Blog

  • Air India: হিন্দু ও শিখ যাত্রীদের হালাল-খাবার দেওয়া যাবে না, বিরাট ঘোষণা এয়ার ইন্ডিয়ার

    Air India: হিন্দু ও শিখ যাত্রীদের হালাল-খাবার দেওয়া যাবে না, বিরাট ঘোষণা এয়ার ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হালাল প্রত্যায়িত খাবারের (Halal-certified Food) বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই সরব হয়েছিলেন অ-মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা। কেন জোর করে ইসলামি হালাল খাবার খেতে হবে হিন্দু-শিখ ধর্মাবলম্বীদের? এটা ছিল আমজনতার প্রশ্ন। এবার দীর্ঘ সময়ের জন্য সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া গ্রুপ (Air India)। হিন্দু ও শিখদের হালাল-খাবার পরিবেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটার মালিকানাধীন এই উড়ান সংস্থা। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের সাধারণ নাগরিকগণ। এবার থেকে হালাল জাতীয় খাবার আর দেওয়া হবে না অ-মুসলিম বিমানযাত্রীদের। সামাজিক মাধ্যমে নেট- নাগরিকদের নানা মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগই এয়ার ইন্ডিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

    খাবার পরিবেশনের রীতিতে এবার বদল

    টাটা গ্রুপের (Air India) ব্যবস্থাপনায় এয়ার ইন্ডিয়া একটি সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীরভাবে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। গ্রুপের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, হিন্দু ও শিখ যাত্রীদের হালাল-প্রত্যায়িত খাবার (Halal-certified Food) পরিবেশন করা যাবে না। মুসলিম যাত্রীদের জন্য পৃথকভাবে এমওএমএল বা মুসলিম মিল স্টিকার বা লেবেল যুক্ত খাবার ‘বিশেষ’ বলে বিবেচিত হবে। টিকিট বুক করার সয়ম কোনও ব্যক্তি এমওএমএল বা হালাল-খাবারের অপশন টিক করলে তবেই কেবলমাত্র নথিভুক্ত ব্যক্তিদের হালাল খাবার পরিবেশন করা হবে। এই সিদ্ধান্তটি বহু বছর ধরে খাবার পরিবেশনের রীতিতে এবার বদল ঘটতে শুরু করবে। ধর্মী ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনগুলিকে আরও ভালোভাবে যাতে সম্মান করা যায়, সেই দিকেও নজর থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হালাল-প্রত্যায়িত খাবার কেবলমাত্র নির্দিষ্ট রুটেই উপলব্ধ হবে।

    হালালের ‘একচেটিয়া’ রাজত্ব ছিল

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, হিন্দু এবং শিখ ধর্মাবলম্বী যাত্রীরা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) ফ্লাইটে খাবারের বিকল্প ব্যবস্থার দাবি তুলে আসছিলেন। বিশেষ করে হালাল-খাবারের একচেটিয়া পরিবেশন রীতি মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছিল। কিছু কর্মী এবং ধর্ম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এই ব্যবস্থাকে হালালের ‘একচেটিয়া’ রাজত্ব হিসাবে বর্ণনা করেছেন। যাঁরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী নন, অর্থাৎ অ-মুসলিম তাঁদের উপর একটি খাদ্যাভ্যাসকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল, হালাল শংসাপত্রের বাইরে উপলব্ধ বিকল্প খাবারগুলি যাতে সমস্ত যাত্রীদের খাদ্যতালিকায় থাকে সেই বিশ্বাসকে সম্মান করতে হবে।

    যাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানোই লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সাম্প্রতিক পদক্ষেপের একাটাই লক্ষ্য যাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানো। হিন্দু, শিখ এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাঁদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় রীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ খাবারের বিকল্প পরিষেবাগুলিকে উপলব্ধ করা। এই ঘোষণা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা ও প্রশংসা হচ্ছে। বিশেষ করে হিন্দু এবং শিখ ধর্মের মানুষেরা এই ধরনের পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষায় ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    সনাতন ডায়েট বোর্ড সার্টিফাইড প্রয়োজন

    সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে। যেমন-‘মেঘ আপডেট’ নামে এক্স হ্যান্ডলের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পোস্ট ব্যাপক ঝড় তুলেছে। একে এক প্রকার আলোড়ন বলা বললেও কম বলা হবে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় সবচেয়ে বড় পদক্ষেপগুলির (Air India) মধ্যে একটি। ১.৬ বিলিয়ন হিন্দু, ০.৫ বিলিয়ন বৌদ্ধ এবং জৈন-শিখ-সহ মোট ২.০ বিলিয়ন সনাতনীদের জন্য ভালো খবর (Halal-certified Food)। সনাতন ডায়েট (SATVIC/SANATAN DIET) বোর্ড সার্টিফাইড এবং সার্টিফিকেশনের প্রয়োজন এই সময়ে। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) দারুণ খবর।”

    অন্য একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “সংখ্যালঘু প্রভাবের কারণে এখনও পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই কেবলমাত্র ভুগছেন। ভাবা যায়! অবাক কাণ্ড, একবার কল্পনা করুন।” আবার আরও একজন উল্লেখ করে লিখেছেন, “এটি ভালো খবর। আমি অবাক হয়েছি যে এই দিকে এত বছর ধরে কেন নজর দেওয়া হয়নি। সকলের অলক্ষ্যে ছিল।” একই ভাবে একাধিক ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্য তালিকা এবং পছন্দগুলির স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) এই ঘোষণায় দেশজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cancer: সিগারেট কিংবা মদ্যপানই যেন ‘স্মার্টনেস’-এর পরিচয়! বয়ঃসন্ধিকালে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ক্যান্সার

    Cancer: সিগারেট কিংবা মদ্যপানই যেন ‘স্মার্টনেস’-এর পরিচয়! বয়ঃসন্ধিকালে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ক্যান্সার

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার অনেক আগেই হাতে এখন স্মার্টফোন! বন্ধুমহলে দেশ-বিদেশের ট্রেন্ডি ফ্যাশন থেকে জীবন যাপনের ধরন, সবটাই এখন হাতের মুঠোয়। বছর বছর বদলে যাচ্ছে ‘স্মার্ট’ দেখানোর সংজ্ঞা। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যেও থেকে যাচ্ছে ধূমপানের মতো অভ্যাস! বিশেষ করে কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে বাড়ছে এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে মুখ ও গলার ক্যান্সারে (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা বিশেষভাবে বাড়ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    কতখানি বিপদ বাড়াচ্ছে মুখ ও গলার ক্যান্সার? (Cancer)

    সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এ রাজ্যে মোট ক্যান্সার আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রতি বছর দেশে প্রতি দশজনের মধ্যে ২ জন মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, খুব কম বয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা বাড়ছে। বয়স কুড়ির কোঠায় যাওয়ার পরেই অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় (Cancer) আক্রান্ত হচ্ছেন। এর ফলে তাঁর স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণ ব্যাহত হচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন কম বয়সিদের মধ্যে এই ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেড়েছে। আর তামাকজাত পণ্যের অভ্যাস বাড়াচ্ছে‌ ক্যান্সারের দাপট। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিগারেট কিংবা মদ্যপান করাকে বারো-তেরো বছরের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে বন্ধুমহলে নিজেদের ‘স্মার্টনেস’ (Smartness) প্রকাশের মাধ্যম ভাবছে, আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! স্মার্টনেস প্রকাশের মাধ্যম যে শরীরে ভয়ানক প্রভাব ফেলছে, তা অনেক সময়েই তারা টের পাচ্ছে না। অজান্তেই নেশার কবলে পড়ছে। পরবর্তীতে অনেক সময়েই অভ্যাস ছাড়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে ক্যান্সারের মতো রোগের দাপট। তামাকের জেরে মুখ ও গলার ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সারের দাপট। ধূমপানের পাশপাশি একাধিক পান মশলাতেও তামাক ব্যবহার করা হয়। কম বয়সিদের মধ্যে এই জাতীয় পণ্যের ব্যবহারও বাড়ছে। তাই বাড়ছে মুখ ও‌ গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Cancer)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা জরুরি। ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ে যেমন সচেতনতা জরুরি, তেমনি ক্যান্সারের প্রকোপ রুখতেও প্রয়োজন সচেতনতা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে এই নিয়ে কর্মশালা প্রয়োজন। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের আরও বেশি করে কাউন্সেলিং দরকার। ধূমপান যে স্মার্টনেস প্রকাশের মাধ্যম নয়, সে সম্পর্কে‌ তাদের বোঝানো‌ জরুরি। পাশপাশি প্রয়োজন নজরদারি। কম বয়সি পড়ুয়ারা কী ধরনের জিনিস কিনছে, সে নিয়ে পরিবারের সতর্কতা প্রয়োজন। পাশপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয়তা দরকার বলেও‌ মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল চত্বরের আশপাশে যাতে সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের দোকান না থাকে, বিজ্ঞাপন না থাকে, সে নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয়তা দরকার। তবেই এই রোগের দাপট আটকানো সহজ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও গাড্ডায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দল কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পিটিশনে ব্রাম্পটনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Hindu Sabha Temple) সঙ্গে জড়িত সকলের, বিশেষ করে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    কানাডায় পিটিশন দায়ের (Hindu Sabha Temple)

    জিন্দল কানাডার প্রধান বিচারপতি রিচার্ড ওয়াগনারের কাছে ডিজিটালি এই পিটিশন জমা দেন। পিটিশনে হিন্দু ভক্ত ও হিন্দু সভা মন্দিরে আক্রমণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পিটিশনে জিন্দল কানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্টকে এই ঘটনার তদন্তের তত্ত্বাবধান করার আহ্বান জানান। বিশেষ করে পিল পুলিশের কর্মকর্তাদের আচরণ এবং ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মতো খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করতে, যারা হিংসায় ইন্ধন জোগানোয় দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। পিটিশনে এমন পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয় যাতে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়। কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে। জিন্দল এও উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলির (Hindu Sabha Temple) ওপর ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।

    কী বলছেন আইনজীবী

    সংবাদ মাধ্যমে (Justin Trudeau) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী বলেন, “বর্তমান জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধের কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে, তাও এখন সুপরিচিত। ৩ নভেম্বর, খালিস্তানপন্থীরা হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায়। ভক্তদের মারধরও করা হয়। এই ঘটনার সময় পিল পুলিশের (এই অঞ্চলেই ঘটনাটি ঘটেছিল) কর্মকর্তারাও হিন্দু ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল (এ সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এরপর থেকে কানাডায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র-সহ সব দিক থেকেই হিন্দুরা হামলার শিকার হচ্ছে। এই মুহূর্তে কানাডায় আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে।’’

    ট্রুডো সরকারের মদত!

    তিনি বলেন, “খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের মতো খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি ট্রুডো সরকারের মদত পাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে হিন্দু যুবকদের মিথ্যে হিংসা ও ঘৃণার মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই সংগঠনের সদস্যরা।” জিন্দল বলেন, “আমি এই পদক্ষেপটি নিচ্ছি যাতে কানাডার সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি হিন্দুর জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানানো যায়।” জিন্দলের আশা, কানাডার বিচার ব্যবস্থা সঠিক বিচার করবে। তাঁর পিটিশনটিও গৃহীত হবে। কানাডায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

    হামলার ভিডিও ফুটেজ

    গত ৩ নভেম্বর কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরের (Hindu Sabha Temple) বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। প্রত্যক্ষদর্শী ও হিন্দু-কানাডিয়ান ফাউন্ডেশনের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা খালিস্তানের ঝান্ডার ডান্ডা নিয়ে মন্দির উপস্থিত হিন্দু ভক্তদের মারধর করে। খালিস্তানপন্থীদের এই ভিড়ে কানাডা পুলিশের এক কর্মীকেও দেখা গিয়েছে খালিস্তানপন্থী ঝান্ডা হাতে (যদিও কানাডা পুলিশের দাবি, ওই কর্মী তখন ডিউটিতে ছিলেন না)। জানা গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভক্তরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। আচমকাই তাঁদের ওপর হামলা করে খালিস্তানপন্থীরা। তাদের মারের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলা, শিশু এবং প্রবীণরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে উগ্রপন্থীরা অনুষ্ঠানটি বিঘ্নিত করছে। কীভাবেই তারা উপস্থিত ভক্তদের মারধর করছে।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    কানাডার ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত। কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে সে দেশে ভারতীয় নাগরিক ও ধর্মীয় কাঠামোগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছিল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের করা উস্কানিমূলক হিংসার নিন্দা করছি। আমরা কানাডা সরকারকে অনুরোধ করছি এমন আক্রমণ থেকে যেন (Justin Trudeau) সে দেশের সব উপাসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় (Hindu Sabha Temple)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

       

  • Border Gavaskar Trophy: সবার আগে পারথে কিং কোহলি, দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া গেলেন না রোহিত

    Border Gavaskar Trophy: সবার আগে পারথে কিং কোহলি, দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া গেলেন না রোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সতীর্থদের ছাড়াই সবার আগে ডনের দেশে অনুশীলন শুরু করলেন কিং কোহলি। ফর্মে ফিরতে মরিয়া তিনি। গোটা বছরে মাত্র দুটো অর্ধশতরান। বাংলাদেশের পর নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও খারাপ পারফরম্য়ান্স। এবার সামনে বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফি (Border Gavaskar Trophy)। প্রথম টেস্ট যেখানে হবে, সেই পার্থে প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে পৌঁছে গিয়েছেন বিরাট কোহলি। রবিবার পারথে পৌঁছে সোমবারা থেকেই নিজের মতো করে ক্রিকেট চর্চা শুরু করেছেন কোহলি। অজি-ভূমে রানের খরা কাটানোই লক্ষ্য বিরাটের।

    বিরাট-চর্চা

    বিরাটের ব্যাটে বারুদ যে কোনও মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটে রান না থাকলেও বিরাট সব সময়ই প্রতিপক্ষের মূল লক্ষ্য। ২০১১-২০২০ অবধি বিরাট কোহলি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সে দেশের মাটিতে ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে ২৫টি ইনিংসে ১৩৫২ রান করেন বিরাট। রয়েছে ৬টি শতরান ও ৪টি অর্ধশতরান। অজি-ভূমে বিরাটের সর্বাধিক ইনিংস ১৬৯। এবার সেই ইনিংসকে ছাপিয়ে যেতে হবে কোহলিকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে হলে অস্ট্রেলিয়ায় ভালো ফল করতেই হবে বিরাটদের। 

    প্রথম ম্যাচে নেই রোহিত!

    ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। দলের সঙ্গে যাননি শুধু এক জনই। তিনি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পারিবারিক কারণে কিছুদিন ছুটি চেয়েছিলেন রোহিত। কোচ গৌতম গম্ভীরও নিশ্চত নন অধিনায়াককে কবে থেকে পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে। তিনি শুধু এটা জানিয়েছেন, প্রথম টেস্টে রোহিত যদি খেলতে না পারেন, তা হলে অধিনায়কত্ব করবেন যশপ্রীত বুমরা। সেক্ষেত্রে যশস্বীর সঙ্গে ওপেন করবেন কে এল রাহুল অথবা অভিমুন্য ঈশ্বরণ। মঙ্গলবার থেকেই ভারতীয় দলের অনুশীলন শুরু করার কথা। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফি। প্রথম টেস্ট পারথে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে গেল ভিস্তারা, শুরু হল উড়ান চলাচল, পরিষেবা কেমন মিলবে?

    Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে গেল ভিস্তারা, শুরু হল উড়ান চলাচল, পরিষেবা কেমন মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে সেই শুভক্ষণ আসল। মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) আনুষ্ঠানিকভাবে ভিস্তারার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। যাত্রীদের পরিষেবা আগের মতো বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার আগে সোমবার ভিস্তারা (Vistara) শেষ আন্তঃদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। ভিস্তারার বুকিং সহ আনুমানিক ১ লক্ষ ১৫ হাজার যাত্রী সংযুক্তিকরণ হওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। ভিস্তারায় যে ধরনের পরিষেবা যাত্রীরা পেতেন, এখনও সেই পরিষেবাই পাবেন বলে সংস্থার পক্ষে দাবি করা হয়েছে। সংস্থার দাবি, যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতা করা হবে না।

    এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সংখ্যা কত হল? (Air India)

    ভিস্তারা মূলত টাটা গ্রুপ এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ ছিল। এবার তা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মিশে গেল। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স সম্প্রসারিত এয়ারলাইন্সে ২৫.১ শতাংশ অংশীদারিত্ব বজায় রাখবে। এই সংযুক্তিকরণ ভারতের বিমান শিল্পে একটি বড় পদক্ষেপ বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। আর ভিস্তারা মিশে যাওয়ার কারণে এয়ার ইন্ডিয়ার বহর উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়েছে। ভিস্তারা তার ৭০টি বিমান নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০টি ফ্লাইট পরিচালনা করত। ২০২২ সালের নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকে ভিস্তারা এবং এয়ার ইন্ডিয়ার সিস্টেম, কর্মী এবং অপারেশনগুলিকে একসঙ্গে করার প্রচেষ্টা চলছে। সংযুক্ত হওয়ার পর এখন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০৮টি। এই বিমান নিয়ে এবার ১০৩টি আন্তঃদেশীয় এবং ৭১টি আন্তর্জাতিক রুটে পরিষেবা দেবে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, এয়ারলাইন্সটি ৪৯টি আন্তঃদেশীয় এবং ৪২টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে পরিষেবা দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কত টাকা বিনিয়োগ করবে?

    ভিস্তারা মিশে যাওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়াতে (Air India) ৩,১৯৪.৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিনিয়োগ করবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর বেশ কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে  অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও, কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের অবসরের সময়সীমা ৫৮ বছর। আর ভিস্তারার কর্মীদের অবসর হয় ৬০ বছরে। ফলে, সংযুক্ত হওয়ার পর কর্মীদের কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাইলটদের সিনিয়ারিটি কীভাবে নির্ধারণ হবে, সেই প্রশ্ন রয়েছে।

    নতুন কী কোড হল?

    আগামী মাসগুলিতে ওয়াইড বডি জেটসহ আরও বিমান যুক্ত হবে। সংযুক্তিকরণ হওয়ার পর ইন-ফ্লাইট অভিজ্ঞতায় যাত্রীরা কোনও পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করবেন না। এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছে যে, তাঁরা আগের মতোই একই বিশ্বমানের পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন। এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন ফ্লাইট কোড করা হয়েছে। ভিস্তারা যে কোড ছিল তা এবার পরিবর্তন হয়ে যাবে। সোমবার রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে এয়ারলাইন্সটির ফ্লাইট কোড ‘UK’ থেকে ‘AI2XXX’-এ পরিবর্তিত হবে।

    শুরু হল উড়ান চলাচল

    সংযুক্তিকরণ হওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া-ভিস্তারা সংস্থাটি সোমবার মধ্যরাত ১২.১৫ মিনিট নাগাদ দোহা থেকে মুম্বই পর্যন্ত প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটটি ছিল Al2286, দোহা থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে। আন্তঃদেশীয় ক্ষেত্রে প্রথম নির্ধারিত ফ্লাইটটি হবে Al2984, মুম্বই থেকে উড়ে গন্তব্য দিল্লি। দুপুর ১.২০ মিনিট নাগাদ টেক অফ করে। উভয় ফ্লাইটই আগে ভিস্তারার ফ্লাইট কোডের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। এখন মিশে যাওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার নয়া কোড নিয়ে আকাশে উড়বে। একটি স্বাধীন এয়ারলাইন্স হিসেবে ভিস্তারার শেষ ফ্লাইট দিল্লি থেকে সিঙ্গাপুরগামী UK115 বিমানটি সোমবার  রাত ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ টেক-অফ করেছিল।

    পাইলটরা কী বললেন?

    এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারা উভয়ই টাটা গ্রুপের অংশ। ভিস্তারা টাটা এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। সংযুক্ত হওয়ার দিনে ভিস্তারার পাইলটরা ফ্লাইট চলাকালীন যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তাঁরা এখন এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) ব্র্যান্ডের অধীনে একই প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। ‘আকাশ সীমা নয়, শুধুই শুরু’: ভিস্তারা ‘ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’ বলে হৃদয়গ্রাহী পোস্ট শেয়ার করেছে ভিস্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ                                                     

  • AIMPLB: ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    AIMPLB: ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) থেকে ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই সংস্থা যদি নাম পরিবর্তন না করে, সেক্ষেত্রে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেবেন, এই সংস্থাকে (AIMPLB) নিষিদ্ধ করার দাবিতে।

    ১৯৭৩ সালে তৈরি হয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

    ভারতে মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনের দিকগুলি দেখার জন্য ১৯৭৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল বেসরকারি সংস্থা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB)। বোর্ডের কাছে তিনি যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) যুক্তি দিয়েছেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড একটি বেসরকারি সংস্থা, এটা কোনওভাবেই সরকারি সংস্থা নয়, তাই বোর্ড শব্দ সরানো উচিত।’’ এর পাশাপাশি এআইএমপিএলবি-কে (AIMPLB) সিদ্দিকি যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে তিনি, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের টাকার উৎস এবং অডিট রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন।

    মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

    সংবাদ মাধ্যমকে সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) বলেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (AIMPLB) কর্মকাণ্ড ভারতীয় মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে। এর নাম পরিবর্তন করা উচিত।’’ সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র লাভের দিকে তাকিয়ে এই সংস্থা মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে। এরা শুধু নিজেদের লাভের জন্য ভুল তথ্য ছড়ায়।

    সংবিধানসম্মত সংস্থাই কেবল নামের পাশে বোর্ড শব্দ রাখতে পারে

    তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সংবিধান সম্মত সংস্থাই আইনত তাদের নামের পাশে ‘বোর্ড’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে। শাহ বানো মামলা ও ওয়াকফ সংশোধনী বিল সহ বিভিন্ন বিষয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB) যে ধরনের অবস্থান নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui)। তিনি দাবি করেন, এই সংস্থা প্রতি পদে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, এর ফলে সমগ্র মুসলমান সম্প্রদায়ের কল্যাণ হয় না ও তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গুরপতবন্ত পান্নুনের (Pannun) হুমকির পরেই গোটা অযোধ্যায় (Ayodhya) ব্যাপক সর্তকতা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কানাডার খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে হুমকি দেন যে, আগামী ১৬ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে রাম মন্দিরে হামলা চালানো হবে। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। অযোধ্যা রেঞ্জের আইজি প্রবীণ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘অযোধ্যা (Ayodhya) আগেই দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী সর্বদাই প্রস্তুত যে কোনও হামলার মোকাবিলা করার জন্য।’’

    ভিডিও বার্তা আসল নাকি নকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    তিনি (প্রবীণ কুমার) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ তবুও পান্নুনের (Pannun) ওই হুমকি বার্তা আসল কী নকল তা খতিয়ে দেখছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এটিএস তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। যাদের খালিস্তানি যোগ ধরা পড়ে। এরা প্রত্যেকেই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের ঠিক চারদিন আগে অযোধ্যায় রেকি করতে এসেছিলে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ।

    পান্নুনের ভিডিও বার্তা (Ayodhya)

    তবে শুধু রাম মন্দির (Ayodhya) নয়, দেশের একাধিক মন্দির উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিও বার্তায়। জানা গিয়েছে, কানাডার ব্রাম্পটনে এই ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। পান্নুনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘অযোধ্যার মাটি কাঁপিয়ে দেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি, কানাডায় একাধিক মন্দিরে খালিস্তানিরা হামলা করছে বলে অভিযোগ। সেখানকার বসবাসকারী হিন্দুদের পান্নুন এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এইসব ঘটনার মধ্যে যেন তাঁরা না জড়ান। একই সঙ্গে, কানাডায় বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘ধান্ধা’য় কোপ অমিত শাহের (Amit Shah)! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতিয়ে নিতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা।’

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    সোমবার ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলায় নির্বাচনী প্রচারসভায় (Jharkhand Assembly Polls) গিয়ে শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এমন একটি আইন প্রণয়ন করবে, যা উপজাতি মেয়েদের বিয়ে করে জমি হস্তান্তর করা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের রুখবে।” তিনি বলেন, “বিজেপি এভাবে অধিগৃহীত জমি পুনরুদ্ধার করবে। জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে মূল উপজাতি পরিবারের হাতে।”

    ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের মেয়েদের বিয়ে করে জমি দখল করছে। তারা আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করলে তাদের জমি স্থানান্তর রোধ করার জন্য আমরা একটি আইন প্রণয়ন করব।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে এবং তাদের উচ্ছেদ করে দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে আমরা একটি কমিটি গঠন করব।”

    জেএমএম-কে আক্রমণ শাহের (Jharkhand Assembly Polls)

    এদিনের সমাবেশে শাহ মুণ্ডপাত করেন রাজ্যের হেমন্ত সোরেন সরকারের। বলেন, “ওরা (হেমন্ত সোরেনের দল) ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই সোরেনকে অপমান করেছে। তিনি এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অনুপ্রবেশের সমস্যার কথা বলায় তাঁকে অপমান করেছে ওরা।” শাহের (Amit Shah) দাবি, “চম্পাই আদিবাসীদের অধিকার ও অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বলায় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    চম্পাইয়ের বহিষ্কারে আদিবাসীদের অপমান  

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “চম্পাই সোরেন এত বছর ধরে গুরুজি (শিবু সরেন) এবং হেমন্ত সোরেনের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। কিন্তু তাঁকে যেভাবে অপমান ও বহিষ্কার করা হয়েছে, তা কেবল তাঁর নয়, সমগ্র আদিবাসী সমাজের অপমান। চম্পাই সোরেন কেবল এই একটিই দাবি করেছিলেন যে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু তারা (জেএমএম) তা করতে রাজি নয়।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “রাজ্যের শাসক জোট — ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতি করছে। করছে দুর্নীতিও।” তিনি বলেন, “যদি ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Assembly Polls) বিজেপি সরকার গঠন করে, তবে জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোটের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের জেলে পাঠানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Daily Horoscope 12 November 2024: প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 12 November 2024: প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) দূরে ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে। 

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় চাপ বাড়লেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজো মানে একবাক্যে সকলেই চন্দননগর, কৃষ্ণনগরের নাম বলবেন। কিন্ত, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারের কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhatri Puja 2024) আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি গ্রাম জুড়ে হয় ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো। আধুনিকতা কিংবা চাকচিক্য নয়, এখানকার পুজোর বিশেষত্ব সাবেক বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য। এরই সঙ্গে মিশে আছে মেলা, নাগরদোলা, কবিগান, বাউলগান আর আবালবৃদ্ধবনিতার অনাবিল আনন্দ। জগদ্ধাত্রী এক দিনের পুজো হলেও এর রেশ থেকে যায় বেশ কয়েকটা দিন।

    কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন (Jagadhatri Puja 2024)

    কাগ্রাম জেলার প্রান্তবর্তী এক প্রাচীন বনেদি গ্রাম। রয়েছে বহু ব্রাহ্মণ, শাক্ত ও বৈষ্ণব পরিবার। মধ্য রাঢ়ের অতি প্রাচীন এই গ্রামের নামকরণ গ্রাম্যদেবী কঙ্কচণ্ডীর নামানুসারে। অতীতের কাগাঁ আজকের কাগ্রাম। পারিবারিক ও বারোয়ারি মিলিয়ে এখানে পুজোর সংখ্যা ২৭টি। এ গ্রামে দুর্গাপুজো, কালীপুজো সহ অন্যান্য পুজো (Jagadhatri Puja 2024) হলেও মুখ্য আকর্ষণ সাবেক মেজাজের জগদ্ধাত্রী পুজো। এ গ্রামের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মার্সায় বাড়ির পুজো। সাবেক বাংলা রীতির প্রতিমায় আজও দেখা যায় অভিজাত্যের ছোঁয়া। শোনা যায়, পরিবারের আদিপুরুষ নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন করেন। পরবর্তী কালে বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়। আজও পুজোর প্রধান আকর্ষণ মহিষ বলি। পুরনো প্রথা মেনে হয় কুমারী পূজাও। এই পুজো ঘিরে হয় সাত দিন ব্যাপী মেলাও। এছাড়া রায়বাড়ির পুজো, পালবাড়ির পুজো, পশ্চিমপাড়ার বারোয়ারি পুজো দেখতে ভিড় উপচে পড়়ে। সারা রাত ধরে প্রতিমা দেখতে আশপাশর বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন।

    বিসর্জনে শোভাযাত্রা

    শুধু সাড়ম্বরে পুজো নয়। কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2024) বিসর্জনের শোভাযাত্রাও সমান আকর্ষণীয়। এক একটি প্রতিমার শোভাযাত্রা হয় দীর্ঘ বিস্তৃত। সঙ্গে থাকে আলোকসজ্জা এবং নানা ধরনের বাজনা। যেমন ব্যান্ড তাসা ইত্যাদি। বিসর্জন উপলক্ষে মেলে প্রশাসনের বিশেষ সহযোগিতা। প্রতিটি পাড়ার প্রতিমার সঙ্গে থাকে পুলিশ পোস্টিং।  আগে বাহকদের কাঁধে চেপে প্রতিমা বিসর্জনে গেলেও এখন ট্রলিতে কিংবা ভ্যানে প্রতিমা বিসর্জনে যায়। যে সব পুজোগুলি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে প্রশাসনের তরফে পুজো কমিটিকে প্রতিমা তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে। সেই অনুযায়ী হয় বিসর্জন। মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে এই সব প্রতিমা সারা রাত গ্রাম প্রদক্ষিণ করে পরদিন সকাল ৯টা নাগাদ মণ্ডপে ফেরে। তার পরে শুরু হয় বিসর্জন পর্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share