেকেও রবি ঘোষ থাকতেন তাহলে হয়তো ছবিটা অন্য ইতিহাস করত। কিন্তু বলিউড প্রযোজকরা একজন আঞ্চলিক অভিনেতার ওপর ভরসা করতে পারেননি।

    সব ধরনের অভিনয়ে বাজিমাত!

    সত্যজিৎ রায়, তপন সিন‍্‍হা, দীনেন গুপ্ত থেকে অঞ্জন চৌধুরী। সব ধারার ছবিতে দশকের পর দশক রবি ঘোষ (Rabi Ghosh) অনন্য, কি কমেডি কি অন্যধারার অভিনয়। সত্যজিৎ রায়ের বাঘার অভিনয় সকলের নজর কেড়েছিলেন। ‘আগন্তুক’ বা ‘নির্জন সৈকতে’র রবি ঘোষ দুটো একদম ভিন্ন চরিত্র। একটি চরিত্র বন্ধুবৎসল, বিচক্ষণ লোক এবং অন্যটি পুরীর পান্ডা, যে উড়ে-ভাষী। কী রেঞ্জ অভিনয়ের! ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’য় পানু প্রাণকেষ্টর চরিত্রেও অসামান্য রবি ঘোষ। মৃণাল সেনের কোরাস সিনেমাটির শুরুতেও তাঁকে দেখা যায়। তরুণ মজুমদার অনেক ছবিতেই রবি ঘোষকে নিয়ে কাজ করেন, যেমন ‘ঠগিনী’, ‘রূপসী’, ‘শহর থেকে দূরে’। বিজয় বসুর ‘বাঘিনী’র ভিলেন রোলেও রবি দুরন্ত। সত্যজিৎ বাবুর ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিতে রবি ঘোষ মাতাল বন্ধুদের সঙ্গে থেকেও মদ্যপান করেননি। তাঁর শেষ কাজ কলকাতা দূরদর্শনে ‘গোপাল ভাঁড়’, তা দেখতে প্রতি রবিবার দুপুরে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যেত।

    মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি

    কলকাতা শহরে রবি ঘোষকে (Rabi Ghosh) নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান নেই, চর্চা নেই। এমনই আক্ষেপ তাঁর অনুগামীদের। লেজেন্ডরা সরকারি স্বীকৃতি কবেই বা পেয়েছেন! তবু দর্শক মনে তাঁদের চির-উজ্জ্বল উপস্থিতিই যেন আসল পুরস্কার। ভয়ঙ্কর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন রবি ঘোষ। প্রয়োজনের বাইরে একটি কথাও তিনি বলতেন না। রাশভারী গোছের মানুষ ছিলেন। তবে অভিনয় জগতে ‘সিন স্টিলার’ ছিলেন তিনি। দৃশ্য চুরি করে নিতে পারতেন অনায়াসেই। রবি ঘোষ এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি খেতে খেতে খুব ভালো কথা বলতে পারেন। প্রিয় খাবার ছিল লুচি আর পাঁঠার মাংস। ১৯৯৭ সালের 8 ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। তবে, তাঁর অভিনয়ের মধ্যে দিতে তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন বাঙালির মনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share