Blog

  • Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কানাডা সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলির সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের প্রবীণ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার (Indresh Kumar)।  কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Attack On Hindu Temple) নিন্দা করেন ইন্দ্রেশ। ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘অমানবিক’ আখ্যা দেন তিনি।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ? (Indresh Kumar)

    এর পরেই ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানের সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আরএসএসের এই নেতা বলেন, “বিশ্বের যে কোনও জায়গায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায় এই ঘটনার নিন্দা করবে।” ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার মন্দিরে আক্রমণটি দুর্ভাগ্যজনক এবং অমানবিক। আমি নিশ্চিত যে কেবলমাত্র ভারতের শিখ সম্প্রদায়ই নয়, বরং গোটা বিশ্ব এই ঘটনার নিন্দা করবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করবে। তিনি বলেন, ধর্মের সুরক্ষার জন্যই খালসার সৃষ্টি হয়েছিল, ধর্মের ক্ষতি করার জন্য নয়।”

    আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে মার পুণ্যার্থীদের

    রবিবার কানাডার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় খালিস্তানপন্থীরা। মন্দিরে যাওয়া পুণ্যার্থীদেরও রেয়াত করেনি তারা। ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার ভিডিও-ও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, খালিস্তানপন্থীদের ঝান্ডা হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একদল মানুষ। এদের (Indresh Kumar) মধ্যে কানাডার এক পুলিশকর্মীও ছিলেন। পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কানাডা পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানান, ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময় ওই পুলিশ কর্মী কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই দিন ওই মন্দিরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, কানাডার ওই মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও ঘটনার (Attack On Hindu Temple) কড়া সমালোচনা করা হয়েছে (Indresh Kumar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল, স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে কীভাবে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হত? আরজি কর (RG Kar) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। গত শুনানিতেই রাজ্যের কাছে এনিয়ে হলফনামা তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই শুনানিতে রাজ্যের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এগুলি হল- সিভিক ভলান্টিয়ারদের কীভাবে নিয়োগ করা হয়? তাঁদের যোগ্যতার মান কী? কী পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়?  তাঁদের আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তা কীভাবে যাচাই করা হত? ইত্যাদি। এনিয়ে এদিন হলফনামা জমা করে রাজ্য। সেখানেই দেখা যাচ্ছে ধৃতকে নিয়োগ করেছিলেন খোদ পুলিশ সুপারই। রাজ্যের তরফে বলা হয়, সিভিক নিয়োগে রয়েছে কমিটি। কমিশনারেট এলাকায় সেই কমিটির প্রধান পুলিশ কমিশনার। জেলাস্তরে কমিটির চেয়ারম্যান হন পুলিশ সুপার। এছাড়া রাজ‍্য স্তরে ডিজি, আইজিপি’কে শীর্ষে রেখে রয়েছে অ‍্যাপেক্স কমিটি।

    উঠছে প্রশ্ন (RG Kar) 

    রাজ্যের জমা দেওয়া এই হলফনামা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নিয়োগের এত কমিটি, এত ধাপ থাকা সত্ত্বেও ধৃতদের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে নিয়োগ পেল? কারণ নিয়ম বলছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্থানীয় থানারই বাসিন্দা হতেই হবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা জনিত কোনও কাজে সিভিকদের ব‍্যবহার করা হয় না। আরও নিয়ম হল, রাজ‍্যের কোনও থানায় সিভিক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ ছিল। সেকথা তার পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন। তারপরও কীভাবে নিয়োগ করা হল এমন একজন অপরাধীকে? এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    সুপ্রিম শুনানি (RG Kar) হল না আজ মঙ্গলবার

    অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আজ মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানি হল না। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবন যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধান বিচারপতির। আর সেই কারণেই শুনানি এদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর মামলার। তবে, রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে সিভিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে হলফনামা (RG Kar)  জমা করেছে মঙ্গলবার। সেখানেই এই কথা উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Meherbai Tata: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    Meherbai Tata: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে টাটা (India’s First Female Tennis Olympian) পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। আজকের প্রজন্ম রতন টাটার দানশীলতার জন্য তাঁকে চেনেন। তাঁর অকাল প্রয়াণের পরে তাঁর সৎভাই নোয়েল টাটাকেও মানুষ চিনেছে। তবে এঁদের আগে এমন অনেকেই ছিলেন যাঁরা টাটা পরিবারের রত্ন। একবার, ব্যবসার উদ্দেশে বেঙ্গালুরু গিয়ে বিজ্ঞানী হোমি ভাবার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল টাটা কোম্পানির (Tata Steel) প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটার। ভাবা তখন বেঙ্গালুরুর একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ভাবার নিমন্ত্রণে তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁর মেয়ে মেহরবাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় জামশেদজির। প্রথম দেখাতেই মেহরবাইকে ভালো লেগে গিয়েছিল। এর কিছু দিন পরই ছেলে দোরাবজিকে বেঙ্গালুরুতে ভাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মেহরবাইয়ের সঙ্গে আলাপ করার জন্য। মেহরবাইকেই পরিবারের বড় বউ করে ঘরে তুলেছিলেন জমশেদজি। তিনি নিজের সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন। ১৯২৪ সালে তিনি প্যারিস অলিম্পিক্সের টেনিস খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাও আবার পরিবারের সম্মান বজায় রাখতে শাড়ি পরেই টেনিস কোর্টে নেমেছিলেন তিনি। পারসি শৈলিতে শাড়ি পরিধান করে তিনি খেলতে নেমেছিলেন। এটাকে ‘গারা’ বলা হয়ে থাকে।

    মেহেরবাই টাটার পরিচয়

    ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহণকারী মেহেরবাই মাত্র ১৮ বছর বয়সে জামশেদজি টাটার বড় ছেলে স্যার দোরাবজির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই সময়ে, যখন নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল, লেডি মেহেরবাই নারী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, তাদের ভোটাধিকার এবং পুরনো পর্দা প্রথা বিলোপের জন্য কাজ করেছিলেন। জমশেদজির মনের মতো করে, নিজের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি দিয়ে পরিবারকে আগলে রেখেছিলেন মেহরবাই। পরিবারের প্রতি এবং স্বামীর প্রতি এতটাই দায়বদ্ধ ছিলেন যে নিজের পছন্দের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটিও পরিবারের স্বার্থে বেচে দিয়েছিলেন মেহেরবাই। অত্যন্ত স্বাধীনচেতা মানসিকতার মানুষ ছিলেন তিনি। এই মানসিকতা অবশ্য বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন বলে বহু বার জানিয়েছিলেন তিনি। মহিলাদের উপর কোনও নির্যাতন মেনে নিতে পারতেন না মেহরবাই। পর্দা প্রথা রোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো— সবেতেই তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। দেশের বাইরেও এই সমস্ত বিষয়ে সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ভারতীয় রেড ক্রস সোসাইটির সদস্যও ছিলেন তিনি। তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯২৯ সালের শিশু বিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর হয়। 

    সংস্থাকে দেউলিয়া থেকে বাঁচান

    সালটা ১৯২০। টাটাদের ব্যবসা সে সময় ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। একাধিক ব্যবসায় হাত লাগাতে শুরু করেছিল গোষ্ঠী। কিন্তু ১৯২৪ সাল নাগাদ ব্যবসায় বড় মাপের ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছিল ব্যাঙ্কের কাছে। ধার শোধ করে ব্যবসা বাঁচানোর উপায় বাতলে দিয়েছিলেন মেহরবাই। স্বামীর কাছ থেকে উপহার পাওয়া জুবিলি হিরের আংটি বেচে ধার শোধ করেছিলেন তিনি। সেইসময় হিরের ওজন ২৪৫.৩৫ ক্যারেট ছিল। আয়তনে কোহিনূর হিরের প্রায় দ্বিগুণ। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম হিরে ছিল সেটি। 

    অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব

    মেহরবাই শুধু ভালো মানুষ ছিলেন না, তিনি ভালো খেলোয়াড়ও (India’s First Female Tennis Olympian) ছিলেন। টেনিস খেলতে খুব ভালোবাসতেন। স্বামীর সঙ্গে উইম্বলডন দেখতে যেতেন। ১৯২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে টেনিসে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী শাড়ি পরে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই টুর্নামেন্টের মিক্সড ডাবলস ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন লেডি মেহরবাই টাটা। তাঁর পার্টনারের নাম ছিল মহম্মদ সেলিম। যদি অলিম্পিক্স টুর্নামন্টে এই জুটি কোনও পদক জিততে পারেনি। তবে আন্তর্জাতিক টেনিসে একাধিক পদক জয় করেছেন লেডি মেহরবাই টাটা। প্রায় ৬০টি টুর্নামেন্টে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতে মহিলাদের খেলাধুলোর প্রসারে লেডি মেহরবাই টাটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি এক জন দক্ষ ঘোড়সওয়ারও ছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি বিমানে উঠেছিলেন। ১৯১২ সালে জেপলিন এয়ারশিপে উঠেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: কমলার থেকে কম ভোট পেয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন ট্রাম্প! জানেন কীভাবে?

    আজও অনুপ্রেরণা

    ১৯৩১ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মেহরবাইয়ের। স্ত্রীর কষ্ট খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন স্বামী দোরাবজি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাই লেডি টাটা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গড়ে তোলেন তিনি। রক্তের বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা করাই ছিল এর কাজ। লেডি মেহরবাই এখনও ভারতীয় মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Whatsapp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল নতুন ফিচার ‘কাস্টম চ্যাট লিস্ট’, কী কী সুবিধা মিলবে?

    Whatsapp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল নতুন ফিচার ‘কাস্টম চ্যাট লিস্ট’, কী কী সুবিধা মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিত্যনতুন ফিচার প্রায়ই নিয়ে আসে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp News Feature)। এবার গ্রাহকদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল ‘কাস্টম চ্যাট লিস্ট’। এর সুবিধে খানিকটা ব্রডকাস্ট মেসেজ লিস্টের মতোই। তবে আরও একটু বেশি উন্নত। গ্রুপ চ্যাটে বাড়তি সুবিধা দেবে এই নতুন ফিচার। পছন্দমতো হোয়াটসঅ্যাপের কোনও গ্রুপকে বা গুরুত্ব অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনও কথোপকথন বাছাই করে চোখের সামনেও রাখা যাবে।

    ‘কাস্টম চ্যাট লিস্ট’ কী ভাবে করবেন? (Whatsapp News Feature)

    ১) প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ আপডেট করুন।

    ২) হোয়াটসঅ্যাপের ওপরে ডান দিকে একটি ‘যোগ’ চিহ্ন আসবে। সেটিতে ক্লিক করলে ‘অর্গাইনজ ইওর চ্যাট’ বলে একটি পপ-আপ দেখাবে। সেখানে গিয়ে ক্লিক করুন।

    ৩) এ বার ক্যাটেগরি দেখে পছন্দের প্রোফাইল তালিকাভুক্ত করুন।

    ৪) যদি কোনও চ্যাট আলাদা করে চোখের সামনে রাখতে হয়, তা হলে ‘অ্যাড পিপল অর গ্রুপ’ অপশনে গিয়ে নির্দিষ্ট কোনও প্রোফাইল বা চ্যাট (Custom Chat List) বাছাই করে একেবারে ওপরের সারিতে রেখে দিতে পারেন।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই নতুন ফিচার?

    বহুল ব্যবহৃত সোশাল অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp News Feature)। মেটা (Meta) অধিকৃত এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম গ্রাহকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। পছন্দমতো হোয়াটসঅ্যাপের কোনও গ্রুপকে বা গুরুত্ব অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনও কথোপকথন বাছাই করে চোখের সামনেও রাখা যাবে। লম্বা চ্যাট লিস্টের ভিড়ে আলাদা করে কাউকে খুঁজে বের করার কষ্ট করতে হবে না। নতুন এই ফিচারের সাহায্যে গ্রাহকরা নিজেদের চ্যাটকে গ্রাহকরা আলাদা করে নিতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে, এই ফিচারের সাহায্যে গ্রাহকরা নিজেদের চ্যাটকে কয়েকটি ভাগে আলাদা করে নিতে পারবেন। যেমন, ‘পরিবার’, ‘কর্মক্ষেত্র’, ‘বন্ধুবান্ধব’ ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে তা ভাগ করা যাবে। ফলে বহু চ্যাটের মধ্যে থেকে আলাদা করে খোঁজার দরকার পড়বে না।

    কী কী সুবিধা রয়েছে ফিচারে?

    নতুন ফিচারের সাহায্যে কনট্যাক্ট লিস্টে (Whatsapp News Feature) থাকা ব্যক্তিদের নতুন তালিকা তৈরি করা যাবে এবং তা প্রয়োজনে এডিটও করা যাবে। সহজ করে বললে, আপনার হোয়াটসঅ্যাপের কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা সকলের সঙ্গে বা প্রত্যেকটি গ্রুপে আপনি রোজ নিশ্চয়ই কথা বলেন না। কিন্তু কোনও দরকারে যদি চটজলদি সেই প্রোফাইল খুঁজে পেতে হয় বা গ্রুপ চ্যাট থেকে কোনও নির্দিষ্ট মেসেজ খুঁজে বার করতে হয়, তখনই এই ফিচার কাজে আসবে। কারণ, কাস্টম লিস্ট ফিচারে গ্রাহকেরা ব্যক্তিগত চ্যাটের পাশাপাশি পছন্দের একাধিক গ্রুপকেও তালিকাভুক্ত করতে পারবেন। সেগুলি ‘পিন টু টপ’ বা একেবারে চোখের সামনে রেখে দেওয়ার সুবিধাও পাবেন। অফিসের গ্রুপ থেকে হোক বা ব্যক্তিগত প্রোফাইল- জরুরি কোনও কথোপকথন খুঁজে পাওয়াও সহজ হবে। প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ কিছু দিন আগেই ‘আনরিড’, ‘ফেভারিট’, ‘গ্রুপ’ নামে কয়েকটি ফিচার নিয়ে এসেছিল। যে মেসেজগুলি পড়া হয়নি সেগুলি আলাদা করে ‘আনরিড’ অপশনে পাওয়া যাবে, আবার যার সঙ্গে বেশি চ্যাট করেন, সেই প্রোফাইলটিকে ‘ফেভারিট’ অপশনে রেখে দেওয়া যাবে যাতে খোঁজাখুঁজি করতে না হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asian Buddhist Summit: দিল্লিতে এশিয়ান বৌদ্ধ সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    Asian Buddhist Summit: দিল্লিতে এশিয়ান বৌদ্ধ সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার শুরু হল প্রথম এশিয়ান বৌদ্ধ ধর্ম সম্মেলন (Asian Buddhist Summit)। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সহযোগী সংস্থা হিসেবে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন। মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘‘ভারত হল ধর্মের ভূমি। প্রতিটা সময়েই দেখা গিয়েছে, ভারতবর্ষে ধর্মগুরুরা জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা মানবতার কল্যাণে দিশা দেখিয়েছেন। তাঁরা অন্তরের শান্তি এবং বাইরের সম্প্রীতির পথকেও খুঁজে দিয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই মোদি সরকার পালি ও প্রাকৃত ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। এ নিয়েও রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘এই দুই ভাষাই এখন থেকে আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ সহযোগিতা পাবে, তাদের বিকাশ ও গবেষণার জন্য।’’ প্রসঙ্গত, পালি ও প্রাকৃত ভাষা বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। বৌদ্ধ ধর্মের (Buddhism) প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলি এই ভাষাতেই রচিত হয়েছিল।’’

    সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতা থেকে কীভাবে বের হয়ে আসতে হয়, তাও শিখিয়েছে বৌদ্ধ ধর্ম

    এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু উল্লেখ করেন, বৌদ্ধ ধর্ম (Asian Buddhist Summit) কীভাবে মানব কল্যাণে সারা বিশ্ব জুড়ে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সময়ে গোটা পৃথিবী একটা সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বৌদ্ধ ধর্মের (Buddhism) দর্শনগুলি সারা বিশ্বকে দিশা দেখিয়েছে, সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতা থেকে কীভাবে বের হয়ে আসতে হয়, তাও শিখিয়েছে বৌদ্ধ ধর্ম। বিশ্বজুড়ে শান্তি সম্প্রীতি এবং অহিংসার বার্তা দেয় বৌদ্ধ ধর্ম। একটা কথাই বলা যায়, এই ধর্ম প্রেমের কথা বলে। যা বর্তমান যুগে পৃথিবীতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমগ্র এশিয়াকে শক্তিশালী করতে বৌদ্ধ ধর্মের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি।

    বৌদ্ধ ধর্মের এই সম্মেলন পারস্পরিক সহযোগিতা, সমন্বয়কে বাড়াবে 

    তিনি আরও বলেন, ‘‘বৌদ্ধ ধর্মের এই সম্মেলন পারস্পরিক সহযোগিতা, সমন্বয়কে বাড়াবে (Asian Buddhist Summit)। সংস্কৃতির আদান-প্রদানও করবে। গৌতম বুদ্ধের শিক্ষাকে আরও বিস্তৃত করবে। নিজের ভাষণে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘‘যুগ যুগ ধরে বৌদ্ধ ধর্ম প্রবাহিত হয়েছে। দেশ-বিদেশে ছড়িয়েছে এই ধর্ম। তৈরি হয়েছে বড় বড় সঙ্ঘ। ভারত হল তার কেন্দ্রবিন্দু। কারণ এখানেই গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব প্রাপ্তি করেছিলেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানের এই শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত! দিল্লির থেকে ৬ গুণ খারাপ! নাম জানেন?

    Pakistan: পাকিস্তানের এই শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত! দিল্লির থেকে ৬ গুণ খারাপ! নাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি-তীব্র বায়ু দূষণের কারণে পাকিস্তান সরকার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। একই ভাবে সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার আদেশ জারি করার মতো জরুরি ঘোষণা করেছে। রবিবার পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) দাঁড়িয়েছে ১৯০০। উল্লেখ্য এটি সর্বকালের সর্বোচ্চ মাত্রা। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে তকমা পেয়েছে লাহোর (Most Polluted City)।

    ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ছে বায়ু দূষণ (Pakistan)

    ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের শহর লাহোরের বায়ু দূষণের মাত্রা (AQI) পরিমাপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO)। জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দূষণের পিএম ২.৫ কণা। দূষণের এই সূক্ষ্ম কণাগুলি স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তার মাত্রা দাঁড়িয়েছে ৬১০। ‘হু’ নির্ধারিত বাতাসে পিএম ২.৫ কণার স্বাভাবিক পরিমাণ ৪০। লাহোরে (Most Polluted City) এখন গত ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ছে। ফলে বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের।

    নাগরিকদের বাড়ির ভিতরে থাকতে নির্দেশিকা

    লাহোরের (Pakistan) বায়ু দূষণকে উপেক্ষা করতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। পাঞ্জাবের মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, “সকল নাগরিকদের অনুরোধ করব বাড়ির ভিতরে থাকতে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন এবং প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বের হবেন না। বায়ু দূষণের জন্য হাসপাতালগুলিতে স্মগ কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সরকার রিকশা নামে পরিচিত তিন চাকার গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। সেইসঙ্গে দূষণের মাত্রা কমাতে নির্দিষ্ট এলাকায় নির্মাণকাজও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভারতীয় পর্যটকদের জন্য সুখবর! অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা ফ্রি হয়ে গেল তাইল্যান্ডে

    কাউকে দোষারোপ করছি না

    এদিকে, দূষণের জন্য ভারতে থেকে আসা বাতাসকে নিশানা করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। উল্লেখ্য,  দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব রাজা জাহাঙ্গির আনোয়ার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আমাদের জলবায়ুর বিষয়কে মাথায় রেখে কূটনৈতিক ভাবে সম্পর্ক স্থাপন প্রয়োজন। ভারত থেকে বয়ে আসা বাতাসের কারণে লাহোরে আমরা এককভাবে ভুগছি। আমরা কাউকে দোষারোপ করছি না, তবে এটি একটি নিছক স্বাভাবিক ঘটনা।”

    উত্তর ভারতের মতো, পাকিস্তানেও শীতকালে দূষণ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে বাসিন্দাদের (Most Polluted City) মধ্যে শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং চোখ জ্বালা সহ স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দেয়। শীতকালে ধোঁয়াশা (স্মগ) বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায়। এই সময় স্থলভাগের শহরগুলিতে যানবাহন, কলকারখানা এবং নিম্নমানের জ্বালানি ব্যবহারের কারণে ধূলিকণা ও দূষিত কালো ধোঁয়া ঘন কুয়াশার সঙ্গে মিলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে।

    লাহোর বাসিন্দাদের আয়ু গড় ৭.৫ বছর কমিয়ে দিয়েছে

    সোমবার বিকেলে দিল্লিতে একিউআই-এর (AQI) পরিমাণ ছিল ২৭৬। ১৫১-২০০ পর্যন্ত একিউআই (AQI) অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। যখন ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে একিউআই (AQI) রেটিং হয়, তখন বেশি ক্ষতিকারক নয়। আর যদি ৩০০-এর বেশি একিউআই হয় তাহলে অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছায়। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত দূষণের মাত্রা লাহোর (Pakistan) বাসিন্দাদের আয়ু গড় ৭.৫ বছর করে কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিসেফের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৬০ কোটি শিশু ব্যাপক মাত্রার বায়ু দূষণের সংস্পর্শে আসছে এবং শৈশবে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর অর্ধেক বায়ু দূষণের সাথে জড়িত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীরা উপজাতির মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে গরিব করে রেখেছে। বিজেপি ঝাড়খণ্ডকে দারিদ্রমুক্ত করতে দায়বদ্ধ।” সোমবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী (Jharkand Assembly Polls) প্রচারে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কংগ্রেস-জেএমএমকে নিশানা মোদির (PM Modi)

    প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে যথাযথ মর্যাদা না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে। ঝাড়খণ্ডের নিজস্ব সত্ত্বা রক্ষায় যে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি বিপদস্বরূপ, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আশির দশকে যখন বিহার ও দিল্লিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, সেই সময় ঝাড়খণ্ড বিহারের অংশ ছিল। তখন গয়া গোলি কাণ্ড ঘটেছিল – যেভাবে ব্রিটিশরা এখানে বর্বরতা করেছিল, কংগ্রেসও তেমনটাই করেছিল আদিবাসীদের রক্ত দিয়ে… আরজেডি নেতারা তখন বলতেন যে ঝাড়খণ্ড তাঁদের লাশের ওপর গড়ে উঠবে… আরজেডি ঝাড়খণ্ড গঠনের সমর্থকদের দমন করতে চেয়েছিল। আজ সেই আরজেডির কোলে কে বসে আছে? আজ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা আরজেডির কোলে বসে আছে।”

    ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, প্রত্যয়ী মোদি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ রাজ্যে বিজেপিকে আবার ক্ষমতায় আনতে আগ্রহী। কোলহান আবারও জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির অত্যাচারী সরকারকে উচ্ছেদ করতে প্রস্তুত। সবাই বলছে যে কোলহান ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে… আমি নিশ্চিত, বিজেপি-এনডিএ আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে।” তিনি বলেন, “তারা (জেএমএম) কোলহানের গর্বিত সন্তান, চম্পাই সোরেনকে অসম্মান করেছে। যেভাবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অসম্মান করা হয়েছে, গোটা দেশ তা দেখেছে। এটা পুরো কোলহানের প্রতি অসম্মান।”

    আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    এদিনের সভায় কংগ্রেসকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমাদের বোন সীতা সোরেনের সঙ্গে তারা যা করেছে – আমরা সবাই তা দেখেছি। কংগ্রেসের এক নেতা সীতা সোরেন সম্পর্কে যে কথা বলেছেন – আমরা সবাই তা দেখেছি। এটি সমস্ত আদিবাসী মা-বোনদের প্রতি অসম্মান। মহারাষ্ট্রেও একজন বোন যিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁর জন্য কেমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে? কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এটাই হল জেএমএম-এর আসল চেহারা।” বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে ঝাড়খণ্ডকে দারিদ্রমুক্ত করা হবে, এদিন সেই প্রতিশ্রুতিও দেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিকে, ১০ নভেম্বর ফের ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী (Jharkand Assembly Polls) প্রচারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিজেপির তরফে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ খবর জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramayana-in-China: চিনের সাহিত্য ও লৌকিক কাহিনিতেও রামভক্ত হনুমানের কথা! কীভাবে জানেন?

    Ramayana-in-China: চিনের সাহিত্য ও লৌকিক কাহিনিতেও রামভক্ত হনুমানের কথা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনেও রামায়ণের পদচিহ্ন (Footprints)। পণ্ডিতেরা বৌদ্ধ গ্রন্থে এর স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করেছেন। ধর্মীয় প্রভাবের ওপর অনেক দিন ধরে চিনা পণ্ডিতেরা গবেষণার কাজ করছিলেন। ওই দেশের ইতিহাস, শিল্প, লোককাহিনি এবং সাহিত্যে ভারতীয় সংস্কৃতির একটা প্রভাব যে পড়েছে, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। চিনের (Ramayana-in-China) বহু শতাব্দীর পুরাতন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থে রামায়ণের নানা প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনেক চিনা পণ্ডিত বলেছেন, চেকার্ড ইতিহাসে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের প্রভাব সামনে এসেছে। বিশেষ করে দশরথ এবং হনুমানের প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে চিনের সাহিত্যে। আসুন এখন চৈনিক গবেষকদের বক্তব্য শুনে নেওয়া যাক।

    ‘রামায়ণ-এ টাইমলেস গাইড’-শীর্ষক আলোচনাচক্র (Ramayana-in-China)

    শনিবার চিনের (Ramayana-in-China) ভারতীয় দূতাবাসে আয়োজিত ‘রামায়ণ-এ টাইমলেস গাইড’-শীর্ষক আলোচনাচক্র আয়োজিত হয়েছিল। কীভাবে চিনে ভারতীয় ধর্মের প্রভাব পড়েছিল, এই অনুষ্ঠানে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রামায়ণ কীভাবে একটি পথ অনুসরণ করে চিন দেশে পৌঁছে প্রভাব বিস্তার করেছে, সেই কথাই এদিন শিল্প এবং সাহিত্যের আঙ্গিকে বিস্তৃত আলোচনা হয়। ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ডক্টর জিয়াং জিংকুই বলেন, ধর্ম এবং ধর্মনিরপেক্ষ দেশের মধ্যে একটি মহাকাব্যের আন্তঃসংযোগ হয়েছে। ধর্মীয় এই মিশ্রণের ফলে ভারতীয় রামায়ণের (Footprints) প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে পড়েছে চিনে। চিনও একই ভাবে রামায়ণের মতো মহাকাব্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। তা কেবলমাত্র বৃহৎ চিনা সংস্কৃতির মধ্যে প্রভাব ফেলেনি, একইভাবে জিজাং বা তিব্বতেও প্রভাব ফেলেছে। মহাকাব্য এবং সাধারণ পাঠ্য সাহিত্যের মধ্যে এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপকভাবে। আবার চিনের প্রাচীন হান সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে রামায়ণের প্রত্যক্ষ প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। একই ভাবে বৌদ্ধ ধর্মের নানা গ্রন্থের মধ্যে রামায়ণের প্রভাব পড়েছে।”

    সাহিত্য এবং লোককাহিনিতে হনুমানের প্রভাব

    ডক্টর জিয়াং আরও বলেন, চিনের হান সংস্কৃতির উপর রামায়ণ (Ramayana-in-China) কখনই সম্পূর্ণ আগ্রাসী হয়নি। সবটাই সমন্বয় এবং সংমিশ্রণ হয়েছে।তবে এই মহাকাব্যের কিছু কিছু প্রভাব হীনযান বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের মধ্যে পড়েছে। এই চিনা গ্রন্থের মধ্যে দশরথ এবং হনুমানের মতো প্রধান চরিত্রগুলি বৌদ্ধ চরিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হনুমান একজন বানর রাজা কিন্তু বৌদ্ধ অষ্টাঙ্গিকমার্গ মেনে চলেন। ফলে রামায়ণের ক্ল্যাসিক্যাল চরিত্রে বৌদ্ধ শীল বা আচার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সান উকং নামক মানব চরিত্র হলেন বানর রাজা। এই চরিত্র চিনের জনপ্রিয় সাহিত্য এবং লোককাহিনির মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রভাব ফেলেছে।”

    সান উকংয়ের চরিত্র হনুমান থেকেই এসেছে

    আবার চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রো লিউ জিয়ান বলেন, চিনা পণ্ডিতরা একমত যে চিনের বৌদ্ধ সাহিত্যের প্রধান চরিত্র সান উকুং-এর মধ্যে রামায়ণের হনুমানকে সন্ধান করা যেতে পারে। তবে আবার কেউ কেউ এই চরিত্রকে চিনের ‘দেশীয় চরিত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে চিনা পণ্ডিতেরা একমত যে সান উকংয়ের চরিত্র হনুমান (Ramayana-in-China) থেকেই এসেছে। ফলে সান উকং শুধু ‘চিনের স্বদেশী নিজস্ব’ (Footprints) ভাবনায় পুষ্ট নয়, তা ভারতের মহাকাব্য রামায়ণ দ্বারা অবশ্যই প্রভাবিত। রামায়ণ কেবলমাত্র একটি মহাকাব্য নয়, আদর্শ ব্যক্তিত্ব এবং আদর্শ সামজের গভীর প্রকাশও বটে।”

    বিভিন্ন হিন্দু দেবতার ছবি প্রদর্শন হয়

    সিচুয়ান ইউনিভার্সিটি চয়না সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রধান গবেষক প্রফেসর কিউ ইয়াংহুয়াই তাঁর আলোচনায় কোয়ানঝো জাদুঘরে বিভিন্ন হিন্দু দেবতার ছবি প্রদর্শন করেছিলেন। এই যাদুঘর চিনের ফুজিয়ান প্রদেশে রয়েছে। সেই সঙ্গে একজন হিন্দু পুরোহিতের দ্বারা পরিচালিত একটি বৌদ্ধ মন্দিরের ছবিও দেখান। সাংস্কৃতিক প্রবাহ কতটা গভীর, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মের মাধ্যমেই ভারতীয় ধর্ম-চেতনা-দর্শন চিনে বিস্তার লাভ করেছে। বহুমুখী ভারতীয় সংস্কৃতি, চিনের বৌদ্ধ এবং অ-বৌদ্ধ এমন ধর্মে প্রভাব বিস্তার করেছে। রামায়ণের (Ramayana-in-China) পদচিহ্ন খুব স্পষ্টভাবে পড়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    ১৯৮০ সালে সংস্কৃত থেকে প্রথম চিনা ভাষায় রামায়ণ অনুবাদ হয়

    উল্লেখ্য ডক্টর জিয়াং নিজের আলোচনায় সপ্তম শতকের বিখ্যাত চিনা পণ্ডিত জুয়ানজাং ভারতে কীভাবে পরিভ্রমণ করেছিলেন, সেই সূত্রও উল্লেখ করেছেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পর্যটক অধ্যয়ন করেছিলেন। ভারতীয় শিক্ষা-আধাত্মকে আত্মস্থ করেছিলেন। ১৯৮০ সালে জি জিয়ানলিন সংস্কৃত থেকে প্রথম চিনা ভাষায় রামায়ণ (Ramayana-in-China) অনুবাদ করেন। প্রায় ২৪০০০ শ্লোকের অনুবাদ করেছিলেন। একইভাবে এদিনের অনুষ্ঠানে চিনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রতীপকুমার রাওয়াত বলেন, “রামায়ণ মানব সভ্যতার প্রাচীনতম কাব্য।” একইভাবে তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতেরাও তাঁদের দেশে রামায়ণের প্রভাব (Footprints) সম্পর্কে দৃষ্টান্ত দিয়ে উল্লেখ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhath Puja 2024: ছটপুজোর তাৎপর্য কী জানেন? কতদিন ধরে চলবে এই উৎসব?

    Chhath Puja 2024: ছটপুজোর তাৎপর্য কী জানেন? কতদিন ধরে চলবে এই উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উৎসব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার জোরকদমে ছটপুজোর (Chhath Puja 2024) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই উৎসব মূলত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও উদযাপিত হয়। উৎসবটি (Festival) সূর্য দেবতা (সূর্য) এবং ছঠি মাইয়া (মা ষষ্ঠী), যাকে সূর্যের বোন বলে বিশ্বাস করা হয়, তাদেরকে উৎসর্গ করা হয়। পবিত্র উৎসবটি চার দিন ব্যাপী উদযাপিত হয়। পৃথিবীতে জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য সূর্য দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য কঠোর আচার এবং উপবাস পালন করা হয়। এবছর ৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত উৎসবটি পালিত হবে।

    কীভাবে ছট পালিত হয়? (Chhath Puja 2024)

    উৎসবটি (Chhath Puja 2024) শুরু হয় ‘নাহে খায়ে’ (স্নান এবং ভোজ) দিয়ে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা একটি ধর্মীয় স্নান করে এবং একটি সাধারণ খাবার গ্রহণ করে। পরের দিন, ভক্তরা ‘খরনা’ পালন করেন, যার মধ্যে সারা দিন উপবাস থাকে, সূর্যাস্তের পর দেবতাদের উদ্দেশে নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয়। ছট পালনকারী ব্যক্তি পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধব একসঙ্গে কলা পাতায় একই খাবার খেতে জড়ো হওয়ার আগে রোটি (চাপাটি) এবং খির (পায়েশ) খাবার গ্রহণ করেন। তৃতীয় দিনে ভক্তরা, সাধারণত মহিলারা, জলাশয়ে, তা নদী হোক বা পুকুর, সূর্যোদয়ের আগে জড়ো হন। কোমর-গভীর জলে দাঁড়িয়ে, তাঁরা উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য (জল নিবেদন) দেয়, স্তোত্র ও প্রার্থনা করেন। ছট পুজোর এই অনন্য দিকটি পবিত্রতা, আত্ম-শৃঙ্খলা এবং জীবনের ধারাবাহিকতার প্রতীক। অস্তগামী (ঊষা) সূর্য আরেক দফা অর্ঘ্যের সাক্ষী, এইবার দিনটিকে বিদায় জানাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    ছট কখন উদযাপিত হবে?

    নাহে খায়ে: ৫ নভেম্বর (Chhath Puja 2024) সকাল ৬:৩৬ থেকে বিকেল ৫:৩৩ পর্যন্ত। খরনা: ৬ নভেম্বর সকাল ৬:৩৭ থেকে বিকেল ৫:৩২ পর্যন্ত। সন্ধ্যা অর্ঘ্য: ৭ নভেম্বর সকাল ৬:৩৮ থেকে বিকেল ৫:৩২ পর্যন্ত। উষা অর্ঘ্য: ৮ নভেম্বর সকাল ৬:৩৮ থেকে বিকেল ৫:৩১ পর্যন্ত।

    ছট কেন অনন্য?

    বিহারীদের কাছে এই উৎসবের (Chhath Puja 2024) একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে, যারা একে মহাপর্ব (মহোৎসব) বলে মনে করেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ বিহারীরা এই উৎসব উদযাপন করতে নিজেদের জন্মভূমিতে ফিরে আসেন। যেটি ছটকে একটি অনন্য উৎসব করে তোলে তা হল যে কোনও ব্যক্তি উৎসবটি পালন করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Andhra Pradesh: লক্ষ্য সনাতনী ধর্মরক্ষা! ‘নরসিংহ ভারাহি গণম’ নামের সংগঠন চালু অন্ধ্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর

    Andhra Pradesh: লক্ষ্য সনাতনী ধর্মরক্ষা! ‘নরসিংহ ভারাহি গণম’ নামের সংগঠন চালু অন্ধ্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মের রক্ষা ও প্রচারের উদ্দেশে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) উপমুখ্যমন্ত্রী তথা জনসেনা পার্টির সভাপতি পবন কল্যাণ নতুন একটি সংগঠন তৈরি করলেন। দলেরই মধ্যে এই সংগঠন তৈরি করেছেন তিনি। নাম ‘নরসিংহ ভারাহি গণম’। এইভাবেই সনাতন ধর্মের মূল্যবোধ ও বিভিন্ন তত্ত্বকথা সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছানো যাবে বলে মনে করছেন তিনি। একই সঙ্গে এই সংগঠন, সনাতন ধর্ম রক্ষার্থেও কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন পবণ কল্যাণ (Andhra Pradesh)? 

    গত সপ্তাহে শুক্রবার একটি সভাতে (Andhra Pradesh) পবন কল্যাণ ব্যাখ্যা করেন নরসিংহ ভারাহি গণমের কাজ ঠিক কী হতে চলেছে। তিনি সেখানেই বলেছিলেন, ‘‘মন্দির উন্নয়ন থেকে সনাতন ধর্মকে রক্ষা, সব কাজই করবে এই সংগঠন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমার ধর্মকে বহুক্ষেত্রেই অশ্রদ্ধা এবং হুমকির সম্মুখীন হতে  হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের ওপর যখনই আঘাত আসে তখন কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। এই সমালোচকরাও এখন সিলেক্টিভ প্রতিবাদ করেন।’’

    হিন্দুদের জেগে ওঠার সময় এসেছে 

    একই সঙ্গে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধেও সরব হন অন্ধপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী (Andhra Pradesh) এবং তিনি (Pawan Kalyan) বলেন, ‘‘হিন্দুদের জেগে ওঠার সময় এসেছে এবং তাদের কর্তব্য হল যখনই, যে কোনও রকমের আঘাতকে প্রতিহত করা। যথাযথ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া তাদের বিরুদ্ধে যারা সনাতন ধর্মকে ছোট করছে।’’ একইসঙ্গে সমাজ মাধ্যমে হিন্দুধর্ম বিরোধী যে কোনও পোস্টের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী (Pawan Kalyan)। তিনি আরও বলেন, ‘‘একটি ভয়মুক্ত পরিবেশেই হিন্দুরা যেন তাঁদের ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও আমাদের তৈরি করতে হবে।’’ অন্ধ্রপ্রদেশের সমগ্র প্রশাসনের কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে মন্দির রক্ষায় এবং ভক্তদের রক্ষায় বিশেষত মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে যেন তারা কাজ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share