Blog

  • PM Modi: ‘ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন’ প্রকল্পের ১০ বছর পূর্ণ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: ‘ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন’ প্রকল্পের ১০ বছর পূর্ণ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ রক্ষার গুরু দায়িত্ব তাঁদের কাঁধে। তাই তাঁদের ভালোমন্দের দিকে সর্বদাই তীক্ষ্ণ নজর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। সেনাবাহিনীর প্রতি কেন্দ্র যে দায়বদ্ধ, সে কথাই ‘ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন’ প্রকল্পের দশম বর্ষপূর্তির দিনে ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্প (PM Modi)

    সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের জন্য যে ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্প (One Rank One Pension Scheme) চালু করা হয়েছে, তাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজকের দিনে ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন’ প্রকল্প চালু হয়েছিল। যাঁরা দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্প। দীর্ঘদিনের দাবি মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।” তিনি জানান, এই ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্পের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

    প্রকল্পের খুঁটিনাটি

    আগে নিয়ম ছিল, যে লেফট্যানেন্ট ১৯৯৫ সালে অবসর নিয়েছেন, তাঁর পেনশন ২০০৬ সালে অবসর নেওয়া কর্নেলের পেনশনের চেয়ে কম। অবসরের তারিখ অনুযায়ী, পেনশনও হত ভিন্ন ভিন্ন (PM Modi)।২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন নরেন্দ্র মোদি। ওই বছরই তিনি চালু করেন ওয়ান ‌র‌্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্প। আজ ১০ বছর পূর্ণ করল এই প্রকল্প।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    এই প্রকল্প অনুযায়ী, একজন সেনা জওয়ান, যখনই অবসর নিন না কেন, র‌্যাঙ্ক যাই হোক না কেন, একই পেনশন পাবেন। তিনি বলেন, “এটা আপনাদের সবাইকে খুশি করছে এক দশক ধরে। লাখ লাখ পেনশনার্স ও তাঁদের পরিবার উপকৃত হচ্ছেন এই প্রকল্প থেকে।” ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এই প্রকল্প (One Rank One Pension Scheme) চালু হওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন ২৫ লাখ অবসরপ্রাপ্ত। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে সেনার তরফে ধন্যবাদও জানানো হয়েছে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Awas Yojana: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতি! হাইকোর্টে ব্যর্থতা মেনে নিল রাজ্য

    PM Awas Yojana: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতি! হাইকোর্টে ব্যর্থতা মেনে নিল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এবার হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার। ঘটনাটি ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার জন্য আবেদন করেন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিরাজুল মণ্ডল-সহ পাঁচ বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, এখনও সেই টাকা পাননি তাঁরা। টাকা পেতে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ৫ জন। মামলাকারী ৫ জনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানায় রাজ্য। এরপরই আদালতের (Calcutta High Court) ক্ষোভের মুখে পড়ে সরকার। 

    ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি

    এই ঘটনা ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি, বলে এদিন মত প্রকাশ করেন বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর। বিডিও এবং পঞ্চায়েত প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর তলব করেন বিচারপতি। অবিলম্বে সরকারকে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন টাকা না আসায় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন আবাসের টাকা থেকে বঞ্চিত পাঁচজন। অভিযোগ, তখন পঞ্চায়েত থেকে বলা হয় টাকা আসেনি। পরে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তাঁরা টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি নন। এরই প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে আদালতে মামলা করা হলে স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সে ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর। 

    আরও পড়ুন: সরকারের দেওয়া ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা গায়েব! একের পর এক স্কুলে একই ঘটনা কীভাবে?

    কাঠগড়ায় রাজ্য সরকার

    উল্লেখ্য, প্রায়ই জেলায় জেলায় আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় গরমিলের অভিযোগ সামনে আসছে। কোথাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলই। কোথাও বিডিও অফিসের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ। সম্প্রতি হুগলির গোঘাটে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার তালিকায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য। আবাস যোজনার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলে বীরভূমের রামপুরহাটেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিন স্থানীয় তিলডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। বিরোধীরা বারবার যে দুর্নীতির কথা বলছেন, এবার তা মেনে নিল রাজ্যও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • China US Relation: ট্রাম্পের জয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া চিনের, কী বললেন জিনপিং?

    China US Relation: ট্রাম্পের জয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া চিনের, কী বললেন জিনপিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি মেনে চলবে চিন।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হতেই সতর্ক প্রতিক্রিয়া চিনের। ট্রাম্পের নাম না করেই চিন সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সুযোগ নষ্ট করা না হলে এই ফল বেজিং-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়া যুগের সূচনা করতে পারে।”

    গভীর রাতে ট্রাম্পকে ফোন (China US Relation)

    বুধবার গভীর রাতে ট্রাম্পকে ফোন করে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্পের জয়ে খুশি মোদি। তবে ভারত ‘বন্ধু’র জয়ে সতর্ক চিন। তাই চিনের তরফে বার্তাও দেওয়া হয়েছে কৌশলী। ট্রাম্প-চিন সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর হবে না, তা বলাই যায়। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে নানা জনসভায় ট্রাম্প (China US Relation) যেমন মোদি-প্রশস্তি গেয়েছেন, তেমনি বারংবার খোঁচা দিয়েছেন চিনকে। ট্রাম্প শিবিরের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকাকে পুঁজি করে নিজেদের ভাঁড়ার ভর্তি করেছে বেজিং। তাদের বক্তব্য, আমেরিকায় উৎপাদন শিল্প যখন ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে, তখন নিজেদের সমৃদ্ধ করে নিয়েছে চিন। আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের দাপাদাপি রুখতে অতিরিক্ত শুল্ক চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এবার তিনি কী করেন, সেদিকেই তাকিয়ে বেজিংও।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    আমেরিকা-চিন দ্বন্দ্ব

    কেবল চিনা পণ্য নয়, তাইওয়ানকে ঘিরেও আমেরিকা-চিনের দ্বন্দ্ব ট্রাম্প জমানায় নয়া মাত্রা পেতে পারে। বছর দুয়েক আগে চিনা আপত্তি খারিজ করে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সময় লাগাতার তাইওয়ানের আকাশাসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করেছিল চিনা যুদ্ধ বিমান। সেই সময় তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকে পড়েছিল মার্কিন সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজও।

    চলতি বছর হয় তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচন। তাতে জয়ী হয় কট্টর চিন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি। এখন ট্রাম্প যদি এই পার্টির সরকারকে সামরিক সাহায্য করতে শুরু করেন, তাহলে আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্কের (China US Relation) রসায়ন আরও জটিল হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় সাজছে বাংলা, রইল চন্দননগর থেকে কৃষ্ণনগরের নামী পুজোর তালিকা

    Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় সাজছে বাংলা, রইল চন্দননগর থেকে কৃষ্ণনগরের নামী পুজোর তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই বছর দুর্গাপুজোর অষ্টমী ও নবমী একই দিনে পড়েছিল। মূল পুজো শেষ হয়েছিল তিনদিনে। যা নিয়ে আমবাঙালির আক্ষেপের শেষ ছিল না। তবে জগদ্ধাত্রী পুজো এবার চারদিনেই হবে। কালীপুজো, ভাইফোঁটা কাটিয়ে বাঙালি এবার দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজোয় (Jagadhatri Puja 2024) মেতে উঠেছেন। নদিয়ার কৃষ্ণনগর এবং হুগলির গঙ্গাপাড়ের শহর চন্দননগরে এখন সাজ সাজ রব। দুর্গাপুজোর দশমীতে চন্দননগরে হয়ে যায় জগদ্ধাত্রীপুজোর কাঠামো পুজো। এরপর শুরু হয় অপেক্ষার পালা। গঙ্গার তীরের ঐতিহ্যবাহী এই চন্দননগরের পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাসের নানান অধ্যায়। আর সেই শহর এবার মেতে উঠতে চলেছে জগদ্ধাত্রী পুজোয়। পিছিয়ে নেই কৃষ্ণনগরও। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

    চলতি বছর কবে থেকে শুরু পুজো? (Jagadhatri Puja 2024)

    কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। এই সময় পুজো শুরু হওয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নাম। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেন। জলঙ্গী তীরবর্তী এই শহরে পুজো হয় মহানবমীর দিনে। তবে পরে শুরু হওয়া চন্দননগরের পুজো চারদিনই হয়। দেবী মায়ের আরাধনায় আলোর মোড়কে সেজে উঠছে চন্দননগর থেকে কৃষ্ণনগর। চলতি বছর ৭ নভেম্বর থেকে শুরু পুজো (Jagadhatri Puja 2024)। সেদিন ষষ্ঠী। আজ শুক্রবার ৮ নভেম্বর সপ্তমী। অষ্টমী শনিবার ৯ তারিখ। ১০ তারিখ মহানবমী। দশমী ১১ নভেম্বর। আর এই পুজোকে ঘিরে দুই শহরের বাসিন্দাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা চরমে।

    চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরে কোথায় কোন জগদ্ধাত্রী দেবী মূর্তি খ্যাত?

    কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhatri Puja 2024) এলে বুড়িমা এবং বড়মায়ের দর্শন চাই-ই চাই। সোনার সাজে সুসজ্জিত দেবী মূর্তি নজর কাড়বেই। এছাড়াও রয়েছেন ছোটমা এবং রানিমা। রানিমা রয়েছেন চন্দননগরেও। তেমাথা শিবমন্দিরের রানি মায়ের পুজো ঘিরে জমে ভক্তের সমাগম। এছাড়াও চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের মাঝে গৌড়হাটি তেঁতুলতলার জগদ্ধাত্রী পুজো বিখ্যাত। সেখানে নবমীর রাতে বিপুল ভক্তের ঢল নামে। চন্দননগরের বাগবাজারের জগদ্ধাত্রী পুজো বেশ খ্যাতনামা। এছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় থাকা আলাদা ঘরনার রেশ। পিছিয়ে নেই এখানকার বড়বাজারের পুজো। সুরেরপুকুর সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর দেবীমূর্তির সাবেকি সাজ মুগ্ধ করেছে সবাইকে। চন্দননগরের আরও এক পুজোর জনপ্রিয়তা রয়েছে, তা হল আদি মায়ের পুজো। পালপাড়ায় জগদ্ধাত্রীকে সাজানো হয়েছে ডাকের সাজে। হেলা পুকুরেও জগদ্ধাত্রীকে সাজানো হয়েছে সোনার গয়নায়। রাজ ইতিহাস বুকে করে এগিয়ে চলা এই শহর। কৃষ্ণনগরে বুড়িমার পুজো ঘিরে ফের বিপুল ভক্তের ঢল নামার আশা। রাজবাড়ির পুজোয় এবারও ভক্তের ঢল নামবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! চার বছর বাদে নতুন বছরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নৌকার পালে সুপবন বয়ে আনলেও, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যই হল, আমেরিকা ও তার দোসরদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গাঁটছড়ার বন্ধন পোক্ত করা।

    বিপাকে পড়তে পারে ট্রুডোর দেশ (Donald Trump)

    ট্রাম্প ফের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসছেন। এতে আদতে বিপাকে পড়বে ট্রুডোর দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প জমানায় দেখা দিতে পারে বাণিজ্য বিরোধ। যার জেরে ভয়ঙ্কর মন্দার মুখে পড়তে পারে কানাডা। কারণ কানাডার রফতানির ৭৫ শতাংশই যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ উত্তরে (Donald Trump) কানাডার দিকে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রেও বিপদে পড়বে ট্রুডোর দেশ।

    ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো

    আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা কানাডায়। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, কনজারভেটিভ প্রতিপক্ষের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো। তাঁর দল লিবারেল পার্টির অবস্থাও হতে পারে করুণ। গত কয়েক বছরে কানাডার ধীর গতির অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের দ্রুত বৃদ্ধি চলে এসেছে খবরের শিরোনামে। যার জেরে চিন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৈচিত্রকরণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ট্রাম্প-ট্রুডোর সম্পর্ক অহি-নকুলের। ২০২২ সালে ট্রাম্প ট্রুডোকে ‘একজন চরম বামপন্থী উন্মাদ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কারণ ট্রুডো সীমান্ত অতিক্রম করা ট্রাক চালকদের জন্য কোভিড টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করেছিলেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে, কেবেকে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে চলে এসেছিলেন ট্রাম্প। ট্রুডোকে তিনি ‘খুবই অসৎ ও দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    ২০১৫ সাল থেকে কানাডার কুর্সিতে রয়েছেন ট্রুডো। ট্রাম্প জিততেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নেমে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যের বন্ধুত্ব বিশ্বে ঈর্ষণীয়।” ট্রুডো যখন আমেরিকা-কানাডার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রাণপাত করছেন, তখন নিশ্চিন্তে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কারণ মার্কিন প্রদেশে যিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন, তিনি আসলে তাঁর ‘বন্ধু’ (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar: আরজি কর ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar) চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বুধবার সন্ধ্যায় সোদপুরের বাড়িতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। একইসঙ্গে মেয়ের মৃত্যুর বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    কী বললেন নির্যাতিতার বাবা? (RG Kar)

    নির্যাতিতার বাবা (RG Kar) বলেন, ‘‘আমার মেয়ে চাকরি করতে গিয়ে হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষিত হল। সেখানেই তাকে খুন করা হল। রাজ্য সরকার এর দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। স্থানীয় প্রশাসন হল রাজ্য সরকার। তাই, এই ঘটনার জন্য আমরা রাজ্য সরকারকে দায়ী করব। তিন মাস ধরে চোখের জল ফেলেছি। এবার মেয়ের বিচারের জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। বিচার আমরা ছিনিয়ে আনব। মেয়েকে হারিয়ে আমরা কঠিন হয়ে গিয়েছি। আন্দোলনই একমাত্র পথ।’’

    আরও পড়ুন: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    মেয়ের মৃত্যুর বিচার নিয়ে ছেলেখেলা চলছে!

    নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমার মেয়ের মৃত্যুর বিচার নিয়ে ছেলেখেলা চলছে! প্রথমে আমাদের আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar) থেকে বলা হল আমার মেয়ে অসুস্থ। পরে বলা হল সে নাকি আত্মহত্যা করেছে! সেই কথা শুনে আমরা তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছলাম। তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পরও আমার মেয়ের মুখ দেখতে দেওয়া হল না। পুলিশের ভূমিকা প্রথম থেকেই সন্দেহজনক। একটা অপরাধ সংঘঠিত হল, তারপরও কেন সেই অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হবে? কেনই বা অপরাধীদের মাথায় প্রশাসনের হাত থাকবে? ৯ অগাস্ট কী ঘটনা ঘটেছে, তা আজও আমরা জানতে পারলাম না। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে আমরা জানতে চাই।’’ বার বার বিচার আরজি কর মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়া উষ্মা প্রকাশ করেন তাঁরা।

    অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা-মা

    রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা হারালেও কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর তিনি ভরসা রাখছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে দেখা না হওয়ার বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আমাদের সঙ্গে তাঁর ঠিক দেখা হবে। আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা চিঠিও (RG Kar) দিয়েছি। আশা করি খুব শীঘ্রই জবাব পাব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: অহং নাশে দেবী জগদ্ধাত্রীর প্রকাশ, দেবতাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই জগতের ধারিণী শক্তি

    Jagadhatri Puja 2024: অহং নাশে দেবী জগদ্ধাত্রীর প্রকাশ, দেবতাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই জগতের ধারিণী শক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগতকে যিনি ধারণ করেন, তিনিই হলেন দেবী জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2024)। পরমাসুন্দরী চতুর্ভুজা, সিংহ অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পদতলে থাকে হাতির কাটা মুন্ডু। দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়ার আর এক রূপ। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকে বাংলায় এই পুজোর প্রচলন হয়। কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতা, গঙ্গাপাড় ধরে দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলা। পুরাণে দেবী জগদ্ধাত্রীর মাহাত্ম্য অনেক।

    অহং নাশে জগদ্ধাত্রীর প্রকাশ

    পুরাণ অনুযায়ী, দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের পর অহংকারে ভুগতে থাকেন দেবতারা। তাঁরা মনে করতে থাকেন, দেবী অসুর বধ করেছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি দেবতাদেরই সম্মিলিত শক্তির প্রকাশ। যেহেতু ব্রহ্মার আশীর্বাদের জন্য কোনও পুরুষ মহিষাসুরকে বধ করতে পারবেন না, তাই নারীর প্রয়োজন হয়েছে মাত্র। তাঁদের ধারণা, পক্ষান্তরে শক্তিশালী অসুর বধের পিছনে রয়েছেন দেবতারাই (Jagadhatri Puja 2024)। এই গর্ব বোধ দেখে তাঁদের শক্তির পরীক্ষা নেন দেবী। তৃণখণ্ড তাঁদের দিকে ছুড়ে দেন। দেবরাজ ইন্দ্র তৃণটি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হন। অগ্নিদেবও তা পোড়াতে পারেননি। বায়ুদেব পারেননি উড়িয়ে নিয়ে যেতে। জলের স্রোতে ভাসাতে পারেননি বরুণ দেবও। এর পরই দেবী জগদ্ধাত্রী আর্বিভূত হন। বুঝিয়ে দেন তিনিই জগতের ধারিণী শক্তি। 

    আরও পড়ুন: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    দেবীর পদতলে হাতি কেন

    দেবী জগদ্ধাত্রীর (Jagadhatri Puja 2024) পদতলে হাতিটিকে দেবতাদের অহংয়ের প্রতীক হিসেবে মানা হয়। দেবী যেহেতু দেবতাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা কিছুই নন, তাই তাঁদের অংহকারকে বধ করেছিলেন তিনি। তাই পদতলে থাকে হাতি। সংস্কৃত শব্দে হাতির অর্থ করী। অন্য এক মতে, দেবী জগদ্ধাত্রী যে অসুরকে বধ করেছিলেন, তার নাম করীন্দ্রাসুর। তিনি হাতি রূপে মায়ের সামনে এসেছিলেন। তাঁকে দেবী বধ করেন বলে জগদ্ধাত্রীর অপর নাম করীন্দ্রাসুরনিসূদিনী। প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লা নবমীতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা শুরু হয়। এই পুজো দুর্গাপুজোর মতো সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত মহা সমারোহে হয়ে উদযাপিত হয়৷ 

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Tab Scam: সরকারের দেওয়া ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা গায়েব! একের পর এক স্কুলে একই ঘটনা কীভাবে?

    Tab Scam: সরকারের দেওয়া ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা গায়েব! একের পর এক স্কুলে একই ঘটনা কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের (Trinamool Congress) দেওয়া ট্যাব (Tab) কেনার টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পূর্ব বর্ধমানের পড়ুয়াদের জন্য পাঠানো সেই ট্যাবের টাকা চলে গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। গায়েব হওয়া টাকা কোথায় গেল, তার তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পারল জেলা পুলিশ প্রশাসন। একাধিক স্কুলে এই অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। তবে শিক্ষকরা এই দায় ঠেলছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের দিকেই।

    কতজন পড়ুয়া টাকা পাননি? (Tab)

    জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের ৫২২ জন পড়ুয়া ট্যাবের (Tab) টাকা পায়নি। সে নিয়ে তদন্ত চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এককালীন দশ হাজার টাকা পায় ট্যাব কেনার জন্য। পুজোর ছুটির আগেই রাজ্যের স্কুলগুলি নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন জানিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলে চলতি বছরে ওই স্কুলের ৪১২ জন পড়ুয়ার জন্য ট্যাবের টাকার আবেদন করা হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায়। কিন্তু, ২৮ জন পড়ুয়া জানায়, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকেনি। খোঁজ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষই জানতে পারেন, অভিযোগ সঠিক। ঘটনাক্রমে শিক্ষা দফতর এবং সাইবার থানায় অভিযোগ জানানো হয়। প্রধানশিক্ষক বলেন, “গত ২১ এবং ২২ অক্টোবর, দু’দিন ফোন করে স্কুলের ১৭ জন পড়ুয়া আমাদের জানিয়েছে যে, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্যাবের ১০ হাজার টাকা ঢোকেনি। স্কুলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি জানানো হয় ডিআই, অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) এবং ডিপিওকে। ডিআইয়ের পরামর্শে সাইবার থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” পাশাপাশি স্কুলের পক্ষ থেকে মোট ২৮ জন পড়ুয়াকে ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছিল। ব্যাঙ্কে গিয়ে পড়ুয়ারা জানতে পারে, তাদের ট্যাবের টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এ নিয়ে তদন্তের পর বুধবার জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, শুধু বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলই নয়, জেলার আরও কয়েকটি স্কুল মিলিয়ে মোট ৫২২ পড়ুয়া তাঁদের ট্যাবের টাকা পায়নি। এ-ও জানা গিয়েছে, ওই সমস্ত টাকা উত্তর দিনাজপুরে কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    জেলাশাসক কী বললেন?

    পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, “ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বলে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। টাকা (Tab) পায়নি এমন পড়ুয়াদের বিস্তারিত তালিকা তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে কার গাফিলতিতে এমনটা হল, সেটাও জানার চেষ্টা চলেছে। কেউ দোষী হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    পূর্ব মেদিনীপুরেও বঞ্চিত পড়ুয়ারা!

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মোট চারটি স্কুলে একই ঘটনা। মোট ৬৪ জন পড়ুয়ার ট্যাব (Tab) কেনার টাকা গায়েব! অভিযোগ, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা চুরি করেছে সাইবার অপরাধীরা! চণ্ডীপুর থানার মুরাদপুরের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ, দিবাকরপুর হাইস্কুল, নন্দকুমার থানার ব্যবত্তারহাট আদর্শ হাইস্কুল ও মহিষাদলের নাটশাল হাইস্কুলে একই অভিযোগ সামনে আসছে। এই চার স্কুল মিলিয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মোট ৬৪ জন পড়ুয়া একই পরিস্থিতির শিকার। হিসেব বলছে, প্রতারিত পড়ুয়ার সংখ্যা যদি ৬৪ হয়, তাহলে মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা অর্থাৎ মোট ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হ্যাকারদের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এই ঘটনায় ওই চার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন ডিআই (মাধ্যমিক)।

    বাংলার শিক্ষা পোর্টাল সুরক্ষিত নয়

    জেলার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক (Tab) বসন্ত কুমার ঘড়াইয়ের দাবি, দফতরকে নিতে হবে দায়। তিনি বলেন, “বাংলার শিক্ষা পোর্টাল খুব একটা সুরক্ষিত নয়। আধার লিঙ্ক নেই। ফলে যে কোনও অ্যাকাউন্ট নম্বর আর আইএফসি কোড দিলেই টাকা চলে যাচ্ছে।” তাঁর দাবি, নাম না মিললে টাকা পাঠানো হবে না, এমন ব্যবস্থা করা হোক। দফতরকে আরও সতর্ক নিতে হবে, দায় নিতে হবে বলেই দাবি করেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    Donald Trump: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ফের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালীনই ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এবার ক্ষমতায় এসে এই বিষয়টি যে তিনি সহজ ভাবে নেবেন না তা অনুমান করছে বাংলাদেশ। এর আগে, ২০১৬ সালের ভোটে জেতার পর বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলকে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি (Muhammad Yunus) কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন।” ফলে, এবার ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে ফেরা নিশ্চিত হতেই ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের। 

    ট্রাম্পের দীপাবলি-পোস্ট

    সম্প্রতি ভারতকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে চলা অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বাংলাদেশে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে বলেই উল্লেখ করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে বলেছিলেন, “আমি থাকলে এই ঘটনা কখনও ঘটতে দিতাম না।” বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক যে মধুর নয়, তা সকলের জানা। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ের পরে ইউনূস বলেছিলেন, তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পূর্ণ আলাদা। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পকে দেওয়াল না গড়ে, দৃষ্টিভঙ্গী আরও উদার করে সেতু গড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্রাটদের সম্পর্ক ভালো। তাই  কূটনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট-ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) যথেষ্ট চাপে পড়লেন ট্রাম্প ফিরে আসায়।

    ইউনূসে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

    তবে, ট্রাম্পের মনে ইউনূসের প্রতি যে একটা পুরনো ক্ষোভ রয়েছে, তা অজানা নয়। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ের পর, বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ওয়াশিংটনে যায়। প্রথম সাক্ষাতেই ট্রাম্প বলেছিলেন, “ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন।” ইঙ্গিত স্পষ্ট, ইউনূস ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করেছিলেন। উল্টোদিকে, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মদম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের সুসম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। বাংলাদেশের পালাবদলের পর সেদেশের সরকারের মাথায় বসেছেন অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি ঘটে। উল্লেখ্য, আগের শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে মার্কিন সরকারের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। এই সবের মাঝেই ইউনূস বাংলাদেশ সরকারের মাথায় বসার পর তাঁকে সবধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। উল্লেখ্য, ইউনূসের সঙ্গে ক্লিনটনদের বেশ ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। এমনকী, সম্প্রতি তিনি আমেরিকায় গিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের মাথা’কে চিনিয়ে দিয়েছিলেন ক্লিনটনের ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানেই।

    ঘুম উড়েছে ইউনূসের

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) নির্বাচিত হতেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রাম্পের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আওয়ামী লিগ নেত্রী। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণের তরফে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফেরার অভিনন্দন জানিয়েছেন। আসলে দীপাবলির সময়ে ট্রাম্পের পোস্ট নিয়ে শঙ্কায় ইউনূস। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। কিন্তু কয়েক মাসেই বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। একদিকে যেমন ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমছে, তেমনই বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্য়ালঘুদের উপরে হওয়া হামলার ঘটনাও গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। সর্বশেষে, দীপাবলিতে ট্রাম্পের ‘‘আমি থাকলে…’’ বার্তায় ঘুম উড়েছে ইউনূসের। তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন, রাজনৈতিক সঙ্কটের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপরে কী প্রভাব ফেলবে তা এখন ঢাকার কূটনৈতিক চর্চার কেন্দ্রে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাব নিয়ে ধুন্ধুমার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়, কড়া প্রতিক্রিয়া পদ্মের

    BJP: ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাব নিয়ে ধুন্ধুমার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়, কড়া প্রতিক্রিয়া পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও আইনি বৈধতা নেই।” ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাবের কপি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি (BJP) বিধায়করা। ৬ নভেম্বর, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) ফের ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর বিধাসভায়। প্রস্তাবটি পেশ করে রাজ্যের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন পদ্ম বিধায়করা। দু’পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচিতে তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। পরে অবশ্য ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। সেই প্রস্তাবটিরই কোনও আইনি বৈধতা নেই বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (BJP)

    জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির সুনীল শর্মা বলেন, “প্রস্তাবটি দিনের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করেই পেশ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ভাষণ নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার কৌশলে এবং হঠাৎ করে এই প্রস্তাবটি নিয়ে এল।” তিনি এই প্রস্তাবটিকে ‘অবৈধ’ ও ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন। তিনি বলেন (BJP), “এর কোনও আইনি বৈধতা নেই। কারণ এই (জম্মু-কাশ্মীর) বিধানসভা সংসদ বা সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে নয়।” ৩৭০ ধারাকে ইতিহাস বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন আর কেউ এই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবে না।”

    অমিত মালব্যের বক্তব্য

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “প্রস্তাবটি একটি মজার পরিবর্তন, যা শাসক ন্যাশনাল কনফারেন্সের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়।” তিনি লেখেন, “৩৭০ ধারা সম্পূর্ণভাবে পুনর্বহালের ওপর জোর দেওয়ার পরিবর্তে, প্রস্তাবটি এই বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানায়— যা ৫ আগস্ট ২০১৯-পরবর্তী বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।”

    আরও পড়ুন: জয়ের পরই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে ফোন মোদির, ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে নমো-প্রশস্তি

    উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা

    এদিকে, ৩৭০ ধারা নিয়ে বৃহস্পতিবারই উত্তপ্ত হয় জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা। এদিন রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় মার্শালদের।এদিন অধিবেশন শুরুর সময় আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ ৩৭০ ধারার সমর্থনে একটি পোস্টার তুলে ধরেন। এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক হইচই। এর পর প্রথমে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষে শুরু হয় ধস্তাধস্তি, পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ওই বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল এবং কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) জম্মু-কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করে বলেন, “ওরা পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share