Blog

  • Bangladesh: বাংলাদেশে পরপর সাংবাদিক খুন, মিডিয়ার ওপর দায় চাপাল ইউনূস সরকার!

    Bangladesh: বাংলাদেশে পরপর সাংবাদিক খুন, মিডিয়ার ওপর দায় চাপাল ইউনূস সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ব্যাপক ও তীব্র ছাত্র-নেতৃত্বাধীন সরকার বিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন বিশ্ববাসী। ঢাকার রাজপথ রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল। গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ি এলাকায় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা এবং সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর সেই ঘটনা কভার করতে গিয়ে ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক মেহেদি হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। একই দিনে পুলিশের গুলিতে আহত হন একাত্তর টিভির প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিন। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে বিশেষ করে জুলাই মাসে মিডিয়ার ওপর আক্রমণ বেড়ে যায়।

    আটজন সাংবাদিক নিহত, শতাধিক জখম (Bangladesh)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি বড় আকারের বিদ্রোহে পরিণত হয়েছিল। হাসিনা অবশেষে ভারতে চলে আসেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এবছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে এ পর্যন্ত আটজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। শতাধিক আহত হয়েছেন। গত এক দশকের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ সংখ্যা। ওপার বাংলার এক সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন বলেন, ‘‘দেশব্যাপী (Bangladesh) উত্তাল অবস্থার মধ্যে পড়ে আমি জখম হয়েছিলাম। আর এটা ছিল আমার অভিজ্ঞতার সবচেয়ে নৃশংস ঘটনা। খবর পেয়ে আমি ছুটে গিয়েছিলাম। আমার মতো অন্যান্য মিডিয়া হাউসের সাংবাদিকরা গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছিলাম, আমার আশেপাশের সব জায়গায় মানুষকে গুলি করছিল। আমি যদিও নিজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেই নিউজ কভার করতে গিয়েছিলাম। আর ওই সেফটি গিয়ারের কারণে আমি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলাম। কিন্তু মেহেদি কোনও নিরাপত্তার কোনও কিছু না নিয়ে এই হিংসাত্মক প্রতিবাদ কভার করছিল। তাঁর মিডিয়া হাউস থেকে বুলেট-প্রুফ ভেস্ট এবং একটি হেলমেট পেলে হয়তো তিনি বেঁচে থাকতেন।’’ শারমিন বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অনেক মিডিয়া আউটলেট সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি, যদিও তাঁরা সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কাজ করছেন।’’

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    উদ্বেগ প্রকাশ করলেন এক সাংবাদিক

    ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নামে এক সাংবাদিক গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন টেলিভিশন স্টেশনের জন্য কাজ করেছেন। তিনিও একই রকম মতামত শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের প্রায়ই প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় (Bangladesh) পাঠানো হয়। এছাড়াও, অনেক সাংবাদিকের এই ধরনের ঘটনাগুলির প্রতিবেদন করার সময় কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হয় সে সম্পর্কে প্রাথমিক নিরাপত্তা জ্ঞানের অভাব রয়েছে। আর এই অভাব তাদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে, অনেককেই প্রাণ হারাতে হয়েছে। জখমও হয়েছেন বহুজন।’’

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা একটি প্রধান উদ্বেগ

    বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে বাংলাদেশ বর্তমানে ১৮০-এর মধ্যে ১৬৫ নম্বরে রয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন র‍্যাঙ্কিং। আর নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কোনও উন্নতি তো হইয়নি, উল্টে অবনতি হয়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের (Bangladesh) দমন-পীড়নে সহায়তা করার অভিযোগে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অনেক আইনি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন যে মামলাগুলি প্রমাণ ভিত্তিক নয় এবং এটি একটি খারাপ নজির স্থাপন করতে পারে।

    ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডও বাতিল

    হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সেদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের (Bangladesh) সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তিন দফায় বাংলাদেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডও বাতিল করেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, এমনটাই অভিযোগ। এনিয়ে আমেরকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘‘আমরা চাই সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারকে যথাযথভাবে সম্মান দেখানো হোক।’’ যদিও অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্য বলেছে যে তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্বর্তী সরকারের (Interim Government) প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, ‘‘হাসিনা বিরোধী অস্থিরতার সময় যারা নিহত হয়েছেন তাদের বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করছে। আর তিনি সাংবাদিকদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে বলেন, মিডিয়া সংস্থাগুলিকে অবশ্যই সাংবাদিকদের সুরক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে যখন সংঘাতের পরিবেশে প্রতিবেদন করা হয়। সংস্থার এই বিষয়ে দেখার দায়িত্ব।’’ তবে, সরকারের কোনও ভূমিকার বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীতে জামুইতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদির, ৬,৬৪০ কোটির প্রকল্পের সূচনা

    PM Modi: বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীতে জামুইতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদির, ৬,৬৪০ কোটির প্রকল্পের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জনজাতি গৌরব দিবস পালন করতে বিহারের জামুইতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। এই দিনটিকে মোদি সরকার জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। চলতি বছরে বিরসা মুন্ডার (Birsa Munda) দেড়শতম জন্মবার্ষিকী পালন হচ্ছে দেশজুড়ে। এই উপলক্ষেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জামুইতে ভগবান বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেন।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)? 

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এনিয়ে লেখেন, ‘‘জনজাতি গৌরব দিবসে ভগবান বিরসা মুন্ডার দেড়শতম জন্মবার্ষিকীর শুভারম্ভ হল। এই কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। জামুইয়ের ভূমি থেকে আমি সমস্ত আদিবাসী ভাই-বোনেদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’ 

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিনই ভগবান বিরসা মুন্ডার স্মরণে একটি মুদ্রা এবং পোস্টাল স্ট্যাম্পও চালু করেন। এর পাশাপাশি, এদিন তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একাধিক উন্নয়মূলক প্রকল্পের। যার মূল্য ৬,৬৪০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পগুলি আদিবাসীদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজে লাগবে বলে জানান তিনি।

    মানুষের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন জামুইতে পা রাখতেই জনগণের উন্মাদনা তুঙ্গে ওঠে। মৌসুমী দেবী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এখানে মোদিজিকে দেখতে এসেছি। তিনি কৃষকদের তথা দেশের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমরা তাঁরই জন্য বিনামূল্য রেশন পরিষেবা পাচ্ছি করোনাকাল থেকে। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’’ প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েক বছর আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে, ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র দুঃসাহসিক গল্প স্মরণ করেন এবং ঘোষণা করেন, তাঁর জন্ম-জয়ন্তী (Janjatiya Gaurav Divas), প্রতি বছর ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DRDO: নতুন ‘গাইডেড পিনাকা ওয়েপন সিস্টেম’-এর সফল পরীক্ষা ভারতের, কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    DRDO: নতুন ‘গাইডেড পিনাকা ওয়েপন সিস্টেম’-এর সফল পরীক্ষা ভারতের, কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনার কাছে অত্যন্ত পছন্দের এবং বিশ্বের দরবারে আলোড়ন ফেলে দেওয়া ১০০ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র ‘পিনাকা’-র সর্বাধুনিক এবং নতুন গাইডেড উয়েপন সিস্টেমের সফল পরীক্ষা করল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। 

    প্রোভিজনাল স্টাফ কোয়ালিটেটিভ রিকোয়ারমেন্টস (PSQR) এর অংশ হিসাবে এই পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত আনার জন্য ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর, নির্ভুলতা, সামঞ্জস্য এবং ফায়ার রুটের মতো একাধিক প্যারামিটারও মূল্যায়ন করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, এদিনের পরীক্ষা হওয়া পিনাকা মার্ক ২ (Mk-II) সংস্করণের রকেটের পাল্লা প্রায় ৭৫-৯০ কিমি। সেখানে বর্তমানে সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত সংস্করণের পাল্লা প্রায় ৪৫-৬০ কিমি। ফলত, এদিনের পরীক্ষা সফল হওয়ায় বাহিনীতে নয়া গাইডেড সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অনেকটাই এগিয়ে গেল।

    পর্যায়ক্রমে ট্রায়াল এবং সিস্টেম পারফরম্যান্স (DRDO)

    পিনাকা অস্ত্রের (Guided Pinaka Weapon) পরীক্ষাগুলি বিভিন্ন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে তিনটি ধাপে পরিচালিত হয়েছিল। দুটি আপগ্রেড ইন-সার্ভিস পিনাকা লঞ্চার ব্যবহার করে প্রতিটি উৎপাদক সংস্থা থেকে মোট বারোটি রকেটকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই অস্ত্রের সিস্টেমে নির্ভুল স্ট্রাইকের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা হয়েছে। মানদণ্ড প্রি-সালভো মোডে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ‘হিট’ নিশ্চিত করেছে। 

    ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র বিশেষ উদ্যোগ

    গাইডেড পিনাকা একটি সম্পূর্ণ দেশীয় সিস্টেম যা ডিআরডিও (DRDO) ল্যাবোরেটরির একটি কনসোর্টিয়াম দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই রকেট সিস্টেম তৈরি করেছে আরমানেন্ট রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট। সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে রিসার্চ সেন্টার ইমারত, ডিফেন্স রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। গোলাবারুদ উৎপাদন পরিচালনা করতে মিউনিশনস ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেডের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো পিনাকা লঞ্চার এবং একাধিক সরঞ্জামগুলির নকশা ও উৎপাদনে কাজ করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিও এবং সহযোগী সংস্থাগুলিকে সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    পিনাকা সিস্টেমের মূল বৈশিষ্ট্য

    পিনাকা (Guided Pinaka Weapon) মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার (এমবিআরএল) একটি বহুমুখী এবং অত্যন্ত কার্যকর আর্টিলারি অস্ত্র, যা বর্ধিত রেঞ্জে দ্রুত এবং বিধ্বংসী করার জন্য নকশা করা হয়েছে। ভগবান শিবের ঐশ্বরিক ধনুকের নামানুসারে নামকরণ হয়েছে। পিনাকা সিস্টেম প্রাথমিকভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রাচীন রাশিয়ান গ্র্যাড বিএম-২১ (BM-21) রকেট লঞ্চারের অনুকরণে  তৈরি করা হয়েছে এই পিনাকা এমবিআরএল-কে।এই রকেটগুলি (DRDO) নির্ভুল স্ট্রাইকে অত্যন্ত সক্ষম। সিস্টেমটি সুরক্ষিত, উচ্চ-মূল্যের লক্ষ্যগুলির বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ভাবে কাজ করতে পারে।

    পিনাকা সিস্টেমে বিশ্বব্যাপী চাহিদাপূর্ণ অস্ত্র। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাজারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আর্মেনিয়া ইতিমধ্যে এই পিনাকা কিনেছে ভারতের থেকে। শুধু তাই নয়, আজারবাইজানের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে তা ব্যবহারও করছে। অন্যদিকে, ফ্রান্সও এই পিনাকা কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দু’দেশের মধ্যে আলোচনাও চলছে। এখন চূড়ান্ত সিলমোহর পড়তে বাকি।

    পিনাকা সিস্টেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহৃত হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (HIMARS)-এর মতো যোগ্য প্রতিরূপ হিসাবে দেখা হয়। ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষমতা এবং রফতানিতে ব্যাপক সাফল্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পিনাকা হল ভারতের প্রথম প্রধান অস্ত্র যা ভারতকে অস্ত্র রফতানিকারক দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    ভারতীয় প্রতিরক্ষায় কৌশলগত ভূমিকা

    পিনাকা (Guided Pinaka Weapon) সিস্টেম ইতিমধ্যেই যুদ্ধের পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয়তাকে প্রমাণ করেছে। বিশেষ করে ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়, যেখানে এটি উচ্চ উচ্চতায় পাকিস্তানি বাঙ্কারগুলিকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে আঘাত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে উঠেছিল। পাহাড়ের উপর পাকিস্তানি সেনাদের বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিতে এর প্রথম ব্যবহার করেছিল ভারত। আজ এই অস্ত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য একটি মূল সম্পদ। পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এবং চিন-সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) এই অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে। আধুনিক আর্টিলারি যুদ্ধের কথা ভেবে এর কাঠামোতে উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও অত্যাধুনিক আপগ্রেডের লক্ষ্য হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লাকে ১২০ কিমি, ১৫০ কিমি, এমনকী ২০০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে (DRDO) আরও মজবুত করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Giriraj Singh: ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    Giriraj Singh: ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার উপনির্বাচনে অশান্তি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে দেশের হিংসার রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার (Mamata Banerjee) সেখানকার আইন-শৃঙ্খলাকে একদম পকেটে ভরে নিয়েছে এবং মুসলমান সম্প্রদায়কে তোষণ করার রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আগামী দিনে তা বাংলাদেশ হতে চলেছে।’’ 

    নির্লজ্জতার সমস্ত স্তর অতিক্রম করেছেন কর্নাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী

    একইসঙ্গে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী, সিদ্ধারামাইয়াকেও তিনি তোপ দাগেন এবং বলেন, ‘‘কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি।’’ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন যে তাঁর রাজ্যে অপারেশন লোটাস চালাতে চাইছে বিজেপি। এভাবেই কংগ্রেসের সরকারকে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়েই তাঁকে তোপ দাগেন গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তিনি বলেন, ‘‘নির্লজ্জতার সমস্ত স্তর অতিক্রম করেছেন কর্নাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেই একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি। কর্নাটক সরকার সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করছে। কংগ্রেস সরকার সে রাজ্যের টেন্ডারেও তোষণের রাজনীতি করছে। শুধু মুসলিম হওয়ার জন্য যদি রিজার্ভেশন দেওয়া হয়, তাহলে তার থেকে বড় দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে!’’

    সুইৎজারল্যান্ডে নিষিদ্ধ হবে বোরখা, কী বলছেন গিরিরাজ (Giriraj Singh)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুইৎজারল্যান্ডে বোরখা নিষিদ্ধ হতে চলেছে। ২০২৫ সালের সালের ১ জানুয়ারি থেকে সে দেশে নিষিদ্ধ হবে বোরখা। এ নিয়ে গিরিরাজ বলেন, ‘‘বর্তমানে পরিবর্তনের যুগ চলছে। নারী সশক্তিকরণের যুগ চলছে।’’ অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী চাইছেন সারা ভারতে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক। এইভাবে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গৃহযুদ্ধে মদত দিতে চান এবং ভারতবর্ষকে এর মাধ্যমে ধ্বংস করতে চান।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: ‘ভুয়ো’ চেক দিয়ে ধাপে ধাপে বালুরঘাট পুরসভার ১৪ লক্ষ টাকা গায়েব!

    Balurghat: ‘ভুয়ো’ চেক দিয়ে ধাপে ধাপে বালুরঘাট পুরসভার ১৪ লক্ষ টাকা গায়েব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে নানা অনিয়মকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, দুই বর্ধমানসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কয়েক’শো স্কুল পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে নাজেহাল শিক্ষা দফতরের পড়ুয়ারা। সেই আবহেই এ বার পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠল। বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ১৪ লক্ষের বেশি টাকা তুলে নিয়েছেন অন্য কেউ! এমন ‘ভুতুড়ে কাণ্ডে’র অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটে। কে বা কারা পুরসভার টাকা গায়েব করলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এখানেও কি তাহলে ট্যাবের মতো প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে? সেই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে। যদিও বিজেপির দাবি পুরসভা নিজের কেলেঙ্কারির দোষ ব্যাঙ্কের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র টাকা গায়েবের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে মোট ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। তিনটি চেকের মাধ্যমে সেই টাকা তুলেছে প্রতারকরা। কিন্তু, অশোকের দাবি, যে যে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছে, তা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউকে দেওয়া হয়নি। তার পরও কীভাবে ওই চেকগুলির মাধ্যমে টাকা তোলা হল, তা বুঝতে পারছেন না তিনি। অশোকের দাবি, ৫৩৭৭১, ৫৩৭৭২ এবং ৫৩৭৭৩ এই তিনটি নম্বরের চেক ব্যাঙ্কে (Bank) জমা দিয়ে পুরসভার টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু চেকগুলি এখনও পুরসভার চেক বুকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অথচ তা দিয়েই ধাপে ধাপে ১৪ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কী ভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুরসভার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অশোক। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, পুরো বিষয়টি জানিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। এক দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি পুরসভার টাকা ফেরত না আসে তবে আইনি পদক্ষেপ করব। বালুরঘাট থানা, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কী বললেন?

    বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর হতেই ব্যাঙ্কের বালুরঘাট (Balurghat) শাখার ম্যানেজার বিক্রান্ত কুমার বলেন, ‘‘এই শাখায় এমন কোনও অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সদর দফতরে জানানো হয়েছে। কী ভাবে ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    এই বিষয়ে বিজেপির বালুরঘাট (Balurghat) শহরের সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত বলেন, ‘‘আমরা সবাই জানি এই সরকার চোরের সরকার। পুরসভা নিজের কেলেঙ্কারির দোষ ব্যাঙ্কের ওপর দিয়ে দিতে চাইছে। এই ঘটনায় পুরসভার সবাই জড়িত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Pollution: প্রবল দূষণে নাজেহাল দিল্লি, জারি ৫ দফা নির্দেশ, প্রাথমিক স্কুল চলবে অনলাইনে

    Delhi Pollution: প্রবল দূষণে নাজেহাল দিল্লি, জারি ৫ দফা নির্দেশ, প্রাথমিক স্কুল চলবে অনলাইনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল দূষণে (Delhi Pollution) নাজেহাল দিল্লি। যার জেরে জারি করা হয়েছে ৫ দফা নির্দেশ। প্রাথমিক স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে অনলাইন মাধ্যেম ক্লাস চালাতে। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই বলেছেন, ‘‘এখনই নতুন করে কড়াকড়ি জারি হবে না। তবে বিকেল থেকে জানানো হয়েছে দূষণ মোকাবিলায় শুক্রবার থেকে জারি হবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমানতা কমে ৫০০ থেকে ৬০০ মিটারে দাঁড়িয়েছে।’’

    তৃতীয় স্তরের সতর্কতা জারি (Delhi Pollution)

    দিল্লির বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) বা গুণগত মানের সূচক ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে। দূষণ (Delhi Pollution) মোকাবিলায় শুক্রবার থেকে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে দেশের রাজধানী। দিল্লিতে বাতাসের গুণমান অত্যন্ত অবনতি হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দূষণ মোকাবিলায় শুক্রবার সকাল ৮টা থেকেই কার্যকর হতে চলেছে তৃতীয় স্তরের সতর্কতা (পরিভাষায়, গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএপি ৩)। এখন প্রয়োজন নয়, এমন নির্মাণ বা ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। অপর দিকে বাসের সংখ্যাও কমানোর কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা বলেন, “পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত শুক্রবার থেকে দিল্লির সব প্রাথমিক স্কুলে অনলাইন পঠনপাঠন চলবে।”

    বেশি পরিমাণে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করা হবে

    ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা এবং সতর্কতা। একই সঙ্গে কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কিছু সরকারি পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণ কাজকে এই কাজের বাইরে রাখা হয়েছে। বিএস ৩-এর নিচে থাকা পেট্রল গাড়ি এবং বিএস ৪-এর নিচে থাকা ডিজেল গাড়ি চলাচল করতে পারবে না দিল্লির রাস্তায়। এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে উত্তরপ্রদেশ, গুরুগাম, গাজিয়াবাদ এবং নয়ডায়। নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাস চলাচলও। আন্তঃরাজ্য পরিবহণে বৈদ্যুতিক সিনএনজি এবং ডিজেল চালিত বিএস ৬ বাস ছাড়া অন্য কোনও বাস চলাচল করবে না। একমাত্র অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনের ক্ষেত্রেই ডিজেল চালিত জেনারেটার ব্যবহার করা যাবে। জিআরএপি ৩ কার্যকর থাকাকালীন রাস্তায় ধুলো (Delhi Pollution) নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও বেশি পরিমাণে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    বাতাসের গুণগত মানের সূচকের মান ৪২৮

    দিল্লি-সহ আশপাশের এলাকায় দূষণের (Delhi Pollution) মাত্রা বিরাট আকার নিয়েছে। বৃহস্পতিবার আগ্রায় বিরাট ধোঁয়াশা এতটাই ছিল যে তাজমহলের প্রবেশদ্বার থেকে সৌধ দেখা যাচ্ছিল না। দিল্লিতেও ছিল ঘন চাঁদর। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের সূচক পৌঁছে গিয়েছিল ৪২৮-এ। বাতাসের মান বিষয়ক কমিশন (সিএকিউএম) জানিয়েছে দিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে জিআরপি ৩ কার্যকর হয়ে যাবে। দেখা গিয়েছে প্রতি ৭ থেকে ১০টি পরিবারের মধ্যে কমপক্ষে ১ জন দূষণের শিকার হচ্ছেন। অসুস্থাতার জন্য গলা ব্যথা বা কাশি, চোখে জ্বালাপোড়া ভাব, নাক দিয়ে জল পড়া-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Giriraj Singh: চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    Giriraj Singh: চাপ মৌলবাদীদের! মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে, বিস্ফোরক গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দেশে একটি নতুন সংস্কৃতি আমদানি হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে উগ্র মৌলবাদীদের ফতোয়ার কারণে মহিলারা সেই সমস্ত জায়গাতেও বোরখা (Burqa) পরছেন, যেখানে হয়ত তার দরকারই নেই।’’ গিরিরাজের দাবি, ‘‘মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে। এদেশে ১০০ কোটিরও বেশি হিন্দুর কাছে এগুলি নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার কারণ রাহুল গান্ধী কিংবা লালু প্রসাদ যাদব, তাঁরা হচ্ছেন ‘ভোটের সওদাগর’। তাঁরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য এগুলো সমর্থন করছেন। এদিন গিরিরাজ জমিয়তে-উলেমা-হিন্দের প্রধান আরশাদ মাদানিকেও তীব্র আক্রমণ করেন। একই সঙ্গে ইত্তেহাদ-ই-মিলাদি কাউন্সিলের প্রধান তকবীর রাজাকেও তিনি একহাত নেন। তাঁর মতে, ‘‘এঁরা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।’’

    বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে

    এদিন তিনি (Giriraj Singh) আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে। মুসলিম দেশগুলিতে বোরখার বিরুদ্ধে নারীরা আন্দোলন করছেন। কিন্তু ভারতবর্ষে উগ্র মৌলবাদীরা নতুন ধরনের সংস্কৃতি আমদানি করেছে, যেখানে অপ্রয়োজনীয় জায়গাতেও তাঁরা বোরখা (Burqa) পরছেন।’’ প্রসঙ্গত, মুসলিম নেতা মাদানি সম্প্রতি বলেছেন যে, পাঁচ লাখ লোক তাঁরা জমায়েত করবেন, ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে। আইনের বিপক্ষে গিয়ে তাঁরা কিছুই করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন গিরিরাজ।

    গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করছেন রাহুল গান্ধী!

    সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও তোপ দেগেছেন তিনি। তিনি (Giriraj Singh) বলেন, ‘‘সারাদেশে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে সবচেয়ে বেশি কংগ্রেস দল। কারণ তারাই দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়। শুধুমাত্র তাই নয়, রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী চাইছেন সারা ভারতে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক। এইভাবে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গৃহযুদ্ধে মদত দিতে চান এবং ভারতবর্ষকে এর মাধ্যমে ধ্বংস করতে চান।’’ খাড়্গেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘খাড়্গে সাহেব আপনার উদ্দেশ্য কখনও পূরণ হবে না, কারণ ভারতবর্ষের যুবসমাজ বর্তমানে জেগে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে দূষণ। বিশেষত বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে একাধিক বিপদ। আর সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ফুসফুসের! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। যার জেরে নিউমোনিয়ার (Pneumonia) মতো রোগের দাপট মারাত্মক বেড়েছে। ১২ নভেম্বর ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া সচেতনতা দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে পৃথিবী জুড়ে এই রোগের দাপট বাড়ছে, তাতে সচেতনতা না বাড়ালে মোকাবিলা করা কঠিন। আরও কঠিন হয়ে উঠবে সুস্থ জীবনযাপন। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এই বছরে তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক নিঃশ্বাস কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোঝা জরুরি। বাতাসে যেভাবে দূষিত উপাদান বাড়ছে, তাতে পরিশুদ্ধ বাতাস কতখানি পাচ্ছে, মানুষকে সেদিকে নজর দিতে হবে। এ বছরের থিম ‘Every Breath Counts’।

    কাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া? (Pneumonia) 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু এবং বয়স্কদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এই রোগ।‌ নিউমোনিয়ার দাপটে বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর ৮০ লাখ শিশুর জীবন-সঙ্কট তৈরি হয়। প্রবীণ নাগরিকদেরও জীবনের ঝুঁকি বাড়ায় এই রোগ। গত কয়েক বছরে সত্তরোর্ধ্ব অধিকাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকছে নিউমোনিয়া। তাই প্রথম থেকেই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা না থাকলে বিপদ বাড়বে। কিন্তু কীভাবে নিউমোনিয়ার মোকাবিলা সম্ভব?

    টিকাকরণ জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুসফুসের সুস্থতার (Lung infection) দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। তাই টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, বিশ্বের একাধিক দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে বিশেষ সচেতনতা নেই। ফলে, এই রোগের দাপট আরও বাড়ছে।

    ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপান অত‌্যন্ত ক্ষতিকারক। এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। যে ধূমপান করছে, তার পাশপাশি তার আশপাশের মানুষের জন্যও এই অভ্যাস ক্ষতিকারক।ফুসফুসের উপরে এটা মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ফুসফুসের একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) দাপট বাড়াতে পারে এই অভ্যাস। তাই ধূমপানের অভ্যাস ছাড়া দরকার।

    নিয়মিত হাত পরিষ্কার

    সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস থাকলে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ফলে, নিউমোনিয়ার মতো জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।

    ঘরের ভিতরের বাতাস পরিশুদ্ধ থাকা জরুরি (Pneumonia) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরের ভিতরের বাতাস কতখানি পরিশুদ্ধ সেদিকেও‌ নজরদারি জরুরি। প্রয়োজনে আরও ইন্ডোর গাছ ঘরে রাখার দিকেও নজর দেওয়া দরকার। বহু গাছ বাতাসের দূষিত উপাদান সহজেই টেনে নেয়। তাই সেদিকে নজর দিলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হয়‌।

    রোগ নিয়ে সচেতনতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে একেবারেই এড়িয়ে চলা যাবে না। প্রথম থেকেই রোগ নিয়ে সতর্ক থাকলে বড় বিপদ এড়ানো‌ সহজ হয়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন ২৫ তারিখ, প্রক্রিয়া শুরু হল আসানসোল সিবিআই আদালতে

    CBI: কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন ২৫ তারিখ, প্রক্রিয়া শুরু হল আসানসোল সিবিআই আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার (Coal Smuggling) মামলায় চার্জ গঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI) আদালতে চার্জ গঠনের প্রস্তাব দিলেন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার। নির্দিষ্ট মামলা ও ধারা সহ প্রস্তাব গ্রহণ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এর আগে গত ৩ জুলাই কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য হয়েছিল। অভিযুক্ত ও একাধিক সাক্ষী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় ওইদিন চার্জ গঠন হয়নি। তারপরেই বিচারক ৯ অগাস্ট দিন ধার্য করেছিলেন। সেবার আদালতে কর্মবিরতি থাকায় চার্জ গঠন হয়নি। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য হয়। সেদিন দুটি সংস্থার বা কোম্পানির জটিলতা থাকায় চার্জ গঠন হয়নি। তারপরেই ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শুরু হয় চার্জ গঠনের (Coal Smuggling) প্রাথমিক প্রক্রিয়া।

    আদালতে কী হল? (CBI)

    এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শুনানি শুরু হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবি রাকেশ কুমার চার্জ গঠনের আবেদন জানান। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের আইনজীবির কাছে জানতে চান কোন কোন ধারায় কাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। তখন রাকেশ কুমার বলেন, পাবলিক সারভেন্ট বা সরকারের ১২ জন ইসিএল কর্মী, কোম্পানির ১০ ও ইনডিভিজুয়াল বা ব্যক্তিগত ভাবে ২৭ জনের নামে মোট তিনটি ভাগে বিভিন্ন ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা তাঁদের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য সময় চাইলে বিচারক আগামী সোমবার ১৮ নভেম্বর তাঁদের বক্তব্য রাখার দিন ধার্য করেন। আশা করা হচ্ছে, সেই (Coal Smuggling) শুনানির পরে কয়লা পাচার মামলায় বহু চর্চিত চার্জ গঠনের অন্য একটি দিন ঠিক করা হবে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী ২৫ তারিখ চার্জ গঠন করা হবে।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই

    কয়লা পাচার মামলায় মূল কিংপিন অনুপ মাজি ওরফে লালা, রত্নেশ ভর্মা ও বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে আলাদা করে বিশেষ কিছু ধারা যোগ করা মামলায় চার্জ দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের (CBI) এই মামলায় ৩৯৬ জন সাক্ষী রয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন। প্রত্যেকের জন্য রয়েছে ২৫ হাজার পাতার নথি। রয়েছে ১১৪৯ পাতার তথ্যপ্রমাণ। এই মামলায় সিবিআই মোট তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। এই মামলায় মোট ৫০ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে বিনয় মিশ্র ফেরার। এক ইসিএল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হবে। এদিন ৪৮ জনের মধ্যে ৪৬ জন উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযুক্তদের আইনজীবী কী বললেন?

    অভিযুক্তদের তরফে তিন আইনজীবী শেখর কুণ্ডু, সোমনাথ চট্টরাজ ও অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামী সোমবার আমরা আমাদের বক্তব্য রাখব। সিবিআইয়ের (CBI) তরফে বেশ কিছু ধারা দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। আমরা সেটাই বলব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: অবশেষে কলকাতাসহ জেলায় জেলায় ঠান্ডার আমেজ, জাঁকিয়ে শীত কবে?

    Weather Update: অবশেষে কলকাতাসহ জেলায় জেলায় ঠান্ডার আমেজ, জাঁকিয়ে শীত কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর নিম্নচাপ আর বৃষ্টির জন্য আটকে ছিল শীত। নভেম্বরের শুরুতেও রীতিমত ঘাম দিয়েছে। অবশেষে বদলাতে শুরু করেছে আবহাওয়া (Weather Update) । শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় শীত শীত (Winter) ভাব অনুভব করা যাচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম হাওয়ার দাপটের ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমেছে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। আগামী এক সপ্তাহ ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা।

    কোথায় কোথায় কুয়াশা? (Weather Update)

    হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা ঝাড়খণ্ড এবং বিহার লাগোয়া উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে। ঘন কুয়াশায় ঢাকবে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু এলাকা। দৃশ্যমানতা কোথাও ৫০ মিটার ছুঁতে পারে। বাকি সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা কুয়াশা। দিনভর পরিষ্কার আকাশ। রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। রবিবার দার্জিলিং-এর পার্বত্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পুরুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ঘরে নেমে আসে। ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ঝাড়গ্রাম, শ্রীনিকেতন, পানাগড়। কলকাতা রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। সোমবার ১৯-এর ঘরে নামতে পারে কলকাতার রাতের পারদ। শহরের আকাশ মেঘমুক্ত ঝলমলে পরিষ্কার। দিনের তাপমাত্রা ২৯.৪ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের তুলনায় দেড় ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ৪০ থেকে ৯৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    তাপমাত্রা আরও নামবে!

    আবহাওয়ার (Weather Update) রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, এবার ধীরে ধীরে নামবে পারদ। উত্তরের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আগামী পাঁচ দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে রাতের তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলে যাবে স্বাভাবিকের নীচে। সপ্তাহান্তে অর্থাৎ শনি-রবিবারেই আবহাওয়া বদলে যাবে অনেকটাই। তবে, শীতের আমেজ আসলেও জাঁকিয়ে শীত নয় নভেম্বরে। জাঁকিয়ে শীতের জন্য অপেক্ষা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। ধীরে ধীরে নামবে পারদ। আগামী পাঁচ দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে রাতের তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার নিচে চলে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share